নিখোঁজ
কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের একদিন পর গড়াই নদ থেকে শিক্ষকের লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়া পৌর এলাকায় নিখোঁজের একদিন পর গড়াই নদ থেকে এক স্কুল শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মঙ্গলবাড়িয়া বাঁধ সংলগ্ন গড়াই নদ থেকে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহত তারা শংকর সরকার (৪৫) জুগিয়া কানাবিল মোড় এলাকার শক্তিপদ সরকারের ছেলে। তিনি সদর উপজেলার স্বর্গপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী থেকে শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে তারা শংকর মানসিকভাবে বির্পযস্ত ছিলেন। সোমবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাননি।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে থানায় সাধারণ ডায়রি করেন নিহতের পরিবার। সন্ধ্যায় গড়াই নদীর মঙ্গলবাড়িয়া বাঁধ এলাকায় ভাসমান একটি লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন।
ওসি বলেন, খবর পেয়ে নিহতের পরিবার ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। তবে তার শরীরে আঘাতের তেমন কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় রাস্তায় লাশ ফেলে পালালেন নারী
মৌচাক-মালিবাগ ফ্লাইওভারের নিচ থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার
ভারতের সিকিমে আকস্মিক বন্যায় নিহত ১৪, নিখোঁজ শতাধিক
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য সিকিমের বেশ কয়েকটি শহরে আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ১৪ জন নিহত এবং শতাধিক মানুষ নিখোঁজ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সিকিম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুধবারের বন্যার পরে দুই হাজারেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। রাজ্য কর্তৃপক্ষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২২ হাজারেরও বেশি মানুষের জন্য ২৬টি ত্রাণ শিবির স্থাপন করেছে।
বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) জানিয়েছে, ১০২ জন নিখোঁজ রয়েছে।
রাজ্যের সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছে, বন্যায় ১৪ জন মারা গেছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিখোঁজদের মধ্যে ২২ জন সেনা সদস্য রয়েছে। বন্যার কারণে কিছু সেনা ক্যাম্প ও যানবাহন কাদায় তলিয়ে গেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বুধবার নিখোঁজ হওয়া এক সেনা সদস্যকে কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করেছে।
কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ১১টি সেতু বন্যার পানিতে ভেসে গেছে এবং চারটি জেলার ২৭০টিরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের শিমলায় ভূমিধসে ২১ জনের মৃত্যু: মুখ্যমন্ত্রী সুখু
সিকিম রাজ্যের লাচেন উপত্যকায় তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে এবং একটি বাঁধের কিছু অংশ ভেসে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে পড়েছে।
রাজ্যের শিক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, তিস্তার পাড়ের ডিকচু ও রংপোসহ বেশ কয়েকটি শহর বন্যায় প্লাবিত হয়েছে এবং রবিবার পর্যন্ত চারটি জেলার স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের রাজধানী সিকিমের সঙ্গে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে সংযোগকারী একটি মহাসড়কের কিছু অংশ ভেসে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বন্যার পরে সরকার রাজ্য কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করবে।
আকস্মিক ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত এই অঞ্চলে বন্যা ও ভূমিধস হতে পারে, যা হাজার হাজার মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। রাজ্যের ১০ বর্গ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে এক ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
নিকটবর্তী হিমাচল প্রদেশে গত আগস্টে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
জুলাই মাসে রেকর্ড বৃষ্টিতে উত্তর ভারতে জলাবদ্ধ ও বাড়িঘর ধসে পড়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল।
জুন-সেপ্টেম্বরে বর্ষা মৌসুমে ভারতের হিমালয় অঞ্চলে ভূমিধস ও বন্যায় প্রায়ই প্রাণহানি ঘটে।
আরও পড়ুন: ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভূমিধসে ৫ তীর্থযাত্রী নিহত
বিজ্ঞানীরা বলছেন, গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর কারণে এ অঞ্চলে আরও ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানছে।
বুধবারের আকস্মিক বন্যার বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভেলপমেন্টের জলবায়ু বিজ্ঞানী জ্যাকব স্টেইনার বলেছেন, ‘এটি দুঃখজনকভাবে সত্যি যে অনিবার্যভাবে এ ধরনের দুর্যোগ বাড়তেই থাকবে।’
এই বছরের শুরুতে স্টেইনারের সংস্থা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, যদি বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণ করা না হয়, তবে হিমালয়ের হিমবাহগুলোর আয়তন ৮০ শতাংশ কমতে পারে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে উত্তর ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যে আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ২০০ মানুষ মারা যায় এবং বিপুল সংখ্যক ঘরবাড়ি পানিতে ভেসে যায়।
আরও পড়ুন: ভারতে সেতু নির্মাণে ব্যবহৃত ক্রেন ধসে ১৬ শ্রমিক নিহত
তিস্তায় নিখোঁজের ১৬ ঘন্টা পর শিশুর লাশ উদ্ধার
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের তিস্তা নদীতে নিখোঁজের ১৬ ঘন্টা পর মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) মহসিন মিয়া (৬) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শিশুটি গত ২ অক্টোবর বিকালে বাবা নওশা মিয়ার সঙ্গে তিস্তা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়।
আরও পড়ুন: পূর্বধলায় রাস্তার পাশ থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার তালুক বেলকা গ্রামের তিস্তার শাখা নদীতে শিশু মহসিন মিয়া তার বাবার সঙ্গে মুঠোজাল নিয়ে মাছ ধরতে যায়। মাছ ধরার একপর্যায়ে ওই শিশু তার বাবার অজান্তে নদীর পানিতে ডুবে যায়। নিখোঁজের পর থেকেই ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল, পুলিশ ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধারে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে প্রায় পাঁচ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়েও তারা উদ্ধার করতে পারেনি। প্রবল স্রোতের কারণে ওই শিশুর লাশ তিস্তার শাখা নদীতে ভেসে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে কিশামত সদর গ্রামের কাজিউলের দোকান সংলগ্ন নদীতে থাকা একটি গাছের গুঁড়িতে লাশটি আটকে থাকে। আজ সকালে গ্রামবাসী লাশটি দেখতে পেয়ে স্বজনদের খবর দেয়। পরে স্বজনরা শনাক্ত করে লাশটি উদ্ধার করেন।
বেলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহিম খলিলুল্যাহ বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, নিখোঁজের প্রায় ১৬ ঘন্টা পর তিস্তার শাখা নদী থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সুন্দরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিলন চ্যাটার্জি বলেন, কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এঘটনায় সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার করল পিবিআই
খুলনায় ডোবা থেকে ১৯ মাসের শিশুর লাশ উদ্ধার
বগুড়ায় নিখোঁজের ১৩ দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার
বগুড়ায় নিখোঁজের ১৩ দিন পর বাড়ির পাশের ডোবাতে পুঁতে রাখা অবস্থায় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শুক্রবার(২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে জেলার শাজাহানপুর উপজেলার খাদাস পশ্চিমপাড়া এলাকা থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সাগর ইসলাম(২৩)ওই এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে নদী থেকে মা ও দুই ছেলে হাত বাঁধা লাশ উদ্ধার
গ্রেপ্তাররা হলেন- খাদাশ পশ্চিমপাড়া এলাকার আবু মুছা(৩৮), মো. কালাম(২৬) ও খাদাস আলুবাড়ি এলাকার বাবলু হোসেন(২৫)।
পিবিআই বগুড়ার পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবীর বলেন, ' গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে সাগরকে ডেকে নেয় আসামিরা। এ ঘটনায় সাগরের মা ঝর্না বেগম বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে শাজাহানপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
এরপর পিবিআই বগুড়া তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মুছা নামে এক আসামিকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে মুছা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন এবং সাগরের লাশের সন্ধান দেন। এরপর শুক্রবার দুপুরে সাগরের বাসার অদূরেই ডোবা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। মুছার দেওয়া তথ্যমতে আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, অপহরণ করে টাকা আদায় করার জন্য সাগরকে হত্যা করা হয়। প্রথমে তারা গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ এবং পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাগরকে হত্যা করে লাশ পুঁতে রাখে।
সাগরের চাচা রায়হান ইসলাম বলেন, আমাদের ধারণা মাদকসংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে সাগরকে তারা নৃশংসভাবে হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় পল্লী চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার
চলতি বছর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে ২৫০০ অভিবাসনপ্রতাশী নিহত বা নিখোঁজ
চলতি বছর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করার সময় ২৫০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে। এ সময় প্রায় ১ লাখ ৮৬ হাজার মানুষ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অনুপ্রবেশ করেছেন।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআই কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) অফিসের পরিচালক রুভেন মেনিকদিওয়েলা তার রিপোর্টে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়া ১ লাখ ৮৬ হাজার মানুষের মধ্যে ৮৩ শতাংশ, যা প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ ইতালিতে অনুপ্রবেশ করেছে।
তিনি বলেছেন, এ ছাড়া গ্রিস, স্পেন, সাইপ্রাস ও মাল্টাসহ আরও কিছু দেশেও লোকেরা অনুপ্রবেশ করেছে।
রুভেন মেনিকদিওয়েলা তার রিপোর্টে নিরাপত্তা পরিষদকে জানিয়েছেন, বিপজ্জনক সমুদ্র পারাপারে মারা যাওয়া বা নিখোঁজ হওয়া মানুষের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় এ বছর বেড়েছে।
তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়া ২৫০০ জনেরও বেশি মানুষ মৃত বা নিখোঁজ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।’
২০২২ সালের একই সময়ে মারা যাওয়া বা নিখোঁজ হওয়া মানুষের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৬৮০ জন।
মেনিকদিওয়েলা আরও বলেছেন, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা অভিবাসপ্রত্যাশী মানুষদের সমুদ্রে বা স্থল পথে ইউরোপে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকে সমান বিপজ্জনক বলে মনে করে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি কাউন্সিলকে ব্যাখ্যা করেন যে কীভাবে ভূমধ্যসাগর পার হওয়ার জন্য অভিবাসনপ্রতাশীরা সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলো থেকে ঝুঁকিপূর্ণ পথ পাড়ি দিয়ে তিউনিসিয়ান ও লিবিয়ান উপকূলে পৌঁছান।
এই স্থল যাত্রাকে তিনি ‘বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক’ যাত্রা হিসেবে অভিহিত করেছেন।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরলেন ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার ৩০ বাংলাদেশি
তিনি আরও বলেন, স্থলপথে জনশূন্য প্রান্তরেও বহু মানুষ প্রাণ হারায়।
ইউএনএইচসিআর কর্মকর্তার মতে, অভিবাসনপ্রত্যাশী ও উদ্বাস্তুরা ‘প্রতি পদে মৃত্যু এবং চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকিতে রয়েছে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বছর ১ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ তিউনিসিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, যা গত বছরের তুলনায় ২৬০ শতাংশ বেড়েছে।
তিনি বলেন, যেখানে ৪৫ হাজারেরও বেশি মানুষ লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করে।
এ ছাড়া ইউএনএইচসিআর-এর উত্থাপিত পরিসংখ্যানগুলো আন্তর্জাতিক অভিবাসন অফিসের (আইওএম) পরিচালক পার লিলজার্টের তথ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
লিলজার্ট নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, আইওএম এর সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ৮৭ হাজারেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দুঃখজনকভাবে এ সময়ের মধ্যে আইওএম ২ হাজার ৭৭৮ জনের মৃত্যুর তথ্য পেয়েছে। যার মধ্যে ২ হাজার ৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় পথে।
তিনি বলেন, এত বিপজ্জনক হওয়া সত্ত্বেও ২০২৩ সালে এই রুট ধরে গ্রিসে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আগমনের সংখ্যা ৩০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। তবে, স্পেনে এ সংখ্যা স্থির রয়েছে।
আইওএম জানায়, ইতালিতে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আগমন বেড়েছে।
২০২৩ সালে ১ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ ইতালিতে এসেছে। যেখানে ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৭০ হাজার।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরেছেন ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার হওয়া ১৩ বাংলাদেশি
বাংলাদেশিসহ ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ৪৩
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় নিখোঁজ ঝালমুড়ি বিক্রেতার লাশ উদ্ধার
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় নিখোঁজ ঝালমুড়ি বিক্রেতা তপন কুমারের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বাগাতিপাড়া মহিলা কলেজের পেছনের একটি আখ খেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্কুল শিক্ষিকা, গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার নিয়ে রহস্য!
পরিবার জানায়, লালপুর উপজেলার চংধুপইল এলাকার ঝালমুড়ি বিক্রেতা তপন কুমার পার্শবর্তী বাগাতিপাড়া পৌর এলাকায় ঝালমুড়ি বিক্রি করতেন। বৃহস্পতিবার থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। শুক্রবার একটি আখ খেতে তপনের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
বাগাতিপাড়া থারার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আযম খান জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার করল পিবিআই
তুরস্কে আরও ৪ জনের লাশ উদ্ধার করল বাংলাদেশ সম্মিলিত দল
তিস্তায় নিখোঁজের ১৬ দিন পর এইচএসসি পরীক্ষার্থী লাশ উদ্ধার
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় তিস্তা নদীতে গোসলে নেমে ১৬ দিন পর নিখোঁজ হওয়া শিক্ষার্থীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার নোহালী ইউনিয়নের সাপমারি এলাকায় ডুবে যাওয়া স্থান থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ভেসে উঠে এইচএসসি পরীক্ষার্থী নাইস আহমেদের লাশ।
আরও পড়ুন: নাটোরে নিজ ঘর থেকে আরেক বৃদ্ধের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার
নাইস আহমেদ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের গনেশের বাজারের মোনাব্বের হোসেনের ছেলে। এ বছর আনোয়ারমারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।
এ বিষয় গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেন বলেন, লাশ ভাসার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে লাশটি শনাক্ত করে পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে উপজেলার নোহালী ইউনিয়নের কচুয়া বাজারসংলগ্ন তিস্তা নদীতে ৬ বন্ধু গোসল করতে যান। এরপর তারা নদীতে গোসলে নামলে ৬ বন্ধুই তিস্তার স্রোতে তলিয়ে যেতে থাকেন।
এক বন্ধু কেনো রকমে সাঁতরে পাড়ে উঠলেও বাকি ৫ বন্ধু স্রোতের টানে তলিয়ে যেতে ধরেন। এসময় ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন নৌকা দিয়ে ৩ জনকে উদ্ধার করতে পারলেও অন্য দুইজন সেখানেই নিখোঁজ হন।
তারা দুজনেই এসএইচসি পরীক্ষার্থী। নিখোঁজের ৩৪ ঘণ্টা পর ডুবে যাওয়া স্থান থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে ভেসে ওঠে মুন্না আহমেদ নামে এক পরীক্ষার্থীর লাশ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার করল পিবিআই
তুরস্কে আরও ৪ জনের লাশ উদ্ধার করল বাংলাদেশ সম্মিলিত দল
লিবিয়ায় বন্যা: নিহত ১১ হাজার ছাড়িয়েছে, আরও ১০ হাজার নিখোঁজের অনুসন্ধান চলছে
লিবিয়ার প্লাবিত শহরে অনুসন্ধানকারীরা ১০ হাজারেরও বেশি নিখোঁজদের সন্ধান করছে। এরই মধ্যে যেখানে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ হাজারে।
লিবিয়ার কর্তৃপক্ষ শুক্রবার বন্যাকবলিত দেরনা শহরে প্রবেশ সীমিত করেছে, যাতে অনুসন্ধানকারীরা এখনও নিখোঁজ এবং মৃত বলে ধারণা করা ১০ হাজারেরও বেশি মানুষকে উদ্ধারের জন্য কাদা সরিয়ে ফাঁকা ভবনগুলোতে সহজে অনুসন্ধান করতে পারে।
কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, পানিবাহিত রোগের বিস্তার এবং সোমবার ভোরে দুটি বাঁধ ধসে পড়ায় শহরের ভেতরে পানির স্রোতে ভেসে যাওয়া বিস্ফোরক অস্ত্রের কারণে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: ইথিওপিয়ার আমহারা অঞ্চলে জুলাই থেকে অস্থিরতায় নিহত ১৮৩: জাতিসংঘ
তেল সমৃদ্ধ লিবিয়ায় এই বিপর্যয় কিছু বিরল ঐক্য নিয়ে এসেছে। যা বছরের পর বছর যুদ্ধ এবং গৃহযুদ্ধের পর দেশের পূর্ব ও পশ্চিমে বিভিন্ন মিলিশিয়া বাহিনী এবং আন্তর্জাতিক পৃষ্ঠপোষকদের সমর্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী সরকারের মধ্যে বিভক্ত। কিন্তু বিরোধী সরকারগুলো এই সঙ্কটের মোকাবিলায় লড়াই করেছে। তবে বিভ্রান্তিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলে সহায়তা পেতে অসুবিধা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি সেতু সহ দেরনার অবকাঠামো ধ্বংসের কারণে পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা ব্যাহত হয়েছে।
সাহায্যদানকারী গোষ্ঠীগুলো শহরে তাদের প্রবেশের সুবিধার্থে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। যাতে তারা খারাপভাবে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে প্রয়োজনীয় খাবার, বিশুদ্ধ পানি এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম বিতরণ করতে পারে। সঙ্কটের চার দিন পরে কেন্দ্রীয় তদারকির অভাব স্পষ্ট ছিল। ডের্নার কিছু অংশের মানুষ কিছু সরবরাহ এবং সম্পদ পেয়েছিল। তবে অন্যগুলোতে তাদের নিজেদের রক্ষা করার জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
লিবিয়ায় ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্সের মেডিকেল কো-অর্ডিনেটর মানোয়েল কার্টন বলেন, শহরে প্রবেশের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয় এবং ভেতরে প্রবেশের পর সারা দেশ থেকে স্বেচ্ছাসেবকদের খুঁজে পাওয়া যায়, যারা মাঝে মাঝে দের্নায় মানবিক কর্মীদের বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
তিনি বলেন, ‘সবাই সাহায্য করতে চায়। কিন্তু এটা বিশৃঙ্খল হয়ে উঠছে।’ ‘সমন্বয়ের একটি বড় প্রয়োজন আছে।’
পূর্ব লিবিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওথমান আব্দুলজালিল বলেছেন, দলগুলো শহরের বাইরে এবং আশেপাশের শহরগুলোতে গণকবরে লাশ দাফন করেছে।
তবে কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন যে আরও হাজার হাজার মানুষকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রসের আফ্রিকা বিষয়ক আঞ্চলিক ফরেনসিক ম্যানেজার বিলাল সাবলুহ বলেন, 'লাশগুলো রাস্তায় পড়ে আছে, তীরে ভেসে যাচ্ছে এবং ধসে পড়া ভবন ও ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে আছে।
তিনি বলেন, ‘মাত্র দুই ঘন্টার মধ্যে আমার একজন সহকর্মী দেরনার কাছে সমুদ্র সৈকতে ২০০ টিরও বেশি মৃতদেহ গণনা করেছেন।’
ডুবুরিরা ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলীয় শহরের পানিতেও অনুসন্ধান করছে।
আরও পড়ুন: মরক্কোয় শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৮০০, মারাকেচে ঐতিহাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত
কার্টন শুক্রবার বলেন, ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস টিমমের পরিদর্শন করা এলাকার রাস্তা থেকে বেশিরভাগ মৃতদেহ পরিষ্কার করা হয়েছে। তবে অন্যান্য গুরুতর লক্ষণও দেখা গেছে, যার মধ্যে রয়েছে যে তিনটি মেডিকেল সেন্টারের মধ্যে একটিতে তারা গিয়েছিল ‘কারণ প্রায় সমস্ত চিকিৎসা কর্মী মারা গিয়েছিল।’ তিনি বলেন, বন্যায় বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে বা বন্ধু বা আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে অবস্থান করছে।
বন্যা থেকে বেঁচে যাওয়া আদেল আয়াদ তার ভবনের চতুর্থ তলায় পানি উঠার সময় দেখার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘ঢেউগুলো মানুষকে ভবনের ওপর থেকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে, এবং আমরা দেখতে পেলাম মানুষ বন্যার পানিতে ভাসছে।’ তাদের মধ্যে প্রতিবেশীও ছিল।
পূর্ব লিবিয়ার অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি সেবার মহাপরিচালক সালাম আল-ফারগানি বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, দেরনা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হবে এবং কেবল অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলকেই প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। তবে শুক্রবার এ ধরনের প্রত্যাবাসনের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, জমে থাকা পানিবাহিত রোগ বিস্তারের পথ খুলে দেয়। তবে তিনি বলেছেন, মৃতদেহগুলো তাড়াহুড়ো করে দাফন বা গণকবরে রাখার দরকার নেই। কারণ এই জাতীয় ক্ষেত্রে মৃতদেহগুলো সাধারণত ঝুঁকি তৈরি করে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র ডাঃ মার্গারেট হ্যারিস জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আপনার কাছে প্রচুর জমে থাকা পানি রয়েছে। এর অর্থ এই নয় যে মৃতদেহগুলো একটি ঝুঁকি তৈরি করে, তবে এর অর্থ এই যে পানি নিজেই সমস্ত কিছু দ্বারা দূষিত।’ ‘সুতরাং আপনাকে সত্যিই নিশ্চিত করতে হবে যে মানুষের জন্য নিরাপদ পানির সরবরাহ রয়েছে।’
ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রসের মুখপাত্র আইমিন ট্রাবেলসি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, কাদায় আরেকটি বিপদ লুকিয়ে আছে। আর তা হলো দেশটির দীর্ঘায়িত সংঘাতের কারণে ফেলে যাওয়া ল্যান্ডমাইন ও অন্যান্য বিস্ফোরক।
লিবিয়ায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে অবশিষ্ট বিস্ফোরক রয়েছে, তবে বেশিরভাগই ২০১১ সালে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধের। আন্তর্জাতিক ল্যান্ডমাইন অ্যান্ড ক্লাস্টার মিউনিশন মনিটরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে লিবিয়ায় ল্যান্ডমাইন বা অন্যান্য অবশিষ্ট বিস্ফোরক অস্ত্রের আঘাতে প্রায় তিন হাজার ৪৫৭ জন নিহত বা আহত হয়েছেন।
বন্যার আগেও, ট্রাবেলসি বলেছিল যে এলাকাগুলো থেকে মাইন শনাক্ত এবং অপসারণের ক্ষমতা সীমিত ছিল। বন্যার পরে তিনি বলেছিলেন, বিস্ফোরক ডিভাইসগুলো ‘নতুন, অনাবিষ্কৃত এলাকায়’ নিয়ে যাওয়া হতে পারে। যেখানে তারা অনুসন্ধান দলগুলোর জন্য তাৎক্ষণিক হুমকি এবং বেসামরিক নাগরিকদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী হুমকি তৈরি করতে পারে।
কার্টন শহরে পানি-সম্পর্কিত রোগের প্রাদুর্ভাবের উদ্বেগের প্রতিধ্বনি করেছে। এর বাইরে, তিনি বলেছিলেন, বেঁচে থাকা, প্রত্যক্ষদর্শী এবং চিকিৎসা কর্মীদের মধ্যে ‘মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তার বিশাল প্রয়োজন’ রয়েছে।
লিবিয়ার রেড ক্রিসেন্টের মতে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেরনায় বন্যায় ১১ হাজার ৩০০ জন মারা গেছে। আরও ১০ হাজার ১০০ জন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যদিও তাদের মধ্যে অনেককে জীবিত পাওয়া যাবে এমন আশা নেই বলে জানিয়েছে সাহায্যকারী দলটি। ঝড়টিতে দেশের অন্যান্য স্থানেও প্রায় ১৭০ জন নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: লিবিয়ায় বন্যায় ২ হাজার মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা
লিবিয়ার গণমাধ্যম জানিয়েছে, এই দুর্যোগে কয়েক ডজন সুদানী অভিবাসী নিহত হয়েছে। দেশটি মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকান অভিবাসীদের জন্য একটি প্রধান ট্রানজিট পয়েন্ট হয়ে উঠেছে। যারা সংঘর্ষ এবং দারিদ্র্য থেকে পালিয়ে ইউরোপে একটি উন্নত জীবন খোঁজার জন্য পাড়ি জমায়।
বর্ষাকালে লিবিয়ায় প্রায়ই বন্যা দেখা দেয়। তবে খুব কমই এত ধ্বংসের ঘটনা ঘটে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ঝড়টি জলবায়ু পরিবর্তনের কিছু বৈশিষ্ট্য বহন করে এবং অত্যন্ত উষ্ণ সমুদ্রের পানি ঝড়টিকে আরও শক্তি দিতে পারে। এটি আরও ধীরে ধীরে চলতে পারত বলেও মনে করেন তারা।
কর্মকর্তারা বলেছেন, লিবিয়ার রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলাও প্রাণহানির জন্য ভূমিকা রেখেছে। দেরনার বাসিন্দা খলিফা ওথমান বলেছেন, তিনি বিপর্যয়ের মাত্রার জন্য কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন।
ওথমান বলেছিলেন, ‘আমার ছেলে এই বছরেই ডাক্তার হিসেবে স্নাতক হয়েছেন। আমার ভাগ্নে এবং তার সমস্ত পরিবার, আমার নাতি, আমার মেয়ে এবং তার স্বামী সবাই নিখোঁজ, এবং আমরা এখনও তাদের সন্ধান করছি।’ ‘কোনো প্রস্তুতি না থাকায় সকল মানুষ বিরক্ত এবং ক্ষুব্ধ।’
আরও পড়ুন: লিবিয়ার উপকূলীয় শহর দেরনায় বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১,৩০০: রেড ক্রিসেন্ট
শৈলকুপায় নিখোঁজের ৮ ঘণ্টা পর পুকুরে মিলল শিশুর লাশ
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় নিখোঁজের ৮ ঘণ্টা পর জান্নাতি খাতুন নামে ৬ বছর বয়সী শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শৈলকুপা উপজেলার বাগুটিয়া গ্রাম থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
জান্নাতি উপজেলার বাগুটিয়া গ্রামের খোকন ভুঁইয়ার মেয়ে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ডোবা থেকে ১৯ মাসের শিশুর লাশ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার দুপুরে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় জান্নাতি খাতুন। পরে প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় গ্রামের প্রায় সবখানে খোঁজাখুঁজির পর পাওয়া যায়নি তাকে। পরে রাতে হঠাৎ বাড়ির পাশের পুকুরে তার লাশ পাওয়া যায়। শিশু জান্নাতির শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে রাতেই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, শিশুটির হাতে কাটার চিহ্ন আছে। তার পরিবার অভিযোগ করেছে ধর্ষনের পর জান্নাতিকে হত্যা করা হতে পারে। আমরা লাশের সুরাতহাল রিপোর্ট তৈরির সময় ধর্ষণের কোনো আলামত পায়নি। এখন ডাক্তারের মতামত নিয়ে অগ্রসর হব।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত শৈলকুপা থানায় কোন মামলা হয়নি।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে নিখোঁজ ২ শিশুর লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের ৪ ঘণ্টা পর পুকুরে মিলল শিশুর লাশ
নিখোঁজের একদিন পর ভাই-বোনের লাশ মিলল শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় থেকে ভাই-বোনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজের একদিন পর শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ের একটি ডোবা থেকে ভাই-বোনের লাশ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ।
নিহত দুই ভাই ও বোন হলো- সামির (৯) ও তিশা (৮)। তারা ওই এলাকার অটোরিকশাচালক কামাল হোসেনের ছেলে-মেয়ে। হাসান হোসেনের বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন কামাল হোসেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে নিখোঁজ ২ শিশুর লাশ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে খেলার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে তারা নিখোঁজ হয়। শুক্রবার সকালে বন্দর আমিন এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ের একটি ডোবায় লাশ দুটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা নৌ-পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ দুটি উদ্ধার করে।
নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, ধারণা করা হচ্ছে নদীর তীরে ওয়াকওয়ে নির্মাণের জন্য কাটা মাটির গর্তের পাশে খেলা করতে নেমে গর্তে জমে থাকা পানিতে পড়ে ডুবে তাদের মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, কোনো অভিযোগ না থাকায় পরিবারের কাছে লাশ দুটি হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: শীতলক্ষ্যায় জাহাজের ট্যাংক বিস্ফোরণে দগ্ধ ৬
নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যায় নৌকাডুবে নিহত ৩