গণধর্ষণ
মিথ্যা গণধর্ষণ মামলা করায় নারীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
কক্সবাজার আদালত চত্বরে সংঘটিত বহুল আলোচিত গণধর্ষণ মামলার বাদী রুনা আক্তারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. মুসলেম উদ্দীন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত রুনা আক্তার কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ আউলিয়াবাদ এলাকার শফিকুল ইসলামের মেয়ে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরার অভিযোগে ২৩ জেলের কারাদণ্ড
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০২২ সালের মার্চ মাসে কক্সবাজার আদালত চত্বর থেকে তুলে নিয়ে তাকে গণধর্ষণ করা হয় দাবি করে মামলা করেন রুনা আক্তার। পরে মামলাটি আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় সব আসামিকে খালাস দেন আদালত।
মামলা থেকে খালাস পেয়ে আসামি রাসেল উদ্দিন বাদী হয়ে রুনার বিরুদ্ধে আদালতে পাল্টা মামলা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর এপিপি বদিউল আলম জানান, রুনা আক্তারের দায়ের করা ধর্ষণ মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। আদালত আসামিদের খালাস দিয়ে মামলাটি খারিজ করে দেন। কিন্তু তার আগে আসামিরা দীর্ঘদিন জেল খেটেছেন। তাই সংক্ষুব্ধ হয়ে আসামিদের একজন হয়রানির অভিযোগে একটি মামলা করেন। ওই মামলাটি স্বল্প সময়ের মধ্যে বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি রুনা আক্তারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আদালতের নির্দেশে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরায় ১৭ জেলের বিরুদ্ধে মামলা
ঈদের আগে ৩ দিন মহাসড়কে নির্মাণসামগ্রীবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
ভারতে গণধর্ষণের দায়ে সাত বাংলাদেশির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বেঙ্গালুরুতে এক নারীকে ধর্ষণের দায়ে একটি বিশেষ আদালত সাত বাংলাদেশিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। ওই বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর শুক্রবার বিশেষ আদালত আরও দুইজনকে যথাক্রমে পাঁচ বছর ও ২০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
গত বছর এ ঘটনায় করা মামলায় পুলিশের অভিযোগপত্র থেকে দু’জনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। মামলার অন্য দুই অভিযুক্ত ভারতের ফরেনার্স অ্যাক্টের অধীনে অপরাধের জন্য ৯ মাসের সাধারণ কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন এবং অন্য একজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে ।
এক আইনজীবী স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, মামলায় অভিযোগভুক্ত ১২ জনের মধ্যে ১১ জন ও ধর্ষণের শিকার নারী অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী।
গত বছর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ভারতীয় কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নেয়। পরবর্তীতে, বেঙ্গলুরু পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে তদন্তকারীদের শহরে একটি আন্তঃসীমান্ত মানব পাচারের র্যাকেট বের করতে সাহায্য করেছে।
আরও পড়ুন: মরিশাসে কাজে গিয়ে ধর্ষণের শিকার, ন্যায়বিচার চান নারী
চাকরির লোভ দেখিয়ে ভারতে পাচার, যশোরে নারীর যাবজ্জীবন
২ বছর আগে
কিশোরগঞ্জের নারীকে সিলেটে এনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪
প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে কিশোরগঞ্জ থেকে এক নারীকে (২৫) সিলেটে এনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে নয় জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ পর্যন্ত পুলিশ চার জনকে আটক করেছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া এন্ড কমিউনিটি সার্ভিস) বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হচ্ছে- এসএমপির এয়ারপোর্ট থানাধীন লাউগুল গ্রামের মৃত হামিদ মিয়ার ছেলে জামেদ আহমদ ওরফে জাবেদ (৩৬), ফড়িংউরার মৃত ফুল মিয়ার ছেলে মোশাহিদ আহমদ (২৭), একই গ্রামের মৃত ইউনুছ আলীর ছেলে ফয়সল আহমদ (২২) ও বাজারতল গ্রামের ইসরা হালিমের ছেলে রাসেল আহমদ (২৪)।
আরও পড়ুন: অভিমানে বাড়ি ছেড়ে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ শিকার কিশোরী
অভিযোগ থেকে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের ভৈরবের ওই নারীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হয় সিলেটের জামেদ আহমদ জাবেদের। আলাপের এক পর্যায়ে জাবেদ তাকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দেন। এতে প্রথমে ওই নারী আপত্তি জানালেও পরে জাবেদের কথায় বিশ্বাস করে রাজী হন।
গত ১০ জুলই সন্ধ্যায় ওই নারী বাড়ি ছেড়ে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশিদ চত্বরে আসেন। সেখান থেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে জাবেদ তাকে খাদিমনগর বুরজান চা-বাগানের মরাকোণা টিলার ওপর একটি ছাউনির ভিতরে নিয়ে যান। সেখানে আগে থেকেই ছিলেন তার সহযোগী ফয়সল আহমদ, রাসেল আহমদ, জামিল আহমদ নামে তিনজন। এই চারজন ভয় দেখিয়ে ওই নারীকে টানা তিন দিন ধর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে জাবেদ ওই নারীর মোবাইল ফোনসহ ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে পাটখেতে নারীর গলাকাটা লাশ, ধর্ষণের অভিযোগ
এজাহারে ওই নারী আরও অভিযোগ করেন, গত মঙ্গলবার ভোর অনুমানানিক ৬ টার দিকে রুবেল (২৫), ইমাম (২৫), ফারুক (২৩), মো. মোশাহিদ আহমদ (২৭) ও আবুল (২৬) নামে পাঁচ ব্যক্তি সেখানে যান। তখন জাবেদসহ অন্যরা ওই পাঁচ জনের কাছে তাকে রেখে চলে যায়। এরপর ওই পাঁচ ব্যক্তি পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের পর মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে তাকে ফেলে সবাই চলে গেলে চা বাগানের ওই নির্জন স্থান থেকে বেরিয়ে আসেন ওই নারী। এরপর রাস্তায় একজন লোকের সহায়তায় নিজের খালাতো বোনকে ফোন দিয়ে বিস্তারিত জানান। গত মঙ্গলবার বিকেলে বিমানবন্দর থানায় এসে ওই নারী মৌখিক অভিযোগ জানান। তার অভিযোগের ভিত্তিতে বুরজান চা বাগান এলাকা থেকে জামেদ আহমদ জাবেদ ও মোশাহিদ আহমদকে আটক করা হয়। এরপর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ফয়সল আহমদ ও রাসেল আহমদকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্ল্যাকমেইল করে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
ওই নারীর অভিযোগ পেয়েই পুলিশ অভিযানে নামে বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোহাম্মদ মাইনুল জাকির।
বুধবার বিমানবন্দর থানায় ভিকটিমের অভিযোগটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবারই ওই মামলায় আটক ৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত বাকী ৫ জনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। অভিযোগকারী নারীকে চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
৩ বছর আগে
চট্টগ্রামে চলন্তবাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ৬
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে চলন্তবাসে এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে চালক-হেলপারসহ বাসের ৩ জন রয়েছে।
শুক্রবার (২৫ জুন) রাতে সীতাকুণ্ড, মীরসরাই ও নগরীতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তবে এ ঘটনায় জড়িত আরও ৩জন পলাতক রয়েছে বলে পুলিশ জানায়। নির্যাতনের শিকার তরুণীর বাড়ি জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলায়।
আটককৃতরা হল- সীতাকুণ্ড উপজেলার আশরাফুল ইসলাম ( ২৩), শাহাদাত হোসেন ( ১৯), নিজামউদ্দিন রানা ( ২০), মো. বেলাল হোসেন ( ২৩), মো. ইসমাঈল (৩১) এবং মীরসরাই উপজেলার হাইতকান্দি ইউনিয়নের কুরুয়া গ্রামের মো. সাগর হোসেন ( ২২)।
এর আগে গত বুধবার (২৩ জুন) রাত থেকে বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) ভোর পর্যন্ত সীতাকুণ্ড থেকে মীরসরাই পর্যন্ত চলন্ত বাসে দফায় দফায় গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯-এ কল, চলন্ত ট্রাকে ‘ধর্ষণের শিকার’ প্রতিবন্ধী তরুণী উদ্ধার
মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মুজিবুল রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, শুক্রবার রাতে সীতাকুণ্ড ও মিরসরাইয়ে অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিকটিম ওই তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। আটক হওয়া ৬ জনকে শনিবার আদালতে হাজির করে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাদের মধ্যে বাস চালক হেলপারসহ ৩ জন রয়েছে। ঘটনার সাথে মোট ৯জন জড়িত থাকলেও মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে ৬ জন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে শিশু ধর্ষণ ও হত্যার আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
স্থানীয়রা জানায়, ঘটনার শিকার তরুণীর বাড়ি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে। বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত অধিকাংশ সময় বাসে এবং পরবর্তীতে আরও বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, রানা নামে বাসের একজন স্টাফ ছিল ওই তরুণীর পূর্ব পরিচিত। সে সম্পর্কের সুবাদে রানা তাকে ফুসলিয়ে মিরসরাইয়ে নিয়ে যায়। এরপর ছয়জন মিলে প্রথমে একটি বাসের ভেতর এবং পরে মীরসরাইয়ে আরও বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে জিম্মি করে ধর্ষণ করে। তাদের আরও দু’জন সহযোগী আছে। মোট আটজন ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
আরও পড়ুন: ৪ শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা: ওসিসহ ৭ পুলিশ বরখাস্তের রায় স্থগিত
জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক বলেন, ‘বাসে গণধর্ষণের অভিযোগ পেয়েই আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে একাধিক টিমকে মাঠে নামানো হয়। একে একে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।’
৩ বছর আগে
আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ৬
সাভারের আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় বিভিন্ন বাসের চালক ও চালকের সহকারীসহ ছয় জনকে আটক করেছে সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশ।
সাভারের আশুলিয়ার বিশমাইল নবীনগর এলাকার ডিসি নার্সারির সামনে শুক্রবার দিবাগত রাতে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ করিম বলেন, গতকাল নায়ারণগঞ্জের চাষাড়া থেকে এক নারী শ্রমিক মানিকগঞ্জে বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। পরে তিনি মানিকগঞ্জ থেকে নায়ারণগঞ্জ যাওয়ার জন্য একটি বাসে করে আশুলিয়ার নবীনগর আসেন। নবীনগরে তার এক পূর্ব পরিচিত ভাইয়ের সাথে একটি মিনি বাসে উঠলে বাসের চালক বিশমাইল নবীনগরের মাঝে ডিসি নার্সারির সামনে নিয়ে ওই নারীর সাথে থাকা যুবককে বেঁধে বিভিন্ন গাড়ির ছয়জন চালক ও চালকের সহকারী তাকে ধর্ষণ করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে পিতা গ্রেপ্তার
এসময় ধর্ষণের শিকার ওই নারী চিৎকারে মহাসড়কে টহলরত সাভার হাইওয়ে পুলিশ ওই গাড়িটি জব্দ করে। সেই সাথে ছয়জন ধর্ষণকারীকেও আটক করে এবং ওই নারীকেও উদ্ধার করে। পরে সকালে ছয়জন ধর্ষণকারীকে সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশ আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
আরও পড়ুন: খুলনায় গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৪
ওসি জানান, ধর্ষণের শিকার ওই নারী শ্রমিক ছয়জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে, পুলিশ ধর্ষণের শিকার নারীকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করেছে। এছাড়া গত দুই দিনে সাভার ও ঢাকার ধামরাইয়ে এক শিশুসহ দুইজন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
৩ বছর আগে
সুন্দরগঞ্জে হাত-পা বেঁধে গৃহবধূকে গণধর্ষণ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের নিভৃত পল্লীতে গভীর রাতে এক গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে গণধর্ষণ করা হয়েছে। ধর্ষিত গৃহবধূকে অসুস্থ অবস্থায় গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানায়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কালির খামারের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম মিয়া কিছুদিন আগে মারা যায়। তার স্ত্রীর দিন কেটে যাচ্ছিল। কিন্তু তার উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে একই এলাকার কয়েক মাস্তানের।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থীকে ‘ধর্ষণের পর হত্যার’ অভিযোগ
স্বজনরা আরও জানায়, ঘটনার দিন রাত আনুমানিক ৩টার দিকে মৃত রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ঘর থেকে বের হয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যান। এই সুযোগে ওই এলাকার বখাটে মাস্তান সাহেব মিয়া, খুশু মিয়া, লালটু মিয়া, খোরশেদ ও আনারুলসহ ৫ জন গৃহবধূর মুখ চেপে ধরে হাত-পা বেঁধে ও মুখে কাপড় গুজে দিয়ে বাঁধের পাশের এক নির্জন স্থানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। তারপর অজ্ঞান অবস্থায় তাকে রেখে সেখান থেকে পালিয়ে যায় তারা।
আরও পড়ুন: কম্বল দেয়ার কথা বলে প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
সোমবার সকালে এলাকার লোকজন উলঙ্গ অবস্থায় গৃহবধূকে পড়ে থাকতে দেখে গ্রামবাসীকে খবর দেয়। গ্রামবাসী এসে গুরুতর অবস্থায় ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার রিপন কুমার মুস্তাফি জানান, তার চিকিৎসা চলছে। অবস্থা উন্নতির দিকে।
আরও পড়ুন: আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণ চেষ্টা: প্রধান আসামি ৩ দিনের রিমান্ডে
ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
৩ বছর আগে
গাজীপুরে নারী শ্রমিককে ‘ধর্ষণের’ অভিযোগে কারখানার জিএম গ্রেপ্তার
গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী ইউনিয়নের কাচারীপাড়া এলাকার গ্লোরি ফুটওয়ার লিমিটেড নামের জুতা তৈরির কারখানার নারী শ্রমিককে ‘ধর্ষণের’ অভিযোগে মঙ্গলবার একজনকে গ্রেপ্তার করেছে জয়দেবপুর থানা পুলিশ।
৩ বছর আগে
কুমিল্লায় কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ঝিনাইদহে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মানিকারচর গ্রামে বাড়ির পাশে শাক তুলতে গিয়ে ১৩ বছরের এক কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
৩ বছর আগে
চট্টগ্রামে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানা এলাকায় এক গার্মেন্টস কর্মীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৩ বছর আগে
এমসি কলেজে গণধর্ষণ: অভিযোগ গঠনের শুনানি ১৭ জানুয়ারি
সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে নববধূকে গণধর্ষণ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ১৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছে আদালত।
৩ বছর আগে