চট্টগ্রাম
বিএনপিকে যারা থামাতে গিয়েছে, তারাই ধ্বংস হয়েছে: আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপিকে যারা যখনই থামাতে গিয়েছে, তখনই তারা ধ্বংস হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি আজ কোথায়, আর যারা বিএনপিকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল তারা আজ কোথায়?
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকালে চট্টগ্রামের ষোলশহরের বিপ্লব উদ্যানে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিপ্লব উদ্যান থেকে কালুরঘাট অভিমুখী যুব পদযাত্রার আয়োজন করে কেন্দ্রীয় যুবদল।
আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে সমাবেশ করেছে বিএনপি
তিনি বলেন, বিগত দিনগুলোতে আমরা রাজপথে রক্ত দিয়েছি, জেলে গিয়েছি, অনেক নেতাকর্মীসহ অনেক কিছুই হারিয়েছি জীবনে। কিন্তু একটা জায়গায় ভালো কাজ করেছি। বিএনপির নেতাকর্মীরা জ্বলে পুড়ে খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে। এজন্য বিএনপিকে ভাঙতে পারে নাই। বিএনপি আজ অনেক শক্তিশালী।
আমীর খসরু বলেন, আবারও বলছি, বিএনপিকে থামানোর চেষ্টা করবেন না। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মাধ্যমে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের সরকার, তাদের সংসদ দেখতে চায়। এটা বাধাগ্রস্ত করার কোনো সুযোগ নেই। বিএনপির জন্য বিগত দিনে অনেক ত্যাগ শিকার করেছি, প্রয়োজনে আবার ত্যাগ শিকার করতে আমরা রাজি আছি।
দেশের রাজনীতি কেমন হবে তার সিদ্ধান্ত জনগণ নেবে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। কেউ বলে দিতে পারে না আগামী দিনের বাংলাদেশের রাজনীতি কী হবে! এ সিদ্ধান্ত দেবে বাংলাদেশের জনগণ। এ সিদ্ধান্ত অন্য কেউ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
জনগণের সিদ্ধান্ত অন্য কেউ দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, জনগণের সিদ্ধান্ত অনেকে অনেকবার দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবও চেষ্টা করেছিলেন, তিনি কি সফল হয়েছেন? এরপর এরশাদ চেষ্টা করেছিল, শেখ হাসিনা চেয়েছিল, তারা কি পেরেছে? তাই সেদিকে না গিয়ে বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্ত তাদের দিতে দেন।
কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়নের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থানে আহতদের বিদেশে চিকিৎসার দাবি বিএনপির
৫ দিন আগে
চট্টগ্রামে দুটি বেকারি ও একটি গ্যারেজে আগুন
চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলীতে আগুনে পুড়ে গেছে দুটি বেকারি ও একটি গ্যারেজ। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে সরাইপাড়া তালুকদার নগরের একটি বেকারিতে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।
আরও পড়ুন: খুলনায় পাটের বস্তার গুদামে আগুন, কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি
তিনি জানান, রাত ১টার দিকে আগুন লাগার খবর আসে। এরপর আগ্রাবাদ ও বন্দর স্টেশনের পাঁচটি ইউনিট দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আগুনে দুটি বেকারি ও একটি গ্যারেজ সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে বলে জানান তিনি।
ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বরত অপারেটর জানান, রাত ১টা ৫৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এখনও পুরোপুরি নিভেনি। ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে। বেকারি থেকে আগুন আশপাশের কয়েকটি ছোট ঘরে ছড়িয়ে পড়েছিল।
আরও পড়ুন: আরিচায় বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজার পাইপে আগুন
৫ দিন আগে
চট্টগ্রামে পর্যটন কেন্দ্রে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ১
বন্ধুদের নিয়ে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের পর্যটন কেন্দ্র মহামায়া লেকে ঘুরতে গিয়ে এক তরুণী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি রিয়াজউদ্দিনকে (২৮) শুক্রবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় খালাস পেলেন মামুনুল হক
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলা ও ফেনী সদর থেকে বন্ধুদের নিয়ে মহামায়া পর্যটন কেন্দ্রে বেড়াতে যান ওই তরুণী।
এসময় তারা ইকোপার্কের মহামায়া লেকের গহীনে গেলে কয়েকজন বখাটে যুবক তরুণীর বন্ধুদের আটকে রেখে ওই তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন।
পরে তারা বিষয়টি জানালে নিরাপত্তা কর্মীরা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের বলেন, বখাটেদের ব্যবহার করা মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
এছাড়া রিয়াজউদ্দিন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের আসামি গ্রেপ্তার
১ সপ্তাহ আগে
সংস্কার শেষে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলো কালুরঘাট সেতু
সংস্কার শেষে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলো চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি দূর হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) সেতুর দুই পার দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়। সেতু দিয়ে ৮ ফুট উচ্চতার বেশি যানবাহন চলাচল করতে পারবে না।
শুরুতে এই সেতু দিয়ে টোল ছাড়াই যানবাহন চলাচল করলেও পরে টোল যুক্ত করা হবে। এছাড়া, ভারী যানবাহন চলাচল রোধে সেতুর প্রবেশমুখে উচ্চতা প্রতিবন্ধকতা দেওয়া হয়েছে। এদিকে সেতুতে যান চলাচলের পাশপাশি পথচারীদের জন্য নতুন করে ওয়াকওয়ে যুক্ত করা হয়েছে। তবে এর ফলে যান চলাচলে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু-শরীয়তপুর চার লেন সংযোগ সড়কের কাজে ধীরগতি, ভোগান্তি চরমে
জানা গেছে, ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বার্মা ফ্রন্টের সৈন্য পরিচালনার জন্য ১৯৩০ সালে কর্ণফুলী নদীতে একটি আপদকালীন সেতু নির্মাণ করা হয়। ব্রুনিক অ্যান্ড কোম্পানি ব্রিজ বিল্ডার্স হাওড়া নামে একটি প্রতিষ্ঠান ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে ৭০০ গজের সেতুটি তৈরি করে। দৈর্ঘ্য ২৩৯ মিটার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে মোটরযান চলাচলের জন্য সেতুতে ডেক বসানো হয়। ১৯৫৮ সালে এই এক লেনের সেতুটিই সব ধরনের যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
উদ্বোধনের ৩১ বছর পর ১৯৬২ সালে জনগণের দুর্ভোগ বিবেচনা করে সেতুটিতে পাটাতন স্থাপন ও কার্পেটিং করে এটিকে রেলসেতুর পাশাপাশি একটি সড়ক সেতুতে রূপান্তর করা হয়। ২০০১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে কালুরঘাট রেল ও সড়ক সেতুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এবং বিগত সরকার প্রস্তাবিত চীন, মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে রেল নেটওয়ার্ক স্থাপন এবং কর্ণফুলী নদীর ওপর পুরানো কালুরঘাট রেল সেতু ভেঙে নতুন করে রেল ও সড়ক সেতু নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছিল রেলপথ মন্ত্রণালয়। সেতুটি গেল সরকারের মেগা প্রকল্প দোহাজারী-ঘুমধুম রেললাইনের অন্তর্ভুক্ত।
এরপর প্রকল্প অনুসারে ২০২০ সালের শুরুতে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, অর্থ ছাড়ে জটিলতা, বৃষ্টিসহ নানা প্রতিবন্ধকতায় সেতুর সংস্কারকাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে পারেনি। অবশেষে কারিগরি সব দিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রবিবার সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে।
গত ২০ সেপ্টেম্বর বিকেলে কালুরঘাট রেল সেতু সংস্কার কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন রেল সচিব আবদুল বাকী। সে সময় তিনি বলেছিলেন, সংস্কার শেষ হলেই যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।
এ বিষয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেন, কালুরঘাট সেতুর সংস্কারকাজ শেষ হয়েছে। রবিবারে সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দিতে বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দল গাড়ি চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রায় ৩ মাস পর ভেসে উঠল রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু
৩ সপ্তাহ আগে
চট্টগ্রামে টায়ার কারখানায় আগুন
চট্টগ্রামের হালিশহর থানায় একটি টায়ার কারখানায় আগুন লেগেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সোয়া ৯টার দিকে হালিশহর নয়াবাজার মৌসুমি আবাসিক এলাকায় মাদ্রাসার পেছনে ওই কারখানায় আগুনের সূত্রপাত হয়।
ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের চেষ্টায় পৌনে ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
তবে কীভাবে আগুন লেগেছে তা এখনও জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রাম উপপরিচালক আব্দুল মালেক জানান, ‘আমরা ৯টা ২৫ মিনিটে খবর পেয়েছি। আমাদের ৫টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দিয়েছে। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে তা এখনও জানা যায়নি।’
৪ সপ্তাহ আগে
চট্টগ্রামে হাতির আক্রমনে নারী নিহত
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বন্যহাতির আক্রমণে হালিমা খাতুন (৬০) নামে এক নারীরর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) উপজেলার বটতলী পুরাতন আশ্রয়ণ প্রকল্পের পেছনের পাহাড়ে নিহতের বৃদ্ধার শরীরের খন্ড খন্ড অংশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কোরিয়ান ইপিজেডে হাতির সুরক্ষায় বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন
এর আগের সোমবার (২১ অক্টোবর) রাতে বন্যহাতির আক্রমণের শিকার হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
নিহত হালিমা খাতুন উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের চুন্নাপাড়া গ্রামের মৃত ছৈয়দ নুরের স্ত্রী৷ ৭ ছেলে নিয়ে জীবনযাপন করতেন তিনি।
স্থানীয়রা জানায়, হালিমা সোমবার রাতে আশ্রয়ন প্রকল্পের পাশে এক প্রতিবেশীর বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে বন্যহাতির আক্রমণে মৃত্যু হয় তার। তবে ঘটনাস্থল নির্জন জায়গায় হওয়ায় হাতির আক্রমণে মৃত্যুর কথা কেউ জানেনি। দীর্ঘরাত পেরিয়ে সকালে স্থানীয়রা পাহাড়ের পাশে তার শরীরের টুকরো টুকরো অংশ দেখে সন্তানদের জানায়।
নিহতের বড় ছেলে মো শাহাব উদ্দিন বলেন, হাতির আক্রমণে আমার মায়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। রাতে হাতির মারাত্মক আক্রমণে শরীর টুকরো টুকরো হয়ে যায়। তবে রাতে মায়ের মৃত্যু হলেও আমরা জেনেছি সকালে।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইশতিয়াক ইমন বলেন, ‘হাতির আক্রমণে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পরিবারকে সরকারি নিয়ম অনুসারে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু অর্থায়নকে ক্ষমতায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা উচিত: পরিবেশ উপদেষ্টার
৪ সপ্তাহ আগে
চট্টগ্রামে যুবককে গুলি করে হত্যা
চট্টগ্রামে দুর্বৃত্তের গুলিতে আফতাব উদ্দিন তাহসীন নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকাল ৫টার দিকে মহানগরীর চান্দগাঁও থানাধীন শমসের পাড়া মেডিকেল কলেজের অদূরে চান্দগাঁও বানিয়ারা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলিতে নিহত একই পরিবারের ৩ জন
নিহত তাহসীন চান্দগাঁও থানাধীন হাজীরপুলের মোহাম্মদ মুসার ছেলে।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) মো. সবেদ আলী বলেন, চান্দগাঁও থানাধীন বাইন্নার পোল দক্ষিণ বাড়ির সামনে কয়েকজন দুর্বৃত্তরা মিলে তাহসীন গুলি করে আহত করে। চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ জরুরি বিভাগের লাশঘরে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি, মেঘনায় জেলেদের হামলায় ইউএনওসহ আহত ৫
১ মাস আগে
চট্টগ্রামে কোরিয়ান ইপিজেডে হাতির সুরক্ষায় বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন
পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের উদ্যোগে চট্টগ্রামে কোরিয়ান ইপিজেড এলাকার হাতির সুরক্ষায় বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে মানুষ-হাতির দ্বন্দ্ব নিরসনে করণীয় বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে দাখিল করবে এই কমিটি।
আর পড়ুন: জলবায়ু অর্থায়নকে ক্ষমতায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা উচিত: পরিবেশ উপদেষ্টার
সোমবার (২১ অক্টোবর) উপদেষ্টার সঙ্গে ইপিজেডের প্রেসিডেন্ট, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এ বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক করে গঠিত এ বিশেষজ্ঞ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মনিরুল এইচ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম, আইইউসিএনের প্রতিনিধি, কোরিয়ান ইপিজেডের দুইজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন অভয়ারণ্যের রুবাইয়া আহমেদ এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা।
চট্টগ্রাম বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
আর পড়ুন: হাতি সংরক্ষণে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নেবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
বাচাঁনো গেল না চট্টগ্রামে ট্রেনের ধাক্কায় আহত হাতি শাবকটিকে
১ মাস আগে
চট্টগ্রাম ও সিলেটে ৪৫৪ জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ
চট্টগ্রাম ও সিলেটের বিভিন্ন আদালতে ৪৫৪ জন সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এর মধ্যে রয়েছে, সরকারি কৌঁসুলি (জিপি), অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি, সহকারী সরকারি কৌঁসুলি, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি), অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর, বিশেষ প্রসিকিউটর ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর।
নিয়োগপ্রাপ্ত ৪৫৪ জনের মধ্যে ৩৫১ জনকে চট্টগ্রামে এবং ১০৩ জনকে সিলেটের আদালতগুলোতে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাতে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অফিস থেকে এ সম্পর্কিত দুটি নিয়োগ আদেশে জারি করা হয়।
উপসলিসিটর (জিপি-পিপি) সানা মো. মাহরুফ হোসাইনের সই করা পৃথক নিয়োগ আদেশে বলা হয়, বর্ণিত দুটি জেলার জেলা ও দায়রা জজ আদালত, মহানগর দায়রা জজ আদালত, এদের অধীন আদালতসমূহ, বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত এবং বিভিন্ন পর্যায়ের ট্রাইব্যুনালে আগে নিয়োগ দেওয়া সব আইন কর্মকর্তার নিয়োগ আদেশ বাতিল করা হয়েছে। নতুন নিয়োগ আদেশের ছকে বর্ণিত আইজীবীদের তাদের পেশাগত দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও সততা সম্পর্কে স্ব-স্ব জেলার জেলা ও দায়রা জজ ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ৪৯২ ধারা এবং দ্য লিগ্যাল রিমেমব্রেন্সার্স ম্যানুয়াল, ১৯৬০ এর ২ নম্বর অধ্যায়ের ১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সাময়িকভাবে নিয়োগ দেওয়া হলো।
এই নিয়োগ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
১ মাস আগে
বাচাঁনো গেল না চট্টগ্রামে ট্রেনের ধাক্কায় আহত হাতি শাবকটিকে
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় চুনতি অভয়ারণ্য রেঞ্জ সংলগ্ন রেললাইনে ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত বাচ্চা হাতিটিকে বাঁচানো যায়নি।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাতিটির মৃত্যু হয়।
ডুলাহাজরা সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি কর্মকর্তা জুলকার নাইন বলেন, আহত হওয়ার পর থেকে হাতিটির বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অনেকটাই কম ছিল। তাছাড়া মাথায় আঘাত লেগে কান ও শুঁড় দিয়ে রক্তপাতও হয়েছে। পেছনের অংশ অবশ হয়ে যাওয়ায় দাঁড়াতে পারছিল না হাতিটি। গতকাল থেকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল কিন্তু তেমন একটা উন্নতি হয়নি। পরে বিকেলে হাতিটি মারা যায়।
আরও পড়ুন: ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত বন্য হাতি
ময়নাতদন্তের পর হাতিটি পুঁতে ফেলা হবে বলে জানান তিনি।
জুলকার নাইন আরও বলেন, হাতিটির চিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হয়েছিল। বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের চেষ্টার পরও গুরুতর আহত হাতিটিকে বাঁচানো যায়নি।
এর আগে গত ১৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকামুখী কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন চুনতি বন্যহাতি চলাচলের জন্য নির্মিত ওভারপাস অতিক্রম করছিল। এ সময় একটি বন্যহাতির পাল ওভারপাসের উত্তর পাশে রেললাইন পার হচ্ছে দেখে ট্রেনটির গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সব হাতি পার হতে পারলেও আনুমানিক ১০ বছর বয়সী একটি হাতি শাবক রেললাইনে থেকে যায়। সেই হাতিটি ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হয়।
আরও পড়ুন: বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে ট্রেনের ধাক্কায় আহত হাতির চিকিৎসা চলছে
১ মাস আগে