গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন রবিবার রাতে ছদ্মবেশে সিএনজি নিয়ে হাটহাজারী মেডিকেল গেট এলাকার ইদ্রিস ভবনে বিয়ে পড়ানোর সময় হাতেনাতে তাদের আটক করেন। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় জাল কাবিননামার বই।
কথিত কাজী মো. হাসান ওরফে তপন কান্তি নাথ (৪২) হাটহাজারী পৌরসভার মীরেরখীল নাথা পাড়ার হরিপদ নাথের পুত্র। এক সময়ে হিন্দু ধর্মালম্বী ছিলেন।
এসময় ভুয়া কাজী হাসানের সহকারী মো. এহসানকেও আটক করা হয়। এহসান রাউজান পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের সালামত উল্লাহর বাড়ির মৃত এজহারুল হকের পুত্র বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, হাসান ১৫ বছর আগে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মুসলিম শরিয়া অনুযায়ী বিয়ে পড়ানোর কাজী সেজে যান। তার বিয়ে পড়ানোর কোনো সরকারি অনুমোদন নেই। সরকার এসব বিয়ে থেকে কোনো রাজস্ব পায়নি। কাবিননামা বইয়ের মতো একটা বই এ কেবল বর কনের স্বাক্ষর নিয়ে বিয়ে রেজিস্ট্রি করে সহজ সরল জনগণের সাথে প্রতারণা করছিলেন তিনি।
আটকের পর হাসান জানায়, তিনি এ পর্যন্ত কাজীর পরিচয়ে ২/৩শ ভুয়া বিয়ে নিবন্ধন করেছেন। তার দাবি তিনি এগুলো রেজিস্ট্রিও করিয়েছে। দিয়েছেন কাবিননামা। তবে তার কাছ থেকে উদ্ধার করা কাবিননামা বইয়ে বর-কনেদের স্বাক্ষর ছাড়া কোনো তথ্যই পাওয়া যায়নি।
ইউএনও রুহুল আমিন জানান, এর আগে ২০১৫ সালে তাকে ধরার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে জানতে পেরেছি। তখন হাসানকে ধরা না গেলেও তার সহকারী আটক হয়েছিল। এবার ছদ্মবেশে সিএনজি নিয়ে উপস্থিত হয়ে তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। তার ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।