বিদেশ
বাংলাদেশকে বিদেশের ওপর নির্ভরশীল করে তুলেছে আ. লীগ: ফখরুল
আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দেশকে বিদেশের ওপর 'নির্ভর' করে তুলেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, 'দেখুন তারা (সরকার) কীভাবে নিজেদের স্বার্থে এবং ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য দেশকে বিক্রি করে দিচ্ছে। তারা দেশকে অন্যের ওপর নির্ভরশীল করে তুলেছে। তাদের বক্তব্য থেকেই সবকিছু স্পষ্ট হচ্ছে।’
আলোচনা সভায় বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘বিদেশিদের দোহাই দিয়ে সরকার অর্থনীতিকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা একটি আত্মনির্ভরশীল জাতিকে পরনির্ভরশীল জাতিতে পরিণত করেছে।’
বিএনপির আমলের ছোট আকারের বাজেট থেকে বাড়িয়ে বড় করার বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: লুটপাটের নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এই বাজেট: ফখরুল
তিনি বলেন, বিএনপি দেশকে ভালোবাসে বলেই ঋণের বোঝা জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়নি। জনগণের ওপর এখন ঋণের বিশাল বোঝা চাপানো হয়েছে। প্রত্যেক ব্যক্তি ১.৫৫ লাখ টাকা ঋণের বোঝা বহন করতে হচ্ছে। মাথাপিছু এই পরিমাণ ঋণ কত বোঝা তা কল্পনা করতে পারেন?'
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনগণ যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তা নিরসনে বাজেটে কোনো দিকনির্দেশনা নেই।
বাজেটে মূল্যস্ফীতি কমানোর কোনো ব্যবস্থা নেই এবং উৎপাদন বাড়াতে পারে- এমন সব আমদানি করা পণ্য ও যন্ত্রপাতির ওপর কর আরোপ করা হয়েছে। তাহলে কর্মসংস্থান হবে কীভাবে- প্রশ্ন তোলেন ফখরুল।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের শরীরে চুরি, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস আছে।
তিনি বলেন, 'এখন আপনারা দেখছেন কীভাবে চুরি ও দুর্নীতি হচ্ছে। সে সময় তাদের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের সময় অনেক চুরি হয়েছিল।’
তিনি দুঃখ করে বলেন, বর্তমান সরকার সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে বাংলাদেশকে নরকে পরিণত করেছে। ‘তারা সব সৌন্দর্য নষ্ট করে দিয়েছে। তারা মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ নষ্ট করেছে।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, রাজনীতিকরণ ও ক্ষমতাসীন দলের প্রতি আনুগত্যের কারণে পক্ষপাতদুষ্ট শিক্ষক নিয়োগের ফলে শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দেশ মানসম্পন্ন নেতা পাচ্ছে না উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে এমন ব্যবস্থা করেছে যাতে কোনো জায়গায় নেতৃত্ব তৈরি না হয়। ‘যেখানে ছাত্র সংসদ, ডাকসু বা অন্য কোনো সংগঠনের নির্বাচন নেই, সেখানে নেতৃত্ব তৈরি হবে কীভাবে?’
আরও পড়ুন: টোপ নয়, রাঘববোয়ালদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে বাজেটে: ফখরুল
নতুন বাজেটে দুর্নীতির আশঙ্কা আরও বেশি: ফখরুল
৬ মাস আগে
ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিদেশ যাত্রা নিষিদ্ধ, রাষ্ট্রীয় সম্মাননার অযোগ্য: বাংলাদেশ ব্যাংক
ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিদেশ যাত্রা নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘তাদের নতুন কোনো ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া যাবে না এবং তাদের সব ধরনের রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বা সম্মাননার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচনা করা হবে।’
মঙ্গলবার(১২ মার্চ) ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের শনাক্ত ও চূড়ান্তকরণের জন্য সব ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া ঋণ, অগ্রিম, বিনিয়োগের সুদ বা মুনাফা নিজের অনুকূলে নিজের, পরিবারের সদস্য, আগ্রহী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির অনুকূলে পরিশোধ করবেন। অন্যথায় তিনি ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে বিবেচিত হবেন।
আরও পড়ুন: ৭ মাসে ২ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় এনবিআরের, প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশের বেশি
এ ছাড়া জালিয়াতি, প্রতারণা বা মিথ্যা তথ্য প্রদান করে বা যে উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে সেই উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনো খাতে ব্যবহার করা বা অন্য ব্যাংকের জামানত করা সম্পদ অনুমতি ছাড়া নতুন ঋণের ক্ষেত্রে জামানত হিসেবে দেখালে তিনি ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসেবে গণ্য হবেন।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসে (আরজেএসসি) ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা, ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞার জন্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সির কাছে তালিকাভুক্ত করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
একই সঙ্গে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের যানবাহন, জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট ইত্যাদির তালিকাও নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। যাতে সংশ্লিষ্ট সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।
এছাড়াও, কোনও ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বা সম্মানের জন্যও যোগ্য হবেন না।
আরও পড়ুন: ১৮ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আরএডিপি অনুমোদন দিল এনইসি
৯ মাস আগে
বিদেশে দক্ষ কর্মী পাঠানোর কথা জানালেন প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে অধিক সংখ্যক কর্মী পাঠিয়ে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির চেষ্টার কথা জানালেন প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
তিনি বলেন, প্রবাসীদের সেবা প্রদানে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে। দেশাত্মবোধ ও সেবকের মনোভাব নিয়ে প্রবাসীদের সেবা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: হাছান মাহমুদকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করে অভিবাসন খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার অঙ্গীকার করে প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, সবার সহযোগিতায় প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে মন্ত্রণালয়ে প্রথম কর্মদিবসে মন্ত্রণালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে মত বিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়ানোর পরিকল্পনা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
এতে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে যাতে কোনো অপশক্তি প্রভাবিত না করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভিশন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের স্মার্ট মানসিকতা লালন করতে হবে।
আরও পড়ুন: ইশতেহারের আলোকে বিমান ও পর্যটনকে এগিয়ে নিতে চান মন্ত্রী
এর আগে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। নতুন প্রতিমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে বরণ করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন এবং মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর বা সংস্থার কর্মকর্তারা মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। এছাড়াও তিনি নানা শ্রেণি পেশার মানুষ ও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমানসহ মন্ত্রণালয় ও দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
১১ মাস আগে
বিদেশে পাঠানোর নাম করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১
বিদেশে পাঠানোর নাম করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৯। (মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেট নগরীর কোতোয়ালি থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
(বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে র্যাব-৯ এর মিডিয়া কর্মকর্তা মো. মশিহুর রহমান সোহেল সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার সজিব কান্তি হালদার (৪২) সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার টেকেরহাট এলাকার বাসিন্দা। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেপ্তার আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-৯ জানায়, রোমানিয়ায় উচ্চ বেতনে চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২২ নভেম্বর ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন এক ভুক্তভোগী।
আরও পড়ুন: মন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দেওয়া কোটি টাকা আত্মসাতকারী নারী আটক
র্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সজিব কান্তি হালদার ওই সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের মূলহোতা। তিনি প্রতারক চক্রের অন্যান্য আসামিদের সহায়তায় বাংলাদেশ থেকে রোমানিয়ায় উচ্চ বেতনে বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি দেওয়ার নাম করে কয়েক দফায় ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ব্যাংক হিসাব ও নগদে সর্বমোট ২১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে আসামিদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব-৯ চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব আরও জানায়, ‘ইমপেক্ট গ্লোবাল’ নামক ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে সজীব কান্তির সম্পৃক্ততা রয়েছে। এই আসামির ট্রাভেল এজেন্সি বা রিক্রুটিং এজেন্সি পরিচালনার কোনো লাইসেন্স পাওয়া যায়নি। স্বল্প সময়ে, বিনাশ্রমে অধিক অর্থ উপার্জনই ছিল তার একমাত্র লক্ষ্য। ইতোমধ্যে বিগত বছরগুলোতে প্রতারক চক্রটি মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে লোক পাঠানোর নাম করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল।
আরও পড়ুন: চাকরি দেওয়ার কথা বলে ২৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
১১ মাস আগে
বিদেশে বসে গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দেশে মামলা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশের বিরুদ্ধে গুজব রটনার জন্য যদি একটি রাজনৈতিক দল রটনাকারীদের পয়সা দেয়, এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু হতে পারে না।
তিনি বলেন, যারা এ ধরনের গুজব রটায় তাদের আমরা চিহ্নিত করেছি এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অনেক জায়গায় তাদের ব্যাপারে নোটিফাই করা হয়েছে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট দেশের আইন অনুযায়ী সেখানে মামলা করার জন্য আমাদের দলের যারা রয়েছে তাদের বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেতারা আত্মগোপনে থেকে কর্মীদের দিয়ে গাড়ি পোড়ানোই বিএনপির অবরোধ: তথ্যমন্ত্রী
এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকেও সেসব দেশের কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তর সম্মেলনকক্ষে অধিদপ্তরের গুজব প্রতিরোধ সেল এবং ফ্যাক্টস চেকিং কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের অধিদপ্তর মতবিনিময়কালে তিনি এ সব কথা বলেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশ থেকে যে এ ধরনের গুজব ছড়ানো হয় সেগুলোর ব্যাপারে আমরা ওয়াকিবহাল এবং আগের তুলনায় সেটি কমেছে। আপনারা দেখেছেন, এই গুজব ছড়ানোর জন্য বিএনপি ও জামাত তাদের যেসব পেইড এজেন্টদের ঠিক মতো পয়সা দেয়নি, সেই পরিপ্রেক্ষিতে যারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তাদের অডিও ভাইরাল হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশিরা কয়েক জায়গায় মামলাও করেছে। সুতরাং কেউ যদি মনে করে যে বিদেশে বসে বসে গুজব রটাবে আর সে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকবে সেটি কিন্তু নয়।’
এখন নির্বাচন নিয়েও অনেক গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করা হবে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘করোনার টিকার বিরুদ্ধে এবং পদ্মা সেতু নির্মাণের সময় গুজবের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকার জন্য মূলধারার গণমাধ্যমকে আমি ধন্যবাদ জানাই। সাংবাদিকদের অনুরোধ করব, আগে যেমন আপনারা জাতির প্রয়োজনের নিরীখে এবং করোনার সময়েও যেভাবে কাজ করেছেন এখন নির্বাচনকে সামনে রেখে যাতে কেউ গুজব ছড়াতে না পারে, অপপ্রচার করতে না পারে, সেজন্য আপনারা আগের মতোই গুজবের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকবেন, সেটিই আমার প্রত্যাশা। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজবের বিরুদ্ধে যদি 'কাউন্টার পোস্ট' দেওয়া হয় তাহলে গুজব সহজে ছড়াবে না। এ জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন।’
এর আগে তথ্যমন্ত্রী তথ্য অধিদপ্তরের গুজব প্রতিরোধ ও ফ্যাক্টস চেকিং কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং কাজের মান ও পরিমাণ বৃদ্ধির পরামর্শ দেন।
সভায় বক্তব্য দেন- প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া।
সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. আবদুল জলিলের উপস্থিতিতে উপপ্রধান গুজব প্রতিরোধ ও ফ্যাক্টস চেকিং বিষয়ে অধিদপ্তরের কার্যাদি উপস্থাপন করেন- তথ্য কর্মকর্তা নাসরীন জাহান লিপি এবং তথ্য কর্মকর্তা গাজী শরীফা ইয়াছমিন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ থেকে পরিচালিত এ কার্যক্রমের অধীনে ৭৩টি তথ্য বিবরণী, ৩৭টি আইকনোটেক্সট এবং ৪টি ভিডিও তথ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের ফ্যাক্ট চেকিং সেবা বক্স, ফেইসবুক পাতা ‘পিআইডি; এবং ‘পিআইডি বিডি’ এবং ইউটিউব ‘পিআইডি বাংলাদেশ’ চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী আমেজে ঢাকা পড়ে গেছে বিএনপির বর্জনের ডাক: তথ্যমন্ত্রী
সমাজের জন্য অনুসন্ধানী রিপোর্টিং প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
বিএনপি দেশে-বিদেশে সন্ত্রাসী দল হিসেবে পরিচিত: খাদ্যমন্ত্রী
বিএনপি দেশে-বিদেশে সন্ত্রাসী দল হিসেবে পরিচিত বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, বিএনপি দেশে-বিদেশে সন্ত্রাসী দল হিসেবে পরিচিত। এখন তারা ফের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেছে।
রবিবার (১২ নভেম্বর) নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার গাঙ্গর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জনগণ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নয়, উন্নয়ন ও শান্তির সঙ্গে থাকবে: খাদ্যমন্ত্রী
এসময় তিনি আগুন সন্ত্রাস না করে বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানান।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা করে বিএনপি। চক্রান্তকারীরা বিএনপির-জামায়াত সরকারের রাষ্ট্রীয় সহায়তা পেয়েছিল।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সরকার শুধু মূল সড়কের উন্নয়ন করেনি, মানুষের ঘরে প্রবেশের রাস্তাও এখন পাঁকা। এছাড়া দেশের উন্নয়ন হয়েছে বলে এখন গ্রামে আর ভিক্ষুক দেখতে পাওয়া যায় না।
তিরি বলেন, এ অঞ্চলে বিধবা কিংবা অসহায় মায়েরা একসময় দল বেধে ভিক্ষা করতেন। সেই দৃশ্য আর দেখতে হয় না। অসহায় মানুষের জন্য বিভিন্ন ভাতা নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে বর্তমান সরকার। ভবিষ্যতে ভাতাভোগীর সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা নেতৃত্বে প্রত্যেকটি ইউনিয়নে হাজার হাজার মানুষ সরকারের নানা সামাজিক কর্মসূচির উপকারভোগী। ভাতা দেওয়ার আগে কে কোন দল করেন সেটি দেখা হয়নি।
তিনি বলেন, গ্রামের প্রত্যেকটি ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা, বয়স্ক ভাতা, স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা, বিধবা ভাতা, ১৫ টাকা কেজি চাল দিচ্ছে। এছাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করে বিনা পয়সায় ২৮ রকমের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। এগুলোর ফলে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন হয়েছে।
নওগাঁর প্রতিটি উপজেলায় উন্নয়ন হয়েছে এবং কিছু কাজ অসমাপ্ত আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সরকার ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নওগাঁর গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এলাকায় কোনো রাস্তাঘাট কাঁচা থাকবে না।
রসুলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রতাপ চন্দ্র মুণ্ডার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন-নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ, নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আবেদ হোসেন মিলন এবং নিয়ামতপুর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাদিরা বেগম।
আরও পড়ুন: অসহায় মানুষের বেঁচে থাকার অবলম্বন দিয়েছেন শেখ হাসিনা: খাদ্যমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াতের সর্বশেষ অবরোধে সারা দেশে ১৫২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
১ বছর আগে
আওয়ামী লীগ দেশও হারিয়েছে, বিদেশও হারিয়েছে: আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ দেশও হারিয়েছে, বিদেশও হারিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা তো কোনো সময় বলি না তলে তলে সবকিছু ম্যানেজ করে নিয়েছি। বিএনপি হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। বেগম খালেদা জিয়া সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। তারেক রহমান সবচেয়ে ডায়ানামিক লিডার। কারও উপর নির্ভর করতে হবে না বিএনপিকে। যারা নির্ভরশীল তাদের হৃদয়ে কম্পন শুরু হয়েছে। কারণ তারা দেশও হারিয়েছে, বিদেশও হারিয়েছে।
আরও পড়ুন: জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদেশিদের কাছে সুবিধা চান প্রধানমন্ত্রী: আমীর খসরু
সোমবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নগরীর কাজির দেউরি নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগের এক দফার আন্দোলনকে আরও বেগবান করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সমঝোতা করে একটি উপায় বের করা উচিত' জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, এখানে আওয়ামী লীগ বিএনপি বিষয় না। বিষয়টি হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা ফিরে পাওয়ার বিষয়। তার ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার বিষয়। এখানে কোনো দলের বিষয় না। সেটা একমাত্র সম্ভব আজ জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে।
তিনি বলেন, দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে বিধান ছিল সেটা আওয়ামী লীগ এককভাবে বাতিল করেছিল। সেটা ফেরত এনে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। কাদের মধ্যে সমঝোতা হবে এটা কোনো আলোচনার বিষয় না। বাংলাদেশের মালিক বাংলাদেশের জনগণ। ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার একমাত্র পথ হচ্ছে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। একমাত্র সমঝোতা হবে বাংলাদেশের মানুষের প্রতাশা প্রয়োগে।
আমীর খসরু বলেন, বলেছিলাম ৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের রোড মার্চে সুনামি হবে। সেদিন চট্টগ্রামের মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে। সুনামির থেকেও বেশি কিছু করেছে। চট্টগ্রামে সেদিন মানুষের ঝড় তুলেছে। আমাদের আগামী দিনগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের জন্য, মানুষের জন্য ও গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে চুরি করলে রেহাই নেই: আমীর খসরু
সরকারের পদত্যাগের মাধ্যমে একদফা আন্দোলন শেষ হবে: আমীর খসরু
১ বছর আগে
এ বছর বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হয়নি: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, আমাদের দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এ বছর বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হয়নি।
তিনি বলেন, সামনের দিনগুলোতে বিদেশে চাল রপ্তানি করা যায় কিনা আমরা তা খতিয়ে দেখছি।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) ঢাকায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের জীবনে পানির ব্যবহার সর্বত্র। পানির সদ্ব্যবহার করতে হবে। পানি না হলে ফসল উৎপাদন হবে না। ফসল না হলে আমরা বাঁচতে পারবো না।
আরও পড়ুন: অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধরে রাখতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
অনেকে বলেন, এক কেজি ধান উৎপাদনে চার হাজার লিটার পানি লাগে। কৃষকরা অনেক সময় প্রয়োজনরে তুলনায় বেশি পানি সেচ কাজে ব্যবহার করেন। সচেতনতা বাড়িয়ে পানির অপচয় কমাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বেশিরভাগ মানুষ সরু ও চকচকে চাল খেতে পছন্দ করে। বারবার ছাটাই করায় চালের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়। প্রায় ২০ লাখ মেট্রিকটন চাল হাওয়া হয়ে যায়। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ এখন লাল চাল খায়। কারণ লাল চালে পুষ্টি বেশি।
চকচকে চাল খাওয়ার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ভোক্তারা লাল চাল খেলে মিল মালিকরাও ব্যবসায়িক কারণে চকচকে চাল তৈরির আগ্রহ হারাবে। আমরা জনগণের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করেই লাল চাল খাওয়ার কথা বলি।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশে জমি কমেছে, কিন্তু জনসংখ্যা বেড়েছে। সরকার জনসংখ্যাকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে পদক্ষেপ নিচ্ছে। বাংলাদেশ চাল, মাছ, আম ও সবজি উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
তিনি বলেন, অনেক ফসল মৌসুমের সময় সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়। প্রসেসিং করে আম ও সবজি রপ্তানি করতে পারলে আমাদের কৃষকরা লাভবান হবেন।
মন্ত্রী বলেন, বোরো ফসল ভালো হয়েছিল। বোরোর মতো আমনের ফসলেরও বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে। খাদ্য সংকট নাই, আমাদের দেশে দুর্ভিক্ষ হবে না। তবে ব্যবসায়ীদের সচেতন হতে হবে, ভোক্তাবান্ধব হতে হবে। দিনাজপুরে যে দামে চাল বিক্রয় হয়, সে চাল ঢাকায় এসে অনেক বেড়ে যায়। এ প্রবণতা ছাড়তে হবে।
আরও পড়ুন: ব্যবসায়ীরা মায়ের কোলে থেকেই ব্যবসা করছেন: খাদ্যমন্ত্রী
আমন মৌসুমে ৭ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহ করা হবে: খাদ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
আমরা দেশকে অন্য দেশের ই-বর্জ্যের ডাম্পিং পয়েন্ট হতে দিতে পারি না: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী
বিদেশ থেকে ব্যবহৃত পুরাতন কম্পিউটার, ল্যাপটপ কিংবা মোবাইল আমদানি জাতীয় জীবনে স্বাস্থ্যের জন্য বড় ঝুঁকি বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক্স বর্জ্য (ই-বর্জ্য) পরিবেশের জন্য বড় হুমকি। বিদেশ থেকে ব্যবহৃত পুরাতন কম্পিউটার, ল্যাপটপ কিংবা মোবাইল আমদানি জাতীয় জীবনে স্বাস্থ্যের জন্য বড় ঝুঁকি।
শনিবার ঢাকায় বিশ্ব ই-বর্জ্য দিবস উপলক্ষে ডিজিটাল প্রযুক্তিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন বিআইজেএফের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য আইপিভি-৬ ভার্সন অপরিহার্য: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী
তিনি বলেন, আমরা দেশকে অন্য দেশের ই-বর্জ্যের ডাম্পিং পয়েন্ট হতে দিতে পারি না। এগুলো নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও কী করে দেশে ঢুকছে তা খতিয়ে দেখতে হবে ও সেগুলোর বিক্রি বন্ধ করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ঝুঁকিমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে ই-বর্জ্য বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি দক্ষ ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা অপরিহার্য।
ই-বর্জ্যের বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি এবং ই-বর্জ্য রিসাইক্লিং করে এটিকে সম্পদে পরিণত করতে সমন্বিত উদ্যোগে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মতো ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ই-বর্জ্যের কাঁচামাল কাজে লাগানোর বিষয় সংশ্লিষ্টদের ভাবতে হবে। সিটি করপোরেশনসমূহকে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত করতে হবে। ই-বর্জ্য পুনরায় কী কাজে লাগানো যায় সে বিষয়ে গবেষণা হওয়া দরকার। ই-বর্জ্য নিয়ে সেই ভিত্তিতে শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে হবে। এই জন্য সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদেরও ভূমিকা গ্রহণে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ডাম্পিং ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
এটা সম্ভব হলে দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ই-বর্জ্য প্রয়োজনে ডাকঘরের মাধ্যমে নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব বলে উল্লেখ করেন ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত।
তিনি বলেন, ব্যবহৃত ব্যাটারি কীভাবে ব্যবস্থাপনা করতে হবে সেই বিষয়টিও খুব্ই গুরুত্বপূর্ণ। মোবাইল কারখানা, মোবাইল অপারেটর এবং আইএসপিসহ বিটিআরসির লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ বর্জ্য ফেরৎ নেওয়ার বিধিবিধান যাতে যথাযথভাবে পালন করে এ বিষয়েও উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আন্ডারগ্রাউন্ডে ক্যাবল লাইন স্থাপনের পাশাপাশি ভবন নির্মাণের সময় ভবনসমূহে ইন্টারনেটের ক্যাবল পরিকল্পিতভাবে যাতে সংযুক্ত করা যায় সে ব্যবস্থাও নিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ই-বর্জ্য ব্যস্থাপনা একটি কঠিন কাজ। সফলভাবে ই–বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা করতে পারলে সমস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য তা হবে অত্যন্ত কল্যাণকর।
ডিজিটাল প্রযুক্তি দুনিয়ায় ৩৭ বছরের দীর্ঘ পথপরিক্রমায় তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে গত সাড়ে চৌদ্দ বছরে বাংলাদেশ পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্বের যোগ্যতা অর্জন করেছে।
ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশে বিআইজেএফের ভূমিকার প্রশংসা করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় এমএফএস বিস্ময়কর ভূমিকা রাখছে: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী
ফেসবুককে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী
১ বছর আগে
বিদেশে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দাবিতে বিএনপির প্রতীকী অনশন শুরু
কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে তিন ঘণ্টার প্রতীকী অনশন কর্মসূচি শুরু করেছে বিএনপি।
শনিবার সকাল ১১টা ২১ মিনিটে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কর্মসূচি শুরু হয়।
দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার জীবন বাঁচাতে বাধা অপসারণ করুন: সরকারের প্রতি বিএনপির নীতিনির্ধারকদের আহ্বান
বিএনপি চেয়ারপার্সনের স্থায়ী মুক্তির দাবিতে ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীরা এ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন।
প্রতীকী অনশন দুপুর ২টার দিকে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
এছাড়া দেশের সব জেলা শহর ও মেট্রোপলিটন শহরে একই ধরনের কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
একই দাবিতে গত সোমবার রাজধানীতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেসহ সারাদেশে সমাবেশ করেছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে: ওবায়দুল কাদেরের 'ইউরেনিয়াম' মন্তব্য প্রসঙ্গে আব্বাস
গত ৯ আগস্ট থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে মেডিকেল বোর্ড সুপারিশ করে যে, বাংলাদেশে এখন তার চিকিৎসার কোনো বিকল্প না থাকায় তাকে দ্রুত বিদেশে একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি সেন্টারে পাঠানো হোক।
লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন খালেদা জিয়া।
গত ৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করলেও তা প্রত্যাখ্যান করা হয়।
আরও পড়ুন: আমাদের সর্বোচ্চটা করেছি, প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা পাচ্ছেন না খালেদা জিয়া: মেডিকেল বোর্ড
১ বছর আগে