জামিন
সম্রাটের জামিন আবেদন ফের নামঞ্জুর
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের জামিন আবেদন ফের নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান শুনানি শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করেন। এর আগে গত ১৩ এপ্রিল একই আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন।
সম্রাটের বিরুদ্ধে করা চার মামলার মধ্যে এরই মধ্যে তিন মামলার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেয়া ছয় মাসের সাজা অনেক আগেই শেষ হয়েছে। তবে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় জামিন মেলেনি এখনও।
গত ৩১ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান দুদকের মামলায় সম্রাটের উপস্থিতিতে জামিন শুনানির জন্য ১৩ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: দুদক মামলায় সম্রাটের জামিন নামঞ্জুর, মুক্তি মিলছে না
এদিকে ১১ এপ্রিল ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় রমনা থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন।
১০ এপ্রিল অস্ত্র মামলায় ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফায়সাল আতিক বিন কাদের ও অর্থপাচার মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ জামিন মঞ্জুর করেন।
দুদকের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাকে নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়।
পরে বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই দিন রাত পৌনে ৯টার দিকে সম্রাটকে কারাগারে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: মাদক মামলায়ও জামিন পেলেন সম্রাট
সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি ১০ জানুয়ারি
ইভ্যালির সিইও রাসেলের জামিন মঞ্জুর
চেক প্রতারণার ৯টি মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে রাসেলের বিরুদ্ধে আরও একাধিক মামলা থাকায় তিনি এখনই জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন না।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে তার আইনজীবী আহসান হাবিব জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
গত ৬ এপ্রিল ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের ছয় মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
আরও পড়ুন: ইভ্যালি চেয়ারম্যান কারামুক্ত
ঢাকার মহানগর হাকিম আদালত বাদীর সঙ্গে আপস মীমাংসা শর্তে বিভিন্ন সময়ে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ইভ্যালি এমডি রাসেলের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব।
অভিযান শেষে এ দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ৬ এপ্রিল বিকাল পৌনে ৬টার দিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান শামীমা নাসরিন।
আরও পড়ুন: ইভ্যালি: রাসেল-শামীমার শেয়ারের ৫০ শতাংশ হস্তান্তরে হাইকোর্টের অনুমতি
ইভ্যালির ৭ গাড়ি নিলামে ২ কোটি ৯০ লাখ টাকায় বিক্রি
ডিআইজি মিজানের হাইকোর্টে জামিন
ঘুষ লেনদেনের মামলায় তিন বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত পুলিশের বরখাস্তকৃত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে ২ মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তার আবেদনের শুনানি করে বুধবার বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। তবে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় এখনও জামিন না পাওয়ায় তার কারামুক্তি মিলছে না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
এর আগে গত ৪ এপ্রিল বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেন ডিআইজি মিজানুর রহমান। তার আপিল গত ৬ এপ্রিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। ওই আপিলের সঙ্গে করা জামিন আবেদনের ওপর বুধবার শুনানি নিয়ে তাকে জামিন দেন হাইকোর্ট। তবে এ জামিনের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ মামলার রায় দেন। রায়ে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে মিজানকে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় ও এ মামলার প্রধান আসামি খন্দকার এনামুল বাছিরকে দণ্ডবিধির ১৬৫(এ) ধারায় তিন বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনের ৪ ধারায় বাছিরকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু অর্থ পাচারের অভিযোগ থেকে মিজানুর রহমানকে খালাস দেয়া হয়। পরে গত ১০ এপ্রিল অর্থ পাচারের অভিযোগে তার সাজা চেয়ে হাইকোর্টে দুদক আপিল করে। এছাড়া গত ৬ এপ্রিল এনামুল বাছিরও তার দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন যা শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: দুদক মামলায় সম্রাটের জামিন নামঞ্জুর, মুক্তি মিলছে না
২০১৯ সালের ৯ জুন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে পরিচালিত দুর্নীতির অনুসন্ধান থেকে দায়মুক্তি পেতে দুদক পরিচালক বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন ডিআইজি মিজান। ঘুষ লেনদেন সংক্রান্ত কথোপকথন রেকর্ড করে ওই চ্যানেলকে দিয়েছিলেন মিজান। ডিআইজি মিজানও এ বিষয়ে নিজেই গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা থেকে বাঁচতে ওই অর্থ ঘুষ দেন বলে ডিআইজি মিজান দাবি করেন।
এ প্রতিবেদন প্রচারিত হওয়ার পর দুদক সংস্থার সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতকে প্রধান করে তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি ২০১৯ সালের ১০ জুন প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পরিচালক বাছিরকে দুদকের তথ্য অবৈধভাবে পাচার, চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সর্বোপরি অসদাচরণের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে কমিশন।
এরপর ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদক পরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের দলনেতা শেখ মো. ফানাফিল্লাহ মানি লন্ডারিং আইনে সংস্থার ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন। একই বছর ২২ জুলাই এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করে দুদকের একটি দল। সেই থেকে তিনি কারাগারে। অপরদিকে দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার ডিআইজি মিজানকে এ মামলায়ও গ্রেপ্তার করা হয়। গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। পরে ২৩ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালত রায় দেন।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন বিএনপি নেতা ইশরাক
মাদক মামলায়ও জামিন পেলেন সম্রাট
দুদক মামলায় সম্রাটের জামিন নামঞ্জুর, মুক্তি মিলছে না
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন বিচারক।
বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ -এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান এ আদেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী আদালতে আসামির জামিনের আবেদন করেন।
শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী আদালতকে বলেন, আসামি হার্টের রুগী, বাইপাস সার্জারির করা হয়েছে ১৯৯৮ সালে। খুবই অসুস্থ এবং আসামির পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। কারণ সে সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান, দেশের রাজনীতিতে পরিচিত মুখ। আসামির বিরুদ্ধে করা চার মামলার তিনটিতে এরই মধ্যে জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: মাদক মামলায়ও জামিন পেলেন সম্রাট
অপরদিকে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল জামিনের বিরোধিতা করেন।
দুদকের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: দুই মামলায় জামিন পেলেন সম্রাট
সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ, ৩১ মার্চ শুনানি
জামিন পেলেন বিএনপি নেতা ইশরাক
রাজধানীর মতিঝিল থানায় গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত শুনানি শেষে ৫ হাজার টাকা বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেন ।
ইশরাকের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত ৬ এপ্রিল সকালে মতিঝিল এলাকায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল দক্ষিণের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন ইশরাক হোসেন।
লিফলেট বিতরণের সময় তাকে আটক করে মতিঝিল থানা পুলিশ।
জানা যায়, ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে পুলিশ মতিঝিল থানায় ৪২ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করে। ওই মামলায় ইশরাক হোসেনকেও আসামি করা হয়। পরে ইশরাক হোসেন ১৮ নভেম্বর উচ্চ থেকে জামিন নেন। উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে গত বছরের ৫ জানুয়ারি জামিন পান তিনি। এরপর ১৮ আগস্ট অসুস্থ থাকায় ইশরাক আদালতে হাজির হতে পারেননি। ওইদিন আদালত তার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
ইশরাক হোসেন বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে তিনি মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন।
পড়ুন: মিছিলের সঙ্গে ইশরাকের গ্রেপ্তারের কোনো সম্পর্ক নেই: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন ঢাকায় গ্রেপ্তার
মাদক মামলায় হাইকোর্টে জি কে শামীমের জামিন আবেদন
অস্ত্র-মানি লন্ডারিং এবং দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার বিতর্কিত ঠিকাদার ও যুবলীগ নেতা জি কে শামীম মাদক মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। সোমবার (১১ এপ্রিল) বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো. আতেয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার এ আবেদনের শুনানি মুলতবি রাখেন।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবুল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জী।
২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন জি কে শামীম। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, অর্থ পাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মোট চারটি মামলা হয়।
আরও পড়ুন: মাদক মামলায়ও জামিন পেলেন সম্রাট
অস্ত্র মামলায় দেয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, জি কে শামীম একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ মাদক এবং জুয়ার ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তার সহযোগিরা উচ্চ বেতনভোগী দুষ্কর্মের সহযোগী। তারা অস্ত্রের লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে প্রকাশ্যে এসব অস্ত্রশস্ত্র বহন ও প্রদর্শন করেছেন। এর মাধ্যমে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করে বিভিন্ন ধরনের টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসাসহ স্থানীয় বাস টার্মিনাল ও গরুর হাটবাজারে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। আসামি শামীম অস্ত্রের শর্ত ভঙ্গ করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাদক ব্যবসা ও মানি লন্ডারিং করে আসছিলেন।
২০২০ সালের ২১ অক্টোবর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জিকে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় শামীমের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৯ লাখ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ থাকার অভিযোগ আনা হয়।
আরও পড়ুন: পরীমণির বিরুদ্ধে করা মাদক মামলার কার্যক্রম স্থগিত
জামিনে কারামুক্ত স্কুলশিক্ষক হৃদয় মন্ডল
স্কুলশিক্ষক হৃদয় মন্ডল ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের’ মামলায় জামিন পেয়ে মুন্সীগঞ্জ কারাগার থেকে রবিবার মুক্তি পেয়েছেন।
জেলার আবুল বাশার জানান, বিকাল ৫টার দিকে মুন্সীগঞ্জ কারাগার থেকে হৃদয় মন্ডলকে ছাড়া হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিকাল ৪টার দিকে হৃদয় মন্ডলের জামিনের কাগজপত্র পেয়েছি।’
হৃদয় মন্ডলের গ্রেপ্তারের পদ দেশ-বিদেশের অধিকার সংগঠনগুলো প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানায়।
অধিকার সংগঠনগুলো তার গ্রেপ্তারকে দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও বিজ্ঞান শিক্ষাকে খর্ব করার প্রচেষ্টা হিসাবে নিন্দা করেছে।
আরও পড়ুন: ১৯ দিন জেলে থাকার পর জামিন পেলেন হৃদয় মন্ডল
মুক্তির পর হৃদয় মন্ডল বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা।
তিনি বলেন, ‘সেদিন ক্লাসে বিজ্ঞান পড়াচ্ছিলাম। তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে প্রশ্ন করছিল। আমি এমন কিছু বলিনি যা সমস্যা হতে পারে। আমি খেয়ালও করিনি যে তারা মোবাইলে রেকর্ড করছে।’
তিনি বলেন, ‘কিছু বিপথগামী শিক্ষার্থী, যারা পড়াশুনা করে না, তারা বিপথগামী শিক্ষকদের সঙ্গে মিলে এটা করেছে। এই মুহূর্তে কারও নাম বলতে পারছি না। প্রাইভেট টিউশনির জন্য তারা হয়তো আমার সঙ্গে এটা করেছে।’
এছাড়া রাষ্ট্রের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছেন তিনি।
এর আগে এ মামলায় গ্রেপ্তারের ১৯ দিন পর ওই শিক্ষকের জামিন মঞ্জুর করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোতাহার আক্তার ভূঁইয়া।
হৃদয় মন্ডল বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞানের শিক্ষক। ওই বিদ্যালয়ের ইলেকট্রিশিয়ান আসাদ মিয়া তার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে সদর থানায় অভিযোগ করার পর তাকে ২২ মার্চ গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: স্কুলশিক্ষক হৃদয় মন্ডলের মুক্তি দাবি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের
তবে হৃদয় মন্ডলের স্ত্রী ববিতা হালদার দাবি করেছেন, কয়েকজন সহকর্মীর সঙ্গে শত্রুতার জের ধরে তাকে স্কুল থেকে বের করে দেয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে এ মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে ২০ মার্চ বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের (বিজ্ঞান বিভাগ) দশম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থী বিজ্ঞান ও ধর্মের ওপর হৃদয় মন্ডলের একটি ক্লাসের কথোপকথন রেকর্ড করে।
২২ মার্চ, কয়েকজন শিক্ষার্থী তার শাস্তির দাবিতে স্কুলের বাইরে বিক্ষোভ করে। পরবর্তীতে ওই স্কুলের এক অফিস সহকারী (ইলেকট্রিশিয়ান) তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুই মামলায় জামিন পেলেন সম্রাট
রাজধানীর রমনা থানায় দায়ের করা অস্ত্র ও অর্থপাচারের মামলায় জামিন পেলেন ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট।
রবিবার ঢাকার মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের অস্ত্র মামলায় এবং ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন অর্থপাচারের মামলায় শুনানি শেষে জামিনের আদেশ দেন।
এদিন অর্থপাচারের মামলার রিমান্ড শুনানির জন্য সকালে সম্রাটকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
এ মামলায় গত বছরের ২৪ মার্চ তার তিন দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মেহেদী মাকসুদ।
এরপর করোনার কারণে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এবং সম্রাট অসুস্থ থাকায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। এজন্য বেশ কয়েক দফা রিমান্ড শুনানি পেছায়।
আরও পড়ুন: সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় র্যাবের চার্জশিট
সম্রাটের পক্ষে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী।
রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউট আজাদ রহমান এর বিরোধিতা করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তার জামিনের আদেশ দেন।
সম্রাটের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বলেন, সম্রাটের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত চারটি মামলা হয়েছে। আজ অস্ত্র এবং অর্থপাচার এ দুই মামলায় জামিন মঞ্জুর হলো। মাদক এবং দুদকের মামলায় জামিন পেলে তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন। আশা করছি অতি শিগগিরই জামিন নিয়ে তিনি কারামুক্ত হবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাকে নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর কাকরাইলে তার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: দুই মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে সম্রাট
এ চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। ওই দিনই রাত পৌনে ৯টার দিকে সম্রাটকে কারাগারে নেয়া হয়।
৭ অক্টোবর র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় দুটি মামলা করেন। এর মধ্যে অস্ত্র মামলায় সম্রাটকে একমাত্র আসামি করা হয়। মাদক মামলায় সম্রাট এবং আরমানকে আসামি করা হয়। এরপর সম্রাটের বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও দুদক মামলা করে।
২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর অস্ত্র মামলায় সম্রাটকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপপরিদর্শক (এসআই) শেখর চন্দ্র মল্লিক।
২০২০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রমনা থানায় মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের এসআই রাশেদুর রহমান।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে ফের কারাগারে সম্রাট
১৯ দিন জেলে থাকার পর জামিন পেলেন হৃদয় মন্ডল
‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের’ মামলায় গ্রেপ্তারের ১৯ দিন পর মুন্সীগঞ্জের একটি আদালত স্কুলশিক্ষক হৃদয় মন্ডলকে জামিন দিয়েছেন।
রবিবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোতাহার আক্তার ভূঁইয়া এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ২২ শে মার্চ বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় মন্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়। কারণ তার বিরুদ্ধে স্কুলের এক অফিস সহকারী আসাদ মিয়া ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতে’র অভিযোগে সদর থানায় মামলা করেন।
তবে হৃদয় মন্ডলের স্ত্রী ববিতা হালদার দাবি করেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়ার জন্য, তার বিরুদ্ধে এ মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে ২০ মার্চ বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের (বিজ্ঞান বিভাগ) দশম শ্রেণির কিছু ছাত্র বিজ্ঞান ও ধর্মের ওপর হৃদয় মন্ডলের একটি ক্লাস কথোপকথন রেকর্ড করেছিল। যেখানে তিনি ‘ধর্মকে অসম্মান’ করেছিলেন বলে তাদের অভিযোগ।
২২ মার্চ কিছু ছাত্র হৃদয় মন্ডলের শাস্তির দাবিতে স্কুলের বাইরে বিক্ষোভ করে।
আরও পড়ুন: স্কুলশিক্ষক হৃদয় মন্ডলের মুক্তি দাবি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের
পরে ওই দিন হাইস্কুলের একজন অফিস সহকারী (ইলেকট্রিশিয়ান) ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। এর জেরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে শনিবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষকে হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলকে ‘অবিলম্বে ও নিঃশর্ত’ মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বৈশ্বিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়ার ডেপুটি রিজিওনাল ডিরেক্টর স্মৃতি সিং বলেছেন, ‘হৃদয় চন্দ্র মন্ডলকে গ্রেপ্তার করা বাংলাদেশের চলমান উদ্বেগজনক প্রবণতার প্রতীক, যেখানে ক্রমশই স্বাধীন মত প্রকাশের সুযোগ সঙ্কুচিত হয়ে আসছে। শ্রেণিকক্ষে আলোচনার জন্য একজন শিক্ষকের গ্রেপ্তার হওয়া বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে, যেখানে শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তা-ধারায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য কাউকে জেলে যেতে হতে পারে।’
স্মৃতি সিং আরও বলেছেন, ‘হৃদয় চন্দ্র মন্ডলের এই ঘটনা বিদ্যমান সংকটের পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে, একটি দেশের স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য হুমকিস্বরূপ এই ঘটনা।’
এদিকে, শিক্ষক গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে শনিবার বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন সমাবেশে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সাবেক অধ্যাপক ও লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেছেন, ক্লাসরুমে উত্থাপিত প্রশ্নের যৌক্তিক উত্তর দিতে গিয়ে মুন্সীগঞ্জে বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয়কে গ্রেপ্তারের বিষয়টি তিনি বিশ্বাস করতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে দু'পক্ষের সংঘর্ষে মাদরাসা শিক্ষক নিহত, আহত শতাধিক
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান, শঙ্কায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
হাইকোর্টে অভিনেত্রী সুবাহর জামিন
আলোচিত গায়ক ইলিয়াস হোসাইনের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় মডেল ও অভিনেত্রী শাহ হুমায়রা হোসাইন সুবাহকে ছয় সপ্তহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
স্বশরীরে হাজির হয়ে আবেদন জানালে সোমবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই জামিন দেন। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইশরাত হাসান।
আরও পড়ুন: চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন: চেম্বার কোর্টের আদেশ কঠোরভাবে অনুসরণের নির্দেশ
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সুবাহর বিরুদ্ধে তার স্বামী ইলিয়াস হোসাইন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ইলিয়াসকে নিয়ে মানহানিকর নানা মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছেন সুবাহ। এমনকি স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাও করেছেন তিনি। এসব কারণেই বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন ইলিয়াস।
আরও পড়ুন: নাশকতা মামলায় ঢাবি অধ্যাপক তাজমেরীর জামিন
মামলার এজাহারে ইলিয়াস দাবি করেছেন, বিভিন্ন সময়ে সুবাহ তাকে ‘ব্লাকমেইলও করেছেন।
এর আগে গত ৩ জানুয়ারি যৌতুকের জন্য নির্যাতনের ইলিয়াস হোসাইনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করেন সুবাহ।