কুষ্টিয়া
জৈব সার ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে কুষ্টিয়ায় ঐতিহ্যবাহী পুতুল নাচ
জমিতে অতিরিক্ত মাত্রায় রাসনায়িক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সার ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদ সবজি, ফসল ও ফল উৎপাদনে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে কুষ্টিয়ায় হয়ে গেল গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পুতুল নাচ।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় মিরপুর উপজেলা কৃষি কার্যালয় ও কৃষিভিক্তিক ইউটিউব চ্যানেল কৃষিবিডি’র যৌথ উদ্যোগে এই পুতুল নাচ অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: অভিনব কায়দায় চলছে অতিথি পাখি শিকার
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জালাল আহম্মেদ বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পুতুল নাচের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদনের অভিনব এই কৌশল নিঃসন্দেহে কৃষকদের আরও উদ্বুদ্ধ করবে। এ ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কৃষি সম্প্রসারণ আরও বেগবান হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: মৃদু শৈত্যপ্রবাহ: পঞ্চগড়ে জনজীবনে দুর্ভোগ
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, কৃষি জমিতে যাতে অতিরিক্ত মাত্রায় কৃষকরা কীটনাশক ও রাসনায়িক সার ব্যবহার না করে এবং জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে নিরাপদ ফসল উৎপাদন করার লক্ষ্যে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতেই ব্যতিক্রমধর্মী এই আয়োজন।
কুষ্টিয়ায় ট্রাকচাপায় রিকশাচালক নিহত, গণপিটুনিতে আহত ১
কুষ্টিয়া শহরতলীর লাহিনী বটতলা এলাকায় ট্রাকচাপায় এক রিকশাচালক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা একজনকে গণপিটুনি দিয়েছে। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের লাহিনী বটতলা মোড় এলাকায় রাস্তার ওপরেই রিকশাচালক রিকশার ওপরে বসে ছিলেন। এমন সময় কুষ্টিয়া শহরের দিক থেকে একটি ট্রাক মোড় ঘুরতে গিয়ে রিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এ সময় ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই অজ্ঞাত পরিচয়ধারী রিকশা চালক (৪০) মারা যান। এ সময় ট্রাক আটকে ট্রাকের মালের মালিক জীবন হোসেনকে গণপিটুনি দেয় স্থানীয় জনতা। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে আহত অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহত রিকশাচালকের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। তবে চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
কুয়েট শিক্ষক সেলিমের লাশ ময়নাতদন্তে কুষ্টিয়ার চিকিৎসকদের অপারগতা,পাঠানো হচ্ছে ঢামেকে
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের লাশ ময়নাতদন্তে অপারগতা প্রকাশ করেছেন কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তারা অপারগতা প্রকাশ করায় সেলিম হোসেনের লাশ ঢাকা মেডিকেলের (ঢামেক) ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হচ্ছে।
বুধবার বিকেল ৪টার দিকে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করতে চিকিৎসকদের অপারগতার বিষয়টি গণমাধ্যমের কাছে নিশ্চিত করেছেন।
দাফনের ১৪ দিন পর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার সকাল ১০ টা ১০ মিনিটের সময় কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁশগ্রাম কবরস্থান থেকে উত্তোলন করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এর আগেই জেলার সিভিল সার্জন ডা. এ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আশরাফুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ড গঠন করে দেন। মেডিকেল বোর্ডের অপর দুই সদস্য হচ্ছেন হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রুমন রহমান ও ডা. মাহাফুজুর রহমান।
আরও পড়ুন: শিক্ষকের মৃত্যু: কুয়েটের ৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
সিভিল সার্জন ডা. এ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তিন সদস্য স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে (সিভিল সার্জনকে) এই অপারগতার বিষয়টি জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ‘সর্ব সম্মতিক্রমে বোর্ড এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, উক্ত লাশের সঠিক ময়নাতদন্তের জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বরাবর পাঠানো প্রয়োজন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিভিল সার্জনকে অনুরোধ জানানো হয়।’
এ সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে সিভিল সার্জন জানান, ময়নাতদন্ত করতে অপারগতার বিষয়টি একটি নজিরবিহীন ঘটনা। এর আগে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটেছে কিনা তার জানা নেই।
এদিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা ময়নাতদন্ত করতে অপারগতা প্রকাশ করায় ওই শিক্ষকের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. এ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় অনুমতি সম্পন্নের পর সন্ধ্যায় লাশ ঢাকায় নেয়ার প্রস্তুতি চলছিল।
ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করতে অপারগতা প্রকাশের বিষয়ে মেডিকেল বোর্ডের তিন সদস্যের কেউই গণমাধ্যমের কাছে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন বিষয়টি স্পর্শকাতর বিবেচনা করেই হয়তো স্থানীয় চিকিৎসকরা ময়নাতদন্তে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: ময়নাতদন্তের জন্য কুয়েট শিক্ষকের লাশ উত্তোলন
বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলনের সময় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ সাদাত, খুলনা খান জাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস এবং কুমারখালী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। লাশ উত্তোলনের সময় পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও বিপুল সংখ্যক মানুষ সেখানে ভিড় জমান। লাশ উত্তোলনের পর পরই ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ প্রহরায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা করা হয়।
এদিকে লাশ উত্তোলনের সময় শিক্ষক সেলিম হোসেনের বাবা শুকুর আলীসহ স্বজনরা গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন, সেলিমকে হত্যা করা হয়েছে। তারা এই হত্যার সঠিক বিচার চান।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে ড. সেলিম হোসেনের লাশ কবর থেকে উত্তোলনের খবর পেয়ে বাঁশগ্রাম কবরস্থানে শত শত উৎসুক নারী পুরুষ উপস্থিত হন। থানা পুলিশ ও একজন মেডিকেল অফিসার সেলিমের কবরস্থানের কাছে আসেন। এ সময় তার বাবা শুকুর আলী, তার দুই মেয়ে শিউলী ও শ্যামলীসহ নিকট আত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরও লাশ উত্তোলনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা অন্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হননি।
পরবর্তীতে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. ফারহান লাবিব উপস্থিত সবাইকে জানান, সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার কারণে লাশ আজ (মঙ্গলবার) কবর থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে না। বুধবার সকাল ৮টায় ড. সেলিম হোসেনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হবে।
আরও পড়ুন: কুয়েট বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ
প্রসঙ্গত, গত ৩০ নভেম্বর মঙ্গলবার কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী অধ্যাপক সেলিমের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর ওই শিক্ষক বাসায় ফিরে মারা যান।
অভিযোগ উঠেছে, সেজানসহ ওই শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক সেলিমকে লাঞ্ছিত করেছিলেন, যা তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। পরদিন ১ ডিসেম্বর বুধবার অধ্যাপক সেলিমকে তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁশগ্রামে দাফন করা হয়।
সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কবর থেকে তার লাশ তুলে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুষ্টিয়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে বলা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার তার লাশ তোলা হয়েছে।
এ ঘটনায় খুলনার খানজাহান আলী থানার পরিদর্শক তদন্ত শাহরিয়ার হাসান অধ্যাপকের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য গত ৫ ডিসেম্বর দুপুরে খুলনার জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন জানান। পরবর্তীতে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ৬ ডিসেম্বর খুলনা জেলা প্রশাসক কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কাছে একটি চিঠি পাঠান।
ওই চিঠিতে বলা হয়, কুয়েটের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আনিছুর রহমানের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যাপক সেলিম হোসেনের মৃত্যুকে অস্বাভাবিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তাতে মৃত্যুর সঠিক কারণ অনুসন্ধানের কথা বলা হয়েছে।
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পুঁড়িয়ে হত্যার দায়ে কুষ্টিয়ায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
কুষ্টিয়ার মিরপুরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো.তাজুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত শাহিনুল ইসলাম (৩৫) মিরপুর উপজেলার নওদা খাড়ারা গ্রামের শাজাহান মালিথার ছেলে।
কুষ্টিয়া জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে হত্যা মামলায় নারীসহ দু’জনের মৃত্যুদণ্ড
আদালত সূত্র জানায়, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ২০১৪ সালে ৯ অক্টোবর রাতে শাহিনুল ইসলাম তার সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী চম্পার শাড়ি ও ঘরের বেড়ায় কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে চম্পার শরীরের অধিকাংশ স্থান আগুনে ঝলসে যায়। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চম্পার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের চাচা শাহাদাত আলী বাদী হয়ে চম্পার স্বামী শাহিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
পরে আদালত এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ১৩ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পরপরই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রী নিহত
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক স্কুলশিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার তালবাড়িয়া ইউনিয়নের রানাখড়িয়া শিমুলতলা বালুঘাট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিক্ষার্থী তোয়া খাতুন (১১) পাবনা জেলার সদর উপজেলার মোকাররম মুন্সির মেয়ে।
তালবাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) শ্যামা প্রসাদ রায় ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, সকালে মোকাররম মুন্সি, তার স্ত্রী ও মেয়ে তোয়াকে নিয়ে মোটরসাইকেলে পাবনা থেকে কুষ্টিয়ায় এক আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বালুঘাট এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যায় তোয়া। এ সময় পেছন থেকে আসা একটি ট্রাক তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় পাঠাও চালক নিহত
মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আলিম পরীক্ষার্থী নিহত
সুনামগঞ্জে বরযাত্রীবাহী গাড়ি দুর্ঘটনায় ৩ শিশু নিহত
গানের তালে ধান কেটেছে কুষ্টিয়ার কৃষকরা
কৃষি কাজে কৃষকদের আরও উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি চিত্ত-বিনোদনের লক্ষ্যে কুষ্টিয়ার মিরপুরে ধান কাটা অবস্থায় গানের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলার আমলা ইউনিয়নের অঞ্জনগাছী গ্রামের মাঠে ‘কৃষিবিডি’ এর উদ্যোগে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: আনন্দে কৃষক, জগন্নাথপুরে আমন ধান কাটা শুরু
এ প্রতিযোগিতায় উক্ত মাঠে আমন ধান কাটারত পাঁচ জন কৃষক অংশ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে তিন জন বিজয়ী হন। প্রতিযোগিতায় স্থানীয়, নিজেদের লেখাসহ মাঠে কাজ করার সময় গাওয়া বিভিন্ন ধরনের গান পরিবেশন করেন প্রতিযোগিরা।
অনুষ্ঠানে কৃষিবিডির পরিচালক জাহিদ হাসানের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে পুরষ্কার বিতরণ করেন কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সচিব কাঞ্চন কুমার।
কৃষক বিনোদনের ব্যতিক্রমধর্মী এ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন কৃষক ইউনুস আলী, কৃষি শ্রমিক লিংকন আলী দ্বিতীয় ও কৃষক মিজানুর রহমান তৃতীয় স্থান অধিকার করেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় আমন ধান সংগ্রহ নিয়ে শঙ্কা
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হাবিবুর রহমান, সমাজসেবক কামরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার হিসেবে বাঁশের তৈরি মাথাল, ধান কাটার কাস্তে ও গামছা তুলে দেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।
দেশি প্রকৌশলীদের চেষ্টায় সচল গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের পাম্প
বিদেশি প্রকৌশলী ছাড়াই দীর্ঘ চার বছর পর দেশি প্রকৌশলীদের চেষ্টায় গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের তিন নম্বর পাম্প সংস্কার করা সম্ভব হয়েছে। পাম্পটি সচল হওয়ায় আগামী বোরো মৌসুমে জিকে সেচ প্রকল্পের সেচ সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এতে তিনটি পাম্পের সাহায্যে কুষ্টিয়াসহ চার জেলার কৃষকদের পানির প্রয়োজন মেটানো সম্ভব হবে।
জানা গেছে, ২০০৫ সালে স্থাপিত জিকে মূল পাম্পের তিন নম্বর পাম্পটি ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল অকেজো হয়ে যায়। গত চার বছর দুটি পাম্প দিয়েই কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মাগুরা জেলার ১৩ উপজেলায় সেচ কাজ সচল রেখেছিল জিকে কর্তৃপক্ষ। পাম্পটি অকেজো থাকায় সেচ কাজ ব্যাহত হয়ে আসছিল। অকেজো হয়ে যাওয়া ৩৭ হাজার হর্স পাওয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন পাম্পটি মেরামতের জন্য জাপানি ইবারা কোম্পানি ১৭ কোটি টাকা দাবি করলে পানি উন্নয়ন বোর্ড শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিটাককে পরামর্শক নিয়োগ দেয়।
আরও পড়ুন: বাড়ছে খুলনার চুইঝালের কদর, যাচ্ছে থাইল্যান্ডে
গত বছর ৬ ফেব্রুয়ারি বিটাক অটোকন ইঞ্জিনিয়ারিংকে তিন নম্বর পাম্পটি মেরামতের জন্য তিন কোটি ৭১ লাখ টাকায় চুক্তি সম্পাদন করেন। অটোকন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দেশি প্রকৌশলীরা দীর্ঘদিনের চেষ্টায় প্রায় মাসখানেক আগে তিন নম্বর পাম্পটি সচল করতে সক্ষম হয়েছে। পাম্পটি সচল হওয়ায় একদিকে কৃষকেরা নিজেদের চাহিদা মত সেচের পানি যেমন পাবে তেমনি আগামী বোরোতে স্বল্প খরচে অধিক ফসল ফলাতে পারবে কৃষকেরা।
জিকের পানি দিয়ে ধানসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদন করেন কুষ্টিয়াসহ চার জেলার কয়েক হাজার কৃষক। এতদিন দুটি পাম্প মেশিন সচল থাকায় সময়মতো পানি পেতে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে কৃষকদের। তবে ড্রেনেজ ব্যবস্থা সঠিক না থাকায় জিকের বেশির ভাগ পানি অপচয় হয়। খাল খনন কাজ সময়মতো না হওয়ায় পানি ক্ষেত্রে পৌঁছাতে নানা সমস্যায় পড়তে হয়। এসব কারণে গ্রামের খালখনন ও সংস্কারের দাবি কৃষকদের।
এদিকে বিটাকের সহযোগিতায় অটোকন ইঞ্জিনিয়ারিং দেশি প্রকৌশলীদের নিয়ে দেশ ও দেশের বাইরে পাম্প সংস্কারের কাজ করতে পারবে বলে জানান অটোকন ইঞ্জিনিয়ারিং এর কর্মকর্তা। একই সাথে এ ধরনের সাফল্যের পর অন্যান্য কাজে অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ করা সম্ভব বলেও মনে করেন প্রকৌশলীরা।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতার ৫০ বছরেও স্বীকৃতি মেলেনি মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলীর
অটোকন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ভারি পাম্প বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ বলেন, ‘দেশে এ ধরনের সফলতা তাদের প্রথম। তারা বাইরের কোন সহযোগিতা ছাড়াই নিজেরাই এমন কাজ করতে সক্ষম হয়েছে। এতে তাদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে।’
অটোকন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আলী আজাদ মনে করেন, এখন দেশের বাইরেও তারা পাম্প মেরামতের জন্য কাজ করতে পারেন। দেশে এ ধরনের কাজ করতে পারায় সরকারের অনেক অর্থ সাশ্রয় হয়েছে। পাশাপাশি দেশে যে এ ধরনের কাজ করা যায় তার নজির সৃষ্টি হয়েছে। সামনে তারা আরও জটিল কাজও সমাধান করতে পারেন বলে বিশ্বাস করেন।
তিন নম্বর পাম্পটি সচল হওয়ায় আগামীতে কৃষদের চাহিদা মত পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে জানান জিকে পাম্প হাউজের ইনচার্জ প্রকৌশলী মিজানুর রহমান।
আরও পড়ুন: কয়লার দাম বৃদ্ধি: খুলনায় ১৫ দিনে ২ শতাধিক ইটভাটা বন্ধ
তিনি জানান, জিকের পানির ওপর নির্ভর করে চার জেলার কৃষক। চাপ বেড়ে গেলে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। পদ্মায় পানি প্রবাহ স্বাভাবিক থাকলে তিনটি পাম্পের সাহায্যে চার জেলার কৃষকদের পানির প্রয়োজন মেটানো সম্ভব। পাশাপাশি পাম্প মেরামতে সরকারের প্রচুর অর্থ সাশ্রয় হয়েছে। এটাও একটা ভালো দিক।
জিকে সেচ হাউজের প্রতিটি পাম্প সেকে এক হাজার তিনশ কিউসেক পানি পদ্মা নদী থেকে উত্তোলন করে সেচ খালে দিতে পারে বলেও জানান তিনি।
ইবির শাপলা ফোরামের নির্বাচন শনিবার
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আওয়ামী লীগপন্থী প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরামের নির্বাহী পরিষদের নির্বাচন শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার শাপলা ফোরামের নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক সারোয়ার মুর্শেদ বলেন, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মমতাজ ভবনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সভাপতি ও সাধারণ সম্পদকসহ ১৫টি পদের বিপরীতে ৩০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
সারোয়ার মুর্শেদ বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার ইবির ‘ডি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ
ইবিতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
সংস্কারের ৪ মাসের মধ্যে আবারও দেবে গেল কুষ্টিয়ার আঞ্চলিক মহাসড়ক
সংস্কারের মাত্র চার মাসের মাথায় আবারও কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমারখালী বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন গোলচত্ত্বর এলাকায় সড়কের দুইপাশ দেবে গেছে। এতে স্বাভাবিক চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়ক দিয়ে যাতায়ত করতে গিয়ে পরিবহন চালক ও পথচারীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত কয়েক মাস আগেও গোলচত্ত্বর এলাকায় একই মহাসড়ক দেবে গিয়েছিল। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা মেরামত করেছিল। কিন্তু মাত্র চার মাসের মাথায় মহাসড়ক আবারও দেবে গেছে। তাদের দাবি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণেই বার বার সড়কটি দেবে যাচ্ছে।
সরেজমিনে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গোলচত্ত্বর সংলগ্ন পশ্চিম-উত্তর মহাসড়কের কিছু অংশ দেবে গেছে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আঞ্চলিক এই মহাসড়কটি দিয়ে প্রতিদিনই হাজার হাজার বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার ও মাইক্রো, ব্যাটারিচালিত অটোসিএনজি, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেলসহ বিভিন্ন প্রকারের ছোট বড় যানবাহন ও মানুষ চলাচল করে। বাসস্ট্যান্ড এলাকাটি উপজেলার মধ্যভাগে অবস্থিত হওয়ায় সকল যানবহন ও জনগণ এই স্থান দিয়েই চলাচল করে থাকেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মাত্র আট মাস আগে এই মহাসড়কটি পুন:নির্মাণ শেষ হয়েছে। পুন:নির্মাণ শেষ হওয়ার মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে চলতি বছরের জুনের দিকে গোলচত্ত্বর এলাকায় সড়ক দেবে যায়। পরে গত ২০ জুন দেবে যাওয়া ওই অংশ মেরামত করা হয়। কিন্তু বর্তমানে আবার সড়ক দেবে চলাচলে ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় চালের দাম বাড়ল
এই সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী বাস চালক ইলিয়াস হোসেন জানান, প্রতিদিনই তিনি এই মহাসড়ক দিয়ে বাস নিয়ে যান। কিন্তু বেশ কিছু দিন ধরে দেখা যাচ্ছে সড়কের দুই দিকে দেবে গেছে। এতে যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাদেরকে ঝুঁকি নিয়েই এই মহাসড়ক দিয়ে যাতাযত করতে হচ্ছে।
কুষ্টিয়ায় ৫ জমজ শিশুর চারজনের মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় জন্ম নেওয়া জমজ পাঁচ শিশুর মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। একমাত্র জীবিত শিশুটির অবস্থাও সংকটাপন্ন বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আশরাফুল আলম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পাঁচ জনের মধ্যে চার নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বুধবার সকালে পাঁচ নবজাতকের মধ্যে একমাত্র ছেলেশিশুটি এবং দুপুর আড়াইটা ও সাড়ে তিনটার দিকে দুই কন্যা সন্তান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। এদিন বিকালে আরেকটি মেয়েশিশু মারা যায়।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে প্রথমবারের মতো নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে এক সাথে পাঁচ জমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন গৃহবধূ সাদিয়া খাতুন (২৪)। পাঁচ শিশুর মধ্যে একটি ছেলে সন্তান বাকি চার জন মেয়েশিশু ছিলো।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় জমজ ৫ নবজাতকের তিনজনের মৃত্যু, দু’জনের অবস্থা সংকটাপন্ন
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে,গর্ভধারণের পাঁচ মাসের মাথায় জন্ম নেওয়া শিশুগুলোর ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম ছিলো। বাচ্চাদের ওজন ছিলো ৪৩০ গ্রাম থেকে ৬৫০ গ্রামের মধ্যে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন জানান, শিশুগুলোর ওজন কম হওয়ায় চিকিৎসকরা তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু আর্থিক অসঙ্গতির কারণে শিশুদের পরিবার তাদের ঢাকায় নিয়ে যেতে ব্যর্থ হন। জন্মের পর থেকে শিশুগুলো অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে শিশু ওয়ার্ডে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। কিন্তু পাঁচ শিশুর মধ্যে চার জনকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। বাকি এক জনের অবস্থাও সংকটাপন্ন।
শিশুদের মা সাদিয়া খাতুন কুষ্টিয়ার কুমাররখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের পান্টি গ্রামের কলেজপাড়া এলাকার চা বিক্রেতা সোহেল রানার স্ত্রী। সোহেল রানা একই এলাকার সামাদ আলীর ছেলে।
শিশুদের পিতা সোহেল রানা জানান, সন্তান জন্মের পরপরই চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু তার মত একজন সামান্য চায়ের দোকানির পক্ষে এত ব্যয়বহুল চিকিৎসা করা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন:কুষ্টিয়ায় এক সাথে পাঁচ সন্তানের জন্ম!
ইউপি নির্বাচন: কুষ্টিয়ায় সংঘর্ষে আ'লীগের ১০ কর্মী আহত