বুধবার তদন্ত কমিটির প্রধান কুষ্টিয়া সার্কেলের (রেলওয়ে) এএসপি ফিরোজ আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে গত ২ আগস্ট খুলনার জিআরপি থানার ওসি উছমান গণি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তিন সন্তানের জননীকে (৩০) গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।
অভিযোগ পাওয়ার পর আদালতের নির্দেশে ৫ আগস্ট দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
একইদিন ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
ভিকটিমের এক আত্মীয় বলেন, ওই নারী শুক্রবার যশোর থেকে ট্রেনযোগে খুলনা আসেন। রাত সাড়ে ৭টার দিকে খুলনা স্টেশনে নামার পর কয়েকজন পুলিশ তাকে জিআরপি থানায় নিয়ে যান। যেখানে ওসি গণির নেতৃত্বে পাঁচ পুলিশ সদস্য তাকে গণধর্ষণ করে।
পরদিন শনিবার তাকে পাঁচ বোতল ফেনসিডিলসহ একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে পাঠানো হয়।
জামিন শুনানিকালে ওই নারী অভিযোগ করেন, জিআরপি থানায় তিনি গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এরপর আদালত তার শারীরিক পরীক্ষার নির্দেশ দেয়।