সিলেট
জ্ঞান অর্জন করা কঠিন কিন্তু এর ফল মিষ্টি: ড. মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জ্ঞান অর্জন করা কঠিন কিন্তু এর ফল খুব মিষ্টি। তাই নতুন প্রজন্মকে জ্ঞান চর্চার পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে লাইব্রেরির বড় অভাব, এক্ষেত্রে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার গণগ্রন্থাগারটি এলাকায় জ্ঞানের আলো ছড়াবে।
শুক্রবার সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সদরখলা এলাকায় দক্ষিণ সুরমা গণগ্রন্থাগারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এই সব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দক্ষিণ সুরমা গণগ্রন্থাগারের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ, বইয়ের সংগ্রহ বৃদ্ধি করাসহ ডিজিটাল ফরম্যাটে বই সংরক্ষণের পরামর্শ দেন এবং প্রয়োজনে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: সফলতার জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টা থাকা প্রয়োজন: ড. মোমেন
ড. মোমেন বলেন, সিলেটের উন্নয়ন তথা বাংলাদেশের উন্নয়নে গণগ্রন্থাগারের প্রতিষ্ঠাতা নুরুল ইসলাম আজীবন কাজ করে গেছেন এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে তার অনেক অবদান রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরে নুরুল ইসলাম তার বন্ধু প্রয়াত সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছেন। বিশেষ করে দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে এবং প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান ও প্রবাসীদের দাবি আদায়ে কাজ করেছেন নুরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা সারাবিশ্বে তুলে ধরতে বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, দক্ষিণ সুরমার উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত লায়লা নীরা ও সীমান্তিক’র প্রতিষ্ঠাতা ড. আহমদ আল কবির।
দক্ষিণ সুরমা গণগ্রন্থাগার ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম নুরুল ইসলামের সহধর্মিণী নার্গিস ইসলামের সভাপতিত্বে ও নূরুল ইসলামের মেয়ে মনজেরীন রশিদের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ।
কোম্পানীগঞ্জে পৃথক মারামারির ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে পৃথক তিনটি মারামারির ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।মারামারিতে আহত জাফর ইমাম (৪২) এর মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার শিলের ভাঙ্গা গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে। শুক্রবার (১২ আগস্ট) ভোর রাতে তার মৃত্যু হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছয় বছর আগের একটি মামলা নিয়ে বিরোধের জের ধরে জাফর ইমাম ও তার মামাত ভাই সাদ্দাম হোসেনের মধ্যে গত বুধবার (১০ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় লাচুখালে মারামারি হয়। মারামারিতে সাদ্দাম ও জাফর দুজনেই আহত হয়ে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি হন। এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোর ৪টায় জাফর ইমামের মৃত্যু হয়। জাফর ইমামের বুকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানা গেছে।এদিকে বৃহস্পতিবার বিকালে কোম্পানীগঞ্জের ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়নের নভাগী গ্রামে গাছ কাটা নিয়ে দ্বন্দ্বে জয়নাল মিয়া (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। নিহত জয়নাল মিয়া ওই গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার আসরের নামাজের পর জয়নাল মিয়ার দখলে থাকা একটি গাছের ডাল জোর করে কেটে মাছের ফিসারিতে দিচ্ছিলেন প্রতিবেশি মেরাজ উদ্দিন। এ নিয়ে জয়নাল মিয়ার ছেলে ও মেরাজ উদ্দিনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এর একপর্যায়ে জয়নাল মিয়া সেখানে উপস্থিত হোন। জয়নাল মিয়া ও মেরাজ উদ্দিনের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে মেরাজ উদ্দিন গাছের ডাল দিয়ে আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন জয়নাল মিয়া। পরে পরিবারের লোকজন কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে মারামারিতে আহত একজনের মৃত্যুঅপরদিকে বুধবার (১০ আগস্ট) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শিমুলতলা নোয়াগাঁও গ্রামে জমি নিয়ে মারামারিতে মোশাহিদ আলী (৬২) নামে একজন নিহত হয়েছেন। তিনি ইসলামপুর পূর্ব ইউনিয়নের শিমুলতলা নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। এ ঘটনায় আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোশাহিদ আলী ও প্রতিপক্ষ ফারুক মিয়ার মধ্যে বাড়ির জমি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলছিল। বুধবার সকাল ৮টায় মোশাহিদ আলীর গোষ্ঠী ও ফারুক মিয়ার গোষ্ঠীর মধ্যে এই জমি নিয়ে মারামারি হয়। এতে মোশাহিদ আলীসহ তার ভাতিজা ফারুক মিয়া, মওদুদ, হাসান, আব্দুল হান্নান আহত হয়। অপর পক্ষের আহত হয়েছে হামিদ মিয়া। আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টায় মোশাহিদ আলী মারা যান। আহত ফারুক মিয়ার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী পৃথক মারামারি ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তিনজনের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রচারণার জন্য টক শো সাজিয়ে মারামারি
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারি
সিলেটে মারামারিতে আহত একজনের মৃত্যু
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় মারামারিতে আহত একজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে তিনি মারা যান।
নিহত জাফর ইমাম (৪২) উপজেলার শিলের ভাঙ্গা গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী জানান, দুইদিন আগে জাফর ইমাম ও তার মামাত ভাই সাদ্দাম হোসেনের মারামারি হয়। মারামারিতে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন জাফর ইমাম। চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফেরার পর শুক্রবার ভোর ৪টায় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবক নিহত
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এটা হত্যা কি না- তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বলা যাবে।
এ ঘটনায় নিহত জাফর ইমামের নামে একটি মামলা রয়েছে বলেও জানান ওসি।
এদিকে এ নিয়ে গত তিনদিনে কোম্পানীগঞ্জে মারামারিতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে বুধবার রাতে শিমুলতলা নোয়াগাঁও গ্রামের মোশাহিদ আলী (৬২) ও বৃহস্পতিবার নভাগী গ্রামের জয়নাল মিয়া (৬০) মারা যান।
সিলেটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবক নিহত
সিলেটের গোলাপগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২৬ বছর বয়সের এক যুবক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের দত্তরাইল (লালমাটি) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত টিপু আহমেদ একই গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে এবং পেশায় সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবক নিহত
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রেজাউল করিম রাজু জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে বসতঘরে বিদ্যুতের মেরামত কাজ করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাৎক্ষণিক পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তামাবিল হয়ে মেঘালয়ে গেল কলকাতার পণ্য
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ট্রানজিট চুক্তির আওতায় পরীক্ষামূলকভাবে সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর ব্যবহার করে মেশিনারিজ পণ্যবাহী একটি কন্টেইনারের চালান কলকাতা থেকে মেঘালয়ে পৌঁছেছে। কলকাতা থেকে ছেড়ে আসা জাহাজটি বুধবার দুপুরে সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর হয়ে মেঘালয়ে যায়।
এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ‘অ্যাগ্রিমেন্ট অন দ্যা ইউজ অব চট্টগ্রাম অ্যান্ড মোংলা পোর্ট ফর মুভমেন্ট অব গুডস টু অ্যান্ড ফ্রম ইন্ডিয়া (এসিএমপি)’ ট্রানজিট চুক্তির আওতায় বাংলাদেশি স্থলবন্দর ব্যবহারের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে ভারত।
এই সময় বন্দরে সিলেটের কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন, সিলেটে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার নীরজ কুমার জয়সওয়াল ও গৌহাটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার এবং মিশন প্রধান শাহ মোহাম্মদ তানভীর মনসুরসহ বন্দর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থতিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: তামাবিল দিয়ে দেশে ফিরলেন ন্যাপ সভাপতিসহ ১০ বাংলাদেশি
গত ১ আগস্ট ভারতের কলকাতা বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে একটি জাহাজ ছেড়ে আসার পর গত ৭ আগস্ট রবিবার সকালে মোংলা বন্দরে এসে নোঙর করে। ৮ আগস্ট (সোমবার) দুপুরে কন্টেইনার ও স্টিল পণ্য খালাসের পর দুটি কন্টেইনারের একটি ভারতের মেঘালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে বুধবার সকালে সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দরে আসে। প্রথম চালানে মেশিনারিজ পণ্য নিয়ে আসা ইলেক্ট্রো স্টিল কাস্টিং লিমিটেডের ৭০ প্যাকেজের ১৬ দশমিক ৩৮০ মেট্টিক টন লোহার পাইপসহ একটি কন্টেইনারের চালান তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে মেঘালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে কাস্টমস সংশ্লিষ্টরা জানান, অ্যাগ্রিমেন্ট অন দ্যা ইউজ অব চট্টগ্রাম অ্যান্ড মোংলা পোর্ট ফর মুভমেন্ট অব গুডস টু অ্যান্ড ফ্রম ইন্ডিয়া (এসিএমপি) চুক্তির আওতায় পরীক্ষামূলক পণ্য পরিবহন শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য সরবরাহ করতে দুই দেশের মধ্যে ২০১৮ সালের অক্টোবরে চুক্তিটি হয়। এরপর প্রথমবারের মতো ২০২০ সালের জুলাইয়ে ট্রায়াল রান হয়েছিল। তখন কলকাতা বন্দর থেকে পণ্যবাহী নৌযান চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়।
সিলেটে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার নীরজ কুমার জয়সওয়াল জানান, ভারত-বাংলাদেশ প্রটোকল রুটে অভ্যন্তরীণ নৌপথ ব্যবহার করে ব্যবসায়িক গতি বাড়ানোর লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে দুই দেশের অর্থনীতি ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে আরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
তিনি জানান, ২০২২ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত ১৩তম ভারত-বাংলাদেশ জয়েন্ট গ্রুপ অব কাস্টমস (জেএসসি) বৈঠকের পর ট্রায়াল রান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। তারই প্রথম ট্রায়ালের পণ্য মোংলা বন্দর দিয়ে খালাসের পর তামাবিল দিয়ে মেঘালয়ে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: তামাবিল সীমান্তে বাংলাদেশিদের ভারতে প্রবেশে বাধা
সিলেটের কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন জানান, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পাদিত এসিএমপি ট্রানজিট চুক্তির আওতায় বাংলাদেশি বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে একটি অনন্য মাইলফলক সৃষ্টি হলো। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে সিলেটে ২৩ চা বাগানে কর্মবিরতি পালন
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন সিলেট ভ্যালির চা শ্রমিকরা। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সিলেট ভ্যালির ২৩টি চা বাগানে কর্মবিরতি পালন করেন তারা।এ সময় সিলেট এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সড়কের লাক্কাতুরা চা বাগানের সামনে মিছিল-সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।চা শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা জানান, দীর্ঘদিন ধরে মজুরি বৃদ্ধির জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানানোর পরও কোনো সাড়া মিলছে না। দিনের পর দিন জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্যের মূল্য বাড়ছে; এতে পরিবার নিয়ে দৈনিক ১২০ টাকা মজুরি দিয়ে জীবিকা নির্বাহ একেবারেই অসম্ভব।এমতাবস্থায় ৩০০ টাকা দৈনিক মজুরির দাবি জানিয়ে প্রায় দুইবছর আগে আবেদন করলেও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। প্রতি দুইবছর অন্তর অন্তর চুক্তি নবায়ন করার নিয়ম থাকলেও এবার তা বাস্তবায়নে বাগান কর্তৃপক্ষ কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।এদিকে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বাধ্য হয়েই দুইঘন্টা করে সারাদেশে কর্মবিরতি পালন করছেন শ্রমিকরা। অবিলম্বে দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবি মেনে না নিলে লাগাতার কর্মবিরতির হুমকি দেন শ্রমিক নেতারা।
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে হবিগঞ্জে ২৩ চা বাগানের শ্রমিকরা স্বেচ্ছা ছুটিতে
পঞ্চগড়ে চা বাগান ও জঙ্গল কেটে খোঁজা হচ্ছে বাঘ
দোকানের বারান্দায় ঝুলছিল তরুণের লাশ!
সিলেটের গোলাপগঞ্জে ফজলে রাব্বি (১৮) নামে এক তরুণের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ বাজারের চৌমুহনী সংলগ্ন একটি দোকানের বারান্দা থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।নিহত রাব্বি উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের সুনামপুর গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে বসবাসকারী সোনাহর আলী কছিরের ছেলে।জানা যায়, নিহত ফজলে রাব্বি পেশায় একজন দিনমজুর। এর আগে সে সুনামপুর এলাকায় চায়ের ব্যবসা করতো। প্রতিদিনের মতো শনিবার সন্ধ্যা রাতে ঘুরাফেরার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় সে। ওইদিন গভীররাতে উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ বাজারের চৌমুহনী সংলগ্ন একটি দোকানের বারান্দায় টহলরত পুলিশ তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। পরে রবিবার সকাল ১০টার দিকে প্রাথমিক সুরহতাল রিপোর্ট শেষে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এদিকে তার বাড়ি থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে ঢাকাদক্ষিণ বাজারে লাশ পাওয়া নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করলেও স্থানীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে রহস্য। তদন্তের মাধ্যমে মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: বিয়ের ৩ মাসের মাথায় নববধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
শ্বশুরবাড়ির টয়লেট থেকে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর যুবকের লাশ উদ্ধার
সিলেটে মা-মেয়েকে ৭ দিন ধরে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় এক নারী ও তার ১৫ বছর বয়সী মেয়েকে সাতদিন ধরে ধর্ষণের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালবাজার এলাকার সুপ্রিম ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার মতিন মিয়া এবং একই এলাকার বগুড়া হোটেলের মালিক বুলবুল (৪০)।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাঈন উদ্দিন জানান, ধর্ষণের শিকার নারী একটি হোটেলে কাজ করতেন এবং মেয়েকে নিয়ে উপজেলা সদরের ওই হোটেলের পাশে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চলন্ত বাসে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫
তিনি বলেন, অপরাধীরা মা ও মেয়েকে তুলে নিয়ে যায় এবং ১৪ থেকে ২০ জুন পর্যন্ত সাতদিন ধরে তাদের ধর্ষণ করে।
ধর্ষকদের জিম্মি থেকে রেহাই পেয়ে ওই নারী গত ৪ আগস্ট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দুজনকে আসামি করে একটি অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগীরা বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ওয়ান স্টপ-ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।
ওসমানীনগর ট্রাজেডি: আরেক যুক্তরাজ্য প্রবাসীর মৃত্যু
সিলেটে শুক্রবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরেক ব্রিটিশ প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। গত ২৬ জুলাই সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় ভাড়া বাসায় এক ব্রিটিশ প্রবাসীকে তার পরিবারের চার সদস্যসহ অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়।
মৃত সামিরা ইসলাম রফিকুল ইসলামের মেয়ে।
গত ২৬ জুলাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী রফিকুল (৫০) এবং তার ছেলে মহিকুল ইসলাম (১৬) একই হাসপাতালে মারা যান।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাড়ি থেকে ৫ প্রবাসীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার, ২ জনের মৃত্যু
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাইন উদ্দিন জানান, সামিরা সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন, সেখানে শুক্রবার রাত ১টা ২০ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়।
গত ২৫ জুলাই ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুরে বাড়ির ভেতরে রফিকুল, মহিকুল, সামিরা, রফিকুলের স্ত্রী হুসনারা বেগম (৪৫) ও ছেলে সাদিকুল ইসলাম (২৫) পাঁচ জনকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। এর মধ্যে বুধবার হুসনারা ও সাদিকুল সুস্থ হওয়ায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আবদুল গাফ্ফার জানান,গত ২৬ জুলাই সামিরা ইসলামকে ওসমানী হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। বিষক্রিয়ার কারণে সামিরার কিডনি ও লিভারসহ কয়েকটি অঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দেয়। সামিরার চিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল।
মৃত প্রবাসী রফিকুলের শ্যালক সাজ্জাদ আহম্মদ জানান, ছেলে সাদিকুলের চিকিৎসার জন্য গত ১২ জুলাই সপরিবারে দেশে আসেন রফিকুল। এক সপ্তাহ ঢাকায় থাকার পর ১৮ জুলাই উপজেলার তাজপুরে বাসা ভাড়া নেন রফিকুল।
আরও পড়ুন: সিলেটে নিখোঁজের একদিন পর ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন জানান, ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে ২৬ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাজপুর বাজারের বাড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় পাঁচ জনকে উদ্ধার করা হয়।
সারা রাত জেনারেটর চালু থাকায় দমবন্ধ হয়ে তারা অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।
বিয়ের আশ্বাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, সিলেটে গ্রেপ্তার ৩
সিলেটের ওসমানীনগরে এক তরুণীকে বিয়ের আশ্বাসে ডেকে এনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- ওসমানীনগরের সিকন্দরপুর মাইগাঁও গ্রামের মৃত আহাদ মিয়ার ছেলে মো. জাহাঙ্গীর (৩২), পূর্বব্রাহ্মনগ্রামের আকলু হোসেন লুদু মিয়ার ছেলে কামাল হোসেন (৩৪) ও সিকন্দরপুর মাইজগাঁও গ্রামের সাইফুর রহমান চৌধুরী রানা (৩৮)।
ওসমানীনগর থানা জানায়, ধর্ষিতা তরুণীর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তাকে একটি ঘরে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ করে থানায় একটি মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: জমি নিয়ে বিরোধে বাগেরহাটে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
মামলার অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, বছরখানেক আগে রুবেল নামে একজনের সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। রুবেল তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। গত ৩ আগস্ট রুবেল তাকে বিয়ে করবে বলে ওসমানীনগর উপজেলার সিকন্দরপুর গ্রামে ডেকে আনে। তরুণী সেদিন বিকাল ৩টায় গোয়ালাবাজার পৌঁছালে রুবেল তাকে তার এক বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে তোলে। এর কিছুক্ষণ পরই রানা ও করিম নামে দু’জনকে নিয়ে রুবেল তরুণীর হাত পা বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে। ৪ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) ফজরের পর তাকে ছেড়ে দেয়।
তরুণীর অভিযোগ, আসামি রুবেল, রানা ও করিম পরস্পর সহযোগীতায় তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। আর জাহাঙ্গীর ও কামাল তাদের সহযোগীতা করে। এছাড়া তারা মোবাইল সেট, নগদ পাঁচ হাজার টাকা এবং স্বর্ণের কানের দোলও কেড়ে নেয়।
আরও পড়ুন: বাসা থেকে ডেকে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৪
তবে মামলার প্রধান দুই আসামি রুবেল ও করিমের বিস্তারিত পরিচয় পুলিশ বা ভুক্তভোগী তরুণী কেউই জানাতে পারেননি।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাঈন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।