%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD-%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি গ্রহণ করছে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অংশীজনদের সঙ্গে তাদের বৈশ্বিক কর্মসূচিতে সমন্বয় সাধনের জন্য বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ (বিসিডিপি) তৈরি করা হয়েছে।
বিসিডিপি জলবায়ু পরিবর্তন সমস্যা মোকাবিলায় অংশীজন, উন্নত দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং তহবিল কর্মসূচির সঙ্গে কাজ করবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জের (ইউএনএফসিসিসি) নির্বাহী সচিব সাইমন স্টিল সোমবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি শুরু করছে।
এ সময় জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা এবং জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনাসহ (ন্যাপ) বাংলাদেশের বিভিন্ন অভিযোজন ও প্রশমন কর্মসূচির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে বাংলাদেশ প্রায়ই নানা ধরনের ঘূর্ণিঝড়, ভারী বৃষ্টিপাত ও তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হচ্ছে।
তিনি বলেন, 'আমরা বনায়নের জন্য সামাজিক আন্দোলনকে উৎসাহিত করছি, ৮৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করেছি এবং বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করছি।’
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের গবেষকরা লবণাক্ততা, বন্যা ও খরা সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন।
আগামী জুন থেকে বর্ষা মৌসুমে সারা দেশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার দল আওয়ামী লীগ এই আন্দোলনের অগ্রদূত।
নিজ উদ্যোগে জলবায়ু তহবিল গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন সাইমন স্টিল।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ কেবল জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় কাজ করে না, বরং অভিযোজন ও প্রশমনের জন্য বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কর্মসূচি গ্রহণ করছে।
তিনি বলেন, এই বিষয়গুলো নিঃসন্দেহে সারা বিশ্বের জন্য উদাহরণ।
সাইমন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে দায়িত্ব পালনকারী নেতা এবং তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে অংশ নিয়েছেন যেখানে তিনি জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, 'জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে আন্দোলন ত্বরান্বিত করতে আপনারা এসব ফোরামে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় আপনাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারেন।‘
অন্যান্য দেশগুলো বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞতাকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমনে কাজে লাগিয়ে নিজস্ব অভিযোজন ও প্রশমন পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সাইমন বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশ শুধু নিজের দেশে নয়, সারা বিশ্বে তার পদচিহ্ন রেখে যাচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ।
নিরাপদ বিশ্ব গড়তে অভিযোজন সক্ষমতা বাড়াতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলতে অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও সুন্দর পৃথিবী গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি, সহনশীলতা জোরদার এবং সমন্বিত ঝুঁকি হ্রাসের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) চার দিনব্যাপী জাতিসংঘ জলবায়ু অভিযোজন সম্মেলন জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ) এক্সপো-২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য ছয়টি বিষয় বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রথমত, প্রধান কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলোকে তাদের কার্বন নিঃসরণ কমাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।
দ্বিতীয়ত, উন্নত দেশগুলো বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলারের জলবায়ু তহবিলের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা পূরণ করতে হবে। অভিযোজন ও প্রশমনের মধ্যে এই তহবিল সমানভাবে বণ্টন করতে হবে।
তৃতীয়ত, উন্নত দেশগুলোকে অবশ্যই দক্ষ জ্বালানি সমাধান এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রযুক্তি হস্তান্তর নিশ্চিত করতে হবে।
চতুর্থত, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরের সময়, জড়িত দেশগুলোর উন্নয়ন অগ্রাধিকারগুলো তাদের ক্ষতি এবং ক্ষতির ভিত্তিতে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।
পঞ্চমত, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা, নদীভাঙন, বন্যা ও খরার কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব সব দেশকে ভাগ করে নিতে হবে।
পরিশেষে, আগামী প্রজন্মের জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে প্রধান অর্থনীতিগুলোকে অবশ্যই সকল স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিশ্বব্যাপী কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের (ইউএনএফসিসিসি) নির্বাহী সচিব সাইমন স্টিল এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী কার্বন নিঃসরণ প্রণয়নে বাংলাদেশের অবদান শূন্য দশমিক ৪৮ শতাংশেরও কম হলেও এটি নেতিবাচক প্রভাবের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি।
জলবায়ু পরিবর্তনের এসব বিরূপ প্রভাব আমাদের সম্ভাবনাময় উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য হুমকি। অব্যাহত বৈশ্বিক উষ্ণতা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি বড় এলাকা যা দেশের মোট আয়তনের প্রায় ১২-১৭ শতাংশ এবং এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
তিনি বলেন, 'আমরা বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য উন্নত বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাসে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ইনটেন্ডেড ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন (আইএনডিসি) প্রণয়ন করে এবং সেটি হালনাগাদ করে ২০২১ সালে ইউএনএফসিসিসিতে জমা দিয়েছে।
তিনি বলেন, চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ নিঃশর্ত ৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং শর্তসাপেক্ষে ১৫ দশমিক ১২ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাসে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছে। একই সঙ্গে ২০২৩ সালে মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা (এমসিপিপি) প্রণয়ন করেছে। এটির লক্ষ্য জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় দুর্বলতা থেকে সমৃদ্ধির দিকে সহনশীলতায় পৌঁছানো।
তিনি বলেন, এছাড়া এমসিপিপির অভিযোজন ও প্রশমন কর্মসূচিতে স্থানীয় জনগণ ও অংশীজনদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং প্রকৃতিভিত্তিক সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আসুন সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে একযোগে কাজ করি: পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ২০২২-২০৫০ সালের জন্য জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ) প্রণয়ন করেছে এবং ২০২২ সালের অক্টোবরে ইউএনএফসিসিসিতে জমা দিয়েছে। এই পরিকল্পনায় ১১টি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার ৮টি খাতে ১১৩টি অগ্রাধিকার কর্মসূচি চিহ্নিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী ২৭ বছরে ন্যাপে গৃহীত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রায় ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন।
আমি ধনী দেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সুনির্দিষ্ট তহবিল ও অতিরিক্ত আর্থিক সম্পদ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশগুলো ব্যাপক কার্বন নিঃসরণের মাধ্যমে বৈশ্বিক উষ্ণায়নে অধিক অবদান রাখছে।
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে রক্ষা করা তাদের নৈতিক দায়িত্ব। ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে আমরা অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রমে উন্নত দেশগুলোর পক্ষ থেকে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছিলাম। আশা করি উন্নত দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে।’
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের হুমকিতে পড়া বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরও আর্থিক, বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি সহায়তা অব্যাহত রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও ধনী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, কপ-২৬ এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উন্নত দেশগুলোর ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৫ সালের মধ্যে অভিযোজন অর্থায়ন দ্বিগুণ করা উচিত। ধনী দেশগুলোকে এই প্রতিশ্রুতি পূরণের আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: খেলাধুলাই যোগ্য নাগরিক গড়ে তুলতে পারে : প্রধানমন্ত্রী
‘যেসব দেশ ইতোমধ্যে ন্যাপ প্রণয়ন করেছে তারা যাতে তাদের এনএপি বাস্তবায়নে ইউএনএফসিসিসিসহ সহজে ও দ্রুত সব উৎস থেকে আর্থিক সহায়তা পেতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট সম্ভাব্য ক্ষতি হ্রাসে অভিযোজন ও প্রশমনে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ইউএনএফসিসিসির লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড থেকে অর্থায়নের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ সব সময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উন্নয়ন অংশীদারদের নিয়ে 'বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ' (বিসিডিপি) গঠন করেছে যেখানে সব পক্ষ একমত হয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, বিসিডিপি মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা, জাতীয় নির্ধারিত অবদান এবং বাংলাদেশের রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
তিনি বলেন,‘আসুন আমরা এই গ্রহকে আরও নিবিড়ভাবে রক্ষার জন্য একসঙ্গে কাজ করি।’
এ অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপের (বিসিডিপি) উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: চার দিনব্যাপী জাতিসংঘ ক্লাইমেট অ্যাডাপশন এক্সপোর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
চার দিনব্যাপী জাতিসংঘ ক্লাইমেট অ্যাডাপশন এক্সপোর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
চার দিনব্যাপী জাতিসংঘ জলবায়ু অভিযোজন সম্মেলন জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ) এক্সপো-২০২৪ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক এই প্রদর্শনীটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
ন্যাপ এক্সপো একটি আন্তর্জাতিক ফোরাম। এই ফোরামে বিভিন্ন দেশ, সংস্থা এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক স্টেকহোল্ডাররা ন্যাপ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে পারস্পরিক যোগাযোগ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করে।
আয়োজনটি বিশ্বজুড়ে জলবায়ু অভিযোজন কৌশল সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি বিনিময়ের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করবে এবং পারস্পরিক সুবিধাগুলোকে উৎসাহিত করবে।
ন্যাপ এক্সপো ২০২৪-এ অংশ নিতে ১০৪টি দেশের ৩৮৩ জন প্রতিনিধি ইউএনএফসিসিসি-তে নিবন্ধন করেছেন।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধি, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ, এনজিও প্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবকসহ ৫৫০ জন এই অভিযোজন সভায় অংশ নেবেন।
এক্সপোতে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ন্যাপ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার ফাঁকফোকর ও প্রয়োজনীয়তা চিহ্নিত করতে প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে।
এবারের সম্মেলনে মোট ২৩টি স্টল থাকবে, যেখানে বিভিন্ন দেশের অভিযোজন কার্যক্রম প্রদর্শিত হবে।
আরও পড়ুন: কৃষি উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের সমবায় গঠনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
এছাড়া চার দিনের ৩৪টি সেশনে বিশেষজ্ঞরা ট্রান্সফরমেশনাল অ্যাডাপটেশন, ফাইন্যান্সিয়াল মেকানিজম, অ্যাডাপটেশন অ্যাক্টিভিটি মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন টুলস এবং জেন্ডার রেসপনসিভ অ্যাডাপটেশন নিয়ে আলোচনা করবেন।
জলবায়ু অভিযোজন বিষয়গুলো প্রদর্শনের জন্য বাংলাদেশের জন্য ১৩টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ তার উদ্ভাবনী অভিযোজন ব্যবস্থা যেমন বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, পার্বত্য অঞ্চলে সৌরশক্তি চালিত পানি আহরণ, জলবায়ু সহিষ্ণু কৃষি এবং ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ও রাস্তার কাজের মতো অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রদর্শন করবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরা হবে।
জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জের (ইউএনএফসিসিসি) নির্বাহী সচিব সাইমন স্টিল এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কাউকে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করতে দেব না: প্রধানমন্ত্রী
কাউকে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করতে দেব না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখতে চায়, তবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যা যা করা দরকার তাই করা হবে।
তিনি বলেন, ‘কেউ আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করুক তা আমরা চাই না। আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলতে চাই, কিন্তু আমাদের দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যা যা করা দরকার আমরা তা করব। আমাদের এটি সর্বদা মনে রাখতে হবে।’
রবিবার সকালে চট্টগ্রামের হালিশহর সেনানিবাসে আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে নবনির্মিত 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স' উদ্বোধন শেষে দরবারে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় শান্তি চাই। আমাদের দেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম। আমরা যুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করেছি। যুদ্ধে জয়ী হয়ে আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি তা আমাদের ধরে রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স' উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে যুদ্ধও ডিজিটাল মাধ্যমে করা হচ্ছে। এজন্য দেশে আধুনিক, জ্ঞানভিত্তিক উচ্চ প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা দরকার।
তিনি বলেন, 'আমরা চাই আমাদের সশস্ত্র বাহিনী আরও উন্নত, আরও দক্ষ এবং আরও প্রশিক্ষিত হবে এবং আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যেহেতু প্রয়োজনে সবসময় জনগণের পাশে রয়েছে, তাই এখন তারা জাতির কাছে আস্থার প্রতীক।
তিনি বলেন, 'সশস্ত্র বাহিনী পেশাগত দক্ষতা, কর্তব্যপরায়ণতা, অনুশীলন, প্রশিক্ষণ ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দায়িত্ব পালন করবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এজন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন চৌকস হতে হবে।’
সেনাবাহিনীর সদস্যদের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা ও আনুগত্য বজায় রেখে কর্তব্যপরায়ণতা, পেশাগত দক্ষতা ও দেশপ্রেমের সঙ্গে দেশের গৌরব বজায় রাখতে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
সেনাবাহিনীর সার্বিক উন্নয়নে তার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ সংক্ষেপে বর্ণনা করেন তিনি।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীতে অত্যাধুনিক বিমান, হেলিকপ্টার, ইউএভি, চতুর্থ প্রজন্মের ট্যাংক, এপিসি, ট্যাংক ধ্বংসের ক্ষেপণাস্ত্রসহ অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র সংযোজন করা হয়েছে।
দেশের কল্যাণে সেনাবাহিনীর সার্বিক কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, 'জনগণের আস্থার প্রতীক হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাজের দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের জন্য দেশে-বিদেশে ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ মিশনগুলোতে অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর জন্য অত্যাধুনিক হালকা সাঁজোয়া যান এবং মাইন প্রতিরোধী অ্যামবুশ সুরক্ষিত যানবাহন কেনা হয়েছে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছলে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ তাকে স্বাগত জানান।
অনুষ্ঠানে মুজিব ব্যাটারির ওপর একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: খেলাধুলাই যোগ্য নাগরিক গড়ে তুলতে পারে : প্রধানমন্ত্রী
চট্টগ্রামে 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স' উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
চট্টগ্রামের হালিশহর সেনানিবাসে নবনির্মিত 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স' উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (২১ এপ্রিল) চট্টগ্রামের হালিশহর সেনানিবাসে আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে এই কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন তিনি।
উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী নবনির্মিত 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স' এ স্থাপিত আর্টিলারি জাদুঘর পরিদর্শন করেন।
তিনি জাদুঘরে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য প্রত্যক্ষ করেন।
তিনি মুক্তিযুদ্ধে মুজিব ব্যাটারির প্রথম ছোঁড়া ঐতিহাসিক ৩ দশমিক ৭ ইঞ্চির হাউইৎজার, আর্টিলারি রেজিমেন্টে ব্যবহৃত গোলাবারুদ, সব কামানের রেপ্লিকা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে গোলন্দাজ বাহিনীর উল্লেখযোগ্য অভিযানের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসও প্রত্যক্ষ করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী সেখানে দরবারে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: খেলাধুলাই যোগ্য নাগরিক গড়ে তুলতে পারে : প্রধানমন্ত্রী
কৃষি উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের সমবায় গঠনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
খেলাধুলাই যোগ্য নাগরিক গড়ে তুলতে পারে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিশুরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীরচর্চা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজেদেরকে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে পারে।
তিনি বলেন, 'আমি চাই আমাদের ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, ব্যায়াম ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলবে।’
শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ক্ষমতায় থাকাকালে তিনি শিশুদের খেলাধুলায় আরও আগ্রহী করে তোলার চেষ্টা করেছেন। ‘কারণ খেলাধুলা মানুষকে শারীরিক ও মানসিক শক্তি প্রদান করে এবং নিয়মানুবর্তিতা, আনুগত্য ও দেশপ্রেমের শিক্ষা দেয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, খেলাধুলার মাধ্যমে দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় এবং সারা বিশ্বের কাছে আরও ভালোভাবে পরিচিত করা যায়।
আরও পড়ুন: সম্ভাবনা সত্ত্বেও সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে ঘাটতির কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, আমাদের ছেলে-মেয়েরা বিশ্ব দরবারে খেলাধুলায় তাদের দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২ এ বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট থেকে সেই দলের পাঁচজন খেলোয়াড় উঠে এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বছর ব্যাপী খেলাধুলার সুবিধা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করছে।
তিনি বলেন, 'আমরা প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিকদের অনুশীলনের সুযোগ সৃষ্টি এবং একাডেমি করে দিচ্ছি।’
তিনি অন্যান্য খেলাধুলার পাশাপাশি দেশের ঘরোয়া খেলাধুলায় সমান সুযোগ দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘ঘরোয়া খেলাধুলার মাধ্যমে শিশুরা তাদের মেধা বিকাশের সুযোগ পাবে।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং লালমনিরহাটের পাটগ্রাম টেপুরগাড়ি বিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত গ্র্যান্ড ফাইনালের দ্বিতীয়ার্ধ উপভোগ করেন।
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে জামালপুরের মাতৃগঞ্জ চরগোলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রংপুরের মিঠাপুকুর তালিমগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পরাজিত করে।
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম টেপুরগাড়ি বিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে হারিয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট বিজয়ী হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দুটি টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের সদস্যদের মাঝে পুরস্কার ও পদক বিতরণ করেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: কৃষি উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের সমবায় গঠনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
কৃষি উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের সমবায় গঠনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে কৃষি খাতে সমবায় পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সমবায় পদ্ধতিতে এগোতে হবে। যদিও সমবায়ের মাধ্যমে উৎপাদন হচ্ছে, তবে এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে যে স্থায়ী উপলব্ধি এখনো গড়ে উঠেনি।’
শুক্রবার বাংলাদেশ কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মত বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় সমবায় গঠন করে জমি চাষাবাদে জনগণকে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ কৃষক লীগের নেতাদের আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, 'আমরা যদি এটা করতে পারি তাহলে আমাদের আর খাদ্যের অভাব হবে না।’
সমবায় ব্যবস্থার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, সমবায় ব্যবস্থাপনায় জমি চাষ করা হবে এবং সমবায়ের অধীনে কৃষিযন্ত্র ক্রয় ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।
এই ব্যবস্থার আওতায় জমির মালিকরা লাভের একটি নির্দিষ্ট অংশ পাবেন, কৃষক বা শ্রমিকরা আরেকটি নির্দিষ্ট অংশ পাবেন এবং মার্জিনের অবশিষ্ট অংশ মেশিন, সার, বীজ, চাষাবাদ ও সেচসহ কৃষি উপকরণ ব্যবস্থাপনার জন্য সমবায়ের অধীনে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার সমবায়ের প্রচার করতে 'আমার বাড়ি আমার খামার' এবং পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছে।
কৃষি খাতে তার সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০০৬ সালে ১ কোটি ৮০ লাখ মেট্রিক টন থেকে খাদ্যশস্যের উৎপাদন বেড়ে বর্তমানে ৪ কোটি ৯২ লাখ মেট্রিক টনে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে ৭৯ লাখ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে, যা তখন মাত্র ২৮ লাখ হেক্টর জমি ছিল।
এ সময়ে মাছের উৎপাদন ২১ লাখ মেট্রিক টন থেকে বেড়ে ৫৩ দশমিক ১৪ লাখ মেট্রিক টনে দাঁড়িয়েছে। আর গৃহপালিত পশুর সংখ্যা এখন ৭ কোটি ৯৯ লাখ, যা ২০০৬ সালে ছিল ৪ কোটি ২৩ লাখ।
কৃষি গবেষণার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি সফল হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এক সময় মানুষ তাদের পরিবারের জন্য শুধু চাল-নুন বা চাল-ডালের ব্যবস্থা করতে উদ্বিগ্ন থাকলেও এখন তারা মাছ, মাংস, মুরগি ও ডিমের দাম নিয়ে উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, মানুষ এখন মাছ, মাংস, ডিম ও মুরগির কথা বলে, অর্থাৎ উন্নয়ন হচ্ছে। সরকারের সমালোচকদের এটা স্বীকার করতে বলেন তিনি।
সরকার বর্তমানে কৃষি খাতে ২৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি এ খাতে তার সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির মধ্যে এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখতে এবং সম্পদ ব্যবহারে কৃচ্ছ্রসাধন করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এ সময় বাংলাদেশ কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্র গান্ধীর নেতৃত্বে নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা কৃষক লীগ নেতাদের গণভবন কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের সবজি উপহার দেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ কৃষক লীগ ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয়।
বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা করা হয়নি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা দায়ের করা হয়নি।
তিনি বলেন, 'যারা বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাদের (বিএনপি) বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তারা অপরাধ করেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
শুক্রবার গণভবনে বাংলাদেশ কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মত বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এসব অপরাধের শাস্তি নিশ্চিত করতে মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ছেন প্রধানমন্ত্রী: অর্থমন্ত্রী
অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ হত্যা, দুর্নীতি, অস্ত্র চোরাচালান ও গ্রেনেড হামলার মতো অপরাধ করার জন্য এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচন প্রতিহত করতে বিএনপি ২০১৩ ও ২০১৪ সালে অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা ৩ হাজার ৮০০ কার, বাস, লঞ্চ ও ট্রেন পুড়িয়েছে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সহিংসতার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা ২৮ অক্টোবর ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়েছিল এবং নির্বাচন বানচাল করতে ট্রেনে আগুন দিয়ে একজন মা ও তার সন্তানকে হত্যা করেছিল।
তিনি বলেন, ‘যারা এসব কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত নয়? মানুষ কি তাদের পূজা করবে?'
তিনি বলেন, ‘আজকে তারা সব জায়গায় বলে বেড়াচ্ছে যে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের কাছে জানতে চাওয়া উচিত কীসের জন্য মামলাগুলো করা হয়েছে।’
বিএনপির ৬০ লাখ নেতা-কর্মী কারাগারে আছে এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের কারাগারগুলোর এত লোককে জায়গা দেওয়ার সক্ষমতা নেই।
তিনি বলেন, 'তারা দাবি করছে যে তাদের ৬০ লাখ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে, কিন্তু আমাদের (কারাগারগুলোর) সেই সামর্থ্যও (এত লোককে জায়গা দেওয়ার) নেই।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি বিএনপির এত লোক কারাগারে আটক থাকে, তার মানে এখন যারা কারাগারে আছে তারা সবাই তাদের লোক এবং সেখানে অন্য কোনো অপরাধী নেই।
তিনি আরও বলেন, 'এর অর্থ হচ্ছে ওখানকার সব অপরাধী (যারা কারাগারে আছে) বিএনপির।’
বিএনপি শাসনামলে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর সহিংসতা ও নির্যাতনের ভয়াবহ দৃশ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার প্রতিশোধ নিতে যায়নি, বরং দেশের উন্নয়ন ও জনগণের জন্য কাজ করার ক্ষেত্রে মেধা ও শক্তি কাজে লাগিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের সৌভাগ্য যে আমরা ক্ষমতায় আছি। আমরা তাদের মতো প্রতিশোধপরায়ণ নই বলে তারা এখনো কথা বলার (আওয়াজ তোলার) সুযোগ পায়। তারা সারাদিন লাউড স্পিকার ব্যবহার করে কথা বলে এবং তারপর বলে যে তারা কথা বলার সুযোগ পায় না।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বাজারের চাহিদা অনুযায়ী পাটজাত পণ্যের বহুমুখীকরণে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ
সম্ভাবনা সত্ত্বেও সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে ঘাটতির কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে বাংলাদেশ বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জন করেও গভীর সমুদ্র থেকে সম্পদ আহরণে সক্ষম হয়নি।
তিনি বলেন, ‘আসলে আমরা এ কাজের জন্য কোনো উদ্যোক্তা পাচ্ছি না। এটাই বাস্তবতা।’
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) পোল্ট্রি ও ডেইরি খামারিদের উন্নয়নের মাধ্যমে এ খাতের উন্নয়নে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পাশে শেরেবাংলা নগরে পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে ২ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জন করেছে এবং সামুদ্রিক সম্পদকে কাজে লাগাতে ব্লু ইকোনমির পরিকল্পনাও ঘোষণা করেছে।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু এটা দুর্ভাগ্যজনক যে আমরা গভীর সমুদ্র থেকে সম্পদ আহরণ করতে সক্ষম হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, তার সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে আগে খাদ্য নিরাপত্তা, তারপর পুষ্টি নিশ্চিত করা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘… এবং আমরা সেই পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা গবেষণায় অগ্রাধিকার দিয়েছি, যেহেতু তা ছাড়া উচ্চ ফলনশীল জাত উৎপাদন সম্ভব নয়।’
সরকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এজন্য ভর্তুকি প্রদানসহ এ বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এছাড়া দেশে আমিষের উৎপাদন বাড়াতে আমরা ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।’
তিনি আরো গবেষণামূলক কাজের ওপর গুরুত্বারোপ করেন, কারণ গবেষণা ছাড়া কোনো দেশ এগিয়ে যেতে পারে না।
প্রধানমন্ত্রী খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খাদ্যশস্য এবং মাছ ও মাংসসহ সব ধরনের পণ্যের ধারণক্ষমতা বাড়ানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে ব্রাজিলে সরাসরি তৈরি পোশাক আমদানি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদার করতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে তিনি মৎস্য ও গবাদিপশুকে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি দেশে পোল্ট্রি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে।’
তিনি কৃষি উৎপাদন এবং এর প্রক্রিয়াজাতকরণে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি প্যাকেজিংয়ের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসরণ করার নির্দেশ দেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ কাউন্সিলের (বিপিআইসি) যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন, প্রাণিসম্পদ সচিব সেলিম উদ্দিন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: মানুষের জন্য কাজ করুন, জনগণের আস্থা হারাবেন না: জনপ্রতিনিধিদেরকে প্রধানমন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
পোল্ট্রি ও ডেইরি খামারিদের উন্নয়নের মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে ‘প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পাশে শের-ই-বাংলা নগরে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে ২ দিনব্যাপী এ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি।
বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএ) ও বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ কাউন্সিলের (বিপিআইসি) সহযোগিতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্য সংকট: সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। দর্শনার্থীদের জন্য কোনো প্রবেশ মূল্য লাগবে না।
এতে সারা দেশের পোল্ট্রি ও ডেইরি খামারিরা তাদের গবাদিপশু ও পাখি প্রদর্শনের জন্য অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
৬৪ জেলার ৪৬৬টি উপজেলায় একযোগে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী প্রদর্শনী প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেন এবং প্রদর্শিত প্রাণিসম্পদ দেখতে বিভিন্ন স্টলে থামেন।
আরও পড়ুন: আসুন সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে একযোগে কাজ করি: পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী
আয়োজকরা জানান, প্রদর্শনী প্রাঙ্গণে দেশের প্রাণিসম্পদের বৈচিত্র্য প্রদর্শনের জন্য ২৫টি প্যাভিলিয়ন ও ৩০টি স্টল স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭টি প্যাভিলিয়ন সরকারি কর্তৃপক্ষের জন্য নির্ধারিত।
বিডিএফএ'র ৫৫ হাজার সদস্যের মধ্যে ঢাকা, কুমিল্লা, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, যশোর, বেনাপোল, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গাসহ বিভিন্ন জেলার ৩ হাজারের বেশি কৃষক আয়োজনটিতে অংশ নেন।
আয়োজকরা আরও জানান, এর মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের কৃষকরা বড় কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ পাবেন।
আরও পড়ুন: আয়ারল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিসকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন