������������������
অবশেষে গাজা নিয়ে বিএনপির নীরবতা ভাঙলেন মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা সফর শেষে দেশে ফেরার পর প্রথম প্রকাশ্য বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ গভীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি। এসময় গাজা সংঘাত নিয়েও কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, 'দেশ যখন চলমান ফ্যাসিবাদী সরকারের অভিশাপে' তখন আমরা এখানে ইফতারের জন্য সমবেত হয়েছি। ৭ জানুয়ারি বিশ্ব বাংলাদেশে একটি নির্বাচন নয়, বরং একটি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার জন্য অপমান দেখেছে।’
রবিবার(২৪ মার্চ) ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের সম্মানে বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর গাজায় ইসরাইলের হামলা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে যে সংঘাত চলছে তা নিয়ে বিএনপি প্রথমবারের মতো মত প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে আমরা সবাই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘকে এই গণহত্যা বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানকে এই সংকটের একমাত্র সমাধান বলে বিশ্বাস করি।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ মনে করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা শুধু রাজনৈতিক দল দিয়ে অর্জিত হয়েছে: বিএনপি নেতা হাফিজ
মির্জা ফখরুল বলেন, তারা বাংলাদেশের জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির সংগ্রামের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থনকে মূল্য দেন, যা একটি নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ না আমরা তা অর্জন করতে পারছি, ততক্ষণ হয়তো আমাদের শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: পকেট ফাঁকা থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছে না জনগণ: মঈন খান
পকেট ফাঁকা থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছে না জনগণ: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। টাকা না থাকায় মানুষ তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারছে না। অথচ স্বাধীনতার মূলমন্ত্র ছিল গণতন্ত্রের পাশাপাশি জনগণের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) জাতীয়তাবাদী নবীন দল আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঈন খান এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক দল বলে দাবি করলেও তারা জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তিকে অস্বীকার করে দেশে ধনীশ্রেণি প্রতিষ্ঠা করেছে।
আরও পড়ুন: আ. লীগ গণতন্ত্রের পরিবর্তে দেশে একটি ‘অলিগার্কি’ তৈরি করেছে: মঈন খান
তিনি বলেন, দেশ নিয়ন্ত্রণে ২২০টি পরিবারকে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছে তারা। অথচ পাকিস্তান আমলে এ ধরনের পরিবারের সংখ্যা ছিল ২২টি।
৭ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন আয়োজন করে আওয়ামী লীগ দেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে উল্লেখ করে ড. মঈন আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো শক্তিধর দেশগুলো বলেছে, অবাধ নির্বাচনের ন্যূনতম মানদণ্ড রক্ষা করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে বুঝতে হবে, কেউ অস্ত্র হাতে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে না, ইতিহাস আমাদের শিক্ষা দেয় স্বৈরাচারীদের ক্ষমতা থেকে টেনে নামায় জনগণ।
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকার ‘তাসের ঘরের মতো’ ভেঙে পড়বে: মঈন খান
আওয়ামী লীগ মনে করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা শুধু রাজনৈতিক দল দিয়ে অর্জিত হয়েছে: বিএনপি নেতা হাফিজ
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ছিল গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু আজ গণতন্ত্র নেই। নেই কোনো মৌলিক অধিকার, বাকস্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা। বাংলাদেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে।
আসন্ন স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বৃহস্পতিবার বিএনপির গঠিত কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, যুদ্ধের ময়দানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কোনো কৃতিত্ব দিতে চায় না। রাজনৈতিক দলের অবদান ছিল; নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় তাদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা রাখার অধিকার ছিল। কিন্তু পাকিস্তানি সামরিক শাসকরা গণতান্ত্রিক রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিল না।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করছে আওয়ামী লীগ: মেজর হাফিজ
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করে, একমাত্র রাজনৈতিক দলই বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছে। ছাত্র, যুবক, শ্রমিক, কৃষক ও সৈনিকসহ সর্বোচ্চ ত্যাগী সৈনিকসহ জনসাধারণের অবদানকে অস্বীকার করে তারা।
তিনি আরও বলেন, সে সময় দেশের সাত কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু ক্ষমতাসীনরা মুক্তিযুদ্ধকে 'রাজনৈতিক দলের যুদ্ধ' হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে।
জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা চারদিক থেকে মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করেছিল, কিন্তু আজ আওয়ামী লীগ তাকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) এজেন্ট হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: কিংস পার্টি বিএনএম গঠনে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার মেজর হাফিজের
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করছে। তিনি বলেন, যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ৮০ থেকে ১ লাখ, কিন্তু আজ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে প্রায় আড়াই লাখ লোক ভাতা পাচ্ছেন।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে 'ইন্ডিয়া আউট' প্রচারণা চালাচ্ছে জনগণ: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, ভারত সরকারের সমর্থনের বিনিময়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদাকে বিসর্জন দিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
বুধবার(২০ মার্চ) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এই অভিযোগ করেন।
রিজভী দাবি করেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের জনগণের ম্যান্ডেট চায় না, বরং ‘মোদি সরকারের সমর্থনে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে এবং পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ হয়ে ক্ষমতা দখল করে।’
আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে একটি 'ডামি রাষ্ট্র' হিসেবে বিবেচনা করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পেছনের আসল শক্তি বাংলাদেশের জনগণ নয়, ভারত। আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়ে বাংলাদেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে ভারত দেশের নাগরিকদের অধিকার লঙ্ঘন করছে।
আরও পড়ুন: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে: বিএনপি
বিদেশি প্রভাবের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রিজভী বলেন, 'এমনটাও বিশ্বাস করতে হয় যে, ভারত বাংলাদেশ পুলিশ ও বিজিবির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের নির্দেশ দেয়, যা আমাদের সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ন করে।’
৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বিবৃতির কথাও উল্লেখ করেন রিজভী ।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্থিতিশীলতার নামে আমাদের সার্বভৌমত্বের ধারণাকে বিপদগ্রস্ত করা হচ্ছে।
ভারতের কথিত আধিপত্যকে আওয়ামী লীগের মেনে নেওয়ার সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, 'বাংলাদেশের জনগণ কখনোই ভারতের আধিপত্য মেনে নেবে না, এমনকি আওয়ামী লীগ নেতারা করলেও।’ তিনি স্পষ্ট করে বলেন, বিএনপির বিরোধ ভারতের জনগণের সঙ্গে নয়, বরং বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারত সরকারের নীতির সঙ্গে।
বাংলাদেশে 'ইন্ডিয়া আউট' ক্যাম্পেইন জোরদার হচ্ছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এটা দেশটির প্রভাবের বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিবাদ।
প্রচারণা সম্পর্কে আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে রিজভী উল্লেখ করেন যে, আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের সামাজিক মাধ্যমের আন্দোলনকে ‘সমীচীন নয়’ বলে মনে করেছেন। যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটভূমিতে ভারতের ভূমিকার প্রতি জনগণের অসন্তোষের বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে অস্বস্তির বহিঃপ্রকাশ।
আরও পড়ুন: কিংস পার্টি বিএনএম গঠনে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার মেজর হাফিজের
কিংস পার্টি বিএনএম গঠনে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার মেজর হাফিজের
কিংস পার্টি বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট (বিএনএম) গঠনে মূল ভূমিকা রাখার কথা অস্বীকার করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার বনানীতে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
হাফিজ বলেন, পবিত্র রমজানের কারণে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মধ্যে সংসদ সদস্য ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে তার একটি ছবি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, ছবিটি ব্যবহার করে কয়েকটি পত্রিকা কাল্পনিক প্রতিবেদন তৈরি করেছে। যা ছয়বার সংসদ সদস্য এবং দুইবার মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘৩৭ বছরের রাজনৈতিক জীবনে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক ছিল এবং তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ছিল। তারপরও আমার অপরিচিত কিছু সাংবাদিক এমন সংবাদ প্রকাশ করছেন, যা আমার এবং দল ও সমর্থকদের জন্য বিভ্রান্তিকর।’
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করছে আওয়ামী লীগ: মেজর হাফিজ
তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দল গঠনের প্রস্তাব পেয়েছিলাম। তারা সাকিব আল হাসানকে আমার কাছে নিয়ে এসেছিল, কিন্তু আমি তাকে দলে আসতে প্রভাবিত করিনি।’
কোনো অন্যায় করেননি বলে দাবি করে এই বিএনপি নেতা প্রশ্ন করেন, ‘আমি কি বিএনএমে যোগ দিয়েছি? আমি কি বিএনপি ভেঙেছি? এটা স্পষ্ট যে আমি দলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলাম। কিন্তু আমি তা প্রত্যাখ্যান করেছি। এখন তারা আমার দল ও আমার সমর্থকদের বিভ্রান্ত করতে গুজব ছড়াচ্ছে।’
কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা তাকে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের পরামর্শ দিয়েছিলেন উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমি তাদের বলেছি, রাজনীতির কোনো শর্টকাট পথ নেই।’
আরও পড়ুন: বিএনপি ভেঙে নতুন দল গঠনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন মেজর হাফিজ
হাফিজ বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিক তার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। তারা লক্ষ্য করেছেন বিএনপির নীতি নির্ধারণী প্রক্রিয়া নিয়ে আমার ভিন্ন মত রয়েছে। তারা ধরে নিয়েছিল, আমি বিএনপি ছাড়তে আগ্রহী।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, ৩২ বছর পর দল ছেড়ে যাওয়া তার পক্ষে অসম্ভব বলে তাদের জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি তাদের বলেছি, আমি শারীরিকভাবে ভালো নেই। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আমি রাজনীতি থেকে অবসর নেব।'
মেজর হাফিজ বিএনএমে যোগ দেবেন- সাবেক তথ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর এক সংবাদ সম্মেলনে মেয়র হাফিজ জানান, বিএনপির সঙ্গেই থাকবেন।
তিন-চারজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা বিএনএম গঠন করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা সাকিব আল হাসানকে তার কাছে নিয়ে এসেছিলেন এবং তিনি (সাকিব) রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।
হাফিজ বলেন, 'আমি সাকিবকে বলেছি এটা তোমার ব্যাপার। তুমি এখনও খেলছ তবে রাজনীতি নিয়ে আরও ভাব। আমার কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা না পেয়ে সাকিব সেখান থেকে চলে যায়।’
আরও পড়ুন: বিএনপিই দেশের প্রথম কিংস পার্টি: তথ্যমন্ত্রী
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘আমার ফোন কলে কোনো দল ইসির নিবন্ধন পাবে, এটা বাস্তবসম্মত নয়। আমি কিছু বললাম না। কারা এটা করেছে, আপনারা জানেন।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপির কোনো দলীয় কাউন্সিল হয়নি। আমি বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার কথা বলেছি। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে কখনো অপ্রীতিকর কিছু বলিনি।’
আরও পড়ুন: ইসির নিবন্ধন পেল বিএনএম ও বিএসপি
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে: বিএনপি
দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জুম অ্যাপের মাধ্যমে দেওয়া বক্তব্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে ডিপ ফেক প্রযুক্তি দিয়ে বিকৃত করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ডিপ ফেক ভিডিওটি সরকারপন্থী কয়েকটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও গণমাধ্যমের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেশ-বিদেশের বিএনপির শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
শুধু ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানই নয়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ অন্য সদস্যদের ডিপ ফেক ভিডিও তৈরি করা হচ্ছে।
রবিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, বিএনপির আইটি বিভাগের তদন্তে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের হয়ে বিরোধীদলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে কাজ করছে ‘নাহিদ রেইন’ নামে একজন প্রতারক।
এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, কিন্তু সত্য হলো, প্রধান অপরাধীকে অনলাইন ও অফলাইনে সহায়তা করছে এক প্রভাবশালী বিদেশি।
রুহুল কবির রিজভী বিএনপি নেতাদের নামে চাঁদাবাজির অপরাধে অবিলম্বে নাহিদ রেইনকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, গত ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের অ্যাঙ্কর ও লোগো ব্যবহার করে তাদের মিথ্যা উন্নয়নের অসংখ্য ডিপ ফেক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছে।
এছাড়া তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা দূতাবাস সম্পর্কেও ডিপ ফেক ভিডিও তৈরি করেছে।
রিজভী আরও বলেন, ডিপ ফেক ভিডিওটির গুরুত্ব অনুধাবন করে ফিনান্সিয়াল টাইমসের সংবাদদাতা বেঞ্জামিন পার্কিন গত ১৪ ডিসেম্বর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন, যেখানে তিনি দেখিয়েছেন যে কীভাবে এআই ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের একটি দুর্বৃত্ত চক্র ডিপ ফেক ভিডিও তৈরি করছে।
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করার সময় বাড়ানো ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে আবেদন
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজার স্থগিতাদেশ আরও একবার বাড়ানো এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।
তার জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে- দাবি করে এই আবেদন করেন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার।
এর আগে ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়েছিল সরকার। এ নিয়ে তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আটবারের মতো বাড়ানো হলো।
আরও পড়ুন: পাঁচ মাস পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশত্যাগ না করার শর্তে তার সাজা স্থগিত করে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এরপর থেকে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি ছয় মাস অন্তর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
এর আগে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। পরে ওই বছরই আরেকটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার পানি বৃদ্ধি-রক্তক্ষরণ রোধে টিআইপিএস দিয়েছেন মার্কিন চিকিৎসকরা
দেশে ‘বাকশাল-২’ কায়েম হয়েছে: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, দেশে 'বাকশাল-২' কায়েম করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ মার্চ) সম্প্রতি কারাগার থেকে বের হওয়া ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম পলের বাসায় সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ড. আব্দুল মঈন এ কথা বলেন।
আব্দুল মঈন বলেন, ‘আপনারা জানেন, অতীতে গণতন্ত্রকে হত্যা করে সংসদে বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল। এখন বিরোধীদের কোনো জায়গা নেই। এখন এটাই আজকের বাংলাদেশের বাস্তবতা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি, দমন-পীড়নের মাধ্যমে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করা অসম্ভব।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ গণতন্ত্রের পরিবর্তে দেশে একটি ‘অলিগার্কি’ তৈরি করেছে: মঈন খান
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস।’
তিনি বলেন, ‘তারা বলে বিএনপির জন্ম নাকি ক্যান্টনমেন্টে… আমি জানি না তারা কোথা থেকে এই তথ্য পেয়েছে, তবে আমি বিষয়টি পরিষ্কার করতে চাই। জিয়াউর রহমান সৈনিক ছিলেন, কিন্তু তিনি বাকশাল শাসন থেকে মুক্ত করে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নিজেদের গণতন্ত্রপন্থী ও স্বাধীনতাকামী দল বলে দাবি করলেও গণতন্ত্র চুরি করে একদলীয় বাকশাল শাসন কায়েম করেছে।’
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করছে আওয়ামী লীগ: মেজর হাফিজ
তিনি আরও বলেন, ‘এখানেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পার্থক্য।’
ড. মঈন প্রশ্ন করেন, ‘আওয়ামী লীগ দাবি করে তারা গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দল, তাহলে তারা কেন দেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে?’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মূল চেতনা গণতন্ত্র। ৫৩ বছর আগে আমরা বলেছিলাম, পাকিস্তান কাঠামোতে গণতন্ত্র সম্ভব নয় এবং তার জন্যই বাংলাদেশ গঠিত হয়।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের সৌন্দর্য ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের সহাবস্থানে, কিন্তু আওয়ামী লীগ তা বিশ্বাস করে না।’
আরও পড়ুন: সরকার জনগণের কাছে সিন্ডিকেট ও লুটেরা হিসেবে পরিচিত: রিজভী
সরকার জনগণের কাছে সিন্ডিকেট ও লুটেরা হিসেবে পরিচিত: রিজভী
আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের কাছে সিন্ডিকেট ও লুটেরা হিসেবে পরিচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে আওয়ামী লীগ মুসলমানদের ইফতারের আয়োজনে উপর হামলা চালিয়েছে।
রিজভী বলেন, মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও তাদের সংস্কৃতিকে দুর্বল করে এবং আলেম-ওলামাদের (ইসলামি পণ্ডিত) সম্প্রদায়কে দমন করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে।
তিনি দাবি করেন, তারা তাদের প্রভুকে খুশি করার জন্য এটি করে।
আরও পড়ুন: বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে ছিল আ. লীগ সরকার: রিজভী
শুক্রবার (১৫ মার্চ) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ইফতার ছাড়া সব ধরনের অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যেখানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও হাছান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু ইফতার আয়োজকরা আওয়ামী লীগের হামলার শিকার হয়েছেন। এটা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ।
মুসলমানরা যখন কোনো অনুষ্ঠান উদযাপন করতে চায়, তখন কাদের ও তার দলের নেতারা কেন লজ্জিত হন বলে প্রশ্ন তোলেন বিএনপি নেতা।
কখনো আওয়ামী লীগ তাদের স্বার্থে ইসলামকে ব্যবহার করে, আবার কখনো ছুঁড়ে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগণ তাদের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ হারাতে যাচ্ছে, কারণ তারা ইতোমধ্যেই তাদের ভোটাধিকার হারিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ডামি আওয়ামী লীগ সরকার গরিব মানুষের কণ্ঠস্বরকে ন্যূনতম পাত্তা দেয় না।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের রমজানে ক্ষুধার্ত মানুষের ‘এসওএস বার্তা’ শুনতে পাচ্ছেন না বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের পথ বেছে নিয়েছে। তাদের একজন সাবেক মন্ত্রীর লন্ডনে ২০০ মিলিয়ন পাউন্ডের ৩৫০ টিরও বেশি সম্পদ রয়েছে। এছাড়া তারা দুবাই, কুয়ালালামপুর, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকায় অর্থ পাচার করেছে।
রিজভী আরও বলেন, ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের একমাত্র এজেন্ডা হচ্ছে বিএনপিকে রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন করা।
তিনি বলেন, পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছেন না, পাশাপাশি তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।
কয়েকটি গণমাধ্যম হিতাহিত জ্ঞান হারিয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত ও ফ্যাক্ট চেক ছাড়া শুধু শেখ হাসিনাকে খুশি করার জন্য তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করাকে অভ্যাসে পরিণত করেছে।
রিজভী বলেন, একটি গোয়েন্দা সংস্থার ব্যবস্থাপত্র মেনে গতকাল বৃহস্পতিবার একটি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে বলে জনগণ এখন বিশ্বাস করে।
প্রতিষ্ঠান হিসেবে পত্রিকাটি নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারেনি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিরোধী দলকে ঘায়েল করতে সিএসএ-কে অস্ত্র বানিয়েছে আ. লীগ: রিজভী
বিদ্যুৎ খাত গভীর সংকটে: রিজভী
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করছে আওয়ামী লীগ: মেজর হাফিজ
দেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) আসন্ন স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিএনপির এক সভায় এ অভিযোগে করেন তিনি।
মেজর হাফিজ বলেন, একাত্তরে অর্জিত স্বাধীনতা বাঙালি জাতির জন্য গর্বের বিষয়।
স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিতর্কিত করা হচ্ছে বলে আক্ষেপ করেন তিনি।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস প্রতিদিন গল্প-কবিতার মতো লেখা হচ্ছে।
হাফিজ বলেন, যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ৮০ হাজার বা ১ লাখ, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, প্রায় আড়াই লাখ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধ কীভাবে শুরু হয়েছিল তা নিয়ে জনগণকে অন্ধকারে রাখা হচ্ছে।
মেজর হাফিজ বলেন, ২৫ মার্চ পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের পর স্বাধীনতার সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু হয়। স্বাধীনতা আনতে দেশের মানুষ প্রাণ উৎসর্গ করেছে। আওয়ামী লীগ এ নিয়ে কথা বলে না। কারণ স্বাধীনতা যুদ্ধে তাদের (আওয়ামী লীগের) কোনো অবদান নেই বলে দাবি করেন বিএনপির এ নেতা।
আরও পড়ুন: আ.লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে: মির্জা ফখরুল
তিনি আরও বলেন, মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা প্রতিটি প্রান্তের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে প্রভাবিত করেছিল। জিয়ার ঘোষণার পর বিশ্ব সম্প্রদায় জানতে পারে। কিন্তু শাসক মহল জিয়ার ঘোষণা নিয়ে রসিকতা করে বলেছিল যে ‘গার্ড বেল বাজাল’।
বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান বলেন, মেজর জিয়া ছিলেন একজন সাহসী মুক্তিযোদ্ধা এবং সেক্টর কমান্ডার যিনি যুদ্ধের ময়দানে অবস্থান করে যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আর অন্যান্য সেক্টর কমান্ডাররা ভারতে ছিলেন।
কিন্তু তরুণ প্রজন্মকে বিপথগামী করার জন্য আওয়ামী লীগ তাকে পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) এজেন্ট হিসেবে চিত্রিত করেছে।
মেজর হাফিজ অভিযোগ করেন, লাখ লাখ ছাত্র, যুবক ও সৈনিকদের অবদানকে উপেক্ষা করে সব কৃতিত্ব দাবি করে স্বাধীনতা যুদ্ধকে বিকৃত করছে আওয়ামী লীগ।
তিনি আরও বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল যাদের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে কোনো অবদান ছিল না, তারা স্বাধীনতা ও সব অর্জনকে ছিনতাই করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি ভেঙে নতুন দল গঠনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন মেজর হাফিজ