প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ঝুঁকি সীমার অনেক নিচে: অর্থনৈতিক পর্যালোচনায় প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়
বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রায় সব সূচকেই তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল এবং এর বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ এখনও ঝুঁকি সীমার অনেক নিচে।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘অফশোর ট্যাক্স অ্যামনেস্টি’ এবং ‘শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সঙ্কটের পটভূমিতে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির পর্যালোচনা’ বিষয়ে একটি উপস্থাপনা প্রত্যক্ষ করার সময় এই পর্যবেক্ষণ এসেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং অর্থ বিভাগ গণভবনে এক সভায় এ উপস্থাপনা করে বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
শ্রীলঙ্কায় চলমান সংকটের কারণ এবং এর প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক পর্যালোচনা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘লক্ষ্য করা গেছে যে বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রায় সব সূচকেই তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল।’
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি, খাদ্য ও অন্যান্য পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে দেশীয় বাজারে আমদানি মূল্যস্ফীতি হিসেবে তৈরি হওয়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে একটি সমন্বিত রাজস্ব নীতি ও মুদ্রানীতি বাস্তবায়নের ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে রওশন এরশাদ ও জিএম কাদেরের নববর্ষের শুভেচ্ছা
অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে বাংলাদেশের জন্য কোনো ঝুঁকি নেই। বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ এখনো ঝুঁকি সীমার অনেক নিচে।
প্রধানমন্ত্রী বিদেশি ঋণ নিয়ে এ ভালো ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার, এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনীম, ইআরডি সচিব ইয়াসমিন ইয়াছিন প্রমুখ। আর্থিক প্রতিষ্ঠান সচিব শেখ মোহাম্মদ সেলিম উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জনগণের কল্যাণে কাজ করুন: পুলিশ বাহিনীকে প্রধানমন্ত্রী
সব দেশে টিকা দেয়ার লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করুন: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীকে রওশন এরশাদ ও জিএম কাদেরের নববর্ষের শুভেচ্ছা
বাংলা নববর্ষ (পহেলা বৈশাখ) উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ ও সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং জানায়, সংসদের উপ-বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও জিএম কাদের প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা কার্ড পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
উইংয়ের এক মুখপাত্র জানান, সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ মো.আবু জাফর রাজুর কাছে শুভেচ্ছা কার্ড পৌঁছে দেন বিরোধীদলীয় নেতার একান্ত সচিব একেএম আব্দুর রহিম এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের সহকারী একান্ত সচিব অ্যাডভোকেট আবু তৈয়ব।
আরও পড়ুন: বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে রওশন ও জিএম কাদেরকে শুভেচ্ছা পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
জনগণের কল্যাণে কাজ করুন: পুলিশ বাহিনীকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার বলেছেন, তার সরকার একটি সুপ্রশিক্ষিত ও শিক্ষিত পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলতে চায় যারা জনগণের কল্যাণে কাজ করবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো ‘জনগণের পুলিশ বাহিনী’ গড়ে তোলা যা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল।’
দেশের ৬৫৯টি থানায় নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ‘সার্ভিস ডেস্ক’ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
এছাড়াও তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে গৃহহীনদের জন্য পুলিশ বাহিনীর তৈরি ৪০০টি বাড়ি হস্তান্তর করেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে এই মানবিক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে রাজারবাগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্সে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে একটি বিশেষায়িত জনবান্ধব বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে সব ধরনের সহায়তা ও সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছে।
পড়ুন: সব দেশে টিকা দেয়ার লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করুন: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রধানমন্ত্রী
পুলিশ বাহিনীকে অত্যন্ত সততার সাথে কাজ করতে দেখতে চাই উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য পুলিশ সদস্যদের নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের উন্নয়ন মূল দর্শন হলো তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘সরকার গঠনের পর আমরা তৃণমূল পর্যায় থেকে উন্নয়নে কাজ করছি।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের সুফল সবাইকে পেতে হবে। আমাদের সরকার সব সময় এটি মাথায় রেখে কাজ করে।’
দেশের একজন ব্যক্তিও ভূমিহীন, গৃহহীন এবং ঠিকানাহীন থাকবে না এই দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা।
এ প্রসঙ্গে তিনি লক্ষ্য অর্জনে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব এম আখতার হোসেন, পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
পড়ুন: চলতি বছরের শেষে যান চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী
সব দেশে টিকা দেয়ার লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করুন: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রধানমন্ত্রী
কোভ্যাক্স অ্যাডভান্স মার্কেট কমিটমেন্ট (এএমসি) অনুযায়ী সব দেশে টিকা দেয়ার লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের অবদান বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমি সকল অংশীজনদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি সকল দেশের টিকাকরণ লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে। আমি উন্নয়ন অংশীদারদের কোভ্যাক্স এএমসি-তে তাদের অবদান এবং ভ্যাকসিন বাড়ানোর জন্যও আহ্বান জানাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী জার্মানি ও জিএভিআই আয়োজিত অ্যাডভান্স মার্কেট কমিটমেন্ট (এএমসি) শীর্ষ সম্মেলনে এক ভিডিও বার্তায় এই আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: চলতি বছরের শেষে যান চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, কিছু দেশ এখনও তাদের টিকার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অনেক দূরে রয়েছে। এই দেশগুলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিশেষ মনোযোগ ও সমর্থন পাওয়ার যোগ্য।
তিনি বিশ্বকে নিশ্চিত করে বলেন, বাংলাদেশ ভ্যাকসিন সমতা নিশ্চিত করতে ভূমিকা পালনে প্রস্তুত এবং জিএভিআই ও কোভ্যাক্স এএমসি এর সঙ্গে সর্বদা কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা জনস্বাস্থ্যের জরুরি পরিস্থিতিতে কার্যকরভাবে সাড়া দিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তাকে আরও জোরদার করেছে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যত মহামারি মোকাবিলায় আমাদের অবশ্যই প্রয়োজনীয় সম্পদ ও দক্ষতাসহ কোভ্যাক্স প্ল্যাটফর্মটিকে সমর্থন করতে হবে।
আরও পড়ুন: পানি সংরক্ষণে সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে শক্তিশালী স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা না থাকলে মহামারির প্রভাব বাংলাদেশে ধ্বংসাত্মক হতে পারত। তিনি বলেন, ‘আমরা সংক্রমণকে সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সক্ষম হয়েছি এবং এখন সংক্রমণের হার একদম কমিয়ে আনতে পেরেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার ৯০ শতাংশের বেশি মানুষকে বিনামূল্যে টিকা দিয়েছে।
উদ্বোধনী অধিবেশনে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো, সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সাল এবং গাভি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জোসে ম্যানুয়েল বারোসো বক্তব্য দেন।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিঙ্কেন, তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মন্ত্রী নাজলা বাউডেন এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও এতে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মানুষ যেন সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়: প্রধানমন্ত্রী
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে রওশন ও জিএম কাদেরকে শুভেচ্ছা পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলা নববর্ষ-১৪২৯ উপলক্ষে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এবং বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী তাদের জাতীয় সংসদ কার্যালয়ে রওশন এরশাদ ও গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা কার্ড পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার প্রটোকল অফিসার মো. আবু জাফর রাজু বিরোধীদলীয় নেতার একান্ত সচিব এ কে এম আব্দুর রহিম এবং জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের সহকারী একান্ত সচিব অ্যাডভোকেট আবু তৈয়বের কাছে শুভেচ্ছা কার্ড হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: চলতি বছরের শেষে যান চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী
পানি সংরক্ষণে সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
চলতি বছরের শেষে যান চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকারের স্বপ্নের প্রকল্প পদ্মা সেতু চলতি বছরের শেষ নাগাদ যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য (নওগাঁ-২) শহীদুজ্জামান সরকারের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং প্রকল্প। বাংলাদেশের কেন্দ্রের সঙ্গে দক্ষিণের জেলাগুলোর মধ্যে সংযোগকারী ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু নির্মাণ তার সরকারের একটি সাহসী পদক্ষেপ যা অনেক বাধা অতিক্রম করেছে।
তিনি বলেন, প্রকল্পের দুই প্রান্তে অ্যাপ্রোচ রোড ও সার্ভিস এরিয়া নির্মাণের শতভাগ কাজ শেষ হয়েছে।
তিনি বলেন, মূল সেতুর ভৌত কাজ ৯৬ দশমিক ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে।
আরও পড়ুন: পানি সংরক্ষণে সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে কার্পেটিং, ভায়াডাক্ট কার্পেটিং, ওয়াটারপ্রুফ মেমব্রেন, মূল সেতু ও ভায়াডাক্টের মুভমেন্ট জয়েন্ট, ল্যাম্পপোস্ট, অ্যালুমিনিয়াম রেলিং, গ্যাস পাইপলাইন, ৪০০ কেভিএ বিদ্যুৎ ও রেললাইনের কাজ চলছে।
তিনি সংসদকে বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের সংশোধিত বাজেট দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
এর আগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, চলতি বছরের জুনে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।
এদিন সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আরও বলেন, দেশের উন্নয়নে সরকারের নেয়া ১৭টি উল্লেখযোগ্য মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে।
মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল), ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট, এলএনজি টার্মিনাল ও গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্প, পায়রা সমুদ্র বন্দর, পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্প এবং আশ্রয়ণ প্রকল্প।
আরও পড়ুন: বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা বোঝা নয়: প্রধানমন্ত্রী
জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করতে পেরেছি: প্রধানমন্ত্রী
পানি সংরক্ষণে সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
সরকার ভূপৃষ্ঠের পানির যথাযথ ব্যবহার এবং ভূগর্ভ থেকে পানি উত্তোলন কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘পানির আরেক নাম জীবন, আমরা ভূ-পৃষ্ঠের পানির ব্যবহার বাড়ানো এবং ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছি, সবাইকে এই বিষয়টির দিকে নজর দিতে হবে।
সোমবার ২০২২ সালের বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় শহরের গ্রিন রোডের পানি ভবনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এবং প্রধানমন্ত্রী সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য ‘ভূগর্ভস্থ পানি:অদৃশ্য সম্পদ,দৃশ্যমান প্রভাব’।
আরও পড়ুন: মানুষ যেন সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন,বিশ্বে দুই বিলিয়ন মানুষ নিরাপদ পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছে।
তিনি বলেন,যদি আমরা এই সম্পদকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি তাহলে আমাদের দেশের মানুষের কোন দুর্ভোগ থাকবে না। এবং আমরা বিশ্বে নিরাপদ পানি সরবরাহ করতে পারব।এটা মাথায় রেখেই আমাদের কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যে নদী থেকে পানি পরিশোধন করে সরবরাহ শুরু করেছে।এমনকি জেলা পর্যায়েও ভূগর্ভস্থ পানি সংরক্ষণের জন্য সরকার নদী থেকে পানি পরিশোধন করে সরবরাহ করছে।
শেখ হাসিনা বলেন,আমরা ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার সীমিত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি।
আরও পড়ুন: সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বেড়ে উঠুক অটিজম শিশুরা: প্রধানমন্ত্রী
মানুষ যেন সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়: প্রধানমন্ত্রী
দেশের মানুষ যেন সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় তা নিশ্চিত করতে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (৩ এপ্রিল) ১২১, ১২২ এবং ১২৩তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ যেন কখনই সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সেটি আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে। মনে রাখবেন, তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যই আমাদের এই স্বাধীনতা।’
শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেন, স্বাধীনতার ফল দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে এবং এটাই সরকারের লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনি যখনই কাজ করবেন আপনাকে সব সময় দেশের মানুষের কথা চিন্তা করতে হবে।
শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচী যথাসময়ে বাস্তবায়ন ও ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য কার্যকর সমন্বয়ের ওপর জোর দেন।
তিনি আরও বলেন, কোনো এলাকায় সরকারের কোনো উন্নয়ন কর্মসূচি নিয়ে সমস্যা দেখা দিলে তা সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয় করতে হবে।
তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য অর্জনে তরুণ সরকারি কর্মকর্তাদের চালিকাশক্তি হিসেবে অভিহিত করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদেরকে এখন থেকেই সেভাবে কাজ করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি তাদের মেধা ও শক্তিকে দেশের কল্যাণে কাজে লাগানোর নির্দেশ দেন।
পড়ুন: বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা বোঝা নয়: প্রধানমন্ত্রী
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান, সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম ও বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর মোমিনুর রশিদ আমিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
প্রশিক্ষণার্থীদের পক্ষে ১২১তম ব্যাচের এম নাভিদ রেজওয়ানুল কবির, ১২২তম ব্যাচের এম রাহিবুল হাসান এবং ১২৩ তম ব্যাচের রেজওয়ানা হাশিম অনুষ্ঠানে অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিসিএস প্রশাসন একাডেমির ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে অংশগ্রহণকারী ও বিজয়ীদের মধ্যে পদক, সনদ ও ক্রেস্ট বিতরণ করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
পড়ুন: রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করতে পেরেছি: প্রধানমন্ত্রী
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা বোঝা নয়: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বা শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী শিশুরা সমাজের বোঝা নয় বরং ‘তাদের জন্য আমাদের গর্ববোধ করা উচিত’।
তিনি বলেন, ‘শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা আমাদেরই একজন, এটা সবচেয়ে বড় কথা।’
বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু চার জাতি শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২২-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা এই সমাজের অংশ, তাই তাদের বিচ্ছিন্ন করা উচিত নয়।
তিনি বলেন, সবাইকে মনে রাখতে হবে, তারা আমাদের সন্তান; আমাদেরই তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করতে পেরেছি: প্রধানমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহ উদ্দিন।
চূড়ান্ত ম্যাচে স্বাগতিক বাংলাদেশ ভারতকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে।
চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে পাঁচ লাখ টাকা করে পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের খেলাধুলার উদ্দেশ্যে ১০ কোটি টাকার তহবিল গঠনের ঘোষণা দেন।
তিনি চ্যাম্পিয়ন দলের সকল খেলোয়াড় ও ম্যাচ কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানান।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্রতিমন্ত্রী চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ ও রানার্সআপ ভারতীয় দলের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীকে দুষলেন প্রধানমন্ত্রী
জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করতে পেরেছি: প্রধানমন্ত্রী
জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসার পরই সরকার সামরিক বাহিনীর প্রতিষ্ঠিত বিচারহীনতার চলমান সংস্কৃতি দূর করতে পেরেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ‘বিজয় ৭১’ এর ১২ তলা ভবনের ভার্চুয়াল উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করে ন্যায়ের সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে তাকে এবং তার সরকারকে অনেক বাধা-বিপত্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান দেশে অন্যায়ের সংস্কৃতি কায়েম করেছিলেন এবং তার স্ত্রী খালেদা জিয়া তা সফলভাবে চালিয়ে গেছেন।
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘দেশে যে অন্যায়ের সংস্কৃতি চালু হয়েছিল তা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছে।’
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর তৎকালীন সরকার খুনিদের বাঁচাতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে। এর মাধ্যমে খুনিদের বিদেশে বিভিন্ন মিশনে চাকরি দেয়ার মাধ্যমে পুরস্কৃত করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে সময় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, সাত খুনের মামলার বিচার বন্ধ করা হয়েছে, তাদের মুক্ত করে রাজনীতি করার সুযোগ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীকে দুষলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, তারা জাতির পিতার খুনি, যুদ্ধাপরাধী, নারী ও শিশু হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শকে ধ্বংস করেছে।
সমস্ত সামরিক শাসকের শাসন এবং তাদের রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের পদক্ষেপ অবৈধ ঘোষণা করায় তিনি বিচার বিভাগের প্রশংসা করেন।
শে হাসিনা বলেন, আমি মনে করি এই রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত হয়েছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন এবং আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে ইউক্রেনের পক্ষে মানবিক কারণে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী