বিএনপি
গণতন্ত্রকামী সব মানুষকে ঐকবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের
দেশের শীর্ষ দুটি গণমাধ্যমের ওপর হামলা প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ডেইলি স্টার বা প্রথম আলো নয়—আজ আঘাত এসেছে গণতন্ত্রের ওপর। স্বাধীনভাবে চিন্তা করার অধিকার, কথা বলার অধিকার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এখন শুধু সচেতন হলে চলবে না, অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব আয়োজিত ‘মব ভায়োলেন্স’ বা সংঘবদ্ধ সহিংসতাবিরোধী প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সংবাদপত্রের ওপর হামলা শুধু গণমাধ্যমের ওপর নয়, এটি সরাসরি গণতন্ত্র ও জুলাই বিপ্লবের ওপর আঘাত। এখন শুধু সচেতন হলে চলবে না, অপশক্তির বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।
‘আমি জানি না আমরা এই মুহূর্তে কোন বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে আছি। আমার বয়স ৭৮। সারা জীবন সংগ্রাম করেছি একটা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ দেখব বলে। আজ যে বাংলাদেশ দেখছি, এ বাংলাদেশের স্বপ্ন আমি কোনোদিন দেখিনি।’
তিনি বলেন, আমার স্বাধীনভাবে চিন্তা করার যে অধিকার, আমার কথা বলার যে অধিকার তার ওপর আবার আঘাত এসেছে, জুলাই যুদ্ধের ওপর আঘাত এসেছে। জুলাই যুদ্ধ ছিল এ দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ। আজ সেই জায়গায় আঘাত এসেছে। তাই আমার অনুরোধ, কোনো রাজনৈতিক চিন্তা নয়, দল নয়, সব গণতন্ত্রকামী মানুষের এক হওয়ার সময় এসেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা যারা অন্ধকার থেকে আলোতে আসতে চাই, আমরা যারা আমাদের বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থেই একটা স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ হিসেবে দেখতে চাই, তাদের শুধু সচেতন হলে চলবে না, রুখে দাঁড়াতে হবে। এখন রুখে দাঁড়ানোর সময় এসে গেছে।
তিনি আরও বলেন, আমি আপনাদের আহ্বান জানাবো, এখানে এসে শুধু একাত্মতা ঘোষণা নয়, মানববন্ধন করে সংহতি প্রকাশ করা নয়, আজ সর্বক্ষেত্রে সর্বশক্তি নিয়ে আপনারা যারা বাংলাদেশকে ভালবাসেন তারা সবাই ঐক্যবদ্ধ হন, এই অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে নিউ এজের সম্পাদক নুরুল কবির বলেন, পৃথিবীর সব জায়গায় সংবাদ মাধ্যমের নিজস্ব সম্পাদকীয় নীতি থাকে, সে নীতি পছন্দ না হলে গণমাধ্যমে আগুন লাগিয়ে দেওয়া কোনও গণতন্ত্রিক প্রক্রিয়া নয়।
নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, যখন প্রথম আলোতে আগুন দেওয়া হয় তখন মাহফুজ আনাম বুঝতে পেরেছিলেন ডেইলি স্টার ভবনে হামলা হতে পারে। তখন তিনি সরকারের এমন কোনও পর্যায় নেই, যেখানে ডেইলি স্টারের প্রটেকশন দেওয়ার অনুরোধ করেননি। কিন্তু কেউই তার ডাকে সাড়া দেননি। সেদিন যদি আর ১৫ মিনিট আগুন জ্বলত তাহলে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে সাংবাদিকরা মারা যেতেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কণ্ঠকে স্তব্ধ করা যাবে না। সেই লক্ষ্যে সবার মতামতের ভিত্তিতে আমরা সারা বাংলাদেশের সাংবাদিক নিয়ে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে আমরা একটা মহা সম্মেলন করবো। সেই মহাসম্মেলন এর মাধ্যমে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব। আমার বিশ্বাস, এর মধ্যে সরকার যারা দায়ী, যারা প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানটে আগুন দিয়েছে, উদীচিতে আগুন দিয়েছে, তাদের বিচারের আওতায় আনবে।
প্রতিবাদ সভায় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়ে মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে তাদের শক্ত অবস্থান ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তারা।
৩০ মিনিট আগে
ডেইলি স্টার-প্রথম আলোয় অগ্নিসংযোগ জাতির জন্য লজ্জার: সালাহউদ্দিন
দেশের দুটি শীর্ষ গণমাধ্যমে সাম্প্রতিক হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে জাতির জন্য ‘লজ্জার’ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। এসব ঘটনায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে গণমাধ্যম সম্পাদক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের সমাজের দর্পণ উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি, পত্রিকা হচ্ছে সমাজের দর্পণ। পত্রিকা একটি বিমূর্ত শব্দ, সেটাকে মূর্ত করেন আপনারা (সাংবাদিকরা)। জাতির বিবেক, জাতির মতামত—যা কিছু প্রতিফলিত হয়, তা সংবাদপত্র, গণমাধ্যমের মাধ্যমে হয়।
তিনি বলেন, সমাজের সেই দর্পণ চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেছে, কিন্তু সাংবাদিকদের দর্প যেন চূর্ণ না হয়। আপনারা যদি যদি রাষ্ট্রকাঠামোয় সংস্কার চান, সংস্কারকৃত সামজ ও রাষ্ট্র চান, গণতান্ত্রিক সংস্কার চান, সর্ব পর্যায়ে বৈষম্যহীন সমাজ নির্মাণ করতে চান, আপনারাই পারবেন। আপনারাই সমাজের দিকনির্দেশক। রাজনীতিবিদরা সরকার পরিচালনার সময় ড্রাইভিং সিটে থাকেন, কিন্তু তাদের আপনারা পথনির্দেশ না করলে সমাজ বিচ্যুত হবে।
সালাহউদ্দিন বলেন, কয়েক দিন আগে বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমেও ওপর যে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে গেছে। দেশের খ্যাতনামা পত্রিকা—প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার যেভাবে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, সারা বিশ্ব সেটা দেখেছে। জাতি হিসেবে সেটা আমাদের জন্য লজ্জার। এটা শুধু দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চেয়ে সমাপ্ত করতে পারব না।
১ দিন আগে
তালা দিয়ে বিএনপি নেতার ঘরে আগুন: দগ্ধ দুই মেয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে
লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতা বেলাল হোসেনের ঘরের বাইরে থেকে তালা মেরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়ার ঘটনায় তার দগ্ধ দুই মেয়ে বিথী আক্তার (১৩) ও স্মৃতি আক্তারকে (১৮) জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বেলাল হোসেনের সাত বছর বয়সী মেয়ে আয়েশা আক্তার ঘটনাস্থলেই পুড়ে মারা যায়।
শুক্রবার গভীর রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের সুতারগোপ্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বেলাল হোসেন একই ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সুতারগোপ্তা বাজারের সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী।
আজ (রবিবার) সকালে ওই মেয়ে দুটির ভর্তি হওয়ার কথা নিশ্চিত করেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ও সহকারী অধ্যাপক ডা. শাওন বিন রহমান।
তিনি জানান, লক্ষ্মীপুর থেকে গতকাল (শনিবার) বিথী আক্তারের শরীরে ২ শতাংশ দগ্ধ এবং স্মৃতি আক্তারের শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় এখানে আনা হয়। তাদের মধ্যে স্মৃতি আক্তারের দগ্ধের পরিমাণ বেশি হওয়ায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তাকে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্যদিকে বীথির শরীরে দগ্ধের পরিমাণ কম থাকায় তাকে জরুরি বিভাগের অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, রাতে নিজের ঘরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন বেলাল হোসেন। গভীর রাতে তার ঘরের দরজায় অজ্ঞাত কেউ তালা মেরে চারদিকে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। মুহুর্তেই আগুন পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ঘরে থাকা তার ৩ মেয়ের মধ্যে ছোট মেয়ে ঘটনাস্থলেই আয়েশা নিহত হয়।
১ দিন আগে
হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান সালাহউদ্দিনের
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকে কেন্দ্র করে ষড়যন্ত্রকারীরা যেন নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করতে না পারে—সে বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘একটি স্বার্থান্বেষী মহল দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন পেছানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। হাদি হত্যাকাণ্ড সেই গভীর ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ হতে পারে। এর সঙ্গে স্বৈরাচারের দোসর এবং গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির সংশ্লিষ্টতা থাকার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
তিনি বলেন, ‘দেশে গণতান্ত্রিক যাত্রা যখন নতুন করে এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখনই পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্য, হত্যাকাণ্ড ও ভয়ভীতি ছড়ানোর ঘটনা ঘটছে। এর উদ্দেশ্য একটাই—নির্বাচনি পরিবেশ নষ্ট করা এবং জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নৈরাজ্য সৃষ্টি করে কিংবা হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। জনগণ এসব ষড়যন্ত্র প্রত্যাখ্যান করবে। গণতন্ত্রবিরোধী সব অপচেষ্টা অতীতেও ব্যর্থ হয়েছে, এবারও ব্যর্থ হবে।’
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার দিন রাজধানীতে লক্ষাধিক মানুষের ঐতিহাসিক সমাবেশ হবে। সেই সমাবেশ থেকেই দেশের বিরুদ্ধে চলমান সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কঠোর ও স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপি শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পক্ষে। জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাই দলের প্রধান লক্ষ্য। যারা হত্যাকাণ্ড ও অস্থিতিশীলতার মাধ্যমে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়, তারা জনগণের কাছে চিহ্নিত হয়ে পড়বে।’
হাদি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। কোনো ধরনের ধামাচাপা বা রাজনৈতিক প্রভাব মেনে নেওয়া হবে না।’
এর আগে, দুপুর আড়াইটার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে হাদির দাফন সম্পন্ন হয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ওসমান হাদিকে মাথায় গুলি করে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান। তাঁর মরদেহ গতকাল সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হয়।
শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার সারা দেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে। তার রুহের মাগফেরাত কামনায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে গতকাল (শুক্রবার) দেশের মসজিদে মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেও তার আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
১ দিন আগে
লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগ, শিশুকন্যা নিহত, দ্বগ্ধ আরও ৩
লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতা বেলালের ঘরে বাইরে থেকে তালা মেরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে ঘটনাস্থলেই তার ৭ বছর বয়সী মেয়ে নিহত হয়। একই সঙ্গে বেলালসহ আহত হন তার আরও ২ মেয়ে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গভীর রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের সুতারগোপ্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বেলাল একই ইউনিয়নের বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সুতারগোপ্তা বাজারের সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী।
আগুনে পুড়ে নিহত হওয়া শিশুটির নাম আয়েশা আক্তার। আর দগ্ধরা হলেন— বেলাল হোসেন (৫০) ও তার দুই মেয়ে বীথি আক্তার (১৩) ও স্মৃতি আক্তার (১৮)।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, রাতে নিজের ঘরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন বেলাল হোসেন। গভীর রাতে তার ঘরের দরজায় অজ্ঞাত কেউ তালা মেরে চারদিকে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। মুহুর্তেই আগুন পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ঘরে থাকা তার ৩ মেয়ের মধ্যে ছোট মেয়ে আয়েশা নিহত হয়।
স্থানীয়রা জানান, আহতদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে বেলাল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে বাকি ২ মেয়েকে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। বড় মেয়ে স্মৃতির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে তারা জানান।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা রঞ্জিত কুমার সাহা বলেন, গভীর রাতে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিস। এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহিদ পারভেজ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে ঘটনাস্থলেই ১ শিশু নিহত হয়েছে এবং আরও ৩ জন দগ্ধ হয়েছেন। পরিকল্পিতভাবে ওই ঘরে কেউ আগুন লাগিয়ে দিয়েছে কি না, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
২ দিন আগে
রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর পূর্বনির্ধারিত দুটি কর্মসূচি স্থগিত করেছে।
একই সঙ্গে দলটি আজ রাত ৮টা ৩০ মিনিটে জরুরি স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকেছে।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন দলের মিডিয়া সেল সদস্য শায়রুল কবির খান।
তিনি বলেন, ‘পূর্বঘোষিত দুটি কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে এবং আজ রাত ৮টা ৩০ মিনিটে জরুরি স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে।’
শায়রুল কবির জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেবেন এবং তিনিই এতে সভাপতিত্ব করবেন।
তিনি আরও বলেন, বিকেল ৩টায় সংসদ ভবন এলাকার সেচ ভবনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের যে কর্মসূচি ছিল, তা স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি বিকেল ৪টায় কারওয়ান বাজারে ওয়াসা ভবনের সামনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কর্মসূচিটিও সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তার মৃত্যুর ঘটনা এবং পরবর্তী সহিংস পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটেই এই দুটি কর্মসূচি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দলীয় সূত্র আরও জানায়, জরুরি স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দলের সাংগঠনিক বিষয়াদি এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
২ দিন আগে
খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল: ডা. জাহিদ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেছেন, ‘উনার (খালেদা জিয়া) অবস্থা স্থিতিশীল আছে। উনি এখন পর্যন্ত চিকিৎসকদের পরামর্শ মোতাবেক যে চিকিৎসা উনাকে দেওয়া হচ্ছে, সেই চিকিৎসা উনি ঠিকমতো গ্রহণ করতে পারছেন। উনার শারীরিক অবস্থা গত কয়েকদিন আগেও যে অবস্থায় ছিল; আলহামদুলিল্লাহ, উনি সেটি মেইনটেইন করতে পারছেন।’
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়ার অসুস্থতা, বয়স এবং পরিকল্পিতভাবে উনাকে যেভাবে অসুস্থ অবস্থার মধ্যে বিগত সময়ে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, যথাযথ চিকিৎসা নিতে দেওয়া হয়নি, সেসব কারণেই উনার শারীরিক জটিলতা মারাত্মক রকম বেড়ে গিয়েছিল। সে জন্যই এবার তিনি কঠিন সময় পার করছেন।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকরাসহ উনার চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত আমরা সবাই অত্যন্ত আশাবাদী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে যাবেন।
গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তখন থেকেই তার শারীরিক অবস্থা উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে। তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।
৪ দিন আগে
বিএনপি সরকারে গেলে প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ করা হবে: অমিত
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করতে পারলে দেশ থেকে প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ হবে বলে মন্তব্য করেছেন যশোর-৩ (সদর) আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে শহরের একটি অভিজাত হোটেলে যশোর প্রেসক্লাব আয়োজিত এক সভায় এ কথা বলেন তিনি।
অনিন্দ্য ইসলাম বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারলে তরিকুল ইসলামের সন্তান হিসেবে, আপনাদের ভাই হিসেবে, আমি এমন কোনো কাজ করবো না যাতে মাথা হেট হয়ে যায়। সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থানই ছিল যশোরের রাজনীতির ঐতিহ্য। বিগত দেড় দশকে সেই ঐহিত্যকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে। বিজয়ী হতে পারলে সেই ঐহিত্য পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ ও উন্নত যশোর উপহার দেওয়া হবে আমার প্রাথমিক দায়িত্ব।
নির্বাচনে প্রার্থীদের ঝুঁকির বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি স্রষ্টায় বিশ্বাস করি। আমি বিশ্বাস করি, তিনি যা কপালে লিখবেন, তা-ই হবে। আর রাজনীতি মানেই হলো ঝুঁকি। বিগত ১৬ বছর আমিসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা চরম ঝুঁকি নিয়েই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক সংগ্রামে রাজপথে থেকেছি। এখন নির্বাচনের সময় এসে সেই বিষয় নিয়ে ভাবলে হবে না। আপনারা শুধু দোয়া করবেন।
প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান ও সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সাধারণ সম্পাদক এসএম ফরহাদের সঞ্চালনায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মো. ইসহক, অ্যাডভোকেট জাফর সাদিক, গোলাম রেজা দুলু, লোকসমাজের প্রকাশক শান্তনু ইসলাম সুমিত, যশোর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম, নগর সভাপতি চৌধুরী রফিকুল ইসলাম মুল্লুক চাঁদ, সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আঞ্জারুল হক খোকন।
সাংবাদিকদের মধ্যে সভায় আলোচনা করেন যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি আকরামুজ্জামান, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাজেদ রহমান, যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ দিনু আহমেদ, লোকসমাজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আনোয়ারুল কবির নান্টু, প্রেসক্লাব যশোরের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান কবীর প্রমুখ।
৪ দিন আগে
‘সামনে কঠিন পথ’, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান তারেক রহমানের
দেশে ‘ষড়যন্ত্র থেমে নেই’ উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সতর্ক করে বলেছেন, ‘সামনের পথ অসম্ভব কঠিন। কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে।’ এ অবস্থায় দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার লন্ডনের সিটি প্যাভিলিয়নে লন্ডন বিএনপির আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে তারেক রহমান বলেন, ‘আমি এক বছর আগে আপনাদের বলেছিলাম যে, সামনে কিন্তু আমাদের কঠিন সময়। ষড়যন্ত্র থেমে নেই এবং এই নির্বাচনও কিন্তু খুব সহজ নয়। আপনারা অনেকেই কিন্তু ব্যাপারটা এখন বুঝতে পারছেন। এক বছর আগে যা বলেছি, সেটা কিন্তু হচ্ছে। এখন আমি আবারও বলছি, সামনের সময় কিন্তু খুব সুবিধের নয়। কাজেই সকলকে সজাগ থাকতে হবে, সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
হলভর্তি প্রবাসী বিএনপি কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কী ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারবেন?’ কর্মী-সমর্থকরা সমবেত কণ্ঠে ‘হ্যাঁ’ বলেন।
তখন তারেক বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারলেই আমরা আমাদের এই যে পরিকল্পনার (দেশ গড়ার পরিকল্পনা) কথা বললাম, তা সফল করতে পারব, ঐক্যবদ্ধ থাকলেই আমরা আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে পারব, ঐক্যবদ্ধ থাকলেই আমরা বাংলাদেশে জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারব।’
যুক্তরাজ্যের উদাহরণ টেনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই ব্রিটেনে যে আপনারা আছেন, এই দেশে জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা আছে বলেই এই দেশের মানুষ তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় না। বাংলাদেশের মানুষ বহু বহু যুগ ধরে তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। কাজেই আসুন, বাংলাদেশের মানুষের ন্যায্য অধিকার যদি ফিরিয়ে দিতে হয়, যেকোনো মূল্যে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ না থাকার কোনো বিকল্প নেই আমাদের।’
৫ দিন আগে
‘নিরাপত্তা শঙ্কায়’ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন নারায়ণগঞ্জের বিএনপির প্রার্থী
নিরাপত্তার শঙ্কার কথা জানিয়ে ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সদর ও বন্দর উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনের প্রার্থী এ ঘোষণা দেন।
মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেন, ‘নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণার পর থেকেই পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন। ঢাকায় ওসমান হাদির উপর গুলির ঘটনার পর তারা আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।’ তাই পরিবারের অনুরোধেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, তিনি তার প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়টি জানাতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।
‘সংবাদ সম্মেলনেই এ কথা প্রথম জানালাম। বিষয়টি দলকেও বুঝিয়ে বলব,’ বলেন মাসুদুজ্জামান।
গত শুক্রবার রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদি। চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করেন চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা আততায়ী। গুলিটি লাগে হাদির মাথায়। গুরুতর আহত হাদিকে শুরুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও পরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সোমবার তাকে নেওয়া হয় সিঙ্গাপুরে।
এ ঘটনার পর নির্বাচনের প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে অনেক দলের পক্ষ থেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করে তাদের নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানানো হয়। এ অবস্থায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে রাজনৈতিকভাবে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ব্যক্তি এবং নির্বাচনের প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে কিছু উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যেই প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন মাসুদুজ্জামান মাসুদ।
হঠাৎ করে তার দেওয়া এ ঘোষণায় আশ্চর্য হয়েছেন তার অনুসারী নেতা-কর্মীরাও। তাদের কেউ কেউ সংবাদ সম্মেলনে মাসুদের প্রতি ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।
মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক চৌধুরী দলের প্রার্থী মাসুদুজ্জামানকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীদের এভাবে ফেলে চলে যেতে পারেন না আপনি। আমরা অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আপনার পাশে নেমেছি। আপনার এ সিদ্ধান্ত আমরা মানি না।
জিয়া সমাজকল্যাণ পরিষদের মহানগর শাখার সদস্যসচিব নাঈম খন্দকার বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগেও শহীদনগরে তিনি পূর্ব-নির্ধারিত একটি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। সেখান থেকে এসেই এমন ঘোষণা দিলেন। আমরা এ সিদ্ধান্তে আশ্চর্য হয়েছি। আমরা কিছুই জানতাম না।’
৬ দিন আগে