গত বছর দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে এক আদেশে রাজ্য কর্তৃপক্ষকে রোহিঙ্গা মুসলিমসহ সেদেশে অবৈধ বসবাসকারীদের চিহ্নিতকরণ এবং প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা ভাস্কর জ্যোতি মোহন্ত বুধবার বলেন, ওই সাত রোহিঙ্গাকে ২০১২ সালে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের আসামের রাজ্য কারাগারে রাখা হয়।
তাদেরকে বৃহস্পতিবার মিয়ানমার বর্ডার গার্ড সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি। ভারত তাদের জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ভ্রমণের অনুমতি গ্রহণ করেছে।
ওই সাত ব্যক্তিতে বুধবার বাসযোগে কারাগার থেকে মণিপুরের মোরে সীমান্তে নেয়া হয় বলে জানান মোহন্ত।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিষ্ঠুরতার হাত থেকে বাঁচতে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
আনুমানিক ৪০ হাজার রোহিঙ্গা ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে উদ্বাস্তু হিসেবে জীবন যাপন করছে। এদের মধ্যে ১৫ হাজার জাতিসংঘ উদ্বাস্তু কমিশনের তালিকাভুক্ত।
অনেকেই ভারতের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হায়দরাবাদের দক্ষিণাঞ্চল, উত্তর প্রদেশের উত্তরাঞ্চল, নয়াদিল্লি এবং জম্মু-কাশমিরের হিমালয় এলাকায় বসবাস করছেন। অনেকেই ভারত-মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে উদ্বাস্তু হিসেবে জীবন যাপন করছেন।
ভারত সরকার বলছে, ভারতের বিভিন্ন শহরে অবস্থান করা রোহিঙ্গা মুসলিমদের মধ্যে উগ্রবাদী রয়েছে যারা দেশটির নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
এদিকে ভারত থেকে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ফেরত পাঠানোর যে সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে তাকে চ্যালেঞ্চ জানিয়ে দেশটির উচ্চ আদালতে আবেদন জানানো হয়। যার শুনানি চলছে।
ভারতের জুনিয়র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিরেন রিজু গত বছর সংসদে বলেন, রোহিঙ্গাসহ দেশে অবৈধভাবে যারা বসবাস করছে তাদের চিহ্নিত করতে এবং প্রত্যাবাসন করতে রাজ্য সরকারকে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ উদ্বাস্তু কমিশনের তালিকাভুক্তসহ সব রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠাবে ভারত।
তার এমন বক্তব্যের পরই ভারতের উচ্চ আদালতে রোহিঙ্গাদের পক্ষে আবেদন জানানো হয়।