শুক্রবার এক আলোচনা সভায় তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের মহাসচিব নিজের ইচ্ছায় জাতিসংঘের সফরদপ্তরে যাননি। তাকে জাতিসংঘের মহাসচিব আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।’
‘নালিশ করতে ফখরুল জাতিসংঘে গেছেন’ সরকারি দলের নেতাদের এমন অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় মওদুদ বলেন, আমাদের মহাসচিব দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরতে সেখানে (জাতিসংঘে) গেছেন। কোনো কারণ ছাড়াই যে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, গ্রেপ্তার, গুম করা হচ্ছে সে অবস্থা সম্পর্কে তিনি জানাবেন। ফখরুল সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন ও নিপীড়ন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলোও তুলে ধরবেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বিএনপি পন্থী প্লাটফর্ম বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম।
গত ১২ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আওয়ালকে সাথে নিয়ে নিউইয়র্ক যান মির্জা ফখরুল।
এ সম্পর্কে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরকালে সময়ের অভাবে বিএনপির নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ করতে না পারায় তাদের নিউইয়র্কে সংস্থাটির সদরদপ্তরে আমন্ত্রণ জানান জাতিসংঘ মহাসচিব।
তিনি বলেন, নির্বাচন আয়োজনের মাত্র তিন মাস বাকি থাকলেও দেশে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের কোন পরিবেশ নেই। ‘নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলায় অভিযোগের কি আছে?’ প্রশ্ন করেন মওদুদ।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের আমন্ত্রণে বিএনপির নেতারা নিউইয়র্কে যাওয়ায় সরকার আতঙ্কিত ও ঈর্ষান্বিত। তারা (আ’লীগ নেতারা) এখন হিংসার বশবর্তী হয়ে ফখরুলের সফর নিয়ে মন্তব্য করছেন।
বিএনপি নেতা আরো বলেন, সরকারের উদ্দেশ্য অত্যন্ত খারাপ। সরকার আরেকটি ‘একতরফা’ নির্বাচন দিয়ে আবারো ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে। কিন্তু ২০১৪’র মতো নির্বাচন এদেশে আর হবে না।
তিনি সরকারকে সতর্ক করে বলেন, বর্তমান সংসদ ও মন্ত্রিসভা ভেঙে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন না করলে তাদের দল জনগণকে সাথে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলবে এবং রাজপথে তাদেরকে জবাব দেবে।