হাইকোর্ট
কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি দেওয়া ছিল অবৈধ: হাইকোর্ট
কুইক রেন্টাল আইন নামে পরিচিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ৯ ধারায় দায়মুক্তির বিধান অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
দায়মুক্তির বিধান চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করে আজ (১৪ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ৯ ধারায় দায়মুক্তি কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলের শুনানি শেষে গত ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রায়ের দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ড. শাহদীন মালিক। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার সিনথিয়া ফরিদ।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০’- এর ৯ ও ৬ (২) ধারা অনুযায়ী, রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কোনো কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন বা মামলা করা যাবে না। এই ধারা দুটি চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট করা হয়।
রিটে বলা হয়, রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে অস্বাভাবিক খরচ আর অনিয়মের কারণেই বারবার বিদ্যুতের দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে সরকার। অথচ সেই অনিয়মকে বৈধতা দেওয়ার জন্য আইন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এসব অনিয়মের কোনো বিচারও চাওয়া যাবে না-এটা জনস্বার্থবিরোধী ও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এ রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে গত ২ সেপ্টেম্বর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্টে বেঞ্চ সোমবার রুল জারি করেন। এই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করে আজ হাইকোর্ট রায় দেন
ড. শাহদীন মালিক সাংবাদিকদের জানান, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০’ সাধারণত কুইক রেন্টাল আইন নামে পরিচিত। আইনটির ৬-এর (২) উপধারা ও ৯ নম্বর ধারার সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেছি।
তিনি বলেন, ৬ এর ধারায় বলা আছে, জ্বালানিমন্ত্রী তার একক বিবেচনায় কোনো একক ব্যক্তি বা কোম্পানির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তার সঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদনের চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারবেন। এখানে মন্ত্রীর একক বিবেচনায় যাকে ইচ্ছা, যত টাকায় ইচ্ছা চুক্তি করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
আর আইনটির ৯ নম্বর ধারায় বলা আছে, কাকে চুক্তি দেওয়া হয়েছে, কত টাকার চুক্তি করা হচ্ছে, এসব ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে আদালতে শরণাপন্ন হওয়া যাবে না। দুটি ধারাই সংবিধানের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করে এই আইনজীবী অভিযোগ করেন, ধারা দুটির অপব্যবহারের ফলে বিগত সরকারের আমলে কুইক রেন্টালের পাওয়ার প্ল্যান্টের নামে রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ৬(২) ধারা অনুযায়ী বেশ কিছু কুইক রেন্টাল আইন স্থাপন করা হয়েছে। কুইকরেন্টাল আইন অনুযায়ী বিদ্যুত সরবরাহ করুক আর না করুক তারা টাকা পাবে। এই ধারা মূলত লুটপাটের বিশেষ বিধান আইন হয়ে গেছে। এজন্য আদালত ৬(০২ ধারাাকে অসাংবিধানিক ও অবৈধ ঘোষণা করেছেন। আইনের এই ৬(২) ধারায় অধীনে যেসব চুক্তি হয়েছে, সেগুলো সরকার পুনমূল্যায়ন করতে পারবে এবং যাদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে তাদের স্বার্থে চুক্তির শর্ত পরিবর্তন করতে পারবে, দরকষাকষি করতে পারবে। এখন সরকার পুনমূল্যায়ন করে যারা বসে বসে টাকা নিচ্ছে তাদের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিতে পারবে।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন ২৩ জন
৩ দিন আগে
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হাইকোর্টে বাতিল
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান আব্দুস সালামসহ চার জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার কার্যক্রম বাতিল করে তাদেরকে অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
খালাসপ্রাপ্ত অন্য দুজন হলেন— একুশে টেলিভিশনের সাবেক প্রধান প্রতিবেদক মাহাথীর ফারুকী খান ও সিনিয়র প্রতিবেদক কনক সারওয়ার।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আব্দুস সালামের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
পরে মাহবুব উদ্দিন খোকন জানান, আজকে শাহদীন মালিক সাহেব শুনানি করেছেন। আমরাও সেখানে ছিলাম। এই মামলার শুরুইটাই বেআইনি। তাই আব্দুস সালাম, তারেক রহমানসহ সবার মামলা বাতিল করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি লন্ডন থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেওয়া বক্তব্য একুশে টিভি সরাসরি সম্প্রচার করে। পরদিন তারেক রহমান ও একুশে টেলিভিশনের মালিক আব্দুস সালামের নামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চায় তেজগাঁও থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: অন্য ইস্যু নয় ভোটের দিকে নজর দিন: সরকারকে ফখরুল
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর তেজগাঁও থানার এসআই বোরহান উদ্দিন ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি এ মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, লন্ডন থেকে তারেক রহমানের দেওয়া বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচারের করে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করে দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি দেখানো, প্রতিষ্ঠিত সরকারের প্রতি ঘৃণা তৈরি করতে চেয়েছিলেন।
তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক এমদাদুল হক। সেখানে তারেক ও সালামের সঙ্গে একুশে টেলিভিশনের প্রধান প্রতিবেদক মাহাথীর ফারুকী খান এবং জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক কনক সারওয়ারের নাম যোগ করা হয়।
পরে আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আব্দুস সালাম হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্ট ২০১৭ সালে রুল ও স্থগিতাদেশ দেন। সেই রুলের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রায় দেওয়া হলো।
আরও পড়ুন: জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস: বিএনপির ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
২ সপ্তাহ আগে
আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ চেয়ে করা রিট প্রত্যাহার
আওয়ামী লীগসহ ১১টি রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়ার রিটও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
রিটকারীদের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্টে বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: আ. লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিধিনিষেধ চেয়ে রিট
সোমবার (২৮ অক্টোবর) এ রিট দায়ের করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম ও হাসিবুল ইসলাম।
আদালতে রিটকারীদের আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, রিটকারীরা আর রিট আবেদনটি চালাতে চান না। এ কারণে হাইকোর্ট রিট আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন।
দলগুলো হলো- আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাসদ, জাতীয় পার্টি (জেপি), তরিকত ফেডারেশন, গণতন্ত্রী পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ, বিকল্পধারা, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল (এম-এল) (দিলীপ বড়ুয়া), বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজার রানার জামিন স্থগিতই থাকছে
২ সপ্তাহ আগে
আ. লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিধিনিষেধ চেয়ে রিট
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর বিধিনিষেধ চেয়ে সোমবার হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। তবে পুরোপুরি দলটি নিষিদ্ধের দাবি করা হয়নি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন।
বিচারপতি ফাতেমা নাজিব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
রিটকারীদের পক্ষের আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়া থেকে বিরত রাখতেই এই রিট দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করল সরকার
তিনি বলেন, চলমান রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে জনস্বার্থ সমুন্নত রাখতেই এই পদক্ষেপ।
এর আগে আওয়ামী লীগের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার দাবি করে আগস্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু সেটি ১ সেপ্টেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ তা খারিজ করে দেন।
গত ২৩ অক্টোবর সন্ত্রাসবিরোধী আইনের বিধান দেখিয়ে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট ছাত্র-নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ত্যাগ করার পর থেকে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে এই রাজনৈতিক দল।
আরও পড়ুন: ৮ দিবস বাতিলের সিদ্ধান্তের নিন্দা সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের
২ সপ্তাহ আগে
রানা প্লাজার রানার জামিন স্থগিতই থাকছে
সাভারে রানা প্লাজা ধসে হতাহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় ভবন মালিক সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিতই থাকছে। তবে তার জামিন স্থগিত রেখে এ বিষয়ে জারি করা রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ এ নির্দেশ দেন।
আদালতে সোহেল রানার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ ও ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজার মালিক সোহেলের জামিন স্থগিত
সর্বশেষ বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১ অক্টোবর রানাকে ছয় মাসের জামিন দেন। তবে ২ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে জামিন আদেশ স্থগিত করে বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত। সে অনুযায়ী আজ শুনানি হয় আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে।
এর আগে ২০২৩ সালের ৬ এপ্রিল এই মামলায় সোহেল রানাকে জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের সে জামিন আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগ।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৫ জন শ্রমিক নিহত হন। গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করেন ১ হাজার ১৬৯ জন। ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় একই বছরের ২৯ এপ্রিল বেনাপোল থেকে সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
আরও পড়ুন: আজ রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছর
২ সপ্তাহ আগে
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত ছয় মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ হাইকোর্টের
ছয় মাসের মধ্যে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার ছয় সদস্যের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
১২ বছর ধরে নিষ্পত্তি না হওয়া মামলাটি তদন্তে গত ৩০ সেপ্টেম্বর টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এছাড়াও বারবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে ব্যর্থ হওয়ায় র্যাবকে তদন্ত থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা: মামলা চালাবেন শিশির মনিরসহ ৯ আইনজীবী
এর আগে জোড়া খুনের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ১১৪তম বারের মতো পিছিয়ে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ধার্য করা হয়।
চলতি বছরের ১ অক্টোবর এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষকে সহায়তার জন্য ৯ জন আইনজীবী নিয়োগের অনুমতি চেয়ে নিম্ন আদালতে রিট করেন রুনির ভাই নওশের।
পরে আদালত সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনিরসহ নয়জন আইনজীবী নিয়োগ দেন।
গত ১০ অক্টোবর পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ময়নুল ইসলাম বলেন, পুলিশ মামলাটি পুনঃতদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় খুন হন।
এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আটজন।
অপর আসামিরা হলেন- বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।
এ মামলায় গ্রেপ্তার আটজনের মধ্যে দুজন জামিন পেয়েছেন, বাকিরা কারাগারে রয়েছেন।
২০১২ সালের ১ অক্টোবর তানভীর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ২০১৪ সালে জামিন পান তিনি।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা মামলা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে: র্যাব
১ মাস আগে
হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন ২৩ জন
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ২৩ জন শপথ গ্রহণ করেছেন।
বুধবার সকাল ১১টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথবাক্য পাঠ করান।
শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেল আজিজ আহমেদ।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সুপ্রিমকোর্টের উভয় (আপিল ও হাইকোর্ট) বিভাগের বিচারপতিরা ছিলেন।
আরও পড়ুন: দ্বৈত শাসনব্যবস্থার বিলোপ না হলে বিচারকদের প্রকৃত স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে না: প্রধান বিচারপতি
শপথ নেওয়া ২৩ বিচারপতি হলেন- মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, সৈয়দ এনায়েত হোসেন, মো. মনসুর আলম, সৈয়দ জাহেদ মনসুর, কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা, মো. যাবিদ হোসেন, মুবিনা আসাফ, কাজী ওয়ালিউল ইসলাম, আইনুন নাহার সিদ্দিকা, মো. আবদুল মান্নান, তামান্না রহমান, মো. শফিউল আলম মাহমুদ, মো. হামিদুর রহমান, নাসরিন আক্তার, সাথিকা হোসেন, সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেন, মো. তৌফিক ইনাম, ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমন, শেখ তাহসিন আলী, ফয়েজ আহমেদ, মো. সগীর হোসেন, শিকদার মাহমুদুর রাজী ও দেবাশীষ রায় চৌধুরী।
এর আগে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাতে তাদের হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৮ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নিম্নবর্ণিত (ক)-(ব) ক্রমিকে উল্লেখকৃত ২৩ ব্যক্তিকে শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে অনধিক দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগদান করেছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা মামলায় জামিন পেলেও কারামুক্তি মিলছে না সাবেক বিচারপতি মানিকের
১ মাস আগে
ইলিশ রপ্তানি বন্ধে হাইকোর্টে রিট
দেশ থেকে স্থায়ীভাবে জাতীয় মাছ ইলিশ রপ্তানি বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে এবার হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদনটি করেন আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান।
রিটে বাণিজ্য সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান, আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর ও বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।
এছাড়া ইলিশ রপ্তানি থেকে বিরত থাকতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, সে প্রশ্ন তুলে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে রিটে।
সেইসঙ্গে উপযুক্ত বা সাশ্রয়ী দামে দেশে ইলিশ মাছ বিক্রির ব্যবস্থা করতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিবের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
ইলিশ রপ্তানি বন্ধে এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর বিবাদীদের আইনি নোটিশ পাঠান আইনজীবী মাহমুদুল হাসান। নোটিশ পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে ইলিশ রপ্তানি স্থায়ীভাবে বন্ধে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছিলেন। নইলে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট আবেদন করার কথা বলা হয়েছিল সে নোটিশে।
কিন্তু এ নোটিশ দেওয়ার ৩ দিনের মাথায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতে দ্বিতীয় দফায় আরও ৫০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: ভারতে রপ্তানির খবরে বেড়েছে ইলিশের দাম
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৪ সেপ্টেম্বর প্রথম দফায় দুই হাজার ৪৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেয়। ভারতে রপ্তানির জন্য দুই দফায় মোট দুই হাজার ৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
রিটকারী আইনজীবী মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘বিবাদীদের কাছ থেকে নোটিশের জবাব না পেয়ে ও ইলিশ রপ্তানি বন্ধে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ চোখে না পড়ায় রিট আবেদনটি করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এখতিয়ার সম্পন্ন বেঞ্চে রিটটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।’
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ। কিন্তু বর্তমানে ইলিশ মাছের অত্যাধিক দামের কারণে বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী এই মাছ কেনার কথা চিন্তাও করতে পারে না। মধ্যবিত্তরাও এই ইলিশ মাছ কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। বাজারে ইলিশ মাছের গড় দাম ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি। পদ্মার ইলিশের দাম গড়ে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা কেজি। কিন্তু বাজারে পদ্মার ইলিশ পাওয়া যায় না বললেই চলে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেশের মানুষের চাহিদার কথা চিন্তা না করে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে দেশের বাজারে ইলিশের দাম আরও বেড়েছে। আরও দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে দেশের বাজারের চেয়ে কম দামে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা হচ্ছে। তাছাড়া বাংলাদেশের রপ্তানি নীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী ইলিশ মুক্তভাবে রপ্তানিযোগ্য পণ্য নয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণ অনায্যভাবে, জণগণের স্বার্থ উপেক্ষা করে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরা ও বিক্রি বন্ধ
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে এবার প্রায় ৫ হাজার টন ইলিশ মাছ রপ্তানির পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পেতে এরই মধ্যে শতাধিক প্রতিষ্ঠান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে। তা থেকে পর্যায়ক্রমে ৫৯টি প্রতিষ্ঠানকে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আগামী ১ অক্টোবর থেকে দুর্গাপূজা শুরু। সাধারণত দুর্গাপূজা উপলক্ষেই ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা হয়।
২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত রপ্তানি বন্ধ থাকলেও ২০১৯ থেকে দেশটিতে আবার ইলিশ রপ্তানি চালু করা হয়।
গত বছর ভারতে ১ হাজার ৪০০ টন ইলিশ রপ্তানি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতির প্রতিবাদে অন্তর্বর্তী সরকারকে আইনি নোটিশ
১ মাস আগে
সারা দেশের মাজার রক্ষা করতে হাইকোর্টের নির্দেশ
সারা দেশের সব মাজার রক্ষা করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মাজার রক্ষায় সরকারের ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এসময় স্বরাষ্ট্র সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, ওয়াকফ প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন তৌফিক সাজওযার পার্থ।
আরও পড়ুন: বুয়েটছাত্র আবরারের পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন নয়: হাইকোর্ট
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও মাইজভান্ডারির অনুসারী শাহ আলম আলভী গত ১০ সেপ্টেম্বর জনস্বার্থে রিট করেন।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৯টি মাজার ভাঙা হয়েছে।
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর মাজারের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দেয় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, দেশের আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার উদ্দেশ্যে কতিপয় দুষ্কৃতকারী দেশের বিভিন্ন স্থানে মাজারে হামলা চালাচ্ছে। যা উদ্বেগজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত। মাজার ওলি-আউলিয়া ও দরবেশদের সমাধিস্থল বিবেচনায় এর অনুসারীরা দীর্ঘ ঐতিহ্যের সঙ্গে ভক্তি-শ্রদ্ধা ও জিয়ারত করে আসছেন।
আরও বলা হয়, মাজারে শান্তি-শৃঙ্খলা ও ভক্তদের চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য জেলা প্রশাসকদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এছাড়া কোনো জেলাতে মাজারে হামলার আশঙ্কা থাকলে সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ বিষয়টি ধর্ম মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ বিষয়ে দায়মুক্তি কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
১ মাস আগে
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে করা রিট সরাসরি খারিজ
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দলটির নিবন্ধন বাতিল চেয়ে করা রিটটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান শুনানি করেন।
তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেদওয়ান আহমেদ রানজিব।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে কমিশন গঠন
আদেশ প্রদানকালে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান রিটকারীকে উদ্দেশ করে বলেন, ছাত্র-জনতাকে যারা গুলির নির্দেশ দিয়েছে, গুলি করেছে তাদের বিচারের বিষয়ে সরকার খুব আন্তরিক। গুলির নির্দেশ দিয়েছে ব্যক্তি। অপরাধ ব্যক্তি করেছে, দল নয়।
এসময় রিটকারী পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে আদেশ চাইলে হাইকোর্ট বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এরই মধ্যে সুইস ব্যাংক কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে কথা বলেছেন। সরকার এ বিষয়ে খুব আন্তরিক। সব অপরাধের বিচার হবে।
এর আগে, ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল, ১১ লাখ কোটি টাকা ফেরত এবং বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের বদলি চেয়ে গত ১৯ আগস্ট হাইকোর্টে রিট করেন মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া। পরে গত ২৭ আগস্ট রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজের আবেদন জানান রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
শুনানিতে অংশ নিয়ে তিনি আদালতে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত নেই রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের। সংবিধানে রাজনৈতিক দল পরিচালনার যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তা খর্ব করবে না সরকার। বিগত কর্তৃত্ববাদী সরকারের অনেক অন্যায়-অবিচারের শিকার হয়েছে মানুষ।
তিনি বলেন, সেগুলোর বিচারের জন্য আইন ও আদালত রয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের যারা নেতাকর্মী রয়েছেন তারা দলের মতাদর্শ ধারণ করেন। এজন্য দল নিষিদ্ধ করার সুযোগ নেই। এছাড়া আওয়ামী লীগকে এই রিটে বিবাদী করা হয়নি। রিট আবেদনটি গ্রহণযোগ্য নয়। এরপর আদালত এক সেপ্টেম্বর আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।
শুনানিতে রিট আবেদনকারী বলেন, আওয়ামী লীগকে পক্ষ না করা ভুল হয়েছে। রিটটি ‘নট প্রেস’ করে নেওয়ার কথা জানান তিনি।
শুনানি নিয়ে একপর্যায়ে আদালত বলেন, রিটটি গ্রহণযোগ্য নয়। রিটটি সরাসরি খারিজ করা হলো।
আরও পড়ুন: বিচার বিভাগে বড় রদবদল: ৮১ বিচারপতিকে বদলি
নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ বিষয়ে দায়মুক্তি কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
২ মাস আগে