বিএনপি
বিএনপি সরকারে গেলে প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ করা হবে: অমিত
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করতে পারলে দেশ থেকে প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ হবে বলে মন্তব্য করেছেন যশোর-৩ (সদর) আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে শহরের একটি অভিজাত হোটেলে যশোর প্রেসক্লাব আয়োজিত এক সভায় এ কথা বলেন তিনি।
অনিন্দ্য ইসলাম বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারলে তরিকুল ইসলামের সন্তান হিসেবে, আপনাদের ভাই হিসেবে, আমি এমন কোনো কাজ করবো না যাতে মাথা হেট হয়ে যায়। সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থানই ছিল যশোরের রাজনীতির ঐতিহ্য। বিগত দেড় দশকে সেই ঐহিত্যকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে। বিজয়ী হতে পারলে সেই ঐহিত্য পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ ও উন্নত যশোর উপহার দেওয়া হবে আমার প্রাথমিক দায়িত্ব।
নির্বাচনে প্রার্থীদের ঝুঁকির বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি স্রষ্টায় বিশ্বাস করি। আমি বিশ্বাস করি, তিনি যা কপালে লিখবেন, তা-ই হবে। আর রাজনীতি মানেই হলো ঝুঁকি। বিগত ১৬ বছর আমিসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা চরম ঝুঁকি নিয়েই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক সংগ্রামে রাজপথে থেকেছি। এখন নির্বাচনের সময় এসে সেই বিষয় নিয়ে ভাবলে হবে না। আপনারা শুধু দোয়া করবেন।
প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান ও সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সাধারণ সম্পাদক এসএম ফরহাদের সঞ্চালনায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মো. ইসহক, অ্যাডভোকেট জাফর সাদিক, গোলাম রেজা দুলু, লোকসমাজের প্রকাশক শান্তনু ইসলাম সুমিত, যশোর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম, নগর সভাপতি চৌধুরী রফিকুল ইসলাম মুল্লুক চাঁদ, সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আঞ্জারুল হক খোকন।
সাংবাদিকদের মধ্যে সভায় আলোচনা করেন যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি আকরামুজ্জামান, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাজেদ রহমান, যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ দিনু আহমেদ, লোকসমাজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আনোয়ারুল কবির নান্টু, প্রেসক্লাব যশোরের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান কবীর প্রমুখ।
৬ ঘণ্টা আগে
‘সামনে কঠিন পথ’, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান তারেক রহমানের
দেশে ‘ষড়যন্ত্র থেমে নেই’ উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সতর্ক করে বলেছেন, ‘সামনের পথ অসম্ভব কঠিন। কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে।’ এ অবস্থায় দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার লন্ডনের সিটি প্যাভিলিয়নে লন্ডন বিএনপির আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে তারেক রহমান বলেন, ‘আমি এক বছর আগে আপনাদের বলেছিলাম যে, সামনে কিন্তু আমাদের কঠিন সময়। ষড়যন্ত্র থেমে নেই এবং এই নির্বাচনও কিন্তু খুব সহজ নয়। আপনারা অনেকেই কিন্তু ব্যাপারটা এখন বুঝতে পারছেন। এক বছর আগে যা বলেছি, সেটা কিন্তু হচ্ছে। এখন আমি আবারও বলছি, সামনের সময় কিন্তু খুব সুবিধের নয়। কাজেই সকলকে সজাগ থাকতে হবে, সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
হলভর্তি প্রবাসী বিএনপি কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কী ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারবেন?’ কর্মী-সমর্থকরা সমবেত কণ্ঠে ‘হ্যাঁ’ বলেন।
তখন তারেক বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারলেই আমরা আমাদের এই যে পরিকল্পনার (দেশ গড়ার পরিকল্পনা) কথা বললাম, তা সফল করতে পারব, ঐক্যবদ্ধ থাকলেই আমরা আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে পারব, ঐক্যবদ্ধ থাকলেই আমরা বাংলাদেশে জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারব।’
যুক্তরাজ্যের উদাহরণ টেনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই ব্রিটেনে যে আপনারা আছেন, এই দেশে জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা আছে বলেই এই দেশের মানুষ তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় না। বাংলাদেশের মানুষ বহু বহু যুগ ধরে তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। কাজেই আসুন, বাংলাদেশের মানুষের ন্যায্য অধিকার যদি ফিরিয়ে দিতে হয়, যেকোনো মূল্যে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ না থাকার কোনো বিকল্প নেই আমাদের।’
১০ ঘণ্টা আগে
‘নিরাপত্তা শঙ্কায়’ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন নারায়ণগঞ্জের বিএনপির প্রার্থী
নিরাপত্তার শঙ্কার কথা জানিয়ে ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সদর ও বন্দর উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনের প্রার্থী এ ঘোষণা দেন।
মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেন, ‘নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণার পর থেকেই পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন। ঢাকায় ওসমান হাদির উপর গুলির ঘটনার পর তারা আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।’ তাই পরিবারের অনুরোধেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, তিনি তার প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়টি জানাতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।
‘সংবাদ সম্মেলনেই এ কথা প্রথম জানালাম। বিষয়টি দলকেও বুঝিয়ে বলব,’ বলেন মাসুদুজ্জামান।
গত শুক্রবার রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদি। চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করেন চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা আততায়ী। গুলিটি লাগে হাদির মাথায়। গুরুতর আহত হাদিকে শুরুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও পরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সোমবার তাকে নেওয়া হয় সিঙ্গাপুরে।
এ ঘটনার পর নির্বাচনের প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে অনেক দলের পক্ষ থেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করে তাদের নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানানো হয়। এ অবস্থায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে রাজনৈতিকভাবে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ব্যক্তি এবং নির্বাচনের প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে কিছু উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যেই প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন মাসুদুজ্জামান মাসুদ।
হঠাৎ করে তার দেওয়া এ ঘোষণায় আশ্চর্য হয়েছেন তার অনুসারী নেতা-কর্মীরাও। তাদের কেউ কেউ সংবাদ সম্মেলনে মাসুদের প্রতি ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।
মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক চৌধুরী দলের প্রার্থী মাসুদুজ্জামানকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীদের এভাবে ফেলে চলে যেতে পারেন না আপনি। আমরা অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আপনার পাশে নেমেছি। আপনার এ সিদ্ধান্ত আমরা মানি না।
জিয়া সমাজকল্যাণ পরিষদের মহানগর শাখার সদস্যসচিব নাঈম খন্দকার বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগেও শহীদনগরে তিনি পূর্ব-নির্ধারিত একটি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। সেখান থেকে এসেই এমন ঘোষণা দিলেন। আমরা এ সিদ্ধান্তে আশ্চর্য হয়েছি। আমরা কিছুই জানতাম না।’
১ দিন আগে
স্বাধীনতার শত্রুরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়: মির্জা ফখরুল
মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায় জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তবে গণতন্ত্রকামী মানুষ তাদের সেই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেবে।
তিনি বলেছেন, ‘স্বাধীনতার শত্রুরা, যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে একাত্তর সালে অবস্থান নিয়েছিল; আজকে তারা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়।
‘বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষ, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ—তাদের সমস্ত ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দিয়ে অবশ্যই বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে অটুট রাখবে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে ইনশাল্লাহ।’
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, সেই যুদ্ধ আমরা ডিসেম্বর মাসের ১৬ তারিখে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেছিলাম। এজন্য এদিনটি আমাদের কাছে বিএনপির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
‘আমরা স্বাধীনতার ঘোষকের মাজার জিয়ারত করেছি, শ্রদ্ধা জানিয়েছি। আমরা আজকে শপথ নিয়েছি, আমরা স্বাধীনতাকে অক্ষুণ্ন রাখবার জন্য আমাদের যে সংগ্রাম, সেই সংগ্রাম সবসময় অব্যাহত থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা শপথ নিয়েছি, বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা যে সংগ্রাম করছি, সেটা অবশ্যই আমরা অব্যাহত রাখব; একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র অবশ্যই প্রতিষ্ঠা করব।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মহান বিজয় দিবসের দিনে আমি আমার দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের পক্ষ থেকে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের যারা শহীদ হয়েছেন—তাদের প্রতি আমরা জানাচ্ছি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা। শ্রদ্ধা জানাচ্ছি, আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি।
‘একই সঙ্গে আমরা আল্লাহ তালার কাছে প্রার্থনা করছি এদেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য যিনি নিরন্তর সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন সেই মহান নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন। আমরা তার রোগমুক্তির জন্য পরম করুণাময় আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া চাইছি।’
ফখরুল বলেন, আমরা আশা করছি, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে আসবেন। তিনি এসে গণতন্ত্রের লড়াইকে আরও বেগবান করবেন।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহ উদ্দিন আহমদ,চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদনের পর দলটির সহযোগী সংগঠন মুক্তিযোদ্ধা দল, যুব দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, কৃষক দল, মৎস্যজীবী দল, তাঁতী দল, ড্যাব ও ছাত্র দলের পক্ষ থেকেও জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নেতা-কর্মীরা। এ সময় তারা নানা স্লোগান দেন।
এর আগে সকালে মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে বিএনপি নেতা-কর্মীরা সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
১ দিন আগে
তারেক রহমানের দেশে ফেরার সংবর্ধনা হবে নজিরবিহীন: মির্জা ফখরুল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার পর তাকে নজিরবিহীন সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এমন সংবর্ধনা দেওয়া হবে, যা অতীতে কোনো নেতা এই দেশে পাননি।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা দলের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া আদায় করতে চাই যে, আমাদের আমাদের নেতা দীর্ঘ ১৮ বছর নির্বাসনে থাকার পরে আগামী ২৫ ডিসেম্বর আমাদের মাঝে এসে উপস্থিত হবেন। এটা আমাদের জন্য অনেক অনুপ্রেরণার বিষয়।’
দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আসুন, আমরা ২৫ তারিখে তাকে এমন এক সংবর্ধনা জানাই, যেটা অতীতে কখনো কোনো নেতা বাংলাদেশে পায়নি। আমরা সবাই প্রস্তুত আছি, ইনশাল্লাহ।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা এত উদ্বেগের মধ্যে এই সংবাদে অনুপ্রাণিত হয়েছি। একদিকে আমাদের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিনি অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে আছেন। অন্যদিকে এক অনিশ্চয়তা, তার মধ্যে আমাদের সেই নিশ্চয়তার (তারেক রহমান) আলো যিনি আমাদের দেখাচ্ছেন, আমাদের যিনি সামনে পথ দেখাচ্ছেন, সেই নেতা আমাদের মাঝে এসে উপস্থিত হবেন ২৫ তারিখে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, জকে বাংলাদেশের মানুষকে ভাবতে হবে, তারা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পক্ষে থাকবে নাকি স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তির পক্ষে থাকবে। আমি মনে করি, যারা স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনে দুইটা শক্তি আছে। একটা উদার গণতন্ত্রপন্থি শক্তি। আরেকটা পিছিয়ে পড়া শক্তি। যারা ধর্মের নামে দেশকে বিভক্ত করতে চায়, সেই শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, যেভাবে উঠেছিল ১৯৭১ সালে। তারা এখন এমনভাব দেখাচ্ছে যে, তারা নতুন বাংলাদেশ বির্নিমাণ করবে।
তিনি আরও বলেন, নতুন ফ্যাসিস্ট আবার জাগতে আমরা দিতে পারি না। পিছিয়ে পড়তে দিতে পারি না। আসন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।
কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটের হলে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের উদ্যোগে বিজয় দিবস উপলক্ষে ‘জাতির ক্রান্তিলগ্নে গণতন্ত্র রক্ষায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল জয়নুল আবেদিন, মুক্তিযোদ্ধা দলের অবসরপ্রাপ্ত মিজানুর রহমান, নজরুল ইসলাম, এম এ হালিম, এম এ হাকিম খান, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের সদস্য সচিব কেএম কামরুজ্জামান নান্নুনহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
৩ দিন আগে
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন খন্দকার মোশাররফ
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটি সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ডক্টর খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সস্ত্রীক সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে খন্দকার মোশাররফের ছোট ছেলে খন্দকার মারুফ হোসেন ইউএনবিকে বলেছেন, সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে তিনি ডাক্তার দেখাবেন। মস্তিষ্কে টিউমারের ফলো-আপ চিকিৎসার জন্য তাকে একাধিক পরীক্ষা করা হবে।
পরিবারের পক্ষ থেকে তিনি দেশের মানুষের কাছে তার বাবার সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনায় দোয়া চেয়েছেন।
‘ফ্যাসিবাদবিরোধী’ আন্দোলনের সময়ে ২০২৩ সালের ১৭ জুন রাজধানীতে বিএনপির এক পদযাত্রায় অসুস্থ হয়ে পড়লে খন্দকার মোশাররফকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আট দিন চিকিৎসা নেন তিনি। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে ২৭ জুন তাকে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মস্তিষ্কে টিউমার ধরা পড়ে। সেখানে দুই মাস ১০ দিন চিকিৎসার পর ৫ সেপ্টেম্বর তিনি ঢাকায় ফেরেন।
কিন্তু আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে ৫ ডিসেম্বর তাকে ফের এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসকেরা পরবর্তীতে তাকে আবারও সিঙ্গাপুরে গিয়ে চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচার করার পরামর্শ দেন।
২০২৪ সালের ২৭ জানুয়ারি সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে খন্দকার মোশাররফের মস্তিস্কে টিউমারের সফল অস্ত্রোপচার হয়। চিকিৎসা শেষে তিনি ২১ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরেছিলেন।
৩ দিন আগে
গণঅভ্যুত্থান নস্যাতের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে অবহিত করে রাজনৈতিক দলের নেতারা বলেছেন, গণঅভ্যুত্থান নস্যাৎ করার সকল প্রচেষ্টা রুখে দিতে রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে রয়েছে।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল–বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি–এনসিপির নেতারা।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের এবং আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ওসমান হাদির ওপর হামলা পূর্বপরিকল্পিত ও গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এর পেছনে বিরাট শক্তি কাজ করছে।
তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচনটি না হতে দেওয়া। এই আক্রমণটি খুবই সিম্বলিক (প্রতীকী)। এর মাধ্যমে তারা (ষড়যন্ত্রকারীরা) তাদের শক্তি প্রদর্শন করতে চায়, নির্বাচনের সব আয়োজন ভেস্তে দিতে চায়। এগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টার ভাষ্যে, ‘এখন পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে মনে হচ্ছে ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছে। তারা প্রশিক্ষিত শুটার নিয়ে মাঠে নেমেছে।’
বৈঠকে ইনকিলাব মঞ্চের উদ্যোগে ওসমান হাদির ওপর ন্যক্কারজনক হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সর্বদলীয় প্রতিবাদ সভার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। আগামী দুয়েকদিনের মধ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক ঐক্যে যাতে ফাটল না ধরে সেজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিএনপি, জামায়াত ইসলামী ও এনসিপি নেতারা। এ ব্যাপারে দলগুলো সুদৃঢ় অবস্থান নেবে বলে জানান তারা। পাশাপাশি নির্বাচনের আগে কঠোরভাবে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনার ওপর জোর দেন তারা।
বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই পরিস্থিতিতে আমাদের অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কোনো অবস্থাতেই পরস্পরকে দোষারোপ থেকে বিরত থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়াজ তুলতে হবে। কোনো ধরনের অপশক্তিকে আমরা বরদাস্ত করব না।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের মধ্যে যতই রাজনৈতিক বক্তব্যের বিরোধিতা থাকুক না কেন, জাতির স্বার্থে এবং জুলাইয়ের স্বার্থে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতেই হবে। সেই সঙ্গে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পরামর্শ দেন তিনি।
৪ দিন আগে
হাদিকে গুলি: সহিংসতা ঠেকাতে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ চায় বিএনপি
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনার মতো সহিংসতার পুনরাবৃত্তি ঠেকানো এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তড়িৎ ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলা, প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের ওপর হামলা। এটা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা বলে আমরা মনে করি না। নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হয়েছে ১০ তারিখ, তার পরের দিনই বাংলাদেশে একজন সম্ভাব্য জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীর ওপরে প্রাণবিনাশী হামলা হলো। হামলার ধরন দেখে বোঝা যায়, এটা পেশাদার খুনির কাজ।’
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের আলোচনা হলো, আমরা ফ্যাসিবাদরিবোধী জাতীয় ঐক্য অটুট রাখব। আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক বিতর্ক হতে পারে। সামনে নির্বাচন, বিভিন্ন রাজনৈতিক বিতর্ক হবে। কিন্তু ঐক্য বিনষ্ট হয়—আমরা ঐ পর্যায়ে বিতর্ক করব না।’
‘আমাদের চেতনা হচ্ছে জুলাই, ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের চেতনা। এটাকে আমরা ঊর্ধ্বে তুলে ধরব। আমরা ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য দিয়ে একে (ফ্যাসিবাদ) প্রতিহত করব। এই জায়াগাতে আমাদের কোনো আপোস নেই।’
তিনি বলেন, ‘যারা বাংলাদেশে নির্বাচন চায় না এবং নির্বাচনকে যারা গণতন্ত্রে উত্তোরণের পথ হিসেবে দেখতে চায় না… প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধের শক্তি, তাদেরই কাজ এটা (হামলা)। তারা বাংলাদেশে আছে, দেশের বাইরেও আছে।’
‘প্রতিটি ফ্যাসিবাদকে আমরা এই বার্তা দিতে চাই, এ জাতীয় কোনো ধরনের হামলা করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তোরণকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। আমরা সকল ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দল জাতীয় ঐক্যে অটুট থাকব এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনকে আমরা যেকোনো মূল্যে অর্থবহ ও বিশ্বাসযোগ্য করব। এমন একটি বিশ্বাসযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, যা সারা বিশ্বে স্বীকৃত হবে। সে জন্যে আমরা কাজ করছি।’
এ সময় হাদির ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে আয়োজিত জাতীয় প্রতিরোধ সভায় ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বানে বিএনপি সাড়া দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আমাদের ভেতরে যেন এমন একটি ঐক্য থাকে, যাতে করে আমরা সকল রাজনৈতিক দল ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যকে সবাই মিলে আমরা আঁকড়ে ধরি। তাহলে জাতীয়ভাবে আমরা এই সন্ত্রাসকে মোকাবিলা করতে পারব।… আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আহ্বান জানিয়েছি।’
এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গত ৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদুল্লাহর ওপরে প্রাণবিনাশী হামলা হয়েছে। কিন্তু তারপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ওই ঘটনার যথাযথ তদন্ত করে যদি সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনা যেত, তাহলে হয়তো এমন ঘটনা আর ঘটাতে উৎসাহিত হতো না। যারা এগুলো করছে, তারা যখন মনে করছে, তারা নিরাপদ থাকতে পারে, তখন এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটে।’
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এ জন্য আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আরও বেশি সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছি, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা যেন প্রধান উপদেষ্টা নেন। রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি—আমরা এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।’
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পল্টনের বিজয়নগর এলাকায় মোটরসাইকেলে এসে দুই দুর্বৃত্ত শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই চলছে তার চিকিৎসা।
হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিদের ধরতে এরই মধ্যে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাপিড অ্যানকশন ব্যাটালিয়নসহ (র্যাব) যৌথবাহিনী।
৪ দিন আগে
মীরসরাইয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রদলকর্মী নিহত
চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাটে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে গাজী তাহমিদ খান (২৫) নামের এক ছাত্রদলকর্মী নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এদিন সন্ধ্যায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ছুরিকাঘাতে আহত হন তাহমিদ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তাহমিদ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাবেক সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ জোরারগঞ্জ থানার সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কিছুদিন আগে তিনি নিজ এলাকায় ছাত্রদলে যোগদান করেন।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার সন্ধ্যায় বারইয়ারহাট পৌর সদরের ট্রাফিক মোড়ে পৌরসভা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজির অনুসারী দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ চলাকালে তাহমিদ গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বারইয়ারহাট জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১২ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী নাজমুল হক বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের টিম গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত একজন হাসপাতালে নেওয়ার পরে মারা গেছে বলে শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। তবে এখনো তার পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ মামলা করেনি।
৬ দিন আগে
তারেক রহমান যেদিন ফিরবেন, দেশ যেন কেঁপে ওঠে: মির্জা ফখরুল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘শিগগিরই’ দেশে ফেরার কথা উল্লেখ করে দলীয় নেতা-কর্মীদের তাকে বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি নিতে আহ্বান জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী বক্তব্যে দলের মহাসচিব এ কথা জানান।
রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত ৭ ডিসেম্বর থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসা এই কর্মশালায় বিএনপির অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতারা অংশ নিচ্ছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে যেহেতু বাংলাদেশের সব এখানে উপস্থিত আছেন, আমাদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত আছেন; আমি আপনাদেরকে জানাতে চাই, আমাদের নেতা খুব শিগগিরই আমাদের মাঝে আসবেন।
‘আমাদের নেতা যেদিন আমাদের কাছে আসবেন, যেদিন বাংলাদেশে পা দেবেন; সেদিন যেন সমগ্র বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে। এই কথাটা আপনাদের মনে রাখতে হবে…পারবেন তো? ইনশাআল্লাহ, সেইদিন আমরা গোটা বাংলাদেশের চেহারাকে বদলে দিতে চাই।’
১৭ বছর ধরে নির্বাসিত বিএনপি নেতা তারেক রহমান নভেম্বরে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরবেন বলে দলটির নেতারা বলে আসছিলেন। এর মধ্যে গুরুতর শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে তারেকের মা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া হাসপাতালে ভর্তি হলে তার দেশে ফেরার আলোচনা জোরালো হয়।
তবে গত ২৯ নভেম্বর তারেক নিজেই ফেইসবুক পোস্টে বলেন, দেশে ফেরার বিষয়টি তার ‘একক নিয়ন্ত্রণাধীন’ নয়। তার এমন বক্তব্যের পর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি নেই।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা সামনের দিকে এগোতে চাই, প্রগতির দিকে এগোতে চাই। বাংলাদেশকে একটা মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমাদের নেতার যে চিন্তাভাবনা, তাকে বাস্তবায়িত করার জন্য আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।’
আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন জাতির উদ্দেদে ভাষণ দিয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন।
এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির সুযোগ এসেছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিনিধিত্বশীল সংসদ গঠনের সুযোগ এসেছে, যা বাংলাদেশকে নতুন দিগন্তের দিকে নিয়ে যাবে। এর নেতৃত্বে থাকবেন তারেক রহমান।’
তিনি বলেন, ‘অনেক বাধা আসবে, অনেক বিপত্তি আসবে, আমাদের বিরুদ্ধে অনেক প্রচারণা হচ্ছে, হতে থাকবে। কিন্তু এই সবগুলোকে কাটিয়ে উঠে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই। বিএনপি কোনোদিনই পরাজিত হয়নি, পরাজিত হবে না।’
বিএনপিকে জনগণের দল, মুক্তিযুদ্ধের দল ও গণতান্ত্রিক সংগ্রামের দল হিসেবে উল্লেখ করে ফখরুল নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আর অন্য কোনো কিছু আপনাদের সাফল্য দেবে না। আপনাদের সাফল্য দেবে আপনাদের মধ্যে ইস্পাতদৃঢ় ঐক্য এবং আপনাদের যে চেতনা সামনের দিকে যাওয়ার, যে জাতীয়তাবাদী দর্শনে আমরা দীক্ষিত হয়েছি, যে গণতন্ত্রের দর্শনে দীক্ষিত হয়েছি, সেদিকে এগিয়ে যাওয়ার এই চেতনা।’
এর আগে, গত ২৭ নভেম্বর বিএনপি ছয় দিনের এই কর্মশালার ঘোষণা দেয়। এতে ছাত্রদল, কৃষকদল, ওলামাদল, স্বেচ্ছাসেবকদলসহ অন্যান্য অঙ্গসংগঠনকে নির্বাচনপূর্ব প্রচারের জন্য প্রস্তুত করতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ সেশন রাখা হয়েছে।
আজ কর্মশালার পঞ্চম দিনের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মির্জা ফখরুল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় বিএনপি নেতারা অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখছেন। কর্মসূচিতে বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
৬ দিন আগে