সম্প্রতি দ্য হেগে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের ১৭তম সম্মেলনে ১২৩ সদস্যের ভোটে পরবর্তী তিন বছরের নির্বাহী পর্ষদের জন্য নির্বাচিত হন তিনি।
নির্বাচনে রাষ্ট্রদূত বেলাল বাংলাদেশ সরকারের মনোনীত এবং সমর্থিত প্রার্থী ছিলেন।
ইউএনবিকে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার সম্মুখীন হওয়ার ইতিহাস সবসময়ই বাংলাদেশকে যুদ্ধ-বিগ্রহে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের পুনর্বাসনে সহায়তা করার জন্য উদ্বুদ্ধ করে আসছে। ফলশ্রুতিতে এই নির্বাচন বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আস্থার প্রতিফলন হিসেবে ফুটে উঠেছে। ’
দ্য হেগেস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, এই নির্বাচন দ্য হেগস্থ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় রাষ্ট্রদূত বেলালের জোরালো এবং সাফল্যময় ভূমিকার ফসল।
এর আগে রাষ্ট্রদূত বেলাল বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২০১৫-২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থার (ওপিসিডব্লিউ) নির্বাহী পরিষদের চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়াও তিনি ২০১৫-২০১৬ সময়ে আইসিসির ফ্যাসিলিটেটর অফ ভিক্টিমস-এর দায়িত্ব পালন করেন।
আইসিসির ট্রাস্ট ফান্ড ফর ভিক্টিমস-এর নির্বাহী পর্ষদের পাঁচটি আসন পৃথিবীকে পাঁচটি অঞ্চলে ভাগ করে বরাদ্দ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ক্ষতিগ্রস্থদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে কেবলমাত্র অপরাধীদের বিচারই করে না, ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে সংস্থাটি ক্ষতিগ্রস্থদের শারীরিক এবং মানসিক দুর্দশা লাঘবে সহায়তা প্রদান করে থাকে। নির্বাহী পর্ষদের সদস্যরা ফান্ডটির পরিচালনা এবং এর আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত থাকবেন।
ট্রাস্ট ফান্ড ফর ভিক্টিমস-এর দুটো দায়িত্ব হলো আইসিসি’র আওতাধীন দেশসমূহে যুদ্ধ-বিগ্রহে (যেমন গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধ) ক্ষতিগ্রস্থদের এবং তাদের পরিবারকে সহায়তা প্রদান এবং আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ আদায়। ট্রাস্ট ফান্ডের কার্যক্রম আইসিসির সদস্য দেশসমূহের স্বপ্রণোদিত চাঁদা, ব্যক্তি পর্যায়ের চাঁদা এবং বিভিন্ন দণ্ড ও জরিমানার মাধ্যমে আহরিত অর্থের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
ট্রাস্ট ফান্ড ফর ভিক্টিমস-এর সদস্য ছিলেন এমন প্রসিদ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে জর্ডানের রাণী রানিয়া আল-আবদুল্লাহ, কোস্টারিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট নোবেল শান্তি পদক বিজয়ী অস্কার আরিয়াস সানচেজ, নোবেল শান্তি পদক বিজয়ী আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু উল্লেখযোগ্য।
আইসিসির ১৭তম সদস্য রাষ্ট্র সমূহের অ্যাসেম্বলি, যেখানে বাংলাদেশ ২০১০ সালে আইসিসিতে যোগদানের পর প্রথমবারের মতো এই সংস্থাটির ব্যুরো মেম্বার (১২৩টি দেশের মধ্যে মাত্র ২১টি দেশ যার সদস্য) নির্বাচিত হয়েছে, আইসিসির ২০ বার্ষিকীও উদযাপন করছে।