রবিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটি উদ্বোধনের কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে মূল সেতুর উত্তর অংশের ইচলী এলাকায় ৬০ ফুট দীর্ঘ সংযোগ সেতুর মুখ ধসে যায়, ভেঙে গেছে সংযোগ সড়কও। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে রংপুরের সাথে লালমনিরহাটের চার উপজেলার মানুষের।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেতুটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগেই জনগণের চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছিল।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ব্যাপক অনিয়ম আর নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার কারণে সংযোগ সড়ক সেতুতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সড়ক নির্মাণে তিন দফায় মোট ১৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয় করা হলেও উদ্বোধনের আগে তিস্তার স্রোতে তা ভেসে গেছে।
রংপুর-লালমনিরহাট জেলার মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনতে ২০১২ সালে তিস্তা নদীর ওপর ৮৫০ মিটার দীর্ঘ দ্বিতীয় তিস্তা সড়ক সেতুর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্পে ব্যয় হয় ১২৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
২০১৪ সালের ৩১ জুন নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সময় বাড়িয়ে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সেতুর কাজ সম্পন্ন করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নাভানা কন্সট্রাকশন।
নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে নাভানা কন্সট্রাকশনের ব্যবস্থাপক প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘সেতুটির ১২৪ মিটার সংযোগ সড়কের কাজ আমরা করেছি। বাকি কাজ অন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান করেছে।’
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট এলজিইডির নিবার্হী প্রকৌশলী এসএম জাকিউর রহমান জানান, তিস্তার গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে মূল সেতুর উত্তর দিক দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মূল সেতুর পশ্চিমে বাঁধ নির্মাণ না করলে সংযোগ সড়ক ও সেতুগুলো রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ বলেন, ‘উদ্বোধন অনুষ্ঠান যথাসময়ে হবে। ধসে যাওয়া অংশ দ্রুত মেরামত বা সাময়িক যোগাযোগের উপযোগী করতে প্রকৌশল বিভাগ কাজ করছে।’