������������������
শিক্ষাবর্ষের সময় কমানো, ছুটি বাতিলের পরামর্শ ইউজিসির
করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে একটি রিকভারি গাইডলাইন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।
রিকভারি গাইডলাইনে শিক্ষাবর্ষের সময় কমানো, বিভিন্ন ধরনের ছুটি বাতিল, পুরো সিলেবাসে পাঠদান সম্পন্নসহ ছয়টি সুপারিশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ইউজিসি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামানের স্বাক্ষরিত গাইডলাইনটি সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৩১ মে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি ও উপাচার্যদের সাথে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা ও বাস্তবতা অনুযায়ী একটি রিকভারি গাইডলাইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
অঅরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষা করে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিশ্চিত করুন: ইউজিসি চেয়ারম্যান
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চেীধুরী, ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ যুক্ত ছিলেন।
ইউজিসি প্রণীত রিকভারি গাইডলাইন:
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত-বিদ্যমান একাডেমিক ক্যালেন্ডারের সময়কাল উল্লেখযোগ্য ও গ্রহণযোগ্যভাবে কমিয়ে আনতে হবে।
সেমিস্টার/ টার্ম বা বার্ষিক পদ্ধতির ক্ষেত্রে ব্যবহারিক বিষয়সহ সকল বিষয়ের ক্লাস/ ক্লাস টেস্ট/ অ্যাসাইনমেন্ট/ কুইজ/ সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা প্রচলিত সময়ের চেয়ে কম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য বিভিন্ন ছুটি কমানো যেতে পারে বা ছুটি পরিহার করা যেতে পারে।
প্রতিটি ক্লাসের (তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক) সময় বর্তমানের মতোই বলবৎ থাকবে অর্থাৎ লেকচারের সময় কমানো যাবে না। তবে লেকচারের সংখ্যা কমানোর প্রয়োজন হলেও পুরো সিলেবাসের পাঠদান সম্পন্ন করতে হবে।
আরও পড়ুন: বেরোবিতে প্রভাবমুক্ত ও নিরপেক্ষ তদন্ত হয়েছে: ইউজিসি
একাডেমিক ক্যালেন্ডারের সময় কমানোর স্বার্থে ক্লাস টেস্ট/কুইজ/ মিডটার্ম পরীক্ষা/ অ্যাসাইনমেন্ট/ টার্ম পেপারের ন্যায় বিষয়গুলো নিয়ে নতুনভাবে চিন্তা-ভাবনা করা যেতে পারে।
চূড়ান্ত পরীক্ষার ক্ষেত্রে পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক ছুটি দুটি বিষয়ের পরীক্ষার মাঝের গ্যাপ ও বর্ষ/ সেমিস্টারের/ টার্মের মাঝের গ্যাপ কমানো যেতে পারে।
সর্বোপরি রিকভারি পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ার পর শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই অনুমোদিত একাডেমিক ক্যালেন্ডার শিক্ষার্থীদের অবহিত করে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে এবং প্রণীত একাডেমিক ক্যালেন্ডার বাস্তবায়নে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
৫ শর্তে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া যাবে: ইউজিসি
শিক্ষাকার্যক্রম অব্যাহত রাখার স্বার্থে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে উপস্থিতির পাশাপাশি অনলাইনেও শর্তসাপেক্ষে নিয়োগ পরীক্ষা ও সাক্ষাৎকার গ্রহণের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।
রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ইউজিসি এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে কাজ করছে সরকার: শিক্ষামন্ত্রী
ইউজিসি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামানের স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি পত্র রবিবার সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষা করে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিশ্চিত করুন: ইউজিসি চেয়ারম্যান
পত্রে বলা হয়েছে, বর্তমান কোভিড-১৯ এর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইনে শিক্ষাকার্যক্রম চালু রয়েছে। শিক্ষাকার্যক্রম অব্যাহত রাখার স্বার্থে প্রচলিত সশরীর নিয়োগ পরীক্ষা ও সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা সম্ভব না হলে নিম্নবর্ণিত শর্তাবলী আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন সাপেক্ষে অনলাইন পদ্ধতিতে পরীক্ষা ও সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশের অগ্রগতির জন্য গবেষণা খুবই গুরুত্বপূর্ণ: ইউজিসি চেয়ারম্যানশর্তাবলী:
১। অনলাইনে নিয়োগ পরীক্ষা ও সাক্ষাৎকার গ্রহণের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারবে না;২। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, সংবিধি, বিধি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চাহিদার প্রেক্ষিতে অনুমোদিত পদের বিপরীতে উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি প্রচারের মাধ্যমে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করতে হবে;৩। অনলাইনে নিয়োগ পরীক্ষা ও সাক্ষাৎকার গ্রহণের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী সিন্ডিকেট কর্তৃক অনুমোদিত একটি নীতিমালা থাকতে হবে;৪। অনলাইনে নিয়োগ পরীক্ষা ও সাক্ষাৎকারের অডিও-ভিডিও কমপক্ষে ২(দুই) বছরের জন্য যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে ও
৫। নির্বাচিত আবেদনকারীর মূল সনদপত্রসমূহ যাচাই করে নিয়োগপত্র প্রদান করতে হবে।
প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনের ছুটি ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ল
করোনা ভাইরাসের সংক্রমন থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সকল ধরনের সরকারি, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনের চলমান ছুটি বাড়ানো হয়েছে।
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটিও বাড়ল ২৯ মে পর্যন্ত
বিজ্ঞতিতে জানানো হয়েছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে করোনা পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ায় এবং দেশের কোন কোন অঞ্চলে আংশিকভাবে কঠোর লকডাউন কার্যকর থাকায়, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তার বিবেচনায় এবং কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সাথে পরামর্শক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ সময় নিজেদের ও অন্যদের করোনা ভাইরাসের সংক্রমন থেকে সুরক্ষার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করবে। পাশাপাশি অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ল
বিজ্ঞতিতে আরও জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক সময়ে সময়ে জারীকৃত নির্দেশনা ও অনুশাসনগুলো শিক্ষার্থীদের মেনে চলতে হবে। শিক্ষার্থীদের বাসস্থানে অবস্থানের বিষয়টি অভিভাবকরা নিশ্চিত করবেন এবং স্থানীয় প্রশাসন তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনের ছুটি বাড়ল ২৯ মে পর্যন্ত
এতে আরও বলা হয়, সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা তাদের নিজ নিজ শিক্ষার্থীরা যাতে বাসস্থানে অবস্থান করে নিজ নিজ পাঠ্যবই অধ্যয়ন করে সে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের মাধ্যমে নিশ্চিত করবেন।
জাতীয় ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে ১ম স্থান অধিকার কুষ্টিয়ার ইশতিয়াকের
১১তম ডাচ-বাংলা প্রথম আলো বাংলাদেশ ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে জাতীয় পর্বের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান শুক্রবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রতিযোগীদের মধ্যে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী গোলাম ইশতিয়াক সাদাত প্রথম স্থান অধিকার করেন। ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনি।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, দেশের ৬৪ জেলা থেকে জাতীয় ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে ৯,৮০০ জন প্রতিযোগী রেজিস্ট্রেশন করেন। পর্যায়ক্রমে জেলা ও আঞ্চলিক পর্যায়ে তুমুল প্রতিযোগীতার মাধ্যমে ২৯০০ জন উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে জাতীয় পর্যায়ে ১১শ’ জনের মধ্যে তিনটি ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান লাভকারীসহ ৯৫ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। প্রতিযোগীদের মধ্যে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী গোলাম ইশতিয়াক সাদাত ‘সি’ ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান লাভ করেন। পরবর্তীতে তিন ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান লাভকারীরা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণের সুযোগ পাবেন।
আরও পড়ুন: বইমেলা বন্ধের সুপারিশ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির
কৃতিত্ব অর্জনকারী গোলাম ইশতিয়াক সাদাত কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক গোলাম ফারুক ও পোড়াদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কামরুন নাহারের ছেলে। গোলাম ইশতিয়াক সাদাত এর আগে ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ায় এশিয়ান ফিজিক্স আন্তজার্তিক অলিম্পিয়াডের প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহণ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি ও অনলাইনে পরীক্ষার অনুমতি
শর্ত সাপেক্ষে দেশের সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়কে সরাসরি ও অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ইউজিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একাডেমিক কাউন্সিলের পরামর্শে পরীক্ষা গ্রহণ ও মূল্যায়ন করতে হবে। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোভিড-১৯ এর টিকা প্রদানের আওতায় নিয়ে আসাসহ চারটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
গতকাল সোমবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সূহ খোলার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভার শুরুতে শিক্ষামন্ত্রী দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখা এবং খুলে দেয়ার বিষয়ে ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে তার বক্তব্য উপস্থাপন করেন। সভায় বিস্তারিত আলোচনা শেষে নিচের সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়-
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোভিড-১৯ এর টিকা প্রদানের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এই টিকা প্রদানের কর্মসূচি আবাসিক হলসমূহের শিক্ষার্থীদের দিয়ে শুরু হবে।
ইতোপূর্বে ইউজিসি কর্তৃক শর্তসাপেক্ষে সরাসরি উপস্থিতিতে পরীক্ষা গ্রহণ এবং সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আলোকে অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য যে দুটি নির্দেশনা প্রদান করেছে, তা স্ব-স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে অনুমোদনের প্রেক্ষিতে কার্যকর করে বিষয়বস্তুর ওপর চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণ ও মূল্যায়ন করা হবে।
আরও পড়ুন: বেরোবিতে প্রভাবমুক্ত ও নিরপেক্ষ তদন্ত হয়েছে: ইউজিসি
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ এর টিকা প্রদান সম্পন্ন হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহ খুলে দেয়া হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সরাসরি উপস্থিতিতে শিক্ষাকার্যক্রম পূর্বের ন্যায় চালু হবে।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে যে ক্ষতি সাধিত হয়েছে তা পুষিয়ে নেয়ার জন্য প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব সক্ষমতা ও বাস্তবতা অনুযায়ী একটি রিকোভারি প্ল্যান প্রস্তুত করে তা বাস্তবায়নে কার্যক্রম গ্রহণ করবে। এই রিকোভারি প্ল্যানের একটি সাধারণ গাইডলাইন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন প্রস্তুত করে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে প্রেরণ করবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষা করে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিশ্চিত করুন: ইউজিসি চেয়ারম্যান
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেনের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চেীধুরী, ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ, ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভামহাসচিব, কোভিড ১৯ সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সভাপতি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি’র সচিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জবির নতুন ভিসি ড. ইমদাদুল হক
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পঞ্চম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও ডিন ড. মো. ইমদাদুল হক।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের অনুমোদিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মাহমুদুল আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, উপাচার্য হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ চার বছর। তবে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তিনি নিয়মিত চাকরির বয়সপূর্তিতে মূল পদে প্রত্যাবর্তনপূর্বক অবসর গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদন শেষে আগের পদের মেয়াদের অবশিষ্ট সময় পূর্ণ করবেন। তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি পাবেন, বিধি অনুযায়ী পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে হবে।
এছাড়া রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞানের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ. কে. এম. সিরাজুল ইসলাম খান। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অধ্যাপক আবু হোসেন সিদ্দিক দ্বিতীয় উপাচার্য হিসেবে একবছর দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদকে তৃতীয় উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ওই বছরের ১৯ মার্চ অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানকে চার বছরের জন্য চতুর্থ উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। প্রথম মেয়াদ শেষে ২০১৭ সালে তাকে পুনরায় দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ দেয়া হয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি মশিউর রহমান
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমানকে আগামী চার বছরের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিযুক্ত করেছেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ।
রবিবার শিক্ষামন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ উপাচার্য নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯২ এর ১১ (১) ধারা অনুসারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমানকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুরের ভাইস চ্যান্সেলর পদে আগামী চার বছরের জন্য নিয়োগ করা হলো।
আরও পড়ুন:জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ড. মশিউর রহমান এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হওয়া ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে বিএসএস (সম্মান) ও এমএসএস উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হন। তিনি সুইডেনের লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেন।
আরও পড়ুন:স্থগিতাদেশ বাতিল করে পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে মহাসড়কে ববি শিক্ষার্থীরা
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র আরও জানায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজতত্ত্ব বিভাগে ড. মশিউর রহমানের শিক্ষকতা জীবন শুরু। তার পিএইচডি গবেষণাকর্ম সুইডেনের লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত হয়। এছাড়া তার অনেক গবেষণা প্রবন্ধ দেশ-বিদেশে বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়।
তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন, ডেনমার্ক, চীনসহ বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন:নীলক্ষেত মোড়ে দ্বিতীয় দিনের মতো শিক্ষার্থীদের অবস্থান
ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার মিরহার গ্রামের কৃতি সন্তান ড. মশিউর রহমান স্কুল জীবন থেকেই রেডক্রস, স্কাউটিং, বিতর্কসহ নানা দায়িত্ব ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। তার বাবা মো. তোফাজ্জল হোসেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে সিলেটে মশাল মিছিল
স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে সিলেটে মশাল মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে মশাল মিছিলটি বের হয়ে সিটি পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়। এর আগে শহীদ মিনারের সামনে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ৩০ মে রবিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ এবং পরের দিন প্রতীকী ক্লাস কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির মশাল মিছিল
সমাবেশে বক্তারা জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে গত প্রায় দেড় বছর ধরে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বারবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার তারিখ ঘোষণা করা হলেও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। অথচ সকল কিছুই স্বাভাবিক নিয়মে চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সেশনজট তৈরি হয়েছে। ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকায় চাকরির ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ার শঙ্কায় শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে ভালো নেই। শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে থাকায় মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ারও আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘গ্রামের প্রাইমারি স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত হাজার হাজার শিক্ষার্থী ঝড়ে যাচ্ছে। যেখানে অফিসার-কর্মচারী সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস করছে, তাহলে শিক্ষার্থীরা কেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস করতে পারবে না। তাই জুনের প্রথম দিনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি আমরা।’
এসময় তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার দাবিও জানান।
আরও পড়ুন: দোকান খুলে দেয়ার দাবিতে বগুড়ায় ব্যবসায়ীদের মিছিল-সমাবেশ
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মদনমোহন কলেজের শিক্ষার্থী সাকিব রানার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী রাজু শেখ, লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী বিশাল দেব, এমসি কলেজের শিক্ষার্থী সুরাইয়া পারভিন আখি, লিডিং ইউনিভার্সিটির নাহিদ হাসান প্রান্তিক প্রমুখ।
শাবিতে অনলাইনে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ
করোনা মহামারির কারণে আটকে থাকা বিভিন্ন বর্ষের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অনলাইনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ বর্ষের স্থগিত পরীক্ষা আগামী ১৫ জুন এবং প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা ১ জুলাই থেকে শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ১৬৫তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার পরীক্ষার ধরন, পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয় ঠিক করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেনকে সদস্য সচিব করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: করোনা: এক বছরে শাবির ল্যাবে ৫৮ হাজার ৫৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা
পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে আমরা প্রতিটি কোর্সের পরীক্ষা নিবো দু'টি ভাগে। অর্থাৎ প্রতিটি কোর্সে একটি ক্রিয়েটিভ অ্যাসেসম্যান্ট ও একটি ভাইবা থাকবে। মোট ৭০ নম্বরের এই পরীক্ষায় ৩০ থাকবে ক্রিয়েটিভ অ্যাসেসম্যান্টে ও বাকি ৪০ নাম্বার থাকবে ভাইবায়।
তিনি বলেন, ক্রিয়েটিভ অ্যাসেসম্যান্টের জন্য জুম অ্যাপ, গুগল ক্লাস রুম ও অন্যান্য অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে নির্দিষ্ট তারিখে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের একটি প্রশ্নপত্র সরবরাহ করবেন। প্রশ্নপত্র সমাধানের জন্য সময় দেয়া হবে ১২ ঘণ্টা এবং প্রশ্নের উত্তর হাতে লিখতে হবে। নির্দিষ্ট সময় শেষে উত্তরপত্রের ছবি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তুলে অনলাইন প্লাটফর্ম জুম অ্যাপ বা গুগল ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীদেরকে আপলোড করতে হবে।
আরও পড়ুন: করোনা: শাবির ল্যাবে দশ মাসে ৪৫ হাজার ৮৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা
অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মূলত শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে যাচাই করার জন্য আমরা ভাইবা রেখেছি এবং এটি অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে। ক্রিয়েটিভ অ্যাসেসম্যান্ট জমা দেয়ার পর যে কোন দিন ওই কোর্সের ভাইবা হতে পারে। আমরা বিভাগগুলোকে দায়িত্ব দিয়েছি তারা ঠিক করবে কবে ভাইবা নিলে তাদের এবং শিক্ষার্থীদের সুবিধে হয়।
এদিকে অনার্স এবং মাস্টার্স শেষ বর্ষের কিছু বিভাগের শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র ভাইবা ছাড়া আর কোন পরীক্ষা বাকি নেই তাদের ক্ষেত্রে কি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের ভাইবা সরাসরি অপলাইনে নেয়া হবে। এ বিষয়ে বিভাগগুলোকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা সিদ্ধান্ত নিবে।
গত বছর ৩১ মার্চ থেকে অনলাইনে ক্লাস করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। অনলাইনের মাধ্যমে দুই সেমিস্টারের ক্লাস সম্পন্ন করেছেন তারা। করোনাকালীন সময়ে চলতি বছরের শুরুতে অনার্স শেষ বর্ষ ও মাস্টার্সের পরীক্ষা সরাসরি শুরু হলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের কারণে তা শেষ করা সম্ভব হয়নি। তবে এবার অনলাইনেই সবার পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।
আরও পড়ুন: শাবি শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে আওয়ামীপন্থীদের দ্বিমুখী লড়াই
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) আইন ১৯৯০ এর (১১)১ ধারা অনুযায়ী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেনকে ৪ বছর মেয়াদে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) নিযুক্ত করেছেন রাষ্ট্রপতি ও আচার্য মোঃ আবদুল হামিদ খান।
সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ আদেশ জারি করা হয়। ড. মাহমুদ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম ভিসি এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য থেকে নিযুক্ত দ্বিতীয় ভিসি হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।
উপাচার্য ড. মাহমুদ হোসেন মঙ্গলবার সকাল ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছে রেজিস্ট্রার কার্যালয়।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু
উল্লেখ্য, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান এর মেয়াদ গত ২৮ জানুয়ারি শেষ হয়। এ হিসেবে প্রায় ৪ মাস পর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পেলো নতুন উপাচার্য।
ড. মাহমুদ ১৯৯৩ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বনবিদ্যায় স্নাতক (সম্মান), ১৯৯৮ সালে মালয়েশিয়ার পুত্রা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যানগ্রোভ ইকোলজিতে স্নাতকোত্তর এবং ২০০৪ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৯৯ সালে তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। ২০০১ সালে তিনি সহকারী অধ্যাপক, ২০০৫ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০০৯ সাল থেকে ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনে অদ্যাবদি অধ্যাপক পদে দায়িত্বরত আছেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবীতে সিলেটে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
তাঁর ১০৫টি গবেষণা নিবন্ধ আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৩টি, ও অনুবাদ ২টি। এছাড়াও দেশি ও বিদেশি সংস্থার অর্থায়নে ২৬টি গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন তিনি। তাঁর উদ্যোগ ও নেতৃত্বে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের মধ্যে প্রথম সয়েল আর্কাইভ স্থাপন করা হয়েছে।