নির্যাতন
সুনামগঞ্জে শিশু নির্যাতনের অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
সুনামগঞ্জে ছয় বছরের এক শিশু কন্যাকে নির্যাতনের অভিযোগে ৬০ বছরের বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গ্রেপ্তার আব্দুল কাহার সদর উপজেলার হালুয়ারগাঁওয়ের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে মাদরাসাছাত্রকে যৌন নিযার্তনের অভিযোগে ৪ শিক্ষক গ্রেপ্তার
সুনামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত মনিরুজ্জামান খান জানান, সদর উপজেলার হালুয়ারগাঁওয়ে সোমবার দুপুরে ছয় বছরের এক কন্যা শিশুকে ডেকে নিয়ে প্রতিবেশী আব্দুল কাহার (৬০) ধর্ষণ করেন। শিশুটির চিৎকারে ধর্ষকের পুত্রবধূ এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে। তাৎক্ষণিকভাবে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে তার স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়।
তিনি জানান, শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগের পর অভিযুক্ত আব্দুল কাহারকে গ্রেপ্তার করে সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন: স্ত্রীর মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
খুলনায় রহিমা ১৮ দিন ধরে নিখোঁজ, স্বামীসহ গ্রেপ্তার ৬
যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন: স্ত্রীর মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন ও হত্যা প্রচেষ্টা মামলায় সোনাডাঙ্গা থানার সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) সোবহান মোল্লার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আবদুস ছালাম খান এই পরোয়ানা জারি করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম সদর থানার এসআই এর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
সোবহান মোল্লা বর্তমানে বক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশে কর্মরত রয়েছেন। তিনি মাগুরা জেলা সদরের ২০ নং চন্দন প্রতাপ গ্রামের আব্দুস সবুর মোল্লার ছেলে।
আরও পড়ুন: স্ত্রী নির্যাতন মামলা: চট্টগ্রামে সার্জেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বাদীপক্ষের আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম জানান, প্রথম স্ত্রীর তথ্য গোপন করে ২০২০ সালের ১২ মে ফারজানা বিনতে ফাকের নামে এক কিশোরীকে বিয়ে করেন সোবহান। সোবহান তখন নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় কর্মরত ছিলেন। বিয়ের পর থেকে দ্বিতীয় স্ত্রীকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করতে থাকেন তিনি। একাধিকবার স্ত্রীকে মারধর করে হাসপাতালে ভর্তি করান। উপায় না পেয়ে ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ফারজানা বিনতে ফাকের।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ‘খুনি’ মোশতাকের ছেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
তিনি জানান, আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তে কিছুটা গোঁজামিল প্রতিবেদন দিলে এই নিয়ে আদালতে দীর্ঘ আলোচনা হয়। সর্বশেষ মঙ্গলবার আদালত সোবহান মোল্লার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
চট্টগ্রামে স্ত্রীকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক
চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড এলাকায় স্বামীর নির্যাতনে স্ত্রী শিরিনা আক্তারের (৩৫) মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার পর থেকে স্বামী আলী আজগর (৪৫) পলাতক রয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়ার থানা ধাওয়া ইউনিয়ন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: দুই শিশুকে বেঁধে নির্যাতন, চট্টগ্রামে ৩ পুলিশ প্রত্যাহার
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) ভোরে ইপিজেড আকমল আলী রোড ষাট কলোনিতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ইপিজেড থানার ওসি (তদন্ত) মো. নুরুল বশর বলেন, ভোরে শিরিনা আক্তার নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছি। তার শরীরের নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। আশপাশের প্রতিবেশিরা বলেছেন, স্বামী নির্যাতন করে এবং বালতির মধ্যে মাথা ডুকিয়ে শিরিনাকে হত্যা করেছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: খুলনায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
খুলনায় নারী নির্যাতনের মামলায় আরও ২ জন গ্রেপ্তার
খুলনায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে চারজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন খুলনার একটি আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার বিকালে খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৩ এর বিচারক আ. ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, শিউলী বেগম, হাসিনা (পলাতক), আ. রব ওরফে রাহুল (পলাতক) ও আমিন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রুবেল খান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী তার বাবাকে নিয়ে গবরচাকা এলাকার হাবির বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। অভাবের সংসার হওয়ায় স্থানীয় একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতেন তিনি। আর এ সুযোগ কাজে লগিয়ে মামলার এজাহার নামীয় আসামি লাবনী ২০১১ সালের ২১ নভেম্বর তাকে গার্মেন্টেসে কাজ দেয়ার কথা বলে ঢাকায় নেয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়।
কিছুদিন পর আসামি শিউলী ও লাবনী বাড়ি ফিরে আসে। ভুক্তভোগীর বাবাকে তারা জানায়, তার মেয়ে ঢাকায় একটি গার্মেন্টেসে চাকরি করছে। অনেক টাকা বেতন পায়। অল্প সময়ের মধ্যে বাড়ি ফিরে আসবে। এ কথা বলে ভুক্তভোগীর বাবার হাতে এক হাজার টাকা ধরিয়ে দেয়।
মেয়ে ফিরে না আসায় বাবা আসামিদের জিজ্ঞাসা করে। কিন্তু তাদের কথায় সন্দেহ বাড়ে বাবার। পরবর্তীতে কয়েকজনকে নিয়ে আসামিদের বাড়িতে গেলে তারা স্বীকার করে যে তাকে চাকরি দেয়ার কথা বলে ঢাকায় না নিয়ে ভারতে বিক্রি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সোনাডাঙ্গা থানায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন:খুলনায় মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত ২ জন উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩
আদালত সূত্রে আরও জানা গেছে, ঘটনার দিন আসামি শিউলী বেগম ভুক্তভোগীকে ভারতে পাচারের উদ্দেশে আসামি আমিনের সহায়তায় বোম্বে নিয়ে যায়। সেখানে নেয়ার পর ওই দুই আসামি হাসিনার হেফাজতে রাখেন। পরবর্তীতে একটি বাসা ভাড়া করে শিউলী ও ভুক্তভোগী একই স্থানে অবস্থান করে। পরে ওই তিনজন আসামি যোগসাজেশে তাকে আ. রব ওরফে রাহুলের কাছে বিক্রি করে দেন। পরে হাসিনা ভারত থেকে দেশে ফিরে আসে। সেখানে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসায়ে নিয়োজিত করে। পরে পুলিশের সহায়তায় ভুক্তভোগীকে ভারতের বোম্বে থেকে উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন:খুলনায় বাস-ট্রাকের সংঘর্ষ, প্রাণ গেল ট্রাকচালক ও ৯ গরুর
চালককে হত্যার পর ইজিবাইক ছিনতাইয়ের চেষ্টা, খুলনায় আটক ২
চুরির অপবাদে নির্যাতন, অপমানে তরুণের আত্মহত্যা!
চাঁদপুর সদরে মোবাইল ফোন চুরির অপবাদে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করায় অপমানে সইতে না পেরে এক তরুণ গলা ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার উপকন্ঠে তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের এই ঘটনা ঘটে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রশিদ জানান, নিহত হাসান ছৈয়াল (১৮) একই এলাকার শরীফ ছৈয়ালের ছেলে, পেশায় রাজমিস্ত্রীর সহকারি শ্রমিক।
আরও পড়ুন: দুবাইয়ে ফেসবুক লাইভে এসে প্রবাসীর আত্মহত্যা!
নিহত হাসানের বাবা জানান, মোবাইল চুরির অপবাদে হাসানকে সেলিমসহ কয়েকজন ঘর থেকে ঢেকে নিয়ে মারধর করে এবং বাড়ির সামনের খেঁজুর গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। পরে হাসানকে আমাদের ঘরের সামনের রুমে আটকে রেখে বাহিরে তালা দিয়ে তারা চলে যায়। এরপর তার কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বখাটের অপমান সইতে না পেরে কিশোরীর আত্মহত্যা!
ওসি আবদুর রশিদ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
দুই শিশুকে বেঁধে নির্যাতন, চট্টগ্রামে ৩ পুলিশ প্রত্যাহার
চট্টগ্রাম মহানগরীর লালখান বাজার এলালকায় চুরির অভিযোগে দুই শিশুকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন ও একজনের মাথার চুল কেটে দেয়ার ঘটনায় রবিবার রাতে অভিযুক্ত তিন পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে গত শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনার পর রবিবার শিশুদের নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাটি সবার সামনে আসে।
প্রত্যাহার হওয়া পুলিশরা হলেন, পুলিশ কনস্টেবল মো. মেহেদী, মো. মাজহার ও মো. এহসান। তিন জনই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মনসুরাবাদ লাইনে থাকেন এবং নগরীর বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তার জন্য টহল পুলিশ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।
আরও পড়ুন: চুরির অভিযোগে কুষ্টিয়ায় শিশু নির্যাতন
ভুক্তভোগী দুই শিশুর বয়স ১৩ বছর নগরীর লালখান বাজার মতিঝর্ণা এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকে। তাদের একজন সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) শাহাদাত হুসেন জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতোমধ্যে ৩ পুলিশ সদস্যকে তাদের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্থানীয়রা জানায়, নগরীর লালখান বাজার ম্যাজিস্ট্রেট কলোনি, মতিঝর্ণা ও এর আশেপাশের এলাকায় মাঝে মধ্যেই চুরির ঘটনা ঘটে। শুক্রবার লালখান বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ব্রিজের নিচে বসে কয়েকজন শিশু আড্ডা দিচ্ছে এবং তারা প্রায়ই ওই এলাকায় চুরি করে এই খবরের ওই শিশুদের ধাওয়া করে পুলিশ। পরে দুই শিশুকে ধরে ম্যাজিস্ট্রেট কলোনির পেছনে জিলাপির পাহাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে একটি লোহার খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা হয় এবং একজনের মাথার চুল কেটে দেয়া হয়।
পরিবারের দাবি,তাদের ছেলে কোনো দিন চুরি করেনি। ঘটনার পর থেকে ছেলে ভয়ে বাসায় থাকছে না।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে শিশু নির্যাতনের ঘটনায় প্রধান আসামি ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ঘটনার দিন আমি ছুটিতে ছিলাম। পরে জানতে পারি ম্যাজিস্ট্রেট কলোনির এক গার্ডের দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে টহল পুলিশ ওই দুই শিশুকে ধরে। তাদের বেঁধে রাখে তারা। এ সময় মোবাইলে চার্জ না থাকায় থানায় বিষয়টি জানাতে পারেনি তারা। তবে দুজনই শিশু বলে তাদেরকে অভিভাবককের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় একজনের চুল বড় থাকায় তার অভিভাবকের কাছে চুল ছোট করে দেয়ার অনুরোধও করে পুলিশ সদস্যরা।
ভোলায় শিশু নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, দাদি কারাগারে
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় মোবাইল ফোন চুরির ঘটনায় সাত বছরের শিশুকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। পরে রবিবার পুলিশ শিশু নির্যাতনের দায়ে দাদিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
সোমবার বিকালে বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন ফকির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতিত শিশু তানিশার বাবা মো. হারুন হাওলাদার এবং মা মনোয়ারা বেগম। প্রায় ছয় বছর আগে তানিশার বাবা মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পরে বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে চট্টগ্রামে থাকেন। মা মনোয়ারা বেগমেরও অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়। সেই থেকে তানিশা তার নানার বাড়িতে বসবাস করত। সম্প্রতি তানিশাকে তার দাদার বাড়িতে আনা হয়। গত ২৩ জুন সকালে উপজেলার দেউলা ইউনিয়নের বড়পাতা গ্রামের হাওলাদার বাড়িতে একটি মোবাইল ফোন হারায়। ওই ফোন তানিশা চুরি করেছে এমন অভিযোগ তুলে দাদি সোনিয়া বেগম তানিশাকে অমানবিক নির্যাতন করেন। স্থানীয় এক কিশোর মোবাইল ফোনে নির্যাতনের একটি ভিডিও করে। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করলে ভিডিওটি ভাইরাল হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে নারী নির্যাতন মামলায় কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
গাজীপুরে নারী নির্যাতন মামলায় কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের এক কাউন্সিলরকে নারী নির্যাতন মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে তাকে নগরের এরশাদ নগর এলাকার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম ফারুক আহমেদ (৫০)।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাসুদ জানান, ফারুক আহমেদকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওসি বলেন, মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে এক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন কাউন্সিলর ফারুক। গত ২৩ মে সকালে তিনি ফারুকের বাসায় গেলে একা পেয়ে নেত্রী বানানোর প্রলোভনে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরে তার চিৎকারে লোকজন জড়ো হতে থাকলে হত্যার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যান ফারুক।
ওসি আরও জানান, শুক্রবার সকালে লিখিত অভিযোগের পর দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: জিন তাড়ানোর নামে কিশোরীর শ্লীলতাহানি, গ্রেপ্তার ১
চলন্ত বাসে তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টা: বাসচালকসহ গ্রেপ্তার ২
চুরির অপবাদে কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, আটক ৩
পটুয়াখালীর গলাচিপার বোয়ালিয়া গ্রামে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে এক কিশোরকে গাছের সঙ্গে শিকলে বেঁধে তিনদিন যাবত নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে ওই কিশোর নিখোঁজ রয়েছেন।
ভুক্তভোগী কিশোরের নাম মুন্না (১৬)। সে ওই এলাকার শাহাজাহন কমান্ডারের ছেলে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে তানিয়া, মমতাজ, শামীম নামের তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এ নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ৮৫ হাজার টাকা চুরির অপবাদে ভুক্তভোগী মুন্নাকে একটি গাছের সঙ্গে লোহার শিকলে বেঁধে রাখা হয়েছে। বোয়ালিয়া এলাকার হজরত আলী নামে এক ব্যক্তি তাকে মারধর করছেন। ভিডিওতে মুন্নার শরীরে রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন দেখা যায়।
ভুক্তভোগী মুন্নার মা হাসিনা বেগম জানান, ৯ মে থেকে ১১ মে মধ্যরাত পর্যন্ত হজরত আলী, ফেরদৌস, মমতাজ এবং তানিয়া দফায় দফায় তার ছেলের ওপর নির্যাতন চালায়। এরপর থেকে তার ছেলেকে খুঁজে পাচ্ছেন না বলেও জানান তিনি।
গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, নির্যাতিত কিশোরের মা হাসিনা বেগমের অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে আমরা মামলা নিচ্ছি। ইতোমধ্যে তিনজনকে আটক করেছি। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করবো।
আরও পড়ুন: ঘুমন্ত শ্বাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা, পুত্রবধূ আটক
আহত ব্যক্তিকে আটক: জামলাপুরে ৪ এসআই বরখাস্ত, ২ কনস্টেবল প্রতাহ্যার
বাবার বকেয়া টাকার জন্য ছেলেকে গাছে বেঁধে নির্যাতন
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে বাবার কাছ থেকে সাড়ে ৪শ টাকা আদায়ের জন্য ১৪ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নির্যাতিত শাহেদ হোসেন শান্ত উপজেলার ভৈরবপুর এলাকার ইউসুফ মিয়ার ছেলে।
বুড়িচং থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শরীফ রহমান জানান, সম্প্রতি এ বিষয়ে ইউসুফ মিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
আরও পড়ুন: আ’লীগ নেতাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন: ছেলেসহ ইউপি চেয়ারম্যান আটক
অভিযোগে জানা গেছে, কিছুদিন আগে দুলু মিয়ার ছেলে নাহিদুলের দোকান থেকে একটি খাট বানিয়েছিলেন ইউসুফ। প্রায় সব টাকা দেয়া হয়ে গেছে খাটের। আর ৪৫০ টাকা বকেয়া ছিল। ঈদের কয়েকদিন আগে নাহিদুল ইউসুফের বাড়িতে গিয়ে টাকার জন্য গালাগাল করে। ইউসুফ টাকা পরিশোধের এক সপ্তাহের সময় চেয়ে নাহিদুলের কাছে অনুরোধও করেন।
অভিযোগে ইউসুফ বলেন, ঈদের দিন আমার ছেলে শান্ত বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বের হলে তাকে তার বন্ধুদের সামনে থেকে নাহিদুলের ভাই নাজমুল, আনোয়ার ও জসিম টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়। তারা কিশোর শান্তর ওপর নির্যাতন চালায়।
আরও পড়ুন: ছাগল চুরির অভিযোগে ২ শিশুকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, গ্রেপ্তার ৩
তিনি বলেন, খবর পেয়ে গ্রাম পুলিশ আমার ছেলেকে উদ্ধার করে।
এসআই শরীফ জানান, তদন্ত চলছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।