বিএনপি
১/১১-এর মতো সরকার গঠনের ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
১/১১’র পর সেনাবাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইঙ্গিত দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি ‘অস্বাভাবিক সরকার’ গঠনের গভীর ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, তাদের (বিএনপি) একমাত্র উদ্দেশ্য শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা।
রবিবার (১ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের যৌথ সভায় কাদের এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: খেলা হবে অক্টোবর-ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে: ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বাতাসে ভেসে বা বন্দুকের নল উঁচিয়ে ক্ষমতায় আসেনি। আওয়ামী লীগ যদি অবৈধ দল হয়, তাহলে খালেদা জিয়াকে মুক্তি বা বিদেশে পাঠানোর অনুমতি চাওয়া হচ্ছে কেন? ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির উচিত সীমারেখা মেনে চলা।’
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া যদি বিদেশে যেতে চান, তাহলে তাকে দেশের প্রচলিত আইন অনুসরণ করে আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মানবিক দিক বিবেচনা করে একজন দণ্ডিত আসামিকে যে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় তা বিশ্বে বিরল।
আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ এই নেতা দলের নেতা-কর্মীদের ডাকলে সাড়া দেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বিএনপি সন্ত্রাসের মাধ্যমে সরকারকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে, কিন্তু রাজপথে তাদের প্রতিহত করতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিলবোর্ড বা পোস্টার লাগিয়ে প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বিএনপির হাতে বাংলাদেশ নিরাপদ নয়: কাদের
সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে: ওবায়দুল কাদের
বিএনপির হাতে বাংলাদেশ নিরাপদ নয়: কাদের
বিএনপির হাতে বাংলাদেশ নিরাপদ নয় বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির হাতে গণতন্ত্র, ভোট, নিরাপত্তা, মুক্তিযুদ্ধ, কিছুই নিরাপদ নয়। তারা একাত্তরের বাংলাদেশ চায় না। তারা হত্যা ও সন্ত্রাস চায়। তারা দুর্নীতি ও স্বৈরাচার চায়।’
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলিস্তানে বাংলাদেশ শ্রমিক লীগ আয়োজিত মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি অনুমতি ছাড়া কোনো সমাবেশ করলে পালাবার পথ পাবে না। বিএনপির দেওয়া ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটামের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি বলেছে আওয়ামী লীগকে কবরস্থানে পাঠাবে। বিএনপির রাজনীতিরই এখন কবরস্থানে যাওয়ার পালা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার যদি অবৈধ হয়, তাহলে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য অবৈধ সরকারের কাছে আবেদন করলেন কেন?আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মানুষের বঞ্চনার ইতিহাস দূর হয়ে গেছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সরকারের অনুমতি নিতে হবে; অন্যথায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আওয়ামী লীগের সিনিয়র এই নেতা বলেন, যারা ভাঙচুর করতে আসবে তাদের শায়েস্তা করা হবে।
তিনি দলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশে গণতন্ত্র নিরাপদ নয়। শেখ হাসিনার কারণেই বাংলাদেশ অনেক শান্তিপূর্ণ। তার মতো সৎ নেতা রাজনীতিতে বিরল বলেও উল্লেখ করেন কাদের।
আরও পড়ুন: সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে নেত্রী ডাকলে সাড়া দিতে বলেন। বিএনপির হাতে ক্ষমতা গেলে বাংলাদেশ আবার অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে।
মহাসমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি এক দফার দাবিতে থাকলে নির্বাচনী বাস মিস করবে: সালমান এফ রহমান
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএনপি নেতার বাড়ি ভাঙচুর
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় শুক্রবার রাতে স্থানীয় এক বিএনপি নেতার বাড়িতে ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা।
মিরসরাই উপজেলা বিএনপি শাখার আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম চৌধুরীর বাড়িতে এই ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে একদল যুবক শহিদুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালায় বলে শনিবার অভিযোগ করেন ভূক্তভোগীর ছোট ভাই জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী।
হামলার সময় দুর্বৃত্তরা ঘরের লাইট, সিসিটিভি ক্যামেরা ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে বলে দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: দেশে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় 'ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রঐক্য' গঠন
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিএনপির চলমান আন্দোলনকে ভয় পেয়ে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন এ হামলা চালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এর আগেও বেশ কয়েকবার আমার বাড়িতে হামলা হয়েছে এবং আগুন দেওয়া হয়েছে। সুতরাং, আমরা এগুলোকে ভয় পাই না।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে খালেদা জিয়াকে নিয়ে মিথ্যা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী: ফখরুল
বিএনপি এক দফার দাবিতে থাকলে নির্বাচনী বাস মিস করবে: সালমান এফ রহমান
বিএনপি এক দফার দাবিতে থাকলে নির্বাচনী বাস মিস করবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি তাদের এক দফার দাবি আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে, কারণ জনগণ তাদের সঙ্গে নেই।’
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকার দোহার জয়পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় সালমান এফ রহমান বলেন, আপনারা যে আন্দোলন শুরু করেছেন সেটা কখনও সফল হবে না। কারণ জনগণ আপনাদের সঙ্গে নেই।
তাই এসব বাদ দিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনী বাস ধরার পরামর্শ দিয়েছেন সালমান এফ রহমান।
বিদেশিরা বর্তমান সরকারকে আগামীতে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না, বিএনপি নেতাদের এই ধরনের মন্তব্যকে বিভ্রান্তিকর গুজব-আখ্যায়িত করে সালমান এফ রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' এর সুযোগ নিয়ে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রোপাগান্ডা ছড়াতেই ব্যস্ত।
তাদের এসব গুজব থেকে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: দেশটাকে আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্রীড়াক্ষেত্রে পরিণত করতে চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই হবে, কেউ অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচন থেমে থাকবে না। বিদেশিদের একটাই চাওয়া তা হচ্ছে, বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ হোক। তাদের চাওয়া এবং সরকারের চাওয়া এক। স্বাধীন নির্বাচন কমিশনও অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন উপহার দিতে বদ্ধপরিকর।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি আন্দোলন করছে ফেসবুক ও ইউটিউবে। বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। তবে তাদের ষড়যন্ত্র ধূলিসাৎ হয়েছে।
এই সময় তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, 'আওয়ামী লীগ সমর্থকদের কাছে ভোট চাওয়া ছাড়াও নিরপেক্ষ ও বিরোধীদের কাছে গিয়েও ভোট চাইতে হবে। ভোট দেওয়ার যেমন স্বাধীনতা আছে, তেমনি ভোট চাওয়ারও স্বাধীনতা আছে। উন্নয়নের নানা চিত্র সবার কাছে তুলে ধরে নৌকার জন্য ভোট চাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।'
বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইলে এবং দলমত নির্বিশেষে সব ভোটারদের কাছে যেতে পারলে নৌকার জয় সুনিশ্চিত জানিয়ে আগামী নির্বাচনে করণীয় সম্পর্কে নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন সালমান এফ রহমান।
বিগত ১৫ বছরে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে সরকার বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। দেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হওয়ার পথে ধাবমান। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদেরকেও এগিয়ে যেতে হবে।
নারীদের জন্য সরকারের বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করার জন্য উপস্থিত নেতা-কর্মীদের অনুরোধ করেন দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেত্রীবৃন্দ।
আরও পড়ুন: অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধরে রাখতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
বিএনপি অংশগ্রহণ না করলেও নির্বাচন থেমে থাকবে না: সালমান এফ রহমান
মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২০
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে এক কিশোর নিহত হয়েছে। এ ছাড়া এ সময় উভয় পক্ষের ২০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার আজমপুর বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।
নিহত কিশোর জাহিদ হোসেন রুমন (১৬) উপজেলার ওসমানপুর এলাকার মরহুম নুরের জামানের ছেলে।
নিহত কিশোর জাহিদ হোসেনকে নিজেদের ছাত্র সংগঠনের কর্মী বলে দাবি করেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দল।
নিহত জাহিদকে ছাত্রলীগ কর্মী দাবি করে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাসুদ করিম রানা বলেন, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ওসমানপুর ইউনিয়নে আজমপুর বাজারে বিএনপির লোকজন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ওসমানপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মোহাম্মদ হাসান, মিরাজ, আরেফিন, জাহিদ হোসেন রুমন ও রাফিসহ পাঁচ নেতা-কর্মী আহত হন। তাদের মধ্যে জাহিদ হোসেন রুমন মারা যায়।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে চুরি করলে রেহাই নেই: আমীর খসরু
জানা গেছে, আগামী ৫ অক্টোবর বিএনপির ১৫ দিনের কর্মসূচির মধ্যে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে রোডমার্চ উপলক্ষে মিরসরাইয়ে একটি পথসভা করার কথা রয়েছে। তারই প্রস্তুতি হিসেবে শুক্রবার উপজেলার ৫ নম্বর ওসমানপুর ইউনিয়নে সভার প্রস্তুতি নিচ্ছেলেন দলটির নেতা-কর্মীরা।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান দাবি করেন, সভার প্রস্তুতি সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের লোকজন তাদের ওপর হামলা করে। এতে তাদের একজন মারা যায় এবং ১৫ নেতা-কর্মী আহত হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার দায়ী: ফখরুল
ওসমানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহ্ আলম বলেন, ‘বিএনপি নেতা নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের অনুসারীরা স্থানীয় আজমপুর বাজারে আমাদের ছাত্রলীগ নেতা হাসান ও তার কয়েক সহযোদ্ধার ওপর হামলা চালায়। এতে হাসপাতালে রুমন নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হন এবং আহত হয় পাঁচজন।’
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘দুই দলের মারামারিতে একজন মারা গেছে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।’
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় থাকার জন্য খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে: ফখরুল
দেশটাকে আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্রীড়াক্ষেত্রে পরিণত করতে চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘দেশটাকে আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্রীড়াক্ষেত্রে পরিণত করতে চায় বিএনপি।’
তিনি বলেন, 'যারা দেশে-দেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে আজকে বিএনপি-জামায়াত তাদের হাতে, বিশ্ববেনিয়াদের হাতে দেশটাকে তুলে দিতে চায়। দেশটাকে তারা আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্রীড়াক্ষেত্রে পরিণত করতে চায়।’
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন (২৮ সেপ্টেম্বর) উপলক্ষে কৃষক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে, নির্বাচন ভণ্ডুল করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার অনেক অপচেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু এ অপচেষ্টায় কোনো লাভ হবে না।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে কারো পুলকিত হওয়ার কারণ নেই: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'এই অপচেষ্টা যারা করছে সেই বিএনপি হচ্ছে ছাগলের তিন নম্বর ছানা। তাদের কেউ বাতাস দিচ্ছে এবং সেই বাতাসে ফখরুল সাহেব লাফাচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা লাফাতেই থাকবেন আর এদিকে যথাসময়ে নির্বাচন হবে। আর সেই নির্বাচনে আবারও ধস নামানো বিজয়ের মাধ্যমে শেখ হাসিনা আবারও দেশের প্রধানমন্ত্রীর আসনে আসীন হবেন।'
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন এবং আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: বিদেশি পর্যবেক্ষক আসুক আর না আসুক, নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে: তথ্যমন্ত্রী
শুধু শমসের-তৈমুর নয় আরও অনেকেই বিএনপি থেকে চলে যাবে: তথ্যমন্ত্রী
ক্ষমতায় থাকার জন্য খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে: ফখরুল
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে সরকারের ক্ষমতায় থাকা কঠিন হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফরখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। কারণ তিনি মুক্ত হলে সরকারের পক্ষে ক্ষমতায় থাকা কঠিন হবে।
তিনি বলেন, বেগম জিয়া কারাগার থেকে বের হলে দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে এবং জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া যাবে না।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঢাকার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার এবং সরকার পতনের একদফা দাবিতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করা খালেদা জিয়াকে আজ ঘরে বন্দি করে রাখা হয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে যে আবেদন করা হয়েছে তা সরকার বাস্তবায়ন করবে।’
আরও পড়ুন: আবারও সিসিইউতে খালেদা জিয়া
ফখরুল বলেন, এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে সারাদেশের মানুষ যখন জেগে উঠেছে তখন, এই নারী সমাবেশ তাদের আরও সাহস যুগিয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, এই সরকারের দমন-পীড়ন থেকে মা-বোনেরাও রক্ষা পায়নি। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের নামে তাদের আটকে রাখা হয়েছে। লেখালেখির মাধ্যমে সত্য তুলে ধরার জন্য তাদের পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের দুর্ভোগের কথা জানিয়ে এই বিএনপি নেতা বলেন, সরকারের নির্ধারিত মূল্য কেউ মানছে না এবং সব জায়গায় আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেট।
সরকার উৎখাতে নারী-পুরুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার ফের ক্ষমতায় এলে দেশের স্বাধীনতা বিলীন হয়ে যাবে।
মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আফরোজা আক্তার রিতা, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, দলের নেত্রী হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে চুরি করলে রেহাই নেই: আমীর খসরু
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার দায়ী: ফখরুল
আবারও সিসিইউতে খালেদা জিয়া
ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে আবারও কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
গত ৯ আগস্ট থেকে হাসপাতালে ভর্তি আছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত সপ্তাহে তাকে দুইবার কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ‘হীরক রাজার দেশে’ পরিণত করেছে সরকার : আব্বাস
অন্যদিকে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্থায়ী জামিনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আপিলটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে এবং তা যাচাই-বাছাই করে শিগগিরই আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।
২০২০ সালে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তির পর থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: সিসিইউ থেকে কেবিনে ফিরলেন খালেদা জিয়া
২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের পর খালেদাকে পুরান ঢাকা কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়। তবে, এতে শর্ত থাকে যে তিনি গুলশানের বাড়িতে থাকবেন এবং দেশ ছেড়ে যাবেন না।
আরও পড়ুন: মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা, কোনো উন্নতি নেই: চিকিৎসক
বিএনপি অংশগ্রহণ না করলেও নির্বাচন থেমে থাকবে না: সালমান এফ রহমান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বৃহস্পতিবার বলেছেন, বিদেশিরা বর্তমান সরকারকে আগামীতে আর ভবিষ্যতে ক্ষমতায় দেখতে চায় না বলে বিএনপি নেতাদের দাবি গুজব ছাড়া আর কিছুই নয়।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে; কেউ অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকলে তাদের জন্য নির্বাচন স্থগিত করা হবে না। বেশিরভাগ দলই আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নবাবগঞ্জের নবাবগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা ও কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন বানচাল করা যাবে না: হাছান মাহমুদ
এসময় সালমান এফ রহমান বলেছেন, বিদেশীদের একটাই চাওয়া তা হচ্ছে, রাজনৈতিক আসন্ন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। তাদের চাওয়া এবং সরকারের চাওয়া এক। বর্তমান সরকারও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আগামী নির্বাচনে সমর্থন জোগাতে নিরপেক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছানোর আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের কর্মীদের শুধু আওয়ামী লীগ সমর্থকদের কাছেই পৌঁছানো উচিত নয়, নিরপেক্ষ ভোটারদের কাছেও তাদের প্রচার করা উচিত। এমনকি যারা আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন না তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা উচিত
এ সময় দেশের বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক ‘নৌকা’-এর পক্ষে ভোট চাইতে দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে: ওবায়দুল কাদের
হাসিনা-বাইডেন নয়, বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকার সেলফি: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান রিজভীর
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে অথবা সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘তিনি একজন নারী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী। দেরি না করে তাকে বাঁচানোর জন্য এখনই পদক্ষেপ নিন। অন্যথায় সরকারকেই এর দায় নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী
সোমবার বিকালে দলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলামের সঙ্গে বিএনপি নেতা রিজভী এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে গিয়ে এ কথা বলেন।
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে রিজভী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। ডাক্তাররা তাকে বিদেশে নিয়ে যেতে বলছেন, কারণ এখানে তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করার পর তারা বুঝতে পেরেছেন যে তার উন্নত চিকিৎসা দরকার।’
এ সময় খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন রিজভী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিন ধরে তার অবস্থা খুবই খারাপ। তাকে ডাক্তারের বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ থেকে বার্তা না পেলে কঠোর কর্মসূচি: রিজভী
সালাহউদ্দিন আহমেদকে বিনা চিকিৎসায় কারাগারে বন্দি রেখেছে: রিজভী