বিএনপি
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঁচদিন চিকিৎসা শেষে শনিবার সন্ধ্যায় গুলশানের বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ম্যাডামকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন তাকে বাড়িতেই চিকিৎসা দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন খালেদা জিয়া: ফখরুল
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে হাসপাতাল ত্যাগ করেন এবং সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে বাসায় পৌঁছান।’
হঠাৎ জ্বর ও পেটব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে মঙ্গলবার ভোরে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকার হাসপাতালে তার মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় তত্ত্বাবধানে তার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন পরীক্ষা করানো হয়।
আরও পড়ুন: ৫ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
৭৮ বছর বয়সী খালেদা দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। ২০২০ সালে তার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর থেকে বিএনপি নেত্রী হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করায় খালেদাকে পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে, একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়, এই শর্তে যে তিনি তার গুলশানের বাড়িতে থাকবেন এবং দেশ ছেড়ে যাবেন না।
আরও পড়ুন: খালেদার অবস্থা এখন স্থিতিশীল: ডা. জাহিদ
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপি নেতারা ঐক্যবদ্ধ: নজরুল
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যকে ‘ মিথ্যা নির্ভর’ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন,‘শুধু অনেক নেতা কেন? আমরা সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই, কিন্তু এই সরকারের অধীনে নয়, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে।’
এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদ ও সিটি নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করে আসছে এবং নির্বাচনে যোগদানকারী কয়েকজন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
নজরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বিএনপি ও এর নেতাদের নিয়ে বেপরোয়া মন্তব্য করে নিজেদের খারাপ রুচির পরিচয় দিচ্ছেন। ‘আমরা আরও শুনেছি যে আওয়ামী লীগের অনেক লোক সামনে খারাপ সময়ের ভয়ে দেশ ছাড়তে চায়। কিন্তু এটা কি বক্তব্য দেওয়ার ব্যাপার? আমরা এমন মন্তব্য করি না কারণ আমাদের অবস্থান খুব নীচু নয়।’
আরও পড়ুন: অর্থনীতি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় নেই, দেশ চালাতে সর্বত্র বৈদেশিক ঋণ খুঁজছে সরকার: মোশাররফ
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নেতা মাইনুল আহসান পিংকুর ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে শহীদ পিংকু স্মৃতি পরিষদ।
নজরুল বলেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এখন বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, এমনকি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরও বলে আসছেন বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। ১৪ দলীয় জোটে যারা আছেন তাদের অনেকেই একই কথা বলছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করা এখন জনগণের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি মাঠে নেমেছে, অধিকার আদায় করেই ঘরে ফিরবে : মির্জা ফখরুল
বিএনপি নেতা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে স্থানীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে করতে না পারলে জাতীয় নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠু হবে। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনে হতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান ‘দখলকারী’ শাসনের পতন নিশ্চিত করে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের দলের আন্দোলন সফল হবে।
বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এত অপকর্ম, নির্যাতন, নিপীড়ন, দুর্নীতি ও লুণ্ঠন করেছে যে এখন ক্ষমতা ছাড়তে ভয় পাচ্ছে। ‘তারা এখন ভয় পায় যে তারা ক্ষমতা হারানোর পরে জনগণের ক্রোধ এড়াতে পারবে না কারণ জনগণ তাদের ক্ষমা করবে না।’
আরও পড়ুন: ফের প্রধানমন্ত্রীকে ‘হত্যার হুমকি’: সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতার স্লোগানের ভিডিওতে আ.লীগের নিন্দা
ফের প্রধানমন্ত্রীকে ‘হত্যার হুমকি’: সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতার স্লোগানের ভিডিওতে আ.লীগের নিন্দা
রাজশাহীর এক বিএনপি নেতা প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘হত্যা’ করার হুমকি দেওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরেই, বিএনপির আরেক নেতা তাকে (শেখ হাসিনাকে) খুন করার আহ্বান জানিয়ে স্লোগান দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, এসময় বিএনপির শত শত সমর্থক ‘হাসিনাকে হত্যা করার জন্য লড়াই’ করার আহ্বান জানিয়ে দেওয়া স্লোগান প্রতিধ্বনিত করেছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে, বিএনপির সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান রঞ্জনকে স্লোগান দিতে শোনা যায়: ‘এই লড়াই হাসিনা মারার, এই লড়াইয়ে জিততে হবে’।
ভিডিওটিতে শুক্রবার সিরাজগঞ্জে এক প্রতিবাদ সমাবেশে রাশেদুলের সঙ্গে মঞ্চে বিএনপির সিনিয়র নেতাদেরও দেখা যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ভিডিও’র সঙ্গে পোস্টে লেখা হয়েছে: ‘আমরা সমাবেশ থেকে হুমকি দেওয়ার এ ধরনের কাজের তীব্র নিন্দা জানাই এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
ভিডিওটি ইতোমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার সূত্রপাত করেছে এবং অনেকেই এর স্লোগানের সমালোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: আরও ৩ দিনের রিমান্ডে বিএনপি নেতা চাঁদ
আওয়ামী লীগের এক সমাবেশে ২০০৪ সালের জঘন্য গ্রেনেড হামলাসহ শেখ হাসিনার জীবনের ওপর করা ১৯টি প্রচেষ্টাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এ ধরনের ‘মৃত্যুর হুমকি’ আমলে নিচ্ছেন, যাতে প্রায় ২৪ নেতাকর্মী নিহত হয়।
গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনায় জড়িত থাকার দায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানকে সাজা দেওয়া হয়েছে।
গত বছর বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতার প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া একই রকম ‘হুমকি’ সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দেয়।
ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে এক বক্তৃতায় আবদুল কাদের ভূঁইয়া নামের ওই নেতা জনসমক্ষে বলেন, ‘আরেকটি ১৯৭৫’ পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানাতে শোনা যায়; যাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যদের একদল অসন্তুষ্ট সেনা কর্মকর্তাদের দ্বারা নির্মম গণহত্যার শিকার হন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতা চাঁদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা আদালতে মামলা
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: সেই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মাগুরায় আরেকটি মামলা
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন হাসপাতালে ভর্তি
বিএনপির জ্যৈষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন শুক্রবার রাতে নিজ বাসভবনে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে বলেন, গতরাতে বিএনপির এই নেতাকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল আবারও করোনায় আক্রান্ত
তিনি বলেন যে তিনি (মোশাররফ) হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন এবং বর্তমানে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
নিএনপির এই নেতার ছেলে মারুফ খন্দকার দেশের মানুষের কাছে তার বাবার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে দোয়া চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল হাসপাতালে ভর্তি
খালেদার অবস্থা এখন স্থিতিশীল: ডা. জাহিদ
বিএনপি মাঠে নেমেছে, অধিকার আদায় করেই ঘরে ফিরবে : মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এবার আওয়ামী লীগের ভোট চুরি বন্ধে নেতাকর্মীদের মাঠে থাকতে হবে। বিএনপি এবার মাঠে নেমেছে, তাদের অধিকার আদায় করেই ঘরে ফিরবে। আগামীতে ভোট সুষ্ঠু না হলে তারা (আ.লীগ) আর আমেরিকাতে ঢুকতে পারবে না।
শুক্রবার বিকালে সিরাজগঞ্জ ইসলামিয়া সরকারি কলেজ মাঠে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, অবৈধ সরকার বন্দুকের ভয় দেখিয়ে, গুম-খুনের মাধ্যমে জোর করে ক্ষমতা ধরে রেখেছে। আজ অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সময় এসে গেছে। তাই সরকার পতনে এই বৃদ্ধ বয়সেও আন্দোলনে মাঠে নেমেছি। মাঠ পর্যায়ের সকল নেতাকর্মীদের সরকার বিরোধী আন্দোলনে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রুখে দাঁড়াতেও বলেন বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: আরেকটি সাজানো নির্বাচন করতে সরকার পুলিশ ও জনপ্রশাসনে রদবদল শুরু করেছে: ফখরুল
তিনি বলেন, এ সরকার শুধু ভোট চোরের সরকার নয়, দেশের সকল কিছুই তারা চুরি করছে। তাদের এই ভোট চুরি ও নির্বিচারে হত্যার কারণেই আমেরিকা ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি ও ঢাকা মহানগর বিএনপি'র আহবায়ক আমান উল্লাহ আমানের বিরূদ্ধে আদালতের রায়ের প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি সমাবেশটির আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে বিএনপিকে মাঠছাড়া করার ষড়যন্ত্র করছে সরকার: ফখরুল
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, অন্যায়ভাবে ফরমায়াশের রায়ে আজ ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও আমান উল্লাহ আমানকে সাজা দেয়া হয়েছে। এ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এজন্য বাংলাদেশের নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রয়োজন।
অর্থনীতি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় নেই, দেশ চালাতে সর্বত্র বৈদেশিক ঋণ খুঁজছে সরকার: মোশাররফ
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সরকার যখন দেশ চালাতে এদিক-ওদিক বিদেশি ঋণ খুঁজছে, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাস্তবতা আড়াল করার চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন, ‘জেনেভায় গিয়ে আমাদের দখলদার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে আমাদের দেশের অর্থনীতি একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে... এভাবে ফাঁপা কথা দিয়ে সত্যকে বেশিদিন চেপে রাখা যাবে না। বাংলাদেশের অর্থনীতি যেমন আমরা জানি, গোটা বিশ্বও তা জানে।’
এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা বলেন, ডলারের অভাবে আমদানি বন্ধ থাকলেও সরকার দেশ পরিচালনার জন্য বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক ঋণ সংস্থার কাছে বিদেশি ঋণ ‘ভিক্ষা’ করছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, সরকার বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনার জন্য জ্বালানি ও বিদ্যুত আমদানি করতে না পারায় মানুষ ভয়াবহ লোডশেডিং-এর সম্মুখীন হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতির অবস্থা সবাই জানে। মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে, ডলারের সংকট তীব্র হচ্ছে, পণ্যের দাম ক্রমাগত বাড়ছে, এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের মধ্যে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স কমে যাচ্ছে। এগুলোই বাস্তবতা। তাহলে প্রধানমন্ত্রী কীভাবে দাবি করবেন বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে আছে?
বৃহস্পতিবার জেনেভায় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে দেশে গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতার ধারাবাহিকতার কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে অর্থনৈতিকভাবে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি মিডিয়া সেল।
১৯৭৪ সালের ১৬ জুন তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার তার অনুগত চারটি পত্রিকা ছাড়া সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়। সংবাদপত্র বন্ধের স্মরণে একদল সাংবাদিক দিনটিকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছেন।
মোশাররফ বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট থেকে মুক্তি পেতে শক্তিশালী আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: স্যাংশনে আ.লীগ সরকারের হাঁটু কাপতে শুরু করেছে: ফখরুল
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশে কখনোই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। বাংলাদেশের জনগণও বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অতীতে যেমন সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, ক্ষমতাসীন দল যতই চেষ্টা করুক না কেন তাদের দল এবার সরকারের কোনো ফাঁদে পা দেবে না। ‘আমাদের অবশ্যই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই শাসককে অপসারণ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ঘাবড়ে যাওয়ায় ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বিভিন্ন বিষয়ে পরস্পরবিরোধী মন্তব্য করছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে বিএনপিকে মাঠছাড়া করার ষড়যন্ত্র করছে সরকার: ফখরুল
নির্বাচনের আগে বিএনপিকে মাঠছাড়া করার ষড়যন্ত্র করছে সরকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে আগামী নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মাঠ ছাড়তে বাধ্য করছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নতুন করে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে অথচ পুরানো মামলাগুলো পুনরুজ্জীবিত হওয়াও যখন বিস্ময়কর। আগামী নির্বাচনের আগে বিএনপিকে মাঠ থেকে বের করে দেওয়ার লক্ষ্যে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিরও চেষ্টা চলছে’।
বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা এসব অভিযোগ করেন।
তিনি আরও বলেন, সরকারের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ মামলায় ফাঁসিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সরকার নানা কৌশলে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নানা দমন-পীড়ন বাড়িয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: খালেদার অবস্থা এখন স্থিতিশীল: ডা. জাহিদ
ফখরুল অভিযোগ করেন, ‘নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে বিএনপিকে রাজনৈতিক মাঠ থেকে নির্মূল করা হচ্ছে। হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে মামলায় তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। কোনো (বিরোধী) প্রার্থী না থাকলে তারা (আ.লীগ) তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে। তাদের লক্ষ্য কোনোভাবেই ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন করে ভোট না দিয়ে আবার ক্ষমতা দখল করা।’
তিনি দাবি করেন, নরসিংদীতে ষড়যন্ত্রমূলক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে সরকার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও তার স্ত্রী শিরিন সুলতানাসহ ৫০ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, খোকনের স্থানীয় বাসা ও নরসিংদী বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ‘এটি একটি সাধারণ ঘটনা নয়, কিছু সন্ত্রাসী ও সরকারের আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর প্রত্যক্ষ যোগসাজশে এবং সহায়তায় ‘হত্যাকাণ্ড এবং পরবর্তীতে অগ্নিসংযোগ ও হামলা চালানো হয়েছে।’
চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন বানচাল ও নরসিংদী বিএনপিকে ধ্বংস করার সরকারি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে খোকনসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও কাল্পনিক হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
আরও পড়ুন: স্যাংশনে আ.লীগ সরকারের হাঁটু কাপতে শুরু করেছে: ফখরুল
সম্প্রতি বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, বিএনপি অফিস ও খোকনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ফখরুল।
তিনি অভিযোগ করেন, বুধবার চট্টগ্রামে যুব সমাবেশে যাওয়ার পথে তাদের নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগ ও যুবলীগ হামলায় চালায়।
ফখরুল বলেন, বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য ছাত্রলীগের কর্মীরা বন্দরনগরীর কয়েকটি স্থাপনাও ভাঙচুর করেছে। ‘পুলিশ এ ঘটনায় যুবদলের পাঁচ নেতাকে আটক করেছে। আমরা ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে আটকদের মুক্তি দাবি করছি।’
আরও পড়ুন: আরেকটি সাজানো নির্বাচন করতে সরকার পুলিশ ও জনপ্রশাসনে রদবদল শুরু করেছে: ফখরুল
আরেকটি সাজানো নির্বাচন করতে সরকার পুলিশ ও জনপ্রশাসনে রদবদল শুরু করেছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করে ভোট কারচুপির মাধ্যমে আরেকটি সাজানো নির্বাচন মঞ্চস্থ করতে পুলিশ ও জনপ্রশাসনে রদবদল শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ‘তারা (আ.লীগ) ভোট কারচুপি এবং সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে তাদের ইচ্ছানুযায়ী আরেকটি নির্বাচন করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। পুলিশে ব্যাপক রদবদল ও পদোন্নতি নিয়ে কয়েকটি পত্রিকায় প্রতিবেদন রয়েছে। তারা আগামী নির্বাচনের আগে তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী সবকিছু সাজানোর উদ্দেশ্য নিয়ে জনপ্রশাসনেও রদবদল করেছে।’
বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, দেশের জনগণ আগামী দিনে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারের সব ‘নীলনকশা’ নস্যাৎ করে দেবে।
ফখরুল বলেন যে এইচএম এরশাদসহ অনেক ফ্যাসিবাদী শাসক অতীতে একই কাজ করেছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত জনরোষের মুখে তাদের ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছিল।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আপনারা (আ.লীগ)ও এত সব আয়োজন করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, কিন্তু কত দিন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন? ফেরাউন, নমরূদ, এরশাদও ক্ষমতায় বসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। জনগণ যখন জেগে ওঠে তখন কোনো কিছুই তাদের প্রতিহত করতে পারে না।’
বিএনপিপন্থী প্ল্যাটফর্ম জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফোরাম ঢাকা রিপোর্টার্সে সংবাদপত্রের ‘কালো দিবস’ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: স্যাংশনে আ.লীগ সরকারের হাঁটু কাপতে শুরু করেছে: ফখরুল
১৯৭৪ সালের ১৬ জুন তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার সরকারের অনুগত চারটি পত্রিকা ছাড়া সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়। একদল সাংবাদিক দীর্ঘদিন ধরে সংবাদপত্র বন্ধের স্মরণে দিনগুলোকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছেন।
ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চলমান আন্দোলন জোরদার করার কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রের আড়ালে একদলীয় বাকশাল শাসন কায়েম করেছে। ‘তারা আমাদের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বাক, লেখার স্বাধীনতা এবং সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বৈশিষ্ট্য হলো ভিন্নমতকে সহ্য করতে পারে না। ‘আমাদের সংগ্রাম শুরু হয়েছে এবং এটি এক বা দুই দিনে শেষ হবে না। আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে, কারণ আমাদের প্রতিপক্ষ এতটাই স্বৈরতান্ত্রিক যে তারা রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে মানুষকে হত্যা করতে এবং তাদের গুম করতে দ্বিধা করে না।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করে সব হারানো অধিকার ফিরিয়ে আনতে শক্তিশালী আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে অপসারণ করতে হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে রাজনীতি থেকে সরানোর জন্য তাদের দলের প্রধান খালেদা জিয়াকে ‘মিথ্যা’ মামলায় বেআইনিভাবে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
খালেদা এখন রাজধানীর একটি হাসপাতালে জীবনযুদ্ধে লড়ছেন উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি চেয়ে তার পরিবার বারবার আবেদন করেছে, কিন্তু সরকার এখনো তাতে কর্ণপাত করেনি।
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে বলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বক্তব্যের নিন্দা জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের মন্তব্যের নিন্দা করার ভাষা আমাদের নেই। আমরা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এর জবাব দেবো।’
আরও পড়ুন: ফয়জুল করিমের ওপর হামলার বিষয়ে সিইসি’র মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ফখরুলের
গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন খালেদা জিয়া: ফখরুল
স্যাংশনে আ.লীগ সরকারের হাঁটু কাপতে শুরু করেছে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা ক্ষমতার জন্য নয়, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আন্দোলন করছি।
তিনি বলেন, অচিরেই এই স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের অধিকার জনগণকে ফিরিয়ে দেয়া হবে।
বুধবার (১৪ জুন) বিকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর কাজীর দেউড়িতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আমেরিকার স্যাংশনে আওয়ামী লীগ সরকারের হাঁটু কাপতে শুরু করেছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, লজ্জায় আমরা মুখ দেখাতে পারি না। আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারীর কারণে আমেরিকা থেকে স্যাংশন। কেন? তারা বলে আমরা ভয় পাই না। এখন এমন ভয় পেয়েছে হাঁটু কাপতে শুরু করেছে।
তিনি প্রশ্ন করেন র্যাবকে কারা ব্যবহার করেছে, আমাদের ভাইদের তুলে নিয়ে গুম করে হত্যা করেছে?
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কোনো আপস নয়: ফখরুল
সমাবেশে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আর বিশ্বাস করা যায় না। নতুন বাংলাদেশ নতুন সরকার গঠন তরতে হবে। সকল মানুষকে এক করতে হবে সকল রাজনৈতিক দলকে এক করতে হবে, সবাইকে নিয়ে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়তে হবে।
তিনি বলেন, একটি নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে হবে, যে বাংলাদেশে আমার কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে, চাকুরির ব্যবস্থা হবে, আমার ভোট আমি দিতে পারব, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে, আমার সন্তানের ভবিষ্যত তৈরি হবে, আমার শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে, আমার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে। আমরা সেই বাংলাদেশ চাই যেখানে নতুন কলকারখানা গড়ে উঠবে এবং মানুষের চাকুরির নিশ্চয়তা থাকবে।
তিনি বলেন, মানুষ তাদের রুটি রুজির নিশ্চয়তা পাবে। যেখানে শান্তি থাকবে ন্যায় বিচার থাকবে। বড়লোক আরও বড়লোক হবে না, হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হবে না, একটি সাম্যের বাংলাদেশ তৈরি হবে। আমরা সবাই সে লক্ষ্যে এগিয়ে যাব।
তিনি বলেন, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে তরুণদেরকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে এবং সংগ্রাম করে লড়াই করে যুদ্ধ করে এদেশের শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
ফখরুল বলেন, জনগণের টাকা দিয়ে নিজের উন্নয়ন করছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যারা জড়িত, তারা ছাড়া আর কেউ লাভবান হচ্ছে না। আজকে আমাদের সকল অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আদালতে গিয়ে যে আমরা ন্যায়বিচার পাব, সেই ন্যায়বিচার থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। পার্লামেন্টকে শেষ করে দিয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে দিয়েছে। এই যে মেয়র নির্বাচন হয়েছে। বরিশাল, খুলনায় নির্বাচন হয়েছে। গাজীপুরে জাহাঙ্গীরের মায়ের কাছে হেরে গেছে।
আরও পড়ুন: ফয়জুল করিমের ওপর হামলার বিষয়ে সিইসি’র মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ফখরুলের
খালেদার অবস্থা এখন স্থিতিশীল: ডা. জাহিদ
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল বলে বুধবার জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন,‘ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল এবং যেদিন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তার তুলনায় কিছুটা উন্নতি হয়েছে।’
চিকিৎসক জানান, অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করেন।
‘তারা পরীক্ষার রিপোর্ট এবং তার শারীরিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছেন।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. জাহিদ বলেন, খালেদার পরবর্তী চিকিৎসার ধাপ নির্ধারণ করতে বিকালে মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনকে আরও কয়েকদিন হাসপাতালে থাকতে হতে পারে।
আরও পড়ুন: গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন খালেদা জিয়া: ফখরুল
হঠাৎ জ্বর ও পেটব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে মঙ্গলবার ভোরে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকার হাসপাতালে তার মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় তত্ত্বাবধানে তার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন পরীক্ষা করানো হয়।
৭৮ বছর বয়সী খালেদা দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে তার মুক্তির পর থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন কার্ডিওলজিস্ট অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: গভীর রাতে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের 8 ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করায় খালেদাকে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
পরে, একই বছর দুর্নীতির আরেকটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয় এই শর্তে যে তিনি তার গুলশানের বাড়িতে থাকবেন এবং দেশ ছেড়ে যাবেন না।
আরও পড়ুন: এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে