আওয়ামী-লীগ
প্রতিহিংসার রাজনীতির হোতাই হচ্ছে বিএনপি: কাদের
আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না দাবি করে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রতিহিংসার রাজনীতির হোতা হচ্ছে বিএনপি। জিয়াউর রহমানই প্রতিহিংসার রাজনীতি সূচনা করেছিল।
শুক্রবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেবিআই) মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে ভয় দেখিয়ে কোনও লাভ নেই... যদিও বিএনপির মুখে রক্ষণাত্মক হলেও অন্তরে রয়েছে আক্রমণাত্মক শোডাউন।’
তিনি আরও বলেন, ‘মনে হচ্ছে যেন তারা ক্ষমতায় এসে গেছে, হাওয়া ভবন ফিরে পেলো, ঢাকার রাজপথে বিজয় মিছিল করবে।’
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা অতীতে একাধিকবার আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার হুমকি দিলেও সব ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখাবে জনগণ: ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) দিনের বেলায় রাতের অন্ধকার দেখে,তাই তারা সরকারের কোনও উন্নয়ন দেখতে পায় না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন যে বাংলাদেশ কখনও অনিশ্চয়তার দিকে যাবে না, বিএনপি যেভাবে অনিশ্চয়তার দিকে চলছে তাতে বিএনপিই অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের আহ্বায়ক শিরীন আহমেদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এবং বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি হারুনুর রশীদ।
আরও পড়ুন: আ.লীগ গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে লড়াই করছে: কাদের
সুনামগঞ্জে আ.লীগের সম্মেলনের সঙ্গে কারও মৃত্যুর কোনো সম্পর্ক নেই: কাদের
সুনামগঞ্জে আ.লীগের সম্মেলনের সঙ্গে কারও মৃত্যুর কোনো সম্পর্ক নেই: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার বলেছেন, আরমান নামের ওই ব্যক্তির মৃত্যুর সঙ্গে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় আয়োজিত দলীয় সম্মেলনের কোনো সম্পর্ক নেই।
কাদের বলেন, ‘তিনি (আরমান) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, এতে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের কোনো সম্পর্ক নেই। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ করতে গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’
মঙ্গলবার ঢাকায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের সদর দপ্তরে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা পরিষদের ২৯তম সভায় যোগদানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখাবে জনগণ: ওবায়দুল কাদের
সোমবার সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলায় আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন চলাকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আজমল হোসেন চৌধুরী ওরফে আরমান নামে ২৭ বছর বয়সী এক যুবক নিহত ও ৪০ জন আহত হয়েছেন।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম জানান, সম্মেলনকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছিল এবং সোমবার অনুষ্ঠান চলাকালে সম্মেলনের মঞ্চে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল তর্কাতর্কি হয়। ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
আহত অবস্থায় আরমানকে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হলে বিকালে তার মৃত্যু হয় বলে ওসি জানান।
আরও পড়ুন: আ.লীগ গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে লড়াই করছে: কাদের
শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
বিএনপির বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখাবে জনগণ: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপির নেতাদের ইঙ্গিত করে বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে খেলা হবে আন্দোলনে ও নির্বাচনে, তাদের বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখাবে জনগণ।
তিনি বলেন, এখনই শুরু হয়ে গেছে মনোনয়ন বাণিজ্য। কাকে কাকে মনোনয়ন দিবে। মনোনয়নের কথা বলে বস্তায় বস্তায় টাকা নিচ্ছেন। তারেক জিয়া বস্তায় বস্তায় টাকা সুইস ব্যাংকে পাঠিয়েছেন। তাদের এই বাণিজ্যের বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখাবে জনগণ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু করবে সরকার: সেতুমন্ত্রী
দীর্ঘ আট বছর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শনিবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছেন। এই জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রক্ষা করতে আইন সংশোধন করেছিল।
এছাড়া ১৫ আগস্টের মাস্টার মাইন্ড হলো জিয়াউর রহমান, আর ২১ আগস্টের মাস্টার মাইন্ড হলো তারেক রহমান।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
তিনি বলেন, জিয়া মোশতাক ফারুক রশিদ বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত। তারা ছিল পাকিস্তানের এজেন্ট। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে পাকিস্থান বানাতে চেয়েছিল কিন্তু এদেশের জনগণ তা হতে দেয়নি।
তিনি বলেন, ২১ আগস্ট হামলার নায়ক ছিল তারেক রহমান। তারেক বাংলাদেশে আসতে চায়। আমরাও চাই আসুক। তাকে ৩৭ বছর সাজা খাটার ব্যবস্থা করব। তারেক রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে পালিয়েছে।
এছাড়া বিএনপি খুনী ও সন্ত্রাসের দল। তাদেরকে বিশ্বাস করবেন না।
আরও পড়ুন: কালনা সেতুর নাম এখন মধুমতি সেতু: সেতুমন্ত্রী
সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি'র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ত্রাণ ও পূর্নবাসন সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মেরিনা জাহান এমপি, এ্যারোমা দত্ত এমপি প্রমুখ।
এছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের এমপি ক্যাপ্টেন (অবসর) তাজুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের এমপি ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের এমপি এবাদুল করিম বুলবুল।
সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার।
সম্মেলন শেষে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে পুনরায় র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও সেক্রেটারি হিসেবে পুনরায় আল মামুন সরকারের নাম ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
আরও পড়ুন: রাজধানীর যানজট নিরসনে সাবওয়ে নির্মাণের বিকল্প নেই: সেতুমন্ত্রী
আ.লীগের জাতীয় কাউন্সিলের অর্থ উপ-কমিটির সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত অর্থ উপ-কমিটির আহ্বানে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সভায় অনুষ্ঠিত হয়।
অর্থ উপ-কমিটির আহ্বায়ক কাজী জাফর উল্লাহর সভাপতিত্বে সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন- দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. মশিউর রহমান, কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, লে.কর্নেল (অব) মোহাম্মদ ফারুক খান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শ্রী সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য এবি এম রিয়াজুল কবির কাওছার, আনিসুর রহমান, সাহাবুদ্দিন ফরাজী।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এবং অর্থ উপ-কমিটির সদস্য জাফরুল শাহরিয়ার জুয়েল প্রমুখ।
অর্থ উপ-কমিটির সদস্য সচিব এসএম আশিকুর রহমান সমন্বয় সভায়টি সঞ্চালনা করেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভা শুক্রবার
চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে আ.লীগের দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি
আ.লীগ গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে লড়াই করছে: কাদের
আ.লীগ গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে লড়াই করছে: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তার দল গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে লড়াই করছে।
শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে কাদের বলেন, ‘আমাদের লড়াই চলবে।’
রাজধানীর জিরো পয়েন্টে নূর হোসেন স্কয়ারে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকায় এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় গণতন্ত্রপন্থী এই তরুণ শহীদ হওয়ার স্মরণে নূর হোসেন দিবস পালিত হয়।
কাদের বলেন, ‘গণতন্ত্র একটি বিকাশমান প্রক্রিয়া, এটি কোনো ম্যাজিক্যাল ট্রান্সফরমেশন নয় যে রাতারাতি পরিবর্তন হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে স্বৈরাচারমুক্ত করার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সরকারে থাকতেও গণতন্ত্রের ক্ষতি করেছে, বিরোধী দল থাকা অবস্থায়ও তারা ক্ষতি করেছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে তারা দেশে সহিংসতা ও সন্ত্রাস সৃষ্টি করবে না। কেন তাদের নেতাকর্মীদের লাঠিসোঁটা নিয়ে বের হতে হবে? তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে জাতীয় পতাকা বেঁধে বিক্ষোভ করে, এটা সন্ত্রাসের আরেক রূপ। এটা বন্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: খেলা হবে ডিসেম্বরে, আওয়ামী লীগ প্রস্তুত: ওবায়দুল কাদের
কাদের বলেন যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্র মুক্ত হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে অনেক বাধা রয়েছে।
১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর রাজধানীর গুলিস্তানের কাছে জিরো পয়েন্ট তৎকালীন জেনারেল এইচএম এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করার সময় পুলিশের গুলিতে আওয়ামী যুবলীগ নেতা নূর হোসেন নিহত হন।
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৩ নভেম্বরকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের বিষয়: কাদের
ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে: ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, একটি অসৎ উদ্দেশ্যে অরাজকতা ও নাশকতার মাধ্যমে দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র অবশ্যই মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ক্ষমতা গ্রহণের ১০ বছর পর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড ময়দানে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ও স্থানীয় ইস্যু সম্পর্কে মুক্ত কন্ঠে কথা বলবেন। তাই এই জনসভাকে সফল করে তোলার জন্য চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিটি স্তরের নেতাকর্মীদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বুধবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আগামী ৪ঠা ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চট্টগ্রাম আগমনকে সফল করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকার দলীয় সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়েছে: এবিএম মোশাররফ হোসেন
মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপি-জামাত বিভাগীয় সমাবেশের মাধ্যমে সারা দেশে অরাজকতা সৃষ্টির যে পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে আমাদেরকে মাঠে থাকতে হবে এবং এটাও মনে করি বর্তমানে কোভিড-১৯ পরবর্তী সময় এবং রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও সংকট তৈরি হয়েছে তা মোকাবিলা করার জন্য প্রতিটি দেশপ্রেমিক নাগরিকের সমান দায়িত্ব রয়েছে।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, চট্টগ্রামবাসী মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি। এই শক্তির প্রতি জাতির যে আস্থা ও ভরসা রয়েছে তা যেন ভুল প্রমাণিত না হয়। ষড়যন্ত্র এবং অপঘাত মোকাবিলায় চট্টগ্রামের মাটি বার বার প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেছে। এখন প্রয়োজন মানুষের ভালবাসাকে অর্জন করে রাজপথে থেকে অপশক্তিকে প্রতিহত করা।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি বলেছেন, চট্টগ্রাম বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার দুর্জয় ঘাটি। আমি চট্টগ্রাম বিভাগের প্রতিটি জেলায় ও উপজেলায় গিয়ে বুঝেছি আমাদের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা রাখা অতীব গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন। আমরা ব্যক্তির নামে স্লোগান নয়, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যাতে কোনো অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেদিকে সজাগ থাকতে হবে। ওই অপশক্তি আবার একটি ১৫ই আগস্টের ট্র্যাজেডি ঘটনার যে হুমকি দিচ্ছে তাদেরকে নির্মূল করতে পারি সেই মহা শক্তিকে জাগরিত করতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীনের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম. রেজাউল করিম চৌধুরী, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ প্রচার সম্পাদক আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম আমিন।
আরও বক্তব্য দেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দীন আহমেদ এমপি, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম.এ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, এ.বি.এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি, মোস্তাফিজুর রহমান এমপি, মাহফুজুর রহমান মিতা এমপি, খাদিজাতুল আনোয়ার সনি এমপি, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ফমেক চিকিৎসকদের এন-৯৫ মাস্ক দিলেন মোশাররফ হোসেন
সরকারের ব্যর্থতায় ডেঙ্গু মহামারি আকার ধারণ করেছে: মোশাররফ হোসেন
খেলা হবে ডিসেম্বরে, আওয়ামী লীগ প্রস্তুত: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ডিসেম্বর আমাদের বিজয়ের মাস। এই মাসে খেলা হবে, বিএনপির দুঃশাসনের বিরুদ্ধে। ভোট চোরের বিরুদ্ধে খেলা হবে। আওয়ামী লীগ প্রস্তুত। টাঙ্গাইল তৈরি। খেলা হবে, আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, বিএনপি ১৩ বছরে ১৩ মিনিট আন্দোলন করতে পারে নাই। বেগম খালেদা জিয়ার জন্য বিএনপি নেতারা একটা মিছিল পর্যন্ত করতে পারে নাই। তারা এখন সরকার পতনের আন্দোলন করবে। খালেদা জিয়াকে নিয়ে ১০ ডিসেম্বর তারা নাকি বিজয় মিছিল করবে। তারা এখন ‘খোমেনি স্টাইলে’ ক্ষমতায় আসতে চায়। আমরা যদি ডাক দেই তাহলে বিএনপি পালানোর পথ খুঁজে পাবে না।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে নিয়ে বিপদে আছে দেশের মানুষ: ওবায়দুল কাদের
গতকাল সোমবার বিকালে টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। দীর্ঘ সাত বছর পর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল। সর্বশেষ বিগত ২০১৫ সালের ১৮ অক্টোবর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পুরষ্কৃত করেছিলেন, এই খুনীদের বিচারের পথ বন্ধ করতে আইন করেছিলেন। যারা বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পুরষ্কৃত করেছিলেন, যারা এই খুনীদের বিচার বন্ধে আইন করেছিলেন তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। যারা বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ক্ষমা করেছিলেন বাংলাদেশের মাটিতে তাদের ক্ষমা নাই। এদের ক্ষমা করা যায় না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বরিশালে নাকি মানুষের ঢল নেমেছিল। দুবাইয়ের টাকা আকাশে উড়ে। বিএনপি সেই টাকা দিয়ে সাধারণ মানুষকে সরকারের বিরুদ্ধে উষ্কে দিচ্ছে। এই সরকার দেশের সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করছে। সাধারণ মানুষের প্রতি বিএনপির কোন দরদ নেই। এদের দরকার ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন। তাই জনগণকে সরকার পতনের আন্দোলনে উষ্কানি দিচ্ছে।
তিনি বলেন, শুনলাম বিএনপি তাদের হারানো ক্ষমতা ফিরে পেতে আন্দোলন করছে। আসলে তারা তারেক রহমানের হারানো হাওয়া ভবন ফিরে পেতে আন্দোলন করতে চাইছে। এই তারেক রহমানের অপশক্তির বিরুদ্ধে খেলা হবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সময় আমরা ঘরে থাকতে পারি নাই। আমাদের নেতাকর্মীরা ঘরে থাকতে পারে নাই। আর আপনারা এখন এসিতে বসে থাকেন। অপেক্ষা করুন, আন্দোলন কাকে বলে, কত প্রকার ও কী কী তা দেশের জনগণ আপনাদের বুঝিয়ে দেবে। এরপর বাঁশের লাঠিতে পতাকা লাগিয়ে রাস্তায় নামলে খবর আছে।
নতুন কমিটি গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে কমিটি নিয়ে কোন বাণিজ্য হবে না। কোন পকেট কমিটি হবে না। কর্মীরা যাকে চায় তিনিই নেতা হবেন। দুঃসময়ে যাদের হাজার পাওয়ারের লাইট দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না তাকে নেতা বানানো হবে না।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য, কৃষিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। প্রধান বক্তা ছিলেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য, শাহজাহান খান এমপি, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও ডা. দীপু মনি।
মির্জা আজম তার বক্তব্যে বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেছিল বলেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন এই বাংলাদেশের মানুষ না খেয়ে মারা যেত। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই দেশের মানুষ আজ সুখে আছে, শান্তিতে আছে। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবার শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি’র পলাতক নেতা তারেক রহমান ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ ডায়লগ দিয়ে বাংলাদেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ আর পেছনে ফিরে যেতে চায় না। তাই দেশের জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের পরিষ্কার কথা। তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই বাংলাদেশের মাটিতে আর হবে না। বিজয়ের মাস আমাদের মাস। এই মাসে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সকল অপশক্তি মোকাবেলা করব।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক।
বিশেষ বক্তা ছিলেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। এছাড়া দলের স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন। সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক মঞ্চেই দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছার কথা উল্লেখ করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যথাক্রমে ফজলুর রহমান খান ফারুক ও অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহেরের নাম ঘোষণা করেন। উপস্থিত কাউন্সিলররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তা সমর্থন করেন। ফারুক ও জোয়াহের দুজনেই দ্বিতীয় মেয়াদে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচারে লিপ্ত: ওবায়দুল কাদের
দেশের নিরাপত্তা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপি বড় অন্তরায়: ওবায়দুল কাদের
কুমিল্লা মহানগর আ. লীগের সভাপতি বাহার ও সা.সম্পাদক রিফাত
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে নতুন ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার ও বর্তমান মেয়র আরফানুল হক রিফাতের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার সকালে কুমিল্লা টাউনহল মাঠে মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শুরু হয়।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের অপর প্রেসিডিয়াম মেম্বার মোফাজ্জর হোসেন চৌধুরী মায়া। প্রধান বক্তা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এবং বিশেষ বক্তার বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ত্রাণ ও সমাজকল্যান সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুর সবুর ও তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ।
আরও পড়ুন: আ.লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভা শুক্রবার
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিটি মেয়র আরফানুল হক রিফাত। সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।এছাড়া কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের আরও নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সম্মেলন উপলক্ষ্যে নগরীর সর্বত্র উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।নগরীর প্রধান সড়কগুলো ছেয়ে গেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের ছবিসম্বলিত ফেস্টুন-ব্যানারে।
প্রসঙ্গত, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার ছয় বছর পর ২০১৭ সালের ২২ জুলাই কেন্দ্র থেকে প্রথমবারের মতো মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে আ.লীগের দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিপুল জনসমাগম
আ.লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভা শুক্রবার
আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে বিকাল ৪টায় এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: ৩ নভেম্বরকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের বিষয়: কাদের
চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে আ.লীগের দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি
বিএনপিকে নিয়ে বিপদে আছে দেশের মানুষ: ওবায়দুল কাদের
৩ নভেম্বরকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের বিষয়: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘জেল হত্যা দিবস’কে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের বিষয়।
১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নিহত জাতীয় চার নেতা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বৃহস্পতিবার জেলহত্যা দিবস পালন করছে ক্ষমতাসীন দলটি।
রাষ্ট্রীয় হেফাজতে থাকা অবস্থায় সেদিন খুন হন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামান।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সামরিক অভ্যুত্থানের পর যখন বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যকে হত্যা করা হয়, তখন একটি উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হত্যাকাণ্ডের একটি সিরিজ সংঘটিত হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে নিয়ে বিপদে আছে দেশের মানুষ: ওবায়দুল কাদের
দিবসটি পালনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কাদের।
নিহত নেতাদের পরিবারের পক্ষ থেকে দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত সরকারের উচ্চপদস্থদের সামলাতে হবে।
ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ভোরে সারাদেশে কেন্দ্রীয় ও জেলা কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করে দিনটি শুরু করে।
দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৭টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দলীয় নেতারা।
সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বনানী কবরস্থানে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মনসুর আলীর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় এবং সেখানে ফাতেহা পাঠ, মিলাদ-মাহফিল ও মোনাজাত করা হয়।
এছাড়াও রাজশাহীতে এএইচএম কামরুজ্জামানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় যেখানে দিবসটি উপলক্ষে দোয়া মাহফিল, ফাতেহা পাঠ ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিকাল ৩টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য রাখবেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচারে লিপ্ত: ওবায়দুল কাদের
দেশের নিরাপত্তা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপি বড় অন্তরায়: ওবায়দুল কাদের