চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে চিন্ময়সহ ১৬৪ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা
হত্যা চেষ্টার অভিযোগে চট্টগ্রামে ইসকনের বহিষ্কৃত নেতা ও সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ১৬৪ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা হয়েছে।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিট্রেট আবু বকর সিদ্দিকের আদালতে ব্যবসায়ী এনামুল হক এই মামলা করেন। মামলাটি আমলে নিলেও তাৎক্ষণিক কোনো আদেশ দেননি আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন।
আরও পড়ুন: চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর: চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণ রণক্ষেত্র
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনাকে ঘিরে তার অনুসারীদের সঙ্গে আদালত চত্বরে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে চিন্ময়ের অনুসারীরা বিভিন্ন স্থাপনা ও গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় জমি রেজিস্ট্রি করতে আদালতে আসা ব্যবসায়ী এনামুলকে চিন্ময়ের সমর্থক দুর্বৃত্তরা বেধড়ক মারধর করলে তিনি মাথায় ও হাতে গুরুতর জখম হন।
এনামুল হকের অভিযোগ, তার মুখে দাড়ি ও মাথায় টুপি দেখে তাকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীরা হত্যার উদ্দেশ্যে ওই হামলা চালায়।
এদিকে, মামলার পরপরই চিন্ময়সহ বাকি আসামিদের বিচারের দাবিতে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেন আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন: ইসকনের বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ কারাগারে
১ সপ্তাহ আগে
চিন্ময় কাণ্ডে সুচিন্তা ফাউন্ডেশন নেত্রীসহ ২৯ জনের নামে মামলা
চট্টগ্রামে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনাকে ঘিরে আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ ও হত্যার ঘটনায় চট্টগ্রামের যুব মহিলা লীগ ও সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের নেত্রী জিন্নাত সোহানা চৌধুরীসহ ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) নগরের কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন মোহাম্মদ উল্লাহ চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি।
এ নিয়ে চট্টগ্রাম আদালতে পুলিশের ওপর আক্রমণের অভিযোগে তিনটি এবং আইনজীবী আলিফ হত্যার ঘটনায় মোট পাঁচটি মামলা হলো।
আরও পড়ুন: চিন্ময়ের জামিন শুনানি পেছাল
আসামিরা হলেন- চসিকের ৩২ নম্বর আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জহুর লাল হাজারী, ২১ নম্বর জামালখান ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, যুব মহিলা লীগ নেত্রী জিন্নাত সোহানা চৌধুরী, প্রবীর চন্দ্র পাল, ছাত্রলীগ নেতা শুভ কান্তি দাশ, মিঠুন, বিজয়, সমীর কান্তি দে, অন্ত, ওমর দাশ, রুবেল সরকার, সুজন সরকার, রিপন কান্তি নাথ, মোতালেব, মো. নান্নু মিয়া ওরফে পানি নান্নু, মো. আফাং মিয়া, সাদমান ফুয়াদ, আব্দুল কাইয়ুম নিজামী, কাজী তানভির, জাহিদ হাসান, শাহাদাত আহমেদ রিফাত, আবেদীন আল মামুন, মো. মুরাদ, মানস চৌধুরী সংগ্রাম, মো. রফিক, মো. ইমরান, মোল্লা আজগর আলী, সাইমুল হক কাজেমী ও মো. শাহজাহান।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম বলেন, এর আগে আলিফ হত্যার ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন মামলা করেন। ওই মামলায় ৩১ জনসহ অজ্ঞাত আরও ১৫ জনকে আসামি করা হয়। এছাড়া গত ২৭ নভেম্বর কোতোয়ালি থানা পুলিশ প্রায় ১ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করে তিনটি মামলা করে। আইনজীবী আলিফের ভাইও একটি মামলা করেন।
গত ২৫ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময়কে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরদিন ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের আদালতে হাজির করা হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ শুরু করেন চিন্ময়ের অনুসারীরা। টানা কয়েক ঘণ্টার বিক্ষোভ ও পুলিশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার একপর্যায়ে আইনজীবী আলিফকে হত্যা করা হয়। ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও স্থানীদের করা ভিডিও ফুটেজে হত্যার ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
আরও পড়ুন: ‘সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার’
২ সপ্তাহ আগে
চট্টগ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে প্রবাসীর মৃত্যু
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে সেকান্দর মামুন নামের এক প্রবাসী মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
রবিবার (২ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের ইত্যাদি চত্বর এলাকায় সংঘর্ষটি হয়।
মামুন সরফভাটার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং তার স্ত্রী ও দুই মেয়ে রয়েছে। এক মাস আগে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন তিনি।
আরও পড়ুন: মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, ৩০ নভেম্বর সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। এর জের ধরে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে দুই এলাকার লোকজনের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় মামুনের ওপর হামলা হলে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান তিনি।
আহতদের মধ্যে চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. শাহেদ বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মামুনের মৃত্যু হয়েছে।
দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, অস্ত্রের আঘাতে মামুনের মৃত্যু হয়। ঘটনার তদন্ত এবং জড়িতদের ধরতে অভিযান চালছে। পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে লাটাহাম্বারের চাপায় প্রতিবন্ধী নারীর মৃত্যু
২ সপ্তাহ আগে
ট্রেনে কাটা পড়ে চট্টগ্রামে নিরাপত্তা কর্মীর হাত বিচ্ছিন্ন
চট্টগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে আবু জাফর মুন্না নামে এক রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) সদস্যের হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এরপর আহত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু
চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি চট্টগ্রাম রেলস্টেশন প্রবেশের সময় কদমতলী রেললাইনে পা পিছলে পড়ে গেলে ট্রেনের ইঞ্জিনের নিচে পড়ে তার হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।’
২ সপ্তাহ আগে
চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফ হত্যায় ২ মামলা দায়ের
চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় তিন দিন পর দুইটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা ০৫ মিনিটে নগরীর কোতোয়ালী থানায় আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়। তবে মামলায় ইসকন নেতা চিন্ময় দাস কৃষ্ণের নাম না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আইনজীবী নেতারা।
এছাড়া আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের ওপর হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগে ১১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী আলিফের বড় ভাই খানে আলম।
হত্যা মামলার আসামিরা হলেন—নগরীর কোতোয়ালী থানার বান্ডেল রোড সেবক কলোনি এলাকার বাসিন্দা চন্দন, আমান দাস, শুভ কান্তি দাস, বুঞ্জা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত, রুমিত দাশ, নয়ন দাস, গগন দাস, বিশাল দাস, ওমকার দাস, বিশাল, রাজকাপুর, লালা, সামির, সোহেল দাস, শিব কুমার, বিগলাল, পরাশ, গণেশ, ওম দাস, পপি, অজয়, দেবী চরণ, দেব, জয়, দুর্লভ দাস, রাজীব ভট্টাচার্য্য প্রমুখ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ৩ মামলায় আসামি ১৪৭৬
মামলাগুলোর বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ।
হত্যা মামলার এজাহারে আলিফের বাবা অভিযোগ করেন, গত ২৬ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান আদালত। আদেশ প্রদানের পর আসামির পক্ষের ইসকনপন্থি আইনজীবীরা অশালীন ভাষায় মন্তব্য করেন এবং আদালতে হট্টগোল সৃষ্টি করেন। তখন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীরা প্রিজন ভ্যানের সামনে অবস্থান করে দায়িত্বরত পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা দেন।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লাঠিচার্জ করলে মসজিদসহ আইনজীবীদের ও সরকারি গাড়ি ভাঙচুর করেন তারা। একই দিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার ছেলে আইনজীবী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আলিফ বাসায় যাচ্ছিলেন। এ সময় তার মুখে দাড়ি দেখে আসামিরা তাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। এ সময় তারা বহিষ্কৃত ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নামে জয়ধ্বনী দেন।
স্থানীয় লোকজন ও ছেলের সহকর্মীদের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত শুনে তিনি জেনেছেন—ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ ও দলটির অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীর প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ইন্ধনে আসামিরা তার ছেলেকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ছেলের দাফন-কাফন ও জানাজা নামাজ সম্পন্ন করে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শেষে ঘটনার ভিডিও ও স্থিরচিত্র দেখে আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে থানায় গিয়ে এজাহার দায়ের করতে বিলম্ব হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিমুদ্দিন চৌধুরী ইউএনবিকে বলেন, ‘যাকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ডের সংঘটিত হয়েছে সেই ইস্কন নেতা চিনময় কৃষ্ণ দাস কে মামলায় আসামি করা হয়নি। তাকে কেন্দ্র করে সনাতনী সন্ত্রাসীরা আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করেছে। মামলায় তাকে প্রধান আসামি করার দাবি ছিল আমাদের। তাকে আসামি না করায় এই মামলা প্রত্যাখ্যান করছি আমরা।’
এর আগে, পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় কোতোয়ালী থানায় ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও প্রায় ১৪০০ জনকে আসামি করে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: আলিফ হত্যায় সিএমপি কমিশনারের পদত্যাগের দাবি চট্টগ্রামের আইনজীবীদের
৩ সপ্তাহ আগে
চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে শাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ
চট্টগ্রামে ইসকনের সমর্থকদের হাতে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাত ১০টায় শাহপরান হলের সামনে থেকে মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি নিয়ে প্রথমে বঙ্গবন্ধু হল এবং পরে ক্যাম্পাস ঘুরে প্রধান ফটকে এসে শেষ হয়।
মিছিল চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের ‘দিল্লি না ঢাকা,ঢাকা ঢাকা’ ‘ইসকনের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’ ‘ইসকন তুই স্বৈরাচার এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়,’ ‘আমার ভাই কবরে খুনি কেন বাহিরে’ আমার ভাই মরলো কেন প্রশাসন জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে অবাঞ্ছিত ও আজীবন নিষিদ্ধ সেই উর্মি!
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আজাদ শিকদারের সঞ্চাচলনায় বক্তব্য দেন ইংরেজি বিভাগের দেলোয়ার হোসেন শিশির, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পলাশ বখতিয়ার প্রমুখ।
আজাদ শিকদার বলেন, 'আপনারা যদি সত্যিই বিপ্লবী সরকার হয়ে থাকেন, তাহলে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোনো আপস করবেন না। ইসকনের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র রুখতে হলে দ্রুত এদের গ্রেপ্তার করতে হবে। ইসকনকে নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে কলঙ্কমুক্ত করতে হবে। অন্যথায় এদের ছাত্র সমাজ মোকাবিলা করবে।'
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন শিশির বলেন, 'আমরা সবসময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষে, কিন্তু ভারতের প্রেসক্রিপশনে যদি এই সম্প্রীতি ধ্বংসের পরিকল্পনা করা হয়- তাহলে এদেশের আপামর
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি ছাত্রলীগ সভাপতি খলিলুর গ্রেপ্তার
৩ সপ্তাহ আগে
চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যায় ড. ইউনূসের নিন্দা, তদন্তের নির্দেশ
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ ঘটনার তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ইউএনবিকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত ও অটুট রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই দেশের জনগণকে অপ্রীতিকর কর্মকাণ্ডে অংশ না নিয়ে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে বিনিয়োগকারীদের কাছে তুলে ধরুন: ব্যবসায়ীদের ড. ইউনূস
পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে চট্টগ্রামসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও ইসকনের বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে তার অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলাকালে সাইফুল ইসলাম আলিফ নামের ওই আইনজীবী নিহত হন।
নিহত আলিফ (৩৫) চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আদালতের নিচতলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা তাকে পার্শ্ববর্তী জঙ্গল সিনেমা লেনে নিয়ে গিয়ে মারধরের পর কুপিয়ে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: ব্যাপক শ্রম সংস্কারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ: অধ্যাপক ইউনূস
৩ সপ্তাহ আগে
চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিহত
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও ইসকনের বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে তার অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলাকালে সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন।
গুরুতর আহত অবস্থায় মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকালে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তৃপক্ষ মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আলিফ (৩৫) চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের জানান, দিদার নামের এক যুবক ওই আইনজীবীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের লাশ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের লাশ ঘরে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আদালতের নিচতলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা তাকে পার্শ্ববর্তী জঙ্গল সিনেমা লেনে নিয়ে গিয়ে মারধরের পর কুপিয়ে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর: চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণ রণক্ষেত্র
৩ সপ্তাহ আগে
চট্টগ্রামে নিশান সাফারি ব্র্যান্ডের একটি গাড়ি জব্দ
চট্টগ্রামে প্রায় ১০ কোটি টাকা সরকারি শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে নিশান সাফারি ব্র্যান্ডের একটি গাড়ি জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থা।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে নগরীর খুলশী থানা এলাকা থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়।
শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনায় গাড়িটির গায়ে 'নিশান সাফারি' মুছে দিয়ে 'নিশান পেট্রোল' লেখা হয়েছে বলে বলে কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. বিল্লাল হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নিশান সাফারি ব্র্যান্ডের একটি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। নগরীর পশ্চিম খুলশী ১ নম্বর রোডের রোজ ভ্যালির হাছান টাওয়ার-১-এ গাড়িটি পাওয়া যায়।’
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, মো. ওসমান গনি নামে এক ব্যক্তি অন্য একটি প্রতিষ্ঠান থেকে দেড় কোটি টাকায় গাড়িটি কিনেছেন। তার কাছ থেকে গাড়িটি কেনের মো. পারভেজ উদ্দিন।
গাড়িটির গায়ে নিশান পেট্রোল লেখা থাকলেও চেসিস নম্বর দিয়ে ওয়েবসাইটে সার্চ করে নিশান সাফারি পাওয়া যায় এবং গাড়িটিতে ৮২৭ শতাংশ অর্থাৎ আনুমানিক ১০ কোটি টাকা শুষ্ক-কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে বলে জানান এই কাস্টমস কর্মকর্তা।
৩ সপ্তাহ আগে
বিএনপিকে যারা থামাতে গিয়েছে, তারাই ধ্বংস হয়েছে: আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপিকে যারা যখনই থামাতে গিয়েছে, তখনই তারা ধ্বংস হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি আজ কোথায়, আর যারা বিএনপিকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল তারা আজ কোথায়?
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকালে চট্টগ্রামের ষোলশহরের বিপ্লব উদ্যানে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিপ্লব উদ্যান থেকে কালুরঘাট অভিমুখী যুব পদযাত্রার আয়োজন করে কেন্দ্রীয় যুবদল।
আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে সমাবেশ করেছে বিএনপি
তিনি বলেন, বিগত দিনগুলোতে আমরা রাজপথে রক্ত দিয়েছি, জেলে গিয়েছি, অনেক নেতাকর্মীসহ অনেক কিছুই হারিয়েছি জীবনে। কিন্তু একটা জায়গায় ভালো কাজ করেছি। বিএনপির নেতাকর্মীরা জ্বলে পুড়ে খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে। এজন্য বিএনপিকে ভাঙতে পারে নাই। বিএনপি আজ অনেক শক্তিশালী।
আমীর খসরু বলেন, আবারও বলছি, বিএনপিকে থামানোর চেষ্টা করবেন না। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মাধ্যমে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের সরকার, তাদের সংসদ দেখতে চায়। এটা বাধাগ্রস্ত করার কোনো সুযোগ নেই। বিএনপির জন্য বিগত দিনে অনেক ত্যাগ শিকার করেছি, প্রয়োজনে আবার ত্যাগ শিকার করতে আমরা রাজি আছি।
দেশের রাজনীতি কেমন হবে তার সিদ্ধান্ত জনগণ নেবে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। কেউ বলে দিতে পারে না আগামী দিনের বাংলাদেশের রাজনীতি কী হবে! এ সিদ্ধান্ত দেবে বাংলাদেশের জনগণ। এ সিদ্ধান্ত অন্য কেউ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
জনগণের সিদ্ধান্ত অন্য কেউ দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, জনগণের সিদ্ধান্ত অনেকে অনেকবার দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবও চেষ্টা করেছিলেন, তিনি কি সফল হয়েছেন? এরপর এরশাদ চেষ্টা করেছিল, শেখ হাসিনা চেয়েছিল, তারা কি পেরেছে? তাই সেদিকে না গিয়ে বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্ত তাদের দিতে দেন।
কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়নের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থানে আহতদের বিদেশে চিকিৎসার দাবি বিএনপির
১ মাস আগে