তাহিরপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত উপজেলার ৩০টি বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষ ও আঙ্গিনায় পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবেশ করায় শিক্ষার্থীশূন্য হয়ে পড়ে ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
তাহিরপুর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবু সাঈদ জানান, ছয় দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ও আঙ্গিনায় প্রবেশ করে। বিদ্যালয়ে যাতায়াতমুখী সড়কে ভাঙন দেখা দেয়ায় বৃহস্পতিবার উপজেলার কমপক্ষে ৩০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষার্থী আসতে পারেনি।
তিনি বলেন, বুধবার ১৭টি বিদ্যালয়ে ঢলের পানি প্রবেশের তথ্য থাকলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ সংখ্যা ক্রমে বৃদ্ধি পেতে থাকে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত উপজেলার ইসলামপুর, পাতারগাঁও, সোহালা, গড়কাটি, পাঠানপাড়া, পুরানলাউড় পশ্চিম, হলহলিয়া, বিরেন্দ্রনগর, কলাগাঁও, সোনাপুর কামনাপাড়া, রঙ্গারছড়া, রজনীলাইন, বড়ছড়া, লালঘাট, লাকমা, দুর্লভপুর, কামারকান্দি, কাউকান্দি, মাহারাম, নোয়ানগর, পিরোজপুর, রাফিনগর, সোনাপুর ১নং, বালিজুরী নয়াহাট, সাদেরখলা, মন্দিয়াতা, পৈলনপুর, মাটিয়াইন, সুলেমানপুর, নালেরবন্দ, সাহেবনগর, জামালগড়. রতনশ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ও আঙ্গিনায় ঢলের পানি প্রবেশ করেছে।
এছাড়াও বসতবাড়িতে ঢলের পানি প্রবেশ করায় উপজেলার সুলেমানপুর, রতনশ্রীসহ বেশ কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গ্রামবাসী আশ্রয় নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবু সাঈদ আরও জানান, পাহাড়ি ঢলের কারণে যেসব বিদ্যালয় শিক্ষার্থীশূন্য হয়ে পড়েছে সে বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ দায়িত্বশীল সব দপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে। যেভাবে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল ধেয়ে আসছে তাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোনো শিক্ষার্থী বা শিক্ষক বিদ্যালয়ে যাতায়াত করাটা প্রায় অসম্ভব এমনকি শিক্ষার্থীশূন্য বিদ্যালয়ের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
উল্লেখ্য, উপজেলার সাত ইউনিয়নে ১৩৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৩৮ হাজার শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে আসছে।