আমদানি
রমজানের আগে ৪টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি শুল্ক কমানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
আসন্ন রমজান উপলক্ষে চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুর- এই চার পণ্যের আমদানি শুল্ক কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি ক্ষমতায় যেতে 'অন্য শক্তির' উপর নির্ভর করে: ব্রিটিশ প্রতিনিধিদলকে প্রধানমন্ত্রী
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, প্রধানমন্ত্রী আসন্ন রমজান উপলক্ষে ভোজ্যতেল, চিনি, চাল ও খেজুর এই চারটি পণ্যের শুল্ক কমানোর স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন।
এখন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) শুল্ক কতটুকু কমানো যায় তা মূল্যায়ন করবে।
তিনি বলেন, বাজারে চাহিদার বিপরীতে পণ্যের সরবরাহে যাতে কোনো ঘাটতি না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে সমন্বিতভাবে কাজ এবং বাজার মনিটরিং করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমদানিকারকদের এখন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির জন্য এলসি খুলতে সমস্যা হয় না।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে সফরের আমন্ত্রণ চীনের
বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ আদর্শ স্থান: ব্রিটিশ এমপিদের প্রধানমন্ত্রী
তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে শুল্ক কর বৃদ্ধির কারণে পাথর আমদানি বন্ধ
সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্ক কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে পাথর আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
তামাবিল স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারকরা সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় এক মতবিনিময় সভা থেকে ভারত থেকে পাথর আমদানি বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তামাবিল স্থলবন্দরে অবস্থতি বাংলাদশে শুল্ক বিভাগ পণ্য আমদানিতে প্রতি টনে পূর্বের নির্ধারিত এসেসমেন্ট ১২ ডলারের পরিবর্তে বর্তমানে ১৩ ডলার করেছে। বাড়তি শুল্ক কর প্রত্যাহাররে দাবিতে সোমবার (৮ জানুয়ারি) থেকে উভয় দেশে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেন পাথর আমদানিকারকরা।
আমদানিকারকরা জানান, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি টনে ১৩ ডলার এসেসমেন্ট রেট নির্ধারণ করায় ব্যবসায়ীদের পূর্বের তুলনায় ৫০ টাকা হারে বেশি রাজস্ব দিতে হবে। এই হারে রাজস্ব বাড়ার কারণে ব্যবসায়ীদের লোকসান গুণতে হবে।
আরও পড়ুন: ৫দিন পর সিলেটের সব বন্দর দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি শুরু
ফলে ব্যবসায়ীরা বাড়তি শুল্ক হার প্রত্যাহারে দাবিতে পণ্য আমদানি বন্ধ রেখেছেন। শুল্ক কর না কমানো পর্যন্ত তারা পাথর আমদানি করবেন না বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে তামাবিল চুনা পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি লিয়াকত আলী বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (জারাবো) ভারত থেকে পাথর ও চুনাপাথর আমদানির উপর এসেসমেন্ট ভ্যালু প্রতি মেট্রিক টনে বৃদ্ধি করে। এই বাড়তি শুল্ক দিয়ে পণ্য আমদানি করতে হলে আমদানিকারকরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন।
তাই তামাবিলসহ সিলেটের সবকটি বন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে পাথর ও চুনপাথর পাথর আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
জারাবো কর্তৃক সিলেট অঞ্চলের স্থলবন্দরগুলোতে ভারত থেকে আমদানি করা বোল্ডার স্টোন, স্টোন চিপস এবং লাইমস্টোন পাথরের উপর অতিরিক্ত শুল্ক মূল্য বৃদ্ধি সংক্রান্ত সিলেট কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কর্তৃক গত ৪ জানুয়ারি এক চিঠিতে ৮ জানুয়ারি থেকে বাড়তি শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।
আরও পড়ুন: আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির প্রতিবাদে সিলেট সীমান্ত দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ২ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ শনিবার ও আগামীকাল রবিবার ২ দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
তবে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা বাংলাদেশ ও ভারতে যাতায়াত করতে পারবেন। সোমবার যথারীতি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন অর-রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বড়দিন উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
তিনি বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি রবিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ কারণে ৬ ও ৭ জানুয়ারি অর্থাৎ শনিবার ও রবিবার সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে অবহিত করা হয়।’
হারুন অর-রশিদ আরও বলেন, কাস্টমসের যুগ্ম কামিশনার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আমাদেরকে জানানো হয়- আগামী ৭ জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে ৬ ও ৭ জানুয়ারি সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা বাংলাদেশ ও ভারতে যাতায়াত করতে পারবেন।
সোমবার যথারিতি স্থলবন্দরে আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম চালু হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: কালীপূজা উপলক্ষে বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ২দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
পূজার কারণে বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক
সিলেটে আলুর কেজি ৮০ টাকা
সিলেটে আলুর দাম কেজিতে ৮০ টাকা হয়েছে। বাজারে নতুন আলু আসার পরও দামবৃদ্ধির জন্য আমদানি বন্ধকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে আলুর দাম বৃদ্ধির কারণ খুঁজতে মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বাজারে নামবেন বলে জানিয়েছেন বাজার মনিটরিং টিম।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ইউএনবির সিলেট প্রতিনিধি দেখতে পান, নতুন আলু ৭০-৭৫ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে। পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা। তবে পাড়া-মহল্লার দোকানে ৮০ টাকার নিচে মিলছে না আলু।
আরও পড়ুন: আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে অর্ধেক দামে ডাল-তেল, আলু-পেঁয়াজ বিক্রি করবে টিসিবি
ব্যবসায়ীরা জানান, চলতি মাসের ১৫ ডিসেম্বর থেকে আলু আমদানির অনুমতিপত্র-আইপি ইস্যু বন্ধ করে দেওয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে, এরপরই সক্রিয় হয়ে উঠে সিন্ডিকেট। বাড়তে থাকে আলুর দর। নগরীর পাইকারী বাজারে আলুর কেজি মান ভেদে ৬০-৬৫ টাকা। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকার আশেপাশে।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা জ্যৈষ্ঠ কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘হঠাৎ করে আলুর দাম বেড়েছে। বাজারে ৬৫ থেকে ৭০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আমরা এর কারণ খুঁজছি। সোমবার বড়দিনের সরকারি ছুটি ছিল। মঙ্গলবার বাজার মনিটরিংয়ে নেমে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানব।’
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে পেঁয়াজ-আলুর দাম কমবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
ভারত থেকে আমদানি করা ৭৪ টন আলুর প্রথম চালান দেশে
আবারও হিলি দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় গত ১১ দিন ধরে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। রপ্তানি বিধি-নিষেধ শিথিল করায় আবারও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় ভারত থেকে প্রায় ৩০ টন পেঁয়াজবাহী দুইটি ট্রাক হিলি স্থল বন্দরের পানামা পোর্টের ওয়্যারহাউজে প্রবেশ করে।
নতুন করে আমদানির ফলে দেশে পেঁয়াজের দাম অনেকটা কমবে।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রামে অভিযান শুরু
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকেরা জানান, ভারত সরকার হঠাৎ করেই গত ৭ ডিসেম্বর অভ্যন্তরীণ সংকট ও দাম বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। ফলে দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ শূন্য হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় হিলি স্থলবন্দরের মোকামে কেজিতে ১০০-১২০ টাকা করে দাম বেড়ে ২০০-২২০ টাকায় বিক্রি হয়। গত কয়েকদিন ধরে অবশ্য দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়।
বন্দরের আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত থেকে বাড়তি দামেই পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ৬ দিন পর খালাস হলো বেনাপোল বন্দরে আটকে থাকা টিসিবির পেঁয়াজ
কিন্তু অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকটের অজুহাত দেখিয়ে গত ৭ ডিসেম্বর হঠাৎ ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। ৭ তারিখের আগে করা এলসির পেঁয়াজ রপ্তানি করার জন্য সেদেশের ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ভারত সরকারের কাছে চাপ তৈরি করা হচ্ছিল।
এমতাবস্থায় ভারত সরকার আগের এলসির পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত দিলে মঙ্গলবার থেকে দেশে আমদানি শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ
পাঁচ দিনেও খালাস হয়নি আমদানি করা ৯০ টন পেঁয়াজ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা ৯০ টন পেঁয়াজ পাঁচ দিনেও খালাস হয়নি। ফলে অধিকাংশ পেঁয়াজে পচন ধরতে শুরু করেছে।
গত ৫ ডিসেম্বর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৩টি ট্রাকে করে ৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি করে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ(টিসিবি)। কিন্ত গত পাঁচ দিনেও খালাস হয়নি পেঁয়াজের চালানটি। ফলে পেঁয়াজগুলো নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর খুলনায় দাম বেড়েছে ৬০ টাকা
বেনাপোলের কোয়ারেন্টাইন উদ্ভিদ নিরীক্ষক কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, ভারত থেকে টিসিবির আমদানি করা পেঁয়াজের ট্রাকগুলো বেনাপোল স্থলবন্দরে চার দিন আগে আসে। গাড়িতে ৯০ টন পেঁয়াজ রয়েছে।
পেঁয়াজ নিয়ে আসা ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার সন্তোস মণ্ডল বলেন, পেঁয়াজের ট্রাক নিয়ে গত পাঁচ দিন ধরে বেনাপোল বন্দরে এসে বসে আছি। পেঁয়াজগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, কেউ আনলোড করতে আসছে না। কবে নাগাদ খালাস হবে সেটাও জানতে পারছি না, খালাসের জন্য কোনো আমদানিকারকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। পণ্য চালানটি খালাসের দায়িত্বে আছে কনফিডেন্স এন্টারপ্রাইজ নামে একজন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, গত পাঁচ দিন আগে থেকে বন্দরে টিসিবির ৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়ে বন্দরে পড়ে আছে। পেঁয়াজের চালান খালাস না হওয়ায় তা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আড়তে ঝুলছে ‘পেঁয়াজ নাই’ লেখা বোর্ড
হিলি স্থলবন্দরের মোকামে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
ভারত থেকে ৮৪ টন বিস্ফোরক দ্রব্য আমদানি
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৮৪ টন বিস্ফোরক দ্রব্য আমদানি করা হয়েছে। রবিবার সকালে ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ছয়টি ট্রাকে করে এসব বিস্ফোরক দ্রব্য আমদানি করা হয়।
দিনাজপুরের মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড বিস্ফোরক দ্রব্যগুলো আমদানি করেছে। বেনাপোল বন্দরে পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীরা বিস্ফোরকের ট্রাকগুলো ঘিরে রেখেছেন। আশপাশের এলাকায় কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: পূজার কারণে বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক
বেনাপোলের মেসার্স নাজমুল অ্যান্ড ব্রাদার্স নামে একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠানটির মালিক নাজমুল হোসেন জানান, পণ্য চালানটি খালাসের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কাস্টমসে দাখিল করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কাজ সম্পন্ন হলে ভারতীয় ট্রাক থেকে এসব বিস্ফোরক দ্রব্য খালাস করে বাংলাদেশি ট্রাকে নেওয়া হবে। পরে ট্রাকগুলো রবিবার সন্ধ্যায় দিনাজপুরের উদ্দেশে বেনাপোল বন্দর থেকে ছেড়ে যাবে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল কারিম জানান, খননকাজ পরিচালনার জন্য ভারত থেকে এই বিস্ফোরক দ্রব্য আমদানি করেছে দিনাজপুরের মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড।
তিনি আরও জানান, দ্রুত যাতে পণ্য খালাস নিতে পারেন তার সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বন্দর এলাকায় প্রশাসনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার
ভারত থেকে আমদানি করা ৭৪ টন আলুর প্রথম চালান দেশে
কসোভোকে নিজেদের উচ্চমানের আরএমজি ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য আমদানি করার পরামর্শ বাংলাদেশের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন কসোভোকে বাংলাদেশ থেকে উচ্চমানের আরএমজি ও ওষুধ আমদানির পরামর্শ দিয়েছেন।
রবিবার (ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত কসোভো প্রজাতন্ত্রের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত গুনার উরেজা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করার সময় তিনি বাংলাদেশ থেকে দক্ষ মানবসম্পদ নেওয়ার পরামর্শ দেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশে কসোভোর রাষ্ট্রদূত হিসেবে চার বছরেরও বেশি সময় দায়িত্ব পালনের পর, গুনার উরেজা শিগগিরই বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিতে চলেছেন।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে রাষ্ট্রদূতের সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর উপর জোর দেন।
বিদায়ী রাষ্ট্রদূত কসোভো প্রজাতন্ত্রের প্রতি সমর্থনের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: ১৯৭১ সালে ভূমিকার জন্য বাংলাদেশের জনগণের কাছে কিসিঞ্জারের ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল: মোমেন
তিনি বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের প্রশংসা করেন। কসোভোর বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, আঞ্চলিক উন্নয়ন এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগের উন্নয়নে বাংলাদেশ ও কসোভো দুই দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের আগ্রহ সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান।
তারা নারীর ক্ষমতায়ন এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য শান্তির পূর্বশর্ত নিয়েও আলোচনা করেন।
বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের মানুষ, সংস্কৃতি ও সৌন্দর্যের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশ চিরকাল তার হৃদয়ে থাকবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা সক্রিয়, মার্কিন শ্রম নীতি নিয়ে খুব উদ্বেগ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে আছে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারত থেকে আমদানি করা ৭৪ টন আলুর প্রথম চালান দেশে
দেশের বাজারে আলুর দাম লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকায় এবার ভারত থেকে ৭৪ টন আলু আমদানি করল সরকার।
চাল, ডাল, গম, পেঁয়াজ, সজনেডাটা ও কাঁচামরিচসহ নানা পণ্যের পর ভারত থেকে প্রথমবারের মতো এবার আলু আমদানি শুরু করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে তিনটি ট্রাকে ১ হাজার ৪৮০ বস্তায় ৭৪ দশমিক ১ টন আলু ভারত থেকে বেনাপোল বন্দরে আসে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৪ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক
শুক্রবার সরকারি ছুটি থাকায় আলুর চালানটি বন্দর থেকে খালাস করা সম্ভব হয়নি। তাই শনিবার (২ ডিসেম্বর) বন্দর থেকে চালানটি ছাড় করা হচ্ছে।
আলুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ইন্টিগ্রেটেড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড বাংলাদেশ এবং রপ্তানিকারক পেপসিকো ইন্ডিয়া হোল্ডিংস, ভারত।
সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ৭৭টি আবেদনের বিপরীতে সরকার ১২ জন আমদানিকারককে ভারত থেকে প্রায় ৫০ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি দেয়।
গত ৩০ অক্টোবর সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কোনোক্রমেই আলুর কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকার বেশি হতে পারে না।
৭০ থেকে ৮০ টাকা আলুর কেজি হবে কেন?
আলু আমদানির এই সিদ্ধান্ত বাজারে প্রভাব পড়বে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, পড়বে বলেই আমরা আমদানির অনুমতি দিয়েছি।
বেনাপোল ও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলুগুলো আমদানি করা হবে।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, প্রতি টন আলু ১৮০ মার্কিন ডলারে শুল্কায়ন করা হচ্ছে। সে হিসাবে প্রতি টন আলুর শুল্ক ৬ হাজার ৬৮৯ টাকা ৫০ পয়সা। সে মোতাবেক প্রতি কেজি আলুতে শুল্ক দিতে হচ্ছে ৬ টাকা ৭০ পয়সা। আলু কেনা, এলসি খরচ ও শুল্কসহ প্রতি কেজি আলুতে আমদানিকারকের খরচ পড়ছে প্রায় ২৯ টাকা। ফলে বাজারে ৩০ থেকে ৩২ টাকায় সরবরাহ করা সম্ভব। ফলে দেশের বাজারে আলুর দাম অনেক কমে আসবে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রেজাউল করিম জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৭৪ টন আলু বন্দরে প্রবেশ করেছে। তবে শুক্রবার ছুটি থাকার কারণে শনিবার আলুর চালানটি খালাস হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ‘আতা ফলের’ ঘোষণায় এলো ‘পার্সিমন’!
পূজার কারণে বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক
ওএমএস কর্মসূচির জন্য সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল আমদানি করবে টিসিবি
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তাদের উন্মুক্ত বাজারে বিক্রি (ওএমএস) কর্মসূচির জন্য বিপুল পরিমাণ সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল আমদানি করবে। একই সঙ্গে স্থানীয় চাহিদা মেটাতে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে সার আমদানি করবে বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)।
রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোবাংলা আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি করবে।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ২০ টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব
বুধবার (৮ নভেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু প্রস্তাবসহ এ সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, টিসিবি ইন্টারন্যাশনাল ডাইরেক্ট পারচেজ মেথডের (ডিপিএম) আওতায় গ্রিন নেশন বিল্ডার্স অ্যান্ড ডেভেলপারস, ইন্ডিয়া (লোকাল এজেন্ট: এনএস কনস্ট্রাকশন, ঢাকা) থেকে ১৪০ দশমিক ৯৯ টাকা দরে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার পরিশোধিত সয়াবিন তেল আমদানি করবে। এতে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম পড়বে ১৬৯ টাকা।
ভারতের উমাএক্সপো প্রাইভেট লিমিটেড (লোকাল এজেন্ট: স্পিড মার্কেটিং করপোরেশন, ঢাকা) থেকে ৯৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০ হাজার টন মসুর ডাল আমদানি করা হবে এবং বিঅ্যান্ডসি ইনকরপোরেশন ও সেনা কল্যাণ সংস্থা থেকে ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও ১৫ হাজার টন মসুর ডাল আমদানি করা হবে। এগুলোর প্রতি কেজির দাম পড়বে ১০০ টাকা
শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, বিসিআইসি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে ১২৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া সার এবং কাতারের মুনতাজাত থেকে ১২৭ কোটি ৪০ লাখ টাকায় ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া আমদানি করা হবে।
পেট্রোবাংলা ৭১৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সুইজারল্যান্ডের টোটালএনার্জিজ গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ ধারণ ক্ষমতার একটি কার্গো লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করবে।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমলো
ওএমএস-এর জন্য ২.২০ কোটি লিটার সয়াবিন তেল সংগ্রহ করবে টিসিবি