আটক
বঙ্গবন্ধু টানেলে রেস: ৫টি গাড়ি জব্দ, আটক ২
চট্টগ্রামে গত ২৯ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল খুলে দেয়ার পর অবৈধভাবে চলাচল করা পাঁচটি গাড়ি জব্দ করেছে পুলিশ।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার(৯ নভেম্বর) নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গাড়িগুলো জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত যানবাহনগুলো হলো- চট্টগ্রাম মেট্রো-গ-১২-৯০৪৩, ঢাকা মেট্রো-ক-১১-৮৯৩৫, ঢাকা মেট্রো-ক-১২-১৮১৪, চট্টগ্রাম মেট্রো-গ-১৩-৩৫৭৩ এবং চট্টগ্রাম মেট্রো-গ-১৪-২২৫৪।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু টানেলে গাড়ি রেস, ৭ গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুইজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলেও জানান তিনি।
গ্রেপ্তাররা হলেন- চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালি থানার আলকরণ হক ম্যানশনের আনসারুল হকের ছেলে আশরাফুল হক (৩৫) ও বাকলিয়া এলাকার সোলায়মান সওদাগরের ছেলে এমরান উদ্দিন (২৪)।
কর্ণফুলী নদীর পানির নিচের টানেল ব্যবহারের নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
ওসি বলেন, এ মামলার পাঁচ আসামি আদালত থেকে আগাম জামিন পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু টানেলে বাস ও প্রাইভেটকার সংঘর্ষে ৩ জন আহত
বেনাপোলে ৬৯৭ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ, ভারতীয় নাগরিক আটক
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন থেকে ভারতে স্বর্ণ পাচারের অভিযোগে এক যাত্রীকে আটক করেছে কাস্টমসের শুল্ক গোয়েন্দা সদস্যরা।
এ সময় ভারতীয় পাসপোর্ট যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশি করে ৬৯৭ গ্রাম ওজনের স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে কাস্টমসের শুল্ক গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় নদী থেকে ৬৮টি স্বর্ণের বার জব্দ, পাচারকারীর লাশ উদ্ধার
বুধবার (৮ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ওই যাত্রী ভারতে প্রবেশের সময় তাকে আটক করা হয়। আটক যুবক কেরালার নীল সারাম থানার পলি হাউস গ্রামের কয়া থারিপ্পার ছেলে সাজনাস থারিপ্পা কুন্নুমেল।
বেনাপোল কাস্টম হাউজের শুল্ক দপ্তরের সহকারী পরিচালক শায়েখ আরেফিন জাহেদী জানান, থারিপ্পা কুন্নুমেল বুধবার বেলা ১১টার দিকে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন যাচ্ছিলেন এবং তার সঙ্গে একটি ব্যাগ ছিল।
পরে ওই ব্যাগ তল্লাশি করে ব্যাগের ভেতরে লুকায়িত অবস্থায় ছুরি ও তালার মধ্যে বিশেষ কায়দায় সাদা স্কস্টেপ দিয়ে পেঁচানো ৬৯৭ গ্রাম ওজনের স্বর্ণ জব্দ করা হয়। এসব স্বর্ণের আনুমানিক দাম ৭২ লাখ টাকা।
তিনি আরও জানান, স্বর্ণের চালানটি সাজনাস থারিপ্পা ঢাকা থেকে নিয়ে আসে। তার পাসপোর্ট নম্বর ঠ-৬১২৫২৫৪।
তিনি বলেন, আটক পাচারকারীকে বেনাপোল বন্দর থানায় এবং স্বর্ণগুলো কাস্টমসের ট্রেজারি শাখায় জমা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ৪৪ ভরি স্বর্ণালংকার জব্দ, আটক ১
চুয়াডাঙ্গায় ৬ স্বর্ণের বার জব্দ, যুবক আটক
নেতাদের পরিবারের সদস্যদের আটকের অভিযোগ বিএনপির
দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ অন্যায়ভাবে তাদের পরিবারের সদস্যদের আটক করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
সোমবার (৬ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে দলটি বলেছে, দেশের জনগণের সহায়তায় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে তারা বদ্ধপরিকর।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পুলিশ আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের জন্য দিন-রাত যেকোনো সময় বাড়িঘরে হানা দিচ্ছে। যখন টার্গেট করা ব্যক্তিদের বাড়িতে পাওয়া যায় না, তখন তাদের বাবা ও ভাই বা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের অন্যায়ভাবে আটক করা হচ্ছে।’
বিএনপি নেতাদের আটক স্বজনদের থানায় নিয়ে গেলে অবর্ণনীয় নির্যাতন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে সারাদেশে ভয়াবহ দমন-পীড়ন শুরু করেছে। তবে বিএনপিকে নির্মূলের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নই থেকে যাবে, কারণ বিএনপি জনগণের পাশাপাশি বর্তমান অবৈধ সরকারের পতন নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
বিএনপি ঘোষিত আন্দোলনের কর্মসূচিতে ভয় পেয়ে ফ্যাসিবাদী সরকার শামসুজ্জামান দুদুকে গ্রেপ্তার করেছে বলে অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা।
তিনি শামসুজ্জামান দুদুর নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান।
সোমবার ভোরে রাজধানীর মিরপুর এলাকার একটি বাসা থেকে দুদুকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
বিএনপির আরেক ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু আটক
ঢাকা সেনানিবাসের পোস্ট অফিস এলাকা থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
দুদুর ভাই অ্যাডভোকেট ওয়াহিদুজ্জামান ইউএনবিকে জানান, রবিবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় তার বোনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুদুকে আটক করে।
আরও পড়ুন: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী কারাগারে
তিনি বলেন, সেখান থেকে তার ভাগ্নে হাসনাত আশরাফ রবিনকেও আটক করে ডিবি পুলিশ।
ওয়াহিদ দাবি করেন, রবিনের রাজনীতিতে কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
এর আগে গত রবিবার রাজধানী থেকে বিএনপির দুই ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও শাহজাহান ওমরকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আরও পড়ুন: টিক্কা ও নিয়াজির চরিত্রে অভিনয় করছেন কাদের: রিজভী
টঙ্গী থেকে বিএনপি নেতা আলতাফ হোসেনকে আটক করেছে র্যাব
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে টঙ্গীর একটি বাসা থেকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এলিট ফোর্সের মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ইমরান খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুর, নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ও সহিংসতার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আলতাফের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান সারোয়ারকে আটক করেছে পুলিশ: রিজভী
আটকের বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঢাকার নয়াপল্টন, কাকরাইলসহ ২৮ অক্টোবর দলের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে পুলিশ কনস্টেবল আমিনুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়ে পরে মারা যান।
২৯ অক্টোবর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৬৪ জন নেতার নাম উল্লেখ করে পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা করে পুলিশ।
হত্যা মামলায় মির্জা ফখরুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং সিনিয়র যুগ্ম সচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির ২০০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, আটক ১৫০
আটকের ৪৮ ঘণ্টায়ও খুলনা ছাত্রদল সভাপতির সন্ধান মেলেনি: পরিবার
খুলনায় বিএনপির ২০০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, আটক ১৫০
ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে (২৮ অক্টোবর) কেন্দ্র করে এক সপ্তাহে খুলনায় নেতা-কর্মীদের নামে ১৫টি মামলা এবং দেড় শতাধিক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। এ ছাড়া এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে প্রায় দুই হাজার নেতা-কর্মীকে।
এর মধ্যে খুলনা মেট্রোপলিটনে (কেএমপি) নতুন ৩টি ও জেলার ৯টি থানায় নতুন ১২টি মামলা করেছে পুলিশ।
দলটির খুলনা মিডিয়া সেলের সদস্য মিজানুর রহমান মিলটন অভিযোগ করে বলেন, এজাহার নামীয় আসামি না হলেও নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে বিভিন্ন থানায় দায়ের করা মামলায় আদালতে পাঠাচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান সারোয়ারকে আটক করেছে পুলিশ: রিজভী
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মাহমুদ আলী, দাকোপ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল মান্নান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মান্নান মিস্ত্রিসহ দেড় শতাধিক নেতা-কর্মীকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খানকে পুলিশ গ্রেপ্তার দেখিয়েছে বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা এলাকা থেকে।
বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শওকত কবির গণমাধ্যমকে জানান, বুধবার বটিয়াঘাটা থানায় হওয়া বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার জলমা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
খুলনা মহানগরীর তিন থানায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা ৩টি মামলায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পিসহ মোট আসামি করা হয়েছে ১ হাজার ২৮৭ জনকে।
আরও পড়ুন:মির্জা ফখরুলের মুক্তির দাবি ৬৮ জন বিশিষ্ট নাগরিকের
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) তেরখাদা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
তেরখাদা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফখরুল ইসলাম বাবু বলেন, মামলায় আমার বাবাকে আসামি করা হয়েছে, তিনি ১১ বছর আগে মারা গেছেন। আমাকে ১০ নম্বর আসামি করা হয়েছে। ২ নভেম্বর তেরখাদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) চঞ্চল কুমার হালদার বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরদার মোশাররফ হোসেন বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলাটি গ্রহণ করেন। মামলায় মোট ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও অজ্ঞাতনামা দেড়শ’ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
খুলনা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মান্নান মিস্ত্রিকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে পুলিশ। মান্নানের ভাগ্নি মুন্নি খাতুন জানান, বুধবার (১ নভেম্বর) বিকালে সাদা পোশাকের ৮ জন নিরালা এলাকায় মান্নানের ভাড়া বাসায় প্রবেশ করে।
আরও পড়ুন: বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: রিজভী
এ ছাড়া গত মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) খুলনা সদর থানায় এসআই খালিদ উদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় মোট ৪৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
খুলনা সদর থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
অপরদিকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খান, সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, নগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম জহিরসহ বিএনপির দুই শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক মামলা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার(৩১ অক্টোবর) রাতে সোনাডাঙ্গা থানার এসআই নিয়াজ মোর্শেদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন: আমীর খসরুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক বিএনপির
ঢাকা বিমানবন্দরে ৬,২৭৫ ইয়াবা জব্দ, রোহিঙ্গা পরিবারের ৬ সদস্য আটক
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৬ হাজার ২৭৫টি ইয়াবা ট্যাবলেটসহ বৃহস্পতিবার রোহিঙ্গা পরিবারের ৬ সদস্যকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা।
তারা হলেন- মো. রুবেল (১৫), তার ফুফু আছিয়া বেগম (২৫), তার চাচি জোহুরা বেগম (৩০), আছিয়া বেগমের স্বামী আলী আহমদ (২৮), আছিয়া বেগমের ৭ মাসের সন্তান উমায়ের হোসেন এবং জহুরা বেগমের ১০ মাসের সন্তান উম্মে ছালমা।
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক বিষয়টি শুক্রবার বিকালে নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় নভোএয়ারের কক্সবাজার ফ্লাইটে ঢাকায় অবতরণ করে পরিবারটি।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ৫০ হাজার ইয়াবা জব্দ, 'মিয়ানমার নাগরিক' আটক: বিজিবি
তিনি বলেন, তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দারা তাদের পরিচয় ও ইয়াবা নিয়ে প্রশ্ন করলে তারা তাদেরকে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে পরিচয় দেন এবং ইয়াবা থাকার কথা অস্বীকার করেন।
এপিবিএনের উক্ত কর্মকর্তা বলেন, উত্তরার একটি ক্লিনিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তাদের পেটে ইয়াবার উপস্থিতি ধরা পড়ে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রুবেল, আছিয়া ও জোহুরার পেট থেকে ট্যাবলেটগুলো উদ্ধার করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা কক্সবাজারের লেদা ক্যাম্পের অধিবাসী এবং ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে তারা সেখান থেকে বাস্তুচ্যুত হন।
এ ঘটনায় তাদের আসামি করে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে ১৯০০০০ ইয়াবা জব্দ
নাটোরে চুরি হওয়া ৯৩০ কেজি ভোজ্য তেল জব্দ, আটক ১
নাটোরের নলডাঙ্গা বাজারের একটি দোকান থেকে চুরি হওয়া ৯৩০ কেজি ভোজ্য তেল জব্দ করা হয়েছে। এ সময় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার ভোরে সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া এলাকায় অভিযান চালানোর সময় ভোজ্য তেলসহ পিকআপের চালককে আটক করে নলডাঙ্গা থানা পুলিশ।
আটক পিকআপ চালক গোলাম হোসেনের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ৩১টি বোমা জব্দ, জামাত-বিএনপির ১৮ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে একদল দুর্বৃত্ত নলডাঙ্গা বাজারের তেল ব্যবসায়ী আব্দুস সালামের বন্ধ দোকানের সামনে রাখা ৫টি ব্যারেলে থাকা ৯৩০ কেজি সয়াবিন ও পাম তেল পিকআপে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, বাজারের নৈশ প্রহরী বিষয়টি পুলিশ ও দোকান মালিককে জানান। এরপরই পুলিশ অভিযান শুরু করে। ভোরে নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া এলাকায় ধাওয়া করে তেলসহ পিকআপটি আটক করা হয়।
এ সময় পিকআপে থাকা অন্যরা পালিয়ে গেলেও চালক গোলাম হোসেনকে আটক করে পুলিশ। তার বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বলে জানান ওসি আবুল কালাম।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ১: র্যাব
কক্সবাজারে ৫০ হাজার ইয়াবা জব্দ, 'মিয়ানমার নাগরিক' আটক: বিজিবি
আটকের ৪৮ ঘণ্টায়ও খুলনা ছাত্রদল সভাপতির সন্ধান মেলেনি: পরিবার
খুলনা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মান্নানকে তার বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পরও নিখোঁজ রয়েছেন বলে শুক্রবার অভিযোগ করেন তার পরিবার।
তার ভাগ্নি মুন্নি খাতুন জানান, বুধবার দুপুরে নগরীর নিরালা আবাসিক এলাকার ভাড়া বাসা থেকে সাদা পোশাকে কয়েকজন লোক তাকে তুলে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘বুধবার দুপুরে নিরালা ভাড়া বাসায় সাদা পোশাকে ৮ জন ব্যক্তি প্রবেশ করেন। তাদের সবার কাছেই অস্ত্র ছিল। তারা তাকে তুলে নিয়ে যান। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানান। এরপর থেকে মামার কোনো খোঁজখবর পাচ্ছি না।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান সারোয়ারকে আটক করেছে পুলিশ: রিজভী
খুলনা জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী শহিদুল ইসলাম বলেন, এদিকে মান্নানের পরিবারের সদস্য ও ছাত্রদল নেতারা তার খোঁজে খুলনার বিভিন্ন থানা ও ডিবি কার্যালয়ে যান।
তিনি বলেন, ‘অবরোধের আগে ও পরে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের ৭-৮ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টায়ও জেলা সভাপতিকে আদালতে না পাঠানোয় আমরা উদ্বিগ্ন।’
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, আব্দুল মান্নান নামে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
খুলনার উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) বিএম নুরুজ্জামানও একই তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা আমীর খসরু আটক
গুলশানের একটি হোটেল থেকে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মী আটক
বিএনপি নেতা আমীর খসরু আটক
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গুলশানের বাসা থেকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গুলশানের বাসা থেকে আমীর খসরুকে আটক করে ডিবি পুলিশের একটি দল।
ডিবির একজন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও আলাল গ্রেপ্তার
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমীর খসরু মাহমুদের আটকের বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’
এর আগে মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর শাজাহানপুর এলাকা থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির ঢাকা উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুলসহ ৪ জন গ্রেপ্তার: রিজভী
শনিবার বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর নয়াপল্টন ও কাকরাইল এলাকায় ব্যাপক সহিংসতার পর রবিবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দুই নেতার বাড়িতে অভিযান চালালেও সেখানে তাদের পাওয়া যায়নি।
এদিকে ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে ঢাকা মহানগর হাকিম তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: গুলশানের একটি হোটেল থেকে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মী আটক