������������������������
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫৭ শিবির নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে গোপন বৈঠক করার সময় ইসলামী ছাত্র শিবিরের ৫৭ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে সংগঠনের বই, জিহাদি লিফলেট ও গেঞ্জি উদ্ধার করে পুলিশ। নাচোল উপজেলার নেজাপুর ইউনিয়নের দোগাছী এলাকার স্বপ্নপল্লী পার্ক থেকে রবিবার সন্ধ্যায় দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ জেলায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: রেটিনা কোচিং সেন্টার থেকে শিবিরের ৯ নেতা-কর্মী আটক
নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু রহমান জানান, স্বপ্নপল্লী পার্কে শিবির নেতাকর্মীরা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার জন্য সমবেত হয়েছে এমন খবরের ভিত্তিতে রবিবার সন্ধ্যায় সেখানে অভিযান চালানো হয়। এই সময় ১২ থেকে ১৩ বছরের অল্প বয়সি বেশ কিছু ছেলেসহ ২০২ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে সংগঠনের বিভিন্ন বই, জেহাদি লিফলেট, গেঞ্জি উদ্ধার করে পুলিশ। এর গভীর রাত পর্যন্ত যাচাই বাছাই শেষে সোমবার ৫৭ জনের বিরুদ্ধে নাচোল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ২ উপজেলায় বিএনপির ১০ নেতা-কর্মী আটক
মিহির ঘোষের মুক্তির দাবিতে সমাবেশ ও মশাল মিছিল
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) বাতিল ও কমিউনিস্ট পার্টি বাংলাদেশের (সিপিবি) প্রেসিডিয়াম সদস্য মিহির ঘোষের মুক্তির দাবিতে সমাবেশ ও মশাল মিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈম বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কোনো আইন হিসেবে না, সরকার এটাকে মুক্ত কণ্ঠরোধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।
সমাবেশে বক্তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে গ্রেপ্তার হওয়া সমস্ত বন্দীর মুক্তি দাবি করেছে।
সমাবেশ শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক ও রাজু ভাস্কর্য প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি পল্টন মোড়ের দিকে এগিয়ে যায়। সেখানে মিছিল পরবর্তী প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি ভিসির পদত্যাগের দাবিতে বরিশালে মশাল মিছিল
রাজধানীতে বিজয় মিছিলে যানজট, দুঃখ প্রকাশ আওয়ামী লীগের
বিএনপির মশাল মিছিল দেখে জনগণ আতঙ্কিত হয়: তথ্যমন্ত্রী
রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রস্তাব কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইন প্রণয়ন ও রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকারসহ ছয় দফা প্রস্তাব দিয়েছে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। তবে আইন প্রণয়ন সম্ভব না হলে সার্চ কমিটির পরিবর্তে ব্যক্তিত্বসম্পন্ন দেশপ্রেমিক মানুষদের দিয়ে জনগণের আস্থাভাজন ও গ্রহণযোগ্য পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব দেন দলটির নেতারা। এই নির্বাচন কমিশনে দু’জন নারী সদস্য অন্তর্ভুক্ত হবেন।
রবিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতারা এই ছয় দফা প্রস্তাব দিয়েছেন। দলটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনের দরবার হলে অনুষ্ঠিত আলোচনায় অংশ নেয়। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রতিনিধিদলকে বঙ্গভবনে স্বাগত জানান।
প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও মুক্ত রাখার প্রস্তাব করেন। তারা নির্বাচন কমিশনকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত না নিয়ে কোনো নির্বাচনী বিধি বিধান প্রণয়ন না করারও প্রস্তাব করেন। প্রতিনিধিদল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার প্রস্তাব করেন। তারা বলেন, নির্বাচন কমিশনের দক্ষতার চেয়েও সরকারের নিরপেক্ষতা বেশি জরুরি।
রাষ্ট্রপতি মতামত প্রদানের জন্য তাদের ধন্যবাদ জানান এবং আশা প্রকাশ করেন একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে তাদের মতামত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের সংলাপ বর্জন করলেই সব সমস্যার সমাধান হবে না: গণ ফ্রন্ট
ইসি নিয়ে সংলাপ: ৩ দফা দাবি গণফোরাম ও বিকল্পধারার
ইসি নিয়ে সংলাপে অংশ নেবে না জেএসডি
‘অর্থহীন’ আখ্যা দিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে বঙ্গভবনে চলমান সংলাপে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)।
শুক্রবার রাজধানীর উত্তরায় নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রব এ ঘোষণা দেন।
এসময় তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠন একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সমাধান নয়। সঙ্গত কারণেই জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল সংলাপে অংশ নিচ্ছে না।’
রব বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা ও দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন কমিশনের ওপর নয়, 'জাতীয় সরকার' গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে সংলাপ হতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সংবিধানের চেতনা ও সংকল্পের প্রতিনিধিত্ব না করায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনরত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা দায়ের এবং পুরনো মামলায় আবারও গ্রেপ্তার শুরু করেছে। তাই শুধু নির্বাচন কমিশন গঠনই নিরপেক্ষ নির্বাচনের নিশ্চয়তা নয়।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে সংলাপ: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসলামী ফ্রন্ট ও জমিয়তে উলামায়ের বৈঠক
সোমবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেয়ার কথা ছিল জেএসডি (রব)।
জ্যেষ্ঠ এই নেতার অভিযোগ, ‘নির্বাচন প্রশ্নে রাষ্ট্রপতি, সরকার ও নির্বাচন কমিশন সংবিধান লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত। যারা সংবিধান লঙ্ঘন করেছে তাদের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
বর্তমান নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই পক্ষপাতমূলক আচরণের মাধ্যমে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে।
জাসদ সভাপতি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অপসারণ চেয়ে ২০১৯ সালে দেশের ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি কোনো ব্যবস্থা নেননি।
দলীয় সরকারের অধীনে দেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সুতরাং, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের নিশ্চয়তা এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ লক্ষ্যে আমরা ইতোমধ্যে জাতীয় সরকারের প্রস্তাবনা পেশ করেছি। ’
গত ২০ ডিসেম্বর নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রপতি ইতোমধ্যেই বঙ্গভবনে ২৮টি দলকে আলোচনায় যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে সংলাপ: ৩ দফা দাবি গণফোরাম ও বিকল্পধারার
এর আগে বিএনপি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) আলোচনায় না আসার সিদ্ধান্ত নেয়।
কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি।
সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের সংলাপ বর্জন করলেই সব সমস্যার সমাধান হবে না: গণ ফ্রন্ট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপি-ছাত্রলীগের সমাবেশ, ১৪৪ ধারা জারি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপি ও ছাত্রলীগ একই স্থানে সমাবেশ ডাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত শহরের ফুলবাড়িয়া কনভেনশন সেন্টার ও এর সংলগ্ন বালুর মাঠ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় এ আদেশ কার্যকর থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে আগামীকাল (৮ জানুয়ারি) শনিবার শহরের ফুলবাড়িয়ায় মহাসমাবেশ ডাকে বিএনপি। একই স্থানে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশের ডাক দেয় ছাত্রলীগও। এতে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ায় পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা থাকে। তাই ফৌজধারী কার্যবিধির ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারায় বিধান মোতাবেক ফুলবাড়িয়া কনভেনশন সেন্টার ও এর সংলগ্ন বালুর মাঠ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হল।
একই সাথে ৪ জনের অধিক ব্যাক্তির জমায়েত, রাজনৈতিক প্রচারণামূলক কর্মকাণ্ড, মাইক বা প্রচারযন্ত্রের ব্যবহারও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: আরও ৪০ জেলায় সমাবেশ করবে বিএনপি
খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে ‘হত্যা মামলার আসামি’ করার হুঁশিয়ারি বিএনপির
ইউপি নির্বাচন: দামুড়হুদায় তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোট বর্জন
কারচুপির অভিযোগ তুলে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের তিন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রুহুল আমিন (মোটরসাইকেল) ও সজীব মাহমুদ (হাতপাখা)। আর নির্বাচনী এলাকায় ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোনাজাত হোসেন (গোলাপ ফুল)।
এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সোহরাব হোসেনসহ ওই তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রুহুল আমিন ও সজীব মাহমুদ জানান,জুড়ানপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইব্রাহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র বাদে সকাল থেকে প্রতিটি কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখিয়ে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফটিকছড়িতে নির্বাচনী সহিংসতায় ব্যবসায়ী নিহত
নৌকার প্রার্থীর লোকজন জোর করে নৌকা প্রতীকে সিল মেরে নিচ্ছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানালে তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিলেও পরবর্তীতে আবারও একই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। তাই আমরা নির্বাচন বর্জন করছি।
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোনাজাত হোসেন জানান, নৌকা প্রার্থীর লোকজন আধিপত্য বিস্তার করছে। তারা জুড়ানপুর ইউনিয়নে কাউকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেবে না। কেন্দ্র থেকে আমার পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়ে তারা নৌকায় সিল মারছে। তাই আমি ভোট বর্জন করছি।
জুড়ানপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানান, তিন প্রার্থী আমাকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছেন। অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: নরসিংদীতে সহিংসতায় নিহত বেড়ে ৩
চতুর্থ ধাপে ৮৪০ ইউপি নির্বাচনের ভোট ২৩ ডিসেম্বর
ধর্ষণ মামলায় হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত।
বুধবার (০৩ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রকিবুদ্দিন আহমেদ এর আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আনিসুর রহমান এই মামলার অভিযোগ গঠন করেন।
এ বিষয়ে আইনজীবী রকিবুদ্দিন আহমেদ জানান, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল জেলার সোনারগাঁ থানায় মামলা করেন তার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা। ওই মামলায় গ্রেপ্তার মামুনুল হককে বুধবার নারায়ণগঞ্জের আদালতে হাজির করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর আবেদন মঞ্জুর করে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
এর আগে এদিন সকাল ১০টায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মামুনুল হককে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে এক নারীসহ স্থানীয়দের হাতে অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক। ঘটনার খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাংচুরসহ স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর করে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও তাণ্ডব চালিয়ে প্রায় দুই শতাধিক যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে তারা।
সেদিন রিসোর্টে মামুনুল জান্নাত আরা ঝর্ণাকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবি করলেও এর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। ঘটনার প্রায় এক মাস পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন ঝর্ণা।
আরও পড়ুন:মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ‘দ্বিতীয় স্ত্রীর’ ধর্ষণ মামলা
মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী নিখোঁজ; পল্টন থানায় জিডি
মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবা ডিবি হেফাজতে
বিশ্বনাথে জামায়াত নেতা গ্রেপ্তার
সিলেটের বিশ্বনাথে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমীর ও খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুরে বিশ্বনাথ পৌরশহরের পুরানবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের বিয়য়টি নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অলক দাশ বলেন, গ্রেপ্তারের পরই নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ, ২০১৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বিশ্বনাথ উপজেলার গন্ধারকাপন গ্রামে উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাস্টার এমাদ উদ্দিনের বাড়িতে অনুষ্ঠিত এক গোপন বৈঠক (উপজেলা মাসিক বৈঠক) থেকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা লোকমান আহমদসহ বিশ্বনাথ উপজেলা জামায়াতের শীর্ষ ১৭ নেতাকে আটক করে পুলিশ।
এঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় আসামি করা হয় উপজেলা জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমীর ও খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকীকে। তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুন: জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেলসহ ১০ নেতাকর্মী আটক
জামায়াত নেতাদের মুক্তির দাবি এলডিপি প্রধানের
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেলসহ ১০ নেতাকর্মী আটক
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ দলটির ১০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যার পর রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে পুলিশ তাঁদের আটক করে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (মিডিয়া) অতিরিক্ত উপকমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটক অন্য ব্যক্তিরা হলেন, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও হামিদুর রহমান আজাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য আবদুর রব, ইজ্জত উল্লাহ ও মোবারক হোসাইন, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত এবং দলের অফিসের তিনজন কর্মচারী।
আরও পড়ুন: জামায়াত নিষিদ্ধে সরকারের কিছু করার নেই: প্রধানমন্ত্রী
ইফতেখায়রুল ইসলাম বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর কিছু নেতা গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছেন- এমন সংবাদের ভিত্তিতে বসুন্ধরার ওই বাড়িতে ডিএমপির একটি দল অভিযান চালিয়ে সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ দলটির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
এদিকে এক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামী এই আটকের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং আটক নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। সোমবারের এই বৈঠক নিয়মিত বৈঠকের একটি অংশ বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের নির্যাতনের শিকার নারীকে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহযোগিতা
সরকারকে ‘ক্ষমতাচ্যুত’ করতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চান ড. কামাল
সরকারকে ‘ক্ষমতাচ্যুত’ করতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চান গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘মানুষকে দুঃশাসন ও স্বৈরশাসন থেকে বাঁচাতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে ‘ক্ষমতাচ্যুত’ করতে হবে। আমরা দু:শাসন ও স্বৈরশাসনের শিকার। আমাদের অবশ্যই এর থেকে মুক্ত হতে হবে। আমরা এভাবে দেশ চালাতে দিতে পারি না। মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের অবশ্যই পরিবর্তন আনতে হবে।’
রবিবার গণফোরামের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় ড. কামাল এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়ে বিপুল অর্থ চুরি করেছে। তারা বিপুল সম্পদ সংগ্রহ করেছে। আমাদের এই শাসককে অপসারণ করতে হবে।’
জনগণের শক্তিতে দেশকে বাঁচাতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে ড. কামাল বলেন, ‘মানুষের মধ্যে ঐক্য আছে। কিন্তু বিরোধী দলগুলোকে জনসাধারণের ম্যান্ডেট দিয়ে সরকার গঠনের জন্য এটিকে শক্তিশালী করতে হবে। আমাদের এখনই এটি শুরু করতে হবে। কারণ অনেক সময় ইতোমধ্যে কেটে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘মানুষ এখন বুঝতে পারে যে দমন -পীড়ন ও দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে তাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে পাকিস্তানিদের প্রতিরোধ করেছি। আমি বিশ্বাস করি যে যদি আমরা এখন সেই ঐক্য ব্যবহার করি, তাহলে আমরা অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারবো। আমরা ঘরে ঘরে এবং মাঠে মাঠে গিয়ে আন্দোলনের জন্য মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করব।’
আরও পড়ুন: সরকার হটাতে শক্তিশালী জোট চান ফখরুল
স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রশ্রয়দাতাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: তথ্যমন্ত্রী