স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পার্শ্ববর্তী ধরলা নদীর বন্যার পানির তোড়ে জোংড়া ইউনিয়ন থেকে ধবলগুড়ি যাতায়াতের জন্য ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জোড়াপুল নামক আঞ্চলিক সড়কে অবস্থিত সেতু সংযোগ সড়ক গত রবিবার রাতে ধসে পড়ে। এর ফলে সেতুটির পূর্ব ও পশ্চিম উভয় দিকে ধবলগুড়ি, নন্দেরঘাট, ডাঙ্গাপাড়া, বড়ভিটা, মন্ডলেরটারী, মন্দিরপাড়া গ্রামের প্রায় ২০ হাজার গ্রামবাসী ভোগান্তিতে পড়েছেন।
লালমনিরহাট জেলা পরিষদের সদস্য মো. ফরহাদ হোসেন লিটন বলেন, সেতু সংযোগ সড়ক ধসে যাওয়ায় আমরা নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছি। এটি দ্রুত মেরামত করা না হলে জনদুর্ভোগ বেড়ে যাবে।
জোংড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ আলী মানুষের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, দ্রুত ভেঙে যাওয়া সেতুটির সংযোগ রাস্তাটি দিয়ে মানুষের চলাচলের জন্য বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে দেওয়া হবে।
ভুক্তভোগী জোংড়া ন্যাশনাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী লিপসি আক্তার জানান, ‘সেতুর সংযোগ সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় আমাদের বিদ্যালয়ে যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। আমরা নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছি।’
ধবল গুড়ি গ্রামের ভ্যানচালক দুলাল হোসেন বলেন, ‘সেতুর সাথে রাস্তাটি ভেঙে যাওযায় আমরা মালামাল নিয়ে দূরদূরান্তে যেতে পারছি না। বর্তমানে দূরের ভাড়া পাচ্ছি না, গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে।’
এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল করিম জানান, বন্যায় সেতু সংযোগের রাস্তা ভেঙে যাওয়া ও স্থানীয় লোকজনের সমস্যার কথা জানতে পেরে আমরা ঘটনাস্থল ঘুরে এসেছি। রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।