বুধবার রাজধানীতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ভারতের বাণিজ্য, শিল্প ও বেসামরিক বিমান চলাচলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুর নেতৃত্বাধীন ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সাথে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশের ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেয়া তোফায়েল জানান, বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান বাধাগুলো তুলে ধরা হয়। পাটজাত পণ্য, খাদ্যপণ্য ও ভোজ্য তেলসহ বাংলাদেশের বেশকিছু পণ্য ভারতে রপ্তানির ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে। উভয় দেশ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমস্যাগুলো সমাধান করার বিষয়ে একমত হয়েছে।
সীমান্ত হাটের বিষয়ে উভয় দেশের মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে চারটি সীমান্ত হাট চালু রয়েছে। আরো ছয়টি হাট চালুর বিষয় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের শেরপুর জেলার নাকুগাঁও এবং ভারতের ডালু সীমান্তে একটি হাট অল্প কিছুদিনের মধ্যে চালু হবে।
তিনি আরো জানান, বাংলাদেশ ২১টি পণ্য ভারতে রপ্তানির ক্ষেত্রে বিএসটিআইয়ের পরীক্ষার প্রতিবেদন গ্রহণ করার অনুরোধ করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে ১৫টি পণ্যের প্রতিবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। বাকি ছয়টির প্রতিবেদন গ্রহণে তারা সম্মত হয়েছে। সেই সাথে আরো ছয়টি পণ্যের প্রতিবেদন গ্রহণ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, উভয় দেশের বাণিজ্য এখন ৯০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। বাংলাদেশ রপ্তানি করছে ৮৭ কোটি ৩২ লাখ সাত হাজার মার্কিন ডলারের পণ্য। একই সময়ে আমাদানি করছে ৮৬১ কোটি ৯৪ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাংলাদেশ কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি ভারত থেকে আমদানি করে অন্য অনেক দেশে পণ্য রপ্তানি করে থাকে। সেখানে বাণিজ্য বাংলাদেশের পক্ষে। এখন ভারতের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পণ্যের রপ্তানি বাড়ছে।
এ সময় ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী সুরেশ প্রভু বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতি লাভ করছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারত খুশি।
উভয় দেশের বাণিজ্যে কিছু জটিলতা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘উভয় দেশের সরকার এবং ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে সব সমস্যার সমাধান করা হবে। বৈঠকে আমরা সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি এবং সমাধানের বিষয়ে একমত হয়েছি। বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য করতে ভারত খুবই আন্তরিক।’
ভারতীয় মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিএসটিআইয়ের পরীক্ষার প্রতিবেদন গ্রহণ, ভোজ্যতেল রপ্তানি, নতুন সীমান্ত হাট চালু ও পাটপণ্য রপ্তানিসহ যে সব সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছে সেগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধান করা হবে।