চিকিৎসক
বরিশালে পানিতে ডুবে ভাইবোনের মৃত্যু
বরিশালের মুলাদীতে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা সদরের দক্ষিণ চরডাকাতিয়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো- একই গ্রামের সুমন খানের ছেলে আরিয়ান খান (৬ মাস) এবং সুমন খানের ভাই আব্দুল জব্বার খানের আড়াই বছরের মেয়ে সারিকা আক্তার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাসার সামনে দুই শিশু খেলা করছিল। এক পর্যায়ে তারা পানিতে পড়ে যায়। পরে দুপুর ২টার দিকে দুই শিশুর দেহ পুকুরের পানিতে ভেসে ওঠে। এ সময় স্বজনেরা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এই তথ্য নিশ্চিত করে মুলাদী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইউসুফ জানান, একই বাড়িতে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে।
আরও পড়ুন: নবীনগরে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
সুনামগঞ্জে পানিতে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় অটোরিকশার চাপায় শিশুর মৃত্যু
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় অটোরিকশার চাপায় শেফালী খাতুন (৫) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের চণ্ডিপুর পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত শেফালী ওই এলাকার আরশেদ আলীর মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, সকালে বাড়ির সামনে খেলছিল শেফালী খাতুন। এ সময় রাস্তা দিয়ে যাওয়া একটি অটোরিকশা তাকে চাপা দেয়। পরে স্থানীয়রা আহতাবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, নিহতের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ না থাকায় শিশুটির লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ৩
ঢাকা আরিচা মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় মা-ছেলেসহ নিহত ৩
খুলনায় শহীদুল হত্যায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড
খুলনা নগরীর জোড়াগেট এলাকার আলোচিত শহীদুল হত্যাকাণ্ডের দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এ মামলার অপর দুই আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম করাদণ্ড দেয়া হয়েছে এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) খুলনা জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচার মো. সাইফুজ্জামান হিরো এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই আদালতের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী মো. মুরাদ হোসেন গাজী।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- সুমন মল্লিক ও আশিকুর রহমান আশিক (মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামি ) কালু ওরফে ছোট কালু ও মো. তালেব হাওলাদার (যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি)। এদের মধ্যে তালেব বাদে সকল আসামি পলাতক রয়েছে।
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে কনডেমড সেলে রাখা কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
আদালত সূত্র জানায়, সাইদুল জোড়াগেট এলাকার হাজেরা বেগমের ছেলে। পেশায় একজন মৌসুমী ফল ব্যবসায়ী ছিল। গত ২০১৭ সালের ১১ জুলাই বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহতের মা আটজনের নাম উল্লেখসহ আজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করে খুলনা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার প্রধান দুই আসামি বাবু ওরফে গুড্ডু বাবু ও আল মাহমুদ সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হওয়ায় তাদের নাম বাদ দিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও খুলনা থানার ইন্সপেক্টর সৈয়দ মেশারেফ হোসেন একই বছরের ২২ আগস্ট সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
চুয়াডাঙ্গায় বখাটের উত্ত্যক্তের জেরে মাদরাসা ছাত্রীর আত্মহত্যা!
চুয়াডাঙ্গায় বখাটের উত্ত্যক্তের জেরে এক মাদরাসাছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সন্ধ্যায় জেলার পৌর এলাকার হকপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত মাসুমা আক্তার (১৭) হকপাড়ার চা বিক্রেতা আমিনুল ইসলামের মেয়ে ও চুয়াডাঙ্গা রেলবাজার আলিয়া মাদরাসার একাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
মাসুমার বাবা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘গত শুক্রবার সকালে মাসুমা আমাদের চায়ের দোকান খুলে চা তৈরির ব্যবস্থা করছিল। এসময় একজন ক্রেতা চা-খাওয়ার জন্য দোকানে আসে। ঠিক সেসময় আরামপাড়ার মোবার ছেলে কালাম (২৫) দোকানে ঢুকে ওই ক্রেতা ও আমার মেয়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে থাকে। মাসুমা নিষেধ করলে সে মাসুমাকে চড় মারে ও একটি হাতুড়ি দিয়ে তাকে আঘাত করার চেষ্টা করে। এসময় মাসুমা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এদিকে দোকানে গেলে লোকজন মাসুমাকে কালাম কেন থাপ্পড় মেরেছে সে বিষয়ে জানতে চায়। দুপুরের পরে আমি দোকান থেকে বাড়িতে এসে সেসব বিষয় নিয়ে আমার স্ত্রীকে বকাবকি করি।’
আরও পড়ুন: খুলনায় মোবাইল না পেয়ে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা!
তিনি আরও বলেন, রবিবার সন্ধ্যার আগে তিনি বাড়ি ফিরে মেয়ের নাম ধরে ডাকলেও কোনো সাড়া পাননি। মেয়ে ঘুমিয়ে আছে কি না দেখতে গেলে মেয়ের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. উৎপলা বিশ্বাস বলেন, ‘সন্ধ্যার আগে পরিবারের সদস্যরা মেয়েটিকে জরুরি বিভাগে আনে। পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে জানতে পারি সে গলায় ফাঁস দিয়েছিল। তবে জরুরি বিভাগে আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত হলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হবে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, বিকালে সদর থানাধীন হকপাড়ায় এক মাদরাসাছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ ও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট সাপেক্ষ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: স্কুলের ফিস দিতে না পারায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
২০ রমজান পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
২০ রমজান পর্যন্ত সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তোমরা এ দেশের ভবিষ্যৎ। তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে দেশ। তোমরা সুশিক্ষা অর্জন করে কেউ সচিব, কেউ চিকিৎসক, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ রাজনীতিবিদ, আবার কেউ হবে এদেশের প্রধানমন্ত্রী। তাই লেখাপড়া ভালো করে করতে হবে। লেখাপড়ার বিকল্প কিছু নেই।
শনিবার দুপুরে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার খনজনমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস ১ মার্চ থেকে
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এলাকার উন্নয়নে রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ-কালভার্টের উন্নয়নসহ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বছরের শুরুতে নতুন বই ও উপবৃত্তি দেয়া হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শহীদুল ইসলাম মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্লাহ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার স্মৃতি, রংপুর বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা উপপরিচালক মোজাহিদুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার ও বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডে উন্নীতের রায় বহাল
মাদারীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল মা-মেয়ের
মাদারীপুরের শিবচরে সড়ক দুর্ঘটনায় মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শিবচর-মাদারীপুর সড়কের যাদুয়ার চর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- শিবচর উপজেলার যাদুয়ার চর গ্রামের এসকেন ফরাজির মেয়ে জেসমিন আক্তার (৩৩) ও তার মেয়ে মাহফুজা (৮)।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শিবচর-মাদারীপুর সড়কের যাদুয়ার চর এলাকায় ইঞ্জিন চালিত ভ্যানকে একটি ট্রাক পেছন দিক থেকে থাক্কা দিলে ভ্যানের যাত্রী জেসমিন ও মাহফুজা চাকার নিচে পরে যান।
এ সময় তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক নিহত
দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
সংকটের মধ্যেই শেবাচিম হাসপাতালের ৮ চিকিৎসককে বদলি
বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসকের তীব্র সংকট চলছে। এর মধ্যেই হাসপাতালটির আটজন চিকিৎসককে একযোগে বদলি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব এ এফ এম এহতেশামুল হক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেয়া হয়েছে। ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাদের নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে।
বদলি করা চিকিৎসকরা হলেন- অর্থ-সার্জারি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. মাসরেফুল ইসলাম সৈকত, গাইনি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. তানিয়া আফরোজ, অর্থপেডিক্স বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. সুদীপ্ত কুমার হালদার, ইএনটি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আলী আহমেদক, ইএনটির জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. আব্দুল্লাহ্ আল মামুন, ইএনটি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. শরিফুল ইসলাম, সার্জারি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. জয় জাখারিয়া রব ও ডা. মো. সুপিয়ার রহমান।
আরও পড়ুন: শেবাচিম হাসপাতালের সিসিইউতে আগুন, আতঙ্কে রোগীর মৃত্যু
এদিকে একযোগে আট চিকিৎসকের বদলির ফলে শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালে তীব্র চিকিৎসক সংকট চলছে। তার মধ্যে একযোগে আটজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের বদলিতে নতুন সংকটে পড়তে হবে। কেননা দক্ষিণাঞ্চলের সব উপজেলার রোগীই এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আমাদের হাসপাতালে সংকটের বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয়ের সাঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: এইচএসসিতে সর্বোচ্চ পাশের হার বরিশালে
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় চিকিৎসক নিহতের ঘটনায় রিকশাচালক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ডা. সামিনা আক্তারকে বহনকারী সেই রিকশাচালক গ্রেপ্তার করেছে সিএমপির কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে নগরীর পুরাতন স্টেশন রোড় এলাকা থেকে মোহাম্মদ হৃদয় (১৯) নামে ওই রিকশাচালককে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দীন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে ডা. সামিনা আক্তার তিনদিন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে মারা যান। সন্ধ্যার পর থেকে দুর্ঘটনার সময় সিসিটিভির একটি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সেখানে রিকশাচালকের অসাবধানতার কারণে দুর্ঘটনার বিষয়টি ধরা পড়ে। এতে মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে। পরে রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সে রিকশাচালককে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ডা. সামিনার মৃত্যু
কোতোয়ালি থানার ওসি মো. নেজাম উদ্দীন বলেন, অটোরিকশা বেপরোয়া গতি ও ডা.সামিনাকে বহনকারী রিকশাচালক হৃদয়ের ভুলের কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমাদের মনে হয়েছে। সিএনজি অটোরিকশার চালক সিদ্দিককে দুর্ঘটনার দিন রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি জানান, হৃদয় কুমিল্লা জেলার ভাঙ্গুরা থানার ভূঁইয়া বাড়ির মো. নাছির উদ্দিনের ছেলে। তিনি বর্তমানে নগরের বাকলিয়া থানার মিয়া সওদাগরের পোল এলাকার মফিজ মেম্বারের বাড়িতে বসবাস করেন।
গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর কাজীর দেউড়ির কাছে চট্টগ্রাম ক্লাবের সামনে সিএনজি অটোরিকশার ধাক্কায় রিকশা যাত্রী ডা. সামিনা আকতার গুরুতর আহত হন। দুদিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রকৌশলী পাপন বড়ুয়া নিহত
ডা. সামিনা আক্তার ইউএসটিসি মেডিকেল কলেজের সাবেক ছাত্রী। তিনি সাউদার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আইসিইউতে দায়িত্বরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলায়। তিনি নগরের চকবাজার থানার মেহেদীবাগ এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। তার স্বামী মীর ওয়াজেদ আলীও একজন চিকিৎসক। তাদের এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে নারী আসামির মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে হত্যা মামলার এক নারী আসামির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হালিমা খাতুন (৬৫) চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়ার মৃত আবু বক্কর সিদ্দীকের স্ত্রী।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগার সূত্রে জানা যায়, গত ৬ অক্টোবর ২০২১ তারিখে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে পাঠানো হয় তাকে। কারাগারেই বৃহস্পতিবার বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এসময় কারারক্ষীরা তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। জেলা কারাগারের চিকিৎসক ডা. মশিউর রহমান পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারের জেল সুপার (অ.দা.) ও সহকারি কমিশনার বিএম তারিক উজ-জামান মৃত্যুর সতত্যা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। ডেথ সার্টিফিকেট এখনও হাতে পায়নি। তবে কারাগারের মেডিকেল অফিসারের দেয়া তথ্যমতে তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে ফাঁসির আসামির মৃত্যু
রূপসায় ভাইয়ের হাতে ভাই খুন
খুলনার রূপসায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য ইনতাজ মোল্লার ইটের আঘাতে ছোট ভাই ইসরাঈল নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার টিএসবি ইউনিয়নের পাঁচানি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইসরাঈল মোল্লা ওই এলাকার মৃত ইকলাস মোল্লার মেজ ছেলে। ঘটনার পর ইউপি সদস্য ইনতাজ মোল্লা ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে।
রূপসা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুজ্জামান জানান, নিহত ইসরাঈল মোল্লারা পাঁচ ভাই। ভাইদের একজন পাকিস্তানে স্থায়ীভাবে বসবাস করে। বাকি চার ভাইয়ের তিন ভাইয়ের মধ্যে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন, আটক ১
তিনি জানান, মঙ্গলবার বিকালে ইসরাঈল বাড়িতে অবস্থান করছে জেনে বড় ভাই ইনতাজ, ছোটভাই মারুফ ও বড় ভাইয়ের ছেলে সোহাগ পাঁচানি গ্রামে নিহতের বাড়ি আসে। তাদের চারজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তিনজন ইসরাইলের ওপর লাঠি ও ইট দিয়ে আক্রমণ করে। এসময় ইসরাঈল জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে রেখে ঘাতকরা পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ইসরাঈলকে মৃত ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ভাতিজার ইটের আঘাতে চাচা খুন!