কারাদণ্ড
পাবনায় হত্যা মামলায় চার জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
পাবনায় এক যুবককে হত্যার দায়ে চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পাবনার বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আহসান তারেক সাঁথিয়ায় উপজেলার রফিকুল ইসলাম (৩৫) কে হত্যার দায়ে এ রায় দেন।
রফিকুল সাঁথিয়া উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর মহল্লার শাহজাহান আলীর ছেলে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সাঁথিয়া উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নের মাহমুদপুর গ্রামের হাবিবর মুন্সির ছেলে ওয়াশিম মুন্সি (৩৯), নন্দনপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে মোস্তফা (৪২), গোবিন্দপুর গ্রামের খাজু মন্ডলের ছেলে মিরাজুল ইসলাম (৪৩) ও গোবিন্দপুর গ্রামের ফয়জাল হোসেনের ছেলে শাহাদুল শাহাদৎ (৩৯)।
আরও পড়ুন: যুবদল নেতা হত্যা: লক্ষ্মীপুরে ৭ জনের যাবজ্জীবন
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ১৯ অক্টোবর দুপুরে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পার্শ্ববর্তী সুন্দরকান্দি গ্রামে শ্বশুর আনছার আলীর বাড়িতে পরিবারসহ বেড়াতে যায়। ঈদের আগের রাতে এলাকার অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধ ও কুপিয়ে হত্যা করে একটি ধানক্ষেতে লাশ ফেলে পালিয়ে যান আসামিরা। পরের দিন সকালে লাশটি পুলিশ উদ্ধার করে।
২৬ অক্টোবর রাতে ২৫-৩০ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে সাঁথিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজিজুর রহমান একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ২৩ জনের নামে চার্জশিট দাখিল হয়।
পুলিশ ফোনের কললিস্ট ধরে তদন্ত করে সবাইকে গ্রেপ্তার করেন। দীর্ঘ শুনানির পর আদালত হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ও পরিকল্পনাকারী চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। বাকি ১৯ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দেওয়ান মজনুল হক বলেন, এই মামলায় তারা অপরাধী প্রমাণিত হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। হত্যার সঙ্গে জড়িত প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি ১৯ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:ছাত্রলীগ কর্মী হত্যা: ৬ জনের যাবজ্জীবন, ১৪ জন খালাস
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সনৎ কুমার বাবু, অ্যাডভোকেট তৌফিক ইমাম খান বলেন, আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।
ছাত্রলীগ কর্মী হত্যা: ৬ জনের যাবজ্জীবন, ১৪ জন খালাস
চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার হামজারবাগ এলাকার ছাত্রলীগ কর্মী মো. নূরুল আলম রাজু হত্যা মামলায় ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। রায়ে আদালত ১৪ জনকে খালাস দিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ কে এম মোজাম্মেল হক এ রায় ঘোষণা করেন।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি আইয়ুব খান জানান, এ মামলায় ২২ জন আসামি ছিলেন। এর মধ্যে ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। দুই আসামি শিশু হওয়ায় তাদের বিচার অন্য আদালতে চলছে।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া ছয় আসামির মধ্যে রায় ঘোষণার সময় ইমন ও দিপু আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি চারজন পলাতক রয়েছেন। তবে রায়ে অসন্তুষ্ট প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে একজনকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ১
আসামিপক্ষের আইনজীবী কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেন, বিনা অপরাধে আসামিদের সাজা দেয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতে আপিলের কথা জানান তিনি।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৩ নভেম্বর পাঁচলাইশ থানাধীন বিবিরহাট এলাকার নিজ বাসা থেকে ডেকে নিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রাজুকে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. কুতুবুল আলম বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত নামা ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে তদন্ত শেষে পুলিশ ২২ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অপহরণ করে মুক্তিপণ, ৬ পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ
চট্টগ্রামে মাদরাসা পরিচালনার দ্বন্দ্বে প্রবাসীকে কুপিয়ে হত্যা
নোয়াখালীর বিবস্ত্র করে নির্যাতন মামলায় ১৩ আসামির কারাদণ্ড
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের মামলায় ১৩ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ২০মিনিটে নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক জয়নাল আবেদীন এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে স্ত্রীর নগ্ন ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ায় স্বামীর কারাদণ্ড
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- দেলোয়ার হোসেন দেলু, নূর হোসেন বাদল, মোহাম্মদ আলী ওরফে আবুল কালাম, আনোয়ার হোসেন সোহাগ, সামছুদ্দিন সুমন, নূর হোসেন রাসেল, মাইন উদ্দিন সাজু, ইস্রাফিল হোসেন মিয়া, মো. রহিম, আবদুর রব চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান, জামাল উদ্দিন ও মিজানুর রহমান তারেক।
এদের মধ্যে আবদুর রব চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান, জামাল উদ্দিন ও মিজানুর রহমান তারেক পালতক রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) মামুনুর রশীদ লাভলু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন । এর আগে ৯ আসামিকে ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে সকাল পৌনে ১০টায় কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাতে বেগমগঞ্জের দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেন দেলুসহ ১৪ থেকে ১৫ জনের একদল দুর্বৃত্ত জোর করে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করেন। পরে ওই নারীর স্বামীকে মারধর, নারীকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা এবং পুরো ঘটনার ভিডিও চিত্র ধারণ করেন। একপর্যায়ে ঘটনার ৩২ দিন পর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: সোনালী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তার ৩১ বছর কারাদণ্ড
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে ২০২০ সালের ৪ অক্টোবর দেলোয়ার বাহিনীর ৯ জনের নাম উল্লেখ করে বেগমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের ভার দেয়া হয়। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগকে মামলার থেকে অব্যাহতি দিয়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করে আদালত।
ফরিদগঞ্জে শিশু ধষর্ণ মামলায় যুবকের ৫ বছরের কারাদণ্ড
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার মান্দারতলী গ্রামে আট বছর বয়সী কন্যা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. নাছির চৌকিদার (৩০) নামে এক যুবককে পাচঁ বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) জান্নাতুল ফেরদাউস চৌধুরী এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২৭ নভেম্বর নাছির বাড়ির উঠান থেকে ওই শিশুকে ধরে নিয়ে নিজ ঘরে ধর্ষণ করে। পরে শিশুটি তার মায়ের কাছে বিষয়টি জানায়। পরে শিশুটির মা বাদী হয়ে নাছির, তার বাবা হানিফ চৌকিদার ও তার মা হেনজী বেগমকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে স্ত্রীর নগ্ন ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ায় স্বামীর কারাদণ্ড
মামলার বিবরণে আরও জানা যায়, এই ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) আবু আল মামুন ২০১১ সালের ৩০ মার্চ নাছিরকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
মামলায় সরকার পক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটির (পিপি) অ্যাডভোকেট সাইয়্যেদুল ইসলাম বাবু জানান, মামলাটি ১১ বছর চলমান অবস্থায় ছয় জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। মামলার সাক্ষ্য ও নথিপত্র পর্যালোচনা করে অভিযুক্তকে পাচঁ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মামলায় সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটার (এপিপি) ছিলেন অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম শাওন। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট ইলিয়াছ মানছুরি।
আরও পড়ুন: বাসে শাবিপ্রবি ছাত্রীকে যৌন হয়রানির দায়ে যুবকের কারাদণ্ড
সু চির ৪ বছরের কারাদণ্ড
উসকানি ও করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত করে সোমবার মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত।
গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির ক্ষমতা গ্রহণ করে সেনাবাহিনী এবং এর ফলে দ্বিতীয় বারের মতো সরকার গঠন করতে পারেনি নির্বাচনে জয়ী সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)।
এরপর থেকে ৭৬ বছর বয়সী নোবেল বিজয়ী সু চির বিরুদ্ধে দায়ের করা বেশ কয়েকটি মামলার মধ্যে প্রথম কোনো মামলায় এ রায় দেয়া হয়েছে।
উসকানির মামলায় তার দলের ফেসবুক পেইজ থেকে পোস্ট দেয়ার কথা বলা হয়। তবে এর আগেই সু চিসহ তার দলের অন্য নেতাদের সেনা সরকার গ্রেপ্তার করে। এছাড়া গত বছরের নভেম্বরে নির্বাচন সামনে রেখে এক প্রচারণা কর্মসূচিতে করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। আর এ নির্বাচনেও সু চির দল জয়ী হয়।
নির্বাচনে সেনা সমর্থিত দল অনেক আসনে পরাজিত হয় এবং এ নির্বাচনে ব্যাপক ভোট জালিয়াতির অভিযোগ করেছে সেনাবাহিনী। তবে স্বাধীন পর্যবেক্ষক দল নির্বাচনে তেমন অনিয়ম পাননি।
সু চির এ বিচার কার্যক্রম গণমাধ্যম ও দর্শকদের দেখার সুযোগ দেয়া হয়নি। এছাড়া এই নেত্রীর পক্ষের আইনজীবীদেরও গণমাধ্যমে তথ্য প্রদানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে সু চির বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ দায়ের
সু চিকে আটক রাখার মেয়াদ বাড়ল
সু চির বিরুদ্ধে মামলা, পাওয়া গেল তাকে আটক রাখার আইনি ভিত্তি
রাজশাহীতে স্ত্রীর নগ্ন ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ায় স্বামীর কারাদণ্ড
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় সাবেক স্ত্রীর নগ্ন ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার অপরাধে সাবেক স্বামীকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
রাজশাহীর সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক জিয়াউর রহমান বৃহস্পতিবার আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মো. মানিক (৪০) চারঘাট উপজেলার ঝিকড়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে কথিক চিকিৎসককে জরিমানা ও কারাদণ্ড
ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা জানান, মানিকের সাথে তার স্ত্রীর ছয় বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় তার স্ত্রী জানতেন না তার স্বামী মানিকের নামে ধর্ষণ মামলাসহ আরও তিনটি মামলা রয়েছে। তার আরও দুটি স্ত্রীর কথাও তিনি জানতে না। এসব নিয়ে দাম্পত্য কলহ দেখা দিলে ২০১৫ সালের ১৮ আগস্ট মানিককে তালাক দেন তার তৃতীয় স্ত্রী। তালাক দেয়ার পর সাবেক স্ত্রীর ধারণ করা নগ্ন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন মানিক। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে ২০১৬ সালে ২১ জানুয়ারি চারঘাট মডেল থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: বাবরের ৮ বছরের কারাদণ্ড
রায় ঘোষণার পর আসামিকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
খুলনায় চাঁদাবাজি মামলায় ৩ পুলিশ সদস্যসহ ৫ জনের সাত বছরের কারাদণ্ড
খুলনার আলোচিত চাঁদাবাজি মামলায় তিন পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজনকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদলতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-কনেস্টবল মোল্লা মেসবাহ উদ্দিন (পলাতক), কনেস্টবল মো. ফরহাদ আহমেদ, কনেস্টবল মোস্তাফিজুর রহমান (পলাতক), আরমান শিকদার জনি ও মো.বায়েজিত। উল্লেখিত কনেস্টবলরা খুলনা পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন।
আদলত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে দৌলতপুর বিএল কলেজের দ্বিতীয় গেটের সামনে শান্তি রানী বিশ্বাসের চায়ের দোকানে ওই আসামিরা মো.শাহরিয়ার রিন্টু ও আবু ইছহাক নামে দুই ব্যক্তিকে আটকে রাখে। এ সময় আসামি মেজবাউদ্দিন নিজেকে পুলিশের এসআই পরিচয় দিয়ে তাদের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
আরও পড়ুন: কেরোসিন-ডিজেলের মূল্য নির্ধারণের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না: হাইকোর্ট
দাবিকৃত টাকা পরিশোধ করলে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে। দর কষাকষির একপর্যায়ে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে বলে জানানো হয়। পরে এলাকাবাসী ঘটনাটি দৌলতপুর থানাকে জানালে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগীদের উদ্ধারসহ আসামিদের গ্রেপ্তার করে।
চাঁদাবাজির অভিযোগে দৌলতপুর থানার এসআই কাজী বাবুল হোসেন বাদী হয়ে তিনজন পুলিশ সদস্য ও তাদের সহযোগী দু’জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন (যার নং ১১)। ২০১৫ সালের ১৯ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো.বাবলু খান তাদের পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: মানসম্মত মোবাইল সেবা নিশ্চিতে পদক্ষেপ জানানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
হাতি হত্যা বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
বাসে শাবিপ্রবি ছাত্রীকে যৌন হয়রানির দায়ে যুবকের কারাদণ্ড
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক ছাত্রীকে মোবাইল ফোনে পর্নোভিডিও দেখিয়ে যৌন হয়রানি এবং অশালীন অঙ্গভঙ্গি করায় এক যুবককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সৌদিয়া পরিবহনের একটি বাসের ভিতরে এ ঘটনা ঘটে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মৌলভীবাজারের শেরপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ৭টা ২০ মিনিটে হট্টগোলের আওয়াজ শুনতে পান শেরপুর হাইওয়ে থানার পুলিশের টহলরত দল। এসময় গাড়ি থামিয়ে গাড়ির চালক ও সুপারভাইজারের কাছে সার্জেন্ট শিবলু মিয়া জানতে চান, গাড়িতে কোনো ঝামেলা হয়েছে কিনা। গাড়ির চালক ও সুপারভাইজার জানান, একজন পুরুষ ও একজন নারী যাত্রীর (শাবি শিক্ষার্থী) মধ্যে ঝামেলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘ব্যক্তিগত হতাশা’: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
ঘটনার খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ সুপার সিলেট রিজিয়নের নির্দেশক্রমে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানায়।তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মৌলভীবাজার সদর মোস্তাফিজুর রহমান। এসময় তিনি ঘটনার বিবরণ শুনে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। অনাদায়ে বিনাশ্রমে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেন। পরবর্তীতে আসামিকে মৌলভীবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।শেরপুর হাইওয়ে থানার (ওসি) মো. নবীর হোসেন জানান, চট্টগ্রাম থেকে সুনামগঞ্জের উদ্দেশ্যে সোমবার রাত সাড়ে ৯ টায় ছেড়ে আসা সৌদিয়া পরিবহনের বাসটির যাত্রী সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থানার মো. আব্দুর রউফের ছেলে মো. মাহবুবুর রহমান (২৬) তার পেছনের সিটে বসা শাবির আর্কিটেকচার ডিপার্টমেন্টের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীকে তার হাতে থাকা মোবাইল ফোনে পর্নোগ্রাফি ভিডিও দেখিয়ে দীর্ঘক্ষণ বিরক্ত করছিল ও মেয়েটির দিকে বার বার তাকিয়ে বিভিন্নভাবে খারাপ অঙ্গভঙ্গি করেছে। হাইওয়ে পুলিশ সিলেট রিজিয়নের পুলিশ সুপার মো. শহিদ উল্লাহ্ বলেন, মহাসড়কে সব ধরনের হয়রানিমূলক কাজ বন্ধে হাইওয়ে পুলিশ স্বচ্ছতার সাথে কাজ করছে। মহাসড়ক নিরাপদ ও মহাসড়কে কেউ যেন অযথা হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়টিকে সামনে রেখে কাজ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের এনআইডি নিবন্ধনের তথ্য দেয়ার নির্দেশ
সোনালী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তার ৩১ বছর কারাদণ্ড
নোয়াখালীতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা, জালিয়াতি ও টাকা আত্মসাতের মামলায় সোনালী ব্যাংক সোনাগাজী-ফেনী শাখার তিন কর্মকর্তাকে ৩১ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ৮৪ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আসামিদের উপস্থিতিতে জেলা জজ আদালতের স্পেশাল জজ (জেলা জজ) এ এন এম মোর্শেদ আলম সোমবার বিকালে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সোনালী ব্যাংক সোনাগাজী শাখার ম্যানেজার মো. রহিম উল্যাহ খন্দকার, শাখার দ্বিতীয় কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম ও সহকারী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে কথিক চিকিৎসককে জরিমানা ও কারাদণ্ড
আদালত সূত্র জানায়, গত ২০১১ সালের ২ অক্টোবর থেকে ২০১২ সালের ১৩ আগস্ট পর্যন্ত সাব রেজিস্ট্রার মতিগঞ্জ, সোনাগাজীর দলিল রেজিস্ট্রিতে ব্যবহৃত ও সরকারি খাতে জমার জন্য সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে ২৫টি বাণ্ডিল একত্রে চালানে পে-অর্ডার নম্বর, টাকা ও তারিখ উল্লেখ করে ব্যাংকে জমা দেয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত তিন জন জমাকৃত ১৯ লাখ ৩৬ হাজার ১৬৫ টাকার ১৬৬টি পে-অর্ডার সরিয়ে রেখে পরবর্তীতে নগদে উত্তোলন, পে-অর্ডারের টাকার অংক বাড়িয়ে নগদে উত্তোলন ও সরকারি খাতে জমার জন্য চালানের সাথে ফেরত আসা পে-অর্ডার নিজেদের কাছে রেখে পরস্পরের যোগসাজশে নিজেরা গ্রাহকের ভুয়া সই দিয়ে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
পরে এ ঘটনায় দুদক নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম সরকার বাদী হয়ে ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সোনাগাজী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলাটির তৎকালীন দুদক নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক মো. মশিউর রহমানকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাবরের ৮ বছরের কারাদণ্ড
মামলা পরিচালনাকারী দুদকের আইনজীবী পাবলকি প্রসিকিউটর (পিপি) আবুল কাশেম জানান, প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যাংকের সাবেক তিন কর্মকর্তাকে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ এর ২ ধারায় প্রত্যেককে ৩১ বছর করে কারাদণ্ড ও ২৮ লাখ করে মোট ৮৪ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
তিনি জানান, এ রায় বাংলাদেশের সব দুর্নীতিবাজদের জন্য একটি মেসেজ। এ রকম রায়ের মধ্যদিয়ে দেশের দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা যাবে। দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করতে এমন রায়ের প্রয়োজন রয়েছে।
আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সিনিয়র আইনজীবী মোল্লা হাবিবুর রসুল মামুন ও মো. আব্দুল হক।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভাতিজিকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় ১০ বছর কারাদণ্ড
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভাতিজিকে (১০)ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় চাচা মজিবুর রহমানকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও সেইসাথে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মো. আয়েজ উদ্দিন আসামির উপস্থিতিতে দণ্ডাদেশ ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত মজিবুর রহমান (৫৪) জেলার সদর উপজেলার কমলাকান্তপুর মুন্নাপাড়া গ্রামের মৃত ঝাটু মণ্ডলের ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) নাজমুল আজম জানান, গত ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর রাত ৯টার দিকে ভাতিজিকে সাথে নিয়ে ছাগল খুঁজতে বাড়ির বাইরে গিয়ে জোর করে ভাতিজিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। বাড়ি ফিরে মেয়েটি পরিবারের লোকদের বিষয়টি জানালে,মেয়ের বাবা শিবগঞ্জ থানায় ভাইকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শিবগঞ্জ থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক রনি কুমার দাস ২০১৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মজিবুরকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন:প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের পর হত্যাই ‘সিরিয়াল কিলার’ মুন্নার নেশা
ভোলায় বিয়ের আশ্বাসে সৌদি প্রবাসী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
৯৯৯ এ কল: কুমিল্লায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ৪ জন গ্রেপ্তার