%E0%A6%8F%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
পাকিস্তানের সংসদ নির্বাচন: সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী ইমরানের মিত্ররা
প্রায় দুই বছর আগে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর কারাবন্দী পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মিত্ররা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর চেয়ে জাতীয় নির্বাচনে বেশি আসনে জিতেছে।
রবিবার(১১ ফেব্রুয়ারি) দেশটির নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত চূড়ান্ত ফলাফলে এই চিত্র দেখা গেছে।
ভোট কারচুপি, নজিরবিহীন মোবাইল ফোন বন্ধ এবং ইমরান খান ও তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টিকে (পিটিআই) ভোট থেকে বাদ দেওয়ার অভিযোগের মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার নতুন পার্লামেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ হয়।
নির্বাচন কমিশন ও সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে তাদের দলের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপের কারণে পিটিআইয়ের নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। এর একটি পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে দলটির নির্বাচনী প্রতীক কেড়ে নেওয়া, যা নিরক্ষর ভোটারদের ব্যালটে প্রার্থী খুঁজে পেতে সহায়তা করে। আরেকটি ছিল দলীয় সমাবেশ নিষিদ্ধ করা।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড
২০২২ সালে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া ইমরানকে। এরপর গত আগস্ট থেকেই কারাগারে রয়েছেন তিনি। ফৌজদারি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কারণে ইমরান খানকে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিষিদ্ধ করা হয়। এখনও তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বেশ কয়েকটি মামলা বিচারাধীন।
চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি বা পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ২৬৬টি আসনের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১০১টি আসন পেয়েছেন।
তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক দণ্ডপ্রাপ্ত নওয়াজ শরীফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-এন (পিএমএল-এন) ৭৫ আসন পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পি) ৫৪টি আসন পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। একজন প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে একটি আসনের ফলাফ স্থগিত করা হয়েছে এবং প্রার্থী নিহতের ঘটনায় আরেকটি আসনের ভোট স্থগিত করা হয়েছে। ২০২২ সালে ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রচারণার নেতৃত্বে ছিল পিএমএল-এন এবং পি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে পার্লামেন্ট নির্বাচন: স্বতন্ত্র প্রার্থীর কার্যালয়ে বোমা হামলায় নিহত ১৪
কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেয়ে সরকার গঠন করতে পারেনি, তাই পাকিস্তানের সরকার গঠনে এবার জোট বাঁধতে হবে। নতুন পার্লামেন্ট দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবে।
নির্বাচনের ফলাফল নওয়াজ শরিফের জন্য বিব্রতকর। গত অক্টোবরে মসৃণভাবে দেশে ফিরে আসার কারণে শক্তিশালী নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের পছন্দের প্রার্থী হিসাবে তিনি বিবেচিত হয়েছিলেন। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী বরাবরই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার চূড়ান্ত মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিজেদের ভূমিকা তুলে ধরেছে।
কারাদণ্ড এড়াতে নওয়াজ শরিফ চার বছর বিদেশে স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকলেও পাকিস্তানে আসার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বাতিল হয়ে যায় তার সাজা।
এমনকি ভোটের দিনও নওয়াজ শরিফ জোর দিয়ে বলেছিলেন যে, তিনি জোট চান না এবং একটি দলকে পুরো পাঁচ বছরের মেয়াদ দেওয়ার দাবি করেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় ইমরান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পেছনে তার দল পিছিয়ে থাকতে দেখে তিনি জোটগঠন ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সমঝোতার কথা বলেন।
নওয়াজ শরিফ কখনোই পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকেননি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ ফল ঘোষণা করেছে ইসিপি
পাকিস্তানের নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ ফল ঘোষণা করেছে ইসিপি
পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত দেশের সাধারণ নির্বাচন ২০২৪ এর সম্পূর্ণ ফল ঘোষণা করেছে।
দেশটির ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ঘোষিত নির্বাচনের ফলাফলে জানানো হয়- স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ১০১টি আসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) পেয়েছে ৭৫টি আসন এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি পেয়েছে ৫৪টি আসন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে পার্লামেন্ট নির্বাচন: স্বতন্ত্র প্রার্থীর কার্যালয়ে বোমা হামলায় নিহত ১৪
পাকিস্তানে পার্লামেন্ট নির্বাচন: স্বতন্ত্র প্রার্থীর কার্যালয়ে বোমা হামলায় নিহত ১৪
পাকিস্তানের পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগের দিন এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ১৪ জন নিহত ও দুই ডজনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
বুধবার(৭ ফেব্রুয়ারি) দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্মকর্তারা।
প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র জান আচাকজাই জানান, বেলুচিস্তান প্রদেশের পাশিন জেলায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২২ পুলিশ সদস্য নিহত, আহত ৩২
তিনি বলেন, আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তবে পাকিস্তানে পার্লামেন্ট নির্বাচনের মাত্র একদিন আগে চালানো এই হামলার দায় তাৎক্ষণিকভাবে কেউ স্বীকার করেনি।
পাকিস্তানে বিশেষ করে বেলুচিস্তানে সাম্প্রতিক সশস্ত্র হামলা বেড়ে যাওয়ার পর শান্তি নিশ্চিত করতে দেশজুড়ে কয়েক হাজার পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা সত্ত্বেও এই বোমা হামলা চালানো হলো।
আফগানিস্তান ও ইরানের সীমান্তবর্তী গ্যাস সমৃদ্ধ বেলুচিস্তান প্রদেশটি দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বেলুচ জাতীয়তাবাদীদের নিম্ন স্তরের বিদ্রোহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেলুচ জাতীয়তাবাদীরা প্রাথমিকভাবে প্রাদেশিক সম্পদের একটি অংশ চেয়েছিল, কিন্তু পরে তারা স্বাধীনতার জন্যও বিদ্রোহ শুরু করে।
প্রদেশটিতে পাকিস্তানি তালেবান ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীরও শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড
গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ১৫০ জন নিহত: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ওই অঞ্চলে ১৫০ জন নিহত হয়েছে এবং আরও ৩১৩ জন আহত হয়েছে। কারণ ইসরায়েলি বাহিনী সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রেখেছে, এমনকি ভূখণ্ডের উত্তর অংশেও।
অক্টোবরের শেষের দিকে ইসরায়েলের স্থল অভিযানের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল উত্তরাঞ্চল।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বুধবার জানিয়েছে, তাদের বাহিনী গত একদিনে গাজার উত্তরাঞ্চলে ১৫ জনেরও বেশি হামাস জঙ্গিকে হত্যা করেছে এবং একটি স্কুলে জঙ্গি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সর্বশেষ হামলাসহ ইসরায়েলি অভিযানে ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা ২৬ হাজার ৯০০ জনে দাঁড়িয়েছে। বেসামরিক ও যোদ্ধা নিহতের মধ্যে পার্থক্য না করলেও নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মতে, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়।
আরও পড়ুন: গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছুঁইছুঁই
গাজায় মানবিক যুদ্ধ বিরতির জাতিসংঘের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড
দুর্নীতির দায়ে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর মাত্র একদিন আগে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁসের অভিযোগে খানকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরার এই সাজা ঘোষণা করেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত।
২০২২ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর খানের সর্বশেষ দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং এটি তৃতীয় সাজা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকাকালে রাষ্ট্রীয় উপহার রাখা ও বিক্রি করার সবচেয়ে সাম্প্রতিক মামলায় খান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল।
৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের পার্লামেন্ট নির্বাচনকে ঠিক আগ মুহূর্তে আদালত ইমরান খানকে কয়েক বছরের জন্য কোনো সরকারি পদে অযোগ্য ঘোষণা করে।
ইমরান খানের আইনজীবী বাবর আওয়ান বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং এত তাড়াহুড়ো করে সাজা দেওয়া হয়েছে যে বিচারক তার আইনি দলের পৌঁছানোর জন্যও অপেক্ষা করেননি।
খানের মৌলিক মানবিক ও মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে এবং সর্বশেষ দোষী সাব্যস্ত হওয়া ও সাজা উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হবে বলেও জানান এই আইনজীবী।
তিনি বলেন, 'মনে হচ্ছে বিচারক রায় ঘোষণার জন্য তাড়াহুড়ো করছিলেন।’
আরও পড়ুন: ইমরান খানের দুর্নীতির মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ড স্থগিত
ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) প্রধান মুখপাত্র জুলফিকার বুখারিও দোষী সাব্যস্ত হওয়া ও সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সৌদি আরব সরকারের কাছ থেকে গহনা ও ঘড়িসহ রাষ্ট্রীয় উপহার রাখার অভিযোগে ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত করার তিন সপ্তাহ পর সর্বশেষ দণ্ড দেওয়া হলো।
সর্বশেষ আদালতের আদেশটি খানের জন্য আরেকটি আঘাত। চলতি মাসের শুরুর দিকে রাওয়ালপিন্ডির কারাগারের আদালতে অভিযোগ পড়ে শোনানোর সময় তিনি ও বিবি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
বিচারক রায় ঘোষণার সময় খান স্বল্প সময় আদালতের শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।
২০২২ সালের এপ্রিলে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং সাজা সত্ত্বেও, তিনি জনপ্রিয় রয়েছেন এবং বর্তমানে দুর্নীতির দোষী সাব্যস্ত হয়ে সময় কাটাচ্ছেন এবং তার বিরুদ্ধে আরও একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইমরান খানের পরিবর্তে পিটিআইয়ের নতুন প্রধান নির্বাচিত
চীনে ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১, এখনও নিখোঁজ অনেক
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ইউনানের প্রত্যন্ত ও পার্বত্য এলাকায় ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে এবং এখনও অনেক নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিনহুয়া।
সোমবার(২২ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোর ৬টার কিছু আগে ইউনানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের লিয়াংশুই গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এর আগে মঙ্গলবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, মোট ৪৪ জনের মতো নিখোঁজ এবং নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু লাশ উদ্ধার করেছেন তারা।
আরেকটি ভূমিধসের সতর্কতার কারণে দিনের শুরুতে উদ্ধার অভিযান স্থগিত থাকার পর পুনরায় তা শুরু হয়েছে।
জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, খননকারী, ড্রোন ও উদ্ধারকারী কুকুরের সহায়তায় ১ হাজারেরও বেশি উদ্ধারকর্মী হিমশীতল ঠান্ডার মধ্যে কাজ করছেন। সোমবার দু'জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দেওয়া হয়।
স্থানীয় বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক তদন্তের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, প্রায় ১০০ মিটার (৩৩০ ফুট) প্রশস্ত, ৬০ মিটার (২০০ ফুট) উচ্চতা এবং গড়ে ৬ মিটার (২০ ফুট) পুরুত্বের একটি খাড়া পাহাড় ধসে পড়লে ভূমিধসের সূত্রপাত হয়। তবে কী কারণে প্রথম ধসের ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে ভূমিধসে নিহত ৭, নিখোঁজ ১০
সিনহুয়ার পোস্ট করা উপর থেকে তোলা ছবিতে দেখা গেছে, একটি উঁচু পাহাড়ের অংশ পাশের গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়ির ওপর ছড়িয়ে পড়েছে। নিরাপত্তার কারণে ৯০০ জনেরও বেশি গ্রামবাসীকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ঝেনশিয়ং কাউন্টি বেইজিং থেকে প্রায় ২ হাজার ২৫০ কিলোমিটার (১,৪০০ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। ২ হাজার ৪০০ মিটার (৭,৯০০ ফুট) পর্যন্ত এর উচ্চতা রয়েছে।
উদ্ধারকারীরা তুষারপাত, বরফে ঢাকা রাস্তা এবং হিমশীতল তাপমাত্রার সঙ্গে লড়াই করছে। এমন আবহাওয়া কমপক্ষে আরও তিন দিন অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চীনের পশ্চিমাঞ্চলে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প
চীনের অনেক অংশে ভারী তুষারপাত হচ্ছে, যা পরিবহন ব্যবস্থায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে এবং জীবনকে বিপন্ন করছে।
উদ্ধারকারীরা গত সপ্তাহে উত্তর-পশ্চিম চীনের একটি প্রত্যন্ত স্কিইং এলাকা থেকে পর্যটকদের সরিয়ে নিয়েছিল। কারণ ভারী তুষারপাতের কারণে এক সপ্তাহ ধরে এক হাজারেরও বেশি লোক আটকা পড়েছিল। সীমান্তের কাছে জিনজিয়াং অঞ্চলের আলতাই প্রদেশের একটি গ্রামে তুষারধসের কারণে মঙ্গোলিয়া, রাশিয়া ও কাজাখস্তানের সঙ্গে চীনের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
বৃষ্টি বা অনিরাপদ নির্মাণ কাজের কারণে ভূমিধসের ঘটনা চীনে অস্বাভাবিক কিছু নয়। গত বছর ভূমিধসে কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছিল। এর মধ্যে ইনার মঙ্গোলিয়া অঞ্চলে একটি উন্মুক্ত খনিতে ৫০ জনেরও বেশি লোক নিহত হন। এছাড়া ২০২১ সালে নির্মাণাধীন একটি টানেল প্লাবিত হওয়ায় ১৪ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল।
গানসু ও কিংহাই প্রদেশের মধ্যবর্তী প্রত্যন্ত অঞ্চলে চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার মাত্র এক মাস পর ইউনানে ভূমিধসের ঘটনা ঘটল। গত ১৮ ডিসেম্বর আঘাত হানা ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ১৪৯ জন নিহত হয়, এতে ঘরবাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় এবং ভারী ভূমিধসে কিংহাই প্রদেশের দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়।
গত ৯ বছরের মধ্যে চীনে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রায় এক হাজার মানুষ আহত এবং ১৪ হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
আরও পড়ুন: চীনের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসে ৪৭ জনের মৃত্যু
চীনের পশ্চিমাঞ্চলে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প
চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং অঞ্চলের জনবিরল অংশে মঙ্গলবার ভোরে ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। হিমশীতল আবহাওয়ার আবহাওয়ার মধ্যে এ ঘটনায় ৬ জন আহত হয়েছেন এবং ১২০টিরও বেশি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা ধসে পড়েছে।
চায়না আর্থকোয়েক নেটওয়ার্ক সেন্টার জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ২টার কিছু পরে আকসু প্রিফেকচারের উচতুরপান কাউন্টিতে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। প্রায় ২০০ উদ্ধারকর্মীকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
জিনজিয়াং উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সরকার তাদের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ওয়েইবোতে উল্লেখ করেছে, আহত ৬ জনের মধ্যে দুজনের আঘাত গুরুতর ও ৪ জনের সামান্য। এছাড়া ৪৭টি বাড়ি ধসে পড়েছে, ৭৮টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কিছু কৃষি কাঠামো ধসে পড়েছে।
আরও পড়ুন: জাপানের পশ্চিম উপকূলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ৪৮ জন নিহত
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি ৭ মাত্রার এবং ভূমিকম্প সক্রিয় তিয়ান শান পর্বতমালায় আঘাত হানে।
সংস্থাটি আরও বলেছে, গত শতাব্দীর মধ্যে ওই অঞ্চলে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পটি ছিল ৭ দশমিক ১ মাত্রার এবং ১৯৭৮ সালে মঙ্গলবার ভোরের দিকে আঘাত হানা স্থান থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার (১২৪ মাইল) উত্তরে হয়েছিল।
আরও পড়ুন: জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা
চীনের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসে ৪৭ জনের মৃত্যু
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় পার্বত্য ইউনান প্রদেশে ভূমিধসে ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঠান্ডা তাপমাত্রা ও তুষারপাতের কারণে আরও ২০০ জনকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোর ৬টার কিছু আগে ইউনান প্রদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় লিয়াংশুই গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ঝেনশিয়ং কাউন্টির প্রচার বিভাগ জানিয়েছে, ১৮টি আলাদা বাড়িতে চাপা পড়া হতাহতদের উদ্ধার তৎপরতা চলছে।
তবে এসব ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিধসের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা না গেলেও ছবিতে দেখা গেছে যে তুষারপাত অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় বন্যা ও ভূমিধসে ২১ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
ভূমিধসের সময় ৩৫ বছর বয়সী লুও ডংমেই ঘুমিয়ে ছিলেন, কিন্তু তিনি বেঁচে যান এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাকে একটি স্কুলে সরিয়ে নিয়েছে।
লুও ডংমেই বলেন, ‘আমি ঘুমিয়ে ছিলাম, কিন্তু আমার ভাই দরজায় কড়া নাড়ল এবং আমাকে জাগিয়ে তুলল। তারা বলেছিল যে সেখানে একটি ভূমিধস ছিল এবং বিছানাটি কাঁপছিল, তাই তারা দ্রুত উপরে উঠে আমাদের জাগিয়ে তোলে।’
তিনি বলেন, লুও, তার স্বামী এবং তাদের তিন সন্তানসহ আরও অনেক বাসিন্দাকে স্কুলে খাবার সরবরাহ করা হয়েছে তবে তারা এখনও ঠান্ডা আবহাওয়া মোকাবিলায় কম্বল এবং অন্যান্য সুরক্ষা সামগ্রীর জন্য অপেক্ষা করছেন।
লুও বলেন, ভূমিধসের স্থানের কাছাকাছি থাকা তার বোন ও খালার সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করতে পারছেন না। ‘আমি এখন শুধু অপেক্ষা করতে পারি।’
আরও পড়ুন: চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিধসে খনি শ্রমিক আবাসনে নিহত ১৯
উদ্ধারকারীরা গত সপ্তাহে উত্তর-পশ্চিম চীনের একটি প্রত্যন্ত স্কিইং এলাকা থেকে পর্যটকদের সরিয়ে নিয়েছিল। কারণ ভারী তুষারপাতের কারণে এক সপ্তাহ ধরে এক হাজারেরও বেশি লোক আটকা পড়েছিল। সীমান্তের কাছে জিনজিয়াং অঞ্চলের আলতাই প্রদেশের একটি গ্রামে তুষারধসের কারণে মঙ্গোলিয়া, রাশিয়া ও কাজাখস্তানের সঙ্গে চীনের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
বৃষ্টি বা অনিরাপদ নির্মাণ কাজের কারণে ভূমিধসের ঘটনা চীনে অস্বাভাবিক কিছু নয়। গত বছর ভূমিধসে কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছিল। এর মধ্যে ইনার মঙ্গোলিয়া অঞ্চলে একটি উন্মুক্ত খনিতে ৫০ জনেরও বেশি লোক নিহত হন। এছাড়া ২০২১ সালে নির্মাণাধীন একটি টানেল প্লাবিত হওয়ায় ১৪ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল।
গানসু ও কিংহাই প্রদেশের মধ্যবর্তী প্রত্যন্ত অঞ্চলে চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার মাত্র এক মাস পর ইউনানে ভূমিধসের ঘটনা ঘটল। গত ১৮ ডিসেম্বর আঘাত হানা ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ১৪৯ জন নিহত হয়, এতে ঘরবাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় এবং ভারী ভূমিধসে কিংহাই প্রদেশের দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়।
গত ৯ বছরের মধ্যে চীনে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রায় এক হাজার মানুষ আহত এবং ১৪ হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে ভূমিধসে নিহত ৭, নিখোঁজ ১০
ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে ভূমিধসে নিহত ৭, নিখোঁজ ১০
ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট ভূমিধসে শিশুসহ অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। এসময় দুইজন গুরুতর আহত হওয়াসহ অন্তত ১০জন নিখোঁজ রয়েছেন।
দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন হতাহতরা সবাই খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী এবং একটি বাড়িতে প্রার্থনারত অবস্থায় তারা চাপা পড়েছিল।
বৃহস্পতিবার(১৮ জানুয়ারি) রাতে সরকারের বেসামরিক প্রতিরক্ষা কার্যালয়ের আঞ্চলিক প্রধান এডনার দায়ানঘিরাং জানিয়েছেন, দাভাও দে ওরো প্রদেশের সোনার খনি নামে পরিচিত শহর মনকায়োর থেকে দূরবর্তী একটি পাহাড়ি গ্রামে ভূমিধসের ঘটনায় ৫ থেকে ১০ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
তিনি বলেন, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আরও ভূমিধসের আশঙ্কায় উদ্ধারকারীরা বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে আরও হতাহতের সন্ধানে তাদের অনুসন্ধান বন্ধ করে দেয়। শুক্রবার থেকে ফের তল্লাশি ও উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে।
দয়ানঘিরাং টেলিফোনে বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, 'ভূমিধসের সময় তারা ওই বাড়িতে প্রার্থনা করছিলেন। এটা দুঃখজনক হলেও বাস্তবতা।’
তিনি বলেন, ভূমিধস ছাড়াও কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে নিচু গ্রামগুলোও প্লাবিত হয়েছে এবং আরও দুটি প্রদেশের ছয় হাজারেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে বন্যা-ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৭
স্থানীয় আবহাওয়ার পূর্বাভাসদাতারা এটিকে শিয়ার লাইন বলে অভিহিত করেছেন- অর্থাৎ এটি সেই কেন্দ্র যেখানে উষ্ণ এবং ঠান্ডা বাতাস মিলিত হয়। ফিলিপাইনের দ্বীপপুঞ্জে প্রতি বছর বিশেষ করে জুন মাসে শুরু হওয়া বর্ষা মৌসুমে অন্তত ২০টি ঝড় ও টাইফুন আঘাত হানে।
২০১৩ সালে ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন হাইয়ানের আঘাতে ৭ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত বা নিখোঁজ হয়। এতে পুরো গ্রামে ধস নামে, জাহাজ ভেসে যায় এবং মধ্য ফিলিপাইনে ৫০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে বন্যায় ৫১ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ১৯
জাপানের পশ্চিম উপকূলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ৪৮ জন নিহত
জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে একের পর এক শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৪৮ জন নিহত হয়েছে। এ সময় বেশ কিছু ভবন, যানবাহন ও নৌকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সোমবার বিকেলে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার একদিন পর ইশিকাওয়া প্রশাসনিক অঞ্চল এবং আশেপাশের এলাকায় আফটারশক অব্যাহত রয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইশিকাওয়ায় ৪৮ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া আরও সাতজন গুরুতর আহত হয়েছেন। ভূমিকম্পে ওই এলাকার ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তা নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, জীবন বাঁচানো আমাদের অগ্রাধিকার এবং আমরা সময়ের বিরুদ্ধে লড়াই করছি।’ তিনি বলেন, 'বাড়িতে আটকা পড়া লোকজনকে অবিলম্বে উদ্ধার করা জরুরি।’
আরও পড়ুন: জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা
তিনি যখন কথা বলছিলেন তখন ৫.৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে ওই এলাকা কেঁপে উঠে।
কিশিদা বলেন, উদ্ধার কাজে যোগ দিতে দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় ১ হাজার সৈন্য পাঠিয়েছে জাপানের সামরিক বাহিনী।
এদিকে ওই সময় আগুনের শিখা ও ধোঁয়ায় ওয়াজিমা শহরে আকাশ ছেয়ে যায়। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় দমকল বাহিনী।
পরমাণু নিয়ন্ত্রকরা জানিয়েছেন, ওই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে।
সংবাদমাধ্যমের ভিডিওতে দেখা গেছে, ধসে পড়া বাড়িগুলোর সারি। কিছু কাঠের অবকাঠামো ভেঙে পড়েছে। গাড়িগুলো উল্টে গিয়েছে। অর্ধ-ডুবে যাওয়া জাহাজগুলো উপসাগরে ভেসে উঠে যেখানে সুনামির ঢেউ নেমে এসেছিল। উপকূল কর্দমাক্ত হয়ে যায়।
সোমবার জাপানের আবহাওয়া সংস্থা ইশিকাওয়ার জন্য একটি বড় সুনামি সতর্কতা জারি করেছে এবং জাপানের প্রধান দ্বীপ হোনশুর পশ্চিম উপকূলের বাকি অংশের পাশাপাশি উত্তরাঞ্চলীয় হোক্কাইডো দ্বীপের জন্য নিম্ন স্তরের সুনামি সতর্কতা বা পরামর্শ জারি করেছে।
কয়েক ঘণ্টা পরে সতর্কতা সংকেতের মাত্রা কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত সমস্ত সুনামি সতর্কতা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এক মিটারের (৩ ফুট) বেশি উচ্চতার ঢেউ কিছু জায়গায় আঘাত হেনেছে।
সংস্থাটি সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ওই এলাকায় আরও বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে।
বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া লোকজন অডিটোরিয়াম, স্কুল ও কমিউনিটি সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছেন। এই অঞ্চলে বুলেট ট্রেনগুলো বন্ধ রাখা হয়েছিল, তবে কিছু জায়গায় পরিষেবা আবারও চালু করা হয়েছে। মহাসড়কের কিছু অংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, পানির পাইপ ফেটে গেছে এবং কিছু এলাকায় মুঠোফোন পরিষেবা বন্ধ রয়েছে।
আবহাওয়া পূর্বাভাসকারীরা বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছেন, যা এরই মধ্যে ভেঙে পড়া ভবন ও অবকাঠামো নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, তার প্রশাসন জাপানের জনগণকে যেকোনো ধরনের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অববাহিকায় আগ্নেয়গিরি এবং ফল্ট লাইনগুলোর একটি আর্ক "রিং অফ ফায়ার" বরাবর অবস্থানের কারণে জাপান প্রায়শই ভূমিকম্পের শিকার হয়।
শেষ দিনে দেশটি প্রায় একশ' আফটারশক অনুভব করেছে।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্প