বিএনপি
রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিশেষ সাংবাদিক গোষ্ঠী সৃষ্টি করা হয়েছে : আমীর খসরু
বাংলাদেশে এখন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিশেষ সাংবাদিক গোষ্ঠী সৃষ্টি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের নেভাল এভিনিউয়ের মেরিটাইম মিউজিয়াম ক্যাফেতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিএমইউজে) ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।
আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্র যেভাবে চলছে, রাষ্ট্রের অঙ্গগুলো যেভাবে চলছে, এতে সাংবাদিকতা ভালো অবস্থানে নেই। বিশেষ সাংবাদিক গোষ্ঠী এখানে সৃষ্টি করা হয়েছে, যাদের সাংবাদিকতা পরিচালিত হয় সরকারি ও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় যারা চলে তারা সাংবাদিকতা করতে পারে না। সাংবাদিকদের হতে হবে ওয়াচডগ (পর্যবেক্ষণকারী)। এখন তারা হয়ে গেছে ল্যাপডগ মানে কোলের কুকুর। ওরা ওয়াচডগের বদলে এখন ল্যাপডগ হয়ে গেছে বাংলাদেশে।
আরও পড়ুন: আমীর খসরুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক বিএনপির
বিএনপি নেতা বলেন, যারা সাহস করে কথাবার্তা বলছে, লিখছে, তাদের বিরুদ্ধে একটা বড় ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। যেসব সাংবাদিক সংগঠন, মিডিয়ায় কিছু কথা বলার চেষ্টা করছে তারা কিন্তু এখন বড় চাপের মধ্যে আছে। ফ্যাসিস্ট শাসনের (রেজিম) বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এখনও যে সাংবাদিকরা দাঁড়িয়ে আছে, বিশেষ করে আজ এখানে যারা আছে, এখানে অনেক সাংবাদিক চেষ্টা করে যাচ্ছে। ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে অনেক সাংবাদিক চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারা কিন্তু অনেক বাধা অতিক্রম করে যাচ্ছে, সাহসিকতার সঙ্গে করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আগে ভারতে আমরা শুনতাম ইন্দিরা গান্ধীর ইমার্জেন্সির সময় সরকার থেকে সাংবাদিকদের বলা হয়েছিল একটু বাঁকা হয়ে সরকারের পক্ষে কথা বলতে। কিন্তু তারা বাঁকা হয়ে হামাগুড়ি দিচ্ছিল। সরকার বলেছিল একটু ব্যাং হয়ে আমাদের পক্ষে লিখেন, কিন্তু অতি উৎসাহী সাংবাদিকরা হামাগুড়ি দিচ্ছিল। বাংলাদেশ সরকার বলেছে হামাগুড়ি দাও, এরা সিজদায় পড়ে গেছে। এই হচ্ছে বাংলাদেশের সাংবাদিকতার অবস্থা।’
আমীর খসরু বলেন, আওয়ামী লীগের বেনিফিশিয়ারি সাংবাদিকরা ছাড়া বাংলাদেশের সাধারণ সাংবাদিকরা মুক্ত হতে চাচ্ছে। তারা মুক্তির পথ খুঁজছে। তারা যদি মুক্ত হতে না পারে এখন, তাহলে আগামী দিনে বাংলাদেশে সাংবাদিকতা বলে কোনো কিছু থাকবে না। সাংবাদিকতা পেশা বলে যে কিছু আছে, এটাও ভুলে যেতে হবে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ দেশও হারিয়েছে, বিদেশও হারিয়েছে: আমীর খসরু
গণতন্ত্র ফেরানোর দায়িত্ব বিএনপির একার নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি গুম হবে, খুন হবে, মৃত্যুর মুখে যাবে, চাকরি হারাবে, ব্যবসা হারাবে- শুধু বিএনপির একার দায়িত্ব না। সাংবাদিকদের দায়িত্ব আছে, পেশাজীবীদের দায়িত্ব আছে, সর্বস্তরের মানুষের আজ দায়িত্ব আছে। ৯৫ শতাংশ মানুষ যারা ভোটকেন্দ্রে যায়নি, তারা কিন্তু তাদের একটা দায়িত্ব পালন করেছে। বিএনপি এবং বিরোধী দলের ডাকে তারা দায়িত্ব পালন করেছে, তারা কথা বলেছে, ঘরে বসে কথা বলেছে।
সিএমইউজে সভাপতি মোহাম্মদ শাহনওয়াজের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমানের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমীন গাজী ও মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী।
আরও পড়ুন: জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদেশিদের কাছে সুবিধা চান প্রধানমন্ত্রী: আমীর খসরু
আরও ছিলেন- চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্কর, মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন, সিএমইউজের সাবেক সভাপতি ইস্কান্দার আলী চৌধুরী, শামসুল হক হায়দরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব মহসিন কাজী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট কপিল উদ্দিন চৌধুরী, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সাধারণ সম্পাদক ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. নছরুল কাদির, এ্যাবের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার জানে আলম সেলিম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক নেতা অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দিন ও আলী আব্বাস প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে আ’লীগ: আমীর খসরু
অবশেষে গাজা নিয়ে বিএনপির নীরবতা ভাঙলেন মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা সফর শেষে দেশে ফেরার পর প্রথম প্রকাশ্য বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ গভীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি। এসময় গাজা সংঘাত নিয়েও কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, 'দেশ যখন চলমান ফ্যাসিবাদী সরকারের অভিশাপে' তখন আমরা এখানে ইফতারের জন্য সমবেত হয়েছি। ৭ জানুয়ারি বিশ্ব বাংলাদেশে একটি নির্বাচন নয়, বরং একটি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার জন্য অপমান দেখেছে।’
রবিবার(২৪ মার্চ) ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের সম্মানে বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর গাজায় ইসরাইলের হামলা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে যে সংঘাত চলছে তা নিয়ে বিএনপি প্রথমবারের মতো মত প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে আমরা সবাই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘকে এই গণহত্যা বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানকে এই সংকটের একমাত্র সমাধান বলে বিশ্বাস করি।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ মনে করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা শুধু রাজনৈতিক দল দিয়ে অর্জিত হয়েছে: বিএনপি নেতা হাফিজ
মির্জা ফখরুল বলেন, তারা বাংলাদেশের জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির সংগ্রামের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থনকে মূল্য দেন, যা একটি নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ না আমরা তা অর্জন করতে পারছি, ততক্ষণ হয়তো আমাদের শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: পকেট ফাঁকা থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছে না জনগণ: মঈন খান
ভারতীয় পণ্য বর্জনে বিএনপি দেশের অর্জন ধ্বংস করতে চায়: কাদের
ভারতীয় পণ্য বর্জনের নামে দেশের অর্জনকে বিএনপি ধ্বংস করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী বলেন, ‘পণ্য বর্জন এটা কি সম্ভব? বাংলাদেশ ও ভারতের যে অবস্থা, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের যে লেনদেন ও আদানপ্রদান হয়, এর মধ্যে এই ধরনের বর্জনের প্রস্তাব কি বাস্তবসম্মত?’
রবিবার (২৪ মার্চ) সকালে সচিবালায় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ফ্লাইওভার উন্মুক্ত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জাবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি পুরোপুরি বন্ধ হবে না: কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির নেতারা আসলে এখন ব্যর্থতার জন্য নিজেরাই ক্লান্ত। তাদের কর্মীরা হতাশ। নেতাদের কারো সঙ্গে কারো কথার মিল দেখি না। মঈন খান বললেন, গণতন্ত্র উদ্ধারে ভারতকে সহযোগিতা করার জন্য। আবার রিজভী তার চাদর ফেলে দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে ভারত বিরোধিতা করছে। তারা আসলে বর্জনের নামে আমাদের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায়। আর এটা কি সম্ভব?’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘বিএনপির একেক নেতা একেক রকম কথা বলেন। আমি এখন শুনতে চাই বিএনপির মহাসচিব তিনি এখন কী বলবেন। দলের মুখপাত্র হিসেবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কী বলেন, আমির খসরু কী বললেন, রিজভী কী বললেন, আবার মঈন খান কী বললেন।’
তিনি বলেন, একেক জন একেক কথা বললে কোনো জায়গা থেকে নির্দেশিত হয়ে বলছেন। লন্ডন থেকে নাকি অন্য কোনো জায়গা থেকে আদিষ্ট হয়ে বলছেন?
মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোনো চিন্তা আছে কি না, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সরকার এ ধরনের চিন্তাভাবনা কেন করবে? এর কোনো যুক্তি নেই, বাস্তবতা নেই।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন যখন হওয়ার তখন হবে সংবিধান অনুসারে। আমাদের সংবিধানে মধ্যবর্তী নির্বাচন বলতে কিছু নেই।’
ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবাইকে যার যার কাজ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সবাই যার যার কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন প্রত্যাশা করছি।
এবার ঈদযাত্রা পুরোপুরি স্বস্তিদায়ক হবে বলে আশা করছি।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে থ্রি-হুইলার ও মোটরসাইকেল চলাচলে নজরদারি বাড়ান: কাদের
ঈদের ছুটিতে থ্রি-হুইলার ও মোটরসাইকেল চলাচলে নজরদারি বাড়ান: কাদের
ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে দেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করাই বিএনপির উদ্দেশ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে দেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করা ও দ্রব্যমূল্য বাড়ানোই বিএনপির উদ্দেশ্য বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেক পণ্যই ভারত থেকে আসে। হাজার হাজার কিলোমিটার সীমান্তে বৈধভাবে কিছু সীমান্ত বাণিজ্যও হয়। বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাকের মূল উদ্দেশ্য দেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করে তোলা ও দ্রব্যমূল্য বাড়ানো, যাতে জনগণের ভোগান্তি হয়।’
শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জেলার উন্নয়ন সমন্বয় সভায় বক্তৃতা শেষে বিএনপিসহ কয়েকটি দলের ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক সম্পর্কে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশকে মগের মুল্লুক বানাতে ব্যর্থ হয়ে খেই হারিয়েছে বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আপনারা ভারত থেকে আসা পেয়াঁজ খাবেন, আপনাদের নেত্রী ভারত থেকে আসা শাড়ি পরিধান করবেন, আপনাদের মাঠের নেত্রীরাও ভারতীয় শাড়ি পরবেন, ভারত থেকে আসা গরুর মাংস দিয়ে আপনারা ইফতার করবেন, সেহেরি খাবেন, ভারতে চিকিৎসা নিতে যাবেন, আবার আপনারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেবেন - এগুলো হিপোক্রেসি ছাড়া অন্য কিছু নয়। বিএনপির আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে বাজার অস্থিতিশীল করে পণ্যের মূল্য বাড়ানো।'
ড. হাছান বলেন, 'ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক যারা দিয়েছে, তাদের সঙ্গে শামিল হয়ে রিজভী সাহেব নিজের পরনের শালটিও জ্বালিয়ে দিয়েছে। আসলে শালটি ভারত থেকে কিনেছিল, নাকি বঙ্গবাজার থেকে কিনেছে আমি জানি না।'
সোমালি দস্যুদের হাত থেকে নাবিক ও জাহাজ উদ্ধার তৎপরতা
সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছে জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে সরকারের পক্ষ থেকে কী ধরনের ভূমিকা রাখা হচ্ছে- সাংবাদিকদের প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গতবার যখন এমভি জাহান মনি হাইজ্যাক হয়েছিল তাদের মুক্ত করতে ১০০ দিন সময় লেগেছিল। এখন যতদ্রুত সম্ভব তাদের মুক্ত করার চেষ্টাই আমরা করছি। এখানে অবস্থানকারী নাবিক ও জাহাজের যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, সেভাবেই আমরা উদ্ধার করার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, ‘জাহাজের মধ্যে কয়লা আছে। কয়লা একটি দাহ্য পদার্থ। সুতরাং এমন কিছু করা যাবে না যাতে করে দাহ্য পদার্থ হুমকির সম্মুখীন হয়, জাহাজের ক্ষতি হয়। সেভাবেই আমরা এগুচ্ছি এবং যারা জাহাজটি হাইজ্যাক করেছে, তারা এরই মধ্যে মালিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও এ ব্যাপারে আমাদের সহযোগিতা করছে এবং আপনারা নাবিকদের পরিবারের সঙ্গে কথা বললেও জানতে পারবেন তারাও অনেকটা আশ্বস্ত। আশা করছি, আমরা সহসাই নাবিকদের উদ্ধার করতে পারব।’
চট্টগ্রাম উন্নয়ন সমন্বয় সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এর আগে চট্টগ্রামের উন্নয়ন সমন্বয় সভায় জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। আন্তঃদপ্তর সমন্বয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান ড. হাছান।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রকল্প শেষ হতে আরও আড়াই বছর বাকি আছে। এই আড়াই বছর সময়ের মধ্যে জনগণের যাতে কোনো ভোগান্তি না হয় সেটির ওপর গুরুত্ব দিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। একইসঙ্গে এই প্রকল্প শেষ হওয়ার পর যাতে নিয়মিতভাবে মেনটেইনেন্স করা হয় সেটিকেও গুরুত্ব দিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
আরও পড়ুন: দেশে উৎপাদিত শস্য ও খাদ্য গ্রহণে উৎসাহিত করতে কর্মসূচির আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
তিনি বলেন, আপনারা জেনে খুশি হবেন, আজকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বে-টার্মিনালের জন্য এরই মধ্যে পাঁচশ একর জায়গা প্রধানমন্ত্রী বিনামূল্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছেন। আরও তিনশ একরের বেশি জায়গা তারা পাবে, সেটির জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ আবেদন করেছে। এরই মধ্যে ডিপি ওর্য়াল্ড ও সিঙ্গাপুর পোর্ট অথরিটির সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর এমওইউ স্বাক্ষর করেছে।
তিনি আরও বলেন, এখানে তিনটি ভাগে কাজ হবে। একটি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ করবে, আরেকটি সিঙ্গাপুর বন্দর কর্তৃপক্ষ করবে, আরেকটি ডিপি ওয়ার্ল্ড করবে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানও সেখানে যুক্ত হচ্ছে। এটা একটি বড় অগ্রগতি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বে-টার্মিনাল হলে সেটি চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ে আরও বড় একটি নতুন বন্দর হবে, যেটি সমগ্র বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন সম্পদ হবে এবং একইসঙ্গে এই বে-টার্মিনাল দিয়ে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যসমূহের পণ্য সরবরাহ আমরা করতে পারব। এছাড়া চট্টগ্রামে পাহাড়কাটা বন্ধ ও যানজট নিরসনসহ সার্বিক অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা ও প্রতি তিন মাস পরপর সমন্বয় সভা করার সিদ্ধান্তের কথা জানান হাছান মাহমুদ।
চট্টগ্রামের ডেপুটি কমিশনার আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামানের সঞ্চালনায় চট্টগ্রামের উন্নয়নসংক্রান্ত সমন্বয় সভায় অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়েশা খান, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সংসদ সদস্য মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, মহিউদ্দিন বাচ্চু, এম এ ছালাম, এম এ মোতালেব সিআইপি, বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, ডিআইজি নুরে আলম মিনা, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা ঘাপটি মেরে আছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পকেট ফাঁকা থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছে না জনগণ: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। টাকা না থাকায় মানুষ তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারছে না। অথচ স্বাধীনতার মূলমন্ত্র ছিল গণতন্ত্রের পাশাপাশি জনগণের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) জাতীয়তাবাদী নবীন দল আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঈন খান এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক দল বলে দাবি করলেও তারা জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তিকে অস্বীকার করে দেশে ধনীশ্রেণি প্রতিষ্ঠা করেছে।
আরও পড়ুন: আ. লীগ গণতন্ত্রের পরিবর্তে দেশে একটি ‘অলিগার্কি’ তৈরি করেছে: মঈন খান
তিনি বলেন, দেশ নিয়ন্ত্রণে ২২০টি পরিবারকে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছে তারা। অথচ পাকিস্তান আমলে এ ধরনের পরিবারের সংখ্যা ছিল ২২টি।
৭ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন আয়োজন করে আওয়ামী লীগ দেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে উল্লেখ করে ড. মঈন আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো শক্তিধর দেশগুলো বলেছে, অবাধ নির্বাচনের ন্যূনতম মানদণ্ড রক্ষা করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে বুঝতে হবে, কেউ অস্ত্র হাতে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে না, ইতিহাস আমাদের শিক্ষা দেয় স্বৈরাচারীদের ক্ষমতা থেকে টেনে নামায় জনগণ।
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকার ‘তাসের ঘরের মতো’ ভেঙে পড়বে: মঈন খান
দেশকে মগের মুল্লুক বানাতে ব্যর্থ হয়ে খেই হারিয়েছে বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি দেশকে মগের মুল্লুক বানাতে গিয়ে না পেরে খেই হারিয়ে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি দেশকে মগের মুল্লুক বানাতে চেয়েছিল। সেজন্য তারা নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে খেই হারিয়ে ফেলেছে।’
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় চলমান রাজনীতি প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, “স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে ৯.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির বেগে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ঠিক সে সময় অপশক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পটভূমি তৈরি করেছিল। শুধু বঙ্গবন্ধু নয় স্বাধীনতারও বিরোধিতা করেছিল তারা। সেই অপশক্তির ধারাবাহিকতা এখন দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি ভেস্তে দিতে, দেশকে পেছনে নিয়ে যেতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা প্রকাশ্যেই দেশকে পেছনে নেওয়ার জন্য ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ স্লোগান দেয়।”
তিনি আরও বলেন, ‘এই রাজনৈতিক অপশক্তি বারবার দেশে গণতন্ত্র নস্যাৎ করতে চেয়েছে, সেই চক্রান্তেই বিএনপি গত নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে দিবাস্বপ্নের চূড়া থেকে ধপাস করে পড়ে গিয়ে এখন হাঁটছে, লিফলেট দিচ্ছে। আপনারা হাঁটেন, দৌড়ান কিন্তু আবার যদি মানুষ পোড়ানোর অপচেষ্টা করেন, জনগণ উচিত শিক্ষা দেবে।’
‘কিছু ব্যক্তিবিশেষও এই অপশক্তির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যারা বিশ্বের সামনে দেশকে দরিদ্র বলে অপপ্রচার চালিয়ে নিজে নানা পুরস্কার নেয়’-এমন মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ড. ইউনূসের প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই, দেশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে তার কোনো চিন্তা নেই। দেশে যখন বন্যা হয় তখন তাকে পাওয়া যায় না, দেশে যখন মানুষ পোড়ানো হয় তখন তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় না, দেশে যখন দুর্যোগ হয় তখন ড. ইউনুসকে বিদেশে পুরস্কার নিতে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়।'
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ড. ইউনুসের লবিস্ট ফার্ম পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় যত পুরস্কার দেওয়া হয় সেসব জায়গায় যোগাযোগ করে পুরস্কার আনে অথচ তিনি দেশের কাজে নেই -এটি অত্যন্ত হাস্যকর।’
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর পরম আত্মত্যাগী জীবনের ওপর সংক্ষেপে আলোকপাত করেন।
ঢাকার সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে ও স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি জিন্নাত আলী খান ও সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েলের পরিচালনায় স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, ইসলামী চিন্তাবিদ শাইখ আকরামুজ্জামান মাদানী, যুবলীগ নেতা মানিক লাল ঘোষ, বঙ্গবন্ধু একাডেমির মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজি প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন।
আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু ও সব শহীদের আত্মার শান্তি এবং দেশ ও মানুষের কল্যাণ প্রার্থনা করে মোনাজাত পরিচালিত হয়।
আওয়ামী লীগ মনে করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা শুধু রাজনৈতিক দল দিয়ে অর্জিত হয়েছে: বিএনপি নেতা হাফিজ
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ছিল গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু আজ গণতন্ত্র নেই। নেই কোনো মৌলিক অধিকার, বাকস্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা। বাংলাদেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে।
আসন্ন স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বৃহস্পতিবার বিএনপির গঠিত কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, যুদ্ধের ময়দানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কোনো কৃতিত্ব দিতে চায় না। রাজনৈতিক দলের অবদান ছিল; নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় তাদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা রাখার অধিকার ছিল। কিন্তু পাকিস্তানি সামরিক শাসকরা গণতান্ত্রিক রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিল না।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করছে আওয়ামী লীগ: মেজর হাফিজ
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করে, একমাত্র রাজনৈতিক দলই বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছে। ছাত্র, যুবক, শ্রমিক, কৃষক ও সৈনিকসহ সর্বোচ্চ ত্যাগী সৈনিকসহ জনসাধারণের অবদানকে অস্বীকার করে তারা।
তিনি আরও বলেন, সে সময় দেশের সাত কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু ক্ষমতাসীনরা মুক্তিযুদ্ধকে 'রাজনৈতিক দলের যুদ্ধ' হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে।
জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা চারদিক থেকে মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করেছিল, কিন্তু আজ আওয়ামী লীগ তাকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) এজেন্ট হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: কিংস পার্টি বিএনএম গঠনে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার মেজর হাফিজের
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করছে। তিনি বলেন, যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ৮০ থেকে ১ লাখ, কিন্তু আজ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে প্রায় আড়াই লাখ লোক ভাতা পাচ্ছেন।
শেরপুরে বিস্ফোরক মামলায় কারাগারে বিএনপির ২২ নেতা-কর্মী
শেরপুরে বিস্ফোরক মামলায় জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেলসহ ২২ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী থানার ৪টি মামলায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: অবন্তিকার আত্মহত্যা: রিমান্ড শেষে কারাগারে প্রক্টর দ্বীন ইসলাম
এর আগে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী শ্রীবরদীর জিআর আমলি আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান ভুঁইয়া শুনানি শেষে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পরে তাদের প্রিজনভ্যানে করে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী এম.কে মুরাদজ্জামান বলেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগ মুহূর্তে শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে শেরপুর-৩ আসনের সাবেক এমপি মাহমুমুদল হক রুবেলকে প্রধান আসামি করে চারটি মামলা দায়ের করে।
ওইসব মামলায় উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীণ জামিন নিয়েছিলেন নেতা-কর্মীরা। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বুধবার শেরপুরের শ্রীবরদীর আমলি আদালতে হাজির হয়ে চার মামলায় স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে- বিচারক শুনানি শেষে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কারাগারে কয়েদির আত্মহত্যা, ৩ কারারক্ষী বরখাস্ত
যুবলীগ নেতাকে মারধরের মামলায় কারাগারে চট্টগ্রামের ওয়ার্ড কাউন্সিলর
সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা আমানের জামিন
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগের মামলায় ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানকে জামিন দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বুধবার (২০ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
তবে বিদেশ যেতে হলে তাকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কমিটি গঠন নিয়ে ইন্টার্নদের ধর্মঘট, শেবাচিমে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত
আদালতে আমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
এর আগে গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতির মামলায় ১৩ বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান।
জামিন আবেদনের পাশাপাশি খালাস চেয়েছেন তিনি।
আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এ আপিল দায়ের করেন।
২০০৭ সালের ৬ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় আমান দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন আমান উল্লাহ আমানকে ১৩ বছর এবং তার স্ত্রী সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালত।
এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন তারা। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট তাদের খালাস দেন। পরে হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করে দুদক।
আপিল বিভাগ ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিলটি পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন। গত বছরের ৩০ মে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় আমানের ১৩ বছর ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে আদেশ দেন।
এছাড়া তাদেরকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে মারামারি: যুথীসহ ৪ জনের আগাম জামিন
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর মত আইন মন্ত্রণালয়ের
বিএনপি জনগণের নয়, বিদেশিদের সহযোগিতা চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এটিই দুঃখজনক যে বিএনপি জনগণের কোনো সহযোগিতা চায় না, বিদেশিদের সহযোগিতা চায়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বিদেশিদের সাহায্য চেয়েছেন বলে সাংবাদিকরা উল্লেখ করলে মঙ্গলবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আওয়ামী লীগ সরকারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে গিয়ে বিএনপি নিজেই ধপাস করে পড়ে এখন হাঁটা শুরু করেছে। হেঁটে হেঁটে লিফলেট বিতরণ করছে। দলটাকে টিকিয়ে রাখা, অস্তিত্ব জানান দেওয়ার জন্যই মঈন খান এ সব কথা বলছেন।'
তিনি বলেন, 'শেখ হাসিনার সরকার অত্যন্ত শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে এবং আওয়ামী লীগের ভিত জনগণের গভীরে প্রোথিত।'
হাছান মাহমুদ বলেন, 'বিএনপিই এখন নড়েবড়ে হয়ে গেছে। তাদের নেতাদের ওপর কর্মীদের কোনো আস্থা নেই। মূল নেতাদের ওপর কেন্দ্রীয় নেতাদের আস্থা নেই। তাদের এখন নেতৃত্বের টানাপোড়ন চলছে।'
এ সময় সাংবাদিকরা বিএনপির স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় 'বরই না খেজুর দিয়ে ইফতার হবে- সেটিও সরকার বলে দেবে' এমন মন্তব্য করেছেন উল্লেখ করলে মন্ত্রী হাছান বলেন, 'সরকার এটি বলেনি, এটি ব্যক্তিগত অভিমত। বরং সাধারণ মানুষ যাতে সুলভ মূল্যে পণ্যসামগ্রী পায় সেজন্য সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। ব্যবসায়ীরা যেন অহেতুক ইফতার পণ্যসামগ্রীরও মূল্যবৃদ্ধি না করতে পারে, সেজন্যও নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।'
হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন রমজানে যেন অহেতুক কোনো ব্যয় না করা হয়, অহেতুক কোনো ইফতার পার্টিও না করা হয় বরং সেই টাকা যেন সাধারণ মানুষের মাঝে দেওয়া হয়। সে হিসেবে আমি আমার এলাকায় এবং সব সংসদ সদস্য ও নেতারা যার যার এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছি।
তিনি বলেন, অপরদিকে বিএনপি রমজানের প্রথম দিনেই ইফতার পার্টি করে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখলাম বিএনপি কোথাও কোথাও ইফতার পার্টির নামে চাঁদাবাজিও করছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের নাবিকদের সুস্থ ফেরত আনার বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে নাবিক এবং জাহাজ দুটোকেই মুক্ত করা।’
মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী যারা দেশে অবস্থান করছে তাদের প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের আগের মতোই ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।