আইনশৃঙ্খলা
মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা
'একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম’-ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের এমন বক্তব্যকে আদালত অবমাননা উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় আদালত অবমাননামূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে মেয়র তাপসকে আদালতে তলব করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রবিবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় অ্যাডভোকেট শাহ আহমদ বাদল এ মামলা করেন। সরকার সমর্থকদের একতরফা ভোটের প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সদস্যদের তলবী সভা থেকে গঠিত অ্যাডহক কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহ আহমদ বাদল।
গত ২১ মে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সভায় মেয়র তাপস তার বক্তব্যের এক পর্যায়ে বলেন- ‘একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম’।
আরও পড়ুন: ধাপে ধাপে পর্যায়ক্রমে ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো সংস্কার ও সংরক্ষণ করা হবে: মেয়র তাপস
এই বক্তব্য গত ২৩ মে এক দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তাপসকে উদ্ধৃত করে সেখানে বলা হয়- ‘মনটা চায় আবার ইস্তফা দিয়ে ফিরে আসি। যেখানে মুগুর দেওয়ার সেটিও জানি। একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম। মশিউজ্জামানকে (বারের গত নির্বাচনের সাবকমিটির প্রধান) আমরা মনে করতাম- ওরে বাবা, কী জানি ফেরেস্তা আসছে। সবচেয়ে বড় চোর হলো মশিউজ্জামান। যেসব সুশীল আমাদের বুদ্ধি দিতে যাবেন, সেসব সুশীলকে আমরা বস্তায় ভরে বুড়িগঙ্গা নদীর কালো পানিতে ছেড়ে দেব।’
গত ২৪ মে মেয়র তাপসের এই বক্তব্য আপিল বিভাগের নজরে আনেন সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম। এ সময় তার সঙ্গে বিএনিপন্থী সব শীর্ষ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আদালতে বলেন, ‘মেয়র তাপস বলেছেন, মনটা চায় আবার ইস্তফা দিয়ে ফিরে আসি। একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম। মশিউজ্জামানকে (বারের গত নির্বাচনের সাব কমিটির প্রধান) আমরা মনে করতাম, ওরে বাবা, কী জানি ফেরেশতা আসছে। সবচেয়ে বড় চোর হলো মশিউজ্জামান। যে সকল সুশীলরা আমাদেরকে বুদ্ধি দিতে যাবেন সেই সকল সুশীলদের আমরা বস্তায় ভরে বুড়িগঙ্গা নদীর কালো পানিতে ছেড়ে দেবো।’
ব্যারিস্টার আমীর বলেন, ‘আমরা সংক্ষুব্ধ। এই বক্তব্যে সিনিয়র আইনজীবীদের হেয় করা হয়েছে।’
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এ বিষয়ে বলেন, ‘পত্রিকায় আসা সংবাদটি ভালোভাবে পড়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’
আইনজীবী শাহ আহমদ বাদল বলেন, ‘আপিল বিভাগ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় আমরা তাপসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেছি।’
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অংশীজনদের থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করি: মেয়র তাপস
দুই মামলায় মামুনুল হকের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ
২০২১ সালে ঢাকার পল্টন থানায় করা মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (৪ জুন) বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইমরান আহম্মদ ভূঁইয়া।
রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইমরান আহম্মদ ভূঁইয়া এক জাতীয় দৈনিককে বলেন, ‘এ দুই মামলায় জামিন আবেদনের ওপর শুনানি গ্রহণ শেষে আদালত জামিন দিতে চাননি। তখন তার আইনজীবী আবেদন দু’টি ফেরতের আবেদন জানান। তখন আদালত আবেদন দু’টি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: আরও ৩ মামলায় জামিন পেল মামুনুল হক
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর ঘিরে সহিংসতায় রাজধানীর পল্টন থানা ২০২১ সালের এপ্রিলে দু’টি মামলা হয় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানাধীন রয়েল রিসোর্টে জান্নাত আরা ঝর্ণাসহ মামুনুল হককে আটক করে স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে ঝর্ণাকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবি করেন মামুনুল। ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টকাণ্ডের পর থেকেই মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ তাকে নজরদারিতে রেখেছিল।
পরে ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের আলোচিত নেতা মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা করেন তার দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা।
তার বিরুদ্ধে করা ৪১টি মামলার মধ্যে মতিঝিল থানায় করা চারটি, পল্টন থানায় ৯টি, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় তিনটি, সিদ্ধিরগঞ্জে তিনটি, হাটহাজারী মডেল থানায় আটটি, খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় একটি, কুমিল্লার চান্দিনা থানায় একটি, রাজধানীর ভাটার থানায় একটি, মোহাম্মদপুর থানায় একটি, দারুস সালাম থানায় পাঁচটি ও মিরপুর মডেল থানায় তিনটি।
এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনালেও দু’টি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫ মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বাবুল আক্তারের জামিন
চট্টগ্রামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে একই আইনের অধীনে ঢাকায় করা এক মামলায় জামিন আবেদনের আদেশ দুই মাসের জন্য মুলতবি (স্ট্যান্ড ওভার) রেখেছেন।
রবিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ জামিন দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পি।
এর আগে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি চট্টগ্রামের মামলায় তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেছিলেন বিচারিক আদালত। পাশাপাশি ঢাকায় করা মামলায়ও জামিন না মঞ্জুর করা হয়। পরে তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। স্ত্রী হত্যা মামলায় ২০২১ সালের মে মাসে গ্রেপ্তার হয়ে বাবুল বর্তমানে কারাগারে আছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সাইবার মামলায় জামিন পেলেন বাবুল আক্তারের বাবা ও ভাই
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা গত বছরের ১৯ অক্টোবর খুলশী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন। মামলায় বাবুল আক্তার ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন, বাবুলের ভাই হাবিবুর রহমান ও বাবা ওয়াদুদ মিয়াকে আসামি করা হয়। মামলায় বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা খানম হত্যা মামলা নিয়ে মিথ্যা-অসত্য তথ্য সরবরাহ প্রচারের অভিযোগ আনা হয়। একই অভিযোগে এ আসামিদের নামে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন পিবিআইপ্রধান বনজ কুমার মজুমদার।
মামলায় অভিযোগ, মাহমুদা হত্যা মামলা নিয়ে আসামিরা ফেসবুক-ইউটিউবে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। এতে পিবিআই ও সংস্থাপ্রধানের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। বাবুল, হাবিবুর ও ওয়াদুদের যোগসাজশে বিদেশে থাকা ইলিয়াস মিথ্যা তথ্য প্রচার করেন।
২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা। এ মামলায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুলসহ সাতজনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পিবিআই। এ মামলায় চলতি বছরের ১৩ মার্চ বাবুল আক্তারসহ সাতজনের নামে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালত।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের বাবা ও ভাই
কুমিল্লায় স্কুলছাত্র হত্যায় ৫ জনের ফাঁসি
কুমিল্লার হোমনায় স্কুলছাত্র আশিকুর রহমান আশিক হত্যার দায়ে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। তাদের প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া দুজনকে কারাদণ্ড এবং এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে জোড়া খুনের মামলায় ৯ জনের ফাঁসি
রবিবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার আসাদপুরের মো. সুজন মিয়া (২৫), আল আমিন (৩০), সোহেল মিয়া (২৫), মো. শাহিন মিয়া (২৭) ও মো. সোহাগ মিয়া (২৮)।
এছাড়াও একই রায়ে আকিমুল হক মধু ও আবদুর রহমানকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। খালাস দেয়া হয় মো. সোহেলকে।
রায়ের সময় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সোহেল ও বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রাপ্ত আকিমুল হক মধু, আবদুর রহমান ও খালাস প্রাপ্ত আসামি সোহেল ছাড়া বাকি আসামিরা পলাতক ছিলো।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম বলেন, ২০১২ সালে আশিক অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো। ওই সময় প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আশিকুর রহমান আশিককে বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে জবাই করে হত্যা করে দণ্ডপ্রাপ্তরা।
রায়ে সন্তুষ প্রকাশ করে নিহত আশিকের বাবা মো. হারুন ভূইয়া বলেন, উচ্চ আদালতেও যেন এই রায় বহাল থাকে পাশাপাশি রায় যেন দ্রুত কার্যকর করা হয়।
কুমিল্লা আদালতের পরিদর্শক মুজিবুর রহমান বলেন, আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাবি অধ্যাপক ড. তাহের খুন: ২ আসামির ফাঁসি স্থগিত চেয়ে রিট
নারায়ণগঞ্জে চার খুন: ২৩ ফাঁসির আসামির ব্যাপারে হাইকোর্টের রায় ৪ এপ্রিল
মে মাসে ২৮২ কোটি ৩৩ লাখ টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত মে মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২৮২ কোটি ৩৩ লাখ টাকার বিভিন্ন ধরনের চোরাচালান পণ্য ও অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে।
একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জব্দকৃত সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ২০ কেজি ৫৬৯ গ্রাম স্বর্ণ, ৮৮ কেজি ৬৯৪ গ্রাম রূপা, ১ লাখ ৫১ হাজার ৬৪৫টি কসমেটিক সামগ্রী, ২ হাজার ৭৬৬টি ইমিটেশন জুয়েলারি, ২১ হাজার ৪৮১টি শাড়ি, ১ হাজার ২৭৫টি থ্রি-পিস/শার্টের টুকরো/চাদর/কম্বল, ৩ হাজার ৯১১টি তৈরি পোশাক, ১ হাজার ৯২৪ ঘনফুট কাঠ, ৬ হাজার ৬৬ কেজি চা পাতা। ১ লাখ ৬৫ হাজার ঘটফুট পাথর, ১০টি ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান, ১১টি পিকআপ, ৫টি প্রাইভেটকার, ২৫টি সিএনজি/ইজিবাইক এবং ১১৬টি মোটরসাইকেল।
জব্দ করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- আটটি পিস্তল, আটটি ম্যাগাজিন, সাতটি সব ধরনের বন্দুক, ১০০ কেজি সালফার, চারটি বিস্ফোরক লাঠি, সাতটি ডেটোনেটর ও ৪০ রাউন্ড গুলি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শারজাহ ফ্লাইট থেকে ১.৩ কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ
গত মাসেও বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে বিজিবি। জব্দকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে ১৯ লাখ ৫৫ হাজার ২১০ পিস ইয়াবা বড়ি, ২৮ কেজি ৭১০ গ্রাম ক্রিস্টাল
মেথ আইস, ২৭ কেজি ৮৬০ গ্রাম হেরোইন, ২২ হাজার ৬১৪ বোতল ফেনসিডিল, ২৩ হাজার ৬৮২ বোতল বিদেশি মদ, ৩ হাজার ৫শ’ বোতল বিদেশি মদ, ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬৩২ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট,৬ হাজার ৬৬১ ইস্কাফ সিরাপ, ৬৯৮ বোতল এমকেডিল/কফিডিল,১৭ লাখ ৭৬ হাজার ৯৪১ পিস বিভিন্ন ধরনের ওষুধ, ২ কেজি ৪৪৫ গ্রাম কোকেন এবং এক লাখ ৬০ হাজার ১৬৮টি অন্যান্য ট্যাবলেট।
বিভিন্ন ধরনের মাদক চোরাচালান ও অন্যান্য চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২২০ জন চোরাকারবারীর বিরুদ্ধে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৩১ জন বাংলাদেশী, চার ভারতীয় এবং ২৮ জন মিয়ানমারের নাগরিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে এক কেজি স্বর্ণ জব্দ, আটক ১
চাঁদপুরে কুরিয়ার সার্ভিস থেকে ২০ লাখ মিটার কারেন্ট জাল উদ্ধার
চাঁদপুর শহরের তালতলা এলাকার জননী কুরিয়ার সার্ভিস থেকে ২০ লাখ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড।
কোস্ট গার্ড ঢাকা জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকালে এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ১০ লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোস্ট গার্ড স্টেশনের অফিসার লেফটেন্যান্ট সামশ সাদিকীন-এর নেতৃত্বে জননী কুরিয়ার সার্ভিস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের অফিসে বিকাল ৪টার দিকে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ২০ লাখ মিটার নতুন কারেন্ট জাল উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, উদ্ধার জালের প্রকৃত মালিককে খুঁজে না পাওয়ায় এসময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরে জালগুলো কোস্ট গার্ড চাঁদপুর স্টেশন কম্পাউন্ডে এনে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
এ অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আখতার জাহান সাথী ও উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা জামিল হোসেনসহ অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল উদ্ধার
লক্ষ্মীপুরে ৫ কোটি টাকার কারেন্ট জাল জব্দ
বান্দরবানে কেএনএফের সদর দপ্তর দখল, ১ সেনা সদস্য নিহত
সেনাবাহিনীর একটি টহল দল বান্দরবানের রুমা উপজেলার থেপি পাড়া এলাকায় কেএনএফ (কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট) এর সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সদর দপ্তরসহ একটি গোপন প্রশিক্ষণ ক্যাম্প দখল করেছে। এই অভিযানে ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসে (আইইডি) বিস্ফোরণে সেনাবাহিনীর এক সদস্য নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কেএনএফের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প এলাকার আশেপাশে বসবাসরত স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে রুমা সেনা জোনের একটি টহল দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। কেএনএফ প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের কাছাকাছি পৌঁছালে কেএনএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসী দলটি পালিয়ে যায়। তবে ওই সময় কেএনএফের পুতে রাখা আইইডি বিস্ফোরণে সৈনিক তুজাম (৩০) আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হেলিকপ্টার দিয়ে তাকে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
সাধারণ জনগণের নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনীর বিশেষায়িত দল এই ধরনের সম্ভাব্য আইইডি চিহ্নিত করে নিষ্ক্রিয় করছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ সৈনিকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন এবং তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা বান্দরবানের রুমা, রোয়ানছড়ি ও থানচি উপজেলার পাহাড়ি জনপদে ক্রমাগত হত্যা, অপহরণ, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এই ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে আইইডি বিস্ফোরণে এক শ্রমিক নিহত
বান্দরবানে কেএনএফ নেতা গ্রেপ্তার
চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পেলেন সম্রাট
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ আদালত-৬ এর বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে সম্রাটের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত আইনের মামলাটি চার্জ শুনানির জন্য ছিল। এজন্য এদিন সম্রাট সকালে আদালতে হাজিরা দেন।
তবে তার পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী এহসানুল হত সমাজী অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ৬ জুলাই অভিযোগ শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। সম্রাটের বিদেশে গিয়ে চিকিৎসার আবেদন করলে আদালত মঞ্জুর করেন।
সম্রাটের আইনজীবী এহসানুল হত সমাজী জানান, আজকে মামলাটি অভিযোগ শুনানির জন্য ধার্য ছিল।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি ১ জুন
তবে এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ কিছু ডকুমেন্ট আমরা এখনো সংগ্রহ করতে পারেনি। এজন্য সময়ে আবেদন করি।
তিনি আরও বলেন, আদালত সময়ের আবেদনটি মঞ্জুর করেন। এছাড়া, আমরা আজকে সম্রাটের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতির বিষয়ে শুনানি করেছি। আদালত স্বল্প সময় অর্থাৎ দুই মাসের মধ্যে পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেন। যে কোনো দেশে ভিসা পাওয়ার এক মাসের মধ্যে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার মৌখিকভাবে আদেশ দিয়েছেন।
জানা যায়, ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর মামলাটি তদন্ত করে সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
আরও পড়ুন: সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ৯ এপ্রিল
দুদকের মামলায় সম্রাটের চার্জ শুনানি পিছিয়ে ৮ নভেম্বর
ওয়েস্ট জোন পাওয়ারের সাবেক এমডিসহ ৩ জনের নামে দুদকে মামলা
৩৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওয়েস্ট জোন পাওয়ারের সাবেক এমডিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (৩১ মে) দুদকের সহকারী পরিচালক তরুন কান্তি ঘোষ বাদী হয়ে খুলনায় সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: আইসিজেতে রোহিঙ্গা মামলায় অপর্যাপ্ত তহবিল নিয়ে ওআইসি মহাসচিবের উদ্বেগ
মামলার আসামিরা হলেন- ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিক উদ্দিন, বাংলাদেশ স্মার্ট ইলেকট্রিক্যাল কোম্পানির (বিএসইসিও) সাবেক পরিচালক (অর্থ) আব্দুল মোতালেব। মামলায় চীনের প্রতিষ্ঠান হেক্সিংয়ের কর্মকর্তা ইয়ে ওয়ন জুনকে তৃতীয় আসামি করা হয়েছে।
জানা যায়, ২০১৯ বাংলাদেশ স্মার্ট ইলেক্ট্রিক্যাল কোম্পানি (বেসকো) নামে প্রিপেইড মিটার তৈরির নতুন একটি কারখানা চালু করেছিলো ওজোপাডিকো ও চীনের প্রতিষ্ঠান হেক্সিং ইলেট্রিক্যাল লিমিটেড।
শফিক উদ্দিন পদাধিকার বলে ওই কোম্পানি এমডি, ইয়ে ওয়েনজুন কোম্পানির ডিএমডি এবং কোম্পানি সচিব আবদুল মোতালেব ওই কোম্পানি ডিএমডি ছিলেন।
বেসকো পরিচালনায় দুর্নীত এবং প্রায় ২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা পাচারের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ মামলাটি দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড, বাদীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
রাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি: ছাত্রলীগ নেতাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
লক্ষ্মীপুরে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী মো. মিলন হোসেনকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্ত্রী জাহানারা বেগমকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার (৩১ মে) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামি জাহানারা আদালতে হাজির ছিলেন। ঘটনার ১৩ মাস পর এ হত্যা মামলার রায় হলো।
মামলার বাদি তাদের ছেলে মো. সাফায়েত হোসেন ওরফে মাহবুব। তাদের বাড়ি সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ খাগুরিয়া গ্রামে।
আরও পড়ুন: ইসলাম বিরোধী মন্তব্য করার দায়ে হিন্দু যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জাহানারা বেগম পারিবারিক কলহের জেরে তার স্বামী মোহনকে হত্যা করে। উক্ত মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে জাহানারা বেগমকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৪ এপ্রিল ভোরে বাড়ির পাশের একটি বাগানে সুপারি গাছের সঙ্গে হাত বাঁধা মিলনের লাশ পাওয়া যায়। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
পরদিন মিলনের ছেলে সাফায়েত হোসেন বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে নিহত মিলনের স্ত্রী জাহানারা বেগমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এতে তিনি স্বামীকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে তিনি জানান, স্বামী মিলনের সঙ্গে তার ৩৫ বছরের দাম্পত্য জীবন। তাদের তিন ছেলে এবং দুই মেয়ে। বিয়ের পর থেকেই মিলন অস্বাভাবিক আচরণ করে আসছিলেন। খিটখিটে স্বভাবের কারণে মিলন বিভিন্ন সময়ে তাকে নির্যাতন করতেন।
রমজানের শেষ ১০ দিন জাহানারা তার স্বামীকে মসজিদে এতেফাকে বসতে বলেন। এতে তিনি গালমন্দ করেন। ঘটনার রাতে জাহানারা তার স্বামীকে ঘরের পেছনের একটি বাগানে নিয়ে গিয়ে সুপারি গাছের সঙ্গে গরুর দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে ফেলেন। পরে একটি নাইলনের দড়ি দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখে।
পরদিন সকালে জাহানারা নিজেই পরিবারের সদস্যদের স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ জানায় এবং দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন।
পরে পুলিশের কাছে তার আচরণ সন্দেহজনক হলে জিজ্ঞাসাবাদে পরিকল্পিতভাবে স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড, বাদীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
সিলেটে ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড