সুন্দরবন
সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা ও সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনায় সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বনবিভাগ।
শুক্রবার থেকে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। তবে মৌয়াল বা জেলেরা এ নিষেধাজ্ঞার বাহিরে থাকবে।
খুলনা সার্কেলের বনসংরক্ষক মো. মঈনুদ্দিন খান জানান, করোনাভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে একে একে সবগুলো পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সুন্দরবনের পর্যটন স্পটগুলো বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: করোনা: অনির্দিষ্টকালের জন্য মিরপুর ও রংপুর চিড়িয়াখানা বন্ধ
তিনি জানান, সুন্দরবন পূর্ব ও পশ্চিম জোন মিলিয়ে সাতটি পর্যটন স্পট রয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিমে দুটি ও পূর্বে পাঁচটি স্পট অবস্থিত। এগুলো সবই আজ থেকে বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ: ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা
বনসংরক্ষক মো. মঈনুদ্দিন খান জানান, প্রতি বছর দেশি-বিদেশি প্রায় ২ লাখ পর্যটক সুন্দরবনে ঘুরতে আসেন। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত বছরও সুন্দরবনের পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ছিল। তারপরও গতবছর ১ লাখ ৭২ হাজারের মতো পর্যটক এসেছিল। মূলত নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত পর্যটনের মৌসুম। এ সময়ে সুন্দরবনে পর্যটকরা বেশি আসে। সেটি মার্চ পর্যন্ত গড়ায়।
আরও পড়ুন: সব পর্যটন স্পট ২ সপ্তাহ বন্ধের ঘোষণা সিলেটে
সুন্দরবনে মধু আহরণ মৌসুম শুরু
সুন্দরবনে বৃহস্পতিবার থেকে মধু আহরণ মৌসুম শুরু হয়েছে।
প্রতিবছরের মতো এ বছরও একই সময় পারমিট দেয়া শুরু করে বন অফিসগুলো। এজন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রায় পাঁচ হাজার মৌয়াল।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জ অফিসের তথ্য মতে, এ বছর মৌসুমের তিন মাসে ৮০০ কুইন্টাল মধু এবং ২৫০ কুইন্টাল মোম আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বন বিভাগ। সেই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বৃহস্পতিবার স্টেশন অফিসগুলো থেকে পাস-পারমিট দেয়া শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সুন্দরবনের শিকারি চক্র
২০১৯-২০২০ অর্থবছরে শরণখোলা রেঞ্জের বন থেকে ৭১১ দশমিক ৫০ কুইন্টার মধু এবং ২১৩ দশমিক ৪৫ কুইন্টাল মোম আহরণ করা হয়।
পূর্ব বনবিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, সুন্দরবনে মধু কম-বেশি হওয়া অনেকটা বৃষ্টির ওপর নির্ভর করে। এবার বৃষ্টি না হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা ঠিক থাকবে কিনা তা বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: সুন্দরবন রক্ষায় কার্যকরী কৌশলপত্র গ্রহণ করা হচ্ছে: মন্ত্রী
মৌয়ালদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মৌসুমের শুরুতে খলিশা ফুলের মধু আসে। এরপর আসে গারণ ফুলের। শেষ আসে কেওড়া ও ছইলা ফুলের মধু। এই তিন প্রজাতির মধুর মধ্যে সবচেয়ে দামী হচ্ছে খলিশার মধু। কিন্তু এ বছর এ অঞ্চলে কোনো বৃষ্টি হয়নি। আর বৃষ্টি না হলে ফুল শুকিয়ে ঝরে যায় বলে মধু জমে না। তাই এ বছর মধু কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন মৌয়ালরা।
মহাজনদের কাছ থেকে দাদন নিয়ে বনে যাওয়ার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে বন অফিসের ঘাটে পারমিটের অপেক্ষা করছেন মৌয়ালরা। আবার এখনো নৌকা প্রস্তুতির কাজ চলছে অনেকের।
মধু ব্যবসায়ী মো. রাসেল আহমেদ জানান, তিনি এ বছর তিনটি নৌকায় দুই লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। তার আরও বেশি বিনিয়োগের ইচ্ছা ছিল এবার। কিন্তু বৃষ্টির না হওয়ায় তিনি বেশি বিনিয়োগে সাহস করেননি।
আরও পড়ুন: সুন্দরবন থেকে উদ্ধার হওয়া মৃত বাঘের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন
মৌয়াল মো. ইউনুচ হাওলাদার (৬৫) জানান, তার নৌকাটি প্রস্তুত করতে প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হবে। কাজ প্রায় শেষের পথে। তার নৌকায় ১২ জন সহযোগী রয়েছে। মৌসুমের তিন মাসে মধু আহরণ করতে গিয়ে একেকজন মৌয়ালের খরচ হয় ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা।
তিনি জানান, গত বছর একেকজন সহযোগী দুই মন করে মধু পেয়েছেন ভাগে। ২৫ হাজার টাকা মন দরে তা বিক্রি করেছেন।
এসিএফ জানান, এবারে সংশ্লিষ্ট বন অফিস থেকে ১৪ দিনের পারমিট নিয়ে বনে প্রবেশ করে মৌয়ালরা। সংরক্ষিত অভয়ারণ্য এলাকা থেকে মধু আহরণ করা যাবে না এবং কোনো মৌয়াল নিষিদ্ধ বনাঞ্চলে প্রবেশ করলে তাৎক্ষণিক তার পারমিট বাতিল করা হবে।
এছাড়া, পাসধারী মৌয়ালরা মধু আহরণের জন্য মৌমাছি তাড়াতে অগ্নিকুন্ড, মশাল বা অনুরূপ কোনো দাহ্য পদার্থ এবং রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবহার করতে পারবে না। এগুলোসহ ৯টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে মৌয়ালদের। এই নির্দেশনা অমান্যকারীর বিরুদ্ধে বন আইনে শাস্তিও রয়েছে।
সুন্দরবন থেকে উদ্ধার হওয়া মৃত বাঘের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন
সুন্দরবনের নদীর চর থেকে উদ্ধার হওয়া মৃত বাঘের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
বন্যপ্রাণী রক্ষায় কাজ করছে সরকার: মন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বুধবার বলেছেন, বন্যপ্রাণী রক্ষায় সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
সুন্দরবন রক্ষায় কার্যকরী কৌশলপত্র গ্রহণ করা হচ্ছে: মন্ত্রী
সুন্দরবন রক্ষায় কার্যকরী কৌশলপত্র গ্রহণ করা হচ্ছে বলে বুধবার জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
বাগেরহাটে ২২ কেজি হরিণের মাংসসহ শিকারি আটক
বাগেরহাটের সুন্দরবন এলাকায় থেমে নেই হরিণ শিকার।
বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সুন্দরবনের শিকারি চক্র
বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন শিকারি চক্রের সদস্যরা। একের পর এক নিধন করা হচ্ছে বন্যপ্রাণী। ফাঁদ পেতে, বিষটোপ দিয়ে এবং গুলি করে বাঘ ও হরিণ হত্যা করা হচ্ছে। এসব বন্যপ্রাণী হত্যা ও পাচার রোধে তাৎক্ষণিক শাস্তিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
বন্যপ্রাণী হত্যা ও পাচার রোধে সুন্দরবনে রেড এ্যালার্ট
রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও হরিণসহ বন্যপ্রাণী হত্যা ও পাচার রোধ সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ এলাকায় রেড এ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সুন্দরবনে বৈধ পাস নিয়ে যাওয়া জেলে-বনজীবীদেরও বন থেকে বেরিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছে বন বিভাগ।
বাগেরহাটে ২২ কেজি হরিণের মাংসসহ যুবক আটক
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা থেকে ২২ কেজি হরিণের মাংসহ এক যুবককে আটক করেছে বন বিভাগ।
সুন্দরবন জনপদে বাঘ আতঙ্ক
সাতক্ষীরার সুন্দরবন সংলগ্ন জনপদে বাঘ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় সতর্কতার সাথে চলাফেরা করছেন গ্রামবাসী। বিশেষ করে রাতে তারা বিনা কারণে বাইরে থাকছেন না, এমনকি তাদের ধারণা যে কোনো সময় বাঘ জনপদে ঢুকে মানুষ অথবা অন্যান্য পোষা প্রাণিদের ওপর হানা দিতে পারে।