গত ৮ ডিসেম্বর চীনের সানাই শহরে অনুষ্ঠিত হয় মিস ওয়ার্ল্ডের গ্রান্ড ফিনালে অনুষ্ঠান। এতে ১২০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে অংশ নেন মিস বাংলাদেশ জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী। হেড টু হেড চ্যালেঞ্জে প্রথম রাউন্ডে বিজয়ী হয়েছিলেন তিনি। এছাড়া দ্বিতীয় রাউন্ডে মিস নাইজেরিয়াকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়নও হয়েছেন এই প্রতিযোগী।
সেই প্রতিযোগিতার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে ঐশী বলেন, ওখানে (মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায়) সুন্দরী মানে শুধু দেখতে সুন্দরী না। নারীর মন ও মানসিকতার সৌন্দর্যটাকেই তারা বেশি প্রাধান্য দেয়।
চীন থেকে ফিরে শনিবার এফডিসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন এই সুন্দরী। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয় অন্তর শোবিজের পক্ষ থেকে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্বপন চৌধুরী, নাসরিন চৌধুরী, মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের প্রতিযোগী জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশীসহ অনেকেই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত অন্তর শোবিজের চেয়ারম্যান স্বপন চৌধুরী বলেন, ‘খুব অল্প সময়ের মধ্যে আয়োজন করায় ভুল ভ্রান্তি ছিলো। তবে আমরা যে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি এবং ঐশী সেটা প্রমাণ করেছেন ফাইনালে নিজের জায়গা করে।
তিনি আরও বলেন, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আগামী দুই-এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে মিস ওয়ার্ল্ড বিজয়ী হবে, এবং ঐশী বাংলাদেশের জন্য অনেক প্রাপ্তি এনে দিয়েছে। তাকে সাপোর্ট করা মানে বাংলাদেশকে সাপোর্ট করা।”
সংবাদ সম্মেলনে জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী বলেন, “যে মূল আসরে যাওয়ার আগে ঠিকমতো গ্রুমিং করতে পারিনি। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অনেকদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। তাই নিজেকে সেভাবে তৈরি করার সময় পাইনি। আর ওখানে সুন্দরী মানে শুধু দেখতে সুন্দরী না। নারীর মন ও মানসিকতার সৌন্দর্যটাকেই তারা বেশি প্রাধান্য দেয়। মূল আসরে গিয়ে মনে হয়েছে আরও কিছু বিষয় নিজের সঙ্গে যুক্ত করে নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল।”
আগামী দুই-এক বছরের মধ্যে মিস ওয়ার্ল্ডের মুকুট বাংলাদেশে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অন্তর শোবিজের স্বপন চৌধুরী।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে জেসিয়া ‘মিস ওয়ার্ল্ড ২০১৭’ প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে ‘ফাইনাল ফোরটি’-তে লড়েছিলেন। কিন্তু, দ্বিতীয়বার অর্থাৎ এ বছর ঐশী ফাইনাল পর্ব থেকে বিদায় নেন। এ থেকে আশা করা যাচ্ছে ধীরে ধীরে মিস ওয়ার্ল্ডের প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের অবস্থান বিস্তৃত হচ্ছে।