রংপুর
পাওনা টাকার জন্য নির্যাতনে আহত যুবকের মৃত্যু, নবনির্বাচিত ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার ২
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে পাওনা টাকার জন্য তিনদিন ধরে শারীরিক নির্যাতনে আহত আনোয়ারুল ইসলামের (৩০) মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই যুবক মারা যান। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নবনির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও তার ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার (০৬ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হকের বাড়ির পাশে ঝুঁপড়ি ঘর থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত আনোয়ারুল ইসলাম আদিতমারী উপজেলার মদনপুর গ্রামে মজিবরের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ধলাই নদীতে বালু উত্তোলন নিয়ে সংঘর্ষ : আহত যুবকের মৃত্যু
গ্রেপ্তরা হলেন- জেলার কালীগঞ্জ ইউনিয়নের চলবলা ইউপির ৯নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত সদস্য মোজাম্মেল হক (৪৬), তার ছোট ভাই মোশারফ হোসেন ভুট্টু (৩০)। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে অভিযুক্তের ছেলে সুজনও (২৪) জড়িত রয়েছেন বলে জানা গেছে।
কালীগঞ্জ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রসূল জানান, আনোয়ারুল ইসলামের কাছে টাকা পাওনা ছিল কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউপির ৯নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত সদস্য মোজাম্মেল হকের। পাওনা টাকা চাইতে আনোয়ারুলের বাড়িতে যান ইউপি সদস্য, তার ভাই ও ছেলে। টাকা না পেয়ে তারা আনোয়ারুলকে ধরে নিয়ে আসে। তিন দিন আটকে রাখে।
এ সময় তাকে উদ্ধার করতে প্রতিবেশী কুদ্দুসের ছেলে রোকনুজ্জামান এগিয়ে গেলে তাকেও আটকে রাখে তারা। আনোয়ারুল চিৎকার-চেঁচামেচি করলে এক পর্যায়ে ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক তার বৃদ্ধাঙ্গুল কেটে দেন।
পরের দিন আনোয়ারুল আত্মীয়-স্বজনরা আটকে রাখার খবর পেয়ে ইউপি সদস্যের বাড়িতে গেলে তাদের ধাওয়া করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরে উপায় না পেয়ে তারা ৯৯৯ ফোন করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আহত যুবকের মৃত্যু
খবর পেয়ে পুলিশ আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ওই দিন সন্ধ্যায় পাঁচজনকে আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
ওসি জানান, এ ঘটনায় প্রধান আসামি ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক ও তার ভাই মোশারফ হোসেন ভুট্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
হেডফোন লাগিয়ে গেম খেলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় কিশোরের মৃত্যু
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার দিনোবাজার এলাকায় হেডফোন লাগিয়ে গেম খেলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. রাসেল (১৫) রাজারহাট উপজেলার মো. মজিদ মিয়ার ছেলে।
রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু সরকার বলেন, রাসেল হেডফোন লাগিয়ে রেল লাইনে বসে গেম খেলছিল। এমতাবস্থায় ঢাকাগামী ‘রংপুর এক্সপ্রেস’ শাটল ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ১
১৫ জানুয়ারি থেকে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলবে
মুক্তিপণ না পেয়ে শিশুকে হত্যা, দুই আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ড
রংপুরের পীরগাছায় মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে রিয়া আক্তার (৭) নামে এক শিশুকে হত্যার দায়ে দুই আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) বেলা একটার দিকে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে -২ এর বিচারক মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পীরগাছা উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের পরান গ্রামের আবুল কালামের ছেলে রাসেল মিয়া (১৯) এবং ওই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে সালাউদ্দিন তালুদ (২০)। এরমধ্যে রাসেল আদালতে উপস্থিত থাকলেও সালাউদ্দিন পলাতক।
এছাড়া এ মামলায় চার আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, পরান গ্রামের আব্দুর রহিমের শিশু কন্যা স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। ঘটনার দিন ২০১৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিকেলে বাড়ির সামনে রাস্তায় প্রতিবেশী শিশুদের সঙ্গে খেলছিল। এ সময় সেখান থেকে তাকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হয়। এরপর
রিয়ার বাবার কাছে মুঠোফোনে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা!
এদিকে মেয়েকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন রিয়ার বাবা আব্দুর রহিম। পরবর্তীতে ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন রিয়ার বাবা।
মামলার সূত্র ধরে ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি রাসেলকে গ্রেপ্তারসহ তার কাছ থেকে একটি মুঠোফোন উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে রাসেলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তারসহ মুক্তিপণ চাওয়ার জন্য ব্যবহৃত মুঠোফোন ও জুসের বোতল উদ্ধার করা হয় এবং জনৈক রাসেল তালুকদারের বাড়ি সংলগ্ন আব্দুল হক মিস্ত্রীর টয়লেট থেকে রিয়ার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সালাউদ্দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, অর্থের লোভে রিয়াকে অপহরণ করে জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। এরপর শ্বাসরোধে হত্যার করে তার লাশ টয়লেটে গুম করা হয়।
তবে মামলার এজাহারে রাসেল মিয়া ও সালাউদ্দিনের নাম না থাকায় তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২২ জুন ওই দুজনসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাইদুর রহমান।
সাত বছরের বেশি সময় ধরে মামলার বিচারকাজ চলাকালে ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার এর রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
রায়ে এজাহারনামীয় আসামিদের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাদের অব্যাহতি দিয়ে মিথ্যা মামলা দায়েরের জন্য বাদীকে ভর্ৎসনা করেন বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল -২ এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও বাদীর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে খালাসপ্রাপ্তদের বিষয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানান।
আরও পড়ুন: রংপুরে মেয়েকে জবাই করে হত্যা, মায়ের স্বীকারোক্তি
পঞ্চগড়ে ভ্যান-মোটর সাইকেল সংঘর্ষে শিক্ষকের মৃত্যু
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ব্যাটারি চালিত ভ্যান ও মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এরশাদ হোসেন জুলফিকার (৪৮) নামে এক স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহতাবস্থায় রংপুর নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের আজিজনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এরশাদ হোসেনের বাড়ি তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের আজিজনগর এলাকায়। তিনি ওই এলাকার মৃত ইয়াসিন আলীর ছেলে এবং বুড়াবুড়ি মন্ডলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এছাড়া তিনি জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ক্লাব স্কাউটসের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ করিম সিদ্দীকি জানান, সকালে তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে স্কুলের কাজে বাসা থেকে বের হয়ে তেতুঁলিয়া যাচ্ছিলেন। পঞ্চগড়-তেঁতুলিয়া মহাসড়কের আজিজনগর এলাকায় আসলে তেতুঁলিয়া থেকে আসা একটি ব্যাটারি চালিত ভ্যানের সঙ্গে তার মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে তিনি সড়কের ওপর ছিটকে পড়েন। স্থানীয়রা গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে তাকে প্রথমে তেতুঁলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত
তেতুঁলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ছায়েম মিয়া সড়ক দুর্ঘটনায় প্রধান শিক্ষক এরশাদ আলী জুলফিকারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দিনাজপুরে নারীর ঘুষিতে বৃদ্ধের মৃত্যু
দিনাজপুরের খানসামায় প্রতিবেশী এক নারীর ঘুষিতে মকবুল হোসেন (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। রবিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সুশুলি গ্রামের ওই ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় ওই এলাকার আনিসুরের স্ত্রী পারুল বেগম নামে এক নারীকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মাদকাসক্ত ছেলের দায়ের কোপে বৃদ্ধের মৃত্যু
খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ কামাল হোসেন জানান, বাড়ির সীমানার কাছে এলাকায় খাল খননকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে মকবুল হোসেনকে ঘুষি মারেন প্রতিপক্ষ। এতে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে বিকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু
ওসি জানান, এই ঘটনায় পারুল বেগমকে তাৎক্ষণিক আটক করা হয়েছে। মৃতের স্বজনরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
লালমনিরহাটে হেফাজতে মৃত্যু: পুলিশের তদন্ত কমিটি
লালমনিরহাটে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে আটকের কয়েক ঘণ্টা পর থানায় পুলিশ হেফাজতে হিমাংশু রায়ের মৃত্যুর ঘটনায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শনিবার রাতে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
লালমনিরহাট পুলিশের এ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফা জামানকে প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম ও কোর্ট ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর আলম।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর মৃত্যুতে আটক, পুলিশ হেফাজতে স্বামীর মৃত্যু
তিনি জানান, ওই কমিটি তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক হিমাংশু রায়ের আত্মহত্যার কারণ জানতে ও ওই ঘটনায় পুলিশের দায়িত্ব পালনে কোনো অবহেলা ছিল কি না তা দেখতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু: ৩ সদস্যের যাবজ্জীবন
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সকালে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে আটকের কয়েক ঘণ্টা পর লালমনিরহাট জেলায় ৩৪ বছর বয়সী হিমাংশু রায় পুলিশ হেফাজতে মারা যান। তবে পুলিশের দাবি, বিশ্বেশ্বর রায়ের ছেলে হিমাংশু চন্দ্র থানার ভেতরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
কুড়িগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় যুবক গ্রেপ্তার, দেশীয় অস্ত্র জব্দ
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের সময় এক ভারতীয় যুবককে আটক করে পুলিশ সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের সীমান্তঘেঁষা গংগাহাট আজোয়াটারি এলাকা থেকে সোমবার রাত ১০টার দিকে এ সময় তার কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার আনারুল শেখ (২১) ভারতীয় কোচবিহার জেলার সাহেবগঞ্জ থানার সেউটি-২ গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিলেট সীমান্তে ভারতীয় নাগরিকের গুলিতে বাংলাদেশি আহত
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবির অধীন কাশিপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আশরাফ আলী জানান, রাতে আনারুল অস্ত্রসহ বাংলাদেশে প্রবেশ করে সন্দেহজনক ঘোরাঘুরি করলে বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসে। তারা চোর সন্দেহে ওই যুবককে ধরতে গেলে তার হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্থানীয় হরেকৃষ্ণ চন্দ্র রায়সহ কয়েকজনকে আঘাত করে। আহত হরেকৃষ্ণ চন্দ্র রায়কে রাতেই ফুলবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই ঘটনায় বিজিবি বাদী হয়ে ওই ভারতীয় যুবকের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ফুলবাড়ীয়া থানায় মামলা করে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে ভারতীয় নাগরিক আটক
এ প্রসঙ্গে ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব কুমার রায় জানান, রাতে ওই এলাকার স্থানীয় লোকজন এক ভারতীয় নাগরিককে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।পরে মঙ্গলবার সকালে বিজিবি বাদী হয়ে ভারতীয় যুবকের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করার অপরাধে ৩২৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করলে আসামিকে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে পাঠানো হয়।
অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত রিপন, চিকিৎসার জন্য সহায়তা চায় পরিবার
গ্রামের লোকজন তাকে বৃক্ষশিশু নামে ডাকে। হাত পায়ের তালুর ঘাগুলো গোলাকার ও লম্বাকৃতির। নখগুলো বড় হয়ে সামনের দিকে কুঁকড়ে গেছে। মাথাতে কালো শুকনো ঘা। ঠোঁটেও ছোট ছোট ঘা। রিপনের (১৩) শরীরে অজ্ঞাত রোগ বাসা বেঁধেছে।
রিপনের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের কেউটগাঁও গ্রামে। তার বাবার নাম মহেন্দ্র দাস রাম। সে কেউটগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। জন্মের চার মাসের মাথায় অজ্ঞাত জটিল রোগে আক্রান্ত হয় সে।
আরও পড়ুন: হাত-পা বিহীন এসএসসি পরীক্ষার্থী সালাহ উদ্দিনের স্বপ্ন বড়
এর আগে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় ২০১৭ সালে চিকিৎসার জন্য রিপনকে ঢাকায় নেয়া হয়। সেখানে কয়েকটি অপারেশন ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার পর কিছুটা ভালো হলে তাকে বাড়িতে ফিরে আনা হয়। এরপর আর কোন চিকিৎসা হয়নি বলে রিপনের বাবা জানিয়েছেন।
রিপন বলে, ‘আমার হাতে-পায়ে অনেক ব্যথা। আমি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারি না। আমি সুস্থ হতে চাই। মা-বাবা আর দুই বোন ছাড়া আমার কেউ পছন্দ করে না। স্কুলে কেউ আমার কাছে আসতে চায় না। ঠিকমতো খাইতে পারি না। চামচ দিয়া ভাত খাই।’
রিপনের মা গোলাপী রানী রায় জানান, ২০০৭ সালে জন্মের চার মাসের মাথায় রিপনের মাথা, হাত ও পায়ের তালুতে ঘামাচির মতো দেখা দেয়। তবে ঘামাচিতে কোনো রস দেখা যায়নি। চার-পাঁচ মাস পর ঘামাচিগুলো বড় আকার ধারণ করে। তিন-চার মাস পর সেগুলো কালো হয়ে যায়। ধীরে ধীরে হাত-পায়ের তালুগুলো জালের মতো ফাটতে থাকে। এরপর থেকেই আস্তে আস্তে ঘাগুলো বড় হতে থাকে।
আরও পড়ুন: বাস্তবে জীবিত হলেও জাতীয় পরিচয়পত্রে তারা মৃত!
রিপনের বাবা মহেন্দ্র দাস বলেন, ‘আমি সামান্য জুতা সেলাইয়ের কাজ করি। এই সামান্য উপার্জনে পাঁচ সদস্যের পরিবার চলছে। আমার পক্ষে তার চিকিৎসা ব্যয় অসম্ভব। সহযোগিতা পেলে আমার ছেলের চিকিৎসার সুযোগ হতো।’
দৌলতপুর ইউপির চেয়ারম্যান কার্তিক চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমরা যত দূর সম্ভব সহযোগিতা করছি।’ বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষার্থীকে বলৎকারের অভিযোগে কারাগারে শিক্ষক
দিনাজপুরের ৩ নম্বর উপশহরের একটি মাদরাসায় শিশু শিক্ষার্থীকে বলৎকারের অভিযোগে করা মামলায় ওই প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
অভিযুক্ত সাফিউল ইসলাম সাফি (৩৮) নাটোরের সিংড়া উপজেলার হাপোনিয়া মাকিকজারপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। তিনি ওই মাদরাসার হেফজ শাখার শিক্ষক।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে হাইওয়ে থানায় হামলা: ৭ আসামি কারাগারে
কোতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামান জানান, ইসলামী দিনী শিক্ষা অর্জনে দিনাজপুরের ৩ নম্বর উপশহরের জামিয়া আরাবিয়া ক্কারিয়ানা হাফেজিয়া মাদরাসায় পাঁচ মাস ধরে অবস্থান করছিল পার্বতীপুর উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা বর্তমানে উত্তর শেখপুরা এলাকায় বসবাসকারী জনৈক ব্যক্তির ১২ বছর বয়সী শিশু পুত্র। ভয়ভীতি দেখিয়ে গত ২৪ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই শিশু শিক্ষার্থীকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলে অন্য শিশু শিক্ষার্থীদের সামনে বলৎকার করে হেফজ শাখার শিক্ষক সাফিউল ইসলাম সাফি।
আরও পড়ুন: বিয়ানীবাজারে নার্সের রহস্যজনক মৃত্যু: স্বামী কারাগারে
তিনি জানান, এ ঘটনায় জড়িত শিক্ষক সাফিউল ইসলাম সাফিকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনী ২০০৩ ধারায় একটি মামলা করেন শিশুটির বাবা। গত রবিবার রাতে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ে ৩টি কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার
ঠাকুরগাঁও সীমান্ত থেকে মালিকবিহীন তিনটি কষ্টিপাথরের মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৬৬ লাখ টাকা বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা থেকে রবিবার আনুমানিক রাত সোয়া ১১টার দিকে মূর্তিগুলো উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় পুকুর থেকে ফের কষ্টি পাথরের বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার
ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি’র সহকারী পরিচালক মো. রাজ মামুদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার রাতে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা থেকে মালিকবিহীন প্রায় ৩৬ কেজি ওজনের একটি কষ্টি পাথরের মূর্তি ও ১২০ গ্রাম কাশাপাত্র উদ্ধার করেছে বিজিবি টহল দল। এছাড়া বিজিবি’র অন্য একটি টহল দল সদর উপজেলার আখানগর থেকে মালিকবিহীন প্রায় ৩১ কেজি ওজনের দুইটি কষ্টিপাথরের মূর্তি উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: মাটির ঢিবিতে ফের মিলল কষ্টি পাথরের যুগল মূর্তি
বিজিবি জানায়, সম্ভবত টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারীরা মূর্তি ফেলে পালিয়ে গেছে। কাউকে আটক বা শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।