তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানিকালে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।
এ বিষয়ে শহিদুল আলমের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেছেন, ‘এখন আমরা আবেদনটি হাইকোর্টের অন্য কোনো বেঞ্চে শুনানির জন্য উত্থাপন করবো।’
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
এর আগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় জামিন আবেদন করলে আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে গত ৭ অক্টোবর রুল জারি করে হাইকোর্ট। এরপর এ মামলায় তার জামিন বিষয়ে হাইকোর্টে রুল শুনানি হয়।
গত ২৯ অক্টোবর নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় আল-জাজিরা টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমের সাৎকারের ভিডিও ফুটেজ ও ফেসবুক লাইভে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজ দাখিল করতে
বলে হাইকোর্ট।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার আল-জাজিরা টেলিভিশনে প্রচারিত শহিদুল আলমের সাৎকারের ভিডিও ফুটেজ ও ফেসবুক লাইভে প্রচারিত বক্তব্য প্রজেক্টরের মাধ্যমে আদালতে দেখানো হয়। এরপর শুনানি নিয়ে জামিন আবেদন
হাইকোর্ট কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়।
এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় হাইকোর্টে এই জামিনের আবেদন করেছিলেন শহিদুল আলম। এছাড়া এ মামলায় শহিদুল আলমের একটি জামিন আবেদন নিম্ন আদালতে বিচারাধীন থাকাবস্থায় গত ২৮ আগস্ট হাইকোর্টে প্রথম দফায় জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়।
গত ১০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট এই আবেদনের শুনানি করে ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিচারিক আদালতকে শহিদুল আলমের আবেদন নিষ্পত্তির আদেশ দেয়। পরে ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত তার জামিন আবেদন
নামঞ্জুর করে।
এ অবস্থায় তার পক্ষে ফের হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ৭ অক্টোবর রুল জারি করে।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে গত ৬ আগস্ট শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ।