বিএনপি
সংকট উত্তরণে রাষ্ট্র পরিচালনায় অভিজ্ঞ বিএনপিকে দরকার: মুরাদ
বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় আছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলা যুবদল সভাপতি ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ।
তিনি বলেন, ‘এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য এমন সরকার দরকার, যাদের বিগত দিনে রাষ্ট্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা আছে। সেটি একমাত্র বিএনপিই হতে পারে।’
সোমবার (২৩ মার্চ) ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
মুরাদ বলেন, ‘জিয়া পরিবারের হাতে বাংলাদেশ নিরাপদ। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে গিয়ে জিয়াউর রহমান প্রাণ দিয়েছেন, খালেদা জিয়া জেল খেটেছেন। তারেক রহমান নির্যাতিত হয়েছেন। গণতন্ত্রের জন্য তাদের চেয়ে বেশি ত্যাগ কেউ স্বীকার করেনি। চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে আছেন।
তিনি বলেন, দেশের মানুষে তাদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। তারা কখন দেশে আসবেন, কখন তারেক রহমান দেশের দায়িত্বভার বুঝে নেবেন—সেই কাঙ্ক্ষিত দৃশ্য দেখতে চায় জনগণ।’
আরও পড়ুন: দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হলেও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়নি: মুরাদ
তিনি আরও বলেন, ‘দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে। সেনাবাহিনী হচ্ছে জনগেণর শেষ আশ্রয়স্থল, দেশের গর্ব। তাদের সব ধরনের বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে হবে।’
স্থানীয় বিএনপি নেতা ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন লোকমান হোসেন, সোলায়মান হোসেন, খলিলুর রহমান, এবাদুল হক জাহিদ, মিজানুর রহমান জুয়েল, মো. শাহজাহান, মো. সুমন, মো. জামান, ইশতিয়াক আহম্মেদ ফারুক, ফরহাদ হোসেন রিমন ও মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।
১ দিন আগে
ড্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দিয়েছে বিএনপি
দলের চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশিন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দিয়েছে বিএনপি।
সোমবার (২৪ মার্চ) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আব্দুস সালামের নেতৃত্বাধীন ড্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। আসন্ন ড্যাব কাউন্সিলের জন্য ১২ সদস্যের একটি প্রস্ততি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আহ্বায়ক কমিটির মেয়াদ চলতি বছরের ২৫ মে পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে নবগঠিত প্রস্তুতি কমিটিকে কাউন্সিলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রায় ভোগান্তি ছাড়াই ভ্রমণ করছেন যাত্রীরা
১২ সদস্যের প্রস্তুতি কমিটির সদস্যরা হলেন—বিএনপি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, বিজন কান্তি সরকার, অধ্যাপক মামুন আহমেদ, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য লুৎফর রহমান, বিএনপির শিক্ষা সম্পাদক অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সহকারী দপ্তর সম্পাদক এসএম রফিকুল ইসলাম, পারভেজ রেজা কাকন এবং বিলুপ্ত কমিটির সদস্য শাহ মোহাম্মদ আমান উল্লাহ, এরফান আহমেদ সোহেল এবং মোস্তফা আজিজ সুমন।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ ও ডা. মো. আব্দুস সালামের নেতৃত্বাধীন ড্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটি ২০১৯ সালের ২৬ মে থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছিল।
১ দিন আগে
‘পলাতক স্বৈরাচারের’ পুনর্বাসন নিয়ে সরকারকে তারেক রহমানের হুঁশিয়ারি
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া যাবে না। অন্তর্বর্তী সরকারের এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত নয়, যেন পলাতক স্বৈরাচার ও তাদের দোসররা পুনর্বাসনের সুযোগ পায়।
শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকালে রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিসক্লাবে দেশের বিশিষ্ট নাগরিক ও পেশাজীবীদের সম্মানে বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গৌণ ইস্যুকে মুখ্য ইস্যু বানাতে গিয়ে নিজেদের অজান্তে এই ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যের মধ্যে সংশয়-সন্দেহের জন্ম দেওয়া হয়েছে বা হচ্ছে।’
‘সরকারের এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না, যেন রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ পায়।’
আরও পড়ুন: সৎ ব্যক্তি নেতৃত্বে এলে আ.লীগ কেন রাজনীতি করতে পারবে না, প্রশ্ন রিজভীর
তিনি বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের হাতে এখনো রাষ্ট্র থেকে লুন্ঠন করা জনগণের পকেট থেকে লুন্ঠন করা হাজার হাজার কোটি টাকা রয়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়ার অর্থ সারা দেশে ঘাপটি মেরে থাকা পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া।’
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘দীর্ঘ দেড় দশকের মাফিয়া শাসনকালে তরুণ প্রজন্মের প্রায় সাড়ে তিন কোটি ভোটারসহ কেউ ভোট দিতে পারেননি। সুতরাং এই ভোটারদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার জন্য সবার আগে প্রয়োজন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান। নাগরিকরা রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাশালী না হলে কোনো সংস্কারই কিন্তু টেকসই হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে সংস্কার ও নির্বাচনকে দৃশ্যত যেভাবে মুখোমুখি করে ফেলা হয়েছে, এটি নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক। যারা সংস্কার শেষ করার পর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলছেন, তাদের উদ্দেশ্য করে বলতে চাই যেটি শেষ হয়ে যায় সেটি সংস্কার নয়। কারণ সংস্কার কখনো শেষ হয় না, সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।’
৪ দিন আগে
সৎ ব্যক্তি নেতৃত্বে এলে আ.লীগ কেন রাজনীতি করতে পারবে না, প্রশ্ন রিজভীর
গণহত্যা-লুটপাটে জড়িত নয়, এমন নিরপরাধ কারও নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আপত্তি নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সেইসঙ্গে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘সৎ ব্যক্তি নেতৃত্বে এলে আওয়ামী লীগ কেন রাজনীতি করতে পারবে না?’
শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর উত্তরার দক্ষিণখানে ফায়দাবাদ মধ্যপাড়া হাজী শুকুর আলী মাদরাসা সংলগ্ন মাঠে দুস্থদের মধ্যে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে কথা হচ্ছে, কিন্তু বিচার নিয়ে কথা হচ্ছে না। দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিচারের পর আওয়ামী লীগকে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। আর জনগণ ক্ষমা করলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’
‘আওয়ামী লীগ পুরোনো দল। অপরাধীদের বিচার হওয়ার পর যারা হত্যা-লুটপাটে জড়িত নয়, তাদের যদি জনগণ রাজনীতি করার সুযোগ দেয় আমাদের কিছু বলার নেই।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাবিতে মিছিল
তিনি বলেন, ‘যে লোক আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসবেন, তিনি যদি কোনো অপরাধ না করেন, ছাত্র হত্যা না করেন, অর্থ লোপাট বা পাচার না করেন- তাহলে সেই আওয়ামী লীগ কেন রাজনীতি করতে পারবে না? এটি হচ্ছে আমার বক্তব্য।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই রাজনীতিক বলেন, ‘যারা টাকা পাচার করেছে, যারা শিশু-কিশোর, আহনাফ, আবু সাঈদ, মুগ্ধদের হত্যা করেছে, এসব ঘটনায় জড়িতদের বিচার হতে হবে। শ্রমিক, রিকশাচালক, ছাত্র-ছাত্রী যাদের হত্যা করেছে, তাদের বিচার আমরা করি না কেন?’
তিনি বলেন, ‘অনেক কথা উঠেছে- আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে কিনা। কিন্তু এই কথা উঠছে না, যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিচার হবে কিনা।’
‘কারা (গণহত্যা) চালিয়েছে—এটা কি মানুষ দেখেনি? কোন পুলিশের ওসি, ডিসি, এসি এখানে ভূমিকা রেখেছে? কার নির্দেশে এসব ঘটেছে? রক্তপাত ঘটানোর জন্য আওয়ামী লীগের কোন নেতারা নির্দেশ দিয়েছেন?’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘শেখ হাসিনা আল্লাহকে বিশ্বাস করতেন কিনা সন্দেহ আছে। তার ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা ছিল টাকা। যার ঈশ্বর টাকা হয়, তিনি তো কোনোদিন ভালো কাজ করবেন না। তাদের প্রত্যেকেরই ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘরবাড়ি আছে। তারা সরকারি অর্থ লোপাট করেছে, ব্যাংক খালি করে দিয়েছে। লাখো কোটি টাকা পাচার করেছে। এ পাচারে অধিকাংশই শেখ হাসিনার আত্মীয়স্বজন পছন্দের লোকজন জড়িত। তাদের তো বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জাবিতে বিক্ষোভ
তিনি বলেন, ‘মিথ্যা অঙ্গীকার দিয়ে তারা দুবার ক্ষমতায় এসে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। একবার তার বাবা সব দল বন্ধ করে দিয়ে বাকশাল করলেন, আর তার মেয়ে নতুন কায়দায় নতুনভাবে আরও ভয়াবহ বাকশাল তৈরি করে বিরোধী দলের কথা বলা, মানুষের কথা বলা, যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ন্যূনতম কেউ আওয়াজ করলে তার স্থায়ী ঠিকানা হয় কারাগার, আর অস্থায়ী ঠিকানা হয় তার বাড়ি। এই ছিল শেখ হাসিনার আমল। সুতরাং সেই রাজত্ব যাতে ফিরে না আসে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ফ্যাসিবাদের হালুয়া-রুটি যে খেয়েছে, তার বিচার করতে হবে। যে মাংস খেয়েছে এবং ওই মাংসের ঝোল খেয়েছে, তারও বিচার হতে হবে। তাহলে ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটানোর চেষ্টা আর কেউ করবে না।’
৪ দিন আগে
নরসিংদীতে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১০
নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
শুক্রবার (২১ মার্চ) ভোরে নরসিংদীর রায়পুরায় দুর্গম চরাঞ্চল চাঁনপুর ইউনিয়নে মোহিনীপুর গ্রামে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— রায়পুরা উপজেলা চাঁনপুর ইউনিয়নে মোহিনীপুর গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে আমিন (২৩) ও একই গ্রামের বারেক হাজীর ছেলে বাশার (৩৫)।
স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চাঁনপুর ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর সালাম মিয়া ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক সোহাগের সঙ্গে চাঁনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সামসু মেম্বারের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। দ্বন্দ্বের জেরে বিএনপি নেতা সামসু মেম্বর ও তার সমর্থকরা এলাকাছাড়া ছিলেন। ৫ আগস্টের পর এলাকায় ফিরে আসেন তারা।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে মাদক কারবারিদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত
এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। এমনকি দুপক্ষই মারামারি ও গোলাগুলি করে। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতা সালাম মিয়া ও তার সমর্থকদের এলাকাছাড়া করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। সবশেষ শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে সালাম মিয়া ও তার সমর্থকরা এলাকায় ফিরতে চান। এতে বাধা দেয় বিএনপি নেতা সামসু মেম্বার ও তার লোক জন।
৪ দিন আগে
নরসিংদীতে কৃষকদের জমির মাটি কেটে নেওয়ার অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে
নরসিংদীতে কৃষকদের জমির মাটি কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল কাইয়ুম মিয়ার নেতৃত্বাধীন একটি চক্রের বিরুদ্ধে।
আব্দুল কাইয়ুম ১৮ থেকে ২০টি চুম্বক ড্রেজার দিয়ে গত তিন মাস যাবত অবৈধভাবে আলোকবালীর গৌরীপুরা চরের কৃষি জমি থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করছেন। যার ফলে ১৩৯ কৃষকের কয়েকশত একর কৃষি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
বুধবার (১৯ মার্চ) ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কাছে থেকে একটি অভিযোগ পত্র পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল কাইয়ুম মিয়া ১৮ থেকে ২০টি চুম্বক ড্রেজার দিয়ে তিনমাস ধরে অবৈধভাবে কৃষি জমি থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করছেন। ইতোমধ্যে ১৩৯ জন কৃষকের প্রায় কয়েকশত একর কৃষিজমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বালু উত্তোলন বন্ধে দফায় দফায় প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অভিযুক্তদের জরিমানা করলেও বন্ধ হয়নি বালু উত্তোলন। উল্টো অবৈধ বালু উত্তোলনের গতি আরও বেড়েছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, কাইয়ুম মিয়ার বিরুদ্ধে চারটি হত্যা মামলা ও একাধিক অস্ত্র মামলাও রয়েছে। তার অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই কৃষকদের ভয় দেখানো হয়।
এমনকি, গত ৯ মার্চ ফসলি জমি রক্ষার দাবিতে আয়োজিত নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে অংশ নেওয়ার পথে আসা কৃষকদের ওপর দেশীয় অস্ত্র ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে চারজন কৃষক আহত হয়েছেন।
কৃষকদের অভিযোগ, অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে জমি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, জীবিকা হুমকির মুখে পড়ছে ও পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তরা দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগী কৃষক দুদুল মিয়া বলেন, ‘আমার ২৫৪ শতাংশ জমি কেটে নিয়ে গেছে কাইয়ুম। জমিতে ধান চাষ করতাম, আমাদের চরের দুই পাশে নদী হওয়ায় প্রতিবছর জমির পরিমাণ বৃদ্দি পায়। ফলে, প্রতিটি কৃষকের জমিই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এসব জমি অবৈধ চুম্বক ড্রেজার ব্যবহার করে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে বিএনপি নেতা কাইয়ুম।’
‘এমকি প্রতিবাদ করলেই হামলা ও নির্যাতনের শিকার হতে হয় আমাদের।’
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে মাদক কারবারিদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত
আরেক ভুক্তভোগী কৃষক ইলিয়াস মিয়া বলেন, ‘কাইয়ুমের প্রভাবে আমরা অসহায়। জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। তারা কাইয়ুমকে জরিমানাও করেছে, কিন্তু কাইয়ুম আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।’
কাইয়ুমের বক্তব্য জানতে একাধিকবার তাকে ফোন করলেও রিসিভ করেননি।
নরসিংদী জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব দীপক কুমার বর্মণ প্রিন্স বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কঠোর নির্দেশ, ‘কৃষক বাঁচলেই, দেশ বাঁচবে।’
‘কৃষকদের পাশে থাকতে কৃষক দল সারা দেশে কৃষক সমাবেশ আয়োজন করছে। যারা কৃষকদের ক্ষতি করবেন, তাদের বিপক্ষে আমাদের অবস্থান থাকবে। দলের নেতাদের প্রতি সুপারিশ করব তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। আব্দুল কাইয়ুমের বিরুদ্ধে এর আগেও অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এবারও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
৬ দিন আগে
বিএনপি, গণতন্ত্র-বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্র হচ্ছে: তারেক
বিএনপি, গণতন্ত্র এবং বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ক্রমাগত নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বলে সতর্ক করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ‘আমরা যারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, তারা গত কয়েকদিন ধরে একটি চক্রান্তের কথা বলছি। আরেকবার ষড়যন্ত্র উন্মোচিত হচ্ছে। আমরা এটা নিছক রাজনৈতিক বক্তব্য বা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য বলছি না। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের অস্তিত্ব, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে ক্রমান্বয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’
সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয়তাবাদী অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট সদস্যদের সম্মানে জিয়া সাইবার ফোর্সের ইফতার অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
তারেক বলেন, অতীতেও দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তারা লক্ষ্য করেছেন যে, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচনে ভোটারদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন পাওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা থাকায় বিএনপি মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হচ্ছে।
সোমবার গণমাধ্যমে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় দলীয় নেতাকর্মীদের জড়িয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি জানান, দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তথ্য সংগ্রহের পর তিনি জানতে পারেন, ঘটনাটি পত্রিকায় বিভ্রান্তিকরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
তারেক আরও বলেন, 'একটি স্বার্থান্বেষী মহল বা যারা বিএনপি, জাতীয়তাবাদী শক্তি এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, তারা ক্রমান্বয়ে ১/১১-এর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময় বিএনপি যে মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হয়েছিল, সেরকম একটি পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে।’
জাতীয়তাবাদী সাইবার ফোর্সকে এ ধরনের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তারেক বলেন, 'আপনারা যারা অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, তাদের এটা অনুধাবন করতে হবে।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তথ্য ও প্রকৃত তথ্য প্রচারের মাধ্যমে এ ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় বিএনপিপন্থী অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, 'আপনাদের কাছে আমার একটি বিশেষ অনুরোধ আছে। আপনাদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিতে পারে। কিন্তু যে প্রেক্ষাপটে আপনারা কাজ শুরু করেছেন, তাতে বিএনপি মনে করছে, তাদের সব অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টের সহযোগিতা এখন আগের চেয়ে বেশি প্রয়োজন। আপনারা সবাই মিলে কাজ করলে আগামী দিনে যুক্তিতর্কের মাধ্যমে বিএনপি কী করতে চায়—তা জনগণের সামনে তুলে ধরতে পারবেন এবং জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারবেন।’
তিনি শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনামলে ফ্যাসিবাদবিরোধী জনসমর্থন আদায়ে বিএনপিপন্থী অনলাইন কর্মীদের ভূমিকার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। ‘আপনার ভূমিকা এখন আগের চেয়ে বেশি প্রয়োজন। মনে হচ্ছে আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ হলেই এটা করতে পারবেন... আমার বিশ্বাস আপনারা এই কাজটি সবচেয়ে সুন্দর ও সঠিক উপায়ে করতে পারবেন।’
স্বাধীনতার পর থেকে যখনই বিএনপি দেশ শাসনের সুযোগ পেয়েছে তখনই স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, খাদ্য উৎপাদন, শিল্প, কর্মসংস্থান, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণের মতো ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে বলে দাবি করেন তারেক রহমান।
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় গেলে স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলনে হওয়া সব হত্যার বিচার করবে বিএনপি: তারেক রহমান
তিনি বলেন, ‘হয়তো আমরা আরও কিছু করতে পারতাম ... কিন্তু আমরা পারিনি, এটাই আমাদের সীমাবদ্ধতা। এখন পর্যন্ত যা দেশের ভবিষ্যৎ উন্নত করে, জাতিকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে, সেগুলোর প্রতিটি খাতে বিএনপি সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত ১৭ বছরে ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী শাসনামলে তারা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে এবং মারাত্মক দমন-পীড়ন সহ্য করেছে।’
অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের সাইবার যোদ্ধা হিসেবে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, দেশ ও বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে আবারও বড় ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এখন আবার সেই লড়াইটায় নামতে হবে। আবার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আমার বিশ্বাস আমাদের যোদ্ধারা এই চক্রান্তকে পরাজিত করে এই লড়াইয়ে জয়ী হবে।’
৮ দিন আগে
ক্ষমতায় গেলে স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলনে হওয়া সব হত্যার বিচার করবে বিএনপি: তারেক রহমান
আগামী দিনে দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ওই নির্বাচনে বিএনপি যদি সরকার গঠন করে, তাহলে বিগত স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলনে যারা ক্ষতিগ্রস্ত ও শহিদ হয়েছেন, তাদের প্রতি হওয়া অন্যায়ের বিচার করা হবে।
রবিবার (১৬ মার্চ) বিকালে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’–এর আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার আন্দোলনে গুম ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সম্মানে এই আয়োজন করা হয়। এতে বিগত দিনে গুম, খুন এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের বেশ কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও বিএনপি ও দলটির অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘জনগণের যে প্রত্যাশা, একজন রাজনৈতিক দলের সদস্য হিসেবে আমাদেরও প্রত্যাশা, সামনে একটি সুস্থ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং কারা সরকার গঠন করবে—বাংলাদেশের জনগণ এই নির্বাচনে তাদের সিদ্ধান্ত দেবেন।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন না হলে কোনো সংস্কারই কাজ আসবে না: আমীর খসরু
তিনি বলেন, ‘একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, আগামীতে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব যে রাজনৈতিক দলই পাক না কেন, তাদের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে অবশ্যই একটি কর্মসূচি থাকতে হবে; সেটি হলো—যারা নির্যাতন ও অন্যায়ের শিকার হয়েছে, তাদের প্রতি হওয়া অন্যায়ের বিচার করতে হবে।’
‘যেকোনো মূল্যে সুষ্ঠুভাবে এই বিচার করতে হবে। কারণ আমরা যদি আগামী দিনে অন্যায়ের বিচারগুলো করতে না পারি এবং অন্যায়ের সঠিক ও সুষ্ঠু বিচার যদি না হয়, তাহলে হয়তো-বা দেশে আবারও অন্যায় সংগঠিত হবে।’
বিএনপির এই সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ‘আমাদের দলের অবস্থান থেকে আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে পারি, বিএনপিকে বাংলাদেশের মানুষ যদি আগামীতে দেশ পরিচালনার সুযোগ দেয়, তাহলে অব্যশই রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে যে, বিগত স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলনে জুলাই-আগস্ট মাসে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন এবং যারা শহিদ হয়েছেন, যাদের বিভিন্নভাবে হত্যা করা হয়েছে, সেসব হত্যাগুলোর বিচার অবশ্যই আমরা করব।’
আরও পড়ুন: নারী-শিশু নির্যাতনে আইনি ও স্বাস্থ্য সহায়তায় বিএনপির ৮৪ সেল গঠন
‘আশা রাখবেন, আগামীতে আপনারা হতাশ হবেন না।... আমরা যদি সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকি, তাহলে এই বাংলায় (নিপীড়নকারীদের) বিচার করতে অবশ্যই আমরা সক্ষম হব।’
বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পক্ষে যতগুলো রাজনৈতিক দল আছে, তারা তার এই প্রস্তাবে দ্বিমত করবে না বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
৯ দিন আগে
বাস ডিপোর দখল নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ বিএনপি-স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষ
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আবাসিক এলাকার নীলাচল বাস ডিপোর দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুপক্ষের অন্তত সাতজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে মৌচাক মুক্তাঝিল আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মমিনুর রহমানের অনুসারীরা এ সময়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয়।
স্থানীয়রা জানান, নীলাচল পরিবহনের বাসের ধাক্কায় মুক্তাঝিল এলাকার একটি মসজিদের দেওয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হলে লোকজন নিয়ে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব মমিনুর রহমান নীলাচল বাস কর্তৃপক্ষকে বাস ডিপো সরিয়ে নিতে বলেন।
এ সময় তাদের মধ্যে এই মর্মে সমঝোতা হয় যে, দুই মাসের মধ্যে ডিপোটি সরিয়ে নেওয়া হবে। এরপর রাতেই বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব পাপ্পু বলেন, ‘মসজিদের কার্নিশ বাসের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ নিয়ে আমরা ডিপো সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানালে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ইকবাল বাহিনীর ক্যাডারদের হামলার শিকার হয়েছি।’
অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘নাসিক ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পলাশের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন সন্ত্রাসী আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় ফিরোজ নামে যুবদলের এক নেতাকে কুপিয়ে জখম করা হয় এবং ইসমাইল নামের একজনকে তুলে নিয়ে মারধর করা হয়েছে। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’
আরও পড়ুন: মসজিদের চাঁদা তোলা নিয়ে সংঘর্ষ, সিরাজগঞ্জে নিহত ১
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমি অসুস্থ থাকার কারণে এ ঘটনার কিছুই জানি না। তবে শুনেছি, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা নীলাচল বাস কর্তৃপক্ষের কাছে মসজিদের ক্ষতিপূরণের জন্য টাকা চেয়েছে।’
নীলাচল পরিবহনের কর্মকর্তা আবুল হাশেম বলেন, ‘নীলাচল পরিবহনের গাড়ি চলাচলের সময় মসজিদের লাইট ও কার্নিশ ভেঙে যায়। এরপর মিস্ত্রি এনে ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করতে গেলে মসজিদ কমিটির সভাপতি মাহমুদ হাসান পাটোয়ারীর সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব মমিনুর রহমান বাবুর লোকজন হামলা চালায়। এতে আবুল হাশেম, হাসান মাহমুদ, আবু সিদ্দিক ও বিল্লাল হোসেন আহত হন।’
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনুর আলম বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় এক পক্ষ থানায় অভিযোগ দিয়েছে।’
৯ দিন আগে
বিএনপি বেহেশতে যাওয়ার টিকিট বিক্রি করে না: মুরাদ
যারা ধর্ম নিয়েন রাজনীতি করে তাদের বিষয়ে আলেম ওলামাদের সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা জেলা যুবদল সভাপতি ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ।
তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি ধর্মবান্ধব রাজনৈতিক দল কিন্তু ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে না। বিএনপি ধর্মীয় অনুশাসন মেনে জনসাধারণকে আদর্শ জাতি গঠনে উদ্বুদ্ধ করে, বেহেশতে যাওয়ার টিকিট বিক্রি করে না।’
রবিবার (১৬ মার্চ) ধামরাইয়ের কালামপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে স্থানীয় আলেম ওলামা, ইমাম ও খতিবদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। উপজেলার ১২০টি কওমি মাদ্রাসা ও সাড়ে ৮০০ মসজিদের ইমাম ও খতিবরা এতে উপস্থিত ছিলেন।
ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ বলেন, একটি দল পবিত্র ইসলাম ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। কুরআন-হাদিসের অপব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। তাদের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: আ.লীগ নেতাকে ছাড়াতে গিয়ে থানায় বিএনপির দুপক্ষের হাতাহাতি
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ধর্মীয় মূল্যবোধ, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর আস্থা-বিশ্বাস ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। বিএনপি বিশ্বাস করে, মুসলমান জনগোষ্ঠীর মধ্যে ইসলামী মূল্যবোধ এবং সংস্কৃতির বিকাশ ঘটলে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দেশে শান্তি, ন্যায্যতা, মানবিকতা প্রতিষ্ঠিত হবে।’
স্বাধীনতা পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ ধর্ম নিরপেক্ষতার নামে ধর্মহীনতা চাপিয়ে দিয়েছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি। মুরাদ বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সংবিধানে বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম এবং ধর্মনিরপেক্ষতার পরিবর্তে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস সংযোজন করে সংখ্যা গরিষ্ঠ মানূষের অনুভুতির প্রতি সম্মান জানিয়েছেন। বিএনপি শহীদ জিয়ার সেই নীতি ধারণ করে চলেছে।
ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা মো. ইলিয়াছ। উপস্থিত ছিলেন ধামরাই উপজেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি আশরাফ আলী, কালামপুর উলামা পরিষদের সভাপতি আবু সাঈদ জিহাদি, মাওলানা ইদ্রিস আলী, মাওলানা উসমান গণি, মুফতি ইউসুফ বিন সিরাজ, মুফতি মো. রাকিব, মাওলানা আবদুল আলিম, মাওলানা আবদুল মজিদ, মাওলানা ফরহাদ, মো. ইবরাহিম. মুফতি মো. আরিফ প্রমুখ।
৯ দিন আগে