স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শনিবারের সংঘর্ষ ও বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ৭০০ মানুষ গ্রেপ্তার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ৭০০ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার (৩০ জুলাই) সচিবালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের টেনেট ফিন্যান্স ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও নির্বাচনী পর্যবেক্ষক টেরি এল ইসলের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান মন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সব জায়গায় আমাদের সিসি ক্যামেরা রয়েছে, আমরা সেটার সাহায্য নিচ্ছি। অনেক সময় পুলিশের নজর এড়িয়ে গেলেও জনগণ তাদের ধরে আমাদের সামনে আনছে। আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না।
তিনি বলেন, বৈঠকে প্রতিনিধি দলটি নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ এসেছে। কেউ এখানে ভায়োলেন্স করবে এদেশের জনগণ তা সহ্য করবে না। কেউ ভায়োলেন্স করবে সেটাও জনগণের কাছে কাম্য নয়।
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যারা (বাসে) আগুন ধরাতে গিয়েছিল, তাদের আমরা হাতেনাতে ধরেছি।’
আরও পড়ুন: আ.লীগ ও বিএনপির জন্য শর্ত একই: শুক্রবারের সমাবেশ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
গাড়ি পোড়ানো প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, পুলিশ দক্ষ ও পেশাদার। পুলিশের সঙ্গে আনসার বাহিনীও তৈরি আছে। তাদের সংখ্যাও যথেষ্ট পরিমাণে। পাশাপাশি আমাদের বিজিবি ও কোস্টগার্ড রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ২০১৪-১৫ সালে মানুষ গাড়ি-ঘোড়া, গরু-ছাগল, বাড়িঘর পুড়িয়ে জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে। এই কাজটি যদি তারা আবারও করে, তবে জনবিচ্ছিন্ন হবে। দেশের জনগণ আর কোনোদিন তাদের সমর্থন করবে না।
আরেক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমেরিকার ভিসানীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, আর আমাদের কিছু বলার নেই।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদার অব হিউম্যানিটি। বিএনপির দুই নেতা যখন গতকাল পড়ে গিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী খোঁজখবর নিয়েছেন তাদের চিকিৎসার। আমরা তাদের অ্যারেস্ট করিনি, সুস্থ হওয়ার পর তাই তারা বাড়িতে চলে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কী কী প্রস্তুতি রয়েছে এই বিষয়ে তারা জানতে চেয়েছে। আমরা তাদের জানিয়েছি, নির্বাচনের সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো ভূমিকা থাকবে না। মুখ্য ভূমিকায় থাকবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে।
আরও পড়ুন: আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সরকার পরিবর্তন করতে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আ.লীগ ও বিএনপির জন্য শর্ত একই: শুক্রবারের সমাবেশ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকায় সমাবেশ করতে হলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে একই শর্ত মানতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, ‘রাস্তায় কোনো ঝামেলা ও জনসাধারণের কোনো অসুবিধা করতে পারবেন না।’
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সচিবালয়ে মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে আয়োজিতএক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আইন অনুযায়ী সমাবেশ না করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে। সমাবেশ কোথায় হবে তার অনুমতি এখনও দেওয়া হয়নি।’
বায়তুল মোকাররম ও নয়া পল্টনে যথাক্রমে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশের ঘোষণার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা শুনেছি। ওইসব স্থানে সমাবেশ করার বিষয়ে তারা অনড় থাকলে আমরা উভয় দলের জন্য কিছু শর্ত রাখব।
তিনি বলেন, ‘অনুমতির দায়িত্ব পুলিশ কমিশনারের। তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন কী করবেন।’
আরও পড়ুন: একদিন পিছিয়ে শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ
আগামীকাল সমাবেশে সহিংসতার কোনো হুমকি দেখছেন কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি পালনে সরকারের কোনো বাধা নেই।
তিনি বলেন, ‘তবে তাদের উচিত নিয়ম-কানুন এবং দেশের আইন-কানুন মেনে চলা। আমরা তাদের কাছে আবেদন জানাবো জনসাধারণের ভোগান্তি সৃষ্টি না করার জন্য। আমি তাদের জনদুর্ভোগের কারণ না হওয়ার জন্য অনুরোধ করব।’
উভয় পক্ষকে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ না করার এবং ভাঙচুর না করারও আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মহাসমাবেশের আগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা রিজভীর
আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, কেউ আইন অমান্য করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিবার (২৩ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) ৪০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা আইন না মেনে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এটাই স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন: সরকার পরিবর্তন করতে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জনগণ বিএনপিকে ক্ষমতায় দেখতে আগ্রহী নয়। তাই তারা ক্ষমতায় আসতে ব্যর্থ হয়েছে।
বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান বলেন, পুলিশ কোথাও তাদের কর্মসূচিতে কোনো বাধা সৃষ্টি করেনি।
লক্ষ্মীপুরে বিএনপির এক কর্মী নিহত হওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে নিহত ব্যক্তি বিএনপির কর্মী নয়। দুই গ্রুপের পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলা, পুলিশের গাফিলতি খতিয়ে দেখা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সরকার পরিবর্তন করতে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হতে পারে। আর সেই সরকার পরিবর্তন করতে হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশ না নিয়ে ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না। কারণ এদেশের জনগণ ষড়যন্ত্রকারীদের চিহিৃত করে ফেলেছে। তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
শনিবার (২২ জুলাই) বিকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার পদ্মার দুর্গম চরে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ও মুক্তিযুদ্ধের ম্যুরাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: এনআইডি’র তথ্য ফাঁস নিয়ে কাজ করছে সাইবার দল: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়ে কোনো লাভ হবে না। বিদেশিরাও দুই-এক দিনের মধ্যে টের পেয়ে যাবেন (বিএনপি) জনগণ থেকে দূরে সরে গেছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি এই নির্বাচন কমিশন আমাদের একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেবে।
তিনি বলেন, বাঙালি জাতি আলোকিত। আজকে বাংলাদেশ কোথা থেকে কোথায় গেছে তা দেশের মানুষ ভালো করেই জানে।
তিনি বলেন, আমি সারা বাংলাদেশের খবর জানি, তারা আর অন্ধকারে ফিরে যেতে চায় না। তাদের একটাই কথা যতদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকবে ততদিন দেশ আলোকিত থাকবে।
মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ গোলাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য বেনজির আহমেদ, টু্রিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত আইজি হাবিবুর রহমান, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, জেলা প্রসাশক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মহিউদ্দিন, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি সালাম চৌধুরীসহ আরও অনেকে।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেলা সাড়ে ৩টায় হরিরামপুর উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের হরিনা ক্যাম্প (হরিরামপুর সিও অফিস) ও সুতালড়ি লঞ্চ আক্রমণের ওপর নির্মিত ম্যুরাল উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলা, পুলিশের গাফিলতি খতিয়ে দেখা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
হিরো আলমের ওপর হামলা, পুলিশের গাফিলতি খতিয়ে দেখা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলার সময় পুলিশের কোনো গাফিলতি হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গুয়েন লুইস লুইসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, তিনি (গুইন লুইস) হিরো আলমের ওপর হামলার কারণ জানতে চেয়েছিলেন। ‘আমরা বলেছি, 'আমরা এখনও বলতে পারি না কেন এটা হয়েছে।' একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য সরকার সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এ ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই: হিরো আলমের ওপর হামলা প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি নির্বাচন শেষে হিরো আলমের সঙ্গে কিছু লোকের বাকবিতণ্ডা হয় এবং দেখা যায় কিছু যুবক তার ওপর হামলা চালায়।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধিকে জানিয়েছি যে আমরা ইতোমধ্যে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকিদের ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তার করব। আমরা এটি তদন্ত করে খুঁজে বের করার চেষ্টা করব কারা এমন শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে বিঘ্নিত করেছিল। আমরা এটি খুঁজে বের করব।’
আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলা: ২ আসামির রিমান্ড, কারাগারে ৫
এনআইডি’র তথ্য ফাঁস নিয়ে কাজ করছে সাইবার দল: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, কিছু বাংলাদেশি নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য ফাঁস নিয়ে সাইবার ইউনিটের দল কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘সাইবার ইউনিটের দলগুলো এটি নিয়ে কাজ করছে,কারণ এনআইডি পরিষেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারের অধীনে নয় এবং এটি এখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে। কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে এবং পরিষেবাটি শিগগিরই সমস্ত সমস্যা সমাধানের পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারের অধীনে থাকবে এবং তারপরে আমরা এনআইডির সঙ্গে একটি পূর্ণাঙ্গ স্কেলে কাজ করতে পারি।’
রবিবার সচিবালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
উচ্চ প্রযুক্তি এবং স্টার্টআপগুলোর ওপর নজর রাখা একটি আমেরিকান অনলাইন নিউজ প্ল্যাটফর্ম টেকক্রাঞ্চের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, নাম, ফোন নম্বর, ইমেল ঠিকানা এবং এনআইডি সহ সরকারের ওয়েবসাইট থেকে কিছু নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তাদের এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হবে এবং তারপর তারা যে কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে কারণ তারা কোনো তথ্য মনগড়া দিয়ে দেবে না।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তিগত ত্রুটি ও সিইআরটি নির্দেশনা না মানায় সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য ফাঁস: পলক
তিনি বলেন, ‘আমাদের এটি যাচাই করতে হবে - কত তথ্য ফাঁস হয়েছে এবং যারা এর সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমাদের পুরো বিষয়টি তদন্ত করতে হবে।’
তথ্য সুরক্ষার বিষয়েও পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
আগস্টে সরকার উৎখাতে বিএনপির এক দফা আন্দোলনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও ষড়যন্ত্রকারীরাসহ স্বার্থান্বেষী মহল আগস্ট মাসকে তাদের প্রিয় মাস হিসেবে বেছে নিয়েছে। আমি মনে করি তারা (বিএনপি) তারা জানে যে তারা এমন সংকেত দিচ্ছে কিনা।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে কারণ তারা (জনগণ) বিএনপির আন্দোলনকে সমর্থন করেনি, সহায়তাও করেনি।
তিনি বলেন, ‘যখন কোনো আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা থাকে না এবং যখন জনগণ আন্দোলনে যোগ দেয় না, তখন এটি মোটেই আন্দোলন নয়।’
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি কোনো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে বা মানুষ হত্যার কোনো পরিকল্পনা থাকলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা দেখবে।
আরও পড়ুন: এনআইডি সার্ভার নিরাপদ: ডিজি
জেলখানায় প্রায় ৬০ শতাংশ মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, জেলখানায় যারা অন্তরীণ রয়েছে, তাদের প্রায় ৬০ শতাংশের কাছাকাছি মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারী।
তিনি বলেন, সাক্ষী-প্রমাণের অভাবে এদের কারও কারও বিচার হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: আন্দোলনের নামে ঢাকার রাজপথ দখলের চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শনিবার (৮ জুলাই) দুপুরে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার হাঁসাড়া ইউনিয়নে আহছানিয়া হেনা আহমেদ মনোযত্ন কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১/২ মাস পর বের হয়ে আরও বেশি করে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে। এই জায়গায় জনপ্রতিনিধিদের কাজ করতে হবে। যারা মাদক ব্যবসায়ী তাদের চিহ্নিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, তাদের পুলিশে ধরিয়ে দিতে হবে। গোপনে প্রশাসন ও পুলিশের কাছে তাদের ব্যাপারে জানাতে হবে। আমরা চাই নতুন প্রজন্মকে মাদকদ্রব্যের হাত থেকে রক্ষা করতে। নইলে যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখি তা বাধাগ্রস্ত হবে।
আরও পড়ুন: মানুষ দেশের সব জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন করেছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঈদের আগেই পোশাক শ্রমিকদের বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধ করুন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মানুষ দেশের সব জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন করেছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মানুষ দেশের সব জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন করেছে। কোন অপ্রীতিকর বা বড় ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।
তিনি বলেন, এবছর মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পেরেছে এবং শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন করতে পেরেছে।
রবিবার (০২ জুলাই) দুপুর সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদশুভেচ্ছা বিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের সব জায়গা শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন করেছে। ঢাকায় আনুমানিক দুই কোটি মানুষের বাস। সেখান থেকে প্রায় এক কোটির পাশাপাশি কমবেশি হতে পারে, ঈদের তিনদিন আগে থেকে তারা নিজ গ্রামে ফিরে যান। এই কয়েক বছর ধরে যাতায়াত ব্যবস্থা, নিরাপত্তা, পদ্মাসেতুসহ বিভিন্ন কারণে ঘরমুখী মানুষের যে ঢল নামে সেখানে কিন্তু কোন অসুবিধা হয়নি। কোন কোন জায়গায় হয়ত লম্বা লাইন লেগেছে, তবে সেটি দ্রুত সমাধানও হয়েছে। আমরা বলতে পারি মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পেরেছে এবং শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন করতে পেরেছে।
আরও পড়ুন: সড়ক-মহাসড়কে কোনো পশুর হাট বসতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঈদে আইনশৃঙ্খলা কেমন ছিলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা মনে করি সারা বাংলাদেশেই স্বাভাবিক অবস্থা ছিলো। কোন অপ্রীতিকর বা বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ছোটখাটো দুই একটি ঘটনা বাদ দিলে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। এরমধ্যে একটি ঘটনা আমাদের খুব নাড়া দিয়েছে। ঈদের পরে শনিবার এক পুলিশ কনস্টেবলকে ছিনতাইকারীরা উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেছিলো, রক্তক্ষরণে তিনি ইন্তেকাল করে রাত তিনটার সময়। আরেকজন সাংবাদিককেও উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করা হয়, তিনিও ছিনতাইয়ের কবলে পড়েছিলেন। এই দুইটি ঘটনা ছাড়া ঢাকায় তেমন কোন ঘটনা ঘটেনি। মোটামুটি সব জায়গায়ই খুব শান্তিপূর্ণভাবে ঈদুল আজহাটা উদযাপিত হয়েছে।
রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই বেড়েছে এতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কোন দুর্বলতা আছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, নাই বলেইতো দুইটি ঘটনা ঘটেছে। এরকম কিছু হলে আমি এ প্রসঙ্গটা এড়িয়ে যেতাম। আমি স্পষ্ট করে বললাম এই দুইটি ঘটনা সাত দিনের মধ্যে ঘটেছে। যেটা অনাকাঙ্ক্ষিত যেটা হওয়া উচিত হয়নি। আমরা মনে করি যে কারো যদি দুর্বলতা থাকে আমাদের কমিশনার কিছুক্ষণ আগে এসেছিলেন তিনি এটা সিরিয়াসলি নিচ্ছেন। যে কারো দুর্বলতা থাকলে সেটা তিনি দেখছেন এবং ব্যবস্থা নেবেন। এর ব্যবস্থাটা আমরা করে ফেলছি।
ঈদে বাস ভাড়া বেশি নিচ্ছে কেন জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যোগাযোগমন্ত্রী এটা বলতে পারবেন। আমরা সব কিছু নিয়ে আলাপ করি। গার্মেন্টসের বেতন-বোনাস যেন সময় মতো হয়ে যায় সেটা নিয়ে আলোচনা করি। রাস্তায় খানা-খন্দ থাকলে রোডস এন্ড হাইওয়েকে জানিয়ে দেই। আমরা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়টি যেমন দেখি। ঠিক তেমনি ঘরমুখো মানুষগুলো যাতে নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারে সে সব বিষয় নিয়ে আমরা কথা বলি।
তিনি আরও বলেন, সভায় মালিক সমিতি বলেছেন যে একটি বাস ঈদের সময় যখন যায়, তখন ফেরত আসে খালি। সে ভাড়াটা যাতে পুষে যায় সে দাবি তাদের ছিলো। এটা সবসময় যোগাযোগ মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করে থাকে। এটার সদুত্তর তারাই দিতে পারবে।
আরও পড়ুন: বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা চাইলে বাড়তি নিরাপত্তা ফেরত দিতে পারেন, তার জন্য অর্থ দিতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পাহাড়ে কোনো অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠীকে ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
গ্রিসের উপকূলে ডুবে যাওয়া নৌকায় ৩৫০ জন পাকিস্তানি অভিবাসী ছিল: কর্মকর্তারা
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ খান বলেছেন, গত সপ্তাহে গ্রিসের উপকূলে ডুবে যাওয়া একটি মাছ ধরার নৌকায় আনুমানিক ৩৫০ জন পাকিস্তানি অভিবাসীদে ছিলেন। এ ঘটনায় এখনও অনেকে নিখোঁজ রয়েছে এবং মধ্য ভূমধ্যসাগরে ঘটা সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি এটি।
শুক্রবার দেশটির ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে থাকা সংসদ সদস্যদের রানা সানাউল্লাহ খান জানান, ১৪ জুন নৌকাটি ডুবে যাওয়ার সময় সেটিতে আনুমানিক ৭০০ অভিবাসী ছিলেন। ১২ জন পাকিস্তানিসহ মাত্র ১০৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং ৮২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নৌকাটিতে মোট কতজন যাত্রী ছিল তা নিশ্চিত জানা যায়নি।
খান বলেন, নিখোঁজ পাকিস্তানিদের মধ্যে অনেকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। ‘এখন পর্যন্ত ২৮১টি পরিবার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে দাবি করেচে যে ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে তাদের ছেলে বা প্রিয়জন থাকতে পারে।’
খানের মন্তব্য দেশটির আইনপ্রণেতাদের হতবাক করেছে এবং তিনি কথা বলার সময় তারা সবাই দুঃখ প্রকাশ করেন।
এই প্রথম দেশটির কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে নৌকাডুবির পর এত বেশি পাকিস্তানি নাগরিক নিখোঁজ হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বর্ষণে নিহত ২৫, আহত ১৪৫
লাশ শনাক্ত করতে কর্মকর্তারা বর্তমানে এমন লোকদের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করছেন, যারা দাবি করছেন যে তাদের স্বজন ওই নৌকায় ছিলেন।
মাছ ধরার নৌকায় পাকিস্তানিদের অভিবাসনের ব্যবস্থা করা মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে পাকিস্তানের সরকার। এসব অধিবাসীদের অনেকেই ইউরোপে চাকরি খুঁজছিল। এখনও পর্যন্ত পুলিশ এই মামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে অন্তত ১৭ জন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, ভুক্তভোগীরা পাচারকারীদের সমুদ্রযাত্রার জন্য ৫ হাজার থেকে ৮ হাজার মার্কিন ডলার দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক জলসীমায় ডুবে যাওয়ার আগে অভিবাসীদের বাঁচানোর চেষ্টা না করায় গ্রিস ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে।
যদিও এথেন্সের কর্মকর্তারা বলছেন যে যাত্রীরা কোনো সাহায্য প্রত্যাখ্যান করেছিল এবং ইতালিতে যাওয়ার জন্য জোর দিয়েছিল। কেননা জাহাজটির যাত্রীদের মধ্যে সন্দেহভাজন ৯জন মিশরীয় ব্যক্তিকে গ্রিসে একটি অপরাধমূলক সংগঠনে অংশ নেওয়া, হত্যাকাণ্ড এবং জাহাজ ভাঙার মতো অভিযোগের মুখোমুখি করা হয়েছে।
স্বজন হারানো পাকিস্তানিরা অন্যদেরকে তাদের প্রিয়জনকে অবৈধভাবে বিদেশে না পাঠাতে অনুরোধ করছেন।
এই দুর্ঘটনায় নিহতের আশঙ্কা করা আলী রাজা নামক এক ব্যক্তির ভাই সাওয়ান রাজা বলেছেন, ‘পাকিস্তানে থেকে দুপুর বা রাতের খাবার না খেয়ে থাকাও, চোরাকারবারীদের সাহায্যে বিদেশে যাওয়ার ঝুঁকি নেওয়ার পরিবর্তে অনেক ভালো।’
রাজাসহ অনেক নিখোঁজ অভিবাসী পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশ ও কাশ্মীরের প্রত্যন্ত শহরের বাসিন্দা।
পাকিস্তান তার রেকর্ড সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মুদ্রাস্ফীতি ৪৫ শতাংশে পৌঁছেছে এবং অনেক যুবক ভাল চাকরি খোঁজার জন্য ইউরোপে বিপজ্জনক ভ্রমণ করেছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে কয়লা খনি নিয়ে দুই উপজাতির মধ্যে সংঘর্ষে নিহত ১৫
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেনে আগুনে নিহত ৭
ঈদের আগেই পোশাক শ্রমিকদের বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধ করুন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঈদুল আজহার আগে পোশাক শ্রমিকদের জুন মাসের অর্ধেক বেতন এবং ঈদ বোনাস পরিশোধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।
তিনি বলেন, ‘গার্মেন্টস মালিকদের জুন মাসের ১৫ দিনের বেতন এবং ঈদুল আযহার ছুটির আগে ঈদ বোনাস দিতে বলা হয়েছে এবং বেতন পরিশোধকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের গার্মেন্টস অস্থিরতা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর নজরদারি রাখবে।’
রবিবার সচিবালয়ে ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে করতে পোশাক মালিকদের পর্যায়ক্রমে ঈদের ছুটি দিতে বলেন তিনি।
জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২৯ জুন বা ৩০ জুন ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকায় এ বছর সারাদেশে মোট ৮ হাজার ৩৯৯টি পশুর হাট বসবে।
সতর্কবার্তা জারি করে মন্ত্রী বলেন, সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ কাউকে রাস্তায় গরু বোঝাই গাড়ি থামাতে দেওয়া হবে না। যদি কেউ গরু বোঝাই যানবাহন থামানোর সঙ্গে জড়িত থাকে তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্থানীয় সুপারকে অবহিত করতে হবে এবং ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে ও গরুর হাটে ওয়াচ টাওয়ার ও সিসিটিভি বসানো হবে।
তিনি গরু ব্যবসায়ীদের গরুবোঝাই গাড়ির উপরে নির্দিষ্ট গরুর হাটের ট্যাগ দিয়ে একটি ব্যানার টাঙাতে বলেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, মহাসড়ক ও সড়কে কোনো পশুর হাট বসতে দেওয়া হবে না এবং গরুর হাটে ‘হাসিল’ সাইনবোর্ড দেখতে হবে।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গরুর হাটে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হবে এবং এর পাশাপাশি সেখানে সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: আমরা লক্ষ্য রাখব সড়কে যাতে পশুর হাট না বসে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, এটিএম বুথ, জাল নোট শনাক্ত করার মেশিন এবং পশুচিকিৎসক গরুর হাটে পাওয়া যাবে।
বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল, রেলস্টেশন ও ফেরি ঘাটে ডোপিং গ্যাং সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, এই চক্রের তৎপরতা সম্পর্কে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সতর্ক থাকবে।
ঈদের ছুটিতে ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধে গোয়েন্দা দলের নজরদারি বাড়ানো হবে এবং এই সময়ে র্যাবের টহল দৃশ্যমান থাকবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, যান চলাচল নিশ্চিত করতে সড়ক, মহাসড়ক এবং শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও মোড়ে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।
২৪টি পয়েন্টকে যানজটের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান বলেন, এসব স্থানে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ঈদের ছুটিতে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে যাত্রা নিশ্চিত করতে হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে কাজ করবে।
নৌপথে দুর্ঘটনা এড়াতে মন্ত্রী বলেন, লঞ্চের ধারণক্ষমতার বাইরে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া এবং যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার ব্যবস্থা নেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ঈদের জামাতের কথা বলতে গিয়ে মন্ত্রী সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
আসন্ন ঈদুল আজহার ছুটি একদিন বাড়ানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
সীমান্ত এলাকা দিয়ে কোনো দেশ থেকে গবাদিপশু প্রবেশের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছে এবং প্রতিবেশি দেশগুলো থেকে গবাদিপশু প্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তরক্ষী সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে।
আরও পড়ুন: জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দিলেও নীতি পরিবর্তন করেনি আ. লীগ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা চাইলে বাড়তি নিরাপত্তা ফেরত দিতে পারেন, তার জন্য অর্থ দিতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী