এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আমরণ অনশনে থাকা প্লাটিনাম জুট মিলের তাঁত বিভাগের শ্রমিক আব্দুস সাত্তার (৫৫)।
সকালে প্লাটিনাম জুট মিলের সামনে জানাজা শেষে দাফনের জন্য তার মরদেহ পটুয়াখালী পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ২৫-২৬ জন শ্রমিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রহমান বলেন, বুধবার রাতে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সাথে তার বাসায় একটি বৈঠক হয়। সুফিয়ান শ্রমিকদের ধর্মঘট ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করতে বলেছেন।
‘শ্রমিকরা তার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন,’ যোগ করেন তিনি।
শ্রমিকরা ধর্মঘটে যাওয়ার পর গত ১০ ডিসেম্বর থেকে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ৯টি পাটকলের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার থেকে মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন খুলনা ও যশোর অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি পাটকলের প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক।
আন্দোলনে থাকা পাটকলগুলো হচ্ছে- ক্রিসেন্ট জুট মিল, খালিশপুর জুট মিল, দৌলতপুর জুট মিল, প্লাটিনাম জুবিলি জুট মিল, স্টার জুট মিল, আলিম জুট মিল ও ইস্টার্ন জুট মিল, কার্পেটিং জুট মিল ও জেজেআই জুট মিল।
শ্রমিকরা বলেছেন যে তাদের নিয়মিত বেতন দেয়া হয়নি এবং পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের দাবিতে রাস্তায় নামতে বাধ্য করা হয়েছে।
এদিকে অনশন কর্মসূচির কারণে পাটকলগুলোতে উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় খুলনার শিল্পাঞ্চল উত্তাল হয়ে পড়েছে। অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে গোটা শিল্পাঞ্চলে।