আওয়ামী-লীগ
বিএনপির ধ্বংসাত্মক অপরাজনীতির কারণেই নতুন মার্কিন ভিসা নীতি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির নেতিবাচক ধ্বংসাত্মক, মানুষ পোড়ানোর অপরাজনীতি, নির্বাচন প্রতিহত করা-বয়কট করার অপরাজনীতির কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে।
তিনি বলেন, নতুন মার্কিন ভিসা নীতি ঘোষণার পর বিএনপির অন্তর্জ্বালা শুরু হয়েছে, কারণ তাদের তত্বাবধায়ক সরকারের দাবি যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি নাকচ করেছে এবং অন্য কোনো দেশের সমর্থনও পায়নি।
আরও পড়ুন: ৭ মে শেখ হাসিনা দেশে না ফিরলে গণতন্ত্রও ফিরতো না: তথ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী বিএনপি মহাসচিবের ‘আওয়ামী লীগ সরকারের কারণেই নতুন মার্কিন ভিসা নীতি’ বক্তব্যের জবাবে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ফলে তাদের পক্ষে আগের মতো- নির্বাচন প্রতিহত করবো, বর্জন করবো- এগুলো বলার সুযোগ নাই। যে কারণে এখন ফখরুল সাহেব একটু হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে একেক সময় একেক কথা বলছেন। বিভিন্ন কথা বলে আত্মতুষ্টি লাভের চেষ্টা করছেন।
হাছান বলেন, সব কথার শেষ কথা হচ্ছে তাদেরকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। নির্বাচন প্রতিহত করার রাজনীতি তাদের পক্ষে আর করা সম্ভবপর নয়। তাই তাদেরকে অনুরোধ জানাবো, দেশে গণ্ডগোল করার পরিকল্পনা না করে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত তো সবসময় এক আছে। তারা কোনো সময় বিচ্ছিন্ন হয় নাই, মাঝে মধ্যে মৌনতা অবলম্বন করে।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা দেশে গণ্ডগোল করার চেষ্টা করবে। সেই গণ্ডগোল করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই তারা বিদ্যুৎকেন্দ্রের সামনে অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছে। এটি কোনো সাধারণ রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, গণ্ডগোল করার উদ্দেশ্যেই। সেই গণ্ডগোল তাদেরকে করতে দেওয়া হবে না। আমরা সতর্ক আছি, বিএনপি-জামায়াতকে কিভাবে মোকাবিলা করতে হয় দেশের জনগণ জানে।
একই সাথে ড. হাছান বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নানা কর্মসূচি ঘোষণা করবে, এটি অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে জামায়াত এবং বিএনপির সহিংসতা করার লক্ষ্যেই কর্মসূচি সাজাচ্ছে বলে আমরা মনে করি।
মন্ত্রী বলেন, তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে একটি গণ্ডগোল করে বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করা, পানি ঘোলা করা, পানি ঘোলা করে সেখান থেকে মাছ শিকার করা। সেটি করার সুযোগ তারা পাবে না।
আরও পড়ুন: তথ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
নির্বাচনকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা গুজবের উদ্ভব হচ্ছে- এ বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব বিশ্বব্যাপী একটি চ্যালেঞ্জ। আমি কয়েকদিন আগে এশিয়া মিডিয়া সামিটে গিয়েছিলাম সেখানে এই বিষয়টা গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং সামিটের ঘোষণাপত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের পেইড এজেন্ট যারা খুনের দায়ে, দুর্নীতির দায়ে পলাতক তারা বিদেশে বসে আর কিছু ব্যক্তিবিশেষ দেশ থেকে নানা গুজব ছড়ায়।
গুজব প্রতিরোধের জন্য সরকার নানা ব্যবস্থা নিয়েছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, আগামী জুলাই থেকে বিটিআরসির সক্ষমতা বাড়বে এবং আমাদের মন্ত্রণালয়েও গুজব প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, আর মূলধারার গণমাধ্যম পত্রিকা এবং টেলিভিশন করোনার মধ্যেও গুজবের বিরুদ্ধে অত্যন্ত বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে। আমি আশা করবো, ভবিষ্যতেও নির্বাচনকে সামনে রেখে হোক, যে কোনো প্রেক্ষাপটেই হোক, গুজবের বিরুদ্ধে গণমাধ্যম সবসময় বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।
৮ জুন বিএনপির বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘেরাও কর্মসূচি নিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি তো আগে বিদ্যুৎ কেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিলো, এবার যদি সেটা করে তাহলে জনগণ তাদেরকে প্রতিহত করবে, উচিৎ শিক্ষা দিবে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও প্রস্তুত আছে।
তিনি বলেন, আর তারা তো বিদ্যুৎ দিতে পারেনি। তারেক রহমানের খাম্বা ইন্টারনেশনাল কোম্পানি করে বিদ্যুতের খাম্বা বানিয়েছিলো বিদ্যুৎ না দিয়ে শুধু খাম্বা লাগিয়েছিলো। আমি আশা করবো তারা যখন বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঘেরাও করতে যাবে তারেক রহমান যে শুধু খাম্বা দিয়েছিলো সেটিও মাথায় রাখবে।’
বিদ্যুৎ সরবরাহে ছেদ নিয়ে প্রশ্নে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের সময় দেশের মাত্র ৪০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় ছিলো।
তিনি আরও বলেন, এখন শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায়। এখন মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে এটি ঠিক কিন্তু বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন ১৫ দিনের মধ্যে এটা পরিবর্তন হবে।
বিদ্যুতের এই অসুবিধা বিশ্বব্যাপী উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জার্মানিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এক সেকেন্ডের জন্যও কখনো বিদ্যুৎ যায়নি। সেখানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিদ্যুতের রেশনিং করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবাইকে এসএমএস করে বলা হয়েছে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ীভাবে ব্যবহার করার জন্য।
আরও পড়ুন: বিশ্বাঙ্গণে শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি সমর্থন অনুধাবনে ব্যর্থ হলে বিএনপি ভুল করবে: তথ্যমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে আ. লীগ বা সরকার ভয় পায় না: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও সরকার যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে ভীত নয়, কারণ তারা সবসময় সংবিধান, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে সম্মান করে।
তিনি বলেন, ‘এই ভিসা নীতি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা এর আওতায় আসার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ তারা সব সময়ই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করছে এবং নির্বাচন ঠেকানোর নামে সন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বিঘ্নিত করতে এবং সাংবিধানিক রাজনীতিতে অচলাবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা করে আসছে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের এক লিখিত বক্তব্যে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতারা ‘খুনি-স্বৈরাচারী’ জিয়াউর রহমানকে নিয়ে মিথ্যা মিথ তৈরির চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘মূলত এই জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সংবিধানকে ধ্বংস করেছেন।’
আরও পড়ুন: বিদেশে বিএনপির অভিযোগে কোনো ফল হয়নি: কাদের
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান সরকারী গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করে পাকিস্তানপন্থী বাহিনীকে ক্ষমতায়ন করেছিলেন এবং সমস্ত ‘পাকিস্তানপন্থী রাজনীতিবিদ এবং যুদ্ধাপরাধীদের’ স্থান দিয়েছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী পাকিস্তানি দর্শন চর্চা করা হয়েছিল। দিনের পর দিন আওয়ামী লীগের কার্যালয় তালা দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি কার্যত নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘খুবই পরিতাপের বিষয় যে আজ বিএনপির কিছু নেতা তাদের দেউলিয়াত্ব এতটাই প্রকাশ করেছেন যে তাদের আর রাজনৈতিক সংগঠন বলা যায় না। জনগনের ওপর আস্থা না রেখে বিএনপি নেতারা বিদেশি প্রভুদের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া।'
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের রায় নিয়ে ফখরুলের বক্তব্য আদালত অবমাননার শামিল: কাদের
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতিতে বিএনপির নির্বাচন বয়কটের চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
বিদেশে বিএনপির অভিযোগে কোনো ফল হয়নি: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দেখতে দেখতে বিএনপির আন্দোলন ১৪ বছর শেষ হয়েছে, ১৫ বছরে পা দিয়েছে এবং আমেরিকা ও ইউরোপের কাছে নালিশ করেও কোনো কাজ হয়নি।
রবিবার দুপুরে নওগাঁয় আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আব্দুল জলিলের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মিথ্যা ছড়ানোই তাদের একমাত্র অস্ত্র উল্লেখ করে কাদের বলেন, মিথ্যাচার তাদের একমাত্র সম্পদ। মিথ্যাকে পুঁজি করে তারা আজকে শেখ হাসিনার সমালোচনা করেন। তাকে ক্ষমতা থেকে হঠাতে চায়।
আরও পড়ুন: বাজেট ‘জনবান্ধব’: ওবায়দুল কাদের
জ্বালানি সংকট ও দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির জন্য বিশ্ব পরিস্থিতি দায়ী বলে উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘সারাবিশ্বে আজকে স্যাংকশন, যুদ্ধ, নতুন নতুন সংঘাত পৃথিবীকে স্থিতিহীন করে তুলেছে। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, এটা শুধু আমাদের নয়, সারাবিশ্বের সমস্যা। বড় বড় দেশগুলো যুদ্ধ করে। একে অন্যকে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এসব কারণে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে সেটার জন্য কষ্ট করতে হয় বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর সাধারণ মানুষকে। আমাদের আজকে এই কষ্টের জন্য আমরা দায়ী নয়। এই কষ্টের জন্য দায়ী আজকে বিশ্বের সংকটজনক পরিস্থিতি।’
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দিনে মাত্র তিন ঘণ্টা ঘুমান। বাকি ২১ ঘন্টা তিনি দেশের অগ্রগতিতে উৎসর্গ করেন। দেশের অর্থনীতি এবং সাধারণ মানুষের কল্যাণই তার একমাত্র লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা বিদেশে আনন্দ করার জন্য যান না। প্রমোদ ভ্রমণের জন্য নয়। তিনি নালিশ করতে যান নাই। অথচ তার সফর নিয়ে ফখরুলের মুখে বাধে না,যা ইচ্ছে তাই বলেন।
স্মরণসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, খাদ্যমন্ত্রী ও নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাধন চন্দ্র মজুমদার, নওগাঁ-২ আসনের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার, নওগাঁ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার, নওগাঁ-৫ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন জলিল, নওগাঁ-৬ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। স্মরণসভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের রায় নিয়ে ফখরুলের বক্তব্য আদালত অবমাননার শামিল: কাদের
কবে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন হবে তা প্রধানমন্ত্রীই ঠিক করবেন: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কবে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করবেন তা ঠিক করবেন।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী ওয়েস্ট মিনিস্টার স্টাইল পার্লামেন্টারি সিস্টেম অব গভর্নমেন্টে আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনা করা হয়। সেই ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী যখন মনে করেন যে তিনি একটি ছোট সরকার গঠন করতে চান বা নির্বাচনকালীন সরকার করতে চান, তখন তিনি তা করবেন। আমার মনে হয় এই ব্যাপারে কোন অস্পষ্টতা নেই।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে বলে দিয়েছেন যে নির্বাচনকালীন সরকারে কারা কারা থাকতে পারেন, সে ব্যাপারে একটি রূপরেখা তিনি দিয়েই দিয়েছেন।
রবিবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে দুর্নীতি বিষয়ক মামলার বিচারকার্যের সাথে সম্পৃক্ত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত ‘১৫০তম রিফ্রেসার কোর্সের’- উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের একজন রিপোর্টিয়ার বাংলাদেশ সফর শেষে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে যে বক্তব্য দিয়েছেন- সে প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, এই বক্তব্য জাতিসংঘ দিয়েছে বলে আমি মনে করি না। তারা এই বক্তব্য দেওয়ার আগেই ২০১৯ সালের শেষের দিক থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যখন মিসইউজ ও অ্যাবিউজ হচ্ছিল তখনই কিন্তু আমি বলেছি যে, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এই আইনের মিসইউজ ও অ্যাবিউজ বন্ধ করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংশোধনী আনা হবে: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ঠিক সেই ধারাবাহিকতায় আমি পরিস্কারভাবে বলেছি যে এই মিসইজউ ও অ্যাবিউজ বন্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু সংশোধন প্রয়োজন হবে এবং সে বিষয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করেছি। টেকনিক্যাল নোট পেয়েছি। এসব মতামত বিবেচনা করে আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশোধনী আনা হবে। এটা কারও প্রেসক্রিপশনের উপর নির্ভরশীল না। আমরা যখন মনে করেছি যে, মিসইউজ হয়েছে, আমরা স্বীকার করেছি এবং সেই মিসইউজকে সংশোধন করার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সাওয়ার ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) শেখ আশফাকুর রহমান বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: শ্রম আইন সংশোধনে জোরালোভাবে কাজ করছে সরকার: আইনমন্ত্রী
মানুষ যেন দ্রুত ন্যায়বিচার পায়: আইনমন্ত্রী
মার্কিন চাপের মুখে প্রতিবাদী সুর প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার বলেছেন, আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে ২০ ঘণ্টার বিমান ভ্রমণে কেউ যুক্তরাষ্ট্রে না গেলে তাতে কিছু যায় আসে না।
তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, ‘পৃথিবীতে অন্যান্য মহাসাগর এবং অন্যান্য মহাদেশ রয়েছে, আমরা সেই মহাদেশগুলোর সঙ্গে অন্য মহাসাগর অতিক্রম করে বন্ধুত্ব করব। আমাদের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী এবং আরও উন্নত এবং প্রাণবন্ত হবে।’
শনিবার রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিজের পায়ে চলবে, সরকার দেশ গড়বে।
তিনি বলেন, ‘আমরা অন্যদের ওপর নির্ভরশীল হবো না, যারা আমাদের ভিসা দেবে না, যারা আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে... এটা ভেবে কোন লাভ নেই।’
হাসিনা অবশ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ‘ভোট কারচুপি’ এবং ‘জনগণের ভাগ্য নিয়ে খেলেছে’ সেই বিএনপির দিকে তাকানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি উল্লেখ করেন, কানাডার হাইকোর্ট বিএনপিকে 'সন্ত্রাসী দল' ঘোষণা করেছে।
তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির জন্য তারেক জিয়াকে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা দেয়নি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণ ও সুবিধা কী তা তার দল ভালো করেই জানে।
তিনি বলেন, ‘সেটা মাথায় রেখেই আমরা সব সময় কাজ করি এবং দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় রাখি। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশটি একটি উন্নত দেশ হবে। আমরা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ গঠন করেছি।’
তিনি বলেন, দেশের মানুষের প্রতি তার আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারা জানে নৌকায় (আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক) ভোট দিলেই তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে।
তিনি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, জনগণের জন্য ত্যাগ স্বীকার করলে জনগণ আপনাদের প্রতিদান দেবে।
তিনি বলেন, ‘আপনাদেরকে সেটা মনে রাখতে হবে। বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে কোনো অপশক্তি যাতে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেজন্য সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। অশুভ শক্তির কবল থেকে দেশের মানুষকে বাঁচানো আমাদের দায়িত্ব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অগ্নিসংযোগ, গ্রেনেড হামলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বিএনপি গণতন্ত্রের বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি অনুতপ্ত হন।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে সমালোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার বাজেট বাস্তবায়নে আত্মবিশ্বাসী হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারা তাদের একই পুরানো গানগুলো পুনরাবৃত্তি করছে যা তারা সাধারণত প্রতিটি বাজেটের সময় উচ্চারণ করে।’
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছিল, দেশে একটি স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করছে এবং এর ফলে এই অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, স্থিতিশীলতা বজায় না থাকলে এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে দেশে ‘এ ধরনের উন্নয়ন’ সম্ভব হতো না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটাই বাস্তবতা, দেশের মানুষের জন্য কেউ কাজ করবে না।
আরও পড়ুন: ভিসা নীতি আমাদের জন্য লজ্জার, অসম্মানের: বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী
এর আগে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি অফিসের বিভিন্ন অংশও পরিদর্শন করেন।
প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে তেজগাঁও কার্যালয় ভবন পর্যন্ত সড়কের দুপাশে দলীয় নেতাকর্মীদের মিছিল নিয়ে তাকে স্বাগত জানাতে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আরও বক্তব্য দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এম এনামুর রহমান ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ।
আরও পড়ুন: শান্তি বিঘ্নিত করতে অশুভ শক্তি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করছে: প্রধানমন্ত্রী
বাজেট বাস্তবসম্মত ও কৃষিবান্ধব: কৃষিমন্ত্রী
এবারের বাজেটকে খুবই বাস্তবসম্মত ও কৃষিবান্ধব বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, এবারের বাজেট অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাজেট। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ, আধুনিক উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বাজেট দিয়েছি। আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে রয়েছি। উন্নত বাংলাদেশ গড়ার দিকে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছি। এ বাজেটের মাধ্যমে এই গতি আরও বেগবান ও গতিময় হবে।
তিনি বলেন, এটি উচ্চবিলাসী ও কল্পনাভিত্তিক বাজেট নয়। এই বাজেট বাস্তবসম্মত। অতীতেও আমরা যেমন সফল হয়েছি, তেমনি আগামী দিনেও এই বাজেট বাস্তবায়নে সফল হবো।
শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় রানী ভবানী স্কুল মাঠে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রীর পৃষ্ঠপোষকতায় মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের সংকট দূর হবে, পেঁয়াজ নিয়ে রাজনীতি বন্ধ হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা গত ১৪ বছর ধরেই বাজেট আসলে মুখস্থ কথা বলে আসছেন- এটা উচ্চবিলাসী বাজেট, অবাস্তব বাজেট, কল্পনাভিত্তিক বাজেট। আমরা কখনো উচ্চবিলাসী বাজেট দেই নি। আগে দেশে মোট জিডিপির আকার ছিলো চার লাখ ৮৪ হাজার কোটি টাকা, তা এখন ৪৪ লাখ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। বাজেট কল্পনাভিত্তিক হলে এটি অর্জন করা সম্ভব হতো না। এ বাজেটের মাধ্যমে জিডিপির আকার আরও বৃদ্ধি পাবে।
বাজেটটি সত্যিকার অর্থে গরীববান্ধব, কৃষিবান্ধব ও পল্লীবান্ধব উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই বছরের বাজেটে কৃষিকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি। ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি, নতুন জাত উদ্ভাবন, ভর্তুকি মূল্যে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি প্রদান, ভর্তুকি অব্যাহত রাখায় গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। গ্রামীণ ও পল্লী বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করার জন্য এই বাজেটকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক বলেছেন, আওয়ামী লীগ মোটেই বিচলিত নয়। কোনো স্যাংশনই আমাদের উন্নয়ন ব্যাহত করতে পারবে না। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ব্যাহত করতে পারবে না। যত ধরনের স্যাংশনই দেক, তা মোকাবিলা করার মতো যোগ্যতা বাংলাদেশের আছে।
বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা আয়োজন প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী এবং উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিচ্ছেন। গ্রামের গরীব মানুষেরাও এখন উন্নত চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন।
ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকার ৬০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ প্রায় ১০০ জনের মেডিকেল টিম সকাল ০৯ টা থেকে সারাদিন চিকিৎসাসেবা দিয়েছে।
মধুপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে পৌর মেয়র সিদ্দিক খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফি উদ্দিন মনি, সাবেক পৌর মেয়র মাসুদ পারভেজ প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে ২-৩ দিনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
হাওরে ৯০ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
বাজেট গরিববান্ধব গণমুখী, সমালোচনা গৎবাঁধা: তথ্যমন্ত্রী
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য বৃহস্পতিবার প্রস্তাবিত বাজেটকে গণমুখী ও গরিববান্ধব বলে অভিহিত করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
একইসঙ্গে তিনি বলেন, বাজেটের সমালোচকদের সমালোচনা বরাবরের মতোই গৎবাঁধা ও গতানুগতিক। অনেকে বাজেট ভালোভাবে না দেখেই তাড়াহুড়া করে সমালোচনায় ব্যস্ত।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
ড. হাছান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৫তম বাজেট এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০তম এই বাজেট ২০০৮-৯ সালের তুলনায় প্রায় নয়গুণ বড় এবং পিপিপিতে (পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি) ২০০৯ সালের একশ বিলিয়ন ডলার জিডিপির তুলনায় এখনকার জিডিপি এক ট্রিলিয়ন প্লাস ডলার, অর্থাৎ প্রায় দশগুণ বড়, যা নিঃসন্দেহে দেশের অগ্রগতি সমৃদ্ধির পরিচায়ক।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বময় মন্দা, ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলার সংকটের কারণে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে শৈথিল্য আসায় বাজেট প্রণয়ন বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো তারপরও এবারের বাজেট গত বছরের তুলনায় প্রায় ১ লক্ষ হাজার কোটি টাকা বেশি।
প্রস্তাবিত এ বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে মোট বাজেটের ১৬ দশমিক ১৮ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আরও মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ে আনার এবং এ খাতে বিভিন্ন ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই বাজেটের সবচেয়ে বড় উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে, এই অর্থ বছরেই প্রথম সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে, যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত। কোনো রাজনৈতিক দল এ ধরণের সার্বজনীন পেনশন চালুর প্রস্তাব দেয়নি। আপনারা বিএনপির দাবি-দাওয়া জানেন। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য, তার ও তারেক জিয়ার শাস্তি-মুক্তির বাইরে জনমানুষ নিয়ে তাদের কোনো দাবি থাকে না।’
আরও পড়ুন: অনলাইন নিউজ পোর্টাল পরিচালনায় শৃঙ্খলা আনার পরিকল্পনা করছে সরকার: তথ্যমন্ত্রী
১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সের যে কেউ দশ বছরের জন্যে চাঁদা দিয়ে পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আসতে পারবে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পঞ্চাশের বেশি বয়স হলেও দশ বছর চাঁদা দিয়ে পেনশনের সুযোগও রয়েছে।
বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাত দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বনিম্ন
আয়কর নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, 'বাংলাদেশের কর ও জিডিপি'র অনুপাত দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বনিম্ন। গত ১৪ বছরে দেশের জিডিপি প্রায় দশগুণ, বাজেট প্রায় ৯ গুণ বৃদ্ধি পেলেও আয়কর দেওয়ার হার বেড়েছে মাত্র ৩ গুণ। ২০০৯ সালে ১১ লক্ষ মানুষ আয়কর দিতো, গত বছর ২৯ লক্ষ মানুষ আয়কর দিয়েছে। অথচ দেশে অন্তত ২ কোটি মানুষ আয়কর দিতে সক্ষম। কিন্তু মানুষ কর দেয় না। তাই করের আওতা বাড়ানো অযৌক্তিক নয়।'
বাজেট বৈদেশিক সাহায্যনির্ভর নয়
'আইএমএফের প্রেসক্রিপশনে এ বাজেট লুটপাটের'- বিএনপির এমন সমালোচনা খন্ডন করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি'র অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান আইএমএফের প্রেসক্রিপশনে বাজেট দিতে প্রতিবার বাজেটের আগে প্যারিস কনসোর্টিয়ামে ছুটে যেতেন সাহায্যের জন্যে। বর্তমানে বাংলাদেশের বাজেট কোনভাবেই বিদেশি সাহায্যনির্ভর নয়। এ বাজেটে ১ লাখ কোটি টাকার কিছু বেশি বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হবে। বিএনপি লুটপাটে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, তারা পরপর পাঁচবার দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিল। তাদের মুখে লুটপাটের অভিযোগ শুনলে হাসি পায়।'
পাণ্ডিত্য ফলাতে গিয়েই সিপিডির সমালোচনা
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বাজেটকে বাস্তববিবর্জিত বলেছে, এ নিয়ে প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, 'গত ১৪ বছরে সিপিডি বাজেটের প্রশংসা করতে পারেনি। এবছর তো বাজেট প্রস্তাব অধিবেশন চলমান থাকা অবস্থায়ই তারা বলেছে, এই বাজেট উচ্চাভিলাষী, বাজেট বাস্তবায়ন হবে না।'
তারা বলেছে, ‘অথচ বাংলাদেশের বাজেট বাস্তবায়নের গড় হার ৯৭ শতাংশ। ডলারের মূল্য না বাড়লে আমাদের মাথাপিছু আয় তিন হাজার ডলার ছাড়িয়ে যেতো। এ সময় দেশের জিডিপি বেড়েছে, দারিদ্র্য ৪১ শতাংশ থেকে কমে ১৮ শতাংশে নেমে এসেছে। এগুলো তাদের চোখে পড়ে না। আসলে সিপিডিকে তাদের পাণ্ডিত্য দেখাতে হয় এবং ভুল ধরাটাই তাদের পেশা। এভাবেই তারা নানা জায়গা থেকে ফান্ড পায়। এ কারণেই তারা প্রশংসা করতে পারে না।'
ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের চলতি বাজেট নিয়ে সমালোচনার প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থাকবে, ইতিবাচক সমালোচনাকে আমরা সবসময় স্বাগত জানাই।
আরও পড়ুন: সরকারের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ ও মানবিক রাষ্ট্র: তথ্যমন্ত্রী
মার্কিন ভিসা নীতি বিএনপির ওপরই বড় চাপ তৈরি করেছে: তথ্যমন্ত্রী
অনলাইন নিউজ পোর্টাল পরিচালনায় শৃঙ্খলা আনার পরিকল্পনা করছে সরকার: তথ্যমন্ত্রী
কিশোরগঞ্জ থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল পরিচালনায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
বুধবার (৩১ মে) সংসদে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: স্বাধীন ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মিথ্যা ও বানোয়াট খবর ছড়িয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী ২৩৯টি অনলাইন নিউজ পোর্টালের ডোমেইন বরাদ্দ বাতিল করতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মাধ্যমে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ছাড়া কোনো অনলাইন পত্রিকা বা পোর্টালে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচারের অভিযোগ থাকলে তা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সরকারের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ ও মানবিক রাষ্ট্র: তথ্যমন্ত্রী
মার্কিন ভিসা নীতি বিএনপির ওপরই বড় চাপ তৈরি করেছে: তথ্যমন্ত্রী
হাইকোর্টের রায় নিয়ে ফখরুলের বক্তব্য আদালত অবমাননার শামিল: কাদের
দুই বিএনপি নেতার কারাদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের রায়ের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করে এটিকে আদালত অবমাননার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, দায়িত্বহীন বক্তব্য দেশের মানুষকে হতাশ করেছে। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে ‘নির্দেশিত রায়’ বলে অভিহিত করে তার বক্তব্য আদালত অবমাননার সমতুল্য।
আরও পড়ুন: সরকার আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে চায়: কাদের
বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি এ কখা বলেন।
সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, এই শাস্তি বিএনপির দুই নেতার ক্রমাগত দুষ্ট রাজনীতির ফল। বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কারণ তারা (বিএনপি-জামায়াত নেতারা) হাওয়া ভবন খুলে দুর্নীতি ও লুণ্ঠনে জড়িত ছিল।
বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে রায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের কোনো যোগসূত্র নেই দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে এবং নিম্ন আদালত অভিযোগ হিসেবে রায় দেয়।
তিনি আরও বলেন, অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার পৃথক দুর্নীতির মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও বিএনপি নেতা আমানুল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের কারাদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট।
আদালত টুকুর ৯ বছরের কারাদণ্ড, আমানের ১৩ বছরের কারাদণ্ড ও তার স্ত্রীর তিন বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন।
২০০৭ সালের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালত আমানকে তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের বাইরে অবৈধ সম্পদ অর্জনের জন্য ১৩ বছরের কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রীকে তিন বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতিতে বিএনপির নির্বাচন বয়কটের চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
আ.লীগকে বিদেশিদের কাছে আগ্রাসী হিসেবে তুলে ধরতে চায় বিএনপি: কাদের
সরকারের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ ও মানবিক রাষ্ট্র: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ' ও মানবিক রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং এ- টেকনোলজি অনুষদের ডিন এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু গ্রন্থিত ‘স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
৩৯২ পৃষ্ঠার এ বইটির ২৩টি অধ্যায়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার বিভিন্ন দিক বিধৃত হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বাধীন ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য: তথ্যমন্ত্রী
এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রথম তিনটি শিল্প বিপ্লব থেকে আমরা বহু বছর পিছিয়ে ছিলাম, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ধারণা থেকে আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লব অর্থাৎ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, রবোটিক্স, আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স এগুলোর সঙ্গে অত্যন্ত ঠিক সময়ে বাংলাদেশকে সম্পৃক্ত করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, ঠিক এ জন্যই আমরা ২০০৮ সালে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শ্লোগান দিয়েছিলাম, মানুষের সামনে উপস্থাপন করেছিলাম।
ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সুবিধার উদাহরণ তুলে ধরে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালে করোনা মহামারি দেখা দেওয়ার পর যখন সমগ্র পৃথিবীর জনজীবন থমকে গিয়েছিলো, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে গিয়েছিলো, তখন বাংলাদেশ থমকে যায়নি, সরকার পরিচালনা থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের পাঠদানসহ সবকিছু চালু ছিল।
তিনি বলেন, সেই কারণে ২০২০-২১ অর্থবছরে বিশ্বের ধনাত্মক জিডিপি অর্জনকারী মাত্র ২০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ তৃতীয়। সেই অর্থবছরেই আমরা মাথাপিছু আয়ে ভারতকে ছাড়িয়েছি।
তিনি বলেন, নিক্কি ইনস্টিটিউট এবং ব্লুমবার্গের যৌথ জরিপে করোনা মহামারি মোকাবিলার ক্ষেত্রেও বিশ্বে আমরা পঞ্চম, উপমহাদেশে প্রথম। ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা এবং প্রত্যন্ত জনপদের মানুষের কাছেও ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছার ফলেই এগুলো সম্ভবপর হয়েছে।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা নীতি বিএনপির ওপরই বড় চাপ তৈরি করেছে: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ এ সময় গ্রন্থকারকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, সরকার পরিচালনায় ডিজিটাল প্রযুক্তি সর্বোতভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই প্রেক্ষাপটে আমরা আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে যে নতুন ধারণা মানুষের সামনে উপস্থাপন করতে চাই সেটি হচ্ছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’।
মন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট ব্যবসা দরকার। সেই চারটি মূল প্রতিপাদ্য বিষয়ের ওপর গ্রন্থটির রচয়িতা অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবুকে ধন্যবাদ জানাই।
একই সঙ্গে মন্ত্রী তার বক্তৃতায় নিজেকে একজন নাগরিক হিসেবে তুলে ধরে বলেন, বিশ্বায়নের এই যুগে মানুষ নিজের জন্য, খ্যাতির জন্য, বিত্তের জন্য ছুটছে, কোনো ফুরসত নাই।
তিনি বলেন, এতে করে মানুষের মানবিকতা, মনুষ্যত্ব, মমত্ববোধ যেন হারিয়ে না যায়, সে দিকেও নজর রাখতে হবে। মানুষের গুণ হারিয়ে যাচ্ছে। দেশ, সমাজ রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের পারিবারিক, সামাজিক মূল্যবোধগুলো যেন টিকে থাকে এবং আরো সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়ায় সে বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।
গ্রন্থকার ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবুর সভাপতিত্বে একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাকসুদ কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: হত্যা-খুনের রাজনীতি থেকে বিএনপি বেরিয়ে আসতে পারেনি: তথ্যমন্ত্রী