বৈদেশিক-সম্পর্ক
বাংলাদেশ থেকে আরও জনশক্তি নিতে আগ্রহী ইতালি
বাংলাদেশ থেকে আরও জনশক্তি, বিশেষ করে কৃষি ও সেবা খাতে, নিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইতালি।
সোমবার ইতালির রাজধানী রোমে অবস্থিত খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সদর দপ্তরে জাতিসংঘের ফুড সিস্টেমস সামিটের এক ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ইতালির ৩ মন্ত্রী এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ইতালির কৃষিমন্ত্রী ফ্রান্সেসকো লোলোব্রিজিদা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি ও বিচারমন্ত্রী কার্লো নর্দিও।
আরও পড়ুন: তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ইতালি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
সোমবার বৈঠকটি সম্পর্কে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বৈঠকে মন্ত্রীরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে জানান যে ইতালি কৃষি ও সেবা খাতে বৈধ উপায়ে আরও কর্মী নিয়োগ দিবে।
তিনি বলেন, তবে ইতালির ভোটাররা তাদের নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বলে অনেক অবৈধ শ্রমিক নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। তাই অবৈধ শ্রমিকদের নিরুৎসাহিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতালির মন্ত্রীদের যেমনটা বলেছেন তা উদ্ধৃত করে তিনি বলেন যে বাংলাদেশও অবৈধ শ্রমিকদের নিরুৎসাহিত করতে চায়।
নথিভুক্ত ও অনিবন্ধিত কর্মীরা ইতালি ও বাংলাদেশ উভয় দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে উল্লেখ করে তিনি অনিবন্ধিত বাংলাদেশি কর্মীদের বৈধতা দেওয়ার জন্য ইতালের সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
মোমেন বলেন, ‘তারা (ইতালি) খুব খুশি যে বাংলাদেশ সরকার বৈধ উপায়ে শ্রমিকদের অভিবাসনে সহায়তা করবে।’
আরও পড়ুন: ইতালির মিলানে ইউএনবি ও এএনএসএ'র মধ্যে সংবাদ বিনিময় চুক্তি সই
বাংলাদেশসহ সব দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া উচিত: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
যুক্তরাষ্ট্র পুনর্ব্যক্ত করেছে যে গণতান্ত্রিক সমাজে অবাধে নিজেদের ভূমিকা পালনে সকলের অধিকারকে সমর্থন করে তারা।
মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ের সময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা মানবাধিকারের ওপর যে কোনো বিধিনিষেধের বিরোধিতা করি।’
তিনি বলেন যে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করে এমন যে কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে।
আরও পড়ুন: 'অভিন্ন অগ্রাধিকার' নিয়ে আলোচনায় বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
মুখপাত্র বলেন, ‘গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করে এমন পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন, জনগণকে সংগঠন ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ থেকে বিরত রাখার জন্য সহিংসতার ব্যবহার এবং রাজনৈতিক দল, ভোটার, নাগরিক সমাজ বা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার থেকে বিরত রাখার জন্য পরিকল্পিত ব্যবস্থার ব্যবহার।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যে তারা বাংলাদেশ বা অন্য কোনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে অবস্থান নেয় না।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মিলার বলেন, ‘কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া উচিত।’
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এ ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই: হিরো আলমের ওপর হামলা প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
নেপালকে পায়রা বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহলের সঙ্গে বৈঠকে নবনির্মিত পায়রা বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছেন।
জাতিসংঘ ফুড সিস্টেমস সামিটের এক ফাঁকে এফএও সদর দপ্তরে নবনির্মিত বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কক্ষে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎ করেন। সামিটটিতে যোগ দিতে দুই নেতাই রোমে অবস্থান করছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেপালকে পায়রা বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দেন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ ইতোমধ্যে নেপালের জন্য চালনা (মোংলা) ও চট্টগ্রাম বন্দর খুলে দিয়েছে। নেপাল নবনির্মিত পায়রা বন্দরও ব্যবহার করতে পারবে।’
আরও পড়ুন: পায়রা বন্দরের আট জাহাজের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এ অঞ্চলে যোগাযোগ বাড়াতে সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলছে।
মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী।
তাকে উদ্ধৃত করে মোমেন বলেন, ‘আপনি আমাদের অঞ্চলের নেতা।’
তিনি বলেন যে নেপালে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের বিশাল সুযোগ রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের জন্য নেপাল থেকে ভারতের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রথম ত্রিপক্ষীয় বিদ্যুৎ বাণিজ্য শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশেষ করে জলবিদ্যুৎ আমদানির পদক্ষেপ নেবে।
দহল উল্লেখ করেন যে বিপুল সংখ্যক নেপালি শিক্ষার্থী বাংলাদেশে পড়াশোনা করছে।
আরও পড়ুন: পায়রা বন্দর অর্থনীতিতে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে: প্রতিমন্ত্রী খালিদ
এফএও সদর দপ্তরে ‘বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কক্ষ’ উদ্বোধন
ইতালির রাজধানী রোমে খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সদর দপ্তরে ‘বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কক্ষ’ এর উদ্বোধন করা হয়।
সোমবার ইউএন ফুড সিস্টেমস সামিট+২ স্টকটেকিং মোমেন্টে (ইউএনএফএসএস+২) যোগ দিতে রোম সফরে থাকা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্ষটির উদ্বোধন করেন। এফএও'র মহাপরিচালক কিউ ডংইউ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত জাতি গঠনের স্বপ্ন দেখা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন এবং বাংলাদেশের কৃষি খাতে 'সবুজ বিপ্লব' এর সূচনা করার লক্ষ্যে এই কক্ষটি স্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে তার দেশ এফএও সদর দপ্তরে বাংলাদেশের একটি ছোট অংশ পেয়ে আনন্দিত।
পুরো বিষয়টি সম্ভব করায় তিনি মহাপরিচালক ও তার দলের প্রতি সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে এফএও'র সদস্য পদ লাভ করে।
বাংলাদেশের মানুষকে নিপীড়ন, দারিদ্র্য ও ক্ষুধা থেকে মুক্ত করাই ছিল বঙ্গবন্ধুর আজীবন মিশন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি, যেহেতু আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে তার নাম সম্বলিত কক্ষটির উদ্বোধন করছি।’
তিনি আরও বলেন যে বাংলাদেশ ও এফএও'র মধ্যে ৫০ বছরের চমৎকার অংশীদারিত্বেরও প্রতীক এই কক্ষ।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের ফুড সিস্টেমস সামিটে যোগ দিতে রোমের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
হলি আর্টিজান দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি জাপানের মন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী (এমইটিআই) ইয়াসুতোশি নিশিমুরা সোমবার (২৪ জুলাই) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (এইচএসআইএ) তৃতীয় টার্মিনালের মেট্রোরেল প্রকল্প ও নির্মাণস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ সফরে তার সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
তারা উত্তরা নর্থ স্টেশন থেকে একসঙ্গে মেট্রোরেলে চড়ে পল্লবী পর্যন্ত কয়েকটি মেট্রোস্টেশন অতিক্রম করে একই স্টেশনে ফিরে আসে।
তারা মেট্রোরেল প্রদর্শনী ও তথ্য কেন্দ্র পরিদর্শন করেন এবং সেখানে স্মৃতিসৌধে হলি আর্টিজান ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
জাপানের মন্ত্রী মেট্রোরেলে চড়ে খুব খুশি হন এবং বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনালের চলমান নির্মাণ কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
সফরে তার সঙ্গে থাকার জন্য তিনি প্রতিমন্ত্রী আলমকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে উচ্চ আয়ের দেশে রূপান্তরে সহযোগিতা করবে জাপান: নিশিমুরা ইয়াসুতোশি
দেশের বড় প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে চায় জাপান: বাণিজ্যমন্ত্রী
ঢাকায় জাপানের মন্ত্রী নিশিমুরা ইয়াসুতোশি
বাংলাদেশকে উচ্চ আয়ের দেশে রূপান্তরে সহযোগিতা করবে জাপান: নিশিমুরা ইয়াসুতোশি
জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী (এমইটিআই) নিশিমুরা ইয়াসুতোশি বলেছেন, তার দেশ ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত করার প্রচেষ্টায় পূর্ণ সহযোগিতা করবে।
সোমবার (২৪ জুলাই) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।
এর আগে ঢাকার মেট্রোরেলে চড়েন জাপানের অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
জাপানের মন্ত্রী দুই দিনের সরকারি সফরে ২৩ জুলাই ঢাকায় এসেছেন।
এই প্রথম জাপানের এমইটিআই-এর কোনো মন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে এসেছেন।
মন্ত্রী নিশিমুরা চলতি বছরের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের সময় দুই প্রধানমন্ত্রীর যৌথভাবে ঘোষিত কূটনৈতিক সম্পর্কের ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: ইউএনডিপি-এসএমই ফাউন্ডেশনের সমঝোতা স্মারক সই
তিনি জাপানের সহযোগিতায় বাস্তবায়িত মেগা প্রকল্পে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বাংলাদেশের তরুণ ও উদ্যমী জনসংখ্যার পাশাপাশি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে কৌশলগত অবস্থানের প্রশংসা করেন।
প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি গত দেড় দশকে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশ-জাপান সহযোগিতার চলমান মেগা প্রকল্পের উল্লেখ করেন এবং বাংলাদেশের একটি স্মার্ট ও উন্নত দেশ হওয়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে এ ধরনের যৌথ উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে আগ্রহী ওয়াশিংটন: কংগ্রেসম্যান জো উইলসন
এ ছাড়া অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আইসিটি, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে আরও জাপানি বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
তিনি একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পর বাংলাদেশে বিদ্যমান অগ্রাধিকারমূলক আচরণ বজায় রাখার কথা পুর্নব্যক্ত করেন।
মন্ত্রী নিশিমুরা জানিয়েছেন, জাপান বর্তমানে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পর বাংলাদেশকে দেওয়া অগ্রাধিকারমূলক আচরণ বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করছে।
এই বিষয়ে একটি অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) সাহায্য করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে জাপানের অব্যাহত সহায়তার জন্য মন্ত্রী নিশিমুরাকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে অস্ট্রেলিয়ান ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান বিজিএমইএ সভাপতির
বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে অস্ট্রেলিয়ান ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান বিজিএমইএ সভাপতির
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান অস্ট্রেলিয়ান বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে ব্যবসার সম্ভাবনা ও বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, তরুণ জনসংখ্যা, ক্রমবর্ধমান অবকাঠামো এবং অনুকূল ব্যবসায়িক নীতি ও জলবায়ুর কারণে বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য একটি আকর্ষণীয় ও আদর্শ জায়গা।
সোমবার (২৪ জুলাই) বিজিএমইএ এ তথ্য জানিয়েছে।
সম্প্রতি সিডনির ফোর সিজন হোটেলে বিজিএমইএর একটি সফররত প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত নেটওয়ার্কিং ইভেন্টে তিনি এ আহ্বান জানান।
অস্ট্রেলিয়ান ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, ক্রেতা এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডাররা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আরএমজি শিল্পের উচ্চ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারের নীতিগত সহায়তা চান বিজিএমইএ সভাপতি
সেখানে বিজিএমইএ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে সম্ভাব্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ সম্পর্কে জানান।
অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকীও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
হাইকমিশনার বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগকে বাস্তবে রূপান্তর করতে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপর জোর দেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম, সাবেক সহসভাপতি মো. মশিউল আজম শজল, বিজিএমইএ স্থায়ী কমিটির প্রেস, প্রকাশনা ও প্রচারবিষয়ক সভাপতি শোভন ইসলাম, বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটির ফরেন মিশন সেলের চেয়ার শামস মাহমুদ, এইচএসবিসি বাংলাদেশের সিইও মো. মাহবুব উর রহমান এবং রোজ ইন্টিমেটস লিমিটেডের ডিরেক্টর সঞ্জয় কুমার প্রমুখ।
আরও পড়ুন: শিল্পের প্রবৃদ্ধি ছাড়া ৭.৫% জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন অসম্ভব: বিজিএমইএ সভাপতি
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ সাহায্যনির্ভর থেকে বাণিজ্যনির্ভর অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হয়েছে। এ দেশের ব্যবসায়ীরা বিদেশি ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদারের মাধ্যমে বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য অপেক্ষা করছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্প্রসারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আইসিটি, ইলেকট্রনিক্স, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল, চামড়া ইত্যাদি শিল্প খাতে সুযোগ বেড়েছে।
বিজিএমইএ পরিচালক আসিফ আশরাফ বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের উপর একটি প্রেজেন্টেশন দেন।
কীভাবে খাতটি কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, পরিবেশগত স্থায়িত্ব এবং শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যাপক অগ্রগতি করেছে এ বিষয়ে প্রেজেন্টেশনটি দেওয়া হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি অস্ট্রেলিয়ান ক্রেতাদের বাংলাদেশের পোশাক, বিশেষ করে হাই-এন্ড সেগমেন্টের সোর্সিং বাড়ানোর আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: এলডিসি উত্তোরণে বাংলাদেশকে সহায়তায় ইইউ’র প্রতি বিজিএমইএ প্রধানের আহ্বান
নির্বাচনের আগে আরও দুটি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দল আসবে বাংলাদেশে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আগামী ২৮ জুলাই ও ১৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের আরও দুটি দল বাংলাদেশ সফর করবে।
সোমবার (২৪ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ফোরাম (ইএমএফ) জানায়, তাদের আমন্ত্রণে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের দ্বিতীয় দল বাংলাদেশ সফর করবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্ব পরিস্থিতি ও পরিবেশ মূল্যায়নে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দল বাংলাদেশ সফরসহ ইএমএফের ধারাবাহিক কার্যক্রম বিষয়ে জানাতেই সংবাদ সম্মেলনে করা হয় বলে জানায় আয়োজক সংস্থাটি।
তারা জানান, ২৮ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও চীনের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক হিসেবে আসবে। তারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনপূর্ব পরিস্থিতি ও পরিবেশ মূল্যায়নে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করবেন।
আরও পড়ুন: উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম, তবে অনিয়মের অভিযোগ নেই: পর্যবেক্ষক দল
সফরে আসা দ্বিতীয় দলে রয়েছেন- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিশ্লেষক মি. টেরি এল ইসলে, আয়ারল্যান্ড থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনীতিবিষয়ক সিনিয়র সাংবাদিক মি. নিক পল, দক্ষিণ কোরিয়ার মানবাধিকারকর্মী মি. পার্ক চুং চাং, জাপান থেকে সমাজকর্মী মি. ইউসুকী সুগু, যুক্তরাজ্যের লেখক ও গবেষক মি. মাইকেল জন শেরিফ এবং চীনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক মি. এন্ডি লিন।
এরপর আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের তৃতীয় টিম বাংলাদেশে সফর করবেন।
ওই টিমে থাকবেন মালদ্বীপ, নেপাল, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও ভুটানসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশের প্রতিনিধিরা।
আগামী ২৮ জুলাই পর্যবেক্ষকদের দলের নেতৃত্ব দেবেন আয়ারল্যান্ড থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাজনীতিবিষয়ক সিনিয়র সাংবাদিক মি. নিক পউল।
সফরকালে প্রতিনিধিরা আগামী ২৯ জুলাই সকালে নির্বাচনপূর্ব পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক পরিবেশ মূল্যায়ন শীর্ষক নাগরিক সংলাপে অংশগ্রহণ করবেন।
৩০ ও ৩১ জুলাই বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) অন্যান্য কমিশনারদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনের জন্য কমনওয়েলথের পর্যবেক্ষক চান প্রধানমন্ত্রী
এ ছাড়াও আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জাতীয় পার্টি (জাপা), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, জাকের পার্টি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, কৃষক শ্রমিক জনতালীগ, জাসদ, ইসলামী ঐক্যজোটসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের কর্মসূচি রয়েছে।
এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের আমন্ত্রণে জার্মান, নেপাল, ভারত ও ভুটানসহ চার দেশের আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের প্রথম টিম বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।
তারা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনসহ দেশের বেশকিছু রাজনৈতিক দলের নেতা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে মতবিনিময় করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহফুজুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ, ইকবাল বাহার, মনির হোসেন ও সুলতানা রাজিয়া শিলা।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সম্পৃক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর উন্মুক্ততার প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের মূল চালিকাশক্তি অভিন্ন নীতি: পিটার হাস
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশিদের গল্প তাৎপর্য বহন করে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের গণতন্ত্রের শক্তি আমাদের জনগণ এবং আমাদের জনগণের শক্তির মধ্যে দিয়ে আমাদের গণতন্ত্রের পূর্ণমাত্রা প্রকাশ পায়।’
রবিবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস (৪ জুলাই) উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হাস বলেন, তারা আমেরিকাকে সংজ্ঞায়িত করা নীতিগুলো বিশ্বাস করেন এবং এগুলো আমেরিকার সীমানা ছাড়িয়েও বিস্তৃত।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এটাও বিশ্বাস করি যে এই মূল্যবোধ বর্তমানে ও ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের সঙ্গে জড়িত।’
গত ৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র ২৪৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন হচ্ছে দেশাত্মবোধক বক্তৃতা, বাড়ির উঠোনে বারবিকিউ পার্টি, সামরিক কুচকাওয়াজ ও আতশবাজি এবং 'স্টার-স্প্যাংলেড ব্যানার' থেকে শুরু করে 'বর্ন ইন দ্য ইউএসএ', 'ব্যাড টু দ্য বোন' পর্যন্ত গানের পরিবেশনা।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির প্রকোপ কমলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ আরও বাড়বে: পিটার হাস
সংক্ষেপে বললে, তারা যে নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত, তাই উদযাপন করে থাকে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা এমনটাই করতে মজা পাই। আর আজ রাতে আমরা তাই করতে এসেছি।’
হাস বলেন, ‘আমরা এই সত্যগুলোকেই স্বতঃসিদ্ধ মনে করি। আর সেগুলো হলো- সব মানুষকে সমানভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে; সৃষ্টিকর্তা তাদের কিছু অবিচ্ছেদ্য অধিকার দিয়েছেন, যেগুলোর মধ্যে জীবন, স্বাধীনতা ও সুখের সন্ধান রয়েছে। এই অধিকারগুলো সুরক্ষিত করতে নাগরিকদের সম্মতি নিয়ে তাদের ন্যায্য ক্ষমতা অর্জন করে সরকার গঠন করা হয় এবং সাধারণত তা পুরুষদের নিয়েই গঠিত হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০২৩ সালে এসেও আমি লক্ষ্য করছি যে সমতা ও গণতন্ত্রের এই নীতি কেবল পুরুষদের জন্য প্রযোজ্য নয়। বরং নারী এবং জাতি, বর্ণ বা ধর্ম নির্বিশেষে সব আমেরিকানদের জন্য প্রযোজ্য।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের আদর্শ একই; যা স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামকে অনুপ্রাণিত করেছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘১৭৭৬ সালের প্রায় দুইশ’ পরে, বাংলাদেশ চারটি অনুরূপ নীতির উপর ভিত্তি করেই মুক্তিযুদ্ধ করেছিল, সেগুলো হলো- জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। এই অভিন্ন নীতি ও 'নিখুঁত ইউনিয়ন গঠনে'র সক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের মূল চালিকাশক্তি হয়েছে এবং তা ভবিষ্যতেও থাকবে।’
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড উল্লেখযোগ্য কমেছে: পিটার হাস
এই উপলক্ষে বিশেষ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়, যা জর্জ থরোগুডের ভ্রমণের চেতনাকে প্রতিফলিত করে বাংলাদেশি ধাঁচে উপস্থাপন করেছে। এই প্রদর্শনীতে মূলত যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের অনেকগুলোতে বাড়ি তৈরি করা বাংলাদেশিদের ছাপ পাওয়া যাবে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এই ছবিগুলো আমাদের সীমানার মধ্যে বিকশিত বৈচিত্র্যের প্রমাণ, যেখানে বাংলাদেশিসহ সর্বস্তরের মানুষ এমন এক জায়গা পেয়েছে যাকে নিজের ঘর বলা যায়।’
তিনি বলেন, ‘প্রদর্শনীটির মাধ্যমে আমরা আমেরিকান স্বপ্নকে আলিঙ্গন করা বাংলাদেশিদের অসাধারণ গল্প জানতে পারব, যারা তাদের দক্ষতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নিয়ে আমাদের সমাজের প্রাণবন্ত গাঁথুনিতে অবদান রেখেছেন।’
হাস বলেন, ‘সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রে তাদের উপস্থিতি আমেরিকানদের শক্তি ও স্থিতিস্থাপকতার উদাহরণ এবং স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার ও সমতার ক্ষেত্রে আমাদের অভিন্ন মূল্যবোধের মূলে একটি শক্তি।’
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়নে ‘বিশ্বস্ত অংশীদার’ থাকবে যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জাপা চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক রবিবার (২৩ জুলাই) জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
এসময় তারা বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেন।
যুক্তরাজ্য জানায়, তারা বাংলাদেশে ‘বিশ্বাসযোগ্য, অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক’ নির্বাচনকে উৎসাহিত করে।
আরও পড়ুন: দেশের স্বার্থে আমরা সব ত্যাগ করতে প্রস্তুত: জিএম কাদের
বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
বর্তমান পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের