দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা জানান, এ হামলায় আরও অন্তত ৮০ আহত হয়েছে।
জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার বলছে, বিমান হামলার কারণে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তবে খালিফা হাফতার নেতৃত্বে সরকার বিরোধীরা অবশ্য এই হামলার জন্য সরকারি বাহিনীকে দায়ী করেছে। খবর বিবিসি বাংলার।
নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই আফ্রিকা অঞ্চলের বাসিন্দা। লিবিয়া থেকে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন তারা।
এখানকার সরকার পরিচালিত বন্দী শিবিরে হাজার হাজার অভিবাসীকে আটকের পর রাখা হয়। যেগুলোর বেশিরভাগই দেশটির সংঘাতপূর্ণ এলাকাগুলোর কাছাকাছি অবস্থিত।
২০১১ সালে দেশটির দীর্ঘদিনের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে অপসারণ ও হত্যার পর থেকেই সংঘাতের কারণে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।
জরুরি সেবা বিভাগের মুখপাত্র ওসামা আলি জানান, হামলার সময় তাজুরা বন্দী শিবিরে ১২০ জন অভিবাসী একটি হ্যাঙ্গারে অবস্থান করছিলেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা জানিয়েছে, হামলা সম্পর্কে 'গভীরভাবে উদ্বিগ্ন'।
জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল-সেরাজ অভিযোগ করেন, স্বনিয়ন্ত্রিত লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এলএনএ) ওই শিবিরে হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, এই ‘জঘন্য অপরাধ পূর্বপরিকল্পিত ও নিখুঁত’।
তবে খলিফা হাফতার নেতৃত্বাধীন ওই বাহিনী এলএনএ বলছে, যে এলাকায় হামলাটি হয়েছে সেখানেই সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ছেন তারা।
বাহিনীটি গত সোমবার ঘোষণা দেয়, প্রচলিত যুদ্ধের সব কৌশল ব্যর্থ হওয়ায় ত্রিপোলিতে বিভিন্ন জায়গায় বিমান হামলা চালাবে তারা।
এলএনএ জানায়, বন্দী শিবিরের কাছেই সরকারের একটি শিবির লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় তারা। যার জবাবে পাল্টা শেল ছোড়ে সরকারি বাহিনী। ওই শেলগুলোর একটি দুর্ঘটনাবশত অভিবাসী বন্দী শিবিরে আঘাত করে।