চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেন করার দাবিতে অবরোধ
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেন করার দাবিতে সাতকানিয়ার কেরানীর হাট, চন্দনাইশ, লোহাগাড়া ও চকরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে এই অবরোধ কর্মসূচি চলার পর বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষোভকারীরা।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এসব এলাকায় স্থানীয়রা বিভিন্ন ব্যানার, পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে সড়কে জড়ো হন। এরপর তারা মহাসড়কে অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। হঠাৎ সড়ক অবরোধে বিপাকে পড়ে হাজারো যাত্রী।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, দেশের অন্যতম ব্যস্ত এই মহাসড়কটি এখন ‘মৃত্যুফাঁদে’ পরিণত হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটছে। তাদের অভিযোগ, বিভিন্ন সময়ে সড়ক প্রশস্তকরণ ও আধুনিকায়নের আশ্বাস মিললেও বাস্তবে কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি।
স্থানীয়দের দাবি, শুধু সাতকানিয়ার মানুষের যাতায়াতই নয়, দেশের অর্থনীতি, পর্যটন এবং কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা পৌঁছানো—সবকিছুর জন্যই এই সড়ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন লাখো মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। অথচ বহু অংশ এখনো অত্যন্ত সরু, কোথাও কোথাও পাড়ার গলির চেয়েও কম প্রশস্ত। জাঙ্গালিয়ার অংশটি ঢালু ও আঁকাবাঁকা হওয়ায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়ে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, রাতে লবণবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে যায়। এতে দুর্ঘটনা আরও বেড়ে যায়। এরপরও দফায় দফায় আশ্বাস মিললেও দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন হয়নি।
এর আগে, গত ৬ এপ্রিল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে স্মারকলিপি দেন বিক্ষোভকারীরা। ১১ এপ্রিল সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের কাছেও স্মারকলিপি দেওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় স্থানীয়রা আবারও আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান।
সকালের অবরোধে মহাসড়কের দুই দিকে শতাধিক যানবাহন আটকে পড়ে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভ আরও জোরালো হয়। পরে বেলার ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন চৌধুরী জানান, অবরোধের খবর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
৪ দিন আগে
চট্টগ্রামে গ্যাস সিলিন্ডারের গুদামে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ১০
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় গ্যাস সিলিন্ডারের গুদামে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ জন শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার বৈলতলী ইউনিয়নের চরপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, মাহবুবুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ীর গ্যাসের দোকানে গ্যাস সিলিন্ডারের বোতল আনলোড করার সময় এক শ্রমিকের সিগারেটের আগুন থেকে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। পরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহত ১০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের কাঁচাবাজারে ভয়াবহ আগুন, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা
আহতরা হলেন— দোকান মালিক মাহবুবুর রহমান (৪৫), শ্রমিক মো. সৌরভ রহমান (২৫), মোহাম্মদ কফিল (২২), মোহাম্মদ রিয়াজ (১৭), মোহাম্মদ ইউনুস (২৬), মোহাম্মদ আকিব (১৭), মো. হারুন (২৯), মোহাম্মদ ইদ্রিস (৩০), মোহাম্মদ লিটন (২৮) ও মোহাম্মদ ছালে (৩৩)।
ফায়ার সার্ভিস চন্দনাইশ স্টেশনের কর্মকর্তা সাবের হোসেন জানান, আগুন নির্বাপণ করা হয়েছে। তারা অগ্নিদগ্ধ দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। এর আগে, এলাকাবাসী আরও কয়েকজনকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে যায়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে জানানো হবে।
চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক (এসআই) আশিকুল ইসলাম জানান, অগ্নিদগ্ধ কয়েকজনকে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর ৫ থেকে ৬ জনকে ঢাকায় পাঠানো হবে।
৭৮ দিন আগে
‘আপত্তিকর’ ফেসবুক পোস্ট নিয়ে হাটহাজারীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ‘আপত্তিকর’ পোস্টকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। এ ছাড়া পোস্ট করা যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আরিয়ান ইব্রাহিম নামে এক যুবক চট্টগ্রামের আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসার সামনে দিয়ে মিছিল চলাকালে অবমাননাকর অঙ্গভঙ্গি করে ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে মাদরাসার শিক্ষার্থী ও কওমি লোকজন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান।
আরও পড়ুন: ফেনীতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
পরে এক ভিডিওবার্তায় ইব্রাহীম নিজের কর্মকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষুব্ধ মাদরাসা শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম–খাগড়াছড়ি মহাসড়ক অবরোধ করেন এবং কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন।
এ সময় মাইকে ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার ও সড়ক ছেড়ে মাদরাসায় ঢুকে যাওয়ার আহ্বান জানায় মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। এরপরও কয়েক ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার পর মাদরাসা কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে সরে যান শিক্ষার্থীরা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মুমিন ইউএনবিকে জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মিরেরহাট থেকে এগারোমাইল সাবস্টেশন পর্যন্ত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে, যা রবিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
ইউএনও আরও বলেন, বর্তমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে রবিবার বিকেল পর্যন্ত নির্ধারিত এলাকায় যেকোনো ধরনের সমাবেশ, মিছিল বা বিক্ষোভ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
৮৯ দিন আগে
চট্টগ্রামে জশনে জুলুস র্যালিতে অংশ নিয়ে নিহত ২
চট্টগ্রামে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত জশনে জুলুস র্যালিতে অংশ নিয়ে দুজন নিহত হয়েছেন। এদের একজন ভিড়ের চাপে, অন্যজন একটি সেতু ভেঙে পড়ে মারা গিয়েছেন। এ সময় আরও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সোয়া দুপুর ১২টার দিকে নগরীর মুরাদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে মো. মাহফুজ (৩৫) নামের একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা এবং মৃত শামসুল আলমের ছেলে। আহতদের মধ্যে ছয়জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশিক জানান, আজ (শনিবার) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নগরীর মুরাদপুর এলাকায় প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে মাহফুজ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর ভিড়ে পদদলিত হয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে বাস দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ৫
অপরদিকে, মোহাম্মদপুর ষোলশহর এলাকায় মানুষের ভিড়ে একটি ছোট ব্রিজ ভেঙে পড়ে একজন নিহত ও কমপক্ষে দশজনের মতো আহত হয়েছেন।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান জানান, জসনে জুলুস শেষ করে লোকজন চলে যাওয়ার সময় মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি ব্রিজ ভেঙে পড়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে হাসপাতালে নেওয়ার পর একজনের মৃত্যু হয়েছে।’
৮৯ দিন আগে
১৯টি বগি পটিয়ায় রেখেই চলে গেল পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন
কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনের বাফার হুক ও হোস পাইপ ভেঙে ইঞ্জিন থেকে ১৯টি বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মাঝপথে বগিগুলো রেখেই চট্টগ্রাম পৌঁছে যায় ইঞ্জিন। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পটিয়ার কমলমুন্সির হাট স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাত ১১টা পর্যন্ত বগিগুলো রেললাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। পরে চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী থেকে উদ্ধারকারী ইঞ্জিন পাঠানো হয়।
ট্রেনটিতে প্রায় ৯০০ যাত্রী ছিলেন। হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও দীর্ঘ সময় ভোগান্তির শিকার হন তারা। অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়লেও শেষ পর্যন্ত বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দর এলাকায় ট্রেন লাইনচ্যুত, ঢাকামুখী ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনটি কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসার পর কমল মুন্সির হাট স্টেশনে পৌঁছালে ইঞ্জিনের বাফার হুক ও হোস পাইপ ভেঙে যায়। এতে বগিগুলো থেকে ইঞ্জিন আলাদা হয়ে যায়। এ সময় চালক ইঞ্জিন নিয়ে চট্টগ্রামের দিকে চলে যান, আর যাত্রীবাহী বগিগুলো স্টেশনেই দাঁড়িয়ে থাকে। পরে বগিগুলোকে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে রাত ১১টার দিকে পাহাড়তলী থেকে উদ্ধারকারী ইঞ্জিন পাঠানো হয়।
পটিয়া রেল স্টেশনের মাস্টার মোহাম্মদ পাভেল জানান, উদ্ধারকারী ইঞ্জিন পৌঁছালে যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
এর আগে, গত ২৬ জুলাই কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের গার্ড ব্রেক বগির হুক ভেঙে গিয়ে মূল ট্রেন থেকে বগিটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার গোমদণ্ডী স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রায় ৩০ মিনিট ট্রেনটি সেখানে আটকে ছিল। পরে বিচ্ছিন্ন বগি ফেলে মূল ট্রেন চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
একের পর এক এ ধরনের ঘটনায় রেলওয়ের যান্ত্রিক ত্রুটি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীরা।
৯৪ দিন আগে
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
চট্টগ্রাম মহানগরীতে সন্ত্রাসীর ছুরিকাঘাতে পিন্টু (৩৪) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
শনিবার (৩০ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টার দিকে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন হিলভিউ আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য পিন্টুকে ছুরিকাঘাত করেন। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত, গুরুতর আহত ১
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বলেন, ছুরিকাঘাতে একজনকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে হাসপাতাল থেকে জানতে পারি, ওই ব্যক্তি মারা গেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।
এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
৯৬ দিন আগে
ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় চট্টগ্রামের মেগা সড়ক প্রকল্পে বিলম্ব
ভূমি অধিগ্রহণের জটিলতায় কাজ আটকে যাওয়ায় চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু থেকে চাকতাই খাল পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়েছে সরকার। প্রায় ৮২ শতাংশ কাজ সম্পন্ন এবং ২ হাজার ২০০ কোটি টাকার বেশি খরচ হওয়ার পরও ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে প্রকল্পটি এখন শেষ করতে নতুন সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
আবাসন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) বাস্তবায়নাধীন ২ হাজার ৭৭৯ কোটি ৩৯ লাখ টাকার এ প্রকল্প অনুমোদন হয়েছিল ২০১৭ সালের জুলাইয়ে। প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের জুনে। তবে একের পর এক সময় বাড়াতে গিয়ে ইতোমধ্যে চার দফায় সময়সীমা পেছানো হয়েছে। প্রথমে ২০২১ সালে, এরপর ২০২২ সালে, ২০২৪ আরও একবার, তারপর ২০২৫ সালে আরও এক দফায় মেয়াদ বৃদ্ধি করে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্য দেওয়া হয়েছে। অবশ্য সর্বশেষ মেয়াদ বাড়লেও ব্যয় বাড়ানো হয়নি।
সরকারি নথি অনুযায়ী, ভূমি অধিগ্রহণে দেরি এবং কারিগরি জটিলতার কারণে একাধিকবার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। প্রকল্পটির প্রাথমিক অনুমোদনের সময় ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ হাজার ২৭৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। পরে প্রথম সংশোধনে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ৩১০ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এরপর দ্বিতীয় সংশোধনে তা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ৭৭৯ কোটি ৩৯ লাখ টাকায়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রকল্পটি চাকতাই, খাতুনগঞ্জ, বকশিরহাট, বাকলিয়া, চান্দগাঁও ও কালুরঘাট শিল্পাঞ্চলকে জোয়ারের পানি ও বন্যার ঝুঁকি থেকে সুরক্ষিত রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। পাশাপাশি ঢাকা-চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সংযোগ তৈরি করে যানজট নিরসন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং প্রস্তাবিত আউটার রিং রোডের অংশ হিসেবে শহরকে জোয়ারের পানির আক্রমণ থেকে রক্ষাই এর লক্ষ্য।
চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত দৃশ্যমান কাজের ৮২ শতাংশ এবং ব্যয়ের প্রায় ৭৯ শতাংশ (২ হাজার ২০৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা) শেষ হলেও ভূমি ক্রয়ের অর্থ ছাড়ে জটিলতা দেখা দেওয়ায় ২ কিলোমিটার সড়ক ও দুটি রেগুলেটর নির্মাণ আটকে আছে।
প্রকল্পের আওতায় দেড় কিলোমিটার বাঁধ-কাম-সংযুক্ত সড়ক, ১২টি খালের মুখে ১২টি রেগুলেটর, স্লোপ প্রটেকশন, রিটেইনিং ওয়াল ও নৌপথ নির্মাণের কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের খাল খনন প্রকল্পে আবারও সংশোধন, খরচ কমল ১৯.৪০ কোটি টাকা
দ্বিতীয় সংশোধিত ডিপিপি ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট একনেকে অনুমোদিত হয়। বাকি কাজের দরপত্র ২০২৩ সালের জুলাইয়ে অনুমোদন পায় এবং ওই মাসেই চুক্তি সই হয়। কিন্তু ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে অর্থ মন্ত্রণালয় ভূমি অধিগ্রহণ খাতে বরাদ্দ আটকে দেওয়ায় ক্ষতিপূরণ পরিশোধ হয়নি, ফলে কাজও স্থগিত থাকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা জানান, ‘অবশিষ্ট ভূমি অধিগ্রহণের অর্থ ছাড়ের জন্য বর্তমানে ডিপিপি সংশোধনের কাজ চলছে।’
তিনি বলেন, ‘নির্ধারিত সময়সীমা ২০২৫ সালের জুন শেষ হলেও প্রকল্প শেষ করার জন্য এক বছর বাড়িয়ে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে অতিরিক্ত কোনো ব্যয় বাড়ানো হয়নি এবার।’
নির্ধারিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী বাকি সব কাজ শেষ করা এবং প্রকল্প সমাপ্তির তিন মাসের মধ্যে সমাপনী প্রতিবেদন জমা দেওয়ার শর্তে নতুন সময়সীমা অনুমোদন করেছে বাস্তবায়ন তদারকি ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)। এ ছাড়া অবশিষ্ট ২ কিলোমিটার ভূমি অধিগ্রহণ দ্রুত শেষ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
৯৬ দিন আগে
চট্টগ্রামে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু
চট্টগ্রামে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে পটিয়া উপজেলার আশাই ইউনিয়নের একটি বাড়িতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সোলাইমান চৌধুরীর ছেলে মো. নাজিম (২৪) এবং আব্দুল আলীমের ছেলে মো. তারেক (২০)।
তারা উপজেলার আশাই ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং পেশায় রাজমিস্ত্রি।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় চাচাতো ভাইয়ের কোপে বাবা-ছেলের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সকাল ৯টার দিকে ইউনিয়নের দক্ষিণ আশিয়া এলাকার ডিলার আহমেদের বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ পরিত্যক্ত অবস্থায় ট্যাংকটি পরিষ্কার করতে তারা দুজনে নেমেছিলেন।
দীর্ঘক্ষণ ট্যাংকের ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন এবং তারা লাশগুলো উদ্ধার করেন।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুজ্জামান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১০০ দিন আগে
চট্টগ্রামের খাল খনন প্রকল্পে আবারও সংশোধন, খরচ কমল ১৯.৪০ কোটি টাকা
বছরের পর বছর দেরি আর একের পর এক সংশোধনের পরও এখনো আলোর মুখ দেখেনি চট্টগ্রামের ভয়াবহ জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রত্যাশিত বহদ্দারহাট-বারইপাড়া খাল খনন প্রকল্প। তৃতীয়বারের মতো আবারও প্রকল্পটিতে সংশোধন করা হয়েছে। তবে এবার ব্যয় কমিয়ে আনা হয়েছে ১৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
পরিকল্পনা কমিশনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে (সিসিসি) বাস্তবায়িত এ প্রকল্পের খরচ এখন দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৪৩ কোটি ২১ লাখ টাকা। দ্বিতীয় সংশোধনে এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৩৬২ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
২০১৪ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই প্রকল্পটি প্রথম অনুমোদন পায়। সে সময় ব্যয় ধরা হয় ৩২৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এরপর একাধিকবার সংশোধনের কারণে প্রকল্পটি বিলম্বের শিকার হয়। সর্বশেষ সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত।
প্রকল্পটির লক্ষ্য হলো খাল খননের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসন, খালের দুই পাশে সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত করা, যানজট কমানো এবং হাঁটার পথ তৈরির মাধ্যমে নগরবাসীর জন্য বিনোদনের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিতে ব্যাপক জলাবদ্ধতা, জনদুর্ভোগ চরমে
কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেও গত এক দশকের বেশি সময় ধরে নানা ড্রেনেজ প্রকল্প হাতে নিলেও বর্ষাকালে চট্টগ্রাম নগরীতে এখনও ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ১৯৯৫ সালের ড্রেনেজ মাস্টার প্ল্যানে খালটির সুপারিশ করা হলেও গত ৩০ বছরে তা বাস্তবায়িত হয়নি। অসামঞ্জস্যপূর্ণ উদ্যোগ, প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি, দুর্বল নগর পরিকল্পনা এবং জনসচেতনতার অভাবে জলাবদ্ধতার এই সমস্যা শহরবাসীর জন্য দীর্ঘমেয়াদি ভোগান্তিতে পরিণত হয়েছে।
মাস্টার প্ল্যানে বৃষ্টির পানি দ্রুত অপসারণে বিদ্যমান প্রাকৃতিক খাল সংস্কার, নতুন খাল খনন এবং পানি ধরে রাখার জন্য পুকুর খননের সুপারিশ করা হয়েছিল।
পরবর্তীতে ২০১৮ সালের নভেম্বরে একনেক সভায় প্রকল্পটির প্রথম সংশোধন অনুমোদিত হয়। সংশোধনে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। এ সময় এক লাফে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে হয়ে যায় ১ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। পরে করোনা মহামারির কারণে সময়সীমা ফের ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
দ্বিতীয় সংশোধন অনুমোদন হয় ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি। প্রকল্প ব্যয় ৮ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে তখন ১ হাজার ৩৬২ কোটি ৬২ লাখ টাকা হয়। সে সময় ২০২৬ সালে জুন মাস পর্যন্ত প্রকল্প শেষ হওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়।
পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, নতুন সংযোজন থাকা সত্ত্বেও ব্যয় কমানো সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে খনন যন্ত্রপাতি রাখার জন্য মেইনটেন্যান্স ইয়ার্ড এবং দুর্ঘটনা এড়াতে সাড়ে ৫ হাজার মিটার ওয়াকওয়ের পাশে রেলিং স্থাপন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ব্যর্থতার মূল্য: মেগা প্রকল্পের পরও জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ
সংশোধিত নকশায় খালের দুই পাশের সড়কগুলোতে টেকসই রিইনফোর্সড সিমেন্ট কংক্রিট (আরসিসি) ব্যবহার করা হবে, যাতে এক্সকাভেটর ও ডাম্প ট্রাকের মতো ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারে।
২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৮৫ শতাংশ এবং ভৌত অগ্রগতি ৯৩ দশমিক ১৪ শতাংশ।
প্রকল্পটি শেষ হলে চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে এবং নগরবাসীর জীবনমান উন্নত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
১০১ দিন আগে
চট্টগ্রামে যুবলীগ নেতা বাবর ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাতক আলোচিত যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর ও তার স্ত্রী জেসমিন আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
প্রায় ৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে চট্টগ্রামের আলোচিত যুবলীগ নেতা বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারি পরিচালক মো নওশাদ আলী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ।
অভিযোগে এজাহারে বলা হয়েছে, বাবরের স্ত্রী জেসমিন আক্তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ১ কোটি ৮৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন এবং ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। এসব সম্পদ অর্জনে সরাসরি সহযোগিতা করেছেন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ কর্মকর্তা কারাগারে
দুদকের অভিযোগ অনুযায়ী, জেসমিন আক্তার দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অপরাধ করেছেন। আর স্বামী বাবর সহযোগী হিসেবে দণ্ডবিধি ১০৯ ধারার আওতায় অভিযুক্ত।
বাবর চট্টগ্রামের রাজনীতিতে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ঘনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তবে তার পরিচিতি তিনি পুলিশ ও র্যাবের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে। কোটি টাকার রেলের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, আধিপত্য বিস্তার আর একের পর এক খুনের ঘটনায় তার নাম বহুবার শিরোনাম হয়েছে।
২০১৩ সালের ২৪ জুন রেলের টেন্ডার নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাবরের অনুসারী ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল আলম লিমনের অনুসারীদের সংঘর্ষে এক শিশুসহ দুজন নিহত হয়। এই জোড়া খুন মামলায় গ্রেপ্তারের পর তাকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
তার বিরুদ্ধে রাউজানের আকবর-মুরাদ হত্যা, বিএনপিকর্মী আজাদ হত্যা, মির্জা লেনের ডাবল মার্ডার, সিটি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা আশিক হত্যা, তামাকুমুণ্ডি লেনে রাসেল হত্যা, ষোলশহরে ফরিদ হত্যা এমন ডজনখানেক হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।
২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সন্ত্রাসী অসীম রায় বাবু নিহত হওয়ার পর বাবর দুবাই পালিয়ে যান। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেশে ফিরে আসলেও, ২০১৯ সালের মে মাসে চট্টগ্রাম কারাগারে সন্ত্রাসী অমিত মুহুরী খুন হওয়ার পর তিনি আবার বিদেশে পালান। পরে শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের ছায়ায় দেশে ফিরে ফের সক্রিয় হন রাজনীতিতে।
২০ ২৪ এর জুলাই আন্দোলনের সময় ছাত্র জনতার বিরুদ্ধে বাবর ও তার সহযোগীদের প্রকাশ্যে রাস্তায় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত এবং ছাত্রদের উপর হামলা করতে দেখা গেছে। এমনি একাধিক মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সে আবার দুবাই পালিয়ে যায়।
১০৬ দিন আগে