বিএনপি
নির্বাচন নিয়ে শরিকদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ১২ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর সঙ্গে নতুন করে সংলাপ শুরু করল দলটি।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে লিয়াজোঁ কমিটির সদস্যরা বৈঠকে অংশ নেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি ও লেবার পার্টির নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে দলটির। পর্যায়ক্রমে শরিক দল ও জোটগুলো এই আলোচনায় অংশ নেবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য এ বিষয়ে বলেছেন, দেশের দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক অবস্থা, আগামী নির্বাচন, সরকারের সংস্কার উদ্যোগ এবং প্রধান উপদেষ্টার সম্ভাব্য নির্বাচনি রোডম্যাপের বিষয়ে জোটের শরিকদের কাছ থেকে মতামত নেওয়া হবে। সবার পরামর্শের ভিত্তিতে পরবর্তী কর্মপন্থা ঠিক করা হবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সুযোগ পেলে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবে বিএনপি: তারেক
বিএনপির এই নেতা বলেন, নিজেদের ঐক্য আরও জোরদারের দিকে মনোনিবেশ করার পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে জোটের শরিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে কথা বলার বার্তা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্তদের ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’ নামের একটি রাজনৈতিক দল গঠনের চলমান প্রচেষ্টা নিয়েও সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি।
উদ্বেগ প্রকাশ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘সরকার ২০২৬ সালে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করার চেষ্টা করতে পারে, যাতে ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’ নিজেদের সংগঠিত করার জন্য পর্যাপ্ত সময় পায়।’
‘কেউ রাজনৈতিক দল গঠন করলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে, অন্তর্বর্তী সরকার ও রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় যদি কোনো দল গঠিত হয়, তাহলে আমাদের আপত্তি আছে। সংস্কারের বাহানায় একটি দলকে সংগঠিত হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য নির্বাচনে বিলম্ব করার বিরোধিতা করি আমরা।’
এর আগে, বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, ২০২৫ সালের শেষে অথবা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে।
তার এক দিন পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ইঙ্গিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিএনপির
৮ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সুযোগ পেলে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবে বিএনপি: তারেক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সুযোগ পেলে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবে বিএনপি। এজন্য যেকোনো মূল্যে ৩১ দফার পক্ষে সমর্থন নেওয়ার জন্য জনগণের কাছে যেতে হবে।
জনগণের সম্পৃক্ততায় স্বৈরাচারী পালিয়েছে, তবে দেশের ভেতরে-বাইরে দেশের বিরুদ্ধে এখনও ষড়যন্ত্র থেমে নেই বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, বর্তমানে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার সংগ্রাম শুরু। সংগ্রাম করেই ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকালে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে ও জনসম্পৃক্তি নিশ্চিত করতে নরসিংদীতে বিভাগীয় কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তারেক রহমান।
তিনি বলেন, আমাদের সংগ্রাম ৫ আগস্টের আগে পর্যন্ত। আমাদের সংগ্রাম স্বৈরাচারের পতন, স্বৈরাচারকে সরিয়ে দেওয়া এবং স্বৈরাচারকে ফেলে দেওয়ার। দলমত নির্বিশেষে দেশের সকল মানুষের অংশগ্রহণে দেশের মানুষ সক্ষম হয়েছে স্বৈরাচারকে বিদায় করতে, বাধ্য করেছে পালিয়ে যেতে।
আরও পড়ুন: নির্যাতনের জবাবে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান তারেকের
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, এখন সংগ্রাম দেশের স্বাধীনতা রক্ষার, সার্বভৌমত্ব রক্ষার ও দেশ গড়ার এবং মানুষের রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার সংগ্রাম।
মানুষের অর্থনৈতিক ভিত্তিকে মজবুত করার যে সংগ্রাম শুরু হয়েছে, এ সংগ্রামে একমাত্র নেতৃত্ব দিতে পারবে বিএনপি বলে জানান তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, এ দেশে যদি একটি দুর্বল জনমর্থনহীন সরকার ক্ষমতায় আসে, তবে অনেকেই এ দেশ থেকে সবকিছু লুটেপুটে নিয়ে যাবে। এ দেশের অর্থ সম্পদ, প্রাকৃতিক সম্পদের দিকে অনেকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে। দেশে যদি একটি বিশৃঙ্খলা লাগিয়ে রাখা যায়, তাহলে অনেকের জন্য সুবিধা হবে। এসব থেকে দেশকে রক্ষা করতে এবং দেশের মানুষকে রক্ষা করতে এমন একটি সরকার প্রয়োজন যারা জনগণের কথা বলবে, জনগণ ও দেশের চিন্তা করবে।
এ রকম কেউ যদি দেশ পরিচালনা দায়িত্ব নেয়, তবে দেশের স্বার্থ জনগণের স্বার্থ নিরাপদ থাকবে বলে জানান তারেক রহমান।
নরসিংদী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমিন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ-ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক হালিমা নেওয়াজ আরলি ও সহ-স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক শাম্মি আক্তার, সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিছুর রহমান তালুকদার খোকন, নরসিংদী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনজুর এলাহীসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিতে ষড়যন্ত্রকারীদের এজেন্টদের বিষয়ে তারেকের সতর্কতা
২ দিন আগে
নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ইঙ্গিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিএনপির
জাতীয় নির্বাচন ২০২৫ সালের শুরুতে বা কৌশলগতভাবে বিলম্বিত করে ২০২৬ সালের দিকে নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক ইঙ্গিত বিএনপির মধ্যে তুমুল মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।
যদিও কিছু নেতা সতর্কতার সঙ্গে দীর্ঘায়িত রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা অবসানের পদক্ষেপ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার সংকেতটিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে অন্যরা সংশয় প্রকাশ করে এটিকে ‘রোডম্যাপ ছাড়া একটি অসম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতি’ বলে অভিহিত করেছেন।
বিএনপি সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, দ্রুত নির্বাচন অতি প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সমাধানের পথ তৈরি করতে পারে। আর বিলম্বিত নির্বাচন হতে পারে সময় কেনা এবং সরকারের প্রভাব বাড়ানোর কৌশলগত চেষ্টা।
বিএনপি নেতারা বলছেন, ‘সময়সীমা নিয়ে কয়েক মাসের অস্পষ্টতার পরে অবশেষে নির্বাচনের কথা শুনে ভাল লাগছে - তাড়াহুড়ো বা বিলম্বিত হোক না কেন - একটি কৌশলগত ভারসাম্যের কাজ বলে মনে হচ্ছে। সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ছাড়া আমরা সরকারের আসল উদ্দেশ্য অনুমান করতে পারছি।’
মিশ্র প্রতিক্রিয়া দলের মধ্যে আশা এবং সন্দেহ উভয়ই তুলে ধরে। বিএনপি নেতারা সম্ভাব্য আগাম শোডাউনের প্রস্তুতি বা দীর্ঘ অপেক্ষার জন্য প্রস্তুত হওয়ার চ্যালেঞ্জগুলো মূল্যায়ন করেন। এটি তাদের নিচের পর্যায়ে রাজনৈতিক ভিত্তি পরিবর্তন করতে পারে।
দলটির নেতারা বলেন, বিএনপি আগামী ৪-৫ মাসের মধ্যে নির্বাচনি সংস্কার কাজ শেষ করতে চায় এবং আগামী বছরের আগস্টের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। যাতে সরকারকে এক বছরের মেয়াদ পূর্ণ করার সুযোগ দেওয়া হয়।
তারা আরও মনে করেন, ২০২৬ সালের শুরুর দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বলে প্রধান উপদেষ্টা যে উল্লেখ করেছেন, তা তার সরকারের মেয়াদ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার কৌশলের অংশ হতে পারে।
বিএনপি নেতারা বলছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে সরকার সম্মত হতে পারে।
তারা বলছেন, অন্য রাজনৈতিক দলগুলো এতটুকু সময় দিতে রাজি হলে বর্তমান সরকারকে আগামী বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুযোগ দিতে পারেন তারা।
এর আগে সোমবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ২০২৫ সালের শেষের দিকে বা ২০২৬ সালের প্রথম দিকে ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে।
টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, 'বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে, ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে।’ ড. ইউনূস নির্বাচনের আগেই সব ধরনের সংস্কার সম্পন্ন করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, 'প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে ভাষণে আগামী নির্বাচন সম্পর্কে যা বলেছেন তাতে আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই, কারণ তিনি কোনো সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বা রোডম্যাপ পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করেননি। তবে আমরা কিছুটা স্বস্তি বোধ করছি এবং আশা করছি সরকার অন্তত নির্বাচন নিয়ে ভাবছে।’
তিনি বলেন, তাদের দলের নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, সরকার আন্তরিক হলে আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে। ‘আমরা আরও বিশ্বাস করি, সরকারের এক বছর মেয়াদ প্রয়োজনীয় নির্বাচনি ও অন্যান্য সংস্কার করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের একটি যৌক্তিক সময়সীমা। কিন্তু সরকারের ভেতরের কিছু লোক সংস্কারের নামে সময় কিনতে চায়, শুধু ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্য।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারের গঠিত বিভিন্ন সংস্কার কমিশন চলতি মাসের শেষের দিকে তাদের প্রস্তাব নিয়ে আসতে পারে।
তিনি বলেন, ‘পরে সরকার এসব প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে এবং ঐকমত্যের মাধ্যমে সংস্কারের একটি রূপরেখা তৈরি করতে পারে। যে রাজনৈতিক সরকার নির্বাচনে জনগণের ভোটে সরকার গঠন করতে পারবে, সেই রাজনৈতিক সরকার তখন সংসদে সংস্কার কাঠামো বাস্তবায়ন করবে। এটাই প্রক্রিয়া হওয়া উচিত, কিন্তু সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার অভিপ্রায়ে এটাকে জটিল করে তুলছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে শেখ হাসিনার শাসনবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে যেসব রাজনৈতিক দল তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে তাদের সঙ্গে তারা এখন কথা বলবেন। তিনি বলেন, 'আমরা সবাই আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে কথা বলব। খুব বেশি হলে নির্বাচনের জন্য আগামী বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। আমরা মনে করি, সরকার চূড়ান্তভাবে আগামী বছরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে সম্মত হতে পারে।’
তিনি বলেন, তাদের স্থায়ী কমিটি তাদের পরবর্তী বৈঠকে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করবে এবং তাদের পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে কাজ করবে।
যোগাযোগ করা হলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশন আন্তরিক হলে আগামী ডিসেম্বরের আগেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব।
তিনি বলেন, সরকারের উচিত যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, কারণ সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে এবং বিদ্যমান সমস্যা থেকে উত্তরণের মাধ্যমে দেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে একটি নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন।
মোশাররফ বলেন, ‘নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করা হলে জনগণ নির্বাচনমুখী হয়ে উঠবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে থাকলে তারা ষড়যন্ত্র বরদাশত করবে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বুঝতে হবে, আগাম নির্বাচন তাদের জন্য এবং দেশের জনগণের জন্য লাভজনক হবে।’
দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার পর সরকারের কার্যক্রম তারা সতর্কতার সঙ্গে তদারকি করবেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন আয়োজনে খুব বেশি সময় লাগার কথা নয়। সরকার আন্তরিক হলে জনগণের ইচ্ছার আলোকে দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব।’
খসরু বলেন, সরকার সংস্কারের রূপরেখা দিতে পারে। কিন্তু নির্বাচিত সরকারই সংসদের মাধ্যমে এসব সংস্কার বাস্তবায়ন করবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমুন্নত রাখবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে শুধু নির্বাচনের সময় সম্পর্কে একটি ধারণা দিয়েছেন, 'কোনো সুস্পষ্ট রোডম্যাপ নেই।’
সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য কত সময় প্রয়োজন তা তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) স্পষ্ট করেননি। ‘আমরা আশা করি, তিনি একটি রোডম্যাপ দেবেন, যেখানে সংস্কার ও নির্বাচন উভয়ের সময়সীমা নির্দিষ্ট থাকব ‘
৩ দিন আগে
নাটোরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১২
নাটোরের নলডাঙ্গায় সমাবেশে যাওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার মোমিপুর বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন- মোমিনপুর গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে মোহম্মদ আলী (৩০), মুসলেম উদ্দিনের ছেলে রানা (২৩), মফিজ উদ্দিনের ছেলে লালু (৪০), আসকান আলরি ছেলে রিগ্যাল (৩০), রবিউল (৪০) ও আশিক আলী (২৭), লেদু প্রামানিকের ছেলে মুস্তাহাব (৬৫) এবং জামাল হোসেনের ছেলে আরিফুল ইসলাম (১৭)।
আরও পড়ুন: নাটোরে বিএনপি নেতার বাড়িতে এলোপাতাড়ি গুলি
আসামপাড়া গ্রামের নাজমুলের ছেলে শাওন (১৮), শাহীন হোসেনের ছেলে ইয়াছিন আলী (২২), মুসলেম উদ্দিনের ছেলে জীবন (১৭) ও আজিজ মিয়ার ছেলে স্থানীয় উইপ সদস্য জাহাঙ্গির মিয়া (৪৫)।
স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার বিকালে নলডাঙ্গা উপজেলার রামশারকাজীপুর স্কুল মাঠে বিএনপির বিজয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে যাওয়া নিয়ে উপজেলার মোমিনপুর গ্রামের জাকির সমর্থকদের সঙ্গে আসামপাড়া গ্রামের খলিলের বিরোধ বাধে। এর জের ধরে রাত ৮টার দিকে উভয় পক্ষ মোমিপুর বাজারে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। আহতরা সবাই বিএনপির কর্মী। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ট্রেনের ধাক্কায় সেতু থেকে নিচে পড়ে নিহত ১
৩ দিন আগে
বিএনপিতে ষড়যন্ত্রকারীদের এজেন্টদের বিষয়ে তারেকের সতর্কতা
বিএনপির প্রতি জনসমর্থন অনেকের হিংসার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মন্তব্য করে সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার টেকনগপাড়ায় সাগর-সৈকত কনভেনশন সেন্টারে ‘রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক এক কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
যেকোনো মূল্যে জনসমর্থন ধরে রাখতে নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘যে দলের (বিএনপি) নেতাকর্মীরা এত অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে এই পর্যন্ত এসেছেন, ঐক্যকে ধরে রেখেছেন, জনগণের আস্থাকে ধরে রেখেছেন। কিন্তু আমাদের ভেতরে যদি নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য এই আস্থায় আঘাত করে, জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসকে নষ্ট করে নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য... আমার অনুরোধ থাকবে সহকর্মী হিসেবে আপনাদের প্রত্যেকের কাছে— শক্ত হাতে সেই লোকগুলোকে দমন করতে হবে। শক্ত হাতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য কেউ যেন দলের সুনাম কেউ নষ্ট করতে না পারে, খেয়াল রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি রাষ্ট্র মেরামত করতে চাই, তাহলে অবশ্যই জনগণের সমর্থন নিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে হবে। সেটা না করতে পারলে আমাদের এতদিনের আন্দোলন ব্যর্থ হয়ে যাবে। আমরা দেশ ও দেশের মানুষকে নিয়ে যে চিন্তা-ভাবনা করছি, যে কর্মসূচিগুলো দিয়েছি ৩১ দফার ভেতরে, এগুলোকে সফল করতে হলে জনগণের সমর্থন আমাদের প্রয়োজন।’
‘আমাদের জনগণের আস্থার ভেতরে থাকতে হবে। যে কারণে প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে যে কাজটি সঠিক, সেটি করতে হবে। অনৈতিক, খারাপ কাজ, যার কারণে জনগণ আমাদের ত্যাগ করতে পারে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে এবং শক্ত অবস্থান নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: জবাবদিহির সরকার ও কার্যকর সংসদ জনগণের ক্ষমতা রক্ষা করতে পারে: তারেক
বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, ‘প্রতিপক্ষের মিছিল-সমাবেশ ছোট, বিষয়টি আমাদের আনন্দ দিচ্ছে; কিন্তু কোনোভাবেই যেন আমাদেরটা ছোট না হয়। কারণ বিএনপি এই মুহূর্তে দেশের অধিকাংশ মানুষের সমর্থন উপভোগ করছে। এটি অনেকের হিংসার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক রাজনৈতিক দল, অনেকের হিংসার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং অনেক ষড়যন্ত্রও শুরু হয়েছে।’
‘শুরু থেকেই জাতীয়তাবাদী দলের বিরুদ্ধে দেশে এবং দেশের বাইরে ষড়যন্ত্র হয়েছে। কাজেই ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে থাকেনি। এই দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র যখন হবে, ধরে নিতে হবে এই ষড়যন্ত্র শুধু এই দলের বিরুদ্ধে না, সেই ষড়যন্ত্রের মধ্যে আছে আরেকটি ষড়যন্ত্র, যেটি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে।’
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার পালিয়ে গেছে। স্বৈরাচারের মাথা পালিয়ে গেছে, কিছু ছোট ছোট মাথাও পালিয়ে গেছে। কিন্তু লেজসহ শরীরের অনেক অংশ অবশিষ্ট রয়ে গেছে। তারা কিন্তু ভেতরে ভেতরে ষড়যন্ত্র করছে। কাজেই আপনাদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আমাদের ভেতরে অনেক এজেন্ট ঢুকিয়ে দিয়েছে। এ বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে, চোখ কান খোলা রাখতে হবে।
নির্বাচনে লড়াইয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আগামীর যে নির্বাচন হবে, আপনাদের আমি শতভাগ গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, কেউ যদি মনে মনে ভেবে থাকেন- এখানে তো প্রধান প্রতিপক্ষ নাই, দুর্বল হয়ে গেছে, নির্বাচন খুব সহজ হবে, নো, নো, নো অ্যান্ড নো।’
‘এই নির্বাচন অতীতের যেকোনো নির্বাচনের চেয়ে অনেক, অনেক, অনেক কঠিন হবে। কাজেই নিজেদের সেভাবেই প্রস্তুত করুন যে, আগামীর কঠিন সেই নির্বাচনে জনগণের সমর্থন নিয়ে সেই পুলসিরাত যেন পার হতে পারি।’
তবে নির্বাচন কঠিন হলেও বিএনপির জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি আরও বলেন, ‘জনগণকে সঙ্গে নিয়েই আমরা স্বৈরাচারকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি। একইভাবে জনগণকে সঙ্গে নিয়েই, জনগণের সমর্থন নিয়ে আগামীতে আমরা দেশ পরিচালনার যোগ্যতা অর্জন করতে সক্ষম হব- এই আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’
আরও পড়ুন: বিএনপির লক্ষ্য গণতান্ত্রিক, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়া: তারেক রহমান
৪ দিন আগে
পাশাপাশি বিএনপির দুপক্ষের সভা, সংর্ঘষ এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি
বাগেরহাটের কচুয়ায় উপজেলা বিএনপির জনসভা এবং দলটির সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিমের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ঘিরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে উপজেলা প্রশাসন সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) উপজেলার গোয়ালমাঠ এলাকার মাজেদা বেগম কৃষি প্রযুক্তি কলেজ মাঠ এবং পার্শ্ববর্তী গোয়ালমাঠ রশিক লাল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ এলাকায় সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম আবু নওশাদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে ১৪৪ ধারা জারির বিষয়টি জানানো হয়।
আদেশে উল্লেখ করা হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিকসহ জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কচুয়ার গোয়ালমাঠ এলাকার মাজেদা বেগম কৃষি প্রযুক্তি কলেজ মাঠ এবং গোয়ালমাঠ রশিক লাল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ এলাকা ও চারপাশের এক কিলোমিটারের মধ্যে সব ধরনের জনসমাগম, সভা-সমাবেশ, আগ্নেয়াস্ত্র বহন নিষিদ্ধসহ ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা জারি করা হলো। এই আদেশ জরুরি পরিষেবা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
আরও পড়ুন: বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কচুয়ার গোয়ালমাঠ এলাকার মাজেদা বেগম কৃষি প্রযুক্তি কলেজ মাঠে বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ এইচ সেলিমকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়া পার্শবর্তী গোয়ালমাঠ রশিক লাল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে কচুয়া উপজেলা বিএনপির জনসভার আয়োজন করা হয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করলে পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং সংর্ঘষ এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আবু নওশাদ বলেন, ‘পরিস্থিতি সামাল দিতে ওই দুই এলাকায় বিএনপির দুই পক্ষের সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ঘিরে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।’
৪ দিন আগে
বাগেরহাটে বিএনপির সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ঘিরে সংঘর্ষ এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গোয়ালমাঠ এলাকায় উপজেলা বিএনপির জনসভা ও দলটির সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিমের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে উপজেলা প্রশাসন সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আবু নওশাদের সই করা এক আদেশে অনুষ্ঠানস্থল দুটিসহ চারপাশের ১ কিলোমিটার এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গোয়ালমাঠ রশিক লাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ও মাজেদা বেগম কৃষি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এবং চারপাশের ১ কিলোমিটারের মধ্যে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সকল ধরনের জনসমাগম, সভা সমাবেশ করা, আগ্নেয়ান্ত্র বহন নিষিদ্ধসহ ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এই আদেশ জরুরি পরিষেবা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ক্ষেত্রে প্রযোজন্য হবে না।’
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে কচুয়া উপজেলার গোয়ালমাঠ এলাকার মাজেদা বেগম কৃষি প্রযুক্তি কলেজ মাঠে বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ এইচ সেলিমকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়া পার্শবর্তী গোয়ালমাঠ রশিক লাল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে কচুয়া উপজেলা বিএনপি জনসভার আয়োজনের ঘোষণা দেয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে ওই স্থান দুটিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আবু নওশাদ বলেন, ‘উভয় অনুষ্ঠানস্থলই অত্যন্ত কাছাকাছি স্থানে। উদ্ভুত পরিস্থিতি বিবেচনায় অনাকাঙিক্ষত ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
৪ দিন আগে
জনপ্রশাসন সংস্কারে বিএনপির প্রস্তাব
দেশের জনপ্রশাসন সংস্কারের লক্ষ্যে একটি প্রস্তাবনা পেশ করেছে বিএনপি। এতে কার্যকারিতা ও নিরপেক্ষতা বাড়াতে প্রশাসনিক কাঠামোর ব্যাপক পুনর্গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও দলের জনপ্রশাসন সংস্কার কমিটির সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রবিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেসুর রহমানের কাছে এ প্রস্তাব জমা দেন।
ইসমাইল জবিউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুরো প্রশাসনিক কাঠামো ঢেলে সাজাতে হবে। আমরা প্রস্তাব করছি, প্রতিটি নির্বাচনের তিন মাস আগে প্রশাসনের সর্বস্তরে পরিবর্তন আনতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে জেলা প্রশাসকের ফিট লিস্ট তৈরির প্রক্রিয়া সংশোধন।’
আরও পড়ুন: বিএনপির লক্ষ্য গণতান্ত্রিক, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়া: তারেক রহমান
তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে একই পদে থাকার কারণে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। এ কারণে বেশকিছু সমস্যা সৃষ্টি হয়, সেগুলো সমাধান করা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রস্তাবগুলোতে এই জাতীয় ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক স্থানান্তরের বিধান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আগের সরকারের আমলে বেশ কিছু সংখ্যক কর্মকর্তা তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ প্রশাসন নিশ্চিত করতে, তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও তুলে ধরেছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: শিগগিরই নির্বাচন হবে বলে আশা বিএনপির
৬ দিন আগে
বিএনপির লক্ষ্য গণতান্ত্রিক, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়া: তারেক রহমান
সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সবার জন্য বাসযোগ্য ও উপভোগযোগ্য বাংলাদেশ গড়ে তোলা বিএনপির লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, 'আসুন আমরা সবাই মিলে বৈষম্যহীন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উদার সমাজের ভিত্তির ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করি। আপনাদের কল্যাণ এবং সাফল্য আমাদের অগ্রাধিকার।’
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) আগারগাঁও এলজিইডি মিলনায়তনে শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, তার দল বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, সামাজিক ক্ষমতায়ন ও মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তাদের জীবনমান উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি গ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কার্যক্রম সমন্বয় করতে একটি পৃথক পরিদপ্তর প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেবে।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের জন্য একটি মর্যাদাশীল, যোগ্য ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে তার দল বদ্ধপরিকর বলেও জানান বিএনপির এই নেতা।
তারেক বলেন, ‘আমি এবং আমার দল বিএনপি স্বীকার করছে যে, আপনাদের সমস্যা ও দুর্ভোগ বাস্তব ও গভীর। কিন্তু আপনাদেরকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, এই লড়াইয়ে আপনি একা নন। আমরা সব সময় আপনাদের পাশে আছি এবং থাকব। আপনাদের প্রতিবন্ধকতাই আমাদের বাধা। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আপনাদের পেছনে ফেলে আমরা কখনো সামনে এগোতে পারব না।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ধৈর্য ধরতে বলেছেন তারেক রহমান: মির্জা ফখরুল
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, বিএনপি প্রতিবন্ধীসহ সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। ‘আমরা সবাই মিলে যে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলব, তা সবার জন্য সুষ্ঠু, সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক, সবার জন্য বাসযোগ্য এবং সবার জন্য উপভোগ্য হবে।’
তিনি বলেন, রাজনীতিবিদ হিসেবে নয়, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভাই, বন্ধু ও অভিভাবক হিসেবে তাদের পাশে দাঁড়ানোর দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে আমি এ ধরনের কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছি।
রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের প্রতিভা অন্বেষণ ও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সহযোগিতা করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন তারেক রহমান।
বিএনপি নেতা উল্লেখ করেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আপনারা আমাদের সমাজ ও পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আপনারা দেশকে এগিয়ে নিতে এবং অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন।’
তিনি চারজন শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অনুপ্রেরণামূলক গল্পও তুলে ধরেন। যারা তাদের স্বপ্নগুলো উপলব্ধি করেছিলেন এবং শারীরিক ও অন্যান্য বাধা অতিক্রম করে সাফল্য অর্জন করেছেন।
তিনি বলেন, এই চারজন আমাদের দেখিয়েছেন যে সত্যিকারের ক্ষমতা শরীর দিয়ে পরিমাপ করা হয় না, বরং মনের শক্তি, ইচ্ছাশক্তি এবং কঠোর পরিশ্রম দিয়ে পরিমাপ করা হয়। তাদের গল্পগুলো আমাদের শেখায় যে 'বাধা' কেবল একটি শব্দ যা প্রচেষ্টার মাধ্যমে অতিক্রম করা যায়। আমাদের কর্তব্য তাদের সংগ্রামকে সম্মান করা এবং তাদের পাশে দাঁড়ানো। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে প্রতিটি মানুষ তার সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠার এবং তাদের স্বপ্ন পূরণের সুযোগ পাবেন।’
ভবিষ্যতে বাংলাদেশে শারীরিক সীমাবদ্ধতার কারণে কেউ বৈষম্যের শিকার হবে না বা পেছনে পড়ে থাকবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘একসঙ্গে কাজ করে আমরা এমন একটি সমাজ গড়ে তুলব, যেখানে প্রতিটি মানুষ তার সম্ভাবনার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটাতে পারবে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সবার অধিকার নিশ্চিত করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণে তার দল বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষদের যেসব সমস্যা রয়েছে তা দূর করা, বর্তমানে তারা যে বৈষম্যের শিকার তা দূর করা এবং তাদের সার্বিক কল্যাণ উন্নয়নে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেবে।
প্রতিবন্ধী নাগরিক সংগ্রাম পরিষদের (পিএনএসপি) সাধারণ সম্পাদক সালমা মাহবুবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সারা দেশ থেকে দেড় শতাধিক শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষ অংশ নেন।
অংশগ্রহণকারীরা পারিবারিক ও সামাজিক অসুবিধা থেকে শুরু করে পরিবহন বাধা, সরকারি পরিষেবাগুলো ব্যবহারের সুযোগের অভাব, সীমিত শিক্ষার সুযোগ এবং বিভিন্ন ধরণের বৈষম্যের মতো বিষয়গুলোর মতো অসংখ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়।
তারা তাদের প্রতি নেতিবাচক সামাজিক মনোভাব এবং তারা প্রায়শই যে বর্জনের অভিজ্ঞতা অর্জন করে তাও তুলে ধরেছিল।
এছাড়া বিশেষ ভাতা বৃদ্ধি, মানসম্মত ও ঝামেলামুক্ত শিক্ষা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা, সরকারি সেবা ও অফিসে সহজলভ্য প্রবেশাধিকার, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য উপযোগী পরিবহন ও সেবা চালু, সরকারি স্বীকৃতি ও ইশারা ভাষার ব্যবহার, তাদের অধিকারের জন্য বিশেষ কমিশন গঠন, 'প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষা আইন-২০১৩' সময়োপযোগী করাসহ বেশ কয়েকটি দাবি জানানো হয়।
শারীরিক প্রতিবন্ধীরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন, তার দল ক্ষমতায় গেলে তাদের সমস্যা সমাধান, মূল্যবান মানবসম্পদে রূপান্তর এবং বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পদক্ষেপ নিতে হবে।
আরও পড়ুন: আগামীতে বাংলাদেশে জবাবদিহিতার সরকার চান তারেক রহমান
১ সপ্তাহ আগে
শিগগিরই নির্বাচন হবে বলে আশা বিএনপির
জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শিগগিরই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময়ই আশাবাদী। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করছি। আশা করি, জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী শিগগিরই একটি নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পাবে।
ফখরুল বলেন, শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাজিত করে দেশ গড়ার নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমরা বাংলাদেশকে বৈষম্যহীনভাবে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক ও আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
দেশের মুক্তিযুদ্ধে বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিজয়ের মাত্র কয়েক মুহূর্ত আগে বাংলাদেশের বরেণ্য সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, অধ্যাপক, বিজ্ঞানী ও সুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অপহরণ করে হত্যা করে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীন, গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য লড়াই করেছে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী ও দেশ স্বাধীন করার জন্য যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে স্বনির্ভর নয়াগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের দল, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তারা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মুক্তি ও শান্তি কামনা করছি।’
এর আগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মির্জা ফখরুল।
দিবসটি উপলক্ষে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সব কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করে বিএনপি।
১ সপ্তাহ আগে