বিমানের প্রথম হজ ফ্লাইট বিজি-৩০০১ ওই দিন সকাল সোয়া ৭টায় ৪১৯ জন হজযাত্রী নিয়ে জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাবে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী এবং ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে উদ্বোধনী ফ্লাইটের যাত্রীদের বিদায় জানাবেন।
একই দিনে আরও চারটি ফ্লাইট ঢাকা ছাড়বে বলে মঙ্গলবার বিমানের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিমান এ বছর চট্টগ্রাম এবং সিলেট থেকেও যথাক্রমে ১৯ ও ৩টি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
বাংলাদেশ থেকে এ বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ ব্যক্তি হজ পালনে সৌদি আরব যাবেন। বিমানের হজ ফ্লাইট ও শিডিউল ফ্লাইটে যাবেন মোট ৬৩ হাজার ৫৯৯ জন। তাদের মধ্যে ৭ হাজার ১৯৮ জন সরকারি এবং বাকি ৫৬ হাজার ৪০১ যাত্রী যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়।
হজযাত্রীদের ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে পরিবহনের জন্য বিমানের চারটি নিজস্ব বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর উড়োজাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একই রুটে চলাচলকারী বিমানের নিয়মিত শিডিউল ফ্লাইটেও হজযাত্রীরা জেদ্দায় যাবেন। ঢাকা থেকে জেদ্দা প্রতি ফ্লাইটের উড্ডয়নকাল হবে আনুমানিক ৭ ঘণ্টা।
হজযাত্রীদের বহনে দুই মাসব্যাপী মোট ৩৬৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। যার মধ্যে ৩০৪টি বিশেষ এবং ৬১টি নিয়মিত ফ্লাইট। হজে যাওয়ার জন্য ৪ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ১৮৯টি এবং ফেরার জন্য ১৭ আগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৪৭টি ফ্লাইট চলবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে মদিনায় ১৮টি ও মদিনা থেকে বাংলাদেশে ১৫টি সরাসরি ফ্লাইট থাকবে।
এ বছর প্রথমবারের মতো কিছু ফ্লাইটের জেদ্দা বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম ঢাকা থেকেই সম্পন্ন করা হবে।
মালামাল বহনের ক্ষেত্রে প্রত্যেক হজযাত্রী বিনামূল্যে সর্বাধিক ২টি ব্যাগেজ মিলিয়ে ৪৬ কেজি বিমানে এবং ৭ কেজি কেবিন ব্যাগেজে নিতে পারবেন। প্রতিটি ব্যাগেজের ওজন ২৩ কেজির বেশি হতে পারবে না।
প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য ৫ লিটার জমজমের পানি দেশে নিয়ে আসা হবে এবং তারা ফেরত আসার পর তা দেয়া হবে। হাজীরা সাথে করে বিমানে পানি বহন করতে পারবেন না।