মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের আয়োজনে শেখ রাসেল মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্ট
মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির ১২টি দলের অংশগ্রহণে শনিবার (২১ অক্টোবর) শেখ রাসেল মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়'- প্রতিপাদ্য নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়।
এসময়, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট এন্ড সিভিলাইজেশন ফ্যাকাল্টির অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর দাতুক ড. ওয়ান আহমেদ ফৌজি বিন ওয়ান হোসেন, হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান শেখ রাসেল মেমোরিয়াল ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানান এবং আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শিশু রাসেলসহ ১৫ আগস্টে শাহাদত বরণকারী সকলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তাদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে বলেন, শিশু শেখ রাসেল ছিল সরলতা, নির্ভীকতা ও নির্মলতার প্রতীক এবং তার আদর্শ ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সকল শিশু-কিশোরের জন্য আদর্শ।
হাইকমিশনার আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে শিশু রাসেলকেও নির্মমভাবে হত্যা করে।
এসময় শেখ রাসেলের আত্মত্যাগকে শক্তিতে রুপান্তর করে শেখ রাসেলের স্বপ্নের সুন্দর পৃথিবী গড়ার প্রত্যয়ে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
পরবর্তীতে, হাইকমিশনার বিপুল করতালির মধ্য দিয়ে টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
মালয়েশিয়ার রাজা ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য শেখ হাসিনার আম উপহার
মালয়েশিয়ার রাজা ইয়াং দি পারতুয়ান আগাং এবং প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরীর জন্য সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের নিদর্শন স্বরূপ উন্নতমানের বাংলাদেশি আম পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২২জুন) মালয়েশিয়ার রাজা ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে যথাক্রমে ইস্তানা নেগারা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা আম গ্রহণ করেন।
কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে এক হাজার কেজি আম বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, রাজনৈতিক দলের প্রধান, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, গণমাধ্যমকর্মী এবং বিভিন্ন কূটনীতিক উপপ্রধানদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
হাইকমিশন জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা উপহার পাঠানোর এ উদ্যোগটি দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে। পাশাপাশি বাংলাদোশ আম তথা কৃষিজাত পণ্যকে মালয়েশিয়ার মাটিতে একটি সম্ভাবনাময় রপ্তানীপণ্য রূপে তুলে ধরতে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: নরেন্দ্র মোদি ও সোনিয়া গান্ধীকে উপহার হিসেবে আম পাঠালেন শেখ হাসিনা
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার জন্য ১২০০ কেজি আম উপহার পাঠালেন শেখ হাসিনা
মালয়েশিয়ার রাজা-প্রধানমন্ত্রীকে আম উপহার শেখ হাসিনার
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে হাইকমিশনের জরুরি নোটিশ
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন এক জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) হাইকমিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশ থেকে নতুন কর্মী নিয়োগের ওপর চার বছর আগে জারি করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় এবং কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের নিবিড় কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া যে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক সই হয়, এটা তারই ফলশ্রুতি।
পরবর্তীতে ২০২২ সালের ২ জুন ঢাকায় অনুষ্ঠিত যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ার পর দুই দেশের সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহে প্রয়োজনীয় নেটওয়ার্কিং হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার স্থাপন করে ২০২২ সালে মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশি নতুন কর্মী নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়।
সর্বশেষ তথ্য মোতাবেক, মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রনালয়ের অধীনস্ত লেবার ডিপার্টমেন্ট ৮ হাজার ৭২৭টি নিয়োগের ডিমান্ডের বিপরীতে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৮৯২ জন বাংলাদেশি নতুন কর্মী নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে এবং ইতোমধ্যে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯৫ জন নতুন কর্মী মালয়েশিয়ায় এসে পৌঁছেছে। বাকি প্রায় ২ লাখ ২৫ হাজার বাংলাদেশি কর্মীর আগমন প্রক্রিয়াধীন আছে।
এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ২/৩ বছরে মধ্যে মালয়েশিয়ায় আনুমানিক মোট পাঁচ লাখ নতুন বাংলাদেশি কর্মীর কর্মসংস্থান হবে বলে বাংলাদেশ হাইকমিশন আশাবাদী।
আরও পড়ুন: ‘ভারত বিচিত্রা’ পত্রিকাটিকে দুই দেশের বন্ধুত্বের সেতু হিসেবে উল্লেখ ভারতীয় হাইকমিশনারের
এদিকে, মালয়েশিয়ায় আসার পর কিছু সংখ্যক বিদেশি কর্মী সঠিক কাজ পাচ্ছেনা বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম, সোস্যাল মিডিয়া ও ব্যাক্তিগত সোর্স থেকে জানা গেছে। তারমধ্যে কিছুসংখ্যক বাংলাদেশি কর্মীও সমস্যায় পড়েছে বলে বাংলাদেশ হাইকমিশন অবহিত হয়েছে।
এ বিষয়ে, হাইকমিশন নিজস্ব উদ্যোগে এবং মালয়েশিয় কর্তৃপক্ষের সহায়তায় দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপ নিয়েছে এবং কিছু সংখ্যক কর্মীদের কাজ দিতে নিয়োগকর্তাকে বাধ্য করেছে। বাকী কর্মীদের নতুন নিয়োগকর্তার অধীনে নিয়োগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পর্কে সর্বসাধারণের জ্ঞাতার্থে কিছুটা আলোকপাত করা প্রয়োজন বলে বাংলাদেশ হাইকমিশন মনে করে। মালয়েশিয়া সরকারের বিদেশি কর্মী নিয়োগের অনুমোদন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হলে একজন কর্মীও কর্মহীন হওয়ার কথা নয়।
কারণ, মালয়েশিয়ায় সারা দেশব্যাপী লেবার ডিপার্টমেন্টের শাখা-প্রশাখা রয়েছে। একমাত্র তারা যদি সঠিক যাচাই-বাছাই করে বিদেশি কর্মী নিয়োগের আবেদন অনুমোদন করেন তাহলেই বিদেশি কর্মীদের সঠিক চাকরি, কর্ম পরিবেশ, আবাসন ও মজুরি নিশ্চিত হবে।
তাছাড়াও, মালয়েশিয়ার আইন অনুযায়ী দেশি-বিদেশি সব কর্মীর আইনগত সব অধিকার নিশ্চিতের দায়িত্ব লেবার ডিপার্টমেন্টের ওপর এবং সে লক্ষ্যে ওই প্রতিষ্ঠানকে সাংগঠনিক ও আইনগত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কোনো দেশের দূতাবাসের পক্ষেই শতভাগ যাচাই-বাছাই করে কর্মী নিয়োগের ডিমান্ড সত্যায়ন করা সম্ভব নয়।
এক্ষেত্রে, দূতাবাসকে আবশ্যিকভাবে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের ওপর নির্ভর করতে হবে। এটা বাংলাদেশসহ সব সোর্সিং কান্ট্রির দূতাবাসের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
বাংলাদেশ দূতাবাস আনুমানিক ৯৫ ভাগ ক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সঠিক আছে কি-না সে সংক্রান্ত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ডিমান্ড সত্যায়ন করে থাকে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে বাংলাদেশ হাইকমিশনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন
বাকি আনুমানিক ৫ ভাগ ডিমান্ডের বিপরীতে দূতাবাস নিয়োগকর্তার অফিস/প্রজেক্ট সাইট ইত্যাদি ভিজিট করে সত্যায়ন করে থাকে। শতভাগ প্রজেক্ট /ফ্যাক্টরি তথা হাজার হাজার নিয়োগ প্রতিষ্ঠান সরেজমিনে ভিজিট করা দূতাবাসের পক্ষে বাস্তবিকভাবেই অসম্ভব।
মালয়েশিয়ার লেবার ডিপার্টমেন্টের পক্ষেই একমাত্র সম্ভব। তাই, মালয়েশিয়ার লেবার ডিপার্টমেন্টের ছাড়পত্রের ওপর আস্থা রেখে শ্রমিক পাঠানোটাই যুক্তিসংগত এবং শ্রমিক পাঠানো অন্যান্য সব দেশ এটাই করছে।
তাছাড়া, শতভাগ প্রজেক্ট দূতাবাস ভিজিট করে ডিমান্ড সত্যায়ন করতে হলে কর্মী আসার গতি এতই ধীর হবে যে, যেটা কারও কাছেই গ্রহণযোগ্য হবে না।
অপরদিকে, প্রতিযোগী দেশসমূহ সেই সুযোগ গ্রহণের কারণে বাংলাদেশ তার যথাযথ সুফল থেকে বঞ্চিত হবে।
তবে, এক্ষেত্রে ডিমান্ড সংগ্রহকারী বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সিসমূহ তাদের মালয়েশিয়ার সহযোগী এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োগকর্তার সঠিকতা এবং বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের সক্ষমতা যথাযথভাবে যাচাই করার পর শ্রমিক প্রেরণের কার্যক্রম গ্রহণ করলে শ্রমিকদের কর্মহীনতার ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পাবে।
মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশ দূতাবাসকে কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে সতর্ক করেছে, যাতে দূতাবাস কোনো প্রজেক্ট সাইট/কোম্পানি সরেজমিনে যাচাই করতে না যায়।
কূটনৈতিক পত্রে তারা জানিয়েছে, মালয়েশিয়ার যে কোনো কোম্পানি পরিদর্শনের একমাত্র এখতিয়ার মালয়েশিয়ার লেবার ডিপার্টমেন্টের। এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের সময় অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় সভায়ও বিষয়টি বিস্তারিত আলোচিত হয়েছে এবং কর্মী নিয়োগের ডিমান্ডের যথার্থতা নিশ্চিতের দায়িত্ব মালয়েশিয়ার সরকারের বলে মালয়েশিয়ার মানব সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উচ্চতর প্রতিনিধি বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করা হয়েছে এবং বাংলাদেশ হাইকমিশনকে কোম্পানি ভিজিট থেকে বিরত থাকার জন্য পুনরায় বলা হয়েছে।
মালয়েশিয়ায় আসার পর কাজ না পাওয়া কর্মীর সংখ্যা মোট আগত কর্মীর তুলনায় খুবই কম এবং এটি এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণযোগ্য সীমার মধ্যে রয়েছে। এটিা শুধু বাংলাদেশি কর্মীদের ক্ষেত্রেই হচ্ছে না, নেপাল ও মিয়ানমারসহ অনেক দেশের শ্রমিকও এ পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন।
বাংলাদেশি কর্মীদের নতুন নিয়োগকর্তার অধীনে নিয়োগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এ পরিস্থিতির অবনতি না হয়, সে বিষয়ে মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে তারা নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে, যাতে করে বৈধভাবে আগত একজন বাংলাদেশি কর্মীও মালয়েশিয়াতে বিড়ম্বনার শিকার না হয়।
মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী নিয়োগ এবং ব্যবস্থাপনার বাস্তবতার বিষয়টি সব সচেতন মহল সম্যক অবহিত আছেন। মালয়েশিয়ার নতুন সরকার এ সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের সভায় বাংলাদেশকে অবহিত করেছে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় হাইকমিশনের 'ওপেন হাউজ' মতবিনিময় সভা
সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের দীর্ঘদিনের পুরানো ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও অধিকতর স্বচ্ছতা নিশ্চিতে মালয়েশিয়ার বর্তমান সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের প্রচেষ্টা ও পরিকল্পনাকে বাংলাদেশ হাইকমিশন সাধুবাদ জানাচ্ছে।
বাংলাদেশ হাইকমিশন বিশাল এ কর্মযজ্ঞ পূর্ণ আন্তরিকতা ও সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর। লক্ষ্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক বাংলাদেশি কর্মীর নিরাপদ অভিবাসনের মাধ্যমে বাংলাদেশ লাভবান হতে পারে।
এক্ষেত্রে, কর্মীদের স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে সব চ্যালেঞ্জকে বিবেচনায় রেখে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন শ্রমিক নিয়োগের ডিমান্ডসমূহের অনুমোদনের সত্যতা এবং নিয়োগকারীর সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য ক্ষেত্রবিশেষে কিছু কিছু কোম্পানি সরেজমিনে তদন্তের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এ কার্যক্রম পরিচালনায় হাইকমিশনের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায় কোনো প্রকার শিথিলতাকে প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে না।
মহৎ এ কার্যক্রমে বাংলাদেশ হাইকমিশন সব সচেতন মহল এবং সব অংশীজনের যথাযথ দায়িত্ববোধ, পূর্ণ আন্তরিকতা ও সহায়তা প্রত্যাশা করে।
মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ইরাব সদস্যদের সৌজন্য সাক্ষাৎ
মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী মোহাম্মদ খালেদ নর্ডিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন শিক্ষা সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব)-এর সদস্যরা।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের একটি হোটেলে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম থেকে মালয়েশিয়া যাওয়া জাহাজের কন্টেইনার থেকে কিশোর উদ্ধার
গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে মোহাম্মদ খালেদ নর্ডিন মালয়েশিয়ায় উচ্চ শিক্ষায় আগ্রহী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সুবিধা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি বৃদ্ধির কথা জানান।
এ সময় খালেদ নর্ডিক বলেন, মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। এসব শিক্ষার্থীর জন্য মালয়েশিয়া সরকার নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছে। ক্রমান্বয়ে তা আরও বাড়ানো হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, গুণগত শিক্ষা ও গবেষণা নিশ্চিত করায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিভিন্ন র্যাঙ্কিংয়ে ভালো করছে। প্রচুরসংখ্যক বিদেশি শিক্ষার্থী এখানে পড়তে আসছে। আবার অন্যদিকে আমাদের বিদেশে গিয়ে ক্যাম্পাস খুলছে।
অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষা মন্ত্রীর হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন ইরাব সভাপতি মীর মোহাম্মদ জসিম ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসাইন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইরাবের সদস্যবৃন্দ।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার সেলানগর রাজ্য বাংলাদেশের সঙ্গে হালাল বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহী
মালয়েশিয়ার ইউসিএসআই বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক শাখা ক্যাম্পাস বাংলাদেশে
মালয়েশিয়ার সেলানগর রাজ্য বাংলাদেশের সঙ্গে হালাল বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহী
লাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য, বিশেষ করে হালাল বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে মালয়েশিয়ার সেলানগর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের সম্পদ ও বিনিয়োগ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘এমবিআই সেলানগর’।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার খোরশেদ এ খাস্তগীর প্রতিষ্ঠানটির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার পুয়ান হাজাহ নোরিতা বিনতি মো. সিদেক-এর নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে তাদের অফিসে সাক্ষাৎকালে তারা এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-দ. কোরিয়ার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২০২২ সালে রেকর্ড ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ এ খাস্তগীর প্রতিনিধিদলের নিকট বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চিত্র এবং বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার চমৎকার কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক তুলে ধরেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের গৃহীত কর্মসূচির বর্ণনা দেন। তিনি জানান, বাংলাদেশের অর্থনীতি আজ সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত।
তিনি আরও বলেন, সরকার কর্তৃক দেশে যোগাযোগের প্রবেশগম্যতা নিশ্চিতকল্পে আধুনিক অবকাঠামো নির্মাণ, বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশ সম্বলিত ১০০টি ইকনোমিক জোন ও ৩৯ টি হাইটেক পার্ক স্থাপন এবং সরকার গৃহীত বিনিয়োগবান্ধব নীতিকৌশলের কারণে বাংলাদেশ এশিয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে সমগ্র বিশ্বে আজ পরিচিতি লাভ করেছে।
তিনি এমবিআই সেলানগর-এর মাধ্যমে সেলানগর রাজ্যের ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দকে বাংলাদেশে বিভিন্ন সম্ভাবনাময় সেক্টর যেমন হালাল, ওষুধ, পোশাক, ডিজিটাল অর্থনীতি, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স, কৃষি ইত্যাদি বিনিয়োগ ও ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
এমবিআই সেলানগর-এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মুসলিমপ্রধান দেশ হওয়ায় বাংলাদেশকে হালাল পণ্যের একটি সম্ভাবনাময় বাজার হিসেবে উল্লেখ করেন।
হালাল পণ্য ও সেবার গুনগত মান নিশ্চিত ও সনদ প্রদানের লক্ষ্যে একটি শক্তিশালী হালাল ইকোসিস্টেম প্রতিষ্ঠার ওপর এমবিআই সেলানগর-এর প্রতিনিধিদল গুরুত্বারোপ করেন। এক্ষেত্রে তারা ডেপুটি হাইকমিশনার-এর প্রস্তাবিত এমবিআই সেলানগর-এর উদ্যোগ বাংলাদেশে হালাল করিডর প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিন ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের বৈশ্বিক হালাল বাজারে প্রবেশের বিষয়ে আগামীতে কাজ করার সুযোগ রয়েছে বলে মতামত প্রকাশ করেন।
এই প্রেক্ষাপটে উভয় দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং বিনিয়োগ বিকাশে বাংলাদেশ হাইকমিশন হতে সকল ধরনের সহযোগিতা প্রদানের বিষয়ে প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করা হয়।
এ সময় ‘হালাল ইন্টারন্যাশনাল সেলানগর’-এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার তুয়ান হাজি মাত গাজালি বিন আবদ রাকিম, সেলানগর হালাল হাবের নির্মাণ প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল স্পেকট্রাম-এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মোহাম্মদ রাজিফ আবদুল ওয়াহাব, হেড অব কর্পোরেট স্ট্র্যাটেজি, এমবিআই রাজা নর ইজাহ বিন্তি রাজা জাফর, জনাব মুহাম্মদ সাইরিল শওকত আলী, ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স, কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স এবং হালাল ইন্ডাস্ট্রি এক্সকো অফিস, সেলানগর এবং বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) প্রণব কুমার ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দরে সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আগ্রহী ইইউ: অ্যাম্বাসেডর
মালয়েশিয়ার ইউসিএসআই বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক শাখা ক্যাম্পাস বাংলাদেশে
ইউসিএসআই বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক শাখা ক্যাম্পাস চালু করছে। ঢাকায় ক্যাম্পাসটির কার্যক্রম ২০২৩ সালের মে মাসে শুরু হবে।
ইউসিএসআই বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে এর প্রথম আন্তর্জাতিক শাখা কাম্পাসের উদ্বোধনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাত্রা শুরু করছে।
বাংলাদেশের শাখা ক্যাম্পাসের নাম দেয়া হয়েছে- ইউসিএসআই বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ। ক্যাম্পাসটির কার্যক্রম রাজধানীভিত্তিক হবে। প্রথমবারের মতো ইউসিএসআই বিদেশে শাখা ক্যাম্পাসের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষাবিষয়ক মন্ত্রী দাতো সেরি মোহাম্মদ খালেদ নরডিন বলেন, পদক্ষেপটি মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিকীকরণ পরিকল্পনার সঙ্গে ভালোভাবে জড়িত।
তিনি ইউসিএসআই-এর কুয়ালালামপুর ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘ইউসিএসআই বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার একটি বৈশ্বিক শিক্ষার হার হিসেবে মর্যাদা বৃদ্ধি করবে এবং আমি মহামারি পরবর্তী এই উদ্যোগের জন্য ইউসিএসআইকে সাধুবাদ জানাই।’
আরও পড়ুন: আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের
চট্টগ্রাম থেকে মালয়েশিয়া যাওয়া জাহাজের কন্টেইনার থেকে কিশোর উদ্ধার
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মালয়েশিয়া যাওয়া জাহাজের কন্টেইনার ভেঙ্গে এক বাংলাদেশি কিশোরকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কিশোর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে খালি কন্টেইনারের ভেতর লুকিয়ে মালয়েশিয়ার ক্লাং বন্দরে পৌঁছায়। পরে তার চিৎকার শুনে জরুরি ভিক্তিতে জাহাজটি জেটিতে ভেড়ানোর পর কন্টেইনার ভেঙ্গে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ইন্টিগ্রেটররা জাহাজটি কন্টেইনার ভর্তি করে ১২ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করে ১৬ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার ক্লাং বন্দরের সাগরে পৌঁছে। এরই মধ্যে জাহাজটির একটি খালি কন্টেইনারের ভেতর থেকে জাহাজের নাবিকরা চিৎকার শুনতে পায়। পরে জরুরি ভিক্তিতে জাহাজ কেলাং বন্দরে ভিড়িয়ে কন্টেইনার থেকে কিশোরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। তবে বাংলাদেশি এ কিশোর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তার নাম-পরিচয় এবং বিস্তারিত জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বিষয়টি নিশ্চিত করে কন্টিনেন্টাল ট্রেডার্সের সহকারী ব্যবস্থাপক এস এম ফয়সাল আহমেদ বলেন, চট্টগ্রাম থেকে খালি কন্টেইনারে করেই কিশোরটি ক্লাং বন্দরে পৌঁছেছে। কিন্তু সেই খালি কন্টেইনারে ডিপো থেকে উঠল নাকি বাইরে থেকে এলো আমরা এখনও জানি না। তবে সে বাংলায় অস্পষ্টভাবে কথা বলছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘জাহাজের ক্যাপ্টেন বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে মালয়েশিয়ার পুলিশকে জানান। এরপর পুলিশ নিশ্চিত হয়েই খালি কন্টেইনারটি শনাক্ত করে। পরে জাহাজ জেটিতে ভিড়িয়ে কন্টেইনার খুলে কিশোরকে নামিয়ে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। সে জীবিত আছে এটাই শুকরিয়া।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মালয়েশিয়ার আরেক বন্দর পেনাংয়ে যাওয়া জাহাজের কন্টেইনার ভেতর থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: পূর্বধলায় রাস্তার পাশ থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
করতোয়া থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার, স্ত্রী-শ্বাশুড়িসহ আটক ৪
প্রবাসীকে কুপিয়ে হত্যা, ১১ আসামি গ্রেপ্তার
মালয়েশিয়া প্রবাসী যুবককে কুপিয়ে হত্যা মামলায় ১১ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে বেশকিছু মোবাইল, নগদ টাকা, ভোটার আইডি কার্ড, এটিএম কার্ড, পাওয়ার ব্যাংক উদ্ধার করার দাবি করেছে র্যাব-৮।
বুধবার দুপুর ১টায় বরিশাল নগরের রুপাতলীস্থ র্যাব-৮ এর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমান্ডিং অফিসার ও পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসান।
তিনি জানান, ২৬ ডিসেম্বর শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানাধীন রাজনগর ঠাকুর কান্দী এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে দানেশ সরদার (৩৫) নামে একজন প্রবাসী যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠে।
আরও পড়ুন: রংপুরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর থানায় গিয়ে স্বামীর আত্মসমর্পণ
এ ঘটনায় নিহতের বাবা সোনা মিয়া নড়িয়া থানায় ৫৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলা ও ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নিহত মো. দানেশ সরদার একজন মালয়েশিয়া প্রবাসী ছিলেন। তিনি ১০ বছর যাবত মালয়েশিয়ায় ছিলেন। ঘটনার তিন মাস আগে দেশে আসেন এবং দেশে আসার পর থেকে পূর্ব শত্রুতার জেরে আসামি পক্ষের সঙ্গে বিরোধের সৃষ্টি হয়।
এর রেশ ধরে গত ২৬ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে নড়িয়া থানাধীন ঠাকুর কান্দী গ্রামস্থ লোকমান আকনের বাড়ির সামনে পাঁকা রাস্তার ওপর আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা আসামিরা রামদা, ছেনদা, ঢাল, সরকি, টেটা, বল্লম, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, হকিষ্টিক, লোহার রড, বাঁশের লাঠি ইত্যাদি মারাত্মক দেশীয় অস্ত্রপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
আর এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব ৮ (মাদারিপুর ক্যাম্প) গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে এবং ছায়াতদন্ত শুরু করে।
তদন্তে দেখা যায়, হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা নিজ এলাকা ছেড়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আত্মগোপন করে।
পরবর্তীতে র্যাব-৮ এর সিপিসি-৩ (মাদারীপুর ক্যাম্প) কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার কে এম শাইখ আকতারের নেতৃত্বে মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার শাহাবাগ থানা এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে শাহবাগ থেকে মামলার এজাহারভূক্ত দুই নম্বর আসামি শাহিন মোড়ল (২৪) কে গ্রেপ্তার করে।
তার দেয়া তথ্য মোতাবেক ঢাকা জেলার শাহাবাগ থানাধীন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর এলাকা থেকে মামলার এজাহারভূক্ত ৯ নম্বর আসামি নাছির বেপারী (৩২), ৩৩ নম্বর আসামি কামাল কাজি (২৭), ৩৬ নম্বর আসামি আওয়ার মালত (৩৫), ৫১ নম্বর আসামি জব্বার হাওলাদার (৪৫), ৫২ নম্বর আসামি মিজান বেপারী (৪০) এবং ৫৭ নম্বর আসামি ডিটু বেপারী (৩৫) কে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী শাহাবাগ থানাধীন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর এলাকা থেকে মামলার তিন নম্বর আসামি মো. জনি মোড়ল (২২), মামলার আট নম্বর আসামি রাসেল মালথ (৩০), মামলার ১৯ নম্বর আসামি ওয়াহেদ খান (২২) এবং ৩৫ নম্বর এলাকার বাসিন্দা দেলোয়ার কাজিকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-৮ এর কমান্ডিং অফিসার ও পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসন বলেন, আসামিরা ঘটনার পর থেকে সবাই পলাতক রয়েছে। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা বিভিন্ন এলাকা থেকে একত্রিত হওয়ার জন্য শাহবাগ এলাকায় অবস্থান নেয়।
আর বিষয়টি র্যাব জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা কাজ করছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারদের শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানায় হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় স্কুলশিক্ষককে কুপিয়ে হত্যা, ৭ আসামির যাবজ্জীবন
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নিষ্পত্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি আন্তর্জাতিক আইনপ্রণেতাদের
মিয়ানমারের জনগণ তাদের সত্যিকারের প্রতিনিধিদের আলোচনার টেবিলে রাখার অধিকার রাখে বলে উল্লেখ করেছেন মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ইউরোপ এবং এশিয়ার আইন প্রণেতারা।
মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন আবদুল্লাহ, ইউরোপ ও এশিয়ার সংসদ সদস্য এবং মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্য সরকারের (এনইউজি) সদস্যরা গত বছরের অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে সৃষ্ট সঙ্কট মোকাবিলায় আরও জোরালো পদক্ষেপ নিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
মন্ত্রী আবদুল্লাহ ১৯ সেপ্টেম্বর (নিউইয়র্ক সময়) নিউইয়র্কে চলতি সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকের বাইরে জাতিসংঘের মালয়েশিয়ার স্থায়ী মিশন মিয়ানমারের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে একটি বৈঠকের আয়োজন করেন।
আব্দুল্লাহ বলেন, ‘এনইউজি এবং এনইউসিসিসহ মিয়ানমারের সমস্ত অংশীজনদের সঙ্গে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ন্যায্য পরামর্শ হওয়া উচিত। তারপরে একটি পরিষ্কার পরিসমাপ্তিসহ একটি কাঠামো থাকা উচিত, যার মধ্যে মিয়ানমারে গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমারকে সতর্ক করেছে সরকার: মর্টার শেল ছোড়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আবদুল্লাহ হলেন একমাত্র আসিয়ান মন্ত্রী যিনি মিয়ানমারের বৈধ সরকার এনইউজি-এর সদস্যদের সঙ্গে প্রকাশ্যে সাক্ষাত করেছেন, যা দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব করে।
মঙ্গলবার নিউইয়র্ক থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। সভায় মানবাধিকার বিষয়ক এনইউজি মন্ত্রী অং মিও মিন, এনইউজি’র যোগাযোগ, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী, সেইসঙ্গে এর মুখপাত্র হতিন লিন অং, জাতিসংঘে মিয়ানমারের স্থায়ী প্রতিনিধি কিয়াও মো তুন ও মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
হতিন লিন অং বলেছেন, ‘মিয়ানমারের জনগণ তাদের সত্যিকারের প্রতিনিধিদের সেই টেবিলে থাকার যোগ্য যেখানে আঞ্চলিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন একমাত্র সমাধান: দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত
বৈঠকে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং মিয়ানমারের সংকটের বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ইন্টারন্যাশনাল পার্লামেন্টারি ইনকোয়ারি (আইপিআই)-এর সভাপতি হেইডি হাউতালা, চার্লস সান্তিয়াগো, মালয়েশিয়ার এমপি এবং মানবাধিকার বিষয়ক আসিয়ান সংসদ সদস্যদের চেয়ারম্যান, মার্সি ক্রিস্টি ব্যারেন্ডস, ইন্দোনেশিয়ার প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য, টম ভিলারিন, ফিলিপাইনের প্রাক্তন কংগ্রেসম্যান উপস্থিত ছিলেন।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমার একটি গভীর সঙ্কটে নিমজ্জিত হয়েছে। কারণ সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং এর নেতৃত্বে সামরিক জান্তা তার ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে তার জনসংখ্যার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের মর্টার শেল নিক্ষেপ: বিদ্রোহীদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা রাষ্ট্রদূতের
ধনী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে প্রিমিয়াম ভিসা চালু করছে মালয়েশিয়া
ধনী বিদেশিদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে মালয়েশিয়া একটি প্রিমিয়াম ভিসা প্রোগ্রাম (পিভিআইপি) চালু করতে যাচ্ছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজাহ জয়নুদ্দিন জানিয়েছেন, ‘বিনিয়োগের মাধ্যমে বসবাস’ প্রোগ্রামটির মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় ২০ বছর পর্যন্ত থাকা যাবে।
বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার জাতীয় সংবাদ সংস্থা বার্নামায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন এই প্রোগ্রামটির জন্য আগামী ১ অক্টোবর থেকে আবেদন গ্রহণ করা হবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করার উদ্দেশ্যে দেশটির সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ ‘বিনিয়োগের মাধ্যমে বসবাস’ প্রোগ্রামটি চালু করা হয়েছে।
হামজাহ জয়নুদ্দিন জানিয়েছেন, ইসরায়েল ও যেসব দেশের সঙ্গে মালয়েশিয়ার কূটনৈতিক সংযোগ নেই সেসব দেশ বাদে সব দেশের ব্যবসায়িক টাইকুনদের পিভিআইপিয়ের জন্য আবেদন করতে স্বাগত জানানো হচ্ছে।
বার্নামা প্রতিবেদন অনুসারে, এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারীরা ২০ বছর পর্যন্ত ভিসা অনুমোদন, পড়ালেখার অনুমতি, আবাসন, বাণিজ্যিক বা শিল্পখাতে ব্যবহারের জন্য স্থাপনা ক্রয়ের অনুমতি এবং অনুমোদিত শিল্পে সরাসরি বিনিয়োগ করার মতো অনেকগুলো সুবিধা পাবেন।
গতকাল পুত্রজায়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রোগ্রামের অংশগ্রহণকারীদের দেশের নিয়ম মেনে কাজ করার এবং বৈধ বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেয়া হবে।’
এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অভিবাসন মহাপরিচালক খায়রুল জাইমি দাউদ।
বার্নামা হামজাহকে উদ্ধৃত করে বলেছে, সব বয়সের অংশগ্রহণকারীরা যারা প্রতি মাসে কমপক্ষে ৪০ হাজার রিঙ্গিত (আট হাজার ৯২০ মার্কিন ডলার) অথবা বার্ষিক চার লাখ ৮০ হাজার রিঙ্গিত (এক লাখ সাত হাজার ৪৭ মার্কিন ডলার) অফশোর আয়ের নথি দেখাতে পারবে তারাই এই প্রোগ্রামের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে।
আরও পড়ুন: প্রবাসীদের জন্য ‘ই-লকার’ চালু করবে মালয়েশিয়া
অন্যান্য যোগ্যতার মধ্যে রয়েছে- একটি স্থায়ী সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্ট যার আমানত কমপক্ষে ১০ লাখ রিঙ্গিত এবং মূল আমানত উত্তোলনের ওপর এক বছরের বাধ্যবাধকতা থাকবে। এর পরে, কেউ বাড়ি কেনা, চিকিৎসা খরচ বা শিক্ষাগত কাজের জন্য ওই অর্থের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত উঠাতে পারবে।
হামজাহ বলেন, তার মন্ত্রণালয় প্রোগ্রামের প্রথম বছরে কমপক্ষে এক হাজার অংশগ্রহণকারীর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, যা মালয়েশিয়ার জন্য আনুমানিক ২০ কোটি রিঙ্গিত রাজস্ব এবং ১০০ কোটি রিঙ্গিত স্থায়ী সঞ্চয় আনবে।
তিনি প্রত্যাশা করছেন, ক্রমবর্ধমান চাহিদার জন্য মালয়েশিয়ান রিঙ্গিতের মান বেড়ে যাবে।
তিনি নিশ্চয়তা দেন, মালয়েশিয়ার পুলিশ ও অভিবাসন বিভাগ এই প্রোগ্রামের নীতি ও উদ্দেশ্যগুলোর প্রতি যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করবে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার রাজা-প্রধানমন্ত্রীকে আম উপহার শেখ হাসিনার
৪ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক নিয়োগ শুরু