শিল্প-সংস্কৃতি
বাংলাদেশ ও নরওয়ের সাংস্কৃতিক বিনিময় 'লেট দ্য লাইট ইন'
চিরকুট - দ্য গ্লোবাল বাংলাদেশি ব্যান্ড এবং নরওয়ের বিশিষ্ট গায়ক-গীতিকার ও জলবায়ু কর্মী মার্তে উলফ সম্প্রতি তাদের নতুন গান ‘লেট দ্য লাইট ইন’ জনসম্মুখে উপস্থাপন করেছেন।
চিরকুটের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান গায়িকা শারমিন সুলতানা সুমি গত বছর নরওয়ের অ্যাগডার ইউনিভার্সিটিতে একটি আন্তর্জাতিক সংগীত সম্মেলনে মূল বক্তা হিসেবে যোগদানের সময় এই গান লেখা, সুরারোপ ও রেকর্ডিং শুরু হয়।
নরওয়েতে সুমি তার ২১ বছরের সংগীত যাত্রার পাশাপাশি বিনোদন জগতে একজন নারী হিসেবে তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন ।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকাস্থ নরওয়েজিয়ান দূতাবাস এই নরওয়ে-বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় ও নতুন গান ‘লেট দ্য লাইট ইন’ চিরকুটের এক লাইভ পারফরম্যান্সের মাধ্যমে উদযাপন করেছে।
আরও পড়ুন: নরওয়েতে আন্তর্জাতিক সংগীত বিষয়ক সম্মেলনে যাচ্ছেন চিরকুট ব্যান্ডের সুমি
বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্টদূত এসপেন রিকটার-ভেন্ডসেন, কূটনীতিক, থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক, ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এবং উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতিনিধিরা এই সাংস্কৃতিক উদযাপনে অংশ নেন।
এতে আরও বলা হয়, নরওয়ে ও জনপ্রিয় বাংলাদেশি রক ব্যান্ড চিরকুটের মিউজিক্যাল পার্টনারশিপ, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং বন্ধুত্বের ইতিহাস দীর্ঘ। ২০১১ সালে রিক্সকনসার্টিন (ন্যাশনাল ট্রাভেলিং কনসার্ট) এবং লাইভ স্কয়ার কনসার্ট, বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে নরওয়ের সঙ্গে চিরকুটের সহযোগিতা শুরু হয়। এটি রক ব্যান্ডের জন্য একটি নতুন সূচনা ছিল। নরওয়েজিয়ান দূতাবাস এই সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
আরও পড়ুন: মাইকেল জ্যাকসনের স্মৃতিমাখা ওয়েস্টলেক স্টুডিওতে চিরকুট
বাংলাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়ার পাশাপাশি চিরকুট বিশ্বের বেশ কয়েকটি বৃহত্তম সংগীত উৎসবে পারফর্ম করেছে, ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনের মতো বিখ্যাত স্থানে কনসার্টের আয়োজন করেছে এবং অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শিল্পীর সঙ্গে সহযোগিতা করে বিশ্বব্যাপী তাদের গান ছড়িয়ে দিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গভীর ভাবপূর্ন এবং চেতনায় পূর্ণ মৌলিক গানের মাধ্যমে চিরকুট তরুণ এবং জলবায়ুর জন্য কাজ করছে। সম্প্রতি তারা ‘নদী রকস’ তৈরি করেছে। বাংলাদেশের প্রতিটি নদীর জন্য একটি করে গান রচনা করে নদীগুলোর প্রতি ভালবাসা এবং তরুণদের মধ্যে জলবায়ু ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করাই এই গানগুলোর মূল লক্ষ্য ।
সুমি আর মার্তে-র নতুন গান ‘লেট দ্য লাইট ইন’ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকি এবং বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যেই সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফের যুক্তরাষ্ট্র মাতাবে ব্যান্ড চিরকুট
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে বাতিঘরে ‘রাইজিং ইকোস’ শুরু
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে উন্নয়ন ও দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে ‘বাতিঘর-স্মৃতিতে আলী যাকের’ শীর্ষক ১০ দিনব্যাপী ‘রাইজিং ইকোস’ শীর্ষক প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর এশিয়াটিক সেন্টারের ছাদে এই প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। প্রদর্শনীতে মোট ৩১টি শিল্পকর্ম ও আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে।
আরও পড়ুন: এক্সে অডিও-ভিডিও কল করা যাবে অ্যান্ড্রয়েড থেকেও
এই প্রদর্শনীতে আলোকচিত্রী মৃত্তিকা গাইন তার ফটোগ্রাফিক লেন্সের মাধ্যমে জলবায়ুজনিত নদী ভাঙনের কারণে প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে খুলনার দাকোপের কালাবগি গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা তুলে ধরেন।
একই সঙ্গে অংশগ্রহণকারী আরেক শিল্পী হ্লুবাইশু চৌধুরী তার চিত্রকর্মের মাধ্যমে রাঙামাটিতে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণের ফলে প্রাকৃতিক দৃশ্যের বিকৃতির চিত্র তুলে ধরেছেন।
মঙ্গল দীপ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ১০ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর কিউরেটর, শিক্ষাবিদ ও ভিজ্যুয়াল আর্টিস্ট শামসুল আলম হেলালের সমন্বয়ে ‘রাইজিং ইকোস’ শীর্ষক এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া ছবি মেলা ও ঢাকা আর্ট সামিটেও কিউরেটর হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়ির মায়ুং কপাল, হাতিমুড়া বা হাতি মাথা ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও যাবতীয় খরচ
প্রদর্শনীর আগে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। যেখানে মঙ্গল দীপ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন সারা যাকের, মঙ্গল দীপ ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি ইরেশ যাকের, শামসুল আলম হেলাল, মৃত্তিকা গাইন, হ্লুবায়শু চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সারা যাকের বলেন, ‘বাংলাদেশি হিসেবে ভুক্তভোগী জনগোষ্ঠীকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং তাদের জন্য কাজ করা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শিবসা নদীর ভাঙন এবং কাপ্তাই বাঁধের জন্য কাপ্তাই লেক সৃষ্টি এর দুটি উদাহরণ।’
শনিবার শিল্পকলায় ঢাকা পদাতিকের ‘ট্রায়াল অব সূর্যসেন’
শনিবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকার নাট্যদল ‘ঢাকা পদাতিকের’ ৩৮তম প্রযোজনা ‘ট্রায়াল অব সূর্যসেন’। যা হবে নাটকটির ২৯তম প্রদর্শনী।
বৃহস্পতিবার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃটিশবিরোধী আন্দোলনের বীর সেনানী মাস্টার দা সূর্যসেনের প্রহসনমূলক বিচার ও হত্যাকাণ্ডের বিষয়বস্তুকে উপজীব্য করে নাটকটি মঞ্চে আনে ঢাকা পদাতিক।
‘ট্রায়াল অব সূর্যসেন’ নাটকটি রচনা করেন ও নির্দেশনা দেন নাট্যজন মাসুম আজিজ। তার মৃত্যুর পর নির্দেশনার কাজটি করছেন অভিনেতা নাদের চৌধুরী।
এ বিষয়ে নাদের চৌধুরী বলেন, ‘‘ট্রায়াল অব সূর্যসেন’ ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন নিয়ে ঐতিহাসিক একটি নাটক। এর রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রয়াত মাসুম আজিজ ভাই। তবে পরবর্তীতে এই নাটকের কিছু কিছু জায়গায় প্রয়োজন সাপেক্ষে অলংকরণ করে আমি নতুন নির্দেশনার কাজটি করেছি।’
আরও পড়ুন: ‘রেজ অ্যান্ড হোপ’: দৃকে মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্রের ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপিত
‘রেজ অ্যান্ড হোপ’: দৃকে মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্রের ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপিত
মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্রের ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর অফিস (ইউএনআরসিও) এবং দৃক পিকচার লাইব্ররির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত 'রেজ অ্যান্ড হোপ' শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ১৪ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ঢাকাস্থ দৃক গ্যালারিতে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় শেষ হয়েছে।
১০ ডিসেম্বর মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্রের ৭৫তম বার্ষিকী, যেটি সম্ভবত পৃথিবীর সর্বাধিক যুগান্তকারী অঙ্গীকার। এ ঘোষণাপত্র সকল মানুষের জাত, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, রাজনৈতিক বা অন্য অভিমত, জাতীয়তা বা সামাজিক অবস্থান, সম্পত্তি বা জন্ম ভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও প্রশ্নাতীতভাবে সমান অধিকার রক্ষা করে চলেছে।
মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উদযাপনে আয়োজিত এই প্রদর্শনীটি বাংলাদেশের আলোকচিত্রীদের এমন একটি জায়গা দিয়েছে যেখানে সারা বাংলাদেশ থেকে তাদের কাজের মাধ্যমে উঠে এসেছে নারী অধিকার আন্দোলন, আদিবাসী সম্প্রদায়, এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়, শিক্ষার্থী, জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার জনগোষ্ঠীর অধিকারসহ আরো নানা বিষয়।
আরও পড়ুন: গ্যালারি অন হুইলস: ইউনেস্কোর ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় রিকশা পেইন্টারদের কসমস ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনা
আলোকচিত্রী এবং দূকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. শহিদুল আলম আলোকচিত্রকে প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে বহুবছর ধরে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে আসছেন এবং এই প্রদর্শনীর জন্য সারা দেশ থেকে অতীত এবং বর্তমান সময়ের অসাধারণ সব কাজ একত্র করেছেন।
দৃকপাঠ ভবনে সোমবার বিকালে অনুষ্ঠিত প্রদর্শনীটির সমাপনী আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস, জাতিসংঘের মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিকাশ ও সুরক্ষাবিষয়ক বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার আইরিন খান, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সমন্বয়ক তাসলিমা আখতারসহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন প্রদর্শনীর কিউরেটর এএসএম রেজাউর রহমান।
আরও পড়ুন: ‘বিজয়’: বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী-মুক্তিযোদ্ধা বীরেন সোম ও শিশু শিল্পীদের নিয়ে গ্যালারি কসমসের দিনব্যাপী আর্ট ইভেন্ট
গ্যালারি অন হুইলস: ইউনেস্কোর ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় রিকশা পেইন্টারদের কসমস ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনা
ঢাকার রিকশা পেইন্টারদের একটি দলকে সম্মান জানিয়ে 'গ্যালারি অন হুইলস' শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে কসমস ফাউন্ডেশন।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর বারিধারার ব্যক্তিগত জাদুঘরে কসমস ফাউন্ডেশনের শিল্প শাখা গ্যালারি কসমসে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
চলতি মাসের শুরুতে রিকশা ও রিকশা চিত্রগুলোকে ইউনেস্কো তার ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতউল্লাহ খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত লিও টিটো এল আউসান জুনিয়র, কসমস ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী এবং কূটনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, সুশীল সমাজ, সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ হানিফ পাপ্পু, সৈয়দ আহমেদ হোসেন, এস এ নূর আলী, মো. মনির হোসেন ও মোহাম্মদ সোলেমানসহ বিভিন্ন রিকশা চিত্রশিল্পী ও দেশি-বিদেশি গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘‘ইউনেস্কোর ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি ঐতিহ্যের তালিকায় এই উল্লেখযোগ্য অন্তর্ভুক্তিকে সম্মান জানাতে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য রিকশা চিত্রশিল্পীদের এবং কসমস ফাউন্ডেশনকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। এই বছর আমরা ঢাকায় আমাদের ঐতিহ্যবাহী (স্বাধীনতা) কুচকাওয়াজের অংশ হিসেবে 'অ্যাডর্ন-এ-রিকশা'- শিরোনামের একটি অনন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম। যা ছিল আমাদের দেশের আইকনিক বাহনের প্রতি শ্রদ্ধা এবং আমাদের সমৃদ্ধি ও ফিলিপিনো উৎসবের রং।’’
অনুষ্ঠানটি যে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছে এবং ফিলিপাইনের ‘আতি আতিহান’ উৎসবের মতো বিশ্বব্যাপী ঐতিহ্যবাহী উৎসবগুলোর কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত লিও বলেন, এই অর্জন উদযাপনের জন্য বাংলাদেশেরও একটি রিকশা-থিমভিত্তিক বার্ষিক উৎসব হওয়া উচিত।
কসমস ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘‘যখন আমরা বড় হয়েছি, আমরা পেছনে প্রাণবন্ত ও অর্থবহ চিত্রকর্ম সম্বলিত রিকশা দেখেছি– এবং সবসময় উপলব্ধি করেছি যে এই কাজের উল্লেখযোগ্য শৈল্পিক মূল্য রয়েছে। আমি এনায়েতউল্লাহ খান ও কসমসকে অভিনন্দন জানাতে চাই এটি উপলব্ধি করার জন্য এবং আজ রাতে আমাদের সামনে এর গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য। এই শিল্প আমাদের জীবদ্দশায় বহুদূরে এগিয়ে যাবে। কারণ রিকশা ও রিকশাচিত্র যানবাহনের চেয়ে বেশি, ঢাকা ও এর জনগণের সঙ্গে এর এক ধরনের অনন্য ও চিরায়ত বন্ধন রয়েছে। এটি সেই সম্পর্কের সারমর্ম, যা সহজাতভাবে কখনই ফিকে হওয়ার নয়, ইউনেস্কো একেই স্বীকৃতি দিয়েছে এবং আমরা আজ এখানে তা উদযাপন করছি।’’
আরও পড়ুন: ‘বিজয়’: বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী-মুক্তিযোদ্ধা বীরেন সোম ও শিশু শিল্পীদের নিয়ে গ্যালারি কসমসের দিনব্যাপী আর্ট ইভেন্ট
‘বিজয়’: বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী-মুক্তিযোদ্ধা বীরেন সোম ও শিশু শিল্পীদের নিয়ে গ্যালারি কসমসের দিনব্যাপী আর্ট ইভেন্ট
দেশের ৫৩তম বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে কসমস ফাউন্ডেশনের স্বনামধন্য শৈল্পিক শাখা গ্যালারি কসমস রাজধানীর কসমস সেন্টারের গ্যালারি কসমসে প্রখ্যাত শিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা বীরেন সোম এবং ভবিষ্যৎ চিত্রশিল্পীদের নিয়ে দিনব্যাপী এক মনোজ্ঞ আর্ট ইভেন্টের আয়োজন করে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের গৌরবোজ্জ্বল বিজয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ডিসেম্বরকে শ্রদ্ধা ও গর্বের সঙ্গে স্মরণ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের যুদ্ধশেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করে।
লাখ লাখ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি অনেক শিল্পঈ সক্রিয়ভাবে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। শুধু যে যুদ্ধ তা কিন্তু নয়, মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসাহিত করতে অব্যাহত ছিল তাদের শৈল্পিক প্রচেষ্টা। তাদের মধ্যে একজন ষটের দশকের অন্যতম উল্লেখযোগ্য চিত্রশিল্পী হিসেবে পরিচিত বীরেন সোম।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রদর্শনীর আয়োজন করছে গ্যালারি কসমস
মঙ্গলবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রদর্শনীর আয়োজন করছে গ্যালারি কসমস
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক শিল্প প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে গ্যালারি কসমস।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত রাজধানীর মালিবাগের কসমস সেন্টারে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন মুক্তিযোদ্ধা ও শিল্পী বীরেন সোম।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্য তুলে ধরতে প্রতিভাবান উদীয়মান চিত্রশিল্পীদের একটি দলকে নেতৃত্ব দেবেন তিনি।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ শিল্প সংগ্রহশালা তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এসব শিল্পী।
আরও পড়ুন: একুশে পদক ২০২৩ বিজয়ী কনক চাঁপাকে গ্যালারি কসমসের সংবর্ধনা
গ্যালারি কসমসে শুরু হলো আর্টক্যাম্প ‘স্প্লেন্ডার্স অব বাংলাদেশ’
ঢাকায় সপ্তাহব্যাপী চায়না চিত্র ও ফটো প্রদর্শনী শুরু
চাইনিজ রোড অ্যান্ড বেল্ট ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) দশম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী চিত্র ও ফটো প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ন্যাশনাল আর্ট গ্যালারিতে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
ঢাকার চীনের দূতাবাস ও অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-চায়না অ্যালামনাই (অ্যাবকা) যৌথভাবে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
বাংলাদেশ-চীনের বিদ্যমান সম্পর্ককে আরও জোরদার করার লক্ষ্যে আয়োজিত এই প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (চাবি) চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর নিসার হোসেন এবং সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলি লাকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. ইয়াং হুই ও অ্যাবকার সাধারণ সম্পাদক ড. মো. সাহাবুল হক।
চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, বিআরআই প্রকল্পের মধ্যেদিয়ে বাংলাদেশ ও চীনের জনগণের মাঝে ব্যক্তিগত যোগাযোগ আরও শক্তিশালী হবে।
আরও পড়ুন: মেলবোর্নে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের ১৯ প্রতিষ্ঠান
নজরুলের ‘কারার ঐ লৌহকপাট’ বিতর্ক: ক্ষমা চাইল পিপ্পা টিম
সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত 'পিপ্পা' সিনেমায় ব্যবহৃত বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের 'কারার ঐ লৌহকপাট' গানটির বিকৃতি নিয়ে দুই বাংলায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ার পর এবার ক্ষমা চেয়েছেন সিনেমাটির নির্মাতারা।
সোমবার এক্সে (পূর্বে টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে প্রোডাকশন হাউস রায় কাপুর ফিল্মস কাজী নজরুল ইসলামের 'কারার ঐ লৌহকপাট'গানটি এ আর রহমানের পরিবেশনের বিতর্কের বিষয়ে ক্ষমা চেয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে।
রাজা কৃষ্ণ মেনন পরিচালিত ইশান খট্টর, মৃণাল ঠাকুর, প্রিয়াংশু পাইনুলি ও সোনি রাজদান প্রমুখ অভিনীত ছবিটি ১০ নভেম্বর অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রটিতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার যুদ্ধকে তুলে ধরা হয়েছে।
আরএসভিপি মুভিজ এবং রায় কাপুর ফিল্মস প্রযোজিত এই ছবিতে নজরুলের গান 'কারার ঐ লৌহকপাট' -এর রিমেক করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: কারার ঐ লৌহকপাট বিতর্ক: কাজী নজরুল ইসলামের নাতনির প্রতিবাদ
অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমানের রিমেক সংস্করণে অভিনয় করেছেন ভারতীয় গায়ক রাহুল দত্ত, তীর্থ ভট্টাচার্য, পীযূষ দাস, শ্রায়ী পাল, শালিনী মুখার্জি ও দিলাসা চৌধুরী।
গানটি প্রকাশের পর বাংলাদেশ ও ভারতের সাধারণ শ্রোতাদের পাশাপাশি নজরুল সংগীতশিল্পী ও ভক্তরা রিমেক নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
এর প্রতিক্রিয়ায় ছবির নির্মাতারা বলেন, ‘আমরা শ্রোতাদের আবেগ বুঝতে পারছি। মূল রচনার প্রতি তাদের একটা অন্য আবেগ রয়েছে। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কারার ঐ লৌহকপাট’ গানটিকে ঘিরে নানা আলোচনা চলেছে চারিদিকে। পিপ্পা ছবির প্রযোজক, পরিচালক ও সংগীত সুরকাররা বলেছেন, গানটির উপস্থাপনাটি একটি আন্তরিক শৈল্পিক ব্যাখ্যা, যার পিছনে অন্য কোনো কারণ ছিল না। এবং কাজী নজরুল ইসলামের পরিবারের থেকে যাবতীয় স্বত্ব নিয়ে তবেই গানটির পর্যালোচনা করা হয়েছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রয়াত কল্যাণী কাজীর সই নিয়ে এবং অনির্বাণ কাজীকে সাক্ষী রেখে গানটির জন্য লাইসেন্স চুক্তির চিঠি উভয়ই নিয়েছি আমরা।’
নির্মাতারা বলেন, তাদের উদ্দেশ্য ছিল চুক্তিতে উল্লেখ করা শর্তাবলী মেনে চলার সময় গানের সাংস্কৃতিক তাৎপর্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো। এর পিছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।
বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ‘আমাদের মূল রচনা এবং প্রয়াত কাজী নজরুল ইসলামের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। ভারতীয় উপমহাদেশের সংগীত, রাজনৈতিক ও সামাজিক কল্যাণে যার অবদান অপরিসীম। এই অ্যালবামটি তৈরি করা হয়েছিল সেই নারী-পুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে, যারা যুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মুক্তির জন্য এবং তার স্বাধীনতা, শান্তি ও ন্যায়বিচারের সংগ্রামের অনুভূতির কথা আমরা ভুলিনি।
এর আগে শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডির কবি নজরুল ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গানটির 'বিকৃতির' বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেন দেশের বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট নজরুল সংগীতশিল্পী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নজরুল সংগীত সংস্থার সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আনাম শাকিল,কাজী নজরুল ইসলামের নাতনি মিষ্টি কাজী, নজরুল শিল্পী সাদিয়া আফরিন মল্লিক, বরেণ্য নজরুল সংগীতশিল্পী শাহীন সামাদ, সংগীতশিল্পী বুলবুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ‘কারার ঐ লৌহকপাট’: দুই বাংলায় তোপের মুখে এ আর রহমান
চুয়াডাঙ্গায় নামযজ্ঞের পঞ্চম দিনে মানুষের ঢল
চুয়াডাঙ্গায় তারকব্রহ্ম মহানামযজ্ঞ অনুষ্ঠানের পঞ্চম দিনে মানুষের ঢল নেমেছে। জমে উঠেছে অষ্টকালীন লীলা কীর্তন।
টানা পাঁচ দিন ধরে চলছে মহানাম সংকীর্তন। প্রতি তিন ঘণ্টা অর্থাৎ এক প্রহর পরপর ভারতসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ৯টি সম্প্রদায় পালাক্রমে অখণ্ড মহানামযজ্ঞের সংকীর্তন পরিবেশন করছে।
বার্ষিক এ উৎসবকে ঘিরে চুয়াডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী পান্না (রূপছায়া) সিনেমা হল প্রাঙ্গণের বিশাল এলাকাজুড়ে দেশি-বিদেশি গৃহস্থালি ও মনোহরি সামগ্রীর পসরাও সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। পাশাপাশি নানা রকম মিষ্টির সঙ্গে তেলে ভাজা লোভনীয় সব খাবারও এখানে পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে ভক্ত-অনুরাগী ও পূণ্যার্থীদের পদচারণায় মুখরিত মহানামযজ্ঞানুষ্ঠান ও অষ্টকালীন লীলা কীর্তন।
আয়োজকরা জানান, বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) মহানাম সংকীর্তনের পঞ্চম দিনে সকাল থেকেই ঢল নামে মানুষের। দেশের অন্যতম বড় এই মহানামযজ্ঞ ঘিরে তিন স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপিত