এঘটনায় জেলা পুলিশ মঙ্গলবার অভিযুক্ত এসআই ইকবাল পারভেজ রায়হানসহ দুজনকে আটক করেছে।
নিহত মোহাম্মদ এজাহার মিয়া (২৭) সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের মোহাম্মদ মুফিজের ছেলে। তার দেড় বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
এজাহার মিয়ার শাশুড়ি মরিয়ম বেগমের অভিযোগ, সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম পুলিশ লাইনে কর্মরত এসআই রায়হান এজাহারকে মোবাইল ফোনে ভাটিয়ারী কলেজপাড়ায় তার নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান।
‘এসআই রায়হানসহ তার মেয়ের জামাই, শ্যালক ও স্ত্রী মিলে মোবাইল চুরির অভিযোগ এনে এজাহারের হাত–পা রশি দিয়ে বেঁধে পেটায়। মঙ্গলবার ভোর রাত ৫টার দিকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে এজাহারকে মুমূর্ষু অবস্থায় ভাটিয়ারী-হাটহাজারী লিংক রোড়ের ব্রিজ এলাকায় নিয়ে যায় তারা। সেখান থেকে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়,’ বলেন তিনি।
মরিয়ম বেগম আরও বলেন, ‘বাড়িতে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন এজাহার। তাকে স্থানীয় বিএসবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয় ‘
এ ঘটনার পর সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ এসআই রায়হানের ভগ্নিপতি মিজানুর রহমানকে আটক করে।
এদিকে বিকালে জেলা পুলিশের একটি টিম হালিশহর পুলিশ লাইন থেকে অভিযুক্ত এসআই রায়হানকে আটক করেছে বলে জানান পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা। অভিযুক্ত এসআই রায়হান খাগড়াছড়ি থানায় কর্মরত ছিলেন।
এর আগে দুপুরে অভিযুক্ত এসআই রায়হান মুঠোফোনে জানান, এ ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কিছুদিন আগে তার একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন চুরি হয়। এ বিষয়ে তিনি সীতাকুণ্ড মডেল থানায় একটি জিডি করেছেন। বিষয়টি নিয়ে এজাহারকে তিনি শুধু জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।