খুলনা
চুয়াডাঙ্গা পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম আবারও শুরু
বারবার ভোল্টেজ ওঠানামার কারণে বিকল হয়ে পড়ে চুয়াডাঙ্গা পাসপোর্ট অফিসের অটোমেটিক ভোল্টেজ রেগুলেটর (এভিআর) মেশিন।
এরপর ১০ দিন বন্ধ থাকার পর আবারও চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের অটোমেটিক ভোল্টেজ রেগুলেটর (এভিআর) সচল হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রবাসী বাংলাদেশিরা কিভাবে ই-পাসপোর্ট করবেন: দেশের বাইরে থেকে পাসপোর্ট নবায়নের উপায়
রবিবার (৬ আগস্ট) আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুস সাত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২৭ জুলাই থেকে পাসপোর্ট অফিসের এভিআর মেশিন পুড়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় পুরো সার্ভার। বিষয়টি ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে কয়েকজন প্রকৌশলীদের পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, বেশ কয়েকবার চেষ্টার পর ৬ কার্য দিবস শেষে সচল হয় না এভিআর মেশিন। পরে পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের প্রকৌশলীরা এসে মেশিন পরিবর্তনের পর সার্ভার চালু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকলে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন যেসব দেশে
মাগুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৭ম শ্রেণির ছাত্র নিহত
মাগুরা সদর উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকালে উপজেলার বাহারবাগ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত উজ্জল হোসেন (১৪) বাহারবাগ গ্রামের সাইদ হোসেনের ছেলে ও সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেকেনদার আলী জানান, রবিবার সকালে উজ্জল নিজ বাড়িতে মোবাইল ফোন চার্জ দিতে সুইচবোর্ডে সংযোগ দেওয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।
তিনি আরও বলেন, তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
এ ব্যপারে মাগুরা থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির চাপায় নারী নিহত
৬ মাসে রেল দুর্ঘটনায় নিহত ১৩১: এসসিআরএফ
আট শহীদের কবরের উপর নির্মিত স্মৃতিসৌধ 'আটকবর'
চুয়াডাঙ্গায় স্থানীয় শহীদ দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের ৫ আগস্ট স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহে আটজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মুখ সমরে শহীদ হন। দেশ স্বাধীনের পর আট শহীদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে ৫ আগস্ট স্থানীয় শহীদ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এ দিনটি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অত্যন্ত মর্মান্তিক ও স্মরণীয় দিন।
আর এই আট শহীদের কবরের উপর নির্মিত স্মৃতিসৌধেই শ্রদ্ধা জানিয়ে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বছর স্মরণ করা হয়।
এদিনে সম্মুখ সমরে বেঁচে ফেরা মুক্তিযোদ্ধা আসগর আলী ফটিক জানান, ৫ আগস্ট সকালে পাকিস্তানি দালাল কুবাদ খানের দুজন লোক চতুরতার আশ্রয় নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে এসে খবর দেয়, রাজাকাররা তাদের ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, তাদের এ কথা বিশ্বাস করে মুক্তিযোদ্ধা হাসান জামানের নেতৃত্বে আমরা একদল মুক্তিযোদ্ধা অস্ত্র নিয়ে বাগোয়ান গ্রামের মাঠের দক্ষিণ-পশ্চিমে দু দলে বিভক্ত হয়ে অগ্রসর হতে থাকি। নাটুদহ ক্যাম্পের পাকসেনারা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মাঠের আখখেতে অ্যাম্বুস অবস্থায় লুকিয়ে থাকে। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের অ্যাম্বুশের মধ্যে পড়ে যাই।
এখানে পাকসেনাদের সঙ্গে আমাদের প্রায় আড়াই ঘণ্টা সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এ সময় আমরা মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধের কৌশলে দুটি দলে বিভক্ত হয়ে শত্রুকে আক্রমণ করতে থাকি। এ অবস্থায় যেকোনো একজনকে কাভারিং ফায়ার দিয়ে নিজ দলকে বাঁচাতে হয়। মুক্তিযোদ্ধা হাসান জামান সেই ফায়ারের দায়িত্ব নিয়ে শহীদ হন। এ সময় অন্য সাথীদের বাঁচাতে সক্ষম হলেও সম্মুখ সমরে শহীদ হন আটজন বীর। ওই সম্মুখ যুদ্ধে পাকবাহিনীর অনেক সদস্য হতাহত হয়।
পরে জগন্নাথপুর গ্রামের মুক্তিকামী মানুষ রাস্তার পাশে দুটি কবরে চারজন করে আটজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার মৃতদেহ দাফন করেন।
কালক্রমে এই আটজন মুক্তিযোদ্ধার কবরকে ঘিরেই এ স্থানটির নামকরণ হয়েছে আটকবর।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে ৫ আগস্ট জেলার আটজন বীর মুক্তিযোদ্ধা- হাসান জামান, সাইফুদ্দিন তারেক, রওশন আলম, আলাউল ইসলাম খোকন, আবুল কাশেম, রবিউল ইসলাম, কিয়ামুদ্দিন ও আফাজ উদ্দীন সম্মুখ সমরে শহীদ হন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাছভর্তি বালতির পানিতে ডুবে প্রাণ গেল শিশুর
খুলনার নির্যাতিত নারী ফুটবলারদের পাশে প্রধানমন্ত্রী
খুলনার বটিয়াঘাটায় নির্যাতনের শিকার নারী ফুটবলারদের পাশে থাকার কথা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) খুলনা -২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দীন জুয়েল নারী ফুটবলারদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন নারীরা যে মাঠটিতে প্রশিক্ষণ নেয় সেই মাঠটি সংস্কার করা হবে এবং একটি ফুটবল অ্যাকাডেমি নির্মাণ করা হবে।
আরও পড়ুন: নারী ফুটবলারদের মারধর: মামলা তুলে নিতে অ্যাসিড নিক্ষেপের হুমকি
ভুক্তভোগী ফুটবলার সাদিয়া নাসরিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী নারী ফুটবলারদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার এবং অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এসময় সালাউদ্দিন জুয়েলের সঙ্গে খুলনার প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই বটিয়াঘাটা তেতুলতোলা গ্রামে নারী ফুটবলারদের নির্যাতন করা হয়।
বটিয়াঘাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শওকত কবির জানান, প্রতিদিন পুলিশ ওই গ্রামে টহল দিচ্ছে। মেয়ে ও তাদের অভিভাবকদের বলেছি, কোনো সমস্যা মনে করলে সঙ্গে সঙ্গে জানাতে। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
আরও পড়ুন: খুলনায় নারী ফুটবলারদের উপর হামলা, গ্রেপ্তার ১
সাফজয়ী নারী ফুটবলার রূপনা চাকমার ঘর হস্তান্তর
নারী ফুটবলারদের মারধর: মামলা তুলে নিতে অ্যাসিড নিক্ষেপের হুমকি
খুলনায় চার নারী ফুটবলারকে মারধরের পর এবার মামলা তুলে নিতে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আসামিদের বিরুদ্ধে। মামলা তুলে না নিলে তাদের শরীরে অ্যাসিড নিক্ষেপের হুমকিও দেওয়া হয়েছে বল জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এ ঘটনায় মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী নারী ফুটবলার সাদিয়া নাসরিন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার তেঁতুলতলা সুপার কুইন ফুটবল একাডেমির খেলোয়াড় সাদিয়া নাসরিন বলেন, হামলাকারীরা আমাদের চারজনকে মারধর করেছে। হামলাকারী সালাউদ্দিন আমাদের হত্যার হুমকিও দিয়েছে। মামলা তুলে না নিলে অ্যাসিড মেরে মুখ ঝলসে দেওয়ারও ভয় দেখিয়েছে। এ ছাড়া তারা নিজেরা নিজেদের ক্ষতি করে আমার টিমের সদস্যদের পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করবে বলেও হুমকি দিয়েছে। এরপর তারা গালিগালাজ করে চলে যায়। আমি থানায় জিডি করেছি। এ ঘটনায় আমরা সবাই উদ্বিগ্ন।
আরও পড়ুন: সাফজয়ী নারী ফুটবলার রূপনা চাকমার ঘর হস্তান্তর
সাদিয়া নাসরিনের অভিযোগে বলা হয়, গত ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার একাডেমিতে অনুশীলন করার সময় নূপুর খাতুন নামে প্রতিবেশী এক মেয়ে তার ছবি তুলেন। পরে বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মাকে সেই ছবি দেখিয়ে আজেবাজে মন্তব্য করে আসেন। সাদিয়া ২৯ জুলাই শনিবার বিষয়টি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে নূপুর অকথ্য ভাষায় তাকে গালাগাল করেন। প্রতিবাদ করলে তাকে এলোপাতাড়ি কিল, চড়, ঘুষি মেরে মুখ ও বুকের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন।
সাদিয়া বলেন, বাড়িতে গিয়ে আমি বাবা-মা, কোচ ও অন্য খেলোয়াড়দের ঘটনাটি জানাই। তারা আমাকে নিয়ে সন্ধ্যার দিকে নূপুর খাতুনের বাড়িতে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নূপুর, তার বাবা নূর আলম খাঁ, ভাই সালাউদ্দিন ও নূপুরের মা রঞ্জি বেগম আমাদের উপর হামলা করে। এতে মঙ্গলী, হাজেরা ও জুঁই আহত হয়। তারা লোহার রড দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়, চায়নিজ কুড়াল নিয়ে এসে হত্যার হুমকি দেয়।
মারধরের শিকার ফুটবলার হাজেরা খাতুন, জুঁই মণ্ডল ও রিতু বৈরাগী জানান, আগে প্রতিদিন প্রায় ৩০ জন অনুশীলনে মাঠে আসত। এখন আসে ১০-১৫ জন।
বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ফুটবলার মঙ্গলী বাগচী বলেন, নূপুর ও তার পরিবারের লোকজন আমাদের মারধর করেছে। রড দিয়ে পিটিয়ে আমার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। তারা ওড়না দিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা আমাকে বেঁধে রাখে।
তিনি আরও বলেন, ওরা বলেছে, হাফ প্যান্ট-জার্সি পরে গ্রামের মাঠে ফুটবল খেলা যাবে না। শুধু তাই নয়, ওরা অ্যাসিড মেরে আমাদের মুখ ঝলসে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। ঘটনার পর থেকে রাতে ঘুম আসে না। শুধু মনে হয়, এই বোধ হয় আবার হামলা হলো, অ্যাসিড মারল।
তেঁতুলতলা সুপার কুইন ফুটবল একাডেমির সভাপতি ইসলাম হাওলাদার বলেন, হামলার ঘটনায় মেয়েদের মধ্যে আতঙ্কে বিরাজ করছে। অনুশীলনের জন্য ডেকে ডেকে আনতে হচ্ছে। আগে কোনো দিন গ্রামের কেউ ফুটবল খেলা নিয়ে মেয়েদের উত্ত্যক্ত বা কটূক্তি করেনি। কিন্তু নূর আলমের পরিবার এবার ঝামেলা বাধিয়েছে।
এদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা ও মারধরের অভিযোগে গত ৩০ জুলাই রবিবার সাদিয়া নাসরিন বাদী হয়ে নূপুর, তার বাবা নূর আলম খাঁ, ভাই সালাউদ্দিন ও নূপুরের মা রঞ্জি বেগমকে আসামি করে বটিয়াঘাটা থানায় মামলা করেন। মামলার পর পরই পুলিশ নূর আলমকে গ্রেপ্তার করে।
বটিয়াঘাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শওকত কবির জানান, অ্যা্সিড নিক্ষেপের হুমকির অভিযোগে সাদিয়া গত ৩১ জুলাই একটি জিডি করেন। মামলা ও জিডির তদন্ত চলছে। জিডির বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে বটিয়াঘাটা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কৌশিক কুমার সাহাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নূর আলম বর্তমানে কারাগারে। তবে অন্য তিন আসামি মঙ্গলবার আদালত থেকে জামিন পেয়েছে। প্রতিদিন পুলিশ ওই গ্রামে টহল দিচ্ছে। মেয়ে ও তাদের অভিভাবকদের বলেছি, কোনো সমস্যা মনে করলে সঙ্গে সঙ্গে জানাতে, আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে ফুটবলারদের মারধরের প্রতিবাদে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠির অধিকার আন্দোলন, খুলনা ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ফুটবল খেলার জন্য সাদিয়া নাসরিন, মঙ্গলী বাগচীসহ চারজনকে মারধর করা হয়েছে।এদিকে আসামিদের ৩ জন জামিন পেয়ে এসিড নিক্ষেপের হুমকি দিচ্ছে। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা।
সংগঠনের খুলনা জেলা কমিটির সভাপতি সুব্রত কুমার মিস্ত্রীর সভাপতিত্বে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বিভুতোশ রায়, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিশিত রঞ্জন মিস্ত্রী, গীতা ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রসেনজিৎ দত্তসহ আরও অনেকে ছিলেন।
আরও পড়ুন: আইফোন ও টাকা পেলেন সাফ নারী চ্যাম্পিয়ন দলের তিন ফুটবলার
রাঙামাটিতে সাফজয়ী ৫ নারী ফুটবলারকে উষ্ণ সংবর্ধনা
কুষ্টিয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গুলিবিদ্ধ
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গুলিবিদ্ধসহ ৩ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার গোডাউন মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- সঞ্জয় কুমার প্রামাণিক (৩৫) ভেড়ামারা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও দুলাল চন্দ্র প্রামাণিকের ছেলে। এ সময় সঞ্জয়ের দুই সমর্থক বেলাল হোসেন ও শ্যামল সরদার আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম জানান, রাত ১১টার দিকে সঞ্জয় কুমার প্রামানিক দলীয় মিটিং শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে গোডাউন মোড় এলাকায় একদল সন্ত্রাসী তাকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় ও হামলা করে। হামলায় ভেড়ামারা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সঞ্জয় কুমার প্রামানিকের পায়ে গুলি লাগে ও মাথায় আঘান পান। হামলার ঘটনায় বেলাল হোসেন ও শ্যামল সরদার নামে দুই কর্মী আহত হন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় গড়াই নদীর পার থেকে রাসেল ভাইপার সাপ উদ্ধার
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা তাদেরকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে আহতরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহতদের মধ্যে সঞ্জয় কুমার প্রামানিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
হামলায় আহত বেলাল জানান, জেলা জাসদ যুবজোটের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শোভনের নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৫০ জন তাদের ওপর হামলা চালায়।
ওসি বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোন লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
মহাসড়ক সংস্কারের সময় ট্রাকের ধাক্কায় কিশোর শ্রমিকের মৃত্যু
বাগেরহাটের ফকিরহাটে মহাসড়ক সংস্কারের সময় ট্রাকের ধাক্কায় এক কিশোর শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (৩১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খুলনা-মাওয়া মহাসড়কের ফকিরহাট উপজেলার পিলজংগ এলাকায় মহাসড়ক সংস্কারের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নাটোরে মোটরসাইকেলে ট্রাকের ধাক্কা, নৌবাহিনীর সদস্য নিহত
নিহত সজিব শেখ (১৭) খুলনার পাইকগাছার উপজেলার কপিলমুনি এলাকার রুস্তম আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে পিলজংগ এলাকায় সড়কে সংস্কারের কাজ করছিলেন সজিব শেখ। এ সময় খুলনাগামী একটি মালবাহী ট্রাক সজিবকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
মোল্লাহাট হাইওয়ে থানা পুলিশের সার্জেন্ট মো. কামরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ট্রাক জব্দ ও চালক রুহুল আমিনকে আটক করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ট্রাকের ধাক্কায় শিক্ষার্থী নিহত
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সিএনজিতে ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ২
বেনাপোলে ১৮ স্বর্ণের বারসহ আটক ২
যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে মিলন হোসেন ও শাহজামাল নামে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (৩১ জুলাই) বিকাল ৪টার দিকে তাদের আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৮টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ১৪ স্বর্ণের বার জব্দ, ৪ পাচারকারী আটক
যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
বেনাপোল বন্দর থানার পুটখালী গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে মিলন হোসেন এবং একই থানার বোয়ালিয়া গ্রামের মিকাইল ইসলামের ছেলে শাহজামাল।
খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর রহমান বলেন, গোপন খবর পেয়ে বেনাপোলের দৌলতপুর সীমান্তের স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলের পাশে অভিযান চালান বিজিবি সদস্যরা। এ সময় সন্দেহভাজন দুইজন স্বর্ণ পাচারকারীকে ধাওয়া দিয়ে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, পরে এই দুই পাচারকারীদের দেহ তল্লাশি করে ১৮টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। জব্দ করা স্বর্ণের ওজন ২ কেজি ১০০ গ্রাম। যার বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
এছাড়া জব্দ করা স্বর্নেরবারগুলো শার্শা থানার মাধ্যমে যশোর কাস্টমসের ট্রেজারিতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে ৩০ স্বর্ণের বার জব্দ
ফরিদপুরে ৬ স্বর্ণের বার জব্দ, ২ পাচারকারী আটক
যশোর কারাগারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে একজন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির (৩৮৯১/ এ) মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (৩০ জুলাই) রাতে তার মৃত্যু হয়।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি তোরাব আলী শেখ (৫৬) মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার খড়িবাড়িয়া গ্রামের ইব্রাহিম শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: নাটোরে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার জানান, মাগুরা জেলা দায়রা জজ আদালতে একটি হত্যা মামলায় তোরাবকে ২০০৫ সালের ৩০ জানুয়ারি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
তিনি জানান, এরপর থেকে দেশের বিভিন্ন কারাগারে ছিলেন তোরাব। ২০২০ সালে ১৬ নভেম্বর যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। রবিবার রাত ১টা ২৫ মিনিটে হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে তাকে ওই রাতেই যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তিনি আরও জানান, হাসপাতালে যাওয়ার পরে তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার আসিফ মোহাম্মদ আল হাসান বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে ২ কয়েদির মৃত্যু
সিরাজগঞ্জ কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
খুলনায় নারী ফুটবলারদের উপর হামলা, গ্রেপ্তার ১
অনুশীলনের সময় ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে খুলনায় চার নারী ফুটবলারের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় বটিয়াঘাটা উপজেলার তেঁতুলতলা স্কুল মাঠ এলাকায় স্থানীয় কয়েকজন যুবক এই হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এতে চার নারী ফুটবলার আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়ন দলের নারী ফুটবলার মঙ্গলী বাগচী, হাজেরা খাতুন, জুই মন্ডল এবং সাদিয়া নাসরিন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে কিছুটা সুস্থ হয়ে রবিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে এ ঘটনায় বটিয়াঘাটা থানায় মামলা করেছেন সাদিয়া। মামলায় ছয় জনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন- তেঁতুলতলা স্কুল মাঠ এলাকার আলাউদ্দিন (১৬), সালাউদ্দিন (২২), নুর আলম (৪৮), রঞ্জি বেগম (৪০), মনোয়ারা বেগম (৫৫) ও নুপুর খাতুন (২২)।
আরও পড়ুন: দুদকের চার্জশিটে নাম আসায় খুলনার সিভিল সার্জনকে ওএসডি
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, তেঁতুলতলা গ্রামের সাদিয়া নাসরিন খুলনার অনূর্ধ্ব-১৭ দলের ফুটবলার। স্থানীয় ‘সুপার কুইন ফুটবল একাডেমিতে’ নিয়মিত অনুশীলন করেন। এ কারণে তাকে প্রতিনিয়ত স্থানীয়দের কাছ থেকে লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়। গত বৃহস্পতিবার একাডেমিতে অনুশীলনের সময়ে নুপুর খাতুন ছবি তোলেন। পরে সেই ছবি সাদিয়ার বাবা-মাকে দেখিয়ে আজেবাজে মন্তব্য করেন। এ নিয়ে বাবা-মা তাকে বকাঝকা করেন। শনিবার বিকালে ছবি তুলে বাবা-মাকে দেখানোর কারণ জানতে চান সাদিয়া। বিষয়টি নিয়ে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সাদিয়াকে গালিগালাজ করেন নুপুর। প্রতিবাদ করলে মারধর করেন। বিষয়টি বাবা-মা, ক্লাবের কোচ মুস্তাকুজ্জামান মুস্তাক ও অন্যান্য খেলোয়াড়কে জানান। তারা সাদিয়াকে সঙ্গে নিয়ে শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নুপুরের বাড়িতে যান। এতে নুপুরের পরিবারের লোকজন ক্ষুব্ধ হন। পরে আলাউদ্দিন, সালাউদ্দিন, নুর আলম, রঞ্জি বেগম ও মনোয়ারা তাদের উপর হামলা চালান। এতে সাদিয়া, মঙ্গলী, হাজেরা ও জুই আহত হন।
হামলার সময়ে সালাউদ্দিনের লোহার রডের বাড়িতে মাথায় গুরুতর আঘাত পান মঙ্গলী বাগচী। পরে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ক্লাবের কোচ মুস্তাকুজ্জামান মুস্তাক বলেন, ‘সাদিয়াকে মারধরের কারণ জানতে আমরা নুপুরদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। কিন্তু এভাবে তারা হামলা করবে, ভাবিনি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।’
স্থানীয় তেঁতুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং সুপার কুইন ফুটবল একাডেমির প্রশিক্ষক দেবাশীষ কুমার মণ্ডল বলেন, প্রাইমারি স্কুলে থাকতে তারা আমার কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। বঙ্গমাতা ফুটবল টিমের খেলোয়াড় ছিল এরা। তাদের ভালো খেলোয়াড় বানানোর জন্য এখানে উপযুক্ত পরিবেশের অভাব রয়েছে। সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে অনেকেই চাননা মেয়েরা ফুটবল খেলুক। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনা জরুরি।
বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ শওকত কবীর বলেন, ঘটনা শোনার পর পরই পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং নুর আলম নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি স্থানীয় তেতুলতলা এলাকার আজিজের ছেলে। প্রাথমিকভাবে জেনেছি, অনুশীলনের সময়ে নারী ফুটবলারের ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে মৎস্যপণ্য রপ্তানি ২৮২৩ কোটি টাকার