বিএনপি
লক্ষ্মীপুরে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে আরও একজনের মৃত্যু
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আরও একজন মারা গেছেন।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরের দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় দুজন মারা গেলন।
নিহত ব্যক্তির নাম জসিম উদ্দিন বেপারী। তিনি রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হজল করিম ব্যাপারীর ছেলে। তিনি বিএনপির কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে।
এছাড়া এখনও আহত কয়েকজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন ভূইঁয়া বলেন, ‘দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জসিম। এর আগে দুপক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন জসিম।’
তিনি বলেন, ‘এদিকে সাইজ উদ্দিন হত্যা মামলায় জলিল লস্কর নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ভোররাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’ অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ৭ এপ্রিল (সোমবার) সংঘর্ষে জড়ায় রায়পুর উপজেলার ২ নম্বর চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ফারুক কবিরাজ ও উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব শামীম গাজী গ্রুপ। এ সময় সাইজ উদ্দিন নামে এক বিএনপি কর্মী মারা যায়। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়। এ সময় ১৫টি বাড়িঘরে হামলা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
আরও পড়ুন: ঝুলে থাকা বৈদ্যুতিক তার গলায় জড়িয়ে কৃষকের মৃত্যু
এদিকে ঘটনার তিনদিন পর নিহতের ভাই হানিফ দেওয়ান বাদী হয়ে ১৮৬ জনকে আসামি করে রায়পুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক বিএনপি নেতা ফারুক কবিরাজসহ ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
তবে এই মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে উপজেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক ও প্রধান অভিযুক্ত শামীম গাজী, ২ নম্বর চরবংশী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক মানিক আহাম্মদ তারেকসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ১৬ নেতাকে বহিস্কার করা হয়।
২ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠক ১৬ এপ্রিল
জাতীয় নির্বাচন ও সংস্কার বিষয়ে আলোচনার জন্য বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ১৬ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসবে। বিএনপির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, ‘বৈঠকটি ১৬ এপ্রিল দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত হবে।’
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, সেটি দূর করতে আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছি। বৈঠকের পর নির্বাচন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য আমরা জানাব।’
আরও পড়ুন: সংস্কার সম্পর্কে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে: বিএনপি মহাসচিব
তিনি আরও বলেন, ‘বৈঠকে তারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচন সংক্রান্ত একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ উপস্থাপনের অনুরোধ করবেন। নির্বাচনের রোডম্যাপ যদি স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করা হয়, তবে বর্তমান যে অনিশ্চয়তা এবং অস্থিরতা তৈরি হয়েছে তা দূর হবে।’
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনের সঠিক রোডম্যাপ কেবল বিভ্রান্তি দূর করতেই নয়, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা এবং দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি আনতে সহায়ক হবে।’
বিএনপি নেতা জানান, ‘তারা নির্বাচন ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্তি করারও অনুরোধ করবেন।’
‘আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আগেই কথা বলেছি, তারা জানিয়েছেন, জুনের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা সম্ভব। প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পক্ষ থেকে নানা ধরনের বক্তব্যের কারণে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, তা নিরসনে প্রধান উপদেষ্টাকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানানো হবে।’
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির অপর স্থায়ী কমিটির বলেন, ‘আমরা সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা করব, বিশেষত, নির্বাচন কবে হবে – এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাই।’
তিনি জানান, ‘সোমবার দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, দ্রুত প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করতে হবে, কারণ নির্বাচন নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রকৃত অবস্থান নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের স্পষ্ট রোডম্যাপ চায় বিএনপি: ফখরুল
এদিকে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বর্তমানে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার জন্য গেছেন। তবে, তিনি শিগগিরই দেশে ফিরে আসবেন এবং বৈঠকে অংশ নেবেন বলে আশাপ্রকাশ করেন ওই নেতা।
বিএনপি প্রতিনিধি দল বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেবে যে, যদি সরকার অযথাই আগামী বছরের জুন পর্যন্ত ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা করে, তবে বিএনপি সেটি কোনোভাবেই মেনে নেবে না।
৭ দিন আগে
মাগুরায় সদস্য ফরম বিতরণ নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০
মাগুরায় বিএনপির সদস্য ফরম বিতরণকে কেন্দ্র করে দলটির দুটি পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (৫ এপ্রিল)দুপুরে শালিখা উপজেলার ধনেশ্বরগাতী ইউনিয়নে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার (৫ এপ্রিল) সকালে শালিখা উপজেলার সিংড়া তিলখড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ধনেশ্বরগাতী ইউনিয়নের ফরম বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মাগুরা জেলা বিএনপি আহ্বায়ক আলি আহমেদ। কার্যক্রম চলমান অবস্থায় সকাল ১১টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী এবং কাজী সালিমুল হক কামাল সমর্থিত দুটি পক্ষের স্থানীয় নেতা ইনজিল লস্কার এবং সবেদ বিশ্বাসের সমর্থকদের মধ্যে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি-কর্মীদের ওপর ফুলের টোকা পড়লেও আইনি আশ্রয় চান শামা ওবায়েদ
পরে যা নিয়ে উভয় পক্ষের সমর্থকেরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের ছোড়া ইটপাটকেল এবং লাঠির আঘাতে ফিরোজ হোসেন, মন্টু মিয়া, আবদুর রাজ্জাক, সেলিমসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়।
শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মিলন কুমার ঘোষ জানান, ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে। কোনো পক্ষই থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি।
১১ দিন আগে
বিএনপি-কর্মীদের ওপর ফুলের টোকা পড়লেও আইনি আশ্রয় চান শামা ওবায়েদ
বিএনপির কোনো কর্মীর ওপর ফুলের টোকা পড়লেও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আইনের আশ্রয়ে আনতে হবে বলে দাবি করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
ফরিদপুরের সালথায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ক্ষতিগ্রস্ত বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি পরিদর্শনকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আজ (শুক্রবার) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সংঘর্ষস্থল উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মুরুটিয়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি পরিদর্শন করেন শামা ওবায়েদ। এ সময় স্থানীয় ও উপজেলা বিএনপির নেতারা তার সঙ্গে ছিলেন।
পরিদর্শনকালে তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আফছার মাতুব্বরকে ঘটনার জন্য দায়ী করেন এবং তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: সংস্কার সম্পর্কে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে: বিএনপি মহাসচিব
তিনি বলেন, ‘যদি আফছার চেয়ারম্যান এই সমাজে সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে চায়, তাহলে তাকে দলমত নির্বিশেষে মিলেমিশে চলতে হবে। আর যদি এ ধরনের অন্যায় কাজ করে তাহলে তাকে আইনের আওতায় নেব।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার, বিএনপি কারো ওপর নির্যাতন করতে চায় না। কেউ যদি বেগম খালেদা জিয়ার, তারেক রহমানের কিংবা আমার কোনো নেতা-কর্মীর ওপর ফুলের টোকাও দেয়, তাহলে তাকে আইনের আশ্রয় নিতে হবে।’
‘আমরা সালথায় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান চাই। সেই শান্তি যদি কেউ বিনষ্ট করে, অশান্তি তৈরি করে, তাদের কাউকে প্রশাসনের ছাড় দেওয়া উচিত নয়।’
স্থানীয় বিএনপি নেতা মিন্টু মিয়াকে নিরাপদ দাবি করে তিনি বলেন, ‘মিন্টুর দোষ ছিলর রোজার মাসে বিএনপির ইফতার পার্টিতে যোগ দেওয়া। এ কারণে নিরাপরাধ লোকের বাড়িতে হামলা হয়েছে, এটা মেনে নেওয়া যায় না।’
এ সময় তিনি নেতা-কর্মীদের ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানান। এছাড়া এ ঘটনার সঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মীরা কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করছে সরকার: রিজভী
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে কথা হয় ইউপি চেয়ারম্যান আফছার মাতুব্বরের ছেলে ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হোসেনের সঙ্গে। তিনি দাবি করেন, ‘আমার বাবা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকায় ঘরে রয়েছেন। তিনি কেন (হামলার) নেতৃত্ব দিতে যাবে? চাঁদা চাওয়া নিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে।’
উল্লেখ্য, গতকাল (বৃহস্পতিবার) সালথা উপজেলায় এক বিএনপি নেতাকে চাঁদা না দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয়পক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুর ও এক আওয়ামী লীগ সমর্থক কৃষকের ঘরে আগুন দেওয়া হয়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।
উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মুরুটিয়া গ্রামে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়। এতে একপক্ষের নেতৃত্ব দেন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি হারুন মিয়ার ছেলে মিন্টু মিয়া এবং অপরপক্ষের নেতৃত্ব দেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আফছার মাতব্বরের অনুসারী আওয়ালী লীগকর্মী বেলায়েত মোল্যা।
১২ দিন আগে
লন্ডনে খালেদা জিয়ার ‘পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা’ শুরু
যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরা খালেদা জিয়ার পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু করেছেন। লন্ডনে অবস্থানরত তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বুধবার (২ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আজ (বুধবার) থেকে ম্যাডামের পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আগামী চারদিন উনার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে। এ সময় উনার ডাক্তাররা (লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরা) বাসায় উনাকে দেখতে আসবেন।’
তিনি বলেন, ‘কিছু পরীক্ষা করার জন্য হয়তো উনাকে লন্ডনে ক্লিনিকেও নিয়ে যাওয়া হবে। আগামী কয়েকটি দিন বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা আছে, যা চিকিৎসকদের পরামর্শক্রমে করা হচ্ছে।’
কবে দেশে ফিরতে পারেন জানতে চাইলে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘যেসব পরীক্ষা করতে বলেছেন, সেগুলোর রিপোর্ট পর্যালোচনা করে এখানকার ডাক্তাররা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন—কত দ্রুত ছুটি দেওয়া যায়।’
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য ঐক্যবদ্ধ হোন: খালেদা জিয়া
এখন কেমন আছেন জানতে চাইলে এই চিকিৎসক বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, ম্যাডামের মানসিক ও শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। মানসিকভাবে উনি আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি ভালো। মাচ বেটার।’
সম্প্রতি লন্ডনের একটি পার্কে খালেদা জিয়ার হুইল চেয়ারে বসা একটি ভিডিও ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) হুইল চেয়ারে করে জাস্ট উনাকে (খালেদা জিয়া) গাড়ি থেকে নামিয়ে ঘোরানো হয়েছিল। শীত কম ছিল, সেজন্য কিছুক্ষণ ঘোরানো হয়েছিল। একুট মন ভালো লাগার জন্য, উনাকে স্থানীয় একটি পার্কে (সাউথ-ওয়েস্ট ইনার লন্ডনে) গাড়ি থেকে নামিয়ে ঘোরানো হয়েছিল এই আর কি। পার্কের নানা রঙের ফুল, বাগান দেখালে ম্যাডামের একটু ভালো লাগবে—এই চিন্তা করে এটা করা হয়েছিল।’
তারেক রহমানের বাসায় থেকে লন্ডন ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
উন্নত চিকিৎসার জন্য চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে লন্ডনে যান তিনি। গত ৮ থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি লন্ডনের দ্য ক্লিনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপর থেকে তারেক রহমানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন খালেদা জিয়া
৭৯ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন।
লন্ডনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছেন বেগম খালেদা জিয়া। ছেলে তারেক রহমানের বাসায় আনন্দঘন পরিবেশে সময় কাটছে তার। ছেলে, পুত্রবধূ ও নাতনিদের সান্নিধ্যে এবার উৎসবের আমেজে ঈদ উদযাপন করেছেন তিনি।
১৪ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপির ‘স্বস্তির’ ঈদ
দীর্ঘ ১৭ বছর পর মুক্ত পরিবেশে ও ভিন্ন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ঈদ উদযাপন করছেন স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনের পর স্বৈরাচারমুক্ত পরিবেশে স্বস্তির ঈদ উদযাপন করতে পেরে খুশি তারা। দীর্ঘ দিনের হামলা-মামলার কষাঘাতে জর্জরিত নেতা-কর্মীরা বলছেন, ১৭ বছর যে অত্যাচার-নির্যাতন আওয়ামী লীগ করেছে, তা যেন ভবিষ্যতে আর ফিরে না আসে।
কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হৃদয় হাসান। তার কয়েকটি ঈদ কেটেছে কারাগারে। তার অপরাধ ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকা।
হৃদয় হাসান বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কারণে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হামলা-মামলার কারণে দীর্ঘদিন পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারেননি। আওয়ামী সরকার পতনের পর এ বছর পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে পারছি। ভবিষ্যতে কোনো রাজনৈতিক দল ফ্যাসিস্টের ভূমিকায় এদেশে আর ফিরে আসতে না পারে।
আরও পড়ুন: ঈদের একাল-সেকাল: প্রজন্মের ধারাবাহিকতায় ত্রিমাত্রিক উদযাপন ঢাকায়
১৬ দিন আগে
সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন এমন উপদেষ্টাদের সরিয়ে দিতে পরামর্শ ফখরুলের
অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন এমন উপদেষ্টাদের অপসারণের পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উচিত সেইসব উপদেষ্টাদের অপসারণ করা, যারা তার সরকারের নিরপেক্ষতা নষ্ট করছেন এবং সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন।’
রবিবার (৩০ মার্চ) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনের আগে সরকার নিরপেক্ষতা হারালে বিএনপি তা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। আমরা সরকারের পূর্ণ নিরপেক্ষতা প্রত্যাশা করি, বিশেষ করে অধ্যাপক ইউনূসের কাছ থেকে। যদি তিনি অনুভব করেন যে তার মন্ত্রিসভার কেউ নিরপেক্ষতা নষ্ট করছেন, তবে তাদের অপসারণ করা উচিত। তাকে (ড. ইউনূস) সম্পূর্ণ স্বচ্ছ থাকতে হবে।’
‘যদি প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নেন, তাহলে জনগণের মধ্যে এমন ধারণা তৈরি হবে যে, এ সরকার নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের স্পষ্ট রোডম্যাপ চায় বিএনপি: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমাদের হতাশ করেছে। কিছু উপদেষ্টার কার্যক্রম দেখে আমরা সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে গভীর সন্দেহ প্রকাশ করছি।’
তার অভিযোগ, ‘সরকারের কিছু উপদেষ্টা একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের স্বার্থে সরকারি সম্পদ অপব্যবহার করছেন, যা নিরপেক্ষতার পরিপন্থি এবং এটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত করছে।’
‘সরকারি সম্পদ রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত হচ্ছে। নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে উন্নয়ন প্রকল্প ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য তহবিল বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে, যা স্পষ্টভাবে নিরপেক্ষতার নীতির লঙ্ঘন।’
এই বিএনপি নেতার মতে, এসব কর্মকাণ্ড অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করছে এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচন নিশ্চিত করতে ব্যর্থতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা এখনও একটি সুস্পষ্ট নির্বাচনি রোডম্যাপ দেননি, যা ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সহায়ক হতে পারত। একটি নির্ভরযোগ্য রোডম্যাপ থাকলে চলমান রাজনৈতিক সংকট প্রশমিত হতো এবং রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনি প্রস্তুতিতে মনোযোগী হতে পারত।’
১৭ দিন আগে
৮ বছর পর পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবেন খালেদা জিয়া
দীর্ঘ প্রায় আট বছর পর লন্ডনে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। এবারের ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন তার বড় ছেলে তারেক রহমান, পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান, তাদের মেয়ে জাইমা রহমান, ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান, তাদের দুই মেয়ে জাফিয়া ও জাহিয়া রহমানের সঙ্গে।
লন্ডন থেকে ইউএনবির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলতে গিয়ে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, ‘দীর্ঘদিন পর পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে তিনি মানসিকভাবে বেশ প্রাফুল্ল ও স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘২৫ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর থেকে খালেদা জিয়া লন্ডনের ক্লিনিকের অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে বাড়িতে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসকদের একটি দল নিয়মিত তার স্বাস্থ্যের খবরাখবর রাখছেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।’
বাংলাদেশে ফেরার বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. জাহিদ বলেন, ‘ঈদের পর যেকোনো সময় তিনি দেশে ফিরতে পারেন, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চিকিৎসক দলের অনুমতির ওপর নির্ভর করছে।’
‘তার বর্তমান অবস্থা স্থিতিশীল, তাই আমি আশা করছি, মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি খুব শিগগিরই দেশে ফিরবেন।’
যুক্তরাজ্যে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে রবিবার অথবা সোমবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে সেখানে।
২০১৭ সালে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়ে তিনি তিন মাস অবস্থান করেছিলেন এবং সেসময় ঈদুল আজহা তার পরিবারের সঙ্গে উদযাপন করেন। কিন্তু ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হওয়ার পর থেকে তিনি আর পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারেননি।
৭৯ বছর বয়সী এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি ও হৃদযন্ত্রের সমস্যা, ডায়াবেটিস এবং বাতের সমস্যায় ভুগছেন।
১৮ দিন আগে
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করছে সরকার: রিজভী
ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার মতো পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়ে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধোঁয়াশা তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘ডিসেম্বর না জুন না মার্চ, একেক সময় এককটা কথা। এটা তো শেখ হাসিনার কিছু কথা-বার্তার সঙ্গে মিল পাওয়া যায়।’
শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে রিকশা-ভ্যান ও অটোরিকশাচালকদের মাঝে ঈদ উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানে সবার ত্যাগ শিকার না করলে অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে।’ জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর না জুনে—এমন দোদুল্যমান বক্তব্য না দিয়ে স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করে জাতিকে আশ্বস্ত করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘অনেকেই বলেন যে, আন্দোলন কী করা হয়েছে শুধু নির্বাচন করার জন্য? নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলেই তো আন্দোলন হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করেননি শেখ হাসিনা। ক্ষমতা রক্ষার জন্য দেশকে একটি কারবালায় পরিণত করেছিলেন।’
আরও পড়ুন: সৎ ব্যক্তি নেতৃত্বে এলে আ.লীগ কেন রাজনীতি করতে পারবে না, প্রশ্ন রিজভীর
অনেক ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে ব্যাপক আন্দোলনের পর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হলেও জনগণের সমর্থন রয়েছে। সব আন্দোলনকারী দল তাদের সমর্থন দিয়েছে।’
জনগণের আস্থা ধরে রাখতে নির্বাচন ঘিরে সৃষ্ট বিভ্রান্তি দূর করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
দুঃখ প্রকাশ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘এখনো ১২২টি গার্মেন্টেসের শ্রমিকরা কেন বেতন পায় না- এটা একটা বড় প্রশ্ন। প্রায় অর্ধশতাধিক গার্মেন্টস তারা বোনাস পায়নি কেন?’
‘সরকার হচ্ছে মালিক এবং শ্রমিক পক্ষের মধ্যে একটি লিয়াজোঁ অফিসারের ভূমিকা পালন করেন। এই জিনিসগুলোর দায়িত্ব সরকারের ওপর বর্তাবে। একজন শ্রমিক যদি না খেয়ে থাকে, ঈদের আগে সে যদি বেতন না পায় তাহলে শ্রমিকদের পরিবার ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারবে না। এইজনহিতকর পদক্ষেপ সরকারের দিক থেকে হওয়া উচিত। এটা সরকারের দেখা উচিত ছিল।’
আরও পড়ুন: উপদেষ্টারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছেন: রিজভী
রিজভী উল্লেখ করেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে ১৭ জন রিকশাচালক প্রাণ হারিয়েছেন এবং তাদের পরিবার চরম দুর্ভোগ সহ্য করছে।
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের রক্তের উপর গঠিত সরকার, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অকাতরে জীবনদানকারী শিশু-কিশোর-তরুণ-নারী-রিকশা-ভ্যান শ্রমিকদের চালকদের রক্তের ওপর গঠিত সরকার।’
১৯ দিন আগে
দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে কিছু নেই: মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলদেশে আজকের এ স্বাধীনতা দিবস পালন প্রমাণ করবে যে, দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে দেশে কিছু নেই। তিনি বলেন, ‘যারা দ্বিতীয় স্বাধীনতার কথা বলেন, তারা স্বাধীনতা দিবসকে খাটো করতে চান, অর্থাৎ একাত্তরের স্বাধীনতায় তাদের ভূমিকা ছিল না।’
মির্জা আব্বাস বলেন, আমি বলব তারা যেন এখানেই নিবৃত্ত থাকেন ও স্বাধীনতা দিবসকে যেন সম্মান জানান ও শ্রদ্ধা করেন।’
বুধবার (২৬ মার্চ) জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
জাতীয় ঐক্যে নিয়ে তিনি বলেন, ‘অনৈক্য কিছু নাই, একটা স্বার্থের জায়গা আছে। প্রত্যেকটা দলের নিজস্ব আদর্শিক জায়গা আছে, যার যার একটা মতাদর্শ আছে। যার যার মতাদর্শ থেকে কথা বলে। এটা আমি অনৈক্য বলবো না।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলগুলোকে বিভক্ত করার অপচেষ্টা চলছে: মির্জা আব্বাস
তিনি আরও বলেন, ‘এখন দলীয় আদর্শের ওপর আমরা হয়তো ভিন্নভাবে আলাদা আলাদা জায়গা থেকে কথা বলছি। তবে অনৈক্য যদি কেউ বলেন, এমন সময় যদি আসে জাতীয় বৃহত্তর ঐক্যের প্রয়োজন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যের প্রয়োজন—তখন কিন্তু আমরা সবাই এক হয়ে যাব।’
নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। আমরা সেখানেই বিশ্বাস রাখতে চাই। আমাদের বিশ্বাসের পরিবর্তন করতে চাই না।’
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন ও দেশে থেকে দেশকে স্বাধীনও করেছেন। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদটা আমরা হারিয়ে ফেলেছিলাম। এখন আবার নতুন করে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন আশ্বাস পেয়েছি। দেশবাসী আরও একবার জঞ্জালমুক্ত হয়েছে।’
২১ দিন আগে