শিক্ষা
আন্তর্জাতিক রাসায়নিক গবেষণা প্রতিযোগিতায় তৃতীয় শাবিপ্রবির রিফাত
আন্তর্জাতিকভাবে কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের গবেষণার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতিযোগতাগুলোর অন্যতম 'সামার ইন্টার্ন কম্পিটিশন অব রিসার্চ এ্যাবস্ট্রাক্ট সাবমিশন'। আমেরিকার ইনস্টিটিউট অব কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ার্স (এআইসিএইচই) আয়োজিত প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হয়েছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিফাত আব্দুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় ৮টায় প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণার পর বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিফাত আব্দুল্লাহ।
আরও পড়ুন: ইউজিসির পোস্ট ডক্টরাল ফেলোশিপ পেলেন শাবিপ্রবি অধ্যাপক ফারুক মিয়া
প্রতিযোগিতায় মেন্টর হিসেবে ছিলেন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ।
গেল বছর ১২ ডিসেম্বর 'চিটাগুড় থেকে ইথানল উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ' বিষয়ক রিসার্চ পেপার জমা দিয়েছিলেন রিফাত। এরপর এটি কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে নির্বাচিত হলে রিফাতকে ফাইনালে অংশ নেয়ার জন্য মনোনীত করা হয়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির প্রক্টরিয়াল টিমে নতুন ৪ সদস্য
রিফাত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। রিফাতের বাবার নাম মো. রফিক ঘরামী ও মা শিউলি বেগম। তার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার সাহেবরামপুর ইউনিয়নের ক্রোকিরচর গ্রামে।
মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণ কেন জরুরি?
যোগাযোগের চিরায়ত মাধ্যম ভাষা মানুষকে পরস্পরের সঙ্গে মনের ভাব প্রকাশে সহায়তা করে। কিন্তু যখন শিক্ষা গ্রহণের প্রশ্ন আসে, তখন ভাব বিনিময়ের প্রয়োজনীয়তার পাশাপাশি সেখানে আরও কিছু নির্ণায়ক জুড়ে যায়। যুগ যুগ ধরে বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা পদ্ধতির বিকাশের চাকার ঘূর্ণনকে নানা দিকে বদলেছেন বিশ্ব শিক্ষার নীতি নির্ধারকগণ। সব কিছুকে ছাপিয়ে বারবার যে বিষয়টি এই অগ্রগতির রূপরেখায় অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়েছিল, তা হলো মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণের গুরুত্ব। এই পরিপ্রেক্ষিতেই মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণের গুরুত্বপূর্ণ কিছু দিক তুলে ধরা হলো এই ফিচারে।
সামঞ্জস্য বিধানের সহজাত দক্ষতা
স্কুলে যেয়ে একটি শিশু যখন তার পরিবারের লোকদের বলা কথাগুলোই শুনতে ও বুঝতে পারে, তখন তার ভেতরে ইতোমধ্যে সংরক্ষিত শব্দগুলো দিয়ে স্কুলের শেখানো শব্দগুলোর সামঞ্জস্য বিধান করতে পারে। ভিন্ন ভাষার শব্দ হলে তখন তার এই সামঞ্জস্য করার দক্ষতা বিলম্বিত হয়। প্রতিটি শিশুর ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য। শিশুর যাচাই করার ক্ষমতার এই প্রাথমিক স্তরে কাঠামোর ভিত্তি গড়তে তাই প্রয়োজন তার মস্তিষ্কে তার মাতৃভাষার শব্দগুলোর প্রবেশ ঘটানো।
আরও পড়ুন: বর্ণিল আয়োজনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
অনুশীলনের সুবিধা
পরিবারের গণ্ডিতে যে কথ্য ভাষায় তিন থেকে চার বছর শিশুটি লালিত হয়, সে ভাষাটি স্কুলেও পেলে শিক্ষক ও বন্ধু-বান্ধবদের সাথে তা নিয়ে তার অন্তর্নিহিত ভাবগুলো অনায়াসেই প্রকাশ করতে পারে। তাছাড়া স্কুলে দেয়া হোমওয়ার্কগুলো বাবা-মার সহায়তায় বাসায় চর্চার সুবিধা তো আছেই। বিশেষত নতুন কোন কিছু বা জটিল বিষয়গুলো শেখার ক্ষেত্রে এটি সবচেয়ে বেশি কাজে দেয়। আশেপাশের মানুষদের সাথে ভাব বিনিময়ের মাধ্যমে অনুশীলনের ফলাফল হিসেবে অনুশীলনকৃত বিষয়টির ঠিক-বেঠিক নির্ণয়ে মাতৃভাষা সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
সৃজনশীলতার সহায়ক
শিশুটির মস্তিষ্ক যখন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ শব্দভান্ডারে বিকশিত হয়, তখন সময় আসে সে সেগুলো নতুন করে ব্যবহার করতে পারছে কিনা তা যাচাই করে দেখার। অবশ্য এটি বিভিন্ন শিশুর মধ্যে তার পরিবেশ ও শিক্ষা গ্রহণের ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন সময়ে পরিলক্ষিত হয়। তবে জীবনের প্রাথমিক স্তরে মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণ শিশু মস্তিষ্কে সৃজনশীলতার বীজ বুনতে সাহায্য করে। এমনকি, এর ওপর নির্ভর করে শিশুর স্বাভাবিক মানসিক ক্রমবিকাশ পরিচালিত হয়। এর পরিধি কয়েকটি বর্ণ মিলিয়ে একটি শব্দ গঠন থেকে শুরু করে নতুন অনুভূতি প্রকাশ করা পর্যন্ত বিস্তৃত।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে একুশে পদক পাবেন ২৪ বিশিষ্ট নাগরিক
সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখার প্রয়োজন
সংস্কৃতির মধ্যে নিহিত থাকে প্রতিটি মানুষের শিকড়। আর এর উপরেই মাটি ভেদ করে আকাশের দিকে ধীরে ধীরে ডালপালা গজাতে শুরু করে মূল্যবোধের বৃক্ষটির। ব্যক্তির আচার-আচরণ থেকে শুরু করে ভুল-শুদ্ধ নিরূপণের ভীত রচনা করার মোক্ষম হাতিয়ার সংস্কৃতি। মাতৃভাষা শুধু এই হাতিয়ার বানাতেই সাহায্য করে না বরং একজন পরিণত মানুষের জন্য এই হাতিয়ারকে শাণীত রাখার একমাত্র মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। ফলশ্রুতিতে নিজ গোষ্ঠী ও প্রথাগুলোকে মর্যাদাপূর্ণ করার পাশাপাশি ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের সঙ্গেও পারস্পরিক লেনদেনের উৎস উন্মোচিত হয়।
মাতৃভাষায় শিক্ষা পদ্ধতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত
পাঠ্যক্রমগুলোতে মাতৃভাষার দারুণ প্রয়োগ দেখা যায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। জাপান, জার্মানি, ও ফ্রান্স বিভিন্ন চড়াই-উৎড়াইয়ের পরেও দেশ গঠনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের মাতৃভাষা প্রয়োগ থেকে বিরত থাকেনি। বরং সারা বিশ্বের শিক্ষার্থীরা শিক্ষাব্রত পালন করতে এই দেশগুলোতে ভীড় জমানোর সময় তাদের মাতৃভাষা শেখায় গুরুত্ব দেয়।
আরও পড়ুন: গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ ইতিহাসের এক অসাধারণ দলিল: জাফর ইকবাল
বলিভিয়ার জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ আদিবাসী হওয়ায়, বলিভিয়ান ক্যাম্পেইন ফর দ্য রাইট টু এডুকেশন (সিবিডিই) অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা পদ্ধতি অনুসরণ করে। ২০১০ সালে বলিভিয়ার জাতীয় শিক্ষা কার্যক্রম প্রত্যেক শিশুকে স্প্যানিশ ছাড়াও একটি আদিবাসী ভাষা এবং সংস্কৃতি শেখার বিধান জারি করে।
জিম্বাবুয়ে স্কুল পরীক্ষা পরিষদ আদিবাসী ভাষা শিক্ষায় উৎসাহিত করতে সংখ্যালঘু ভাষায় পরীক্ষা চালু করেছে।
আরও পড়ুন: রাজু ভাস্কর্যের সামনে নৃত্যরত ইরা: সপ্রতিভ উত্থানে এক বাংলাদেশি ব্যালেরিনা
২০১৬ সালে মাদাগাস্কারের আনালাভরি কমিউনের একটি স্কুল তাদের মাতৃভাষা মালাগাসিতে লেখা গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশন (জিপিই) থেকে ৫৪টি পাঠ্যপুস্তক পেয়েছে। এগুলো শিশুদেরকে তৃতীয় গ্রেড পর্যন্ত তাদের মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণের সুবিধা দিয়েছে। চতুর্থ শ্রেণি থেকে তারা দেশের দ্বিতীয় সরকারী ভাষা ফরাসি শেখা শুরু করে।
২০১৪ সালে জিপিই-এর ৩৫ দশমিক দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদানের একটি অংশ দেয়া হয়েছিলো জাম্বিয়ার চাভুমা জেলায়। এতে করে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির শিশুরা তাদের মাতৃভাষা লুভালে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। সে বছর থেকে জাম্বিয়ান প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো গণিত সহ উচ্চতর পরীক্ষায় ক্রমাগত সাফল্য পেয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, আফসান চৌধুরীসহ ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ৬ লেখক
১২৩ টিরও বেশি ভাষা থাকলেও নেপালি ভাষা নেপালের স্কুলগুলোর প্রধান ভাষা। ২০১৫ সালে নেপালি মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণের জন্য নতুন সংবিধান চালু করা হয়।
শেষাংশ
শুরুটা হোক মাতৃভাষায়- এই দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে শিক্ষা লাভের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে একটি নিরবচ্ছিন্ন গতি দেয়া যেতে পারে। সেই সঙ্গে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রগুলোতে জাতীয়ভাবে যথাযথ সুযোগ-সুবিধার প্রণয়নে মাতৃভাষার পেশাগত মর্যাদার পাশাপাশি বজায় থাকবে সাংস্কৃতিক উন্নয়নের ধারা। বিদেশি ভাষা বয়কট নয়; বরং বিশ্ব দরবারে মাতৃভাষাকে সমুন্নত করতেই বিদেশি ভাষা শিক্ষার নিমিত্তে মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করতে হবে।
আরও পড়ুন: লিটল ম্যাগাজিন প্রদর্শনীর সময় বাড়ল
শতভাগ শিক্ষার্থী বান্ধব শাবিপ্রবি করার চেষ্টা করবো: উপাচার্য
পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর এই প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে এসে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ শাবিপ্রবিকে শতভাগ শিক্ষার্থী বান্ধব করার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের সবাইকে একসঙ্গে হয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কাজ করতে হবে। আমরা চেষ্টা করবো শতভাগ শিক্ষার্থী বান্ধব শাবিপ্রবি করার।’
শাবিপ্রবির ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তিনি এসব কথা বলেন।
পহেলা ফাল্গুন, ১৪ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
এই উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-২ এর সামনে সকাল ১০টার দিকে ‘জাতীয় সংগীত’পরিবেশনের সঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম যথাক্রমে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির হল খুলছে সোমবার, অনলাইন ক্লাস শুরু মঙ্গলবার
এরপরে ১০টা ১০মিনিটে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়৷ পরবর্তীতে ১০টা ২০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য ‘শোভাযাত্রা’বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে গোল চত্বরে মিলিত হয়৷ সেখানে কেক কাটার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করা হয়।
এইচএসসিতে সর্বোচ্চ পাশের হার বরিশালে
বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসিতে পাশের হার ৯৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ। বোর্ডের ইতিহাসে এইচএসসিতে এবারই সর্বোচ্চ পাশের হার বরিশাল বোর্ডে।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল ঘোষণা করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইন।
আরও পড়ুন: এইচএসসির ফলাফল: কুমিল্লা বোর্ডে পাশের হার ৯৭.৪৯ শতাংশ
তিনি বলেন, ২০২১ সালের পরীক্ষায় অংশ নেয়া ৬৬ হাজার ৭৯৬ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৬৩ হাজার ৯৬৪ জন। ছেলে ৩০ হাজার ২৮৯ জন ও মেয়ে ৩৩ হাজার ৬৭৫ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৯ হাজার ৯৭১ জন। এর মধ্যে ছেলে ৩ হাজার ৪৮১ ও মেয়ে ৬ হাজার ৪৯০ জন।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী
বরিশাল বোর্ডে পরীক্ষায় ফলাফলে পাশের হারে দিক থেকে বরিশাল জেলা এগিয়ে রয়েছে। এই জেলায় পাশের হার ৯৬ দশমিক ৯৩ ভাগ। এছাড়া ঝালকাঠিতে ৯৬ দশমিক ৪০ ভাগ, বরগুনায় ৯৬ দশমিক ৩১ ভাগ, পিরোজপুরে ৯৬ দশমিক ১৫ ভাগ, ভোলায় ৯৪ দশমিক ৫৮ ও পটুয়াখালীতে ৯৩ দশমিক ৪৬ ভাগ।
এইচএসসির ফলাফল: কুমিল্লা বোর্ডে পাশের হার ৯৭.৪৯ শতাংশ
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে কুমিল্লায় পাশের হার ৯৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, কুমিল্লা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ১৫৩ জন। মোট পাশ করেছে এক লাখ ১১ হাজার ৬৮০ জন শিক্ষার্থী। এ বোর্ডে ৪০৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এক লাখ ১৪ হাজার ৫৫৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ৫১ হাজার ৬১৫ জন। আর ছাত্রী ৬২ হাজার ৯৪৪ জন। ৯৭টি প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাশ করেছে।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী
এ বছরের তুলনায় গেল বছর ৪ হাজার ৭৮৯ জন বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে। তবে এই বছরে কুমিল্লা বোর্ডে থেকে একজনও পাশ করেনি এমন প্রতিষ্ঠান একটিও নেই।
শিক্ষা ক্ষেত্রে বিপর্যয় এড়াতে স্কুল খোলা রাখুন: ইউনিসেফ
শিক্ষা ক্ষেত্রে বিপর্যয় এড়াতে বিশ্বের সব সরকারের প্রতি স্কুল খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।
শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংস্থাটি এ আহ্বান জানায়।
সংস্থাটি বলছে, ‘বিশ্বব্যাপী করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন সংক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। আমরা সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, এটি শিশুদের শিক্ষা যেন আর ব্যাহত করতে না পারে সে জন্য তাদের ক্ষমতায় যা আছে সব করার।’
‘শিক্ষা ক্ষেত্রে বিপর্যয় এড়াতে এবং শিশুদের শেখার পথে ফিরিয়ে আনতে ইউনিসেফ স্কুল খোলা রাখার সুপারিশ করে।’
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের নিরাপদে রাস্তা পারাপারে স্কুলে কর্মী নিয়োগ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘের সংস্থাটি বলছে, ‘স্কুল খোলা রাখুন। আংশিক বা সম্পূর্ণ স্কুল বন্ধ রাখায় আনুমানিক ৬১ কোটি ৬০ লাখ শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা জানি প্রশমন ব্যবস্থা স্কুল খোলা রাখতে সহায়তা করে। আমরা এও জানি, ডিজিটাল সংযুক্ততায় বিনিয়োগ কোনো শিশু যেন বাদ না পড়ে তা নিশ্চিতে আমাদের সহযোগিতা করতে পারে।’
‘প্রত্যেক শিশুকে স্কুলে ফিরে আসায় সক্ষম করতে আমাদের সাহসী পদক্ষেপের প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে- প্রতিটি সম্প্রদায়ের প্রান্তিক শিশুদের প্রতি বিশেষ নজরসসহ ব্যাপক সহায়তা প্রদান। যেমন অতিরিক্ত ক্লাস নেয়া, মানসিক স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সহায়তা, নিরাপত্তা ও অন্যান্য প্রধান সেবা।’
এছাড়া স্কুলের শিক্ষক, কর্মচারীদের জরুরি ভিত্তিতে করোনার টিকা দেয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন জাতিসংঘের সংস্থাটি। সংস্থাটি বলছে, ‘সম্মুখ সারির স্বাস্থ্যকর্মী ও উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে টিকা দেয়া হলে শিক্ষক ও স্কুলকর্মীদের সম্পূর্ণরূপে করোনার টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত।’
আরও পড়ুন: ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
৩০ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
রাবিতে সশরীরে ক্লাস বন্ধ, খোলা থাকবে আবাসিক হল
সরকারি নির্দেশনার প্রেক্ষিতে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সশরীরে ক্লাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কর্তৃপক্ষ। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খোলা থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে জানান, দেশে করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশের পর শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দাবি আদায়ে সময় বেঁধে দিয়ে রাবির আন্দোলন স্থগিত
তিনি জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সীমিত পরিসরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অফিস খোলা থাকবে। এছাড়া ক্যাম্পাসে সব জরুরি পরিষেবা-বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ইন্টারনেট, স্বাস্থ্যসেবা যথারীতি চালু থাকবে।
অধ্যাপক পাণ্ডে বলেন, যে কোনো বিভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
আরও পড়ুন: রাবি শিক্ষার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের নিজ নিজ হলে থাকার এবং সকল জনসমাগম এড়াতে পরামর্শ দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সভা-সেমিনার না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
খুবিতে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে শুক্রবার জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের আলোকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের ক্লাস আগামী ৩০ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা ওই সময় (৬ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রথম বর্ষের রেজিস্ট্রেশন ও শূন্য আসনে ভর্তিও বন্ধ থাকবে। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে জানানো হবে।
আরও পড়ুন: খুবিতে বর্ধিত বেতন-ফি প্রত্যাহারসহ ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ
এছাড়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সীমিত পরিসরে অফিসসমূহ চলবে। তবে জরুরি সেবাসমূহ (বিদ্যুৎ, পানি, মেডিকেল, নিরাপত্তা, এস্টেট, ইন্টারনেট, আইসিটি ইত্যাদি) যথারীতি চালু থাকবে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সভা, সমাবেশ ও জনসমাগম না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনের আলোকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে জরুরি এক সভা উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে শুক্রবার বিকাল ৪টায় অনলাইনে অনুষ্ঠিত সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ‘নব্য জেএমবি সদস্য’ সন্দেহে খুবির ২ ছাত্র আটক
সভায় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ডিনবৃন্দ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান, প্রভোস্ট ও পরিচালকরা সংযুক্ত ছিলেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শনিবার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির বরাত দিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কথা বলা হচ্ছে। যা একটি গুজব। শিক্ষামন্ত্রী এই সংক্রান্ত কোনো বক্তব্য সাম্প্রতিক সময়ে দেননি।
আরও পড়ুন: ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
এতে আরও বলা হয়, করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির প্রেক্ষিতে সরকার নিয়মিত পরিস্থিতি মনিটর করছে। করোনা সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে আবার মিটিং করা হবে। তারপর এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সরকার এই মুহুর্তে শিক্ষার্থীদের টিকাদান নিশ্চিত করার বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে।’
এছাড়া এই সংক্রান্ত কোন রকমের গুজবে কান না দিতে এবং অগাম তথ্য প্রদান থেকে বিরত থাকতে সকলকে অনুরোধ করা হয় এই বিবৃতিতে।
আরও পড়ুন: কারিগরি কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত: শিক্ষামন্ত্রী
আগামী বছরের মাঝামাঝি হতে পারে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭৪৫ আসন খালি
কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে মেধা তালিকার ভর্তি শেষ হয়েছে। প্রথম মেধা তালিকা থেকে ভর্তি কার্যক্রম শেষে তিন ইউনিটে এখনও ১৭৪৫টি আসন খালি রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. আহসান উল আম্বিয়া।
আরও পড়ুন: করোনার ছুটির মধ্যে পরীক্ষা নেবে ইবি
সূত্র মতে, গত ১১ জানুয়ারি প্রথম মেধা তালিকায় স্থানপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তি শেষ হয়। এই সময় তিনটি ইউনিটে মোট ২০৯৫টি আসনের মধ্যে ভর্তি হয় ৩৫০ জন। ফলে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটে ৫০৪টি, কলা, সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটে ৮৭৭টি এবং বাণিজ্য অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটে ৩৬৪টি আসন খালি রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইবির এমফিল, পিএইচডি ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার
খালি আসনগুলোতে ভর্তির জন্য আগামী ১৯ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেধা তালিকা প্রকাশ করবে কর্তৃপক্ষ। এই তালিকায় স্থানপ্রাপ্তদের ২৫ জানুয়ারির মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে হবে। এরপরও আসন খালি থাকলে ২ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ করবে কর্তৃপক্ষ।
শূন্য আসন, ভর্তি ও এ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (iu.ac.bd) থেকে জানা যাবে।