প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
বিদ্যুৎ বিভাগের ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ তুলে দেয়া হলো প্রধানমন্ত্রীর হাতে
মুজিববর্ষে দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার গৌরবময় সাফল্য অর্জনে দূরদর্শী নেতৃত্ব ও কার্যকর নীতির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে বিদ্যুৎ বিভাগের প্রাপ্ত স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দেয়া হয়েছে।
দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান এবং দেশের শতভাগ এলাকা বিদ্যুতের আওতায় আনার সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের সর্বোচ্চ এই জাতীয় পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২২ পেয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদসহ আরও ১০ ব্যক্তি ও সংস্থা প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।
পরে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এমএম ইমরুল কায়েস জানান, প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার (পদক ও সনদ) তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২২’ তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
বিদ্যুৎ খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব, নীতি ও কৌশলের কারণেই দেশের শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।
তারা বলেন, ‘তিনিই এই গৌরবময় অর্জনের স্থপতি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষে প্রতিটি ঘর আলোকিত করার ঘোষণা দেন।
বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে তিনি দেশের শতভাগ এলাকা বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় আনার কাজে সরাসরি নেতৃত্ব দিয়েছেন। এভাবেই সারাদেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর এই অর্জনের স্মারক প্রাপ্য বলে তারা জানান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শতভাগ বিদ্যুতায়ন একটি যুগান্তকারী অর্জন: প্রধানমন্ত্রী
‘জয় বাংলা’ স্লোগান না দেয়া মানে স্বাধীনতার আদর্শকে অবিশ্বাস করা: প্রধানমন্ত্রী
‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২২’ তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বৃহস্পতিবার নয়জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে 'স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২২' তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পুরস্কারপ্রাপ্ত ও তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার তুলে দেন।
এ বছর স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে পুরস্কার পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী, শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা (বীর বিক্রম), আব্দুল জলিল, সিরাজ উদ্দীন আহমেদ, প্রয়াত মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাস, প্রয়াত সিরাজুল হক সম্মাননা দেয়া হয়।
চিকিৎসাবিদ্যায় অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল ইসলাম, স্থাপত্যে প্রয়াত স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেনকে এই পুরস্কার দো হয়।
শতভাগ বিদ্যুতায়ন একটি যুগান্তকারী অর্জন: প্রধানমন্ত্রী
দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া একটি যুগান্তকারী অর্জন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই অর্জনের মাধ্যমে সরকার জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছে।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, শিগগিরই সকল গৃহহীন মানুষের জন্য ঘর নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে বঙ্গবন্ধুর আরেকটি স্বপ্ন।
শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য কঠোর পরিশ্রমকারী সকল সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে প্রথমবারের মতো বেসরকারি উদ্যোগে বিদেশি বিনিয়োগে ৪৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার মেঘনা ঘাট ও ৩৬০ মেগাওয়াট হরিপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে, আওয়ামী লীগে সরকার ২০০৯ সাল থেকে অনেক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে যার ফলে শতভাগ বিদ্যুৎ কভারেজ অর্জন সম্ভব করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ অর্জনের ধারাবাহিকতায় জাতির পিতার আরেকটি স্বপ্ন পূরণে দেশের সব গৃহহীন মানুষের জন্য ঘর নির্মাণের কাজ চলমান।
অবহেলিত দক্ষিণাঞ্চলে বিগত বছরগুলোতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, গতকাল (সোমবার) পটুয়াখালী জেলায় সবচেয়ে বড় পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পায়রা সমুদ্র বন্দর, সেনানিবাস, নৌ ঘাঁটিও অন্যান্য অবকাঠামোর মতো অনেক বড় স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে যা এই অঞ্চলের সামগ্রিক দৃশ্যপটকে বদলে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: শতভাগ বিদ্যুতায়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রধানমন্ত্রীকে এফবিসিসিআই সভাপতির অভিনন্দন
পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খুব শিগগিরই এই মেগা প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হবে এবং দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ চিরতরে শেষ হবে।
বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন দক্ষিণাঞ্চলকে ধ্বংসাত্মক ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও অন্যান্য দুর্যোগ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী বৃক্ষরোপণ ও সবুজ বনায়নের প্রচারণার পাশাপাশি উপকূলীয় অঞ্চলে কৃত্রিম ম্যানগ্রোভ বন তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং গত ১৩ বছর ধরে জনগণের রায়ে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারকে দেশের জন্য এই বড় অর্জনে সহায়তা করেছে।
আরও পড়ুন: ‘জয় বাংলা’ স্লোগান না দেয়া মানে স্বাধীনতার আদর্শকে অবিশ্বাস করা: প্রধানমন্ত্রী
সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার এক শোকবার্তায় তিনি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
আরও পড়ুন: সাবেক রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ আর নেই
বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ প্রধান বিচারপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে ফেব্রুয়ারি থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সাবেক এই রাষ্ট্রপ্রধানের মৃত্যুতে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীও গভীর শোক প্রকাশ করছেন।
‘জয় বাংলা’ স্লোগান না দেয়া মানে স্বাধীনতার আদর্শকে অবিশ্বাস করা: প্রধানমন্ত্রী
যারা মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা, ‘জয় বাংলা’র মতো জাতীয় স্লোগান দিতে অস্বীকার করে তাদের তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি এক আলোচনা সভায় বলেন, ‘যারা এখনও 'জয় বাংলা' স্লোগান দেয় না তারা আসলে দেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার আদর্শে বিশ্বাস করে না।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২২ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার বঙ্গবন্ধু সমাধি কমপ্লেক্সে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: শিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর
সভায় সভাপতিত্ব করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘জয় বাংলা’ স্লোগান একসময় দেশে নিষিদ্ধ ছিল এবং এই স্লোগান দিতে এবং বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বাজানোর জন্য বহু আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা এই স্লোগান উচ্চারণ করেই স্বাধীনতা অর্জন করেছেন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্র ও খুনিরা স্লোগানটিকে নিষিদ্ধ করেছে।
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান এমপি, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি ও গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলী খান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ এমপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিমান বাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধির আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
জন্মবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২২ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
প্রথমে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তারা জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সকালে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এবং ১৫ আগস্টের হত্যাযজ্ঞের শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এক বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ১০২তম জন্মবার্ষিকী আজ
এদিকে সারাদশে আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধুর ১০২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হচ্ছে। সরকারি ছুটির দিনটিকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবেও পালন করা হচ্ছে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী বেলা ১১টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২২ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে দুপুর আড়াইটার দিকে ‘টুঙ্গিপাড়া: হৃদয়ে পিতৃভূমি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
বিকালে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশে টুঙ্গিপাড়া ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী।
পড়ুন: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ছেলেবেলা কেমন ছিল?
বৃষ্টির পানি সংগ্রহ ও নদীর পানি সংরক্ষণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরতা কমাতে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ ও নদীর পানি সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার চট্টগ্রাম ওয়াসার নবনির্মিত শেখ হাসিনা ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট-২ উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, ‘আমাদের যেভাবেই হোক বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করতে হবে এবং বর্ষায় নদীর পানি সংরক্ষণ করতে হবে যাতে আমরা পানির সঠিক ব্যবহার করতে পারি।’
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে চট্টগ্রামের একটি হোটেলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প (পর্যায়-২) এর আওতায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় নির্মিত পানি শোধনাগার চালুর ফলে চট্টগ্রাম ওয়াসার সার্বিক পানি সরবরাহ ক্ষমতা এখন১৪ দশমিক ৩০ কোটি লিটার বেড়ে দৈনিক ৫০ কোটি লিটারে পৌঁছেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বৃষ্টির পানি সংগ্রহ ও বর্ষাকালে নদীর পানি সংরক্ষণের জন্য যে কোনো স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রতিটি স্থানে পানির সংরক্ষণাগার রাখতে হবে, তা আবাসন বা শিল্প যাই হোক না কেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
চট্টগ্রাম ওয়াসার মেগা প্রকল্প রাঙ্গুনিয়ার শেখ হাসিনা শোধনাগার-২ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়নে অবস্থিত চট্টগ্রাম ওয়াসার মেগা প্রকল্প শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চট্টগ্রামের রেডিসন ব্লু হল থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ।এর আগে শেখ রাসেল পানি শোধনাগার থেকে পানি সরবরাহ করছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। ফলে নগরবাসীর দৈনিক চাহিদার ৫০ কোটি লিটার পানি সরবরাহের সক্ষমতা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: বিমান বাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধির আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
২০২০ সালের জুনে এটি চালু হওয়ার প্রাথমিক সময় নির্ধারণ করা হলেও করোনার কারণে বিদেশি বিশেষজ্ঞ ও শ্রমিকরা কাজে যোগ না দেয়ায় প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে যায়। পরে বিদেশি বিশেষজ্ঞ ও শ্রমিকরা কাজে যোগ দিলে কাজে গতি আসে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে এ প্রকল্পের ট্রায়াল রান শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর আগের দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এ প্রকল্প উদ্বোধন করেন।জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগরীর বর্তমানে ওয়াসার দৈনিক ৫০ কোটি লিটার পানির চাহিদা মেটাতে ১৪ দশমিক ৩ কোটি লিটার উৎপাদন ক্ষমতার এ মেগা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়।এর আগে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ গত ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন।চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্র জানায়, রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা এলাকায় কর্ণফুলী নদী থেকে পানি উত্তোলন করে পরিশোধনের পর চট্টগ্রাম শহরে পানি সরবরাহ করার লক্ষ্য নিয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়। প্রকল্পটি উৎপাদনে যাওয়ায় ওয়াসার পানি সরবরাহ ক্ষমতা বাড়বে দৈনিক আরও ১৪ দশমিক তিন কোটি লিটার। বর্তমানে দৈনিক ৩৬ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করে চট্টগ্রাম ওয়াসা। এ প্রকল্প চালুর ফলে দৈনিক ৫০ কোটি লিটারের বেশি পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে।শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার প্রকল্প-২ প্রতিষ্ঠার ৫৬ বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম ওয়াসার সবচেয়ে বড় প্রকল্প। জাপানের জাইকা, বাংলাদেশ সরকার ও চট্টগ্রাম ওয়াসার যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয় চার হাজার ৪৯১ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে জাইকা তিন হাজার ৬২৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা, বাংলাদেশ সরকার ৮৪৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং চট্টগ্রাম ওয়াসা ২৩ কোটি ৭ লাখ টাকা অর্থায়ন করে।চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ জানান, এ প্রকল্প চালুর ফলে নগরীতে আর পানির সংকট থাকবে না। অন্তত ২০৩০ সাল পর্যন্ত নগরে পানির জন্য আর চিন্তা করতে হবে না। পানি সরবরাহের দিক থেকে বিশ্বের উন্নত শহরগুলোর মতো সেবা মিলবে। এরপর সমস্ত গভীর নলকূপ বন্ধ করে দেয়া হবে। এতে আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াটার লেভেল বাড়বে। ফলে জমির উর্বরতাও বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন: নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বিশেষ কার্ড পাবেন ১ কোটি মানুষ: প্রধানমন্ত্রী
অনেক সৌদি কোম্পানি বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ বলেছেন, অনেক সৌদি কোম্পানি বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন তার সরকার দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে।
সৌদি আরবের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিদ্যমান সুযোগগুলো কাজে লাগাবেন বলে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
শেখ হাসিনা সৌদি আরবের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘অর্থনীতি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি, শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং প্রতিরক্ষাসহ বহু ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সম্প্রসারিত ও সুসংহত হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থানে রয়েছে।
পড়ুন: বিমান বাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধির আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তিনি সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ এবং সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান আল সৌদকে তার শুভেচ্ছা জানান।
প্রধানমন্ত্রী মুসলিম উম্মাহ’র দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে ‘বন্ধুত্বের শক্ত বন্ধন’ হিসেবে উল্লেখ করে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী দিনে এটা আরও জোরদার হবে।’
তিনি বলেন, আমাদের অগ্রাধিকার খাত হচ্ছে নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে আরও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানো।
বাংলাদেশ ও সৌদি আরব বিভিন্ন বৈশ্বিক ক্ষেত্রেও একসঙ্গে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রিন্স ফয়সাল।
তিনি বলেন, অনেক বাংলাদেশি শ্রমিক বিশ্ব অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন।
প্রিন্স ফয়সাল শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল, অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী এবং বাংলাদেশে সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসেফ ইসা আল দুলাইহান উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: সহযোগিতা সম্প্রসারণে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক ‘বিস্তৃত ও গতিশীল’: রাষ্ট্রদূত হাস