কারখানা
গাজীপুরের পোশাক কারখানায় আগুন, ১০ শ্রমিক আহত
সপ্তাহ না যেতেই গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পোশাক কারখানায় ফের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার নূর গ্রুপের রায়ান টেক্সটাইল লিমিটেড কারখানায় এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন নেভাতে গিয়ে কারখানার অন্তত ১০ শ্রমিক আহত হয়েছে।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও কারখানার শ্রমিকরা জানায়, উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় এই পোশাক কারখানার চতুর্থ তলার ফেব্রিক্সের গুদামে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন মুহূর্তের মধ্যে পুরো গুদামে ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে জয়দেবপুর, কালিয়াকৈর ও কাশিমপুর ডিবিএল ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল হামিদ জানায়, প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নেভাতে গিয়ে কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়। আহত শ্রমিকদের কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পোল্ট্রি গুদামে আগুন
গাজীপুরে সুতার গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে
ভারতে লবণ কারখানার দেয়াল ধসে ১২ জনের মৃত্যু
পশ্চিম ভারতের একটি লবণ প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় একটি প্রাচীর ধসে অন্তত ১২ জন শ্রমিক নিহত এবং আরও ১৩ জন আহত হয়েছে।
বুধবার দেশটির একজন সরকারি প্রশাসক এ তথ্য জানিয়েছেন।
জেলা কর্মকর্তা জেবি প্যাটেল জানিয়েছেন, গুজরাট রাজ্যের রাজধানী গান্ধীনগর থেকে ২১৫ কিলোমিটার পশ্চিমের মোরবি জেলার কারখানার দেয়ালের ধ্বংসাবশেষের নিচে লবণ কারখানার শ্রমিকদের চাপা পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
প্যাটেল জানিয়েছেন, আহত ১৩ জন শ্রমিকের বেশিরভাগই আহত হলেও তাদের প্রাণনাশের আশঙ্কা নেই।
তিনি আরও বলেন, উদ্ধার কাজ প্রায় শেষ। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: রাজীব গান্ধী হত্যা: ৩১ বছর পর মুক্ত দোষীসাব্যস্ত পেরারিভালান
প্রাচীর ধসের কারণ খতিয়ে দেখছে কর্তৃপক্ষ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই মৃত্যুকে হৃদয়বিদারক বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, অত্যন্ত বেদনাদায়ক এই মুহুর্তে শোকাহত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক এই কামনা করি।’
ভারতে ভবন ধসে পড়ার ঘটনা একটি সাধারণ ঘটনা। কারণ অধিকাংশ ভবনই নিম্নমানের উপাদান ব্যবহার করে নির্মাণ করা হয়।
ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইতে ২০১৩ সালে একটি ভবন ধসে অন্তত ৭২ জন নিহত হয়।
আরও পড়ুন: ভারতে তীব্র তাপদাহ, দিল্লিতে রেকর্ড ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দরিদ্র দেশগুলোতে গম রপ্তানি করবে ভারত
‘দীর্ঘতম ঈদের ছুটি’ কাটিয়ে কারখানায় ফিরেছে পোশাক শ্রমিকেরা
ঈদের ছুটি শেষে শনিবার থেকে দেশের অধিকাংশ তৈরি পোশাক কারখানা ও অন্যান্য শিল্প কারখানায় উৎপাদন শুরু হয়েছে।
আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানার মালিক রুবায়েত আহমেদ জানান, পোশাক শ্রমিক ও টেকনিশিয়ানরা নিজেদের কাজে যোগ দিয়েছেন। বাকি শ্রমিকেরাও আগামী কয়েকদিনের মধ্যে যোগ দেবেন।
শনিবার ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমরা ২৭ এপ্রিল ঈদের ছুটি ঘোষণা করেছি এবং শনিবার কাজে যোগ দেয়ার সময় নির্ধারণ করেছি। যাতে শ্রমিক ও অন্যান্য কর্মচারীরা তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে।’
তিনি বলেন, অনেক গার্মেন্টস মালিক ১০ থেকে ১৫ দিনের মতো ঈদের ছুটি ঘোষণা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, শনিবার ছুটি শেষ হওয়ায় প্রায় সব কারখানার উৎপাদন শুরু হয়েছে, আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে বাকি সব কারখানায় কাজ শুরু হবে।
আরও পড়ুন: গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পে বৈচিত্র্য আনার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
নিটওয়্যার কারখানা মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, ঈদের ছুটির পর শনিবার থেকে বেশিরভাগ পোশাক কারখানায় কাজ শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কিছু কারখানা শ্রমিকদের প্রয়োজনে একটু বেশি ছুটি দিয়েছে। তারা আগামীকাল বা পরশু থেকে কারখানা খুলতে শুরু করবে।’
তিনি বলেন, দেশে পোশাক শিল্পের সূচনার পর থেকে এবারের ঈদে সবচেয়ে বেশি ছুটি পেয়েছেন শ্রমিকরা।
তিনি বলেন, যেসব কারখানার শিপমেন্ট নিয়ে চাপে ছিল, সেগুলো আবার চালু হয়েছে। আর যেগুলোতে কম চাপ আছে, সেগুলো আরও দুই-তিন দিন পর খুলবে।
ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের কর্মী আনোয়ার হোসেন জানান, বাবা-মায়ের সঙ্গে ঈদের ছুটি ভালোই কেটেছে তার।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আজ (শনিবার) কাজ শুরু করেছি। এবার মহাসড়কে ছুটি বা ঈদ যাত্রায় কোনো সমস্যা হয়নি।’
এদিকে ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বাস, লঞ্চ ও ট্রেনের পাশাপাশি ট্রাকে ঢাকা, গাজীপুর, আশুলিয়া, সাভার ও নারায়ণগঞ্জে ফিরছেন পোশাক শ্রমিকেরা।
আরও পড়ুন: পোশাকপণ্য নিয়ে ইতালির উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়েছে ‘এমভি সোঙ্গা চিতা’
শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ‘ঘোষণা’ দেয়া হয়নি: বিজিএমইএ
ময়মনসিংহে দুই নারী শ্রমিকের মৃত্যু: আতশবাজি কারখানার মালিক গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহে আতশবাজি তৈরির অবৈধ কারখানায় কাজ করার সময় বিস্ফোরণে দুই নারী নিহত হওয়ার ঘটনায় কারখানার মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
শনিবার সিআইডি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. বোরহান উদ্দিন (৫০)।
শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় ময়মনসিংহের নান্দাইল থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ও দণ্ডবিধিতে দায়ের করা দুটি মামলার প্রধান আসামি বোরহান উদ্দিন।
আরও পড়ুন: আতশবাজির আগুনে সিলেটে পুড়ল ৪ ঘর
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, বোরহান গত ২০ বছর ধরে কারখানায় অবৈধভাবে আতশবাজি তৈরি করত এবং স্থানীয় বিভিন্ন দোকানে সরবরাহ করত।
বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে দক্ষিণ বশতী চণ্ডীপাশা এলাকায় কারখানায় কাজ করার সময় বিস্ফোরণে নাসিমা আক্তার (৩০) ও আফিয়া খাতুন (৪৫) নিহত হন।
এসএসপি মুক্তা ধর বলেন, ‘ফ্যাক্টরিতে পালাক্রমে ৫০ জন শ্রমিক কাজ করত। নিহত নাসিমা দেড় বছর এবং আফিয়া মাত্র চার মাস ধরে সেখানে কাজ করছিলেন।’
আরও পড়ুন: শবে বরাতে আতশবাজি ও বিস্ফোরক নিষিদ্ধ করেছে ডিএমপি
ভারতে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত ১৪
শিল্প কারখানায় ৪ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার
শিল্প কারখানায় প্রতিদিন চার ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নতুন এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার (২২ এপ্রিল) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
এর আগে ১১ এপ্রিল পেট্রোবাংলা জানায়, ১২ এপ্রিল থেকে ১৫ দিনের জন্য প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
সূত্র জানায়, শিল্প মালিকদের অনুরোধে নতুন এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে পেট্রোবাংলা গৃহস্থালীর গ্রাহক ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহের সুবিধার্থে পবিত্র রমজান মাসে প্রতিদিন বিকাল ৫ থেকে ১১টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টা বন্ধ রাখার জন্য সব সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনকে নির্দেশ দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের আহ্বান বিজিএমইএর
কারখানায় মঙ্গলবার থেকে দিনে ৪ ঘণ্টা গ্যাস বন্ধ থাকবে
ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী
নরসিংদী জেলায় প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন দেশের বৃহত্তম ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র (বিআইসিসি) এবং নরসিংদীর সার প্রকল্প প্রান্ত থেকে সংশ্লিষ্টরা অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
এছাড়া একই অনুষ্ঠানে তিনি রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) নবনির্মিত ১৪ তলা প্রধান কার্যালয় ভবনসহ চারটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের ছত্রছায়ায় সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায় কিছু দল: প্রধানমন্ত্রী
অন্য তিনটি সমাপ্ত প্রকল্প হল-মাদারীপর বিসিক শিল্প এস্টেট সম্প্রসারণ, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনিক্যাল অ্যাসিসট্যান্স সেন্টার (বিটাক) এর অধীনে ‘সরঞ্জাম প্রতিষ্ঠান স্থাপন’ এবং বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) অধীনে এলইডি লাইট অ্যাসেম্বলিং প্ল্যান্ট স্থাপন।
১০ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে বার্ষিক ৯ দশমিক ২৪ লাখ মেট্রিক টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা সম্পন্ন ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার প্রকল্পটি ২০১৮ সালের অক্টোবরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) কার্যনির্বাহী সভায় অনুমোদন পায়।
বর্তমানে সেখানের দুটি কারখানা, ঘোড়শাল ইউরিয়া সার কারখানা ও পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা, বার্ষিক তিন দশমিক ১৫ লাখ মেট্রিক টন উৎপাদন করছে। বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
বিসিআইসি চেয়ারম্যান শাহ মো. ইমদাদুল হক স্বাগত বক্তব্যে বলেন, দানাদার সার কারখানা চালু হলে সারের আমদানি ৫৬ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাবে।
আরও পড়ুন: মেগা প্রকল্পে বদলে যাবে দেশের অর্থনীতি: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ২০২৫ সাল থেকে বাংলাদেশে কোনো ইউরিয়া সার আমদানির প্রয়োজন হবে না।
জাপান ও চীনের সহায়তায় পরিবেশবান্ধব কারখানাটি স্থাপন করা হচ্ছে বলে জানান বিসিআইসি চেয়ারম্যান।
প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে এক হাজার ৮৪৪ দশমিক ১৯ কোটি টাকা আসবে সরকারি তহবিল থেকে এবং বাকি আট হাজার ৬১৬ দশমিক ৭২ কোটি টাকা দরদাতাদের কাছ থেকে।
বিসিক ভবন
বিসিক প্রধান কার্যালয়ের জন্য ১৪ তলা বিশিষ্ট পরিবেশবান্ধব ভবনটি ৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে যাতে একটি উন্নত কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করা যায় এবং কর্পোরেশনের কার্যক্রমে গতি আনা যায়।
১২ লাখ ৬ হাজার ৯০০ বর্গফুট বিশিষ্ট বহুতল ভবনটিতে বিসিক প্রধান কার্যালয়, আঞ্চলিক কার্যালয় এবং প্রকল্প অফিস থাকবে।
শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা ও বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় ঢাকা-দিল্লি সহযোগিতার প্রশংসা প্রধানমন্ত্রীর
ঈদকে সামনে রেখে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় বিশেষ কর্মযজ্ঞ
আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষদের বিশেষ সেবা দিতে নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় চলছে বিশেষ কর্মযজ্ঞ। ৫০টি নতুন বগি প্রস্তুত করতে চলছে কর্মকর্তা কর্মচারীদের এই ব্যস্ততা।
১৭ কোটিরও বেশি মানুষের দেশে চলাচলের জন্য রেল যোগাযোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়, বিশেষ করে ঈদের ছুটিতে আন্তঃজেলা ভ্রমণের ক্ষেত্রে রেলে সর্বোচ্চ মানুষ যাতায়ত করে।
নির্ধারিত কর্মঘণ্টার পরও অতিরিক্ত সময় দিয়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কাজ করছেন এখানকার শ্রমিকরা। বাতিল করা হয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সকল ধরণের ছুটি।
আরও পড়ুন: রেলমন্ত্রীর আশ্বাসে রানিং স্টাফদের ধর্মঘট প্রত্যাহার
সরেজমিনে সৈয়দপুর কারখানার জিওএইচ, উৎপাদন মেশিন শপ, ক্যারেজ শপ, হুইল শপ, বগি শপ ও সিএইচআর শপ ঘুরে দেখা গেছে সংশ্লিষ্টদের এমন ব্যস্ততা।
সকাল ৭টা থেকে শুরু করে টানা বিকেল ৫টা পর্যন্ত অবিরাম কাজ হচ্ছে কারখানার ২৪টি বিভাগে।
কারখানায় শ্রমিকরা কেউ রঙ, কেউ বডি প্রস্তুত করণ, কেউ ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ তৈরি, কেউ চাকা মেরামত, কেউ ওলেল্ডিং, আবার কেউ কোচের সিট মেরামতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
ইতোমধ্যে প্রস্তুত হওয়া ৩০টি বগি হস্তান্তর করা হয়েছে রেলওয়ের পাকশি ও লালমনিরহাট বিভাগে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রেল খাতে বিনিয়োগ করতে চায় স্পেন
উৎপাদন মেশিন শপের শ্রমিক রেজাউল ইসলাম জানান, ৩০ মিনিটের বিরতি ছাড়া তারা সকাল ৭টায় কারখানায় প্রবেশ করে বের হন বিকাল ৫টার পর। ঈদের কারণে তারা একঘণ্টা ওভারটাইম করছেন। তবে তারা কাজটি করতে পেরে খুশি।
একই বিভাগের আরেক শ্রমিক ইসকেন্দার আলী বলেন, ঈদের কারণে বাড়তি চাপ থাকে আমাদের উপর। সেকারণে অনেক কিছু ভুলে আমরা নিবেদিত হয়ে মানুষদের সেবায় কাজ করে থাকি।
তিনি বলেন, এখানে ৩০০ শ্রমিকের প্রয়োজন থাকলেও আছেন মাত্র ৫০ জন।
হুইল শপের শ্রমিক ইলিয়াস হোসেন নামে আরেক শ্রমিক জানান, অন্যান্য সময় দৈনিক আমি ২-৩টি চাকার কাজ করি, এখন ঈদকে ঘিরে চাপ থাকায় অতিরিক্ত সময় মিলে পাঁচটি পর্যন্ত করতে হচ্ছে।
কারখানার জিওএইচ শপের ইনচার্জ সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান জানান, এই ঈদে ৫০টি নতুন কোচ যুক্ত হবে আন্তঃনগরের বিভিন্ন বহরে। প্রতি কোচে ১০০ জন করে হলে ৫০টি কোচে পাঁচ হাজার যাত্রীকে অতিরিক্ত হিসাবে দৈনিক সেবা দেয়া যাবে বাড়তি ভাবে।
ঈদের সময় যাত্রী চাপ কয়েকগুণ বেশি থাকায় এ ব্যবস্থা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন কাজ ধীরগতিতে হওয়ায় রেলমন্ত্রীর অসন্তোষ
জানুয়ারিতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কাজ করেছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা: সানেম
করোনা মহামারির মধ্যে বাংলাদেশে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য চলতি বছরের জানুয়ারি মাস ছিল ব্যস্ততম মাস। জানুয়ারিতে ২৭ কার্যদিবসে শ্রমিকরা কারখানায় গড়ে ২৯৫ ঘণ্টা সময় ব্যয় করেছে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি।
বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান নিয়ে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোফাইন্যান্স অপরচুনিটিজের (এমএফও) যৌথ গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
‘গার্মেন্ট ওয়ার্কার ডায়েরিজ’ প্রকল্পের অধীনে এপ্রিল ২০২০ থেকে প্রতি সপ্তাহে প্রায় এক হাজার ৩০০ জন নির্বাচিত গার্মেন্টস কর্মীদের ওপর এ জরিপ করা হয়।
আরও পড়ুন: গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পে বৈচিত্র্য আনার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
জরিপে অংশ নেয়া শ্রমিকরা বাংলাদেশের পাঁচটি প্রধান শিল্প এলাকা (চট্টগ্রাম, ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও সাভার) এর বিভিন্ন কারখানায় নিযুক্ত।
জরিপের উত্তরদাতাদের তিন-চতুর্থাংশ নারী, যা আরএমজি সেক্টরের শ্রমশক্তির বিন্যাসকে প্রতিনিধিত্ব করে। এক ঘণ্টার মধ্যাহ্নভোজের বিরতি বাদে, শ্রমিকরা জানুয়ারিতে গড়ে ২৬৮ ঘণ্টা কাজ করেছেন বলে জরিপে বলা হয়েছে।
নারী কর্মীরা জানুয়ারিতে গড়ে ২৬৭ ঘণ্টা কাজ করেছেন, যেখানে পুরুষ শ্রমিকরা এক ঘণ্টার মধ্যাহ্নভোজের বিরতি বাদ দিয়ে গড়ে ২৭০ ঘণ্টা কাজ করেছেন।
ফেব্রুয়ারির ২৪ কার্যদিবসে শ্রমিকরা গড়ে ২৫৯ ঘণ্টা কারখানায় ব্যয় করেছেন। এক ঘণ্টার মধ্যাহ্নভোজের বিরতি বাদ দিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসে শ্রমিকরা গড়ে ২৩৫ ঘণ্টা কাজ করেছে।
তাদের মধ্যে নারী শ্রমিকরা গড়ে ২৩৪ ঘণ্টা এবং পুরুষ শ্রমিকরা গড়ে ২৩৫ ঘণ্টা কাজ করেছেন।
জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি উভয় মাসে, জরিপকৃত শ্রমিকরা আইনত অনুমোদিত ১০ ঘণ্টার (আট ঘণ্টা নিয়মিত এবং দুই ঘণ্টা ওভারটাইম) অধিক কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন: ৬ মাসে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ১৮ কোটি টাকা সহায়তা
ডিসেম্বরে কাজের জন্য নারী শ্রমিকরা জানুয়ারিতে গড়ে ১২ হাজার টাকা এবং পুরুষ শ্রমিকরা গড়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা বেতন পেয়েছেন।
জানুয়ারিতে কাজের জন্য নারী শ্রমিকরা ফেব্রুয়ারিতে গড়ে ১২ হাজার টাকা বেতন পেয়েছেন যেখানে পুরুষ শ্রমিকরা পেয়েছেন ১৩ হাজার টাকা।
ফেব্রুয়ারিতে, ৫৪ শতাংশ কর্মী মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (বিকাশ, নগদ, রকেট, ইত্যাদি) মাধ্যমে এবং ৪৬ শতাংশ নগদ অর্থে বেতন পেয়েছেন।
প্রায় ২০ শতাংশ গার্মেন্টস কর্মী জানিয়েছেন ফেব্রুয়ারি মাসে তাদের পরিবারের অন্তত একজন সদস্য অসুস্থ ছিলেন। জানুয়ারিতে এই অসুস্থতার হার ছিল ২৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় গার্মেন্টস কর্মী হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
ভারতে কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৬ জনের মৃত্যু
দক্ষিণ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে একটি ফার্মাসিউটিক্যাল ইউনিটে বৃহস্পতিবার অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ছয়জন নিহত এবং ১৫ জনেরও বেশি আহত হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
দমকল এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের ধারণা, গ্যাস লিক করে চুল্লি বিস্ফোরণে এ ঘটনা ঘটেছে।
জেলা পুলিশ প্রধান বি শ্রীনিভাসুলু গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের সময় কারখানায় প্রায় ২০-২২ জন লোক কাজ করছিলেন।
একজন সিনিয়র ফায়ার কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রায় ১০টি ফায়ার ইউনিট দুই ঘণ্টার বেশি সময় চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে দমকলকর্মীরা কারখানা ভিতর থেকে ছয়টি পোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করে।
অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং মৃতদের পরিবারকে ২৫ লাখ রুপি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
পুলিশ অফিসার বলেন, ‘আগুন লাগার ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পড়ুন: গ্রেট ওয়াল শপিং সেন্টারের আগুন নিয়ন্ত্রণে
গাজীপুরে আগুনে পুড়ল ১৪ দোকান
কারখানায় মঙ্গলবার থেকে দিনে ৪ ঘণ্টা গ্যাস বন্ধ থাকবে
শিল্প-কারখানায় মঙ্গলবার থেকে ১৫ দিনের জন্য প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
সোমবার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলা এই নির্দেশনা জারি করে বলেছে, পবিত্র রমজান মাসে সব শিল্প প্রতিষ্ঠানকে এ আদেশ মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে পুনরায় পূর্ণ উৎপাদন শুরু
সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে পেট্রোবাংলা জানিয়েছে, গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর ভিজিল্যান্স টিম বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবে।
এর আগে আবাসিক এলাকার গ্রাহক ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহের সুবিধার্থে পবিত্র রমজান মাসে প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টা সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল পেট্রোবাংলা।